Blog

  • সাদুল্লাপুর ইউএনওকে ঘিরে ফেসবুকে চলছে স-মালোচনার ঝ-ড়

    সাদুল্লাপুর ইউএনওকে ঘিরে ফেসবুকে চলছে স-মালোচনার ঝ-ড়

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। তার বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট আচরণ’, অসহযোগিতা ও দায়িত্ব এড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নাগরিকেরা।

    সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচে সাংবাদিক পরিবারের বসবাস,ইউএনও’র দায়সারা তদন্ত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কমেন্টগুলোতে অনেকেই গাছ অপসারণে ইউএনও’র অসহযোগিতা,অমানবিক’ ও ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে অভিহিত করেছেন।

    এর আগে,এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ফেসবুকে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিস্টদের সহায়ক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত ১৮ই মে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ ফেসবুকে লেখেন,’তবে কি সাদুল্লাপুরের ইউএনও ফ্যাসিস্টদের হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে কাজ করছেন.?

    এরপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ সাগর তার পোস্টে লেখেন,’ইউএনও নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগকে সহায়তা করছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাছ অপসারণ না হলে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।’

    এই পোস্ট দুটির পর অনেকের মন্তব্যে ইউএনও’র বিরুদ্ধে অসহযোগিতা,ফ্যাসিস্ট মনোভাব, অমানবিক আচরণ,এমনকি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির অভিযোগ তোলেন। কেউ কেউ ভুক্তভোগী হিসেবে অভিযোগ করেন,ইউএনও তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।

    একজন মন্তব্য করেন,’তার আচরণ পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী,মানুষের কষ্ট তার বিবেচনায় পড়ে না।’ আরেকজন লেখেন,ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। কেউ কেউ বলেন,ইউএনও প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে জনসেবার পরিবর্তে হয়রানি করছেন।

    আমিনুর রহমান ও মামুনুর রহমান নামে দুইজন কমেন্টে লেখেন, সাদুল্লাপুরের ইউএনও আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। খুব দ্রুত ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কমেন্টে নাজমুল বলেন, ‘চালবাজদের জন্য আমরা সেকেন্ড ইনডিপেনপেন্ট আনি নাই। বিপ্লব চলবে,কমেন্ট রিপ্লেতে মাসুদ রানা নামে অপর একজন লেখেন, আপনাকে সেই প্রথম দিনই বলছিলাম ‘ইউএনও এর কার্যক্রম ভালো না।’

    সূত্রমতে,বিতর্কিত পোস্টের পরদিন ইউএনও কয়েকজন ছাত্রনেতাকে কার্যালয়ে ডেকে নেন এবং একটি সমঝোতার চেষ্টা হয়। তবে এনসিপির নেতা ও ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়,’প্রশাসনের ফ্যাসিস্ট আচরণ রুখে দাঁড়াব,বিপ্লব চলবে।’

    সর্বশেষ,গত ১৮ই জুন সাংবাদিক ও ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ প্রতিবেশির ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি পুরনো মেহগনি গাছ অপসারণে ইউএনও’র ‘অসহযোগিতা ও দায়সারা তদন্ত’ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি জননিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেও ইউএনও’র কিছুই করার নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ফেসবুকে কমেন্টে ইউএনও’র ভূমিকাকে ‘নির্দয়তা’ ও ‘দায়িত্বে অবহেলা’ বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

    সাদুল্লাপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউএনও’র বিরুদ্ধে সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার,ফোন বা বার্তায় সাড়া না দেওয়া, অসহযোগিতা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব এড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গেও তার আচরণ অশোভন—এমন অভিযোগ রয়েছে। সরকারি কিংবা ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন না। এমনকি টেক্সট বা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেন না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ফলে বহু সেবা প্রত্যাশী তথা জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে, উপজেলা পরিষদে বহুদিন ধরে কর্মরত দুই প্রবীণ কর্মচারীর প্রতি ইউএনও’র অবমাননাকর আচরণ। জানা গেছে,১৫-২০ বছর ধরে পরিষদের হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে আসা খোকন ও মোহাম্মদ আলী নামে দুইজনকে অফিসে আসতে নিষেধ করেন ইউএনও।।

  • এইচএস সি ২০২৫ প্রথম দিনেই নলছিটিতে ১০ শিক্ষককে অব্য-হতি ৩ শিক্ষার্থীকে বহি-ষ্কার

