Blog

  • রংপুর আদালতে ৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মাম-লা দায়ের

    রংপুর আদালতে ৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মাম-লা দায়ের

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর উদ্যোগে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআই আইন- ২০১৮ এর ১৫ ও ২১ ধারা লংঘনের কারণে অনুযায়ী ০৩ জুলাই ২০২৫ খ্রি: তারিখে নিম্ন বর্ণিত ০৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, রংপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

    মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে:
    ০১। মো: মাসুম সরওয়ার সোহেল পাটোয়ারী (৩০), মের্সাস প্রমি আইসক্রিম ফ্যাক্টরী, গরুহাটি, তারাগঞ্জ, রংপুর; পণ্য- আইসক্রিম
    ০২। মোঃ আব্দুল মোমিন (৫৫), মের্সাস আজমেরী বেকারী, নতুন চৌপথী, তারাগঞ্জ, রংপুর; পণ্য- ব্রেড
    ০৩। খোকন সরকার (৩০), মের্সাস তুবা দই এন্ড আইসক্রিম ফ্যাক্টরী, পুরাতন চৌপথী রোড, মডেলপাড়া, তারাগঞ্জ, রংপুর;
    পণ্য- আইসক্রিম
    ০৪। মো: আব্দুর রশিদ (৫৮), মের্সাস চয়েস আইসক্রিম, মডেলপাড়া, তারাগঞ্জ, মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে, তারাগঞ্জ, রংপুর;
    পণ্য- আইসক্রিম

    জনস্বার্থে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সুজানগরে নক-লের দায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বহি-স্কার

    সুজানগরে নক-লের দায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বহি-স্কার

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় নকলের দায়ে একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষায় সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে সুলতান মাহমুদ পলাশ নামে মানবিক বিভাগের এ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন কক্ষ পরিদর্শক। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত বাচ্চু জানান, বহিস্কৃত ওই পরীক্ষার্থী সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী কলেজের শিক্ষার্থী এবং মানবিক বিভাগ থেকে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • ঝিনাইদহে জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থান স্মরনে ড্যাবের র-ক্তদান কর্মসুচি

    ঝিনাইদহে জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থান স্মরনে ড্যাবের র-ক্তদান কর্মসুচি

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শোক, বর্ষপূর্তি ও শহিদদের স্মরণে রক্তদান ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির উদ্যোগে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা সেচ্ছায় রক্তদান করেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ডক্টর’স এসোসিয়েশনের (ড্যাব) আয়োজিত এ রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ।

    ডক্টর’স এসোসিয়েশনের (ড্যাব) ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা কামরুজ্জামান, ড্যাবের জেলা সহ সভাপতি ডা. আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আক্তারুজ্জামান, এনামুল হক মুকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান, আসিফ ইকবাল মাখন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি, সাধরণ সম্পাদক তহুরা খাতুন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিকসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের লড়াই করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এই মাস একদিকে যেমন শোকের অন্যদিকে আনন্দেরও।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।।

  • গোদাগাড়ীতে বিজিবির হাতে গুপ্তচ-র সন্দেহে আট-ক আশা কারাগার থেকে ফিরে গেলেন বাবার বুকে

    গোদাগাড়ীতে বিজিবির হাতে গুপ্তচ-র সন্দেহে আট-ক আশা কারাগার থেকে ফিরে গেলেন বাবার বুকে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ সন্তানকে কেড়ে নেওয়া, স্বামীর তালাক আর শৈশবে মায়ের মৃত্যু-সব মিলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন নওগাঁর মেয়ে আশা বানু (২৩)। দেড় মাস আগে ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে সীমান্ত থেকে আটক হয়ে কারাগারে যাওয়ার পরও কিছু বলতে পারছিলেন না।

    অবশেষে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তাদের আন্তরিক চেষ্টায় ধীরে ধীরে মুখ খুললেন তিনি। জানালেন নিজের নাম-ঠিকানা, বাবার নাম। শেষ পর্যন্ত বাবার কাছে ফিরে গেলেন কান্নাজড়িত আবেগঘন পরিবেশে।

