Blog

  • জুলাই সনদ আদায়ে আবারও রাজপথে ফেরার হুঁশি-য়ারি এনসিপির

    জুলাই সনদ আদায়ে আবারও রাজপথে ফেরার হুঁশি-য়ারি এনসিপির

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    “নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন সংবিধানের দিকে যেতেই হবে”—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না। যদি সরকার মনে করে লাখো মানুষ ঘরে ফিরে গেছে, তাহলে তারা বড় ভুল করছে। আমরা শহীদ আবু সাঈদের কবর থেকে ঘোষণা করছি—বাংলার প্রতিটি গ্রাম, প্রত্যন্ত অঞ্চল, শহরে আমরা পৌঁছাব। ৩ আগস্ট ঢাকায় প্রবেশ করব ছাত্র, শ্রমিক, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে এবং জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করে ছাড়ব।”

    আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বামনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করে এনসিপি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রয়োজনেই জুলাই পদযাত্রা। ৬৪ জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলব, তাদের কথা শুনব এবং শহীদ আবু সাঈদের স্বপ্ন তাদের কাছে পৌঁছে দেব। এই পদযাত্রা মূলত নতুন রাষ্ট্র নির্মাণের ডাক।”

    তিনি মনে করিয়ে দেন, ২৪ সালের ছাত্র গণআন্দোলন ছিল না শুধুমাত্র একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই—বরং সেটি ছিল নতুন রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্তের জন্য একটি গণআন্দোলন। “ঠিক এক বছর আগে, ১ জুলাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণতান্ত্রিক বিপ্লব শুরু হয়েছিল। সেই আন্দোলনে আবু সাঈদসহ হাজারো তরুণ, ছাত্র-জনতা শামিল হয়েছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলন দ্রুতই গণবিস্ফোরণে রূপ নেয় এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের ভিত্তি তৈরি করে,” বলেন নাহিদ ইসলাম।

    এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “নতুন বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত সাম্য, ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।”

    আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরাও জানান, তাঁর শাহাদাত যেন একটি ন্যায্য ও সাম্যের রাষ্ট্র নির্মাণে পথ দেখায়। ভাই আবু হোসেন বলেন, “আমরা চাই সাঈদের রক্ত বৃথা না যাক। রাষ্ট্র যেন প্রতিটি মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে।”

    কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন—দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।

    পীরগঞ্জের কর্মসূচি শেষে এনসিপির নেতারা গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

  • জমি ছাড়তে নারা-জ দখ-লদাররা, কঠো-র অবস্থানে প্রশাসন: উদ্ধার হলো মসজিদের সম্পত্তি

    জমি ছাড়তে নারা-জ দখ-লদাররা, কঠো-র অবস্থানে প্রশাসন: উদ্ধার হলো মসজিদের সম্পত্তি

     পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রাখা একটি মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের জামাদার পাড়া গ্রামের সোনারবান ৮ মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ১২ শতক জমি পুনরুদ্ধার করে সদর উপজেলা ভূমি অফিস।

    উদ্ধার অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে নির্মিত দুটি বসতবাড়ি এবং পাঁচটি ঘর স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি। এসময় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের মুসল্লি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জামাদার পাড়া জামে মসজিদের সীমানা ঘেঁষা ওই জমিতে স্থানীয় মৃত তফিজ উদ্দিনের তিন পুত্র—খলিল মিয়া, মজনু মিয়া এবং ফয়জুল হক অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। জমিটি মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত থাকলেও তারা জমি ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। এলাকাবাসীর একাধিকবার অনুরোধ, স্থানীয় সালিশ এবং প্রশাসনিক নোটিশ—কোনোটিই কাজে আসেনি।

    পরিস্থিতি বিবেচনায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে উপজেলা ভূমি অফিস। এরপর একাধিকবার লিখিত নির্দেশনা দিয়েও যখন তারা জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়, তখন প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেয়।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি জানান, “সরকারি জমি দখল করে তারা অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। জমিটি মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ এই জমি উদ্ধার করা হয়েছে। জনগণের দাবি ও আইনসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”

    এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাঁরা জানান, বহু বছর ধরে তাঁরা এই জমিটি ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রশাসনের পদক্ষেপে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

  • গাজীপুরে বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে জমি দখ-লের অভি-যোগ

    গাজীপুরে বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে জমি দখ-লের অভি-যোগ

    রাসেল শেখ,
    গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
    গাজীপুরে বিএনপির এক নেতার মদদে হামলা ও জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

    মঙ্গলবার ( ১লা জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

    সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে শাখাওয়াত হোসেন জানান, জয়দেবপুর থানা এলাকায় বানিয়ার চালা মাহনা ভবানীপুর মৌজাস্থিত এস এ ৫৬৩,আর  এস ২৪৯ খতিয়ান ভুক্ত এস এ ৫৯৬, আর এস ২৫৪৮ দাগে ৭ একর ২ শতাংশ জমির কাতে ক্রয়কৃত ১২৬ শতাংশ জমির মালিকানা লাভ করি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসতেছি।

    ইতিপূর্বে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও নব গঠিত গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির ৭নম্বর আহ্বায়ক সদস্য ইসলাম উদ্দীন আমার কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং বিভিন্ন কৌশলে ১২ লাখ টাকা আমার কাছে থেকে হাতিয়ে নেয় বিএনপির এই নেতা এবং বাকী টাকা দাবি করে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, আমার জমি কিভাবে ভোগদখল করি তা দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। 

    তিনি আরো জানান, বিএনপির এই নেতা ইসলাম উদ্দীন এর মদদে গত ২৩ জুন রাতে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও দখলবাজ মো. রমজান (৪৫), ফারুক হোসেন (৪০), মো. বাবু মিয়া (৪০),দেলোয়ার হোসেন দেলু (৪২), ফরিদ আলম (২৭), মাসুদ (২৫), আলভী সরকার (২৮), মো. রাজ্জাক (৩২), কফিল (৪৭) ও আল আমীন (২৮) সহ আরও ১৮ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ভোগ দখলীয় জমিতে প্রবেশ করে, প্রথমে নিরাপত্তা সিসি ক্যামেরা, বসতবাড়ী এবং মার্কেটে ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমি এই ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ  করেলে গত ২৫ জুন তাদের নামে মামলা হয়।

    তিনি আরও বলেন,  বিএনপির নেতা ইসলাম উদ্দীনের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের নামে থানায় মামলা করার পর থেকে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমার ছবি এডিট করে আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাতে লিপ্ত।

    গত ২৯ জুন নাদিম হায়দার বাদী হয়ে আমি ও আমার পরিবারের ৮ জনের নামে জয়দেবপুর থানায় সাজানো মিথ্যা মামলা করে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

    ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হয়রানির উদ্দেশ্য করা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। একইসাথে রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহনকারী এইসব ভূমিদস্যুদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

  • শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা কমিটি অনুমোদিত

    শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা কমিটি অনুমোদিত

    মো: সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া : আগামী ২ বৎসরের জন্য শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত শনিবার (২৮ জুন)। শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো: রেজাউল কবির দীপু ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আল আমিন (স¤্রাট)। অনুমোদিত কমিটিতে ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার সভাপতি করা হয়েছে মোঃ আবু নাইম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোঃ জাহিদুল হাসান (আইএজ) কে। এ ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন ৩৪ জন।

  • কারমাইকেল কলেজের জমিতে অবৈ-ধ স্থাপনা উচ্ছে-দে যৌথ বাহিনীর অভি-যান

    কারমাইকেল কলেজের জমিতে অবৈ-ধ স্থাপনা উচ্ছে-দে যৌথ বাহিনীর অভি-যান

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস।

    আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একটানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৩টি দোকানপাট, বসতঘরসহ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান তাহসিন। অভিযানে অংশ নেন ৩০ ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যরা এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

    ছাত্রদের ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পর প্রশাসনের এমন উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কারমাইকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান তাহসিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা কলেজের সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছি। এ ধারা চলমান থাকবে।”

    এ বিষয়ে ৩০ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, “জনস্বার্থে, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের এই সমন্বিত অভিযান। ভবিষ্যতেও যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।”

