Blog

  • ঢাকার আশুলিয়ায় লা-শ পো-ড়ানোর মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফ-তারি পরো-য়ানা

    ঢাকার আশুলিয়ায় লা-শ পো-ড়ানোর মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফ-তারি পরো-য়ানা

    হেলাল শেখঃ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলার সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় মামলার পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

    বুধবার (২ জুলাই ২০২৫ইং) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

    এর আগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ৬জনকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর মামলার ট্রাইব্যুনালে ১৭৩ পৃষ্টার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

    বুধবার সকালে ছয় মরদেহ পোড়ানোর এ মামলায় সাত আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।

    ২৪ জুন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয় জনকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২ জুলাই নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    এর আগে গত ১৯ জুন এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় প্রসিকিউশন। এদিন, সকালে এই মামলায় গ্রেফতার পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি, শাহিদুল ইসলামসহ ৭ জনকে হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।

    গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫ জন। একজন গুরুতর আহত হন। পরে ৫ জনের মরদেহ এবং আহত একজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

    প্রসিকিউশন জানায়, এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। এদিকে সারা দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে আশুলিয়ায়, মামলার ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষ অনেকেই হয়রানি ও মামলা বাণিজ্যের শিকার হয়েছেন।

  • হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন: ধর্মীয় বন্ধন থেকে আইনি স্বীকৃতির পথে

    হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন: ধর্মীয় বন্ধন থেকে আইনি স্বীকৃতির পথে

    লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জঃ
    বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিবাহ শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, একটি ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় আচার অনুসারে সম্পন্ন হওয়া বিবাহকে যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হলেও সময়ের পরিবর্তনে এখন এই সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং নারীর অধিকার রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। আজ এই সম্পর্কের শুধু ধর্মীয় নয়, আইনি ভিত্তিও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।হিন্দু বিবাহকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে যে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে, তা এখন কেবল নথিভুক্তির বিষয় নয়—বরং নারী-পুরুষের সম্মান, অধিকার ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষার অন্যতম নিয়ামক।
    হিন্দুশাস্ত্র মতে বিবাহ: হিন্দুশাস্ত্র মতে, বিবাহ হলো সমগ্র জীবনে যে দশটি সংস্কার বা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ সংস্কার। এটি মানবজীবনের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় দায়িত্ব, যেখানে নারী ও পুরুষ সংসার ধর্ম পালন ও চারটি পুরুষার্থ—ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। বিবাহ নারী-পুরুষের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন স্থাপন করে এবং গৃহস্থ্য জীবনের সূচনা করে। এটি কেবল পারস্পরিক সম্পর্ক নয়, দুইটি পরিবারের মধ্যে আত্মিক বন্ধনও গড়ে তোলে।
    বাংলাদেশের হিন্দু বিবাহের প্রচলিত রীতি: বাংলাদেশে হিন্দু বিবাহ সাধারণত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করেই অনুষ্ঠিত হয়। পুরোহিতের উপস্থিতিতে মন্ত্র পাঠ, মালাবদল, অগ্নিসাক্ষী, সাত পাক ঘোরা, সিঁথিতে সিঁদুরদান ইত্যাদি ধাপে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই আচারগুলো বিবাহের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং হিন্দু ধর্ম মতে পরিহার্য অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। তবে এসব বিবাহে ধর্মীয় রীতিতে সমাজে বৈধ বিবেচিত হলেও রাষ্ট্রের কাছে এর কোনো লিখিত স্বীকৃতি থাকত না।ফলে আইনি দলিল ছাড়া এই বিবাহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় না।
    কেন প্রয়োজন হলো বিবাহ নিবন্ধন আইন: দেশের প্রচলিত আইনে মুসলিম, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিবাহ নিবন্ধনের বিধান থাকলেও হিন্দুদের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা ছিল না। নিবন্ধন ছাড়া বিবাহের আইনি স্বীকৃতি না থাকায় বহু হিন্দু নারী ও সন্তান নানা সময়ে ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার বা বৈধতার প্রশ্নে বঞ্চিত হন। স্বামী যদি সম্পর্ক অস্বীকার করেন বা হঠাৎ মারা যান, তবে নারীর হাতে কোনো লিখিত প্রমাণ না থাকায় আইনগত অধিকার হারিয়ে ফেলেন। এসব সমস্যার প্রতিকার ও নারীর অধিকার নিশ্চিত করতেই হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন প্রণয়নের দাবি ওঠে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ২০১২ সালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়, যা ২০১৫ সালে জাতীয় সংসদে পাশ হয়।
    এই আইন কী এবং কাদের জন্য: আইন অনুযায়ী, হিন্দু রীতিতে সম্পন্ন বিবাহ নিবন্ধনের মাধ্যমে আইনি স্বীকৃতি পায়। এটি বাধ্যতামূলক না হলেও, যেকোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ এই আইনের আওতায় বিবাহ নিবন্ধন করতে পারেন। তবে শর্ত হলো—উভয় পক্ষকেই হিন্দু হতে হবে, এবং বিবাহ অবশ্যই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে হবে।
    আধুনিক যুগে বিবাহ নিবন্ধনের সুবিধা: সমাজে নারীর অধিকার, সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং দাম্পত্য জীবনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিবাহ নিবন্ধন এখন সময়ের দাবি। এটি নারীকে প্রতারণা ও অবহেলার হাত থেকে রক্ষা করে, আইনি সুরক্ষা দেয় এবং সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করে।
    কী সুবিধা মেলে নিবন্ধনে: বিবাহের বৈধতা আইনত প্রতিষ্ঠা পায়। সন্তানের পরিচয় ও অধিকার নিশ্চিত হয়। স্বামী বা স্ত্রীর নামে সম্পত্তি দাবি করা সহজ হয়। পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামী-স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্তি সহজ হয়। আদালতে বিবাহ প্রমাণ সহজ হয়। ভবিষ্যৎ বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণ বা সন্তান অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে সুবিধা মেলে।
    নিবন্ধন না করলে কী অসুবিধা: আদালতে বিবাহ প্রমাণ করতে ব্যর্থতা। নারী দাম্পত্য সম্পর্কের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন ফলে সম্পত্তি বা ভরণপোষণ দাবি জটিল হতে পারে। সন্তানদের জন্মনিবন্ধনে সমস্যার সৃষ্টি। সন্তানদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। সম্পত্তির উত্তরাধিকার, ভরণপোষণ, পেনশন দাবিতে জটিলতা দেখা দেয়। পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘ম্যারেড’ হিসেবে প্রমাণ অসম্ভব। বিদেশগমন বা সরকারি কাজে বিবাহিত পরিচয় প্রমাণ করা কঠিন হয়। ভবিষ্যতে আইনি লড়াইয়ে দুর্বলতা।
    নিবন্ধনের পদ্ধতি: সিটি কর্পোরেশন, জেলা বা উপজেলার হিন্দু বিবাহ নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হয়।বিয়ের মন্ডপে বা বিয়ের পর পাত্র-পাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, বিবাহের তারিখ, স্থান ও সাক্ষীদের তথ্যসহ নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।
    শর্তাবলী: পাত্রের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং পাত্রী ১৮ বছর। উভয় পক্ষ হিন্দু হতে হবে। বিবাহ ধর্মীয় রীতিতে সম্পন্ন হতে হবে। উভয় পক্ষের সম্মতি আবশ্যক। পূর্বে বিবাহিত হলে উপযুক্ত কাগজপত্র (মৃত্যু সনদ বা বিচ্ছেদ দলিল) থাকতে হবে।
    বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়: বাংলাদেশে হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আলাদা বিধান না থাকলেও পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে এ বিষয়ে মামলা করা যায়। তবে এখনো কোনো পৃথক “হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদ আইন” নেই, ফলে এ ক্ষেত্রে আদালতের ব্যাখ্যা ও পূর্বের রায় অনুসারে সিদ্ধান্ত হয়। বিচ্ছেদের পরে নারীরা স্বামীর নাম ব্যবহার বন্ধ করতে পারেন বা চালিয়ে যেতে পারেন, যা একান্তই তাঁদের পছন্দের ব্যাপার। বিচ্ছেদের পর স্বামী ভরণপোষণ দিতে বাধ্য, যদি স্ত্রী নিজে উপার্জনক্ষম না হন। সন্তানের দায়িত্ব—বিশেষ করে যদি সন্তান সাবালক না হয়—তা নির্ধারণ করে আদালত, যা সন্তানের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করেই হয়। বিচ্ছেদের পর পুনরায় বিবাহ করতে আইনি বাধা না থাকলেও, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো অনেক ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, বিশেষত নারীদের জন্য।
    হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত না দিয়ে, বরং সম্পর্ককে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করে। এটি হিন্দু সমাজের জন্য এক ইতিবাচক অগ