    উল্লেখ্য গত ১৬ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর গহোমাবোনা সীমান্তে পদ্মা নদীর ধারে তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে বিজিবি। কোনো কথা না বলায় ও সঠিক পরিচয় না জানানোয় তাঁকে ভারতীয় নাগরিক ও গুপ্তচর সন্দেহে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর দেহে কোনো সমস্যা নেই। এরপর ১৭ মে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

    কারাগার সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও ফরিদা বেগমের মেয়ে আশা বানু। স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। তাঁদের ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২০২২ সালে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে স্বামী তালাক দিয়ে তাঁকে তাড়িয়ে দেন। এরপর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আশা।

    কারাগারে আসার পরও দীর্ঘদিন কিছু বলেননি আশা। কারা কর্তৃপক্ষ বারবার কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যান। একদিন অবশেষে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, তিনি ভারতীয় নন, নওগাঁর হাকিমপুর গ্রামের মীর মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে। তখনই তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

    সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, প্রথমে বাবার ছবি তুলে আশাকে দেখানো হয়। তিনি চিনে ফেলেন। এরপর বাবাকে কারাগারে এনে আরও কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে দাঁড় করানো হয়। ভেতর থেকে মেয়েকে চিনে নেন বাবা।

    বাবা-মেয়ের মিলনের মুহূর্তে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজনেই। এরপর জেল সুপার ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে জামিন প্রক্রিয়া শুরু করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে মুক্তি পান আশা বানু।
    কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আশা বানুর বাবা বলেন,‘এবারও মেয়েকে হারিয়ে থানায় জিডি করেছিলাম। অনেক খুঁজেও পাইনি। আল্লাহর রহমতে মেয়েকে ফিরে পেলাম।’
    কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে আশা বানু শুধু বলেন,
    ‘হামি মনে করেছিলাম ঢাকায় যামু, চাকরি করমু। পরে কই গেছি মনে করতে পারিনি। বিজিবি বা পুলিশের প্রশ্নেরও উত্তর মনে পড়ছিল না।’

    সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, ‘মামলার আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে। হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।’দীর্ঘ দেড় মাসের নিস্তব্ধতার পর নিজের পরিচয় ফিরে পাওয়া আর বাবার বুকে ফিরে যাওয়ার আনন্দেই আজ উজ্জ্বল আশা বানু।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী

  • স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপি’র ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

    স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপি’র ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

    আনোয়ার হোসেন,

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপি’র ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) উপজেলার মুক্তিযোদ্ধ সংসদের হলরুমে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    দুপুর বারটার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উদ্ধোধন করেন আগত অতিথি সহ পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির আহবায়ক মো: শফিকুল ইসলাম ফরিদের সভাপতিত্বে, ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামাল হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্য মো: আলমগীর হোসেন। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য মো: নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
    স্বরূপকাঠি পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির উদ্বোধনি বক্তব্যে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তাই আমরা তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফার আলোকে সুন্দর একটি বাংলাদেশ বির্নিমান করব। বাংলার ঘরে ঘরে ৩১ দফা পৌছে দেব।
    স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপি’র কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাকক নির্বাচিত করেন। দুপুর দেড়টায় গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট শুরু হয়ে চারটায় শেষ হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১০০ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাকক নির্বাচিত করেন। এতে ১নং ওয়ার্ড থেকে সভাপতি মোঃ নছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, ২নং ওয়ার্ডে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওসার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান নান্টু, ৩নং ওয়ার্ডে সভাপতি মোঃ মহসিন মিলু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বিল্লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিপন হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে সভাপতি আঃ সোবহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ হুমায়ুন কবির স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডে সভাপতি কাজী ফয়সাল শুভ্র, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির রায়হান, ৬নং ওয়ার্ডে সভাপতি মোঃ চাঁন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী মনিরুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিটন মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডে সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান বাদল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মন্টু মিয়া, ৮নং ওয়ার্ডে সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল বিশ্বাস, ৯নং ওয়ার্ডে সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন।

