Blog

  • সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    শেখ তৈয়ব আলী খুলনা।

    ৩০ শে জুন সোমবার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ১৮ নং ওয়ার্ড আলির ক্লাবের মোড় সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল সোনাডাঙ্গা থানাধীন ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের নবগঠিত আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার আব্দুল হালিম মোড়ল সভাপতি সোনাডাঙ্গা থানা তাতী দল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক সোনাডাঙ্গা থানা তাতী দল, মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান রানা সাংগঠনিক সম্পাদক সোনাডাঙ্গা থানা তাঁতি দল। এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন শেখ আব্দুল আলিম সাধারণ সম্পাদক ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি খুলনা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ মোতাবেক ৩১ দফা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে দলের স্বার্থে। দলের স্বার্থে দেশের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ। এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান , আব্দুল কাদের মল্লিক সহ তাঁতী দলের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

  • ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে

    ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
    সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এক তরুণী (১৮) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে আইনুল হক (২৮) নামের এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্মপাশা থানায় মামলা হয়েছে। ভূক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশের কনস্টেবল আইনুল হক (২৮) কে আসামি করে এই মামলাটি করেছেন। ওই পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে। আর ওই তরুণী ধর্মপাশা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। মামলার এজাহার, ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও ভূক্তভোগী ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণী কলেজে আসা যাওয়ার পথিমধ্যে পরিচয় হওয়ার সূত্র ধরে পুলিশ কনস্টবেল আইনুল হকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বছর খানেক ধরে তাঁদের দুইজনের মধ্যে নিয়মিত মোবাইলে কথাবার্তা, হোয়াটঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ, ছবি ও ভিডিও আদান প্রদান হতো। বিভিন্ন সময় তাঁদের দেখা সাক্ষাতও হয়েছে। ওই তরুণী নেত্রকোনার একটি কলেজ থেকে এবারের অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় গত ২৬ জুন নেত্রকোনার একটি কলেজে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। ওইদিন বেলা দুইটার দিকে ওই পুলিশ কনস্টেবল ওই কলেজ ছাত্রীকে ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে জানান যে আমি ছুটি নিছি, তুমি ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে চলে এসো। ওই তরুণী তখন বলেন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন? তখন ওই কনস্টেবল জানায় সে তাঁকে সুনামগঞ্জ শহরে ঘুরতে নিয়ে যাবে। পরে নেত্রকোনা থেকে ওইদিন বেলা আড়াইটার দিকে সিএনজি যোগে রওয়ানা হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে এসে পৌঁছেন ওই তরুণী। তখন ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখানোসহ নানা কথা বলে আইনুল তাঁকে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে নিয়ে যান। ওইদিন রাত ৮ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে তরুণীর নাম গোপন করে রাত্রি যাপন করে। হোটেলের কক্ষে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ২৭ জুন তাঁরা দুইজন ধর্মপাশায় চলে আসেন। কিন্তু বিয়ের কথা তুললেই নানাভাবে এড়িয়ে যেতেন আইনুল। গত ২৮ জুন বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়ে ওই তরুণী নেত্রকোনা জেলা শহরে চলে যান। ২৯ জুন বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় তিনি অংশ নেন। পরীক্ষা শেষে নেত্রকোণা জেলার হোটেল ওমরে ২০২ নম্বর রুমে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। পরে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে বিয়ের কথা বললে তিনি নানা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে ও বিয়ের করতে অস্বীকার করে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। নিরুপায় হয়ে ২৯ জুন রাত ৮টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী নিজে থানায় এসে ঘটনাটি থানার ওসিকে ও পর্যায়ক্রমে পরিবারের সদস্য এবং আত্বীয় স্বজনকে ঘটনাটি অবগত করেন।

    ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, ওই তরুণী ঘটনাটি অবগত করার পর পরই কনস্টেবল আইনুল হক কে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। আইনুল হক ধর্মপাশা থানায় কর্মরত ছিল। ওই তরুণী বাদী হয়ে সোমবার গভীর রাতে পুলিশ কনন্টেবল আইনুল হককে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। ঐ মামলায় গ্রেফতার তাকে আটককরে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল আইনুল হককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিকমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।##

  • তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু

    তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে পানিতে ডুবে মৃগী রোগে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চকপাড়া বনকেশর গ্রামে ঘটে এমর্মান্তিক ঘটনাটি।নিহত যুবক চকপাড়া বনকেশর গ্রামের জানে আলমের পুত্র জুবায়ের হোসেন (২০)।

