Blog

  • নীলফামারী আদালতে ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মা-মলা দায়ের

    নীলফামারী আদালতে ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মা-মলা দায়ের

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর উদ্যোগে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআই আইন- ২০১৮ এর ১৫ ও ২১ ধারা লংঘনের কারণে অনুযায়ী ২৯ জুন ২০২৫ খ্রি: তারিখে নিম্ন বর্ণিত ০৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নীলফামারী এবং ০১টি প্রতিষ্ঠানের ০২জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, নীলফামারীর আদালতে ১টি সহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দায়েরকৃত ১০টি মামলা নম্বর হচ্ছে সিআর- ১৪/২৫ হতে সিআর ২৩/২৫ পর্যন্ত।

    মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে:
    ০১। মোঃ মঈন আহমেদ (৯১), মেসার্স মঈন এগ্রো, জহুরুল হক রোড, বঁাশবাড়ী, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পন্য- সরিষার তেল ও গমের ভূষি
    ০২। মোঃ ফয়জুলহক প্রধান (৫০), মেসার্স প্রধান পাইপ ইন্ডাষ্ট্রিজ, সবুজপাড়া, সদর, নীলফামারী;
    পণ্য- পাইপস এন্ড ফিটিংস মেড অব পিভিসি-ইউ, ইউজড ফর পর্টেবল ওয়াটার সাপ্লাই
    ০৩। মোঃ জাহেদুল ইসলাম (৪৫), মেসার্স নুরানী বেকারী, চড়াইখোলা, টেক্সটাইল, সদর, নীলফামারী;
    পণ্য- বিস্কুট ও ব্রেড
    ০৪। সখেন ঘোষ(৬০), মেসার্স পাহলওয়ান সুইটস, শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক ও সুইটমিটস (মিস্টি)
    ০৫। মোঃ কায়সার (৫১), মেসার্স নিউ দিলকুশা মিস্টি ভান্ডার, শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- সুইটমিটস (মিস্টি)
    ০৬। শাকিল আহম্মেদ (৪৮), মেসার্স দিলশাদ মিস্টান্ন ভান্ডার, শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক ও সুইটমিটস (মিস্টি)
    ০৭। মোঃ আরাফাত হোসেন (৪২), মেসার্স শাহ হোটেল এন্ড রেস্টেুরেন্ট, শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক ও সুইটমিটস (মিস্টি)
    ০৮। রঞ্জন সরকার (৫২), মেসার্স আজিম সুইটস এন্ড রেস্টুরেন্ট, শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- সুইটমিটস (মিস্টি)
    ০৯। মোঃ সাহাবুদ্দিন (৫৫), মেসার্স আল সামস সুইটস, ক্যান্টনমেন্ট রোড, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক ও সুইটমিটস (মিস্টি)
    ১০। মোঃ সিদ্দিকুল আলম (৫৫), মেসার্স ইকু কয়েল ফ্যাক্টরী (সিদ্দিক কেমিক্যাল ওয়ার্কস), ঢেলাপীর, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- মশার কয়েল
    ১১। মোঃ আব্দুল কাদের বিপুল (৪৫), মেসার্স ইকু কয়েল ফ্যাক্টরী (সিদ্দিক কেমিক্যাল ওয়ার্কস), ঢেলাপীর, সৈয়দপুর, নীলফামারী;
    পণ্য- মশার কয়েল

  • গোদাগাড়ীর মোহনপুর  ইউনিয়নের পালশা এলাকায় রাস্তার বেহা-ল দশা

    গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা এলাকায় রাস্তার বেহা-ল দশা

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। ফলে জনগনের কষ্টের সীমা নেই। এলাকাবাসী আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি রাস্তাটিতে।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এলাকার ভৃক্তভোগি আর এইচ রানা দেওয়ান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এলাকাবাসী এই রাস্তাটি জরুরীভাবে সংস্কারের প্রশাসন ও মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভি-যানে  ১০০ গ্রাম হেরো-ইনসহ ২ জন মাদ-ক ব্যবসায়ী গ্রেফ-তার

