Blog

  • ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়নে অ-গ্নিকাণ্ডে ক্ষ-তিগ্রস্তদের পাশে ইউএনও ইউএনও-পিআইও

    ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়নে অ-গ্নিকাণ্ডে ক্ষ-তিগ্রস্তদের পাশে ইউএনও ইউএনও-পিআইও

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া এলাকায় বসতবাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট এর কারণে আগুন লেগে ছয়টি
    বসতঘর সহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ছয়টি ঘর পুড়ে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর মালিকরা , অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী পরিদর্শন করেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।

    আগুনে পুড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলেন- নয়াপাড়া এলাকার আব্দুস ছালাম এর পুত্র ইব্রাহিম খলিল, হারুনর রশীদ, রনি, মোহাইমিন , মৃত হাকিম উদ্দীনের পুত্র গোলাম মোস্তফা মৃত আক্কাস আলীর স্ত্রী আকিমুননেছা।

    বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ী পরিদর্শন করতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও খোঁজ খবর নেন, এবং প্রত্যেককে
    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার প্রদান করেন এবং পরিবার গুলোর ঘর পুনঃনির্মাণের জন্য ০২(দুই)বান্ডেল করে ঢেউটিন ও ০৬(ছয়)হাজার করে নগদ টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদ উল্লাহ জানান-ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকীউল বারী স্যার ও আমি তাত্ক্ষণিক ভিজিট করি।পরিবার গুলোকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ (ডিডিএম) এর পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত শুকনা খাবার প্যাকেট তুলে দেন ইউএনও স্যার। এসময় তিনি পরিবার গুলোর ঘর পুনঃনির্মাণের জন্য ০২(দুই)বান্ডেল করে ঢেউটিন ও ০৬(ছয়)হাজার করে নগদ টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী ক্ষতিগ্রস্তদের সান্তনা দিয়ে বলেন আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে ।তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের জন্য আবেদন করবো যাতে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী এমন আকস্মিক বিপদে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান

  • স’মিলের শব্দে অতি-ষ্ঠ ফুলবাড়িয়ার কালাদহ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বাসিন্দারা

    স’মিলের শব্দে অতি-ষ্ঠ ফুলবাড়িয়ার কালাদহ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বাসিন্দারা

    আরিফ রব্বানী।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নে জনবহুল ও আবাসিক এলাকা
    কালাদহ গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি স’মিল। এখানে রাত-দিন গাছ চেরানোর শব্দে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এই স মিলের কারণে লেখাপড়াতো দুরে থাক, ঘরে একে-অন্যের কথা পর্যন্ত শোনেন না।

    স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এখানে দিন ও রাতে সবসময় কাঠ চেড়ানোর ফলে স মিলের পাশে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাগাত ঘটে, তাছাড়া গভীর রাতে ট্রাকে গাছ ও কাঠ ওঠানো-নামানো হয়। গাছভর্তি ট্রাক প্রবেশের পাশাপাশি কাঠবোঝাই ট্রাকও বের হয়। এসব কাজের সময় বিকট শব্দ হয়। এ কারণে তাদের ঘুমে এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি করেন তারা।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালাদহ ইউনিয়নের কালাদহ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র প্রভাবশালী আঃ ছাত্রার ওরফে সেলিম মিয়া ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে এই স’মিল গড়ে তুলেছেন। স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর পার্সন হিসাবে দাবি করেন। তাই তার স মিলের লাইসেন্স না থাকলেও কেউ এটা বন্ধ করতে পারনি।

    স্থানীয় তানিম, গোলাম মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন বলেন, “এই স’মিলের কারণে রাতে ঘুমাতে পারি না। গভীর রাতে ট্রাকভর্তি সরকারী গাছ এনে এই মিলে ফেলা হয় এবং তা রাতেই চেড়ানোর পর আবার ট্রাক ভরে নিয়ে যাওয়া হয়, গাছ চেড়ানো ও ফেলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এছাড়া রাতদিন কাঠ চেরানোর শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বারবার অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।”

