Blog

  • গোদাগাড়ীতে  ইসতিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গোদাগাড়ীতে ইসতিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রাজশাহী থেকে মোঃ হাযদার আলী।।রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালবাগ হেলিপ্যাড মাঠে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরা, অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে জনকল্যাণ সামাজিক পরিষদের উদ্যোগে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। রোববার সকাল ৮টায় গোদাগাড়ী হেলিপ্যাড মাঠে ইসতিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হয়।

    নামাজের পূর্বে কুরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা পেশ করেন কুঠি মসজিদের ইমাম মাওঃ মনিরুল ইসলাম, শাহ সুলতান রহঃ কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ও মহিশালবাড়ী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা, মোঃ দুরুল হোদা ও শায়েখ মোঃ আবুল কাশেম। শায়েখরা বলেন

    বিশেষ করে যখনই অনাবৃষ্টি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বেড়ে যায় তখনই নামাজে ইসতিসকা আদায় করা হয়। ইসতিসকার সালাত আদায় করা নফল ইবাদত। তবে মহামারি বা দুর্যোগ এলে এই সালাতের গুরুত্ব অনেক।

    এ নামাজ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেয় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিবসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষ।
    নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত করেন কুমোরপুর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়েখ আবুল কাশেম,
    নামাজ শেষে শত শত মুসল্লিকে সাথে নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করেন। অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
    একনিষ্ঠ তাওবা করা অর্থাৎ তাওবাতুন নসুহার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে অতিরিক্ত ১২ তাকবিরের মাধ্যমে ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই। তবে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়।
    এ বিষয়ে শায়েখ আবুল কাশেম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহে দেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট হতে থাকলে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা সুন্নত। একেই আরবিতে বলা হয় ‘ইসতিসকা’ অর্থাৎ পানি প্রার্থনা করা।

    হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাকে এবং তোমার পশুদের পানি দান করো। আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো।’

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • পঞ্চগড়ে এলজিইডির কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি

    পঞ্চগড়ে এলজিইডির কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    এলজিইডির দায়সারা মনোভাবে পুকুর চুরিঅভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে! পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের পণ্য ও সেবা সহয়তা খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে এলজিইডি’র দায়িত্ব পালনে অনীহায় ঠিকাদারের সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদারকি ছাড়াই ঠিকাদার শেষ করছেন কাজ। চলছে বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা। নিয়ম অনুযায়ী কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের।

    সূত্র অনুযায়ী, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের “ইউনিয়ন পরিষদের পণ্য ও সেবা সহয়তা খাত’র” বরাদ্দ থেকে চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানিয়া কন্সট্রাকশন।

    প্রাক্কলন অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ঘরের ভেতরে প্লাষ্টিক পেইন্ট ও বাইরে ওয়েদার পেইন্ট এর পাশাপাশি ভবনের স্কার্টিং, দরজা, জানালা, গ্রিল, বারান্দার রেলিং রং করার জন্য ৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

    ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত প্লাস্টার তোলা, নতুনভাবে প্লাস্টার করা, সিসি ঢালাই, প্যাটেনস্টান ঢালাই সহ ভবন মেরামতে রাজমিস্ত্রীর কাজে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোনোরকম কাজ করা হয়নি। দরজা জানালা পরিবর্তনের জন্য ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নামমাত্র মেরামত করা হয়েছে। ভবনে নতুন করে পিভিসি ও প্লেইন শিটের দরজা দেওয়ার জন্য প্রায় ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেটাও দেওয়া হয়নি। ছাদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কাদামাটির টাইলস প্রতিস্থাপনের জন্য ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেখানে পলেস্তরা দিয়ে কাজ করা হয়েছে।

    মূল ভবনে দরজা-জানালার ফ্রেম পরিবর্তনের জন্য ৪৩ হাজার ও কপাট পরিবর্তনের জন্য ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত ভবনে দরজা-জানালার ফ্রেম পরিবর্তনের জন্য ২৭ হাজার টাকা এবং কপাট পরিবর্তনের জন্য ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ আছে। অথচ বর্ধিত ভবনে শুধু মাত্র দুইটি ফ্রেম পরিবর্তন করা হয়েছে। আর মূল ভবনে জানালার ২টি ও দরজার ৩টি ফ্রেম এবং দরজার ১টি ও জানালার ২টি কপাট পরিবর্তন করা হয়েছে।