    জানা গেছে, নিহত যুবক জুবায়ের হোসেনকে বাড়ির পাশে থাকা আজহার আলী নামের একব্যক্তির পুকুরে মরে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করেন।

    গ্রামবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে সে পুকুরে গোসল করতে নামলে মৃগী রোগ উঠতো।

    এবার সবার অগোচরে কখন পুকুরে নেমেছে কেউ দেখতে পায়নি। সকাল সকাল তার ভেসে উঠা লাশ প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে তার পরিবার কে খবর দেন।

    পরিবারের লোকজন এসে জুবায়ের হোসেনের লাশ শনাক্ত করে। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, নিহতের পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।

  • বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরি শুভ উদ্বোধন

    বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরি শুভ উদ্বোধন

    প্রেস রিলিজ।

    বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির পরীক্ষণ কার্যক্রম শুরুর নিমিত্ত অদ্য ০১-০৭-২০২৫ তারিখে অত্র কার্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করা হলো।

    মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব একটি বিশেষায়িত ল্যাব যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও পরজীবী শনাক্ত এবং বিশ্লেষণ করা হয়। উক্ত ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক পদ্ধতি (যেমন কালচার, মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা) ব্যবহার করে খাদ্য, প্রসাধনী, পানি প্রভৃতি পণ্যের জীবাণু পরীক্ষা করা হয়। নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত এবং বিএসটিআই এর গাইড লাইন অনুযায়ী মানসম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। খাদ্যে জীবাণু থাকলে তা খাদ্য বাহিত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, অন্যদিকে প্রসাধনীতে জীবাণু থাকলে ত্বকে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি জনিত রোগ হতে পারে। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষতিকর জীবাণু যেমন সালমোনেলা, ই.কোলাই (খাদ্যে), স্ট্যাফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাস (প্রসাধনীতে) আগে থেকেই শনাক্ত করা যায়। মাইক্রোবিয়াললোড ও খাদ্যনষ্টকারী/পচনকারী জীবাণু (যেমন মোল্ড ও ঈস্ট) পরীক্ষাপূর্বক পণ্যের সঠিক স্থায়িত্বকাল (Self-Life) ও সংরক্ষণকাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

    টোটাল প্লেট কাউন্ট/টোটাল ভাইয়াবল কাউন্ট, ঈস্ট এন্ড মোল্ড কাউন্ট, টোটাল কলিফর্ম কাউন্ট, ফেকাল কলিফর্ম কাউন্ট, সালমোনেলা, ই.কোলাই, শিগেলা, সিউডোমোনাস এরুগিনোসা, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, ক্যান্ডিডা অ্যালবিকানস ইত্যাদি প্যারামিটার এখন থেকে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

    এ বিষয়ে অফিস প্রধান প্রকৌ: মুবিন-উল-ইসলাম, উপপরিচালক (পদার্থ) জানান যে, এই ল্যাব চালুর পূর্বে রংপুর বিভাগের স্টেকহোল্ডারগণ সংশ্লিষ্ট পণ্যের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ঢাকা/রাজশাহী ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হতো যা ছিল সময় সাপেক্ষ । এখন থেকে বিভিন্ন পণ্যের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষণ সেবা স্টেকহোল্ডারগণ বিএসটিআই, রংপুর থেকে নিতে পারবেন।

  • সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের ই-ন্তেকাল

    সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের ই-ন্তেকাল

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন এর ইন্তেকাল। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অদ্য ভোর পাঁচটার সময় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর।

    অদ্য সোমবার (১জুলাই ) আসর নামাজ বাদ সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    তার পরিবার সূত্রে জানা তিনি দীর্ঘদিন লিভার সমস্যা জনিত রোগে ভুগতেছিলেন, গত রবিবার থেকে তিনি বেশি অসুস্থ ছিলেন এবং সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

    কামাল হোসেন স্বরূপকাঠি পাইলট স্কুলে দীর্ঘ ৩০ বছর শিক্ষকতা করার এর পূর্ব তিনি অলংকারকাঠি মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষসকতা করিয়েছেন। তার এই দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে অনেক ভালো কাজ করে গেছেন এবং তিনি ছিলেন একজন সাংস্কৃতিমন ব্যাক্তিত্ব। মৃত্যু কালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রী সহ অনেক গুলোগ্রাহী রেখে গেছেন।