  • ‘আমি পা-চারকারী নই, একজন প্রবাসীর সন্তান’ — সংবাদ সম্মেলনে এমরান হোসেন

    ‘আমি পা-চারকারী নই, একজন প্রবাসীর সন্তান’ — সংবাদ সম্মেলনে এমরান হোসেন

    হারুন অর রশিদ,

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
    ‘চোরাকারবারি ও মানব পাচারকারী’ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে নিজের নাম উঠে আসায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ইদুকোনা গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেন’র পুত্র মো. এমরান হোসেন।
    বুধবার (৩ জুলাই ২০২৫)দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধে জড়িত নই। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
    সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ‘মানব পাচারকারী এমরান হোসেন বিজিবির হাতে আটক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এমরান বলেন, ‘আমার বাবা আনোয়ার হোসেন ৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবে পরিশ্রম করে আমাদের পরিবারকে গড়ে তুলেছেন। আমি নিজেও সৎভাবে মোটরসাইকেলে পরিবহন কাজ করে জীবিকা চালাই। অথচ এখন আমাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, ইয়াবা পাচার, এমনকি ‘মহিষের পেটে ইয়াবা পাচার’—এই রকম হাস্যকর অভিযোগও তোলা হচ্ছে।’
    তিনি দাবি করেন, যাদের বিজিবি আটক করেছে তারা কেউই তাঁর পরিচিত নন। সংবাদে যেসব আত্মীয়ের নাম এসেছে, তারাও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত নন।
    এমরান হোসেন বলেন, ‘কোনো ধরনের সত্য প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ বা লেনদেনের তথ্য থাকলে প্রশাসন যেন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়। আমি তদন্তে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত, তবে গুজবের ভিত্তিতে আমার ও আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট না হয়।’
    তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান—তথ্য যাচাই ছাড়া এমন মানহানিকর সংবাদ যেন আর প্রকাশ না হয়। একই সঙ্গে অপপ্রচার চালানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান।
    শেষে তিনি বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ নাগরিক, প্রবাসীর সন্তান—সেই সম্মান নিয়েই বাঁচতে চাই।’
    সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজ মিয়া, আজিম মিয়া, ইয়াকুব আলী, আব্দুছ সালাম, মহসিন প্রমুখ। এ সময় উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মহেশপুরে ফতেপুর ইউনিয়নে তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার উপর আলোচনা সভা

    মহেশপুরে ফতেপুর ইউনিয়নে তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার উপর আলোচনা সভা

    মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
    ৩ জুলাই বিকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ২নং ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্দ্যোগে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কতৃক ১৩ই জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ লাল মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত ৩১ দফা রাষ্ট কাঠামো মেরামত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ওমেদুল ইসলাম (মাষ্টার) বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ২ নং ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ গোলাম ফারুক খাঁন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ উমর আলী ভুইয়া, সিনিয়র যু্গ্ন সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ কবীর হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সজল মিয়া, উপজেলা বিএনপির সেচ্চাসেবক দল যুগ্ন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা দল সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ প্রমুখ৷ প্রধান অতিথি সহ সকল বক্তারা তাহাদের বক্তব্যে তারকে রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো ৩১ দফা বাস্তবায়ন মেরামতের কথা তুলে ধরেন।
    এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য মোঃ শেরআলী বিশ্ব্যাস, উপজেলা তাঁতীদল সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা, ইউনিযন বিএনপির সাবেক সাধারণ ও সম্পাদক দলীল লেখক মোঃ আসাদুর রহমান, সাবেক কৃষকদল সভাপতি মোঃ মুজিবর রহমান, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান, মকলেচুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, আয়নাল হক, রসুল মিয়া, লিটন হোসেন ও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলীয় অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • বানারীপাড়া পৌরশহরের সড়কগুলো এখন জনগনের জন্য ম-রন ফাঁ-দ