    অভিযান চলাকালীন শিক্ষার্থীদের অনেকেই কলেজ গেটের সামনে জড়ো হয়ে উচ্ছেদের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন এবং উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

    শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ দখল উচ্ছেদ আমাদের ৩৭ দফা দাবির একটি। আমরা নিজেদের জন্য কোনো আন্দোলন লড়াই করেনি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, শিক্ষার স্বার্থে আন্দোলন করেছি।

    কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কলেজের বিভিন্ন প্লটসহ প্রায় চার একর জমি এখনো অবৈধ দখলে রয়েছে। দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে।

  • লঞ্চের ধা-ক্কায় নি-খোঁজ রায়হানের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের অনুদান

    লঞ্চের ধা-ক্কায় নি-খোঁজ রায়হানের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের অনুদান

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত শিশু রায়হান মল্লিকের (১০) পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নজরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে নিহত শিশুর বাবার হাতে ১৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

    এ সময় ইউএনও নজরুল ইসলাম বলেন, শিশু রায়হানের করুণ মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত হয়েছিলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য এ সহযোগিতা পরিবারটির কষ্ট কিছুটা লাঘব করবে বলেই আশা করছি।

    চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সকালে নলছিটির গৌড়িপাশা এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি মিতালী-৫ লঞ্চের ধাক্কায় একটি ছোট মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। এতে রায়হান নিখোঁজ হয়। তার সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী সাঁতরে বেঁচে গেলেও রায়হান নদীতে তলিয়ে যায়।

    তিন দিন পর ২১ মার্চ সকালে দপদপিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পন্টুনের পাশে তার লাশ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। 

    নিহত রায়হান স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র ছিল। সেসময় তার মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ক্যাপসনঃ জেলা প্রশাসকের অনুদান চেক নিহত রায়হানের পিতা মোহাম্মদ আলী মল্লিকের হাতে তুলে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

  • ভালুকায় নিরাপদ ব-র্জ ব্যবস্থাপনা না করার অপ-রাধে খামার মালিককে ২ লাখ টাকা জ-রিমানা

    ভালুকায় নিরাপদ ব-র্জ ব্যবস্থাপনা না করার অপ-রাধে খামার মালিককে ২ লাখ টাকা জ-রিমানা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ লিটার (মুরগির বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফিডব্যাক শুনানি, সরেজমিন পরিদর্শনি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে সুষ্ঠু-নিরাপদ বর্জ ব্যবস্থাপনা না করার অপরাধে পোল্ট্রি খামার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

    সোমবার (৩০ জুন ) উপজেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন এবং শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। ফিডব্যাক শুনানি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। শুনানিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের লিটার ব্যবস্থাপনার বর্তমান অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

    শুনানির পরপরই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকবাল হোসেন নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬(গ) ধারা অনুযায়ী সঠিক লিটার ব্যবস্থাপনা না করার অপরাধে সিপি বাংলাদেশ-এর ১২ নম্বর প্লান্টকে ১৫(১) ধারায় ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

    ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওয়েসিসি এগ্রোর লিটার ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। প্যারাগনের অগ্রগতি মোটামুটি সন্তোষজনক হলেও সিপি বাংলাদেশের অগ্রগতি একেবারেই আশানুরূপ নয়। বারবার সতর্ক করার পরও সিপি যথাযথভাবে লিটার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, লিটার ব্যবস্থাপনার অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এর ফলে বায়ু দূষণ, দুর্গন্ধ ছড়ানো এবং স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এজন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে সকল প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিয়ম মেনে লিটার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কোনোভাবেই অবহেলা সহ্য করা হবে না।

    স্থানীয় সুধী মহল উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অভিযান পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও নিয়মিত পরিদর্শন ও অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • পঞ্চগড়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে যৌ-ন নির্যা-তনের অভি-যোগ

    পঞ্চগড়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে যৌ-ন নির্যা-তনের অভি-যোগ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :

    পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিংরোড এলাকায় এক নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার বাসিন্দা খোকন (৩৫), পিতা শাহজাহান আলী। ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

    ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মোঃ রশিদুল ইসলাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত খোকনের বাড়ি এবং তার বাড়ি পাশাপাশি। তার মেয়ে মোছাঃ রুপু আক্তার স্থানীয় একটি প্রাইমারী স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত খোকন দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েদের প্রতি কুনজর দিয়ে আসছিলেন।

    গত ২৩ জুন ২০২৫ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি পাশের গোরস্থানে ছাগল আনতে গেলে খোকন একা পেয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পাটক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যুভয় ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

    শিশুটির পরিবারের দাবি, ওই সময় মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে খোকন তাকে হুমকি দেন—কাহাকেও কিছু জানালে তাকে জবাই করে ফেলবেন। ঘটনার পর ভয়ভীতির কারণে শিশুটি বিষয়টি গোপন রাখে এবং চুপচাপ বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে থাকে। পরদিন তার অসুস্থতা ও কান্নাকাটিতে সন্দেহ হলে মা রশনা বেগম ও বোন রিশা মনি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে।

    পরিবারটি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা গ্রামীণ শালিসের পরামর্শ দেন। তবে অভিযুক্ত খোকন শালিস এড়িয়ে চলতে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।

    স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর (সেনসেটিভ) হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে দ্রুত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, “গত বুধবার আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। কিন্তু এতদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশি তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বা ঘটনাস্থলে আসেনি। এতে আমরা হতাশ ও শঙ্কিত।”

    তারা আরও বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

    পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, “তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুত মামলা রুজু করা হবে।”

  • আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫

    আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগরে দিনে দুপুরে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাই, একই দিন গাজিরচট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সাথে গুলাগুলি ও চিত্রশাইল, জামগড়ায় পৃথক স্পটে কিশোর গ্যাং মাদক মাদক সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন, আহতদের মধ্যে ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বর্তমানে পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
    সোমবার (৩০ জুন ২০২৫ইং) দুপুরে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একটি মহল আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে ১০ মাসে ৫জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনার পর এবার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান নবনিযুক্ত হয়েই তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রেখেছেন।
    দেশে বর্তমানে মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টির মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়ের বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই বেড়েছে ৫৪ হাজার মামলা, এসব মামলার মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। গত বছর শেষে এ সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ২০১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়েরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার জট বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম থাকায় নিষ্পত্তিও বাড়ছে না। তাই এখনই মহাপরিকল্পনা করে পাহাড়সম এ মামলার জট নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মামলাজট নিরসনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তথ্যগুলো সংরক্ষিত।
    অন্যদিকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে তারা। ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার ওসি অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায়, এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
    রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারীরা এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন ছিলো। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য। এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদী মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) কামাল দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    আশুলিয়া থানার সিনিয়র (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন,ওসি স্যার হঠাৎ চলে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে, এখন আশুলিয়া থানায় যেকোনো অভিযোগ ও মামলার ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের আটকের পর আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। র‍্যাব জানায়, মানুষ হত্যাকারী অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে মোট মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টি এর মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হয়েছে, এখানে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের দাবী। এবার দেখা যাবে আশুলিা থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব কতদিন এই আশুলিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, আশুলিয়াবাসী তার কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন।

  • দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি

    দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে দুদকের বিশেষ অভিযানেও বন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়ম দুর্নীতি। ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৫টি অফিসে দুদকের অভিযানেও কর্মকর্তাদের কৌশলগত অনিয়ম দুর্নীতি এখনো কমেনি। কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার পর দুদকের অভিযান চলমান রয়েছে, সংবাদ প্রকাশ করায় এর মধ্যে সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে দালাল চক্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতর্ৃপক্ষ) অফিসে একযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সাথে নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
    সোমবার (৩০ জুন ২০২৫ইং) জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুদক নিয়মিত অভিযান চালালেও বিআরটিএ কর্মকর্তারা অনেকেই নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। জানা যায়, গত (৭ মে ২০২৫ইং) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। রাজধানীর উত্তরা ও ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ অফিস ছাড়াও গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা ও সিলেটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাসজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার সারাদেশে ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এরপর আবারও অভিযান চালায় দুদক কিন্তু কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম দুর্নীতি।
    সুত্র জানায়, অনেক অফিসেই দালালদের সরব উপস্থিতি ও সেবা দিতে গিয়ে ঘুষ দাবি করার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া সহজে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানের আওতায় অন্যান্য জেলা অফিসের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল নেত্রকোনা, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও শেরপুরসহ আরো অনেক জায়গায়। এর আগেও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬টি অফিস এবং গত ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিলো দুদক। এ অভিযানগুলো সরকারি সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাগণ। উক্ত ব্যাপারে আমাদের রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
    এর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশ করা হয়, বিশেষ করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে বিআরটিএ অফিসের কুখ্যাত দুনীতিবাজ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান গোপালগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করে জামাই হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ নিজ এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের সদস্যরাও একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া পেঁয়ারা বাগান এলাকায় বাড়ি করেছে মোস্তফা কামাল নামের এক সক্রিয় দালাল। জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান তার অফিসে সঠিক সময় আসেন না। অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন জানায়, তাদের সাথেও তিনি মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করেন, টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না বলে অফিসের লোকজন অনেকেই জানান। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি গাড়ি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বিভিন্ন অফিসে অভিযান করলেও সাভারে অভিযান করার বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
    জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম খানের কয়েক বছর আগে তেমন কিছু ছিলো না, বিআরটিএ’র অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করে ( ব্ল্যাক মানি) কালো টাকার মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বিআরটিএ অধিনস্থ ঢাকা জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত মোটরযানের কাগজপত্র নিয়ে সেবা পেতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে জিম্মি করে ভুলবাল বুঝিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরীক্ষায় পাস-ফেলের গ্যাড়াকলে ফেলে দালাল নিযুক্ত সদস্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়, এ যেন মহা ঘুষ বাণিজ্য ও বিআরটিএ অফিসের ভেলকিবাজি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা এই অফিসের কর্মকর্তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি, তাদেরকে ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফেল করে হয়রানি করে। পাস-ফেল তাদের হাতে, কৌশলে জিম্মি করে গ্যারাকলে ফেলে পরীক্ষায় ফেল করা হয় বলে অনেকেই জানান।
    জানা গেছে, মাসের পর মাস ঘুরানো হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা লোকজনকে। অতিরিক্ত টাকা দিলে কম সময়ে লাইসেন্স পাওয়া যায় আর তা নাহলে হয়রানির শেষ নাই। এ ভাবেই চলছে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। কারণ, উক্ত অফিসের মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানুষের কথিত জামাই। এখন আবার বিএনপি’র শীর্ষ নেতার আত্মীয়, নিজে আবার নাকি ছাত্র দল করতেন, তবে তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি একজন সুবিধাবাদী মানুষ বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেলের অধিনস্থ সাভার বিআরটিএ অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ভাবনিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গাড়ির মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, গাড়িপ্রতি ফিটনেস বাবদ ঘুষ গ্রহণ করেন ৫ হাজার টাকা, এই ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ির মালিকের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জানা গেছে, গাবতলী- টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং সাভারের ঢাকা-আরিচা পাটুরিয়া সড়কে হাজার হাজার মোটরযান চলে, এসব মোটরযানের বেশিরভাগই ফিটনেসবিহীন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
    গোপালগঞ্জের জামাই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে বিআরটিএ দালাল চক্রের সদস্য সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোস্তফা কামাল এর মোবাইল নাম্বারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার ছেলের দিয়ে রিসিভ করে বলায় যে, বাবার জ্বর আসছে কথা বলতে পারবেন না। এর আগে উক্ত ব্যাপারে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ব্যাপারে ৩৫টি অফিসে দুদক অভিযান চালালেও বিআরটিএ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়লেই অন্য জেলায় বদলি করা হয় সেই কর্মকর্তাকে, এই কারণে তাদের আর সমস্যা হয় না। উক্ত বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।##