Blog

  • পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক তিন

    পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক তিন

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর রাতে সেখান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
    আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সদরের বড়দাপ এলাকার কলিম উদ্দীনের ছেলে মোকসেদুর রহমান (২৮), একই উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আহসান হাবিব (২৮) এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি এলাকার বাবর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দীন (৩৮)। এদের মধ্যে মকসেদুর ও আহসান হাবিব নিয়োগ পরীক্ষার্থী এবং বেলাল উদ্দীন নিয়োগ জালিয়াতি চক্রের অন্যতম হোতা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
    পুলিশ ও জেলা প্রাথমিক নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী মোকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিবের মৌখিক পরীক্ষার খাতায় লেখার সাথে তাদের মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা প্রক্সির মাধ্যমে অন্যের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল এবং এজন্য তারা মোটা অংকের টাকাও লেনদেন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তাদের অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়া এবং আর্থিক লেনদেনের সাথে বালিয়া ডাঙ্গির বেলাল হোসেনও জড়িত। এরপর কৌশলে তাকেও ডেকে এনে তিন জনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।
    পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং এজন্য তারা মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছেন বলেও স্বীকার করেন। এজন্য তাদের আটক করে রাখা হয়।
    সকলের পরীক্ষা শেষে কৌশলে নিয়োগ পরীক্ষায় এমন জালিতির মুল হোতা বেলাল হোসেনকে ডেকে এনে তিন জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
    পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রাতে থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সর্বচ্চ ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ায় বয়েছে আনন্দের বন্যা।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সর্বচ্চ ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ায় বয়েছে আনন্দের বন্যা।

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকে ঃ দেশে নতুন করে ২ হাজার ৭শ ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীর ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ায় এখানে বইছে আনন্দোর বন্যা। চলছে মিষ্টি বিতরণ।

    দেশেনতুন করে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতার ২ হাজার ৫১টি স্কুল ও কলেজ আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬৬৫ টি মাlদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে।

    বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার তথ্য জানায়।

    শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দুপুর ১ টায় সচিবালয়ে এমপিও প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সরকারি একটি অংশ পেয়ে থাকেন।

    এ দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার সর্বচ্চ ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিটিও ভুক্তি হয়েছে, এগুলি হলো বিড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়, মাছমারা উচ্চ বিদ্যালয়, চম্পক নগর উচ্চ বিদ্যালয়, ঘনশ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিয়াড় মানিক চর নিম্নমাধ্যমিক। ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মচারি, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে সে সাথে চলছে মিষ্টি বতরণ।

    বিড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, গত ২২ বছরের বেশী সময় ধরে বিনা বেতনে পাঠ দান দিতে দিতে শিক্ষকেরা মহাসংকটে পড়েছিল, বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারিগণ পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে ছিল এখন সে কষ্ট দূর হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই, সে সাথে তাদের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যেন তারা সুস্থ্য থেকে দেশের সেবা করে যেতে পারেন।

    রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষক কর্মচারীগণ বছরের পর বছর বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এবার শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিও ভুক্ত হয়েছে। বিএনপি জামায়াত সরকারের আমূলে শিক্ষক কর্মচারীগণকে ভিটেমাটি, গরু, ছাগল বিক্রি করে এমপিও কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করতে হত। সে অবস্থা নেই এখন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী গরীর শিক্ষক কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে কোন প্রকার উৎকোচ ছাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিও করার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়া পথে দেশ এক ধাপ এগিয় গেল। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে, শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। প্রধান মন্ত্রীর জন্য এলাকার মানুষ আল্লাহর দরবারে প্রাথনা করবেন, যেন আগামীতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। উনার হাত ধরে উন্নত বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবে জনগন, এ প্রত্যাশা করি।
    এমপিও হাওয়ার ফলে এলাকার হাজার হাজার শিক্ষর্থী উন্নত মানসম্মত পাঠদান গ্রহন করতে পারবে। এখন শিক্ষকগন রুটি রুজির কথা চিন্তা ভাবনা না করে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে শিক্ষা দিতে পারবেন।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার উন্নয়নের সরকার এটাই তার প্রমান, গোদাগাড়ীতে ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। একই মন্তব্য করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ।

    গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কঠোর পরিশ্রম করে, গোদাগাড়ীতে ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করতে পেরেছেন এ জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ও রাজশাহী ১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ): ঢাকা রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) মহোদয় গত (২৫ মে ২০২২ইং) তারিখ হতে ৩০জুন ২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই-এ অবস্থিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিস’এ অনুষ্ঠিত “কমপ্রিহেনসিভ সিকিউরিটি কো-অপারেশন ফোর্স” সফলতার সাথে সম্পন্ন করায় ঢাকা রেঞ্জের পক্ষ থেকে জনাব জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), জনাব নুরে আলম মিনা বিপিএম-বার, পিপিএম অ্যাডিশনাল (ক্রাইম) (ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এবং জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপস্ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সহ ঢাকা রেঞ্জের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের সকল জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সৃষ্টি করছে কিছু সাংবাদিকঃ এর কারণেই বাড়ছে সমস্যা

    নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সৃষ্টি করছে কিছু সাংবাদিকঃ এর কারণেই বাড়ছে সমস্যা

    হেলাল শেখঃ সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু সাংবাদিক ও দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ, এর কারণেই জাতির বেশি সমস্যা হচ্ছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক কিন্তু তারা যদি বিবেকহীনের মতো কর্মকান্ড করেন তাহলে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে কোথায়? অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই দুঃখজনক।
    জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কাজ করা, জনগণের প্রকৃত বন্ধু সাংবাদিকরা। কর্মরত অবস্থায় ডিউটির পর ডিউটি করতে হয় তাদের। পুলিশ ও সাংবাদিকদের মনের দুঃখ কেউ বুঝতে চায়না। সাংবাদিকদের পেশা যেন ধর্ম কর্ম মানুষের সেবা করা। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলেই বড় ধরণের হামলা, মামলার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের।
    বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী ও সাংবাদিকরা। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো ভাতা। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব। সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। পুলিশ ও সাংবাদিক তাদের ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, কখন যেন কোন হামলার শিকার হয়। সাংবাদিক ও পুলিশকে বলা হয় ঘুষখোর, চাঁদাবাজ কিন্তু করোনাকালীন সময়ে যখন বাসা বাড়িতে ঘুমিয়েছেন জনগণ-তখন পুলিশ ও সাংবাদিক এবং ডাক্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করেছেন। যুগ যুগ ধরে সেবা সহযোগিতা করে আসছেন যারা, তারাই জনগণের প্রকৃত বন্ধু। সব পুলিশ বা সাংবাদিক বা ডাক্তার খারাপ না।
    বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গী, খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানয়ীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করাসহ পাশাপাশি বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে, কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির মধ্যে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
    দেশের থানা পুলিশ কর্তৃক আটক হওয়া ব্যক্তিদের হাজত থেকে কারাগারে থাকা নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে, তারপরও মানুষ সঠিক পথে চলে না এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ঢাকার আশুলিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগের তদন্তই করেন না কিছু পুলিশ অফিসার এমন অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যদের দাবি-বেতন বাড়ার সাথে সেবার মান বাড়ছে, আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সেবার মান। পুলিশের সেবার মান আরও বাড়বে ও স্বপ্ন একদিন পূর্ণ হবে। তবে পুলিশ ও জনগণের মানুষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সূত্র জানায়, জরাজীর্ণ থানাগুলোতে অনেক জায়গায় নতুন ভবন করেছে সরকার। এদিকে বাংলাদেশের পুলিশের নতুন প্রায় ১৫টির মতো ইউনিট গঠিত হয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যের ভুলের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীর দোষ দেয়া হয় এটা ঠিক নয়। পুলিশ সদস্যদের দাবি-বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তারা, তবে চট্রগ্রামের মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করেন ওসি প্রদীপ এমন একটি সংবাদ শিরোনাম প্রকাশ হয়েছে শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে। এরপর থেকে পুলিশ বাহিনীর অনেক বদনাম হয়। তবে তাকে র‌্যাব বাহিনী আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সিলেটে ডাক্তারের চেম্বারে কর্মচারি রায়হানকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। এই হত্যার ঘটনায় সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরুণ (এসআই) আকবর ভুঁইয়াকে আটক করা হয়। গত ৯ নভেম্বর ২০২০ইং সকালে রাজধানীর আদাবর মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মচারিদের গণপিটিুনিতে এ এসপি আনিসুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনা কেউ আশা করেনি বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন।
    রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে পুলিশের। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু পুলিশের সেবার মান বাড়ছে না কেন? অনেক পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এর কারণও রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ১০-১২ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে,তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়।
    বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা এখন। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। পুলিশ বিভাগের জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিটি গঠিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ইং সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে “বিএসআরএফ সংলাপ” অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গত মেয়াদে ৮০ হাজার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে। জরাজীর্ণ থানাগুলোতে নতুন ভবন করা হচ্ছে।
    পুলিশের নতুন ১৫টি ইউনিট গঠিত হয়েছে। আমরা হেলিকপ্টার সংযোজন করতে যাচ্ছি, তার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। (পিবিআই), এ ছাড়া দেশের শিল্প এলাকার নিরাপত্তা জোরদার ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ইন্ডাষ্টিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ গঠন করা হয়। এ ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট নামে নতুন আরও একটি ইউনিট গঠন হয়। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি-পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর রেঞ্জে রিজাভ ফোর্স (আর আর এফ) এবং পাবনা জেলার আতাইকুলা ও আমিনপুর থানাসহ প্রায় ২৯টি নতুন থানা এবং প্রায় ৪৭টি তদন্ত কেন্দ্র নতুন হয়েছে। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক অপরাধীদের আটক করতে বেশি সময় লাগে না, অতি দ্রুত অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, জমি দখলকারীসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরো ক্ষমতা দিয়েছে। বর্তমানে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মানবিক পুলিশের প্রতি মানুষের বেড়েছে সম্মান। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য।

  • পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক- ১১ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও অভিভাবকদের জিম্মায় ১০ জন থানা থেকে মুক্ত

    পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক- ১১ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও অভিভাবকদের জিম্মায় ১০ জন থানা থেকে মুক্ত

    ইমদাদুল হক।।
    পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় গত ২ দিনে গাজাসহ ১১ জনকে পুলিশ ও জনতা আটক করেছে। উপজেলার লস্কর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৮) বুধবার সকালে ১০ বন্ধু এক সাথে খড়িয়া বিনা পানি বিদ্যালয়ের কক্ষে গাজা খাচ্ছিল। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫’শ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে । তাদের বয়স কম ও নবম দশম শ্রেণীতে লেখা পড়া করায় তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ,তিনজন ইউপি সদস্য ও অভিভাকদের জামিন নামায় ওসি জিয়াউর রহমান মুক্তি দেন বলে ওসি জানান।অন্যদিকে রবিন বিশ্বাস (৪০) নামে এক জনকে গাঁজা সহ থানা পুলিশ আটক করেছেন। সে গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের মালোপাড়ার নকুল বিশ্বাসের ছেলে। উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাকবীর হোসাইন জানান, বোয়ালিয়া ব্রীজের উপর এক যুবক গাজা বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এ সংবাদে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রীজের পূর্বপাড়ের দক্ষিণ পাশের সিঁড়ির নিচে থেকে রবিন বিশ্বাসকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে থেকে ৬০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়। পাইকগাছা থানাওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, রবিন একজন মাদক ব্যবসায়ী অন্যান্য ধৃতরা গাজা খোর। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে যার নং ৭।

  • পাইকগাছায় আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপন

    পাইকগাছায় আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপন

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় বুধবার সকালে আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপণ অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোছাঃ মৌলুদা খাতুনের সভাপতিত্বে উক্ত বৃক্ষ রোপণ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসাবে গাছের চারা রোপণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, মোঃ হারুনার রশিদ, মোঃ রোকনুজ্জামান, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন, ওয়ার্ড লিডার মোঃ মিজানুর রহমান, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মনা সানা, সুদিপ্তি বিশ্বাস ও ভিডিপি সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ গাজী সহ অন্যান্য আনসার সদস্যবৃন্দ।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • নওগাঁর চাঞ্চলল্যকর সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ শিক্ষকসহ ৫ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ট্রাক চালককে আটক করেছে   র‌্যাব- ৫