    বানারীপাড়া পৌরশহরের সড়কগুলো এখন জনগনের জন্য ম-রন ফাঁ-দ

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। সড়কগুলোতে ছোট বড় অসংখ্য পুকুরের মতো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে সড়কে চলাচলরত যানবাহন প্রায় দিনই বিপদের সম্মূখিন হচ্ছে।এ থেকে ঘটতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা।পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কোনো সড়কই মানুষের চলাচলের উপযুক্ত নেই।ফেরিঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড হয়ে হাসপাতালে প্রসূতি রোগী,বৃদ্ধ ও অন্যান্য অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা হওয়ার কারনে এসব মানুষ খরার উপরে মরার ঘা পরিস্থিতির শিকার হন।এছাড়াও ১ নং ওয়ার্ডের সকল সড়ক,২নং ওয়ার্ডের বন্দর বাজার হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার বাইপাস ,কলেজ মোড় হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার সড়ক,ডাকবাংলো হয়ে ৪,৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে যাওয়ার সড়ক, বানারীপাড়া হাইস্কুলের সামনের ও পিছনের দুইটি বাইপাস,বানারীপাড়া কলেজ হয়ে হাইস্কুলে যাওয়ার সড়কসহ পৌরসভার সকল সড়কেরই এ বেহাল দশা।তাছাড়াও পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নিম্নমানের হওয়ার কারনে বিভিন্ন সড়ক,মাঠ ও জলাশয়ে পানিবদ্ধতার সৃস্টি হয়।পৌরসভায় রয়েছে একটি কলেজ,একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ফাজিল মাদ্রাসা,তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দুইটি প্রাইমারি স্কুল, দুইটি কিন্ডারগার্টেন, কয়েকটি নূরাণী ও হাফেজি মাদ্রাসা।সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

    পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করেও তারা পৌরসভা থেকে তেমন কোনো উন্নত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।তারা এর কারণ হিসেবে জানান বিগত সরকারের সময়ে অনেক ঠিকাদার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।তারা পৌরসভা থেকে বিভিন্ন কাজের কন্টাক্ট নিয়ে নিম্নমানের কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।যার ভুক্তভোগী হয়েছেন পৌরসভায় বসবাসরত কয়েক হাজার জনগণ।

    সড়ক,ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে পৌর প্রশাসক মোঃ আহসান হাফিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে সকল সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে তা মেরামত করা,ড্রেনগুলো পানি চলাচলের উপযুক্ত করাসহ অন্যান্য যে সকল সমস্যা আছে তা দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি তার পৌর কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

  • মোংলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    মোংলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    বায়জিদ হোসেন,
    মোংলা প্রতিনিধি।
    মোংলায় আলোচনা সভা, কেক কাটা, র‍্যালী ও গাছের চারা বিতরণের মধ্যদিয়ে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এনটিভি ২২ বছর থেকে ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ৩ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমি। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন, মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন, মোংলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি, মোংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল ও মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর আলম শেখ।
    এ সময় বক্তারা বলেন, এনটিভি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতীক। এনটিভি তাদের অর্জিত সুনাম ধরে রেখেছে। আশা করছি আগামীতে এনটিভি আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে। এনটিভির সংবাদ নিরপেক্ষতার কারণে দিনকে দিন জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

    আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কেটে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন। এরপর এনটিভির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। আর অনুষ্ঠান শেষে বের হয় এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‍্যালী।র‍্যালীতে আমন্ত্রিত অতিথিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোকজন অংশ নেন। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

  • সাভারে আলোচিত চাঞ্চল্যকর হ-ত্যাকান্ডের প্রধান আসা-মীকে গ্রেফ-তার করেছে র‍্যাব

    সাভারে আলোচিত চাঞ্চল্যকর হ-ত্যাকান্ডের প্রধান আসা-মীকে গ্রেফ-তার করেছে র‍্যাব

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভারের কাটপট্টিতে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত রুহুল আমিন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী শামীম (২৪) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

    বৃহস্পতি বার (০৩জুলাই ২০২৫ইং) দুপুরে র‍্যাব ৪ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতর মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (০২জুলাই) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    র‍্যাব-৪ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত রুহুল আমিন (২৫) এর সাথে আসামী শামীম (২৪) এর তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। পরে উক্ত বিষয়ের জের ধরে গত ২৭ জুন ২০২৫ তারিখ দুপুরে সাভার থানার কামাল রোড সংলগ্ন কাটপট্টি নামক স্থানে গ্রেফতারকৃত আসামী নিহত মোঃ রুহুল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পিঠের মাঝ বরাবর আঘাত করাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে পথচারীরা নিহত মোঃ রুহুল আমিনকে মূমুর্ষ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করে,পরে ঔদিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমিন মৃত্যুবরণ করেন। এরপরে সাভার মডেল থানায় মামলা রেকর্ড হয়। র‍্যাব-৪ এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আটকের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।

    পরবর্তীতে সাভার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এবং র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ২জুলাই রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী শামীমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।