    তার মৃত্যুতে শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্ত শংকর মিস্ত্রি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুজ্জামান মানিক,সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতিকুল্লাহ প্রমূখ।

  • নড়াইলে জমিদারদের প্রাচীন ঐতিহ্য

    নড়াইলে জমিদারদের প্রাচীন ঐতিহ্য

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
    নড়াইল একটি প্রাচীন জনপদ। কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এই জেলা আপন মহিমায় ভাস্বর, অবারিত মাঠ, শ্যামল প্রান্তর , ইছামতি, চাচুড়ী সহ অসংখ্য বিলের স‘ফটিক স্বচ্ছ কালোজল, জলধারা, মধুমতি, চিত্রা, নবগঙ্গা আর কাজলা নদীর প্রবাহমানতা এই জেলাকে দিয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি
    নড়াইল থেকে জানান, নড়াইলের লোকজ ঐতিহ্যের মধ্যে যাত্রাগান, পালাগান,নৌকাবাইচ, হাডুডু খেলা, লাঠি খেলা, হালুইগান, ষাড়ের লড়াই , বিভিন্ন মেলা, পিঠাগুলি, কবিগান, জারিগান, গাজিরগান, বৃষ্টির গান ইত্যাদি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ।

    বর্তমানে নড়াইল একটি জেলা শহর। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ মাসে তৎকালীন মহকুমা হতে জেলা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। এই জেলার উত্তরে মাগুরা জেলার শালিখা ও মহম্মদপুর থানা, দক্ষিণে খুলনা জেলার তেরখাদা, দীঘলিয়া ও মোল্লার হাট, পূর্বে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ এবং পশ্চিমে যশোর জেলার অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও কোতয়ালী থানা অবস্থিত। নড়াইল জেলার আয়তন ৯৭৬ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ৬৫৯৬৮১ এর মধ্যে ৩৩৩৮১৬ জন পুরুষ ও ৩২৫৮৬৫ জন মহিলা। নড়াইলকে মোটামুটি নদী সমৃদ্ধ অঞ্চল বলা যায়। এই জেলার উপর দিয়ে মধুমতি, চিত্রা, কাজলা, নলিয়া, নড়াগাতি, নবগঙ্গা, কালিগঙ্গা ও আঠারবাঁকি ছাড়াও শিরোমনি শাখার গাল ও হ্যালিক্যাকস ক্যানেল প্রবাহিত ছিল। তন্মধ্যে ৩/৪ টি নদী মৃত বলা চলে, অপর ৮/৭টি নদী এখন প্রবাহমান।
    ভূতাত্বিকদের মতানুসারে আনুমানিক দশ লক্ষ বৎসর পূর্বে গঙ্গা নদীর পলিমাটি দ্বারা যে গঙ্গেয় ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছিলো’ সেই দ্বীপসমূহের অন্তর্গত এক ভূখন্ডই হল বর্তমান নড়াইল জেলা। তৎকালে নড়াইল জেলা সাগর তীরবর্তী বর্তমান সুন্দরবনের অন্তর্ভূক্ত ছিল। ষাট, সত্তর বৎসর পূর্বেও এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পুকুর বা কুয়া খনন করে হরিণ, বাঘ ও অন্যান্য জীবজন্তুর ফসিল পাওয়া যেত এবং তা থেকে প্রমাণিত যে নদীমাতৃক এই জেলার সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূমি বিস্তৃত ছিলো।
    ইতিহাস অনুযায়ী জানা যায় যে গুপ্ত যুগে নড়াইল অঞ্চলের পূর্ব সীমান্ত মধুমতি নদী পর্যন্ত, সমগ্র যশোর সহ গুপ্ত সম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং ইহা ৩৪০ হতে ৩৭৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলো। রাজা শাশাঙ্ক ৬০০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন এবং তার রাজধানী ছিল কর্ণ সুবর্ণ নগর মতান্তরে লক্ষণাবর্তী। অতঃপর সম্রাট হর্ষ বর্ধন শশাঙ্ককে পরাজিত করে এই অঞ্চলকে তারা করায়ত্ত করেন। অতএব বলা যায় যে বৃহত্তর যশোরসহ নড়াইল জেলা শশাঙ্গ ও হর্যবর্ধন রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। আনুমানিক দেড়শত বৎসর নড়াইল জেলা অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চল বাহুবলে শাসিত হয়েছিল বলে জানা যায়। শুধু এই অঞ্চলই নয় সমগ্র বাংলাদেশই এরূপ দু’জন রাজা ছিলেন নয়াবাড়ীর পাতালভেদী রাজা এবং উজিরপুর কশিয়াড়ার রাজা।

    পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলে পাল বংশ দ্বারা শসিত হয়। পাল বংশের পতনের কর্ণাটক হতে আগত সেন রাজাদের রাজত্য কায়েম হয়। ১২০০ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কি সেনা নায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বাংলাদেশ অধিকারের ফলে রাজা লক্ষণ সোনের রাজত্বকাল সমাপ্তি ঘটতে থাকে। এরপর আসে মুসলিম শাসনামল। তখন, বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় পর্যায়ক্রমে ৩৭ বৎসর পাঠান আমল এবং অতঃপর প্রায় দুইশত বৎসর সুলতানী আমল বিরাজমান ছিল। ইংরেজ আমলে ১৭৮৬ সালে যাশোর একটি জেলা রূপে প্রকাশ পায়। তখন নড়াইলের পূর্বাঞ্চল ব্যতীত সমগ্র বৃহত্তর যশোর সহ বৃহত্তর খুলনা জেলা যশোরের অন্তর্গত ছিল। ১৯৯৩ সালে নলদী পরগণা সহ ভূষণা ফরিদপুর জেলার পশ্চিমাঞ্চল যশোরের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৪২ সালে খুলনাকে পৃথক মহকুমায় পরিণত করে নড়াইলের কালিয়া থানার দক্ষিণাঞ্চল তার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের সময় নড়াইল একটি পৃথক মহকুমা স্থাপিত হয়। মহকুমা সদরের স্থান নির্বাচনের জন্য মহিষখোলা মৌজার নড়াইল মহকুমার সদরকেই বেছে নেয়া হয়। প্রকৃত নড়াইল মৌজা শহর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে যেখানে নড়াইলের জমিদারদের প্রসাদ অবস্থিত ছিলো এবং অপরদিকে মহকুমা প্রশাসকের বাসভবনই নীলকরদের কুঠিবাড়ী ছিল।
    ১৯০১ সালের শুমারী অনুযায়ী নড়াইল মহকুমা-নড়াইল, বড় কালিয়া, লোহাগড়া থানা গঠিত যার লোক সংখ্যা ছিলো ৩৫২২৮৯ জন। ১৯৩৯ সালের তথ্যে জানা যায় যে, সাবেক যশোরের পাঁচটি মহকুমার পূবাঞ্চলের একটি সমৃদ্ধশালী মহকুমা ছিল নড়াইল। ১৯৩৫ সালে সীমানা পূর্ণগঠনের প্রেক্ষিতে বিদালী, পোড়ালী ও শেখহাটি ইউনিয়নকে নড়াইল থানার সাথে এবং পোড়লী ইউনিয়নকে কালিয়া থানার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
    ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর লোহাগড়া, কালিয়া, আলফাডাঙ্গা ও নড়াইল এই চারটি থানা নাড়াইল মহকুমা অবশিষ্ট থাকে। ১৯৬০ সালে আবার আলফাডাঙ্গা নাড়াইল হতে বিছিন্ন করে ফরিদপুরের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এইভাবে বিভিন্ন সময় নড়াইলের ভৌগোলিক সীমারেখা সংকুচিত করা হয়েছে।
    বর্তমানে ৪টি থানা নিয়ে নড়াইল জেলা গঠিত-
    লোহাগড়া, কালিয়া, নড়াগাতি ও নড়াইল সদর।
    ১৯৪৮ সালে ১লা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে নড়াইলকে জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও অনেক সংগ্রাম, হরতাল, সমাবেশ ও অনশন ধর্মঘটের ফলশ্রুতিতে ১৯৮৪ সালের ১লা জুলাই নাড়াইলকে পূণাঙ্গ জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
    শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নড়াইল জেলার বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী। যেমন জেলার শিক্ষিতের হার ২৯% যেখানে দেশের শিক্ষিতের হার ২৪%। ১টি সরকারী ও ১টি মাহিলা কলেজ সহ মোট ৬টি কলেজ বিদ্যমান। ৭৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২টি সরকারী, ৯টি বালিকা ও জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭টি। এছাড়াও ১টি মহিলা মাদ্রাসা ও ১টি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। ঐতিহাসিক পুরাকীর্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রায় দেড় ডজন স্থাপনা। তন্মধ্যে, রায়ত্তামের জোড়া বাংলা, নলদী গাজীর দরগাহ, পাতালবেদী রাজার বাড়ী লোহাগড়া প্রাচীন জোড় বাংলা, রাজা কেশব রয়ের বাড়ী, লক্ষ্মীপাশা কালীবাড়ী অন্যতম।
    এইসঙ্গে ছিলো নড়াইলের কিংবদন্তীসম ফকির দরবেশ ও ধর্মপ্রচারকদের নাম উল্লেখযোগ্য যোমন- ফকির ওসমান, সাধক লেংটা শাহ, বুড়ো দেওয়ান, গঙ্গাধর পাগল অন্যতম। নড়াইলের বিভিন্নস্থনে চারজন জমিদার ছিল, যেমন নড়াইলের জমিদার হাটবাড়ীয়ার জমিদার কালাড়া ও নলদীর জমিদার, এছাড়াও এদের অধীন ৭ জন তালুকদার বা ছোট জমিদার দিন। নীলচাষ আমলে সমস্ত নড়াইলে প্রায় ২০টির মত নীল সাহেবদের কুঠিবাড়ী ছিল। সমস্ত জেলার প্রায় দেড়শত গ্রাম ও জনপদ নিয়ে গঠিত।উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • সুজানগরের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে সবার সহযোগিতা চাইলেন নবাগত কৃষি অফিসার