    এইচএস সি ২০২৫ প্রথম দিনেই নলছিটিতে ১০ শিক্ষককে অব্য-হতি ৩ শিক্ষার্থীকে বহি-ষ্কার

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    এর মধ্যে মোল্লারহাট ইউনিয়নের হদুয়া বৈশাখিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪ জন শিক্ষককে অব্যাহতি ও ২ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার করা হয়েছে এবং
    নলছিটি গার্লস স্কুলে ৬ জন শিক্ষককে অব্যাহতি ও ১ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার করা হয়েছে।

    শিক্ষার গুনগত মান ফিরিয়ে আনতে পরীক্ষার হলগুলোতে কোনো অনিয়ম ছাড় দেয়া হবে না এবং অনিয়ম পেলে সাথে সাথে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।এবং পুরো পরীক্ষা চলাকালীন এই কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো:নজরুল ইসলাম।

  • ময়মনসিংহের সিরতা ও চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নে  ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী

    ময়মনসিংহের সিরতা ও চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে প্রকৃত উপকারভোগীদের বাছাই ও নিশ্চিত করণে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারী পক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে
    ভালনারেবল ইউমেন বেনিফিট (VWB) কার্যক্রমে উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনয়নে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে চরঈশ্বরদিয়া ও সিরতা ইউনিয়নে উপকারভোগী বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ইউনিয়নগুলোতে উপস্থিত হয়ে লটারী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের পরিচালনায় সভায় ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান- উপযুক্ত ও প্রকৃত হতদরিদ্র উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে লটারি হওয়ার পরও ৩দিন সময় নির্ধারণ করা হবে এর মাঝে লটারিতে প্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে কেউ যদি এর আওতায় না পড়ে তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনার আলোকে লটারিতে নির্বাচিতদের মধ্য থেকে যাচাইয়ান্তে বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমান হয় তিনি কার্ড পাওয়ার যোগ্য নন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভাতাভোগী নির্বাচন করার নির্দেশনা রয়েছে। অতএব, লটারিতে নির্বাচিত হলেও যদি যাচাই-বাছাইয়ে যোগ্য না হয় তাহলে যোগ্য কাউকে দেয়া হবে। এভাবে প্রকৃত ও উপযুক্ত উপকারভোগীদেরদ মাঝে স্বচ্ছতার সহিত বিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। এসময় তিনি উক্ত উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতিবাচক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সচেতন নাগরিকসমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসন,ময়মনসিংহ সদর এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন-২৫-০৬-২৫ থেকে ৩০-০৬-২৫ পর্যন্ত ময়মনসিংহ সদর এর ১১ টি ইউনিয়নে এই উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম চলবে। এব্যাপারে তিনি সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

    এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,উপজেলা কৃষি অফিসার জোবায়রা বেগম সাথী, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রহিছ উদ্দিন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাক অফিসার (সাধারন) সাইফুল ইসলাম,স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্যগণ ও রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • তানোরে বিলু-প্ত প্রায় পানি ফল

    তানোরে বিলু-প্ত প্রায় পানি ফল

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে একটি সময় পানি ফল চাষের সুদিন ছিলো। অনেকে পানি ফল চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করতেন।
    কিন্ত্ত কালের বিবর্তনে সেই পানি ফল এখন বিলুপ্তপ্রায়। মৌসুমি পানি ফল স্থানীয় ভাষায় ‘পানি সিঙ্গারা’ নামে পরিচিত। এক দশক আগেও এই ফল চাষ করে কিছুটা হলেও অনেক প্রান্তিক চাষির পরিবারের মধ্যে সচ্ছলতা ফিরেছিল। এক সময়র তানোর-বায়া, তানোর-আমনুরা,তানোর-চৌবাড়িয়াসহ বিভিন্ন রাস্তার ধারে নয়নজুলির জলাবদ্ধ পানিতে ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাসপুকুর-জলাশয়ে পানি ফলের গাছ দেখা যেতো।কিন্ত্ত এসব রাস্তার ধারের নয়নজুলি ভরাট ও খাসপুকুর-জলাশয় ইজারা দেয়ায় সেখানে আর পানি ফল গাছের জন্ম হয় না।
    জানা গেছে,তানোরে এক দশক আগেও কালীগঞ্জ, কামারগাঁ, বাতাসপুর,মান্দার বাঁকাপুর এলাকায় জলাবদ্ধ পতিত জমিতে শোভা পেতো পানি ফলের গাছ।প্রতিদিন ভোরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যাত্রীবাহী বাস, ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইকের মাধ্যমে বস্তায় ভরে এই পানিফল বিক্রির জন্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতেন।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ জানান, পানি ফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। পানি ফলের পুষ্টিরমান অনেক বেশি। উপজেলার পতিত জমিতে এই পানি ফলের চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পানি ফল চাষে কম খরচে বেশী লাভ হয়। প্রতি বছর বোরো ধান কাটার পর, জলাবদ্ধ পতিত জমি, পানি জমে থাকা ডোবাসহ খাল-বিলে এই ফলের লতা রোপণ করা হয় (জমে থাকা পানিতে)। তিনি বলেন, তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে গাছে ফল আসে। এ ফল চাষে সার-কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না।
    এদিকে তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশো ইউপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পানি ফল চাষি বলেন, চৌবাড়িয়া-দেলুয়াবাড়ি রাস্তার ধারের নয়নজুলি ও আন্ধারসুরা-বিলউৎরাইল বিলে পানি ফল চাষ করতেন।কিন্ত্ত নয়নজুলি ভরাট ও বিলগুলো মাছ চাষীদের কাছে ইজারা দেয়ায় তারা আর পানি ফল চাষ করতে পারছেন না।
    স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত,
    সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি পানি ফল উৎদানের উৎসগুলো আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হলে,এলাকার অনেক প্রান্তিক কৃষক পানিফল চাষের সুযোগ পাবেন। ফলে একদিকে নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হতে পারবেন, ঠিক তেমনই গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা(এসএএও) বলেন,বর্তমানে পানিফল কৃষিতে নতুন এক সম্ভাবনাময় ফসল। আমাদের কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে। যেকোনো পতিত পুকুর, ডোবা অথবা জলাশয়ে পানিফল চাষ করা সম্ভব। তুলনামূলক এর উৎপাদন খরচ কম।#

  • সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পদোন্নতিজনিত বি-দায় সংবর্ধনা প্রদান

    সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পদোন্নতিজনিত বি-দায় সংবর্ধনা প্রদান

    এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলামকে পদোন্নতিজনিত কারনে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বুধবার বিকাল ৪টায় এই বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারও অফিসার্স ক্লাবের সভাপতি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের সভাপতিত্বে এবং অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদ হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জিল্লুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান প্রমুখ। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম সুজানগর উপজেলায় বিগত প্রায় ৪ বছর ২ মাস সময়কালে অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সরকারের নির্দেশনা পালনে ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ। তিনি শুধু জনপ্রতিনিধি নন, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে সুন্দর আচারণ করতেন। যে কেউ তার এই উদারতায় তাকে শ্রদ্ধা করতেন। সুজানগর উপজেলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি একজন সজ্জন,পরোপকারি ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বিদায়ী বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, আমার কর্মজীবনে সেরা সঞ্চয় হিসেবে পেয়েছি এই সুজানগর উপজেলার মানুষের ভালবাসা। সুজানগর উপজেলার মানুষ খুবই আন্তরিক। ফলে উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি,কৃষক, সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলকে নিয়ে সুন্দরভাবে কাজ কাজ করতে পেরেছি। কতুটুকু পেরেছি বলতে পারব না,তবে চেষ্টা করেছি। দায়িত্ব পালনকালে সবাই যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, সে কারণে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিদায় অনুষ্ঠানের শেষাংশে উপজেলা কৃষি অফিসারকে ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য উপজেলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সফল এ কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার অতিরিক্ত উপ পরিচালক(শস্য) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ।

    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • বানারীপাড়ায় এনজিও’র প্রকল্প অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত

    বানারীপাড়ায় এনজিও’র প্রকল্প অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত

    এস মিজানুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি।। বানারীপাড়ায় গতকাল বুধবার ২৫ জুন বেলা ১২ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনজিও নজরুল স্মৃতি সংসদ(এনএসএস) এর প্রকল্প অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশস্হ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এবং গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্স কানাডা।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তনয় সিংহ। সংস্থার প্রকল্প ” জেন্ডার ইকুয়ালিটি ট্রান্সর্ফম ক্লাইমেট অ্যাকশন(গেটকা)” সম্পর্কে পরিচিতি করেন সংস্থার বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী মোঃ হাসানুল হক মান্না। সভায় সংস্থার বানারীপাড়া উপজেলার সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রাণী সেন, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, এনজিও সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক ও সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম, সাংবাদিক মোঃ ইলিয়াস, সহকারী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা, সংস্থার বাকেরগঞ্জ সমন্বয়কারী বাবুল দাস প্রমূখ। সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও ইউপি সচিবগণ অংশ নেন।#

    এস মিজানুল ইসলাম ।।

  • পাইকগাছার দেলুটির ব-ন্যায় ক্ষ-তিগ্রস্ত চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ

    পাইকগাছার দেলুটির ব-ন্যায় ক্ষ-তিগ্রস্ত চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।