    পাশের ঘরের বাসিন্দা রাসেল, মোয়াজ্জেমসহ আরো কয়েকজন বলেন, ‘মিলের শব্দে বাসায় একে-অন্যের সঙ্গে কথা বললে তা শোনা যায় না। বাচ্চাদের পড়াতে পারি না। স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনও সমাধান দিতে পারছেন না তারা।

    কালাদহ সমিল এর সাথেই-কালাদহ দাখিল মাদ্রাসা, কালাদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিক অবস্থিত।

    যদিও স’মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটার সরকারি বনভূমি সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না এ ছাড়া সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের ভিতরে স’মিল স্থাপন। এ ছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে সমিল চালানো যাবে না। তবে এসব নিয়মনীতি স মিল মালিক আঃ সাত্তার মোঃনসেলিম মানছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।

    যেখানে আবাসিক এলাকায় লাইসেন্স দেওয়ার কোন বিধিমালা নেই সেখানে কালাদহ গ্রামের কালাদহ দাখিল মাদ্রাসা, কালাদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,
    মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথেই অবস্থিত এই স মিল মালিক আঃ সাত্তার মোঃ সেলিম মিয়া কোন খুটির জোড়ে মিল ব্যবসা চালাচ্ছেন এনিয়েও স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনা চলছে।

  • জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ  জেলা প্রশাসনের দোয়া

    জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী ছাত্র জনতার রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র জনতার রূহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করেন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম । তিনি বলেন, “এই দিনটি আমাদের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা গণতন্ত্র ও ন্যায়ের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমরা তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।”

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং জাতির কল্যাণ ও শান্তি প্রার্থনায় মুনাজাত করেন।

  • মৌলিক সংস্কার বিষয়ক আলোচনা ও জুলাই শহী-দদের স্মর-ণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    মৌলিক সংস্কার বিষয়ক আলোচনা ও জুলাই শহী-দদের স্মর-ণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (National Citizen Party – (NCP), ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে “মৌলিক সংস্কার বিষয়ক আলোচনা সভা ও জুলাই শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং (এনসিপি) ময়মনসিংহের অন্যতম নেতা মাহফুজুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার (১ জুলাই)সকাল ১১টায় ময়মনসিংহের মধ্য বারেড়া আল-কারিমুল বারী রহ. দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও মানবিক সংগঠক ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য মোঃ জসীম উদ্দিন।

    জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা
    সম্মানিত সদস্য ও সংগঠক, হাফেজ মাওলানা মোকাররম আদনান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
    প্রধান আলোচক,, হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সম্মানিত সদস্য, মোঃ তারিক হোসেন। আলোচক,, হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য, মোঃ মাসুদ রানা।

    আলোচনায় বক্তারা বলেন, “জুলাই মাস শুধুমাত্র একটি তারিখ বা সময়কাল নয়, এটি বাঙালির স্বাধীনতা চেতনা, আত্মত্যাগ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক গৌরবময় প্রতীক। একটি রাষ্ট্র বা জাতির কাঠামোগত অগ্রগতির জন্য মৌলিক সংস্কার অপরিহার্য।”

    সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা
    মোকাররম আদনান , বলেন আপনারা জনগণ আপনারাই শক্তি, আপনাদের মূল্যবান ভোট এমন ব্যক্তিকে দিবেন , যাকে দিলে আপনার, আপনার সমাজের, আপনার এলাকার, আপনার প্রতিবেশীর এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয় । কালো টাকার বান্ডিল , এক কাপ চা, দুই খিলি পানের বিনিময়ে আপনার মূল্যবান ভোট যেন বিক্রি হয়ে না যায়।

    আলোচনা পর্ব শেষে এক আবেগঘন দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এবং মসজিদে নামাজ শেষে মুসুল্লিদের নিয়ে জুলাই শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

  • গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী

    গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী

    রাসেল শেখ।
    গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
    গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আহত স্বামীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহত ব্যক্তির নাম সোহেল মিয়া (২২)। তিনি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সোহেলের বড় ভাই ফারুক আহমেদ জানান, “কুরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে আমার ভাই ময়মনসিংহ জেলার এক মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করে। তারা ভবানীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। মঙ্গলবার সকালে খবর পাই, আমার ভাইয়ের স্ত্রী তার গোপনাঙ্গ কেটে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।”

    ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে আনা হয়। বর্তমানে তার জরুরি বিভাগের চার নম্বর অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

    জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত নারীকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

  • কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ

    কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ

    রাসেল শেখ,
    গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
    গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের বেহাইদুয়ার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. নাঈম (২৬)। তিনি ওই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে।

    ঘটনার পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

    নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজের নির্দেশে ১৫টি সিএনজি করে রিয়াজের অনুসারীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নাঈমকে হত্যা করেছে।

    কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি),জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, বাদীর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। আর অভিযোগ দিলে সাথে সাথে মামলা রেকর্ড করা হবে।

  • গোদাগাড়ীর  রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির  সভাপতি হলেন বাবু

    গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন বিএনপি নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক, দেওপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারাম্যান মৃত্যু মহিউদ্দীন বিশ্বাসের বড় ছেলে মোঃ নাসিরুদ্দীন বাবু।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, গত ১৭ জুন বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অনুমোদন পেয়েছি। আজকে ১ জুলাই কমিটির প্রথম মিটিং করলাম। বিগত সাড়ে ১৫ বছর বিদ্যালয়ের তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি। বিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী। শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষ, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সমস্যায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল ভাল হয়। অথচ আমাদের বিদ্যালয়টি উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার। এ নবগঠিত কমিটির সদস্যের নিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের চেষ্টা করব ইনসাল্লাহ।

    বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটির কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোসাঃ বদরুন্নেসা বিউটি বলেন, বিদ্যালয়টি সব সময় উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে।
    উন্নত মানসম্মত, আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান করতে হলে অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী। নানাবিধ সমস্যার জন্য পাঠদান কিছু টা ব্যাহত হচ্ছে।

    বিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটির অভিভাবক সদস্য আজিজার রহমান বলেন, সত্যি কথা বলতে কি বিগত সাড়ে ১৫ বছরে একাধিকবার এমপি ফারুক চৌধুরী বিদ্যালয়ে এসে হাজার হাজার শিক্ষাথীদের উপস্থিতিতে ভবনের নির্মান করে দেয়ার ঘোষনা করলেও বাস্তবে কথা রাখেন নি। বিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশী ছাত্রছাত্রী, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলও ভাল শ্রেণীকক্ষ, চেয়ার, বেঞ্চ, টেবিলসহ আসবাবপত্রের বড় সমস্যা। জরুরি ভিক্তিতে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

    প্রকৌশলী শরিফ বলেছেন, ইনশাল্লাহ আশা করি আপনার গতিশীল নেতৃত্বে রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয় এর আমুল পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ।

    নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নাসিরুদ্দিন বাবু বলেন, এই বিদ্যালয়ে আমার কৈশোর কেটেছে। বছর কয়েক চাকরিও করেছি। আজ দেখলাম গত ১৭ বছরে কোন উন্নতির ছাপ ও নেই। কিন্তু এবার মেরামতের দায়িত্ব পেয়েছি। আল্লাহ পাক সুযোগ দিলে কিছু যে, করা যায়। সেটাই এবার করে দেখাবো আমার জন্য দু’আ করবেন। শিক্ষার মান একেবারেই শূন্যের কোঠায়। অভিভাবকদের সাথে অচিরেই মত বিনিময়ের মাধ্যমে, ভালো শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম

    কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম

    আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ :ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেছেন, যারা চুরি, ছিনতাই, মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি,চুরি-ছিনতাই করবে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে পর্দার আড়াল থেকে সহযোগিতা করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। ময়মনসিংহে মাদক,জুয়া,
    ইভটিজিং,চাদাবাজি,চুরি,ছিনতাইকারী,
    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী করে কেউ ছাড় পাবে না।

