Blog

  • তেঁতুলিয়ায় নিউজ প্রকাশের পর টন-ক নড়লো কর্তাদের, সহায়তা পেলেন সেই দম্পতি

    তেঁতুলিয়ায় নিউজ প্রকাশের পর টন-ক নড়লো কর্তাদের, সহায়তা পেলেন সেই দম্পতি

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ হঠাৎ ঝড়ে বসবাসের একমাত্র ঘর হারিয়েও দীর্ঘ দেড় মাস কোনো সরকারি সহায়তা পাননি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ পাথর শ্রমিক আব্দুল বাসেদ ও তার স্ত্রী বাসিরন। ঈদুল আযহার মতো বড় উৎসবেও কেটেছে না খেয়ে, খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি ভাঙাচোরা টিনের চালায়।

    অবশেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

    জানা যায়, গত মাসের ১১ মে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ঘর হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন আব্দুল বাসেদ (৬০) ও তার স্ত্রী বাসিরন বেগম। ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া ঘর হারিয়েও যখন মেলেনি সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা কিংবা আশ্রয়ের ব্যবস্থা তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন। অবশেষে বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দেড় মাস পর সেই অসহায় দম্পতিকে ডেকে দেয়া হল ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক।

    স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে বহু ত্রাণসামগ্রী পড়ে রয়েছে বিতরণের অপেক্ষায়। অফিসে অনিয়মিত উপস্থিতি ও অগ্রাধিকারহীনতার কারণে সংকটে থাকা পরিবারগুলো ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    আরও জানা যায়, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় কিছু ভাঙা টিন ও বাঁশ জোগাড় করে একটি অস্থায়ী ছাউনি বানানো হলেও তা ছিল ঝড়-বৃষ্টিতে একেবারেই অরক্ষিত। ঘুম ভাঙত আতঙ্কে, ভিজে যেত সবকিছু। কিন্তু এতো অসহায়ত্বের পরও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি তারা। পিআইও মাইদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এতোদিন বঞ্চিত ছিলেন তারা।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ সাংবাদিককে বলেন, ‘আজকে বাসেদ দম্পতিকে ২ বান টিন ও ৬হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। শুকনো খাবার ক্রয় ও বরাদ্দের টাকা উত্তোলন হয়েছে কিনা এমনটি জানতে চাইলে, তিনি অফিসে আসার কথা বলে মুঠোফোনে কলটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, পিআইও সাহেব উপস্থিত থেকে বিতরন করেছে। আমরা এর পর থেকে চেষ্টা করবো যথাসময়ে এগুলো বিতরন করার। শুকনো খাবার কেনা হয়েছে এগুলো গরীবের মাঝে দেখে শুনে বিতরণ করা হবে।

  • নেছারাবাদ থানা পুলিশ ও র‌্যাবের অভি-যানে মৃ-ত্যুদন্ড প্রাপ্ত ও মা-দক মাম-লার প-লাতক আ-সামী গ্রেফ-তার

    নেছারাবাদ থানা পুলিশ ও র‌্যাবের অভি-যানে মৃ-ত্যুদন্ড প্রাপ্ত ও মা-দক মাম-লার প-লাতক আ-সামী গ্রেফ-তার

    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।।

    হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামী কাজী আহসান তাকবীর(২৯) ও তার স্ত্রী মাদক মামলার পালাতক আসামী বিথি আক্তারকে (২৬) র‌্যাবের সহায়তায় নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি) থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সাভার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন জানান, কাজী আহসান তাকবীর সাভারের একটি হত্যা (২০১৬ সালের ০৪(৭)) মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামী এবং তার স্ত্রী বিথি আক্তার মাদক মামলায় (২৪(১১) ১৮) ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামী। কাজী আহসান তাকবীর নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি) উপজেলার দৈহারী বর্তমানে সারেংকাঠি গ্রামের মৃত মোশারফ কাজীর ছেলে। বিথি আক্তার কাজী আহসান তাকবীরের স্ত্রী।

    মামলার বিবরন জানার জন্য সাভার থানার ইন্সপেক্টর (তদস্ত) মো. আশিক ইকবাল’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু থানার সব কাগজপত্র পুড়ে গেছে সুতরাং কোন তথ্যই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

    এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি)-কাউখালী সার্কেল সাবিহা মাহবুবা জানান কাজী আহসান তাকবীর হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামী এবং তার স্ত্রী বিথি আক্তার ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামী। তাদের নামে আদালতের ওয়ারেন্ট থাকায় তাদের গ্রেফতার করে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