    নওগাঁর চাঞ্চলল্যকর সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ শিক্ষকসহ ৫ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ট্রাক চালককে আটক করেছে র‌্যাব- ৫

    রওশন আরা পারভীন শিলা,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁর চাঞ্চল্যকর সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ শিক্ষকসহ ৫ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ট্রাকচালক মো: রেজাউল করিম নবীকে আটক করেছে র‍্যাব- ৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা।

    বুধবার বেলা
    সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব -৫ এর অধিনায়ক লে: কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এই তথ্য প্রদান করেছেন।

    তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন গত ২৪ জন সকাল ৮টায় নওগাঁ – রাজশাহী সড়কে নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের বাবলাতলী নামকস্থানে ঢাকা মেট্র – ট-১৬- -৫৬১৮ নম্বর ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ৪ স্কুল শিক্ষক মো: মকবুল হোসেন (৫৮), জান্নাতুল ফেরদৌস ( ৩৮), মো: দেলোয়ার হোসেন (৪৭) ও লেলিন সরকার ( ২৭) এবং সিএনজি চালক (৫২) মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যুবরন করেন। ৪ শিক্ষকসহ এই মৃত্যুর ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

    দূর্ঘটনার পর পরই ট্রাকের চালক নওগাঁ জেলাধীন মান্দা উপজেলার বড়মুল্লক গ্রামের জনৈক ইসহাক আলীর পুত্র উক্ত রেজাউল করিম নবীসহ হেলপার পালিয়ে যায়।

    নিহত সিএনজি চালকের স্ত্রী সেলিম রেজার স্ত্রী মোছা : সাহারা বেগম নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫৮ তারিখ ২৪- ০৬ – ২০২২ ধারা ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন -১০৫।

    প্রেক্ষিতে র‍্যাব – ৫ উক্ত ট্রাক চালককে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী জোরদার করে। এরই এক পর্যায়ে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৫ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় কোম্মাপানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফরহাদ হোসেন ও উপ- অধিনায়ক সহকারী পলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক অভিযানে মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজার এলাকা থেকে ট্রাকচালক রেজাউল করিম নবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে বুধবার বিকেলে সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।#

  • মহেশপুরে বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করলেন আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান নান্টু

    মহেশপুরে বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করলেন আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান নান্টু

    শহিদুল ইসলাম।।
    ঝিনাইদহ মহেশপুর সংবাদ দাতাঃ-

    ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর বকুল তলা বাজারে অবস্থিত পথচারীসহ এলাকাবাসীদের বসার জন্য ঢালাই বেঞ্চ তৈরী করেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। তিনি ঢালাই বেঞ্চ তৈরীর সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ লোগো লাগান সেখানে।