    সুজানগরের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে সবার সহযোগিতা চাইলেন নবাগত কৃষি অফিসার

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার নতুন উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী। ৩৬তম বিসিএস(কৃষি)ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে চাকরি জীবন শুরু করা এ দক্ষ কর্মকর্তা সোমবার(৩০ জুন) সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন । এর আগে তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুজানগর উপজেলায় কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদান উপলক্ষে মঙ্গলবার(০১ জুলাই) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন যোগদানকৃত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী তিনি তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলার কৃষক-কৃষাণীদের আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষাবাদে উৎসাহিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এছাড়াও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক নিয়মাবলী, এবং পরিবেশ-বান্ধব চাষাবাদের কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ,নিয়মিত কৃষক সভার মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা , নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া, কৃষকদের সরকারের বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক প্রণোদনা, ঋণ সুবিধা, এবং অন্যান্য সহায়তা সম্পর্কে অবহিত করা যাতে তারা এসব সুবিধা গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারে, কৃষকদের জন্য উন্নত মানের বীজ ও সারের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়, যা তাদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা করা, সবসময় কৃষকদের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা, যাতে কৃষকরা যেকোনো সমস্যায় নিঃসঙ্কোচে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এছাড়াও তিনি কৃষকদের উৎসাহিত করবেন যাতে তারা আধুনিক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারেন আর এ জন্য নতুন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী উপজেলার কৃষক-কৃষাণীসহ উপজেলাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন,সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আবুল কাশেম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার পার্থ প্রতীম রায়, মো.মনিরুজ্জামান, রত্না খাতুন, নুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আব্দুদ দাইয়ান, তোসলিম হোসেন,মাসুদ উল্লাহ, অর্জুন কুমার সরকার, মেকদাদ হোসেন, মাহমুদ জুয়েল, সাইদুল ইসলাম, সম্পা রাণী,মিজানুর রহমান, আল আমিন, মোমিন হোসেন, সিরাজুল হক মাবুদ, কুতুব উদ্দিন, শাহা আলম ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রুমানা আক্তার, আম্বিয়া খাতুন,বিশ্বজিৎ শীল, দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • বৃষ্টির কারণে পাইকগাছায় ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে

    বৃষ্টির কারণে পাইকগাছায় ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    বর্ষায় ছাতা কারিগরদের কদর বাড়ছে। ঋতুর এই দেশ বাংলাদেশ। বর্ষার দুই মাস হলো আষাঢ় আর শ্রাবণ মাস। এ বছর আষাঢ় মাস থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই বর্ষাকালে ছাতার ব্যবহার অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়ে যায় ছাতা কারিগরদের।সারা বছর তেমন একটা কাজ থাকে না ছাতা কারিগরদের। তবে বর্ষা যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ, বর্ষা এলেই কদর বাড়ে তাদের। আর গেলো কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাইকগাছায় ছাতা কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।সারা বছর পাইকগাছা উপজেলার পৌরসভা বাজার, নতুন বাজার, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি বাজারে ছাতা মেরামতের কাজ করে কারিগররা, তবে বর্ষাকালে উপজেলার পৌরবাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর, চাঁদখালী,আগড়ঘাটা, কপিলমুনি,গড়ইখালী, বাকা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে মৌসুমী কারিগররা ছাতা মেরামত করছে। এসব স্থানে নষ্ট ছাতা মেরামত কর লোকজনের ভিড় করছে। কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছেন।পাইকগাছা পৌরসভা বাজার পোস্ট অফিসের সামনে ফুটপাতে ছাতা মেরামতে ব্যস্ত ছিলেন কামাল শেখ। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি ছাতা মেরামতের কাজের সঙ্গে যুক্ত। কামাল শেখ বলেন, বৃস্টি হলে কাজও বেশী হয়। বৃষ্টির দিনে ছাতা মেরামতের কাজ একটু বেশি হয়। এসময় তিন থেকে পাচ শত টাকা রোজগার হয়। টানা বৃস্টির দিনগুলিতে ১৫ শত টাকা থেকে দুই হাজার টাকার কাজ করেছি। তবে অন্য সময় তেমন একটা কাজ থাকে না। ছাতা মেরামতের সামগ্রীর দাম বেড়েছে আর মুজুরিও বেশি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ছাতা মেরামত করতে আসা জনসাধারণের।উপজেলার সরল গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এখন বৃষ্টির সময়। বাতাসে ছাতার শিক ভেঙ্গে গেছে, তাই স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে গেলে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ছেলেমেয়েদের জন্য ছাতা দুইটা মেরামত করতে এসেছি।নতুন বাজারের ছাতার কারিগর গনেশ দাশ বলেন, ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশাই গেছে।আবার অনেকে পূর্বপুরুষের এ পেশা ছাড়তেও পারেনি। পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় কেউ আসতে চায় না। তাই দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • পাইকগাছায় পাখির জন্য গাছে মাটির পাত্র স্থাপন

    পাইকগাছায় পাখির জন্য গাছে মাটির পাত্র স্থাপন

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    পাখির অভয়ারণ্য পাখি সংরক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসবাস করে এবং তাদের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি ঘটে। এই স্থানগুলি পাখিদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সরবরাহ করে, যেখানে তারা শিকারী প্রাণী এবং পরিবেশগত পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকে।পাখির অভয়ারণ্য হল এমন একটি স্থান, যেখানে বন্য পাখি এবং তাদের আবাসস্থলকে রক্ষা করা হয়। এখানে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়, প্রজনন ক্ষেত্র এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা, যেখানে পাখি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি ২০১৬ সাল থেকে পাখি সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং পাখির নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাখির জন্য গাছে গাছে মাটির পাত্র স্থাপন,পাখি শিকার রোধে লিফলেট বিতারণ, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং মাঠসভা আয়োজন। উপজেলাকে পাখির অভয়ারণ্য ও বিভিন্ন গ্রামগুলিকে পাখির গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।পাইকগাছায় পাখি সংরক্ষণের জন্য পাখিদের নিরাপদ প্রজনন ও আবাসনের জন্য বিভিন্ন গাছে মাটির পাত্র, ঝুড়ি ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। গাছের অপ্রতুলতার কারণে অনেক সময় পাখিরা আবাসস্থল সংকটে পড়ে। তাই, পাইকগাছায় গাছে মাটির হাঁড়ি, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কৃত্রিম বাসা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। গ্রীষ্ম কালে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাখিরা সহজে যাতে পানি পেতে পারে তার জন্য প্রতিদিন সকালে পাত্রে পানি পূর্ণ করে রাখা হচ্ছে।পাখি শিকার রোধ এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা হয়। পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। স্কুলে – কলেজে শিক্ষার্থীদের পাখি সংরক্ষণে আলোচনা সভা, স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে মাঠসভা করা হয়। এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে পাইকগাছায় পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • গৌরনদীতে আই-নশৃঙ্খলা কমিটির  মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    গৌরনদীতে আই-নশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি
    গৌরনদী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির জুন মাসের নিয়মিত মাসিক সভা সোমবার বেলা ১১টায় গৌরনদী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি। সভাপতির সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে মাদক, বাল্য বিয়ে ও কিশোর অপরাধ দমনে মাঠপর্যায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।”
    সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাজিব হোসেন, গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইউনুস মিয়া, গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আমিনুর রহমান, গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, মাইটিভি গৌরনদী প্রতিনিধি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার শেখ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল , উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, আব্দুর রাজ্জাক, নুর আলম সেরনিয়াবাত, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র দেবনাথ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান ফরিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভিন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হামমাদ বিন হোসাইন।