Blog

  • গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনের উপর   তিন দিনব্যাপী  প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

    গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনের উপর তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

    রাজশাহী মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনে পুষ্টি, প্রজনন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর তিন দিনব্যাপী খামারী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই ২০২৫) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন “মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় রাজাবাড়ীহাটে অবস্থিত বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুর রশিদ, পিএসও ও ইনচার্জ, বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্র, গোদাগাড়ী, রাজশাহী এবং গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম।

    প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন “মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব।

    এ প্রশিক্ষণে গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাচিত ৫০ জন সুফলভোগী মহিষ খামারী অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারিরা লাভজনক পদ্ধতিতে মহিষ পালনের নানা দিক সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা লাভ করবেন। প্রশিক্ষণে রয়েছে-খামারে মহিষ লালন-পালনের আধুনিক কৌশল, মহিষের জাত সনাক্তকরণ, প্রজনন ব্যবস্থাপনা, স্বল্প খরচে দুধালো মহিষের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, সাইলেজ, হে ও ইউএমএস তৈরির ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ, গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিষের স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ,মহিষের রোগ প্রতিরোধ, টিকা প্রদান ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী।

    এছাড়াও, বাংলাদেশে প্রচলিত মহিষের জাতসমূহ, দুধালো গাভী মহিষ নির্বাচন এবং আদর্শ প্রজনন উপযোগী ষাঁড় নির্বাচন নিয়েও খামারিরা সুনির্দিষ্ট ধারণা অর্জন করবেন।

    প্রশিক্ষণ কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন বিএলআরআই, সাভার, ঢাকার মহিষ উৎপাদন ও গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মানিক মিয়া।

    প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি স্থানীয় খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মহিষ পালনকে আরও টেকসই ও লাভজনক করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আয়োজকরা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী

  • মহেশপুরে ওয়াশিমের লা-শ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ মাস পর ফেরত দিলো বিএসএফ

    মহেশপুরে ওয়াশিমের লা-শ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ মাস পর ফেরত দিলো বিএসএফ

    মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
    ঝিনাইদহের মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮) বিজিবি অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিজিবি বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উপজেলার নেপা ইউপির বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ওয়াশিমের লাস তিন মাস পর পুলিশের কাছে ফেরত দিলো ভারতীয় বিএসএফ। ওয়াশিম উপজেলার বাঘাডা ঙ্গা গ্রামের রোমজান আলীর ছেলে।
    উল্লেখ গত ৩ মাস আগে জেলার মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে নিহত ওয়াসিমের লাশ আজ ৫ জুলাই দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়ান ৫৮ বিজিবির হাতে হস্তান্তর করেন ভারতীয় বিএসএফ। এসময় পুলিশ প্রশাসন সহ বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধন্যবাদ ৫৮ বিজিবির অধিনায়ককে অনেক দেরি হলেও লাশ ফেরত এলো।

  • বাগেরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি দ-খল চেষ্টা, গাছ ক-র্তন করে হা-মলা

    বাগেরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি দ-খল চেষ্টা, গাছ ক-র্তন করে হা-মলা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের জমিতে হামলা ও গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

    ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক আব্দুল বারি (৭২) স্থানীয় নেছারিয়া আজহারিয়া নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি জানান, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ৬৪ শতক জমির মধ্যে ১৭ শতক জমি নিয়ে প্রতিবেশী মহারাজ খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি আদালতেও বিচারাধীন।

    অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন মহারাজ খান ৩০-৪০ জন ভাড়াটে লোক নিয়ে শিক্ষকের জমির ঘেরা বেড়া কেটে সিরিজ গাছের ডালপালা কেটে ফেলে। বাঁধা দিলে বারি ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। তারা ইট-খোয়া এনে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রস্তুতি নেয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

    শিক্ষকের স্ত্রী রাফেজা আক্তার বলেন, “পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি। প্রশাসনের কাছে আমরা সঠিক বিচার চাই।”

    অন্যদিকে অভিযুক্ত মহারাজ খান দাবি করেন, “আমি কারও জমি দখল করিনি। আমার ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক ৪২ শতক জমিতে ঘর করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিক্ষক বারি মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

    এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতলুবর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। উভয় পক্ষ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সময় নিয়েছে।”

  • কুমিল্লায় পথ সভায় স-র্তক বার্তা দিয়ে দেশব্যাপীকে  সজাগ থাকতে বললেন- ডা.সফিকুর

