Blog

  • ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ইউনিয়নে স্বচ্ছতার সাথে ভিজিএফ বিতরণ

    ময়মনসিংহ সদরের পরানগঞ্জ ইউনিয়নে স্বচ্ছতার সাথে ভিজিএফ বিতরণ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নে স্বচ্ছতার সাথে অসহায়, দুঃস্থ ও ছিন্নমুল পরিবারের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর ১০কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার (৮জুলাই ২০২২) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ২৬০৩ জন ভুক্তভোগীর মাঝে ভিজিএফ এই চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকার।

    এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা ইজ্জত আলী,যুবলীগ নেতা নাজমুল হক, আতাব উদ্দিন মেম্বার,রেখা রাণী,হালিমা খাতুনসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক, যুবলীগ এবং জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নে জনপ্রতিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকার বলেন, ভিজিএফ কার্ডধারীরা যাতে কোন ধরণের ভোগান্তির স্বিকার এবং বিশৃংখল পরিস্থিতি না হয় সেই লক্ষে স্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরুষ ও নারী পৃথক সারিবদ্ধ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ড পযায়ের জনপ্রতিনিধিগণ ভিজিএফ বিতরণে সহযোগীতা করায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

  • “আগৈলঝাড়ায় গরুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তায় আগৈলঝাড়া  থানা পুলিশ”

    “আগৈলঝাড়ায় গরুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তায় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ”

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে, আগৈলঝাড়া উপজেলার ঐতিজ্যবাহী গরুর হাটে বাড়তি কড়া নজরদারি, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা,যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সরোয়ার হোসেন। আগৈলঝাড়া গৈলা গরুর হাটে আইনশৃঙ্খলায় সার্বিক সহায়তা করেন গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু, আরো উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মাজহারুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি এম মনির হোসেন, আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ও পুলিশ সদস্য গন।
    ৮ জুলাই শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আগৈলঝাড়া গৈলা,বাশাইল, ছয়গ্রাম গরুর হাটে,ক্রেতা ও বিক্রেতাসহ গরুর প্রচুর ভিড়,গরু ক্রয় ও বিক্রি করতে আসা বিভিন্ন জেলার দুরদুরান্ত মানুষকে নিরাপত্তা ও নিরাপদে বাড়ি ফেরার ও যেকোনো মূল্যে গরু হাটে কড়া নজরদারি জোরধার করা হয়েছে।গরুর হাটের চারপাশে যানজট মুক্ত রাখা,শৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষা এবং চুরি ছিনতাই রোধে নিয়মিত পুলিশ টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

    আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিক দের জানান পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কড়া নজরদারি, চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তার পুলিশ।ক্রেতা হাট থেকে গরু ক্রয় করে যেন নিবিঘ্নেবাড়ি ফিরতে পারে এবং গরু পন্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি অর্থ ও গরু ছিনতাইসহ কোন প্রকার কোন অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষে কাজ করছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ।আমরাও আমাদের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য বলেছি, আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

  • ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি’র পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

    ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি’র পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

    হেলাল শেখঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মজবিুর রহমান (শাহেদ) এর পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহা’র কোরবানির ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”।
    আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান (শাহেদ) বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এবং ঢাকা-২০ আসনের এমপি ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজীর আহম্মেদ ও সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন খাঁন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক-আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ফারুক হাসান তুহিন, এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের সকল জনগণ এবং দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আবারও ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
    মজিবুর রহমান (শাহেদ) আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মমতাময়ী মা, তিনি আছেন বলেই আমরা ভালো আছি, স্বাধীনভাবে চলছি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা’র দিকনির্দেশনা মতো আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সবার কাছে আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা রইলো, আবারও ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।

  • ঈদে পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাব ব্যস্ততার ফাঁকে মাদক পাচার বাড়ছে-নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ

    ঈদে পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাব ব্যস্ততার ফাঁকে মাদক পাচার বাড়ছে-নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ

    হেলাল শেখঃ ঈদে ৭-৮দিন পুলিশ প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তায় ব্যস্ততার ফাঁকে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেটে মাধ্যমে নানারকম মাদকদ্রব্য অবাধে বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এসব মাদক সেবন করে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ। ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দিলে মাদক সেবনকারীদের দিয়ে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড করাতে পারছেন অনেকেই।
    শুক্রবার ( ৮ জুলাই ২০২২ইং) সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ও টাঙ্গাইলের গোপাল থানায় একাধিক মাদক মামলার আসামী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম (৪২) এর দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার শক্তিশালী সিন্ডিকেটের এই মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে, এরকম অনেক মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
    সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দড়িসয়া গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে হাতে নাতে গাঁজাসহ ফিরোজা বেগমকে আটকের পর দুই বছরের সাজা প্রদান করেন। গাঁজা সেবন ও নিজ হেফাজতে গাঁজা সংরক্ষণ যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) এর ২১ ধারা লঙ্ঘন ও দ-নীয় অপরাধ। এই ধারা মতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ (দই) বৎসর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
    জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এবারের গল্পটাই যেন ভিন্ন: স্বামী একজন রিক্সা চালক আর স্ত্রী বাসা বাড়িতে কাজের বোয়া থেকে এখন বিশাল প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেটের পরিচালনাকারী নারী ফিরোজা বেগম। তিনি এখন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে ইটের দালানকোঠা তৈরি করে বাড়িতে চারসাইড দিয়ে লাগিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকাবাসীর দাবি-সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেখে তার বাড়িতে কারা কখন আসছে, প্রতিবেশি কেউ তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করাসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন: কি তার উপার্জন আর কি বা তার ব্যবসা? দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে কে এই নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম।
    জানা গেছে, একজন দিনমজুর আলী আকবরের অপ্রতিরোধ্য স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন, এরপর এখন ক্ষমতাধরের খাতায় নাম লিখেছে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে পুঁজি করে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলের দড়িসয়া পাড়া গ্রামের একবেলা খেয়ে আর অন্যবেলা না খেয়ে অনাহরে অর্ধাহারে থাকা সেই দিনমজুর স্বামী আলী আকববসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফিরোজা বেগম কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোশারফ ম্যানশন নামের একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই বাড়ির মালিকের বিশাল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছে। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি এই মাদকের কারবার করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ফিরোজা বেগমের মাদকের বিশাল শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে, দেশের সীমান্ত দিয়ে আসা ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক তার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চালান পাঠানো হয়। ২০১২ সালে সিরাজগঞ্জ, ২০১৭ সালে আশুলিয়া, ২০২১ইং সালে টাঙ্গাইলে মাদকসহ হাতে নাতে আটক হয় ফিরোজা বেগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে তিনি ও তার দুই ছেলে কৌশলে বেড়িয়ে এসে ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অবাধে চালাচ্ছে তাদের বিভিন্ন মাদকের কারবার।
    এলাকাবাসী-মাদককে না বলে পৃথক ভাবে একাধিকবার মাদক বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধনসহ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মাদক নির্মূলের দাবিতে সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধের জন্য সামাজিক প্রতিরোধে এলাকার যুবসমাজকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে দড়িসয়া গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুস সামাদ বলেন, পূর্বের ইতিহাস তারা আগে জামগড়ায় থাইকা কাম কাজ করছে। ১৫-১৬ বছর যাবতসেখানেই থাকতো তারা। তার দুই ছেলে বিভিন্ন মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একাধিকবার, ফিরোজা বেগমও গাঁজাসহ আটক হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দুই বছরের সাজা দেন। তিনি আরও বলেন, এই ফিরোজা বেগমের পরিবারের লোকজন সবাই এখন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। শীতের মধ্যে মানুষ গরম পোশাক ও মুখোশ ব্যবহার করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক বিক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের জমজমাট কারবার করছে। কিছু মাদক সেবনকারী নির্বাচনে মিছিল মিটিং করাসহ বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে ব্যবহার করছেন প্রার্থী অনেকেই।
    উক্ত বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া ও টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও তার সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে র‌্যাব জানায়, ফিরোজা বেগম বড় মাদক ব্যবসায়ী, তাকে মাদকসহ আটকের চেষ্টা চলছে।
    মাদক সেবনকারীরা টাকার লোভে মাঠে কাজ করছে। কেউ তাদেরকে টাকা দিলেই মাদক সেবন করতে পারছে। কোনো ভাবে টাকা না পেলে মাদক সেবনকারীরা বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভারত থেকে পিপুল পরিমাণের বিভিন্ন মাদক বাংলাদেশে আসতে পারে বলে সূত্র জানায়। উক্ত প্রতিবেদন ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

  • ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযাহার শুভেচ্ছা

    ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযাহার শুভেচ্ছা

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগসহ আওয়ামী সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”।
    আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ বশির আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন। সবসময় ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে আমরা সবাই কাজ করে যেতে চাই, এর জন্য দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের সহযোগিতা দরকার। তিনি আরও বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, তাই সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা-ঈদ মোবারক, “ঈদ মোবারক”।

  • তানোরে ৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হওয়ায় সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    তানোরে ৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হওয়ায় সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ

    রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বিভিন্ন স্তরের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করা হয়েছে।এদিকে দীর্ঘ প্রায় তিনদশক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিভুক্ত হওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি,অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, একই সঙ্গে এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। জানা গেছে, দেশে নতুন করে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি স্কুল ও কলেজ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬৬৫ টি মাlদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার তথ্য জানায়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি সচিবালয়ে এমপিও প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান।প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সরকারি একটি অংশ পেয়ে থাকেন।এদিকে তানোর উপজেলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে।ধানুরা চকপ্রভুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, গত ২৫ বছরের বেশী সময় ধরে বিনা বেতনে পাঠ দান দিতে দিতে শিক্ষকেরা মহাসংকটে পড়েছিল, বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারিগণ পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে ছিল এখন সে কষ্ট দূর হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই, সেই সঙ্গে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তারা সুস্থ্য থেকে দেশের আরো সেবা করে যেতে পারেন। রাজশাহী ১ আসনের সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষক কর্মচারীগণ বছরের পর বছর বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এবার শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিওভুক্ত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমূলে শিক্ষক কর্মচারীগণকে ভিটেমাটি, গরু, ছাগল বিক্রি করে এমপিও কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করতে হতো। সে অবস্থা নেই এখন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীর শিক্ষক কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে কোন প্রকার উৎকোচ ছাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিও করার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়া পথে দেশ এক ধাপ এগিয় গেল। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে, শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর জন্য এলাকার মানুষ আল্লাহর দরবারে প্রাথনা করবেন, যেন আগামীতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। উনার হাত ধরে উন্নত বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবে জনগন, এ প্রত্যাশা করি। এমপিও হাওয়ার ফলে এলাকার হাজার হাজার শিক্ষর্থী উন্নত মানসম্মত পাঠদান গ্রহন করতে পারবে। এখন শিক্ষকগন রুটি রুজির কথা চিন্তা ভাবনা না করে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে শিক্ষা দিতে পারবেন। তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার ময়না বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, রাজশাহী ১ আসনের সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কঠোর পরিশ্রম করে, ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করতে পেরেছেন এ জন্য উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও রাজশাহী ১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

  • নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

    নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃ
    নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩। নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত, এসময় গ্রুরুতর অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে উপস্থিত হন আহত,দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকলে নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার মুলিয়া রোডে এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা,খোকন চন্দ্র রায় (৫০) নামে ঐ ব্যক্তির পিঠে ছুরি বিঁধিয়ে পালিয়ে যায়,দুর্বৃত্তরা,পরে আহত অবস্থায় তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছান এবং হাসপাতালের দায়ীত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায়,পুলিশ জানায়,খোকন চন্দ্র রায়,নড়াইল শহরতলীর দুর্বাজুড়ি গ্রামের মৃত জ্যোর্তিময় রায়ের ছেলে। তিনি প্রতিদিনের মতো সকালে পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে মুঁলিয়া রোডের দক্ষিণ নড়াইল বটতলা নামক স্থানে হেলমট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহী দুই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এসে খোকনের পিঠে ছুরি বিদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় খোকন নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছাতে সক্ষম হলেও তার শরীরে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে বিধে থাকা চাকু সেখানে অপসারণ করা সম্ভব না হওয়ায় ক্রমে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে চিকিৎসক তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দিলে স্বজন’রা,খোকনকে যশোর মেডিকেলে নেন। খোকনের শরীরে বিধে থাকা ছুরি ফুসফুস পর্যন্ত গিয়ে থাকতে পারে এমন ধারনা পোষণ করে সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার,শরীফ মোহাম্মদ হাসান ফেরদৌস জানান,অপসারনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচার নড়াইলে সম্ভব না,বিধায় তাকে মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান,জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে খোকন হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনা উৎঘাটনে কাজ চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে,পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরেন করেছেন বলে,নিশ্চত করেছেন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান।