    ইলেকট্রিক কাজে ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, এসডিবি বক্স, লাইন মেরামতের জন্য নতুন তার, ১০ টি নতুন পয়েন্ট, গ্যাং সুইচ, ফ্যান সহ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও মাত্র দুইটি গ্যাং সুইচ ও কয়েকটি এলইডি বাল্ব বসানো হয়েছে। ভবনের বেশ কয়েকটি স্থানে পুরনো ওয়ারিং সহ ঝুলে থাকা তার যে কারো চোখে পড়বে

    স্যানিটারী কাজে উন্নতমানের পানির পাম্প, ফ্লাসিং ইউনিট সহ কোমড, বেসিন, আয়না, স্লাব সহ ইন্সপেকসন পিট, পিভিসি পাইপ ও ফিটিংস মালামাল বাবদ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রাক্কলন অনুসরণ না করে পানির পাম্প সরবরাহ ছাড়া কোনো কাজ করা হয়নি। ভবনের সব ওয়াশরুমে এখনো পুরনো বেসিন ও কমোড রয়েছে।

    টাইলস এর কাজের ক্ষেত্রে ঠিকাদার প্রয়োজনের চেয়ে বেশী করেছেন বলে দাবি করলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরাদ্দ অনুযায়ী ৩৪ হাজার টাকার কাজটিও সঠিকভাবে করেনি।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার নিজের মর্জি মতো কাজ শেষ করেছেন। ঠিকাদার নিজের ইচ্ছে মতো নামমাত্র চক পাউডার দিয়ে রং করেছেন ভবনের ভেতরে ও বাইরে। রং করার পূর্বে পুরনো রং ভাল ভাবে তুলে ফেলার কথা উল্লেখ থাকলেও তা করা হয়নি ঠিক ভাবে। ঘরের ভেতরে রং করার পূর্বে বাধ্যতামূলক সিলার ও পাট্টি ব্যবহারের নির্দেশনাও অনুসরণ করা হয়নি। ভবন রংয়ের কাজ এতটাই নিম্মমানের যে দেওয়ালে থাকা পুরনো পোস্টার ও লেখা পর্যন্ত এখনো দৃশ্যমান। ভবনের গ্রিল কিংবা রেলিংয়ে নেই রংয়ের লেশমাত্র।

    এলজিইডি সূত্র বলছে, কাজটির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দীক ও গৌতম রায় এবং কার্য সহকারী বৈদ্যনাথ কর্মকার। অজানা কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই উপ সহকারী প্রকৌশলী কাজটির তদারকিতে নিজেরা যেমন যান নি তেমনি কার্য সহকারীকে পাঠানোর প্রয়োজন মনে করেন নি।

    ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত সচিব ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজ চলাকালীন সময়ে মাত্র একদিন এলজিইডি’র প্রতিনিধিকে দেখেন তারা। অথচ ঠিকাদার কাজ করেছেন প্রায় ১৭-২০ দিন।

    এলজিইডি’র নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপে অনুমতি ও কাজ সম্পাদনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ‘সাইট অর্ডার’ বই রাখা বাধ্যতামূলক হলেও সেটিও পালন করা হয়নি। সাইট অর্ডার বইয়ের বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিয়ম রয়েছে তবে ছোট কাজ হওয়ায় পালন করা হয়নি। ১০ লাখ টাকার কাজ কিভাবে ছোট কাজ হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

    অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত প্রাক্কলন তৈরি করেছে। এতে কাজের মান দায়সারা হলেও বাড়তি সুবিধা পাবে ঠিকাদার ও দফতরের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা।