  • জুলাই- আগষ্ট গনঅ-ভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ইয়াতিমদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

    জুলাই- আগষ্ট গনঅ-ভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ইয়াতিমদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ময়মনসিংহে জুলাই – আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও ইয়াতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

    বৃহস্পতিবার ( ৩ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরী শাখার আয়োজনে
    নগরীর দিঘারকান্দা অবস্থিত আলমানার এতিমখানায় এ খাবার বিতরণ করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরীর সম্মানিত আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনে ময়মনসিংহের শহীদ সাগরের সম্মানিত পিতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ কায়সার।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাওলানা এমরুল বলেন জুলাই আন্দোলন আমাদের জাতির জন্য এক বিরাট শিক্ষা, এটি থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। জুলাই আন্দোলনে এতোগুলা মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের একটি স্বপ্ন ছিল, তারা জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তারা স্বপ্ন দেখতো একটি সুন্দর, বৈষম্যহীন, ইনসাফ ভিত্তিক সমজের। তাদের সেই স্বপ্ন এখন আমাদের বাস্তবতায়ন করতে হবে। যে জুলুম বিতাড়িত করার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে সে জুলুম যেনো সমাজে কখনো আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে দিকে সবাই কে সতর্ক থাকতে হবে।
    এছাড়াও মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আল হেলাল তালুকদার, বায়তুল মাল সেক্রেটারি গোলাম মহসিন খান, অফিস সেক্রেটারি খন্দকার আবু হানিফ, যুব বিভাগের সভাপতি জনাব আব্দুল বারী, পরিবেশ সম্পাদক আজিজুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ময়মনসিংহ মহানগরীর সভাপতি ওয়ালিওল্লাহ মুজাহিদ, কাচিঝুলি সাংগঠনিক থানার আমীর আবু কাউসার, কর্মপরিষদ সদস্য হায়দার করিম সহ অনেকে।
    এসময় একশত এর অধিক ইয়াতিমদেরে সাথে নিয়ে খাবার গ্রহণ করেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

  • জনগণের মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজনীতি করি- ঘাগড়ায় এনসিপি নেতৃবৃন্দ

    জনগণের মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজনীতি করি- ঘাগড়ায় এনসিপি নেতৃবৃন্দ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলই মূল ভিত্তি”- ময়মনসিংহে এনসিপি নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা ১১নং ঘাগড়া ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ বৈঠকটি ছিল সম্পূর্ণ জনগণকেন্দ্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা এবং সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির মো. জসিম উদ্দিন, এইচ. এম. মোকাররম আদনান, মাহবুব চৌধুরী মিথুন, আব্দুল আল মামুন ফরাজী প্রমূখ। যোদ্ধাহত সৈয়দ মুরসালিন।

    নেতৃবৃন্দরা বলেন, “একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা আপনার অধিকার। এই অধিকার রাষ্ট্র দিতে বাধ্য, (এনসিপি) সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে যেখানে জনগণের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে ।

    তারাকান্দা প্রজাপতখিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল আমিন এর অনিয়মের কারনে ধংস হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ
    তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনীতি করি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি সচেতন সমাজই পারে একটি সুন্দর পরিপাটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।”

    জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য এইচ. এম. মোকাররম আদনান উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা আমাদের দাদী, নানী, চাচী, খালার, সমতুল্য আমরা আপনাদের সন্তান, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, আপনাদের উপর রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে আনতে, আপনাদেরকে সজাগ করতে এসেছি , (এনসিপি) আপনার মৌলিক অধিকার গুলো আদায়ে সোচ্চার রয়েছে।”