    কুমিল্লায় পথ সভায় স-র্তক বার্তা দিয়ে দেশব্যাপীকে সজাগ থাকতে বললেন- ডা.সফিকুর

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা যেনতেন নির্বাচন চাই না। নতুন পুরাতন বুঝিনা, আগামীতে যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

    শনিবার (৫জুলাই) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পথ সভায় ডাঃ শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। ফেনীতে রুকন সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় পৃথক চারটি পথ সভায় অংশগ্রহণ করেন ডাঃ শফিক।

    এ সময় তিনি আরো বলেন, যে শহীদরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে আমানত রেখে গেছে সে রক্তের সাথে কাউকে বেঈমানি করতে দেবো না। আমরা সেই রক্তের মূল্য দিতে চাই।

    এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইদানিং কিছু রাজনীনৈতিক দলের দখল ও লুটপাট প্রত্যক্ষ করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে বলবো নিজেদেরকে সামলান, নয়তো জনগণই আপনাদের সামলে দিবে।

    জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মহানগরীর সেক্রেটারি মাহবুবর রহমানের পরিচালনা পথসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মোহাম্মদ মাসুম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আমীর মোহাম্মদ শাজাহান এডভোকেট, উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। রদন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু., মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা -৮ বরুড়া আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু.কামারুজ্জামান সোহেল,কাউন্সিলর মোশাররফ হোসাইন ও নাছির আহম্মেদ মোল্লা প্রমুখ।

  • ঝালকাঠিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার দায়িত্ব গ্রহণ

    ঝালকাঠিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার দায়িত্ব গ্রহণ

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে তিনি সংস্থার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

    এক প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, “আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, যেন সততা, নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে আমি সমাজে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।”

    তিনি আরও বলেন, “আজকের সমাজে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ছে। গরিব, অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে পারব।”

    ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকারকর্মীরাও এই দায়িত্বপ্রাপ্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, তার নেতৃত্বে জেলার মানবাধিকার কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

    সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের মতো একজন নিষ্ঠাবান ও সচেতন মানুষকে দায়িত্ব প্রদান করে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে জেলার মানুষের পাশে থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।”

    উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার সচেতনতা, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

  • পুঠিয়ায় রথের মেলায় প্রতিপক্ষের চা-ইনিজ কু-ড়ালের আঘাতে এক কিশোর গুরু-তর আহ-ত

    পুঠিয়ায় রথের মেলায় প্রতিপক্ষের চা-ইনিজ কু-ড়ালের আঘাতে এক কিশোর গুরু-তর আহ-ত

    পুঠিয়া (রাজশাহী)প্রতিনিধি

     পুঠিয়ায় রথের মেলায় ঘুরতে এসে শাওন (১৫) নামের এক কিশোর প্রতিপক্ষের চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে। গুরুতর জখম শাওন উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামের আনারুলের ছেলে। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে পুঠিয়া রাজবাড়ি বাজারের রথের মেলায় এ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত শাওনের বন্ধু সায়েম জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার মেলায় আমার সাথে পুঠিয়া বাজার এলাকার সায়েমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ বক্সে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। আজ বিকালে রথের মেলায় আমার বন্ধু শাওন, আশিক, মইনুল, বাপ্পি  রথের মেলায় ঘুরতে আসি। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পুঠিয়া বাজার এলাকার সিপন, আরাফাতসহ আট থেকে দশ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার বন্ধু শাওনের মাথায় আঘাত করলে শাওন গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে রামেক হাসপালে প্রেরণ করেন। এব্যপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, মারামারির বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া, রাজশাহী। 

  • গোদাগাড়ীর ঘনশ্যামপুর গ্রামে বহুমুখী ইসলামী পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন

    গোদাগাড়ীর ঘনশ্যামপুর গ্রামে বহুমুখী ইসলামী পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে উদ্বোধন করা হলো “ঘনশ্যামপুর বহুমুখী ইসলামী পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র”।

    ৪ জুলাই শুক্রবার এ পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম প্রধান
    মো শফিকুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ নাজেম হোসেন, মোঃ ফানিসুর রহমান, মোঃ লতিফুর রহমান, মোঃ মতিউর রহমান, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন
    মোঃ সালাউদ্দীন আহম্মেদসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এটা অতি পুরাতন কথা। আর বর্তমানকালে বলা হচ্ছে, আধুনিক তথা কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন। এর সাথে নৈতিকতা ও মানকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাই এসব ক্ষেত্রে যারা যত অগ্রগামী হচ্ছে, তারা তত উন্নতি করছে। তাই বেশিরভাগ দেশ এসবের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। তবে, এতে সব দেশই যে সমান সফল হয়েছে, তা নয়। তথাপিও যতটুকু উন্নতি করেছে, তাও থমকে গেছে। এ জন্য সবাইকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ পাঠাগার আগামী দিনে সকলের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হবে ইনসাল্লাহ।