    কিন্তু আওয়ামীলীগের বিদ্রহী চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু তার সাঙ্গ-পাঙ্গ দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ লোগো গুলো হাতুড়ী দিয়ে ভেঙ্গে তাহা মুছে ফেলেছেন। এরপর সোমবার দুপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ লোগোটি হাতুড়ী মেরে সম্পুন্ন ভাবে ভাংচুর করে সেখান থেকে তুলে ফেলা হয়েছে । শুধু সেখানেই না পাশেই বকুল গাছের গোড়া বাধানোসহ জন সাধারনের বসার স্থানেও লাগানো ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ আরো একটি লোগো। সেটিও ভাংচুর করেন আওয়ামীলীগ বিরোধী ঐ চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু।
    গোলাম হায়দার নান্টু মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগ বিরোধী (সতন্ত্র) চেয়ারম্যান।
    বকুল তলা বাজারের চায়ের দোকানদার মিন্টু মিয়া জানান, কখন যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ লোগোটি চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ভেঙ্গেছে তা জানিনা। তবে চেয়ারম্যান নিজে দারিয়ে থেকে ভেঙ্গেছে আমি দোকানে এসে শুনেছি।
    ইউপি সদস্য কহিনুর বেগম জানান,পথচারীসহ এলাকাবাসীদের বসার জন্য ঢালাই বেঞ্চ তৈরী করেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। কিন্তু পথচারী ও এলাকাবাসী যখন ঐখানে বসতো তখন মুজিবুর রহমানের ছবিতে পা লাগতো বলেই চেয়ারম্যান তা ভেঙ্গে ফেলেছে।
    ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল খালেক জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে পা লাগার কারনে চেয়ারম্যান তা ভেঙ্গে ফেলেছে। তবে তিনি আবারও লোগো তৈরী করতে দিয়েছেন।
    ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ লোগো দু’টি ভেঙ্গে ফেলার কথা স্বীকার করে জানান, পথচারী ও এলাকাবাসী যখন ঐখানে বসতো তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে পা লাগতো বলেই আমি তা ভেঙ্গে ফেলেছি। তবে আমি ঢাকাতে আবারও তৈরী করতে দিয়েছি।
    ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, আমি মাত্র বছর খানিক আগে বকুল তলায় পথচারীসহ এলাকাবাসীদের বসার জন্য ঢালাই বেঞ্চ তৈরী করেছি। সেখানে বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ লোগো দু’টি লাগিয়ে ছিলাম। গত কয়েক দিন ধরে বর্তমান ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু তার লোকজন দিয়ে ঘষে ঘষে তুলার চেষ্টা করেছে। যখন বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ লোগো দু’টি তুলতে পারেননি তখন তিনি তার লোকজন নিয়ে হাতুড়ী দিয়ে ভাংচুর করে তুলে ফেলেছেন।
    ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ আতাউর রহমান জানান, বাঙ্গালী জাতির শ্র্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করা আদোও ঠিক করেননি। আওয়ামীলীগের বিদ্রহী চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু। তার আইনগত ভাবে বিচার হওয়া উচিৎ।
    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে যে অন্যায় করেছেন তার কোন ক্ষমা নেই। তার কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি। তবে চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে তিনি অন্যায় করেছেন। তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
    মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, আমি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখছি। তিনি কি কারনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ লোগো গুলো ভেঙ্গেছেন।

  • দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে  ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    অদ্য ০৬/০৭/২০২২ ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর গোন্দিপুর গ্রামে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির আয়োজনে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সহিংসতামুক্ত পরিবার গঠন এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা হ্রাস করনের লক্ষ্যে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরী দল নিয়ে সর্বমোট ৬০ জন সদস্য নিয়ে গোবিন্দপুর ০৫ নং পল্লীসমাজ পুর্নগঠন করা হয়। পল্লীসমাজ পুর্নগঠন এর উদ্দেশ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নারী- পুরুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের সংগঠিত করা। সমাজে প্রচলিত বৈষম্যমূলক রীতিনীকে চ্যালেঞ্জ করা এবং ইতিবাচক পুরুষালী আচরন বিকাশে উদ্বুদ্ধ করা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। সকল সদস্যর মতামতের ভিত্তিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। সকল সদস্য স্বতঃর্স্ফুত ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এবং তারা তাদের নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আগামীতে পালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। পল্লীসমাজ পুর্নগঠনে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির জেলা ব্যবস্থাপক (সেলপ) জনাব উত্তম কুমার বিশ^াস অফিসার (সেলপ) অফিসার মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ সহ নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।

  • বৃক্ষমেলা-২২ উপলক্ষ্যে আনসার ও ভিডিপি, কুড়িগ্রামের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত

    বৃক্ষমেলা-২২ উপলক্ষ্যে আনসার ও ভিডিপি, কুড়িগ্রামের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত

    ।।জিএম রাঙ্গা।। ০৬ জুলাই জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২২ উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামে জেলাব্যাপি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে আনসার ও ভিডিপি। এ উপলক্ষ্যে রোববার কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে ফলদ, বনজ ও ভেষজ ৫০টি এবং প্রতি উপজেলায় ১০টি করে বৃক্ষ রোপন করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষ রোপনে নেতৃত্বদান করেন সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট ও জেলা কমান্ড্যান্ট (চলতি দায়িত্ব) মোঃ ইবনুল হক। উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষরোপনে অংশগ্রহণ করেন উলিপুরে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান হোসেন, কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন, ফুলবাড়ীর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ আলম চৌধুরী, ভুরুঙ্গামারীর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান, রৌমারীর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জয় রায়, রাজিবপুরের উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও আনসার কমান্ডারসহ দলনেতা-দলনেত্রীগণ।