    তিনি আরো বলেন, আপনাদের এই ঘাগড়া ইউনিয়ন ময়মনসিংহ সিটির এতো নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও আপনাদের চলাচলের মূল রাস্তা দেখে মনে হলো আমরা হাজার মাইল দূরে কোন এক অজপাড়া গাঁয়ে এসেছি, এই অবস্থার জন্য অনেকটা আপনারাই দায়ী, আপনারা আপনাদের অভিভাবক নির্ধারণ করতে ভুল করেছেন, গত দেড় যুগের ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার এবং তার অনুসারীরা আপনাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, আপনাদের ভোটের অধিকার হরণ করে আপনাদের সম্পদে ভাগ বসিয়েছে, সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বাররা আপনাদের উপর জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে, আপনার ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে , আপনার বাক স্বাধীনতাটুকু স্বৈরাচারী পেশিশক্তি ব্যবহার করে প্রতিবাদের আওয়াজ বন্ধ করে রেখেছে, আজ ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পরে আরেকটা গোষ্ঠী ঠিক সেই স্বৈরাচারী কায়দায় আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে, আপনারা যে কোন মূল্যে আপনার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে, এই নব্য ফ্যাসিস্টকে প্রতিরোধ করবেন। আপনার মূল্যবান ভোট আপনিই চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন , আপনার ভোট আপনি কাকে দিবেন , হোক সে আপনার স্বামী,ভাই, বাবা কিংবা নিকটবর্তী আত্মীয় কারো মিষ্টি কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে কাকে ভোট দিলে আপনার আপনার সন্তানের আপনার প্রতিবেশীর এবং আপনার সমাজের উপকার হবে সেখানেই দিবেন।

    তিনি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এলাকার তরুণ এবং মুরুব্বিদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন এবং গ্রামের মূল চলাচলের রাস্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন। জনগণের অধিকার আদায়ে যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন , গ্রাম বাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যসমূহ, নারীদের রাজনৈতিক মৌলিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান, এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রম তুলে ধরা, জনগণের অভিযোগ ও সমস্যার সরাসরি শোনার উদ্যোগে সমাধানের পথ দ্রুত খুঁজে পাওয়া।

    উঠান বৈঠকে নারীদের বড় একটি অংশ অংশগ্রহণ করেন এবং গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা তুলে ধরেন। এনসিপি নেতৃবৃন্দ এসব সমস্যার প্রতি সহানুভূতির সাথে মনোযোগ দেন এবং দ্রুত সময়ের সমাধানের আশ্বাস দেন।

    ছবিতে দেখা যায়, উঠানে গোলাকারে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনসিপি নেতারা এবং উৎসুক জনতা খুব আবেগ এবং মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছেন। তাদের সমস্যা গুলো তুলে ধরেন ।

    এনসিপির বার্তা, “পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলই মূল ভিত্তি”

    এ ধরনের গণমুখী বৈঠক প্রমাণ করে, (এনসিপি) শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি গণজাগরণের আন্দোলন। এনসিপি বিশ্বাস করে, নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই একটি উন্নত, মানবিক ও সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করা।

  • বাঙ্গরায় একই পরিবারের তিন মা-দক ব্যাবসায়ীকে এলাকাবাসীর পি-টিয়ে হ-ত্যা

    বাঙ্গরায় একই পরিবারের তিন মা-দক ব্যাবসায়ীকে এলাকাবাসীর পি-টিয়ে হ-ত্যা

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার কড়াইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার জের ধরে নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।

    এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার উপপরিদর্শক মো. নাহিদ জানান, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন রুবি বেগম (৫৮), তার ছেলে রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)।

    এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এ তিনজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।

    তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ নিয়ে এলাকায় সামান্য উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

    সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন রয়েছে বলেও জানান বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।

    মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, কড়াইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নজির আহম্মেদ খান এরই মধ্যে ঘটাস্থলে পৌঁছেছেন। স্থানীয়রা সাংবাদিক দের জানান এই পরিবার ক্ষুদ্র থেকে কোটি পতি মাদককার করে সমাজের তরুনপ্রজম্মকে নষ্ট করে জাতিকে অন্দকারে নিয়ে যাচ্ছে, বারবার স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ব্যার্থ হয়েছে।

