Blog

  • বকশিগঞ্জকে দুর্ণী-তিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়তে  সাংবাদিকদের সহায়তা চাই-ইউএনও মাসুদ রানা

    বকশিগঞ্জকে দুর্ণী-তিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়তে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই-ইউএনও মাসুদ রানা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা। এসময়
    স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন গড়তে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

    শনিবার ( ৫জুলাই)দুপুরে উপজেলা মোড়ে অবস্থিত
    ঐতিহ্যবাহী সংগঠন উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউএনও মাসুদ রানা।এসময় ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।

    ইউএনও মাসুদ রানা এসময় তার বক্তব্যে-উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশের আহবান জানান। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করণের মাধ্যমে উপজেলাকে একটি জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাংবাদিক, রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম হোসনার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. শফিকুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, সাবেক অধ্যক্ষ হাসান বিন রফিক, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মোসাদ্দেকুর রহমান মানিক, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন, উপজেলা বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিমন, কোষাধ্যক্ষ রকিবুল হাসান বিদ্রোহী, মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জোবাইদুল ইসলাম শামীম।

    এসময় বক্তারা বলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও যেকোন ক্লান্তিলগ্নে জনস্বার্থে সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান। তারা গণমাধ্যমকে দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। পরে নতুন কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

    মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা আরো বলেন, যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে আমাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। আমার দায়িত্ব পালনে কোন ভুল ত্রুটি হলে তা আপনারা নির্দ্বিধায় বলবেন। এছাড়া সাংবাদিকরা উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে তিনি সেগুলোর বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে তিনিও সাংবাদিকদের সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুধীজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহে সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গ-লিত মর-দেহের পরিচয় শনাক্ত, ১জনকে গ্রে-প্তার করেছে পিবিআই

    ময়মনসিংহে সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গ-লিত মর-দেহের পরিচয় শনাক্ত, ১জনকে গ্রে-প্তার করেছে পিবিআই

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    মাত্র ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া গলিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রোহান মিয়া (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রোহান তারাকান্দা থানার দাদরা এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে। অভিযানে তার কাছ থেকে নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

    পিবিআই জানায়, শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তারাকান্দা থানার দাদরা গ্রামের ঢাকায় অবস্থানরত গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞাত এক নারীর গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডির পাশাপাশি পিবিআইয়ের ময়মনসিংহ জেলা শাখার একটি টিম ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

    ধারাবাহিক তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন অ্যাডিশনাল আইজিপি মোঃ মোস্তফা কামাল এর তত্ত্বাবধানে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার এর সার্বিক সহযোগীতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ),সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও তার টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় সনাক্তের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীর পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং গত ০৫ জুলাই শনিবার রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় ফুলপুর থানাধীন ফুলপুর বেপারী পাড়া এলাকা থেকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী রোহান মিয়াকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীর মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পিবিআই মামলাটি স্ব উদ্যোগে গ্রহণ করে।

    পিবিআই জানায়, নিহত সুফিয়া খাতুনের ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার পাতিলগাঁও এলাকার কেরামত আলীর মেয়ে। গত ২৮ জুন সন্দিগ্ধ আসামি রোহান নিজের বন্ধু আকিকুলের কাছ থেকে নিহত সুফিয়ার মোবাইল নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে।

    পরদিন (২৯ জুন) সুফিয়া নিজ বাড়ির পাশের বাজারে আসলে রোহান তার সঙ্গে দেখা করে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সুফিয়াকে নিজের এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর গেসু মিয়ার নির্জন বাড়িতে নিয়ে রোহান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। পরবর্তীতে ঝগড়ার একপর্যায়ে সে সুফিয়াকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়। এরপর সে সুফিয়ার সঙ্গে থাকা ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও তার ব্যবহৃত অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোঃ রকিবুল আক্তার জানান, পিবিআই এর আভিযানিক টিমের নিরলস প্রচেষ্টা ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার সহযোগীতায় মাত্র ০১ দিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের আসামীকে গ্রেফতার করা এবং আসামীর হেফাজত থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উল্লখ্য যে, আসামী রোহান পূর্বেও এইরূপ হত্যাকান্ড জনিত মামলার সাথে জড়িত মর্মে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আসামী রোহান মিয়া (২৫) কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামী রোহান (২৫) এর সাথে আরও কারো সম্পৃক্ততা ছিল কিনা এবিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে

  • আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার কভার ভ্যানের চা-পায় ৫ বছরের শিশু নিহ-ত

    আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার কভার ভ্যানের চা-পায় ৫ বছরের শিশু নিহ-ত

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট মোড়ে বেপরোয়া গতির কভার ভ্যানের চাপায় খাদিজা ৫ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত খাদিজা বরিশালের হিজলা থানার চকদুর্গাপুর গ্রামের ফারুক সরদারের মেয়ে। সে পরিবারের সঙ্গে ইউসুফ মার্কেট মোহাম্মদ আলীর বাসায় ভাড়া থাকতো এবং ইউসুফ মার্কেট মোড়ে তার বাবা একটি মুদি দোকানদার।

    স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (৬ জুলাই ২০২৫ইং) বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরগামী একটি কভার ভ্যান ইউসুফ মার্কেট মোড়ে এসে খাদিজাকে চাপা দেয়। এ সময় খাদিজা দোকান থেকে বাসায় ফেরারসময় রাস্তা পাড়াপাড় হতে গেলে গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

    এই সড়ক দুর্ঘটনার পর গাড়ি চালক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে মাদ্রাসা বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করেন, পুনরায় ঘটনাস্থলে তাকে নিয়ে আসেন জনতা। আটক চালকের নাম জুয়েল (২৭), পিতা সেলিম, গ্রাম বানাহাটি, থানা শ্রীপুর, জেলা গাজীপুর।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল এবং চালকের বেপরোয়া মনোভাবই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

    আশুলিয়া থানায় বিষয়টি জানানো হলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। পরে এসআই জসিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

  • সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

    সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

    হেলাল শেখঃ সাংবাদিকদের উপর চলমান মিথ্যা মামলা, হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদ এবং দ্রুত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (৬ জুলাই২০২৫ইং) সকাল ১০টায় গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উড়ালসেতুর নিচে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব। এতে উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বর্তমান সময়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি, হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা।

    শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম বলেন, “সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। অথচ আজ তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এজন্য অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।”

    মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা একযোগে বলেন,
    “সাংবাদিকদের কলম যেন কোনো ভয় বা হুমকির কাছে মাথানত না করে, তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।”

    অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা দ্রুত আইন পাসের দাবিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং এ দাবি আদায়ে সারাদেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

  • সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক এম এ আলিম রিপন

    সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক এম এ আলিম রিপন

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধিঃ বর্ষসেরা রিপোর্টার-২০২৫ পুরস্কার পেয়েছেন সাংবাদিক এম এ আলিম রিপন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। শুক্রবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্সরুমে দৈনিক সিনসার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এম এ আলিম রিপনের হাতে সেরা রিপোর্টারের এ পদক তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস । বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও দৈনিক সিনসা সম্পাদক এস এম মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. শরিফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ( অব.) প্রফেসর ইফতেখার মাহমুদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল পাবনা জেলার সভাপতি পূর্ণিমা ইসলাম ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও সর্বাধিক সংবাদ প্রেরনের জন্য বার্তা সংস্থা পিপ, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ফজলুল হক মোল্লা, কলাম লেখক ড. মনছুর আলম এবং বিশেষ সংবাদ সরবরাহ করার জন্য খালেদ আহমেদ কে সম্মননা পদক প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, এম এ আলিম রিপন ১৯৯৯ সালে পাবনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইছামতি পত্রিকায় লেখালেখির মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি নেন। এরপর দৈনিক পাবনার খবর, দৈনিক নতুন বিশ্ববার্তা, জাতীয় দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক ভোরের দর্পণ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক সমকাল, জাতীয় ইংরেজি দি নিউ নেশন পত্রিকার সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক যুগান্তর ও ইংরেজি ডেইলি বাংলাদেশ পোষ্ট পত্রিকার সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া স্থানীয় সপ্তাহিক পল্লীগ্রাম পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করা এবং একাধিকবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ(পিআইবি) থেকে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা এম এ আলিম রিপন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে সুজানগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে সাথেও যুক্ত আছেন । এম এ আলিম রিপন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এবং মানবিক সাংবাদিকতার জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে দুইবার (সিএলএস) পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার লাভ করেন।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে জামায়াতের উদ