    অজানা কারণে ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চলমান মেরামত কাজে উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিককে সাইট অফিসার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে উপজেলা কার্যালয়ে তিনজন উপ সহকারী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। এরপরও চারটি প্রকল্পে শুধুমাত্র তিনি এবং বাকী দুইটিতে তিনি সহ অন্য দুইজন উপ সহকারী প্রকৌশলীকে নাম মাত্র সাইট অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউপি ভবনের সাইট অফিসারের দায়িত্বে থাকা অপর উপ সহকারী প্রকৌশলী গৌতম রায় বলেন, এর আগেও একবার অভিযোগ পেয়েছি নিম্ম মানের কাজের ব্যাপারে। বকর ভাই যেহেতু আমার সিনিয়র তাই উনিই সাইট তদারকি করেছেন। আমি কখনো সেখানে যাইনি। তাই এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। উপজেলা প্রকৌশলী নিজে সাইট ঘুরে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছেন।

    এদিকে চেয়ারম্যানের কাছে কাজ সমাপ্তির প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছেন বলে জানান মেসার্স তানিয়া কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আবু তাহের চৌধুরী। তিনি জানান, কাজ শেষ করেছি তবে এখনো বুঝিয়ে দেই নি। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব পরিদর্শন করে কাজ বুঝিয়ে নিবেন। কক্ষগুলোর ভেতরে সিলার ও পাট্টি দিয়ে প্লাস্টিক পেইন্ট ও বাইরে ওয়েদার পেইন্ট করা হয়েছে বলে জানান ঠিকাদার। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি বলেও জানান এই ঠিকাদার। বরং পুরো কাজে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বলে দাবি করেন। বৈদ্যুতিক কাজে ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, এসডিবি বক্স লাগানো হয়েছে দাবি করলেও বাস্তবে তা পাওয়া যায়নি।

    চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, কাজে অনিয়মের বিষয়টি আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তিনি দেখবেন বলে আর খোঁজ নেন নি।

    উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, আমরা কাজটি বুঝিয়ে নেই নি এখনো। কাজ বুঝিয়ে দিবে টাকা নিবে, সোজা কথা। চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আর ঠিকাদার প্রত্যয়ন দিলে হবে, আমরা কি ঘোড়ার ঘাস কাটতে আছি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কোন বিল দেওয়া হবে না।

  • বানারীপাড়ায় নতুনমুখের ২৯ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন

    বানারীপাড়ায় নতুনমুখের ২৯ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন

    বিশেষ প্রতিবেদক : শনিবার ২৩ জুলাই বিকেল ৫ টায় বানারীপাড়া নতুনমুখ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ২৯ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী সংগঠনের মিলনায়তনে পালন করা হয়।
    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বানারীপাড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন, নতুনমুখ সম্পাদক মোঃ শাজাহান মিয়া, কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, খেলাঘর আসরের উপজেলা সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, নতুনমুখ সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক এস মিজানুল ইসলাম, কবি ও লেখক ধীরেন হালদার, বানারীপাড়া মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত হালদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আশীষ চন্দ্র দাস, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কেএম মজিবুর রহমান, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এমরান হোসেন, স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি রুহুল আমীন শুভ, সঞ্চালনায় খেলাঘর আসরের সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমূখ।#

  • বীরগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১

    বীরগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১

    দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও আহত হয়েছে ১ জন।
    সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল বাজারে ২৪ জুলাই রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী একই এলাকার সঞ্জয় এর পুত্র রওশন (১৭) নামে এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
    অপর মোটরসাইকেল আরোহী গোবিন্দ রায়ের পুত্র এভারেস্ট (২৮) আহত হয় ।
    সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাষ্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, এভারেস্টের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। (ছবি নাই)

    মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
    দিনাপুর প্রতিনিধি।

  • বিএনপি’র মতই দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন হারিয়ে যাচ্ছে – মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

    বিএনপি’র মতই দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন হারিয়ে যাচ্ছে – মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

    দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, একসময় দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারগুলো সয়লাব হয়ে যেত। এখন আর সেসব মাছ খুব বেশি দেখা যায় না। হাইব্রিড অনেকাংশে বৃদ্ধি পেলেও পরিকল্পিত সিদ্ধান্তের অভাবে দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। বিএনপি’র মতই দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে চাষীদের মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও হারিয়ে যাওয়া বিএনপিকে আর খুজে পাওয়া যাবে না।
    “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে রোববার (২৪ জুলাই ২০২২) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
    তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে এবং আওয়ামী লীগের সঠিক নীতির কারণে বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর মধ্যে মৎস্য উৎপাদনে একটি অন্যতম দেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাতে দিনাজপুরের নদ নদীগুলি পুনঃ খননের কারণে সেখানে জল সংরক্ষিত হচ্ছে। আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে দিনাজপুর মৎস্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলায় রুপ ধারণ করবে। ইতিমধ্যে খাল বিলে মাছ উৎপাদন করে আমাদের চাহিদার কাছাকাছি দিনাজপুর জেলা পৌঁছে গেছে। যার কৃতিত্ব এই সরকারের জননেত্রী শেখ হাসিনার।
    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সাবেক এমপি আব্দুল হক সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য অফিসার হিমেল চন্দ্র রায়।
    এর আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলার পুকুরে মাছ অবমুক্ত করেন।

  • ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই, প্রদিপ সরকার

    ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই, প্রদিপ সরকার

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ

    রাজশাহীর তানোর উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার বলেছেন, আগামিতে আওয়ামী লীগ হবে পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক নেতৃত্ব নির্ভর। তাই মিরজাফর, বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানমুক্ত সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে আমাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হওয়া যায় না, আওয়ামী লীগের চেতনা রক্তে থাকতে হয়, মুখে নৌকা হৃদয়ে অন্যকিছু এমন নৌকাবিরোধীদের আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে আওয়ামী লীগকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো বিভাজন থাকবে না, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করবো, তার মনোনিত নেতৃত্বের সঙ্গে থেকে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে চলবো। তিনি বলেন, তানোর আওয়ামী লীগকে কলঙ্ক মুক্ত করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ করে আমি কি পেলাম, কি পেলাম না বা কি দিলো এসব বিবেচনা না করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে আমি কতটুকু দিলাম, আমার কাছে থেকে দল টুকু পেলো, আমি কেনো কিছু দিতে পারলাম না, আমার ব্যর্থতা কোথায় এসব বিবেচনা করে প্রতিটি নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাজ করতে হবে তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা আরো এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ, তিনি বলেন, তৃণমুলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ, তারা কখানোই কোনো লোভ-লালসায় পড়ে নৌকার বিপরীতে যায় না। তিনি বলেন,দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যেমন কোনো বিকল্প নাই, তেমনি রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় যেমন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন: তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক গণতন্ত্রের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় আওয়ামী লীগের পক্ষে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক একটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার আস্থাভাজন নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অঞ্চলে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে আগামিতে এগিয়ে যাওয়া।প্রদিপ বলেন, আগামিতে আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও জ্ঞানভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নাই।তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌচ্ছে দিতে হাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন। তার মতে মূখে কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উন্নয়ন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এবং আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নেই প্রশ্নে আপোষহীণ সে বিষয়টি সকল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা ছড়িয়ে দিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমরা কি পেয়েছি।তিনি বলেন, আমরা কেনো আওয়ামী লীগ করি, অন্যদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কি, মানুষ কেনো আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে ও সমর্থন করে-এসব বিষয়ে তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা তথা দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলে তারা দলের প্রতি আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী, বেগবান ও সু-প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগ হলো অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আওয়ামী লীগকে আগামীতেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও যাবে। আওয়ামী লীগ আগামীতে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তিনি সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বহুমাত্রিক প্রতিভাসম্পন্ন ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন, তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। তার ইতিহাস বোধ বাঙালী জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালীর কি চাওয়া, তাদের দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সকল মানুষ এক হয়ে যেত।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা মুলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন। তাই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে বার বার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আমাদের অভিভাবক প্রাণপ্রিয় নেতা এমপি ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আগামিতে সকলকে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে আশার আহবান জানান।

  • নড়াইলে দুদকের মামলায় কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিয়ার সহ দুইজন কারাগারে

    নড়াইলে দুদকের মামলায় কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিয়ার সহ দুইজন কারাগারে