    গ্রাম প্রধান মো শফিকুল ইসলাম বলেন,
    পাঠাগার শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে হয় পাঠ+আগার। অর্থাৎ পাঠাগার হলো পাঠ করার উপাদান সজ্জিত আগার বা স্থান। বিশদভাবে বলা যায় পাঠাগার হলো বই, পুস্তিকা ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা যেখানে পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকে এবং পাঠক সেখানে গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধ্যান করতে পারে। মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই পাঠাগারের সৃষ্টি। শতাব্দী থেকে শতাব্দী বছর ধরে মানুষের জ্ঞান জমা হয়ে থাকে পাঠাগারের বইয়ের পাতায়। অসীম জ্ঞানের ভান্ডার হলো বই। আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হলো পাঠাগার। আমাদের দেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারছে শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নয়, মনের জন্যও খাদ্য প্রয়োজন। পাঠাগার মানুষের ক্লান্ত ও বুভুক্ষু মনকে প্রফুলস্ন করতে পারে। পছন্দমতো জিনিসের সন্ধান দিয়ে তার মনের খোরাক জোগাতে সাহায্য করে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের বহু আগে মিসরে, প্রাচীন গ্রিসেও পাঠাগারের অস্তিত্ব ছিল। ভারতে প্রাচীনকালে পন্ডিতদের ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল আধুনিককালে বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নত পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত পাঠাগারের মধ্যে ব্রিটিশ মিউজিয়াম, মস্কোর লেনিন লাইব্রেরি, ফ্রান্সের বিবিওথিক নাসিওনাল লাইব্রেরি, ওয়াশিংটনের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস, কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি উলেস্নখযোগ্য। আমাদের দেশে ঢাকায় ‘কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি উলেস্নখযোগ্য। এ ছাড়া ঢাকায় বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি, ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি।
    এ যুগের ছাত্র-ছাত্রীরা স্মার্ট ফোনের আসক্ত হয়ে বই যে পরম বন্ধু সেটা তারা ভুলে গেছে।তারা পাঠ্য বইয়ের বাইরে কোন বই পড়তে চাই না। মোবাইলে গেম খেলে, ঘন্টার পর ঘন্টা অলস সময় পার করে। তাদেরকে পড়ার টেবিলমুখি করার জন্যই এ পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগরী জামায়াতের প্রীতি মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

    সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগরী জামায়াতের প্রীতি মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ
    বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জোর করে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবে না। একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবে, বোরকা পড়তে বাধ্য করবে, ঘরের বাহিরে যেতে দেবে না। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর প্রদত্ত কুরআন ও মনোনীত ইসলামকে লালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামে কারো ওপর কোনো কিছু জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার বিধান নেই। ইসলামের চেয়ে বেশি ও প্রকৃত স্বাধীনতা অন্য কোথাও দেওয়া হয়নি। যারা সত্যের জন্য লড়াই করে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, সম্পদের মোহ্ ছেড়ে আল্লাহর দ্বীনের জন্য লড়াই করে তারা কখনো কারো উপর জোরপূর্বক কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না, দেয় না।