  • নওগাঁয় দাবী এনজিও’র সাবেক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পিটালেন কর্তৃপক্ষরা

    নওগাঁয় দাবী এনজিও’র সাবেক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পিটালেন কর্তৃপক্ষরা

    রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাকে অবসরকালীন পিএফ ও গ্র্যাজুইটি’র টাকা দিবে বলে অফিসে ডেকে নিয়ে পরিবারসহ জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ ফোন দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ঘটনায় ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। মোশাররফ হোসেন (৩৮) জেলার বদলগাছী উপজেলার কাশিয়ারা গ্রামের মৃত আয়চাদ আলীর ছেলে। গত বুধবার (৬জুলাই) রাত ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চকরামপুর (কাঁঠালতলী) এলাকায় বেসরকারি সংস্থা ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার’ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর পূর্বে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে যোগদান করেন মোশারফ হোসেন। পরে শাখা ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। সংস্থায় চাকুরি করাকালীন তিনি পিএফ (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ও গ্র্যাজুইটি বাবদ প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাওনা আছেন। টাকাগুলো পাওয়ার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও আজকাল বলে কালক্ষেপন করা হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই ওই অফিস থেকে ফোন করে তাকে তার পাওনা টাকাগুলো নিয়ে যেতে বলা হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি স্ত্রী সাবিনা বেগম, দুই সন্তান মেয়ে (১৫) ও ছেলে (৪) কে নিয়ে সংস্থার অফিসে যান।

    অফিসে যাওয়ার পর তাকে একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এ নিয়ে তাদের রাত ৯টা বাজে। কিন্তু পাওনা টাকায় হিসাবের গড়মিল হওয়ায় তিনি প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। দাবী এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার সিমা (৩৮), পরিচালক মুনির চৌধূরী (৪৫), প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান(৩৬), আ লিক ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ ও অফিস সহকারি হাসান (৪২) ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের অফিসের একটি ঘরে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এতে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মোশারফ। এসময় তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘরে রেখে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে অন্ধকারে আটকিয়ে রাখা হয়। এসময় মোশারফকে তারা মারপিট শুরু করলে এক পর্যায়ে তিনি সংস্থা থেকে পালিয়ে রাস্তা চলে আসেন। পরে তিনি ‘৯৯৯’ ফোন করা হলে থানা পুলিশ তার স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করে।

    শুধু মোশারফ হোসেন না, পিএফ ও গ্র্যাজুইটি’র টাকা নিয়ে সংস্থার অনেক কর্মচারীর সঙ্গে এমন অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কোন কর্মচারী ওই সংস্থা থেকে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে তাকে যেমন ভোগান্তীতে পড়তে হয়, তেমনি তার পাওনা টাকাও নয়-ছয় করা হয়। ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত হয়নি।

    ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন বলেন, সংস্থা থেকে গত বছরের জুনে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। এরমধ্যে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা (৭ কিস্তিতে) পরিশোধ করেছি। ঋণের বাঁকী টাকা ছাড়া সংস্থা আমার কাছে অন্য কোন ধরনের টাকা পাবে না। কিন্তু তারপরও আমার পাওনা প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে তারা ৩ লাখ টাকা কেটে নিবে। আনুষঙ্গিক আরো কিছু কেটে নিয়ে সবশেষে ২ লাখ টাকা তারা দিতে চায়। আমার পাওনা হিসাবের সঙ্গে অসঙ্গতি থাকায় প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কাগজে স্বাক্ষর না করায় আমাকে তারা মারপিট করেছে এবং পরিবারকে ঘরে আটকে রাখে। পাওনা টাকা চাইলে তারা আমাকে হত্যা করে গুম করবে বলে হুমকি দেয়।
    তিনি আরো বলেন, আমি কেন অন্য কোথাও চাকরি করবো। সেটা ছেড়ে দিয়ে এসে আবারও তাদের সংস্থাতে যোগদান করতে বলে। আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার বিচার চাই। সেই সাথে সংস্থার কর্তৃপক্ষদের গ্রেফতারের দাবী জানাই। তবে অভিযোগের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।

    ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, এনজিও’র অফিসের একটি ঘরে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে অন্ধকারে বন্দি করে রাখে। তার আগেই স্বামী ঘরের বাহিরে চলে যায়। এসময় স্বামীর চিৎকার ও হৈ-চৈ এর শব্দ শুনতে পায়। পরে অভিযুক্তরা এসে আমাকে শ্লীলতাহানীল চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বাসীন্দা মশিউর রহমান। তিনি ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থায়’ প্রধান হিসাবরক্ষক পদে ছিলেন। গত ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেছিলাম। সেখানে আমার পাওনা ছিল ৩৩ লাখ টাকার ওপরে। সংস্থা থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিলাম। আমার পাওনা থেকে ৩লাখ ২০ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বাঁকী টাকা আমাকে দেওয়া হয়। ওই সংস্থায় আমার মতো অনেকের সাথে এমন অন্যায় করা হয়েছে।

    দাবী এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার সিমা’র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
    দাবী এনজিও’র পরিচালক মুনির চৌধূরী বলেন, মোশারফ হোসেন যা বলেছে সব অযৌক্তিক। প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম কানুন আছে যা তিনি মানতে চাননা। সবকিছু কাগজপত্র প্রস্তুত করে যখন তাকে চেক দেওয়া হবে তখনই সে ঝামেলা শুরু করে। তার পাওনা টাকা না নিয়ে অফিস থেকে যাবে না। বাধ্য হয়ে আমরা থানা পুলিশকে জানালে রাত ৯টার দিকে তাদের অফিস থেকে বের করে নিয়ে যায়। এছাড়া তার পরিবারকে জিম্মি বা তাকে মারপিট করা হয়নি বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    নওগাঁ সদর থানার ওসি-তদন্ত রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।

  • কেশবপুরের বুড়হাটী দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    কেশবপুরের বুড়হাটী দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরের বুড়িহাটী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী বুড়িহাটী গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (৪৪) ৬ জুলাই সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিজ বাড়িতে মারাগেছেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি মাতা ,স্ত্রী,দুপুত্র ওএক কন্যাসহ অসংখ্য গুন গ্রাহী রেখে গেছেন। পরদিন ৭ জুলাই সকাল ১০টায় বুড়িহাটী স্কুল ময়দানে জানাযা নামায শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
    পারিবারিক সূত্র জানায় ঘটনার দিন নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের বিদ্যুতের লাইনে কাজ করার সময় হটাৎ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান।এসময় পার্শে থাকা তার স্ত্রী তাকে তুলতে গেলে তাকেও বিদ্যুতের সক লাগার কারনে তিনি পড়ে যান। পরে লোকজন এসে তাকে ডাক্তার দেখানো হলে ডাক্তার কামরুজ্জাম টুকু জানান তিনি মারা গেছেন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ তার আতœার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান টুকু,মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল খালেক, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল হাই সিদ্দিকী,আলী আজগর,মনোয়ারা খাতুন। শিক্ষক সহসুপার আব্দুল বারী,শিক্ষক মশিয়ার রহমান,হযরত আলী, আব্দুুস সামাদ,শফিকুল আলম, রিজাউল ইসলাম,নাসিমা খাতুন,সেলিনা আক্তার হাবিবুর রহমান,আজহারুল ইসলাম,আব্দুর রউফ।

  • কেশবপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি বিতরণ

    কেশবপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি বিতরণ

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে ৭জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। এর আগে উপজেলা পরিষদের হলরুম গ্রাম পুলিশের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আতিয়ার রহমান।
    অপরদিকে কেশবপুর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ের ৬১ জন ভূমিহীনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ৫০০ টাকা করে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে।

    মোঃ জাকির হোসেন
    কেশবপুর,যশোর।।