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
    চাল আত্মসাতের ঘটনায়নড়াইলে দুদকের মামলায় কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিয়ার সহ দুইজন কারাগারে। দুদকের মামলায় নড়াইলের লোহাগড়ায় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান ও চাল ব্যবসায়ী শাহাবুর রহমানকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
    রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন যশোর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় লোহাগড়ার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামি, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কামরান হোসেন ও চাল ব্যবসায়ী শাহাবুর রহমানকে আসামি করা হয়।
    মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও চাল ব্যবসায়ী শাহাবুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ জুলাই জামিনের দিন শেষ হলে আসামিরা নিম্ম আদালতে হাজিরা দেন।
    উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য ৪১.৫ মে.টন বরাদ্দকৃত চাল থেকে ৩.৬ মে.টন চাল ব্যবসায়ী শাহাবুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান। ৯ আগস্ট খাদ্যগুদাম থেকে ওই চাল খালাস করে কালোবাজারে বিক্রির জন্য নড়াইলে নেয়ার পথে নড়াইল-যশোর সড়কের চৌগাছা চায়না প্রজেক্টের সামনে থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশ দুই নসিমনে থাকা ১২০ বস্তা চাল জব্দ করেন।

  • বিশ্বসেরা শিক্ষক শাহনাজ পারভীন এর কাব স্কাউট ইউনিট জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত

    বিশ্বসেরা শিক্ষক শাহনাজ পারভীন এর কাব স্কাউট ইউনিট জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত

    মাসুম বিল্লাহ, শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধিঃ
    বিশ্বসেরা শিক্ষক শেরপুরের শাহনাজ পারভীন এর কাব স্কাউট ইউনিট বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট ইউনিটের স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ২৮জুন বগুড়া জেলার শ্রেষ্ট তালিকা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় সময় দপ্তর। ২১ জুলাই বাংলাদেশ স্কাউটস বগুড়া জেলার সম্পাদক জনাব মাসুদ রানা পুরস্কারের চেক প্রদান করেন। উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ পারভীন জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ব সেরা ৫০ শিক্ষকের এক জন। তার ইউনিট এবার জেলা শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট ইউনিট নির্বাচিত হয়েছে। এই ইউনিট থেকে অধিক সংখ্যক শাপলা প্রাপ্তি, নিয়মিত প্যাক মিটিং বাস্তবায়ন ও স্কাউটিং কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটস বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট ইউনিটের স্বীকৃতি সরুপ বাংলাদেশ স্কাউটসর জাতীয় সদর দপ্তর থেকে ১০ (দশ) হাজার টাকার চেক প্রদান করেছেন।

  • কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন

    কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন

    আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি!! দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ছয়গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    রবিবার দুপুরে কলেজ হলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, রত্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাসির ইকবাল সহ অন্যান্যরা।

  • মোংলায় লোডশেডিংয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা, বেচাকেনা নেমে গেছে অর্ধেকে

    মোংলায় লোডশেডিংয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা, বেচাকেনা নেমে গেছে অর্ধেকে

    মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
    মোংলায় প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ বারের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। যখন তখন ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ায় কারখানা ও দোকানের মালামাল নষ্টের পাশাপাশাশি কমে গেছে বেচা-কেনাও। আর সন্ধ্যায় লোডশেডিংয়ে পড়াশুনায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর ১২ টায় বিদ্যুৎ গিয়ে আসে টানা এক ঘন্টা পর দুপুর ১টায়। এভাবেই দুপুর, দুপুরের পর, বিকেলে, সন্ধ্যায়, রাতে ও ভোরে একাধারে চলছে লোডশেডিং। এক ঘন্টা, পৌনে এক ঘন্টা, আধা ঘন্টা করে ৩/৪ বার হচ্ছে লোডশেডিং। এতে চরম ক্ষতি ও ভোগান্তীতে পড়েছেন স্থানীয় কলকারখানা মালিক, ঘোষ ডেয়ারী, হোটেল-মোটেল, মুদি ও খাবারসহ বিভিন্ন দোকানীরা। মালামাল নষ্টসহ বেচা-কেনা কমে গেছে ব্যবসায়ীদের। লোডশেডিংয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে ভূতুরে অবস্থা। তারপরও বিদ্যুৎ না থাকায় লোকজনও আসছেন কেনাকাটা করতে। গরমে দোকানে বসে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দোকানী ও কারখানা সংশ্লিষ্টরা। লোডশেডিংয়ের সময় কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থায় লাইটের ব্যবস্থাও করলেও তাতে ব্যয়ও বাড়ছে তাদের।
    পৌর শহরের শেখ আঃ হাই সড়কে ভ্যারাইটিস পণ্যের দোকানী মোঃ জালাল হোসেন বলেন, দিনেই তিন চার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে দোকানের ফ্রিজে থাকা বিভিন্ন পণ্য নষ্ট হচ্ছে। অন্ধকারে দোকানের থাকের মাল নামানো যায়না, আর কাস্টমারেরাও আসেন না। তারওরও গরম রয়েছেই। বেচা কেনা অনেক কমে গেছে। সুতা, ব্যাগ ও খেলনা পণ্যের দোকানী মোঃ বুলবুল বলেন, লোডশেডিং দিলে দোকান অন্ধকার হয়ে যায়। নিজেরাও বসা যায়না, ক্রেতারাও ঢুকেন না। আইপিএস লাগিয়ে আলোর ব্যবস্থা করেছি। বেচা-কেনা করতে গিয়ে খরচ ও কষ্ট বেশি হয়ে যাচ্ছে। বরিশাল বেকারীর মালিক মোঃ সোহেল বলেন, লোডশেডিং নিয়ে বড় বিপদে আছি, কারখানার কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন। কারণ ঘোষণা ছাড়া যখন তখন লোডশেডিং দেয়ায় কারখানার ওভেন, ট্রে, সাচে তৈরির বিস্কুট, রুটি ও কেকসহ নানা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সার ও কীটনাশক দোকানী মোঃ আবুল হোসেন খান বলেন, লোডশেডিংয়ে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে। এমনিতেই প্রচন্ড তাপমাত্রা গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছি। দোকানের বেচা কেনা অর্ধেকে নেমে গেছে। কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকার ও গরমে লোকজন আসেনা, আবার ৮টায় দোকান বন্ধ করে দিতে হয়। ভীষণ সমস্যায় আছি যা বলে শেষ করা যাবেনা। সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী মালিক উত্তম কুমার বলেন, লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ ও ফ্যান চালাতে না পারায় গরমে মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবার নষ্ট হচ্ছে। কোন কাস্টমার লোডশেডিং চলাকালে দোকানে আসেনা। বিভিন্ন কাঁচামালও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনারও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। এছাড়া বাড়ীঘরে রান্নাবান্নাসহ নানা ধরণের সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। শেহলাবুনিয়ার দীনেশ সাহা, নিলিমা বিশ্বাস ও মাদ্রাসা রোডের তরুন চন্দ বলেন, সন্ধ্যায় লোডশেডিং হওয়ায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার ভিশন ক্ষতি হচ্ছে। সামনে স্কুলে পরীক্ষা, এভাবে চলতে থাকলে লেখাপড়ার বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে।
    কলেজ মোড়ের বাসিন্দা এমরান হোসেন বলেন, লোডশেডিংয়ে শুধু বাড়ীতে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছেনা। স্কুলেও গরম ক্লাস করতে পারছেনা শিশু-কিশোরেরা। এতে তারা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে ভালভাবে লেখাপড়া করবে কিভাবে। এ দিকে পূর্ব থেকে কোন ধরণের ঘোষণা ছাড়াই যখন তখন লোডশেডিং না দেয়া ও সন্ধ্যা ৮ টায় দোকান বন্ধের সময় আরো বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে স্থানীয় পিডিবি কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন দুই ঘন্টার লোডশেডিং দেয়ার ঘোষণা দিলেও মুলত তা মানা হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। পিডিবির মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, এখানে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদার বিপরতীতে সরবরাহ রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট, ঘাঠতি থাকছে ১৫ মেগাওয়াট। তারপরও সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দিনে-রাতে দুইবার লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ৩/৪ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোডশেডিং দুইবার আর বাকী সময় বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে হচ্ছে।