    শুক্রবার (৪জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরী শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাথী-সদস্যদের নিয়ে প্রীতি মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয়ের সূচনা হয়েছে। এই বিজয় পূর্ণাঙ্গ হবে যখন বাংলার জমিনের আল্লাহর বিধান কায়েম হবে। যখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে তখন মানুষ ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার পাবে। অধিকার পেতে মানুষকে তখন আর রক্ত দিতে হবে না, জীবন দিতে হবে না। এখন আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যে সংগঠন আন্দোলন করে আসছে, সেই সংগঠনের দিকে মানুষ দলে-দলে ধাবিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে কারো কারো জ্বালা বেড়ে গেছে, কেউ কেউ নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এদেশের জনগণই তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয়, জেলা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে যারা বিগত ১৬ বছর ধরে সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি, প্রকাশ্যে আসতে দেয়নি তারা আজ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, আবার কেউ দেশের ভেতরই আত্মগোপন করে আছে। জনগণের সাথে তাদের আজ কোন সম্পর্ক নেই। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই জনগণের সাথে এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার ছেলে জয় প্রকাশ্যে বলেছেন এখন আর আমাদের দেশ ও দলীয় নেতাকর্মীর নিয়ে কোন চিন্তা নেই। তিনি আরো বলেন, জামায়াত-শিবিরকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এরাই কত ধরনের নীল-নকশা এঁকেছে। কত অপবাদ অপপ্রচার করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ বুঝে গেছে জামায়াত-শিবির প্রতিষ্ঠাই হয়েছে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য, জনগণের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। শিবির জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অসংখ্য মানুষ উপহার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না শিবিরের ছেলে ধর্ষণ করেছে, দুর্নীতি করেছে, কোন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। আজ দেশের প্রতিটি মানুষ বুঝতে পেরেছে জামায়াত-শিবিরের হাতেই এদেশের মানুষ ও বাংলার জমিন সবচেয়ে নিরাপদ। তাই জনগণ এখন প্রকাশ্যে জামায়াতের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

    এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, পৃথিবীর বহুদেশে বহু বিপ্লব ঘটেছে। তবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব অন্য গুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। এই বিপ্লবে কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিল না। এই বিপ্লবে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা পৃথিবী ত্যাগ না করলেও বহু নেতা গোপনে দেশত্যাগ করে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজাকার শব্দ ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী সহ বিরোধী যেকোনো মতকে হেয় করেছে। সর্বশেষে ছাত্রদের সহ পুরো জাতিকে শেখ হাসিনা রাজাকার বানিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ কর্তৃক গঠিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্ট স্টোরি প্রকাশ করে বলেছে, বাংলাদেশে গঠিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল। আর্ন্তজাতিক মান সেখানে বজায় রাখা হয়নি। এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে অবিচার করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে দন্ড দিয়ে আটক রাখা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি মুক্ত পেয়েছেন, যেভাবে দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের দন্ড বাতিল করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    সভাপতির বক্তব্যে কামরুল আহসান এমরুল আরো বলেছেন, ছাত্ররা বলছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস। তারা ন্যায়বিচার চায়। এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে কেবল আল্লার বিধান কায়েম হলে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতো দিন জামায়াতে ইসলামী দেশ সংস্কারের দাবি করেছে। এখন দেশের প্রতিটি মানুষ দেশ সংস্কারের পক্ষে। আর মানুষ মনে করছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই প্রকৃত অর্থে দেশ সংস্কার হবে। তিনি আরো বলেন, দেশ সংস্কারের জন্য প্রয়োজন নিজের সংস্কার, মানুষের সংস্কার। আর জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।এসময় বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • চর শীরকলদী সাহেবীয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি হলেন ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স

    চর শীরকলদী সাহেবীয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি হলেন ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স

    স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর শীরকলদী সাহেবীয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রতি তাঁর এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

    ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্সের নেতৃত্বে মাদরাসাটির শৃঙ্খলা, শিক্ষা কার্যক্রম এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন গতি আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সভাপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আন্তরিক অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষানুরাগী মনোভাবের কারণে ইউএনও প্রিন্সের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি আরও গতিশীল হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশ এবং একটি আধুনিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাহেবীয়া দাখিল মাদরাসাকে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সবাই।

    প্রধান শিক্ষক বলেন, “এটি মাদরাসা পরিবারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। ইউএনও মহোদয়ের অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

    উল্লেখ্য, চর শীরকলদী সাহেবীয়া দাখিল মাদরাসাটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি স্বনামধন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম ধরে রেখেছে। নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণে এর অগ্রযাত্রা আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • শার্শায় গোগা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  

    শার্শায় গোগা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  

    আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ  যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ইউনিয়ন বিএনপির এক জরুরি কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে  গোগাল ইউনাইটেড কলেজ মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ সরদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে 

    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, বিশেষ অতিথি ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন,সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক- আশরাফুল আলম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ সালাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দীন এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ,সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহীন,সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন,সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাইদুজ্জামান,অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। উপজেলা কৃষক দলেরসাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।

    অনুষ্ঠানে  আরও উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজ জোহা সেলিম ও সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ,বেনাপোল পৌর যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান বাবু, শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রিপন ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেন আশা, শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন ও সদস্য সচিব সবুজ হোসেন খান, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোইমিনুল সাগর সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকারের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানান। তারা সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করে জনগণের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।