    মঙ্গলবার (১জুলাই) বিকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কেওয়াটখালী এলাকায় চুরি, ছিনতাই ,মাদক,জুয়া,জঙ্গিবাদ,কিশোর অপরাধ
    , সাইবার ক্রাইম, নারী নির্যাতন,ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে জনগণকে সচেতন, সতর্ক করাার মাধ্যমে সকল অপরাধ নির্মুল করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও স্বাভাবিক রাখার লক্ষে আয়োজিত বিট পুলিশিং সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম । এ সময় কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই হুমায়ুন কবিরসহ কেওয়াটখালী এলাকার বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় সন্ত্রাস, মাদক,চুরি,ছিনতাই,খুন,হত্যা চাঁদাবসজি ও ধর্ষণের মত জগণ্য ঘটনা ছাড়াও অন্য যে কোন অপরাধ যাতে না হয় তার জন্য জনগণের উপলব্ধি বাড়াতে এবং ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ সকল প্রকার অপরাধ নির্মুলে সবাইকে সচেতন, সহনশীল ও সতর্ক থাকারও আহবান জানান ওসি শিবিরুল ইসলাম ।

    সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বিট পুলিশিং সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সমাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীর সংখ্যা গুটি কয়েকজন। এদেরকে শায়েস্তা করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন হতে হবে। এদেরকে প্রতিহত করা কঠিন কাজ নয়। পুলিশের কাজ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। সকলের সহযোগীতা থাকলেই কেবল এটা সম্ভব।

  • মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা

    মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আর খেলাধুলার মাধ্যমেই মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। শিক্ষার্থীদের মেধাবী হিসাবে গরতে পারলেই শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব।তিনি বলেন- শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়বে এবং তাদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায় ও দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হবে।

    সোমবার (১জুলাই) সকালে তিনি উপজেলার
    খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসায় শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারাম বোর্ড বিতরণকালে শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন।

    এসময় তিনি বলেন-খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসায় লেখাপড়ার মান অত্যন্ত সন্তোষজক জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এজন্যে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই। তিনি আরো বলেন, এ মাদ্রাসার অবকাঠামোসহ সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ অচিরেই করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জন্য দোয়া করবেন। তিনি এ দেশকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা,অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

    ইউএনও মাসুদ রানা আরো বলেন, উন্নত জাতি গঠনে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নের বর্তমান সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইভটিজারদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, সরকার ইভটিজারদের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখেছে। রাস্তাঘাটে কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা যাবে না। এদিন মাদ্রাসায় ইউএনও’র আগমনে শুরুতেই মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তাকে লালগালিচার শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারাম বোর্ডসহ বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, এবং দায়িত্ববোধ খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাদের মধ্যে সহযোগিতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী তৈরি করে এতে শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়তা করে। বকশিগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অভিভাবকরা।

  • নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য  জুলাই  পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি

    নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর শহরে ৬ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মাসব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

    গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শহীদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থান—রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট সংলগ্ন পার্ক মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর এটি লালবাগ, খামার মোড়, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর হয়ে ডিসি মোড়ে গিয়ে রাত ৯টায় শেষ হয়। ডিসি মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় নেতৃত্ব দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

    পথসভায় বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই এক বছরে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির ব্যবধান টের পেয়েছি। তাই রাষ্ট্র সংস্কার, বিচার প্রতিষ্ঠা ও নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা এই পদযাত্রায় নেমেছি।”

    তিনি আরও জানান, জুলাই মাসজুড়ে এনসিপি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় যাবে, জনগণের কথা শুনবে এবং তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরবে।

    এর আগে সকাল ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে নেতারা শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হন। গাইবান্ধায় পথসভা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা পুনরায় রংপুরে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে বিশ্রাম শেষে সন্ধ্যায় আবার পদযাত্রা শুরু হয়।

    পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

    এ সময় পুরো শহরজুড়ে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। শুধু রংপুর জেলা নয়, আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরাও পদযাত্রায় যোগ দেন। নেতারা জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগজুড়ে আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যাপকভাবে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।