  • নেছারাবাদে আঞ্চলিক মহাসড়কটি দুই লেনে উন্নীত করণের দাবিতে মানববন্ধন

    নেছারাবাদে আঞ্চলিক মহাসড়কটি দুই লেনে উন্নীত করণের দাবিতে মানববন্ধন

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সংযোগ সড়ক গড়িয়ারপাড় থেকে বানারীপাড়া উপজেলা হয়ে শিল্পাঞ্চল খ্যাত নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি)র আমড়াজুড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি দুই লেনে উন্নীত করণ এবং সড়কের উপর স্থাপিত পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রিজের স্থলে নতুন পাঁচটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ এর দাবীতে মানববন্ধন করা হয়।

    ২৬শে জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার জগন্নাথকাঠি বন্দরে সর্বস্তরের জনগণ ও ব্যবসায়ীবৃন্দের ব্যানারে এই মানব বন্ধন করা হয়।
    এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ সাবেক মেয়র স্বরূপকাঠি পৌরসভা, আহবায়ক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পৌর বিএনপির আহবায়ক। মোঃ কাজি কামাল, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পৌর বিএনপি। এছাড়াও
    বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর দফতর সম্পাদক ও ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন ছালেহী, বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহর সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ এনায়েতুল্লাহ ফয়রাভী, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবদুল আউয়াল প্রমূখ।

    এ সময় বক্তারা বলেন,মহা সড়কটি এক লেন হওয়ার কারনে এক্সিডেন্টে অনেক লোক মারা গেছে, গতকালকেও বানারীপাড়া টিএনটি সংলগ্ন এলাকায় এক্সিডেন্ট করে গাড়ির হেলপার মারা গেছে, জম্বদ্বীপ ব্রিজে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে দুইদিন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ ছিল, কিছু দিন পূর্বে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে দুজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। স্বরূপকাঠি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় প্রতিদিন সড়কের উপর দাড়িয়ে করিয়ে শত শত ট্রাক লোড আনলোড করতে হয়। সব থেকে বড় দরবার ছারছিনা দরবার, সেই ছারছীনা শরীফে বছরে তিনটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় তখন ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বা পার্কিংএ রাখা সংকুলন হয় না। যে কারনে বরিশাল থেকে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি)র আমড়াজুড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি দুই লেনে উন্নীত করণ এবং সড়কের উপর স্থাপিত পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রিজের স্থলে নতুন পাঁচটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
    ####

  • মহেশপুরে ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে ৩৪৫০টি নারিকেলের চারা বিতরণ

    মহেশপুরে ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে ৩৪৫০টি নারিকেলের চারা বিতরণ

    মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
    ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি অফিসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে ৩৪৫০টি নারিকেলের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার এ নারিকেলের চারা বিতরণ করেন।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাহাউল ইসলাম,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমাম হোসেন জ্যোতি,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুকুজ্জামান প্রমুখ।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, উপজেলার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে ৩৪৫০টি নারিকেলের চারা ও ১৫০০ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ৬ হাজার তাল,আম,লেবু,বেল ও জামের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

  • বানারীপাড়ায় পৌর জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে দীর্ঘদিনের ভোগা-ন্তি লা-ঘব

    বানারীপাড়ায় পৌর জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে দীর্ঘদিনের ভোগা-ন্তি লা-ঘব

    বানারীপাড়া পৌরসভার ব্যস্ততম সড়কে চলাচলের ভোগান্তি লাঘব ঘটাতে ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) একটি স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করেছে বানারীপাড়া পৌর জামায়াতে ইসলামী। বানারীপাড়া পৌর আমীর কাওসার হোসাইন এর উদ্যোগে বানারীপাড়া যুব সেবা টিমের সহযোগিতায় উক্ত কর্মসূচি পালন করা হয়।

    এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর সেক্রেটারি মোঃ ফাইজুল হক, পৌর বায়তুল মাল সম্পাদক মো. জুয়েল মল্লিক, উপজেলা যুব জামায়াতের সেক্রেটারি হাসিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, তথ্য ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসানসহ পৌর জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    পৌর শহরের ব্যস্ততম মধুচাক সংলগ্ন প্রধান সড়কটি পানির লাইন ও ড্রেন সংস্কারের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায়, বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত সংযোগ সড়কটি অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়ে। তবে এই সংযোগ সড়কের দুরবস্থা এবং জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন প্রেক্ষাপটে জামায়াতের পক্ষ থেকে এই সড়কটি পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এছাড়াও তাদের পরিচ্ছনতা অভিযানে সহযোগিতা করেছে বানারীপাড়া পৌরসভা কর্তপক্ষ।

    সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা হাতে গ্লাভস, কোঁদাল ও বস্তা নিয়ে নেমে পড়েন সড়ক পরিষ্কার কাজে। সাধারণ পথচারীরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং সমাজের অন্যান্য সংগঠনকেও এমন কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এই কর্মসূচিকে ঘিরে বানারীপাড়াবাসীর মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছে পৌর জামায়াতের এই সেবামূলক কর্মসূচি।

  • আশুলিয়ায় প্রেমের ফাঁ-দে ফেলে অপ-হরণ করে মুক্তি-পণ আদায়ের চেষ্টা ২জন গ্রেফ-তার

    আশুলিয়ায় প্রেমের ফাঁ-দে ফেলে অপ-হরণ করে মুক্তি-পণ আদায়ের চেষ্টা ২জন গ্রেফ-তার

    হেলাল শেখঃ একটি হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্য হিসেবে ১ নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একজন যুবককে অপহরণ, মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

    এ ব্যাপারে (২৬ জুন ২০২৫ইং) তারিখ আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ২০ জুন রাত থেকে ২১ জুন ভোর পর্যন্ত আশুলিয়া থানার জামগড়া ও চিত্রশাইল এলাকায় সংঘটিত হয়। এ এলাকায় বিষয়ে পলাশ হোসেন (২৫) একটি ডেটিং অ্যাপ (টান টান) এর মাধ্যমে ২ নং আসামীর সাথে পরিচিত হন কথোপকথনের পর আসামী তাকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়।

    ২০ জুন রাত আনুমানিক ৯টায় পলাশ সেখানে পৌঁছালে আসামী ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে চিত্রশাইল এলাকার একটি বাড়ির তিন তলায় আটকে রাখে।

    সেখানে তারা তাকে মারধর করে ২,৫০,০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তারা পলাশের কাছ থেকে ১২,৭০০ টাকা নগদ, একটি আইফোন (৩০,০০০ টাকা মূল্যের), এটিএম কার্ড ও মোটরসাইকেলের চাবি জবরদস্তিমূলকভাবে ছিনিয়ে নেয়।

    প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ২১ জুন ভোররাতে তাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পলাশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ি ফিরে ২৫ জুন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন ।

    পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতার আশুলিয়া থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ২৫ জুন দুপুর ২টায় মোঃ ইয়াছিন শেখ (২৫) এবং রাত ১১:৩০টায় মোসাঃ সুমাইয়া জান্নাত ওরফে সুমি আক্তার (২৫) কে গ্রেফতার করে।

    এ সময় ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সুমি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় ও মারধরের মতো অপরাধমূলক কাজে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । আসামিরা হলেন মোঃ ইয়াছিন শেখ (২৫) পিতা: মোঃ মোতালেব শেখ , মোসাঃ সুমাইয়া জান্নাত ওরফে সুমি আক্তার (২৫)।

    এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবিরের নির্দেশনায় আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) সফিকুল ইসলাম সুমনের তত্ত্বাবধানে এই অভিযান সফল হয়। এসআই মোঃ সোহেল আল মামুন অভিযানের নেতৃত্ব দেন। পুলিশ জানিয়েছেন, বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

    পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
    বলা হয়েছে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে একাকী সাক্ষাৎ করতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং সন্দেহজনক কোনো ঘটনায় অবিলম্ব হলে ৯৯৯ নম্বরে কল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এই ঘটনায় আশুলিয়া থানা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নাগরিকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ কমে আসবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সময় আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি  শিবিরুল ইসলাম এর  যোগদানে জনমনে স্বস্তি

    ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি শিবিরুল ইসলাম এর যোগদানে জনমনে স্বস্তি

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম। তার যোগদানে ময়মনসিংহবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিসেবে তার দায়িত্ব বুঝে নেন। এর আগে তিনি জেলার সবচেয়ে ডেঞ্জারাস এলাকা গফরগাঁও থানায় ওসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে গফরগাঁও উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রেখে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

    গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে ৯ মাসে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি বদলী হয় তিনজন। শিবিরুল ইসলাম ওসি হিসাবে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় চতুর্থ। ৫আগষ্টের পর ২২শে সেপ্টেম্বর-২৪ তারিখে পদায়নকৃত ওসি শফিকুল ইসলাম খান চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। গতন ৫ মে-২৫ ওসি শফিকুল ইসলাম খান এর বদলীর পর জেলার ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মিজানুর রহমানকে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হলে তিনি থানায় যোগদান করার পর জানা যায় পদায়নকৃত ওসি নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চুর দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হলে সমালোচনার মুখে গত ২২ মে বিকেলে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) করেন। পর দীর্ঘ প্রায় ১৫ দিন থানায় ওসির পদায়ন না থাকায় নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। সবশেষে গত ৪ জুন ফিরোজ হোসেনকে ওসি হিসাবে পদায়ন করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন উন্নতি না হয়ে আরো চরম আকার ধারণ করায় মাত্র ১৯ দিন দায়িত্ব পালন করার পর তাকে ২৩ জুন বিকালে দায়িত্ব অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্লোজড করা হয়।

    এর পর থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি হিসেবে কে যোগ দিচ্ছেন- এটা নিয়ে নগরময় আলোচনা ছিল। ২৪ জুন রাতে ওসি শিবিরুল ইসলাম ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করায় রেঞ্জ ডিআইজি এবং ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ময়মনসিংহের মানুষ। একের পর ওসির বদলী- প্রত্যাহারে নগরীতে চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে তলানিতে পৌছেছে তা পুনরুদ্ধারে ওসি শিবিরুল ইসলাম এর মত একজন সাহসী ও মেধাবী অফিসারের প্রয়োজন ছিলো বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। ময়মনসিংহবাসীর মতে- ওসি শিবিরুল ইসলাম তার সততা, দক্ষতা ও মেধার সংমিশ্রনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। এর আগেও তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসাবে কর্মরত থেকে তার কর্মদক্ষতায় অপরাধ দমন এবং মানবিকতার কারণে তিনি নগরীতে ব্যাপক আলোচিত ছিলেন। অপরাধীদের কাছে আতঙ্ক হলেও অসহায়দের কাছে ভিন্ন এক মানুষ। বিচক্ষণতা যার মধ্যে অবিচল। কোতোয়ালি মডেল থানায় এস আই হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ডাকাতি ও চুরি যাওয়া মূল্যবান মালামাল,মাদক উদ্ধার ছাড়াও ছিনতাই,চাঁদাবাজ চোর- ডাকাত গ্রেফতারসহ ক্লুলেস মার্ডার কেসের রহস্য উন্মোচন করে নগরব্যাপী আলোচিত হন তিনি। কোতোয়ালী মডেল থানায় তার যোগদানের ফলে ময়মনসিংহবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। আতঙ্কিত ময়মনসিংহ নগরীকে নিরাপদ আশ্রয়ের এলাকা হিসাবে উপহার দিবেন নবাগত ওসির কাছে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।

    মুন্সিগঞ্জ জেলার কৃতী সন্তান,বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস,মেধাবী ও সাহসী এই পুলিশ অফিসার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি গত ২০০৩ সালে সাব-ইন্সপেক্টর পদে সর্বপ্রথম পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি সিলেটের মৌলভীবাজার ও নরসিংদী জেলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ কর্মরত ছিলেন।

    ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করায় রেঞ্জ ডিআইজি এবং ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, জনগণের কাঙ্খিত পুলিশী সেবা ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। দায়িত্ব পালনে তিনি ময়মনসিংহ বাসীর সহযোগিতা ও সকলের নিকট দোয়া কামনা করে ওসি জানান, জনগণের কাঙ্ক্ষিত পুলিশি সেবা ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ।

  • গৌরনদীতে বিনামূল্যে বীজ-কীটনাশক-সার ও চারা বিতরন অনুষ্ঠিত

    গৌরনদীতে বিনামূল্যে বীজ-কীটনাশক-সার ও চারা বিতরন অনুষ্ঠিত

    গৌরনদী প্রতিনিধি
    বরিশালের গৌরনদী উপজেলা কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৪/২০২৫ অর্থ বছরে খরিপ/ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের প্রনোদোনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, কীটনাশক-সার ও চারা বিতরন উপলক্ষে এক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে এ উপলক্ষে কৃষক সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেকেন্দার শেখ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌরনদী বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারেন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এ ছাড়া সহকারী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এক হাজার কৃষকদের মাঝে আমন বীজ, একশ কৃষককের মাঝে মরিচ বীচ, ৫শ কৃষক ও ৩০টি প্রতিষ্ঠিানে নারিকেল চারা, এক হাজার সুবিধাভোগী কৃষকদের মাছে আম, জাম, বেল, কাঠাল ও নিম চারা বিতরন করা হয়। উদ্ধেধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও রিফাত আরা মৌরি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বেশী বেশী বৃক্ষরোপন ও গাছের চারা রোপন করে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। চারা শুধু লাগালেই হবে না, গুরুত্বসহকারে তা পরিচর্চা করতে হবে। নিম গাছ বহু ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সবাইকে ফলজ-বনজ ও ঔষধি বনায়নে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।