  • গ্রিল ওয়ার্কশপ বিরো-ধকে কেন্দ্র করে হাম-লা থানায় অভি-যোগ দায়ের

    গ্রিল ওয়ার্কশপ বিরো-ধকে কেন্দ্র করে হাম-লা থানায় অভি-যোগ দায়ের

    নাঈম মল্লিক,
    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

    রানাপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা সবুজ (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে (৩ জুলাই ২০২৫) দুপুর ২ টার দিকে ঝালকাঠি কলেজ খেয়াঘাট এলকায়, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, নাচনমহল ইউনিয়নের সোহরাব ও শামীমসহ আরও কয়েকজন দুর্বৃত্ত আজ দুপুরে সবুজের ওপর অকর্তৃত্বভাবে হামলা চালায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবুজের সঙ্গে সোহরাব ও শামীমের বিগত কিছুদিন ধরে একটি গ্রিল ওয়ার্কশপ ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই পুরনো দ্বন্দ্ব থেকেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    হামলার সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড ব্যবহার করে সবুজকে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সবুজকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।

    সবুজের পরিবার ও এলাকাবাসী এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

  • সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশ এগিয়ে যাবে-ইউএনও মাসুদ রানা

    সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশ এগিয়ে যাবে-ইউএনও মাসুদ রানা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেছেন-একটি দেশের উন্নয়ন কেবল সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি, প্রতিটি নাগরিক, বেসরকারি সংস্থা, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সহযোগিতা অপরিহার্য।
    তিনি বলেন, আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে কৃষক শ্রমিক শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশের সুনাম অর্জন করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

    বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বকশীগঞ্জ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট মাঠে দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি আয়োজিত মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে অসহায়, দুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউএনও। এসময় দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির ২৫০ জন সুবিধাভোগীর হাতে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেজ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ রানা আরও বলেন, “দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি সমাজের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেসরকারি সংস্থাগুলোর এমন মানবিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করে তুলছে।”

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির হেড অব অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন কোহিনুর আলম চৌধুরী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, পিআরও মুজাহিদুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার সৈকত মিয়া এবং আইটি ম্যানেজার সম্রাট বাবর।

    খাদ্য সহায়তা পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উপকারভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির এমন মানবিক উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা পোষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • বান্দরবানে কেএনএফ সশ-স্ত্র সন্ত্রা-সী গোষ্ঠীর বিরু-দ্ধে সেনাবাহিনীর সফল অভি-যান

    বান্দরবানে কেএনএফ সশ-স্ত্র সন্ত্রা-সী গোষ্ঠীর বিরু-দ্ধে সেনাবাহিনীর সফল অভি-যান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ।।

    ঢাকা, ০৩ জুলাই ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): আজ আনুমানিক ভোর ৫ টায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় ‘কেএনএফ’ এর সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনা সদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে, সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দুইজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডলি যিনি কেএনএফ-এর নেতৃত্ব পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিনগান (SMG), ১টি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফ-এর ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

    বিগত বছরগুলোতে কেএনএফ-এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্যে বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত সফল অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়; যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পূনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।

    পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যহত থাকবে।

  • তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সুজানগর পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

    তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সুজানগর পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃত্ততা বৃদ্ধির লক্ষে সুজানগর পৌর বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর পৌর বিএনপি’র কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সুজানগর পৌর বিএনপি’র সভাপতি কামাল হোসেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি নেতা তোরাব আলী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ, হাবিবুর রহমান রব, আব্দুল মজিদ শেখ, ইদ্রিস আলী, ,রশিদ, ফারুক শেখ মুক্তার শেখ, হযরত আলী, লিটন খান, লতিফ মন্ডল, আব্দুল হাই, খন্দকার বাবু, বন্দের মোল্লা, জিয়া মোল্লা, মোকছেদ, রহমান শেখ, বাবু খান, সোহেল শেখ, হাসেম শেখ,হাকিম, যুবদল নেতা রেজা বিশ্বাস ও ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় সুজানগর পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।সভায় সুজানগর পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এ দেশের সাধারণ মানুষ। তারাই ঠিক করবে বাংলাদেশ কোন পথে চলবে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ওপরে যে কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে, বিএনপি তা বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের মতামত নিয়েই একটি মানবিক ও ন্যায়ের সমাজ গড়তে চায়।এ সময় তারা আরো বলেন, পাবনা ২ আসনের আমাদের নেতা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের নেতৃত্বে এবং তিনি যে নির্দেশনা দেবেন তা বাস্তবায়নে পৌর বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে ইনশাল্লাহ ।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর (পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • নেছারাবাদে দুর্বৃ-ত্তের বি-ষ প্রয়োগে এক অস-হায় জেলের দুইটি গরুর মৃ-ত্যু