    পাইকগাছার বন্যা কবলিত দেলুটি ইউনিয়নের ৫ টি ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২.৭ মেট্রিক টন মৎস্য খাদ্য বিতরণ করা হয়। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিকের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার ঘোষ, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী রণধীর সরকার, ইউপি সদস্য পবিত্র কুমার সরদার, রামচন্দ্র টিকাদার, বদিয়ার হোসেন, পলাশ কান্তি রায় ও মেরী রাণী সরদার।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা

  • পাইকগাছায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও গাছের চারা রোপণ

    পাইকগাছায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও গাছের চারা রোপণ

    পাইকগাছা( খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে ” প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময় ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পাইকগাছা- হাড়িয়া-লতা সড়কে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রবীর কুমার দত্তের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, অফিসার ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ, শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মো. ঈমান উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার ঘোষ, সমবায় কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও সাংবাদিক পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল।

  • পাইকগাছা উপজেলা আ-ইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা উপজেলা আ-ইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, নবাগত ওসি রিয়াদ মাহমুদ, মেডিকেল অফিসার ইব্রাহিম গাজী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার ও প্রভাষক লুৎফা ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন গাজী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ সরদার, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মৌলুদা খাতুন, একাডেমিক সুপার ভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকী, বন কর্মকর্তা প্রবীর কুমার দত্ত, জনস্বাস্থ্যের উপ সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার পাল, উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্ল্যাহ সরদার, জাহাঙ্গীর আলম সানা, পীযুষ কান্তি মন্ডল, শেখ খোরশেদুজ্জামান, সুকুমার কবিরাজ ও সিএ আব্দুল বারী। সভায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, জলাবদ্ধতা নিরসনে শংকরদানা সহ সকল সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ, এইচএসসি পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং সব ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করা, কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুকুরের উপদ্রব, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, ভোগান্তি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, চোরাই ও রোগাক্রান্ত পশু জবাই বন্ধ এবং মানসম্মত মাংস বিক্রয় নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ ও মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা, কাটাখালী বাজার সহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহ আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে একই স্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকায় হোটেল, বেকারী, ফলের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরি-মানা

    গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকায় হোটেল, বেকারী, ফলের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরি-মানা

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ি, সিএন্ডবি এলাকায় পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ। বুধবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বাসী পঁচা খাবার, নিষিদ্ধ ক্যামিকেল (হাইড্রোজ) ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার করা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি,নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।

    মহিশালবাড়ী বাজারের কাঁনার হোটেল নামে পরিচিত সুজন ঘোষ (২১) কে ৫০০০ টাকা, আব্দুল্লাহ স্টোর, প্রোঃ মোঃ আব্দুল্লাহ
    (৩৫) কে ৫০০০ টাকা, উজ্জ্বল বেকারির মালিক সেতাফুর রহমানকে ৫০০০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মোঃ সোহরাব আলী (৪৫), পিতা-মৃতঃ মুনসাদ, সাং- ফকিরপাড়া, গোদাগাড়ী, রাজশাহীকে ৩০০০ টাকা, মোঃ বাবু (৩৫), পিতা-মোঃ সাদিকুল ইসলাম, সাং- রেলবাজার, কে ১,০০০ টাকা, হোটেল মালিক, মোঃ মারুফ (৩০), পিতা-মোঃ মাসুম হায়দার, সাং-মহিশালবাড়ী, গোদাগাড়ী, রাজশাহীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    অভিযান পরিচালনার সময় মহিশালবাড়ী, গোদাগাড়ী, রেলবাজার, গোদাগাড়ী, বাইপাস প্রভূতি এলাকার ফার্মেসী, হোটেল, মুদিখানার দোকান, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। ব্যবসায়ীগণ স্বেচ্ছায় ১ থেকে ২ ঘন্টা বন্ধ করে রাখেন। অভিযান শেষ হওয়ার পরেও অনেকে দোকান খুলেন নি।
    একই দিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(৫) ধারা অনুযায়ী ৩ জনকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামসুল ইসলাম কর্তৃক কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ জানান, “জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে। খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়াকরণ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।” তিনি আরও জানান,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বাসী পঁচা খাবার, নিষিদ্ধ ক্যামিকেল (হাইড্রোজ) ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার করায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
    ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠোনগণকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০২৯ এর ৩৮,৪৩, ৪৫,৫২,৫৩ ধারা অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

    বেকারিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করছিল, বিক্রি করছিল মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এবং অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত করার উজ্জ্বল বেকারির মালিক সেতাফুর রহমানকে জরিমান করা হয়ে।

    উপজেলা ও পৌরসভাবাসী জনস্বার্থে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সাধুবাদ জানিয়েছেন। সচেতনমহল এ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানান।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।