  • ময়মনসিংহের দাপুনিয়া  ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী

    ময়মনসিংহের দাপুনিয়া ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে
    লটারী প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনয়নে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে এই বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক মেহেদী হাসান ও বাছাই কার্যক্রমের দাপুনিয়া ইউনিয়ন টিম প্রধান উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদ খাতুন যৌথ ভাবে এই লটারী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

    ইউপি সচিব তাহমিনা বেগমের পরিচালনায় লটারী কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান জানান- উপযুক্ত ও প্রকৃত হতদরিদ্র উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আরিফুল ইসলাম প্রিন্স স্যারের নেতৃত্বে সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে ২৬ জুন দাপুনিয়া ইউনিয়নে লটারী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে লটারি হওয়ার পরও ৩০ জুনের মধ্যে লটারিতে প্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে কেউ যদি মনে করে অযোগ্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছে তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ও ইউএনও স্যারের দিক-নির্দেশনার আলোকে যাচাইয়ান্তে বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমান হয় তিনি কার্ড পাওয়ার যোগ্য নন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রকৃত ভাতাভোগী নির্বাচিত করা হবে। অতএব, লটারিতে নির্বাচিত হলেও যদি যাচাই-বাছাইয়ে যোগ্য না হয় তাহলে যোগ্য কাউকে দেয়া হবে। এভাবে প্রকৃত ও উপযুক্ত উপকারভোগীদের মাঝে স্বচ্ছতার সহিত বিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। এসময় তিনি উক্ত উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতিবাচক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সচেতন নাগরিকসমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসন,ময়মনসিংহ সদর এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

    এসময় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্যগণ ও রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মধুপুরে প্র-তিপক্ষের হাম-লায় ৩ জন আহ-ত থানায় অভি-যোগ

    মধুপুরে প্র-তিপক্ষের হাম-লায় ৩ জন আহ-ত থানায় অভি-যোগ

    আব্দুল হামিদ,
    মধুপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মধুপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মালাউড়ী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
    জানা যায়, বুধবার দুপুরে মালাউড়ী গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার, ফজলুল হক গরু ক্রয়ের জন্য মালাউড়ী এলাকার তার রাইস মিল হতে বের হয়ে গোপালপুরের বেঙ্গুলা হাটে যাওয়ার সময়, মালাউড়ী মোড় এলাকায় রাইসমিল সংলগ্ন পাকা রাস্তায় উঠলে দেখতে পায়, মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের কেতরপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, জহিরুল ইসলাম জিহাদ, গোলাবাড়ী এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে রোকনুজ্জামান, রোকন, সহ আরও অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন মিলে তার জমিতে খুটি ঘারতেছে। সে আগাইয়া গিয়ে জানতে চাইলে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে বলে জানান। পরবর্তীতে ফজলুল হকের ডাক চিৎকার শুনে তার ছেলে সোলায়মান মিশু, কাজের লোক মোতালেব আগাইয়া গেলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্হানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এবিষয়ে আহত ফজলুল হক জানান, বিবাদীদের সাথে আমাদের জমিজমা, এবং টাকা পয়সা নিয়ে আদালতে একাধীক মামলা চলমান রয়েছ। আমরা আদালতে মামলা দায়ের করায় বিবাদী পক্ষ আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।
    এমতাবস্হায় আমি গতকাল বুধবার গরু কিনার জন্য হাটে যাওয়ার সময় বিবদী পক্ষ আমাকে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে, এবং আমার নিকট থাকা গরু কিনার পাঁচ লক্ষ দুই হাজার টাকা নিয়ে যায়। এব্যাপারে আমার বড় ভাই এনামুল হক এনা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
    এ বিষয়ে মধুপুর থানার এস আই সেলিম জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখেছি এবং ঘটনাস্হল পরিদর্শন শেষে তদন্ত পূর্বক বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে তিনি জানান।