    নেছারাবাদে দুর্বৃ-ত্তের বি-ষ প্রয়োগে এক অস-হায় জেলের দুইটি গরুর মৃ-ত্যু

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

    নেছারাবাদে কামারকাঠি গ্রামে মো: সোহাগ নামে এক অসহায় জেলের দু’টি গরু বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে। খবর শুনে ওই নি:স্ব জেলের বাড়ীতে ভীড় করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাবাসী খুবই দু:খ প্রকাশ করছে। ভুক্তভোগী অসহায় জেলে সোহাগের দাবি কেহ রাতের আধারে কলা বা আমের সাথে বিষ প্রয়োগ করে গরুকে খাইয়ে দিয়েছে। এতে তার গরু দুইটি মারা গেছে।

    মৃত গরু দুইটির মধ্য একটা গরু অন্তস্বত্ত্বা ছিল। অপর গাই গরুটি আনুমানিক দুই মাসের মধ্য অন্তস্বত্ত্বা হত। গরু দুইটির বাজার দর কম পক্ষে ২ লাখ টাকা বলে দাবি এলাকাবাসী সহ ভুক্তভোগী পরিবারের।

    ওই অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম জানায়, তাদের মোট তিনটি গরু। প্রতিদিনের মতো তিনি দুপুরে গরুকে গোসল করিয়ে ভাতের মাড়ের সাথে খইর,ভূষি মিশিয়ে তিনটা গরুকে তিনটি বালতিতে খেতে দেন। এরপরে খড় খাওয়ান। পরে বিকালে তার স্বামী কাচা ঘাস এনে সেগুলোকো পানিতে পরিস্কার করে খেতে দেন। সন্ধ্যার পরে তার স্বামী জাল নিয়ে নদীতে বের হন। আনুমানিক এসার আযানের পর গরুগুলো গোয়ালঘরে বসে ছটফট করছিল। টের পেয়ে বাহিরে গিয়ে দেখেন। একটি গরু মাটিতে শুইয়ে ছটফট করছে। এসময় মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। সাথে সাথে অপর একটি গরু মাটিতে কাত হয়ে পড়ে যায়। এসময় বাকি ষাড় গরুটি লাফালাফি করছে। পরে ডাক্তার এসে ষাড়গরুকে ইনজেকশন ও ঔষধ দিলে একটু সুস্থ হয়। এরপূর্বে বাকি দুইটি গরু মারা যায়।

    জেলে সোহাগ মিয়া বলেন, ডাক্তার এসে একটি গরুকে সুস্থ করতে পেরেছে। তবে বাকি দুইটি গরু মারা গেছে। তার দাবি গরুকে কেউ বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ব্র্যাক থেকে কিছু টাকা পেয়েছিলাম। সাথে কিছু টাকা কিস্তি উঠিয়ে একটি গরু কিনেছিলাম। সেই গরু থেকে মোট তিনটি গরু হয়েছে। দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে আমার দুইটি গরু শেষ। সাথে আমি পথে বসে গেলাম। এখন যে গরুটি বেচে আছে সেটাও ভাল থাকে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান।

    ভেটেনারি ট্রেনিং প্রাপ্ত স্থানীয় পশু চিকিৎসক মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, কেহ হয়তো গরুর ঘাসের সাথে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে ওই জেলের দুইটি গরু মারা গেছে। অপরটিকে চিকিৎসা দিয়েছি। সেটা আশঙ্কা মুক্ত।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি বনি আমিন জানান, এ বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    মোঃ আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।