    র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভি-যানে ১০০ গ্রাম হেরো-ইনসহ ২ জন মাদ-ক ব্যবসায়ী গ্রেফ-তার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় অদ্য ২৯ জুন ২০২৫ খ্রিঃ রাত ০১.৫৫ ঘটিকায় র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ও র‌্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি চৌকষ আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানাধীন হাটিকুমরুল সাকিনস্থ ফুড সিটি ইন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পাশের্^ কাঁচা রাস্তার উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২,০৮০/- টাকা জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ০১। মোঃ মামুন দুলাল (৩৪), পিতা- মৃত নৈমুদ্দিন, মাতা- মোছাঃ আনোয়ারা বেগম, ০২। শ্রী সুমন কর্মকার (৩৫), পিতা- মৃত বিজয় কর্মকার, মাতা- মৃত শোভা রানী, উভয়ের সাং- মহিষালবাড়ী, থানা- গোদাগাড়ী, জেলা- রাজশাহী।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদ¦য়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন- মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গু-লি, শীর্ষ সন্ত্রা-সী বাপ্পি’র সহযোগীসহ ৩জন গ্রেফ-তার-অ-স্ত্র উদ্ধার

    ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গু-লি, শীর্ষ সন্ত্রা-সী বাপ্পি’র সহযোগীসহ ৩জন গ্রেফ-তার-অ-স্ত্র উদ্ধার

    হেলাল শেখঃ রাজধানীর ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার বাপ্পি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

    রোববার (২৯ জুন ২০২৫ইং) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে যশোর জেলার ঘোপ নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হক এবং তার সহযোগী আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে বোমা রিপন ও মো. কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ ১৫১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

    এর আগে গত ১৯ জুন রাজধানীর ফকিরাপুলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে লক্ষ্য করে এই মাদককারবারি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।

  • আশুলিয়ার বাইপাইলে চাঁদাবা-জদেরকে কঠোর হুশি-য়ারী দিয়েছেন পুলিশ

    আশুলিয়ার বাইপাইলে চাঁদাবা-জদেরকে কঠোর হুশি-য়ারী দিয়েছেন পুলিশ

    হেলাল শেখঃ দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজির অভিশাপ থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজি, হামলা-পাল্টা হামলা আর মানববন্ধন-পাল্টা মানববন্ধনের এক অস্বস্তিকর অধ্যায়ের পর পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে স্বস্তি ফিরেছে এই এলাকায়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের রীতিমতো ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কাউন্টারগুলোতে ফিরিয়ে এনেছে স্বাভাবিক গতি, যা সাধারণ ব্যবসায়ী ও কাউন্টার মালিকদের মাঝে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছে। বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবিরের একটি মাইকিং এতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের এমন উদ্যোগ প্রশংসার কুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

    রবিবার (২৯ জুন ২০২৫ইং) তারিখ হতে অভিযান শুরু, ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড, যা ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় চাঁদাবাজ চক্রের হাতে জিম্মি ছিলো। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্র বাস স্ট্যান্ড ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে পরিবহন কাউন্টার, খাবার হোটেল, ক্ষুদ্র দোকানপাট এবং হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই নেমে আসতো হামলা, ভাঙচুর ও শারীরিক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা। এমনকি চাঁদা আদায়ের ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন চক্রের মধ্যে নিজেদের মধ্যেই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা বাইপাইল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিলো। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে, যা সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার করেছিলো।

    ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে এবং চাঁদাবাজদের কোনো রকম চাঁদা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে ব্যবসার গতি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।

    চাঁদাবাজির এই লাগামহীন দৌরাত্ম্যে এখানকার ব্যবসায়ীরা ছিলেন চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্টার মালিক জানান, “চাঁদাবাজির কারণে আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে আমাদের লাভ তো দূরে থাক, উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছিলো। প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতে হতো। আমরা একরকম অসহায় হয়ে পড়েছিলাম।” আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, “প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হতো। না দিলে দোকানের সামনে এসে হুমকি-ধামকি দিতো, এমনকি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিতো। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। তবে এখন পুলিশ নিজে এসে চাঁদা আদায় বন্ধে কঠোর অবস্থানে তাকায় আমরা আশা করছি ভালো কিছু হবে। তারা সকাল থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন। “

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেবের নেতৃত্বে অভিযান চলমান রয়েছে, থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন জানান, “চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকার চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্ভয়ে ব্যবসা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

    ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেওয়া ঘোষণায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর বলেছেন, ” আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবো। কেউ যদি চাঁদাবাজি করতে আসে তাহলেও আমরা সর্বোচ্চ আইন ব্যবহার করবো। আমরা ৫ই আগস্টের আগের পুলিশ না। আমরা মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে চাই। সে জন্য যা করতে হবে করবো। তবু মানুষকে স্বস্তি দিবো। তাই আমরা অবৈধ কোন কর্মকান্ড হতে দিবো না। আমাদের কথা একটাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

  • প্রাণিসম্পদ অফিসে সাংবাদিক প্রবেশে বা-ধা প্রতিশ্রুতি দিলেও – ১০ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যব-স্থা

    প্রাণিসম্পদ অফিসে সাংবাদিক প্রবেশে বা-ধা প্রতিশ্রুতি দিলেও – ১০ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যব-স্থা

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুরে জাতীয় দৈনিকের তিন সাংবাদিকের সাথে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণে উপজেলার সাংবাদিক মহলের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন দাপ্তরিক ব্যবস্থা।

    গত ১৮ জুন (বুধবার) দুপুরে দৈনিক কালবেলা, আমার দেশ ও সকালের সময় পত্রিকার তারাগঞ্জ প্রতিনিধিগণ তথ্য সংগ্রহের প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) মো. মামুনুর রশীদ তাদের সঙ্গে রূঢ় ও কটূক্তিপূর্ণ আচরণ করেন এবং অফিস প্রবেশে বাধা দেন। কার অনুমতি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেছেন বলে প্রশ্ন তোলেন এবং বাকবিতন্ডা শুরু করেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের বিতর্কিত এই ঘটনা উপজেলার সংবাদিক মহল ও উপজেলা প্রশাসনে জানাজানি হলে, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে উপজেলার সকল সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি শোনেন এবং সাংবাদিকদের সাথে প্রাণিসম্পদ অফিসে দাপ্তরিক শুদ্ধাচার লংঘনের এমন ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, যেকোন তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিকদের অধিকার। সেখানে সরকারি অফিসে তথ্য সংগ্রহকালে একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়।
    এসময় অফিসে অনুপস্থিত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন করে ডেকে নেন। পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তার অফিস কক্ষে সকল সাংবাদিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) মো. মামুনুর রশীদ এর শুদ্ধাচার লংঘিত ঘটনাকে অনভিপ্রেত ঘটনা বলে উল্লেখ করেন এবং ১ সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকের সাথে উদ্ধত আচরণে অভিযুক্ত মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবিলম্বে অন্যত্র বদলির দাবি জানান। কিন্তু ঘটনার দশদিন অতিবাহিত হলেও দাপ্তরিক ভাবে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
    প্রসঙ্গত, উপজেলার বিভিন্ন কসাইখানার মাসয়োরা চাঁদাবাজ মামুনুর রশীদ ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলাম যোগদানের পর যোগশাজোস করে সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন এবং এলডিপি প্রকল্পের উপকারভোগী পিজি গ্রুপের সদস্যদের সভা ও প্রশিক্ষণে খাবার ও ভাতা বাবদ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ-এর ঘটনায় টিভি চ্যানেল সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পর দুই দফা তদন্ত হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নেয়নি কোন ব্যবস্থা। উল্টো পক্ষপাতমুলক বক্তব্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা স্ব-দাপ্তরিক স্বজন প্রীতি অনুমানযোগ্য।
    উল্লেখ্য যে- উপ-সহকারী মামুনুর রশীদ আ‌গের কর্মস্থল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আচরণ খারা‌পের জন‌ স্থানীয়দের হাতে তিনি গণপিটুনি খে‌য়ে‌ছি‌লেন বলেও শোনা যায়। আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলাম নাটোরের সিংড়া উপজেলায় কর্মকালে সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ছত্রছায়া ও ওলামা লীগ সম্পৃক্ততায় ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তার করতেন মর্মেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেখা যায় গাছ খেকো এই কর্মকর্তা এখনো অজ্ঞাত আওয়ামী শক্তির ফ্যাসিস্ট আচরণেই আবদ্ধ।
    উপজেলার সাংবাদিক ও সুধী সমাজ বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবকিছু জেনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরো বেপরোয়া এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। তারা আরো বলেন, শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, প্রাণিসম্পদ সম্পৃক্ত উপজেলার অধিকাংশ সুবিধাভোগী খামারী ও পিজি সদস্যরা এই দুই অভিযুক্ত অফিসারের উপর অতিষ্ঠ! দেশে কি আর কোন পশু সম্পদ অফিসার নেই? এমন প্রশ্ন তোলেন এবং তারাগঞ্জবাসী ও অফিস শৃঙ্খলার স্বার্থে দুর্নীতিবাজ ও গাছ খেকো এই দুই কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসরণের দাবি করেন।
    এ বিষ‌য়ে‌ রংপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু সা‌ঈ‌দের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • মোংলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, নগদ অর্থ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীম

    মোংলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, নগদ অর্থ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীম

    মোংলা প্রতিনিধি।
    মোংলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, নগদ অর্থ, ক্রীড়া সামগ্রী ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
    রবিবার বিকেলে আলহাজ্ব কোরবান আলী আলীম মাদ্রাসায় এসব বিতরণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ শামীমুর রহমান শামীম। আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ মোংলা পৌর ও উপজেলা শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোঃ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং পড়াশুনায় মনোযোগী করতেই তাদেরকে নানাভাবে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোংলার পৌর এলাকা ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং রামপালের ১০টি ইউনিয়নে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় বৃক্ষ রোপণের মধ্যদিয়ে এ কর্মসূচি সফল করছেন।

    এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমরান হোসেন, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মানিক, উপজেলা যুবদলের সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ঈমান হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর উদ্দিন টুটুল, যুবদল নেতা মোঃ মহসিন, মোঃ সোহাগ, পৌর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ শেখ, চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি মোঃ শাহ আলম শেখ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পৌর সভাপতি মোঃ সেলিম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল হাওলাদার।

  • ‎মধুপুরে এডভোকেট শাহজাহান কবীরের গণসংযোগ

    ‎মধুপুরে এডভোকেট শাহজাহান কবীরের গণসংযোগ


    ‎মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

    ‎ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট মোঃ শাহজাহান কবীরের  গণ সংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ‎শনিবার আশ্রা ও কুড়ালিয়ার একাংশ (আশ্রা,ধলপুর, বানিয়াবাড়ী, আমতলী, কুড়ালিয়া বাজার,   এলাকায় এডভোকেট মোঃ শাহজাহান কবীরের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ‎এসময় তিনি গণসংযোগে অংশ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
    ‎এডভোকেট মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আপনাদের পাশে থেকে মধুপুর-ধনবাড়ীকে আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনাদের দোয়া ও সমর্থনই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’

  • গৌরনদীতে ফল উৎসব ও কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    গৌরনদীতে ফল উৎসব ও কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    গৌরনদী প্রতিনিধি।।
    বরিশালের গৌরনদী চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজ ও বাংলা ভাষা-বাঙালি সংস্কৃতি সমাজের যৌথ উদ্যোগে গতকাল গৌরনদী বিএমএফ কার্যালয়ে ফল উৎসব ও কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন ঘোষনা করেন গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি, চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির। অনুষ্ঠানে দেশীয় ফল আম, জাম, কাঠাল, লটকন, ডয়ুয়া, কলা, জামরুল, আনারস, পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল প্রদর্শন ভোজনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও উপন্যাসিকগন যোগদান করেন।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া সম্প্রতি সাহিত্য সমাজের সভাপতি কবি ও উপন্যাসিক মহাদেব বুস, দক্ষিন বঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারন সম্পাদক কবি মোঃ শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান, বাবুগঞ্জ আগরপুর উত্তর সংস্কৃতি সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, গৌরনদী চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজের সাধারন সম্পাদক কবি সিকদার রেজাউল করিম, গৌরনদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্মল হালদার, গৌরনদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মোঃ মাসুদ করিম, সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ বাদশা সিকদার, হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মনতোষ দাস, কবি প্রকাশ রায়, কবি শেখ খলিলুর রহমান, কবি জহর লাল মজুমদার, কবি মোঃ জাকারিয়া,সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, কবি আব্দুর রহিম, কবি ঝন্যা দাম লাবনী, কবি শাহ আলম, কবি আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন কবি ডাঃ মনীষ চন্দ্র বিশ্বাস।

  • আজ প্র-য়াত প্রবীণ সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস এর তৃতীয় মৃ-ত্যু বার্ষিকী

    আজ প্র-য়াত প্রবীণ সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস এর তৃতীয় মৃ-ত্যু বার্ষিকী

    স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস

    প্রয়াত সিনিয়র প্রবীণ বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস এর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী আজ রবিবার। গত ২০২২-ইং সালে (২৯ শে জুন) বুধবার বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল এন্ড কলেজ (শ.মে.ক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    তিনি সনাতন ধর্মের হলেও দারিদ্র্যতার কারণে আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন পাশাপাশি সেই ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির নেশায় জরিয়ে পরেন তৎকালীন সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি সেই সময় থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘ ৫২ বছর সাংবাদিকতা করে মৃত্যু বরণ করেন। উল্লেখযোগ্য অবশেষে তিনি দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে ঢাকায় অবস্থান করেন এবং দেশের আইন সংবিধান লেখক ড. কামাল এর সহকারী হিসেবে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। উচ্চ ডিগ্রি লাভের আশায় শুরু করেন আবারো লেখাপড়া আর সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়ে সাংবাদিক নির্যাচনের মূল নেতৃত্বেও তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন এমনকি রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়ে ছিলেন। সেইসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন হয়ে উঠেন প্রতিবাদী কলম সৈনিক।

    এরপর ১৯৮৪-ইং সালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করে রাজশাহীতে অবস্থান করেন এবং সেই সময় উত্তরাঞ্চলের একমাত্র আলোচিত পত্রিকা দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেন এবং পরে উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর জয়পুরহাট জেলা গঠিত হওয়ার আগেই তিনি নিজ জন্মভূমি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এসে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উপজেলা প্রেসক্লাব স্থাপিত করেন। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সোনার দেশ এবং জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ২০২২-ইং সালে তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন।

    তার মৃত্যুর পর ইতিহাস যাচাই করে জানা যায় তিনি ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা,‘সাপ্তাহিক নতুন বাংলা পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা’সাপ্তাহিক জয়পুরহাট বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক,দৈনিক দুর্জয় বাংলার পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও সাপ্তাহিক বালিঘাটা পত্রিকার পদে থেকে মৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন।তাহার আরও অসংখ্য ইতিহাস রয়েছে যা আজও অজানা রয়েছে।

    যে ইতিহাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তিনি সৃজনশীল ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার এক অগ্রদূত।

    এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে তার কলম ছিলো সোচ্চার। সাংবাদিকতায় নিজের সৃজনশীলতা ও রুচিবোধের চর্চা বরাবরই অনুজদের আকর্ষণ করেছে। শুধু সাংবাদিকতায় নয় তিনি ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ এর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস।

    প্রয়াত সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পৌর সদরের ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্গীয় শুকুলাল চন্দ্র দাস এর দ্বিতীয় ছেলে, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও চার ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    জীবদ্দশায় প্রবীণ এই সাংবাদিকের হাত ধরে অনেকেই আজ সাংবাদিকতা পেশায় এসেছেন এবং তাদেরকে তিনি নিজে প্রশিক্ষিত করেছেন। বর্তমানে তারা দেশের বিভিন্ন সুনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সুনামের সহিত কর্মরত আছেন।

    উল্লেখ্য, সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক্স,উচ্চ রক্তচাপ কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল এন্ড কলেজ (শ.মে.ক.) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

    তার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে জাতীয় প্রেসক্লাব,জাতীয় রিপোর্টার ক্লাব,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,প্রেসক্লাব বাংলাদেশ,সাংবাদিক উন্নয়ন সোসাইটি অব বাংলাদেশ-(ইউএসবি),বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটিসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনের পাশাপাশি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার পক্ষথেকে শোকহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। সব চেয়ে বড় বিষয় এই আজ ২৯ শে জুন তার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী বড় পরিসরে উৎযাপন করা সম্ভব হয়নি। শুধু মাত্র ধর্মীয় রীতি অনুসারে স্বল্প পরিসরে পারিবারিক ভাবে করা হলেও -৪-৫ দিনের মধ্যে বড় পরিসরে মৃত্যুবার্ষিকী উৎযাপনের দিন-তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ ও পরিবার বর্গ বার্তাটি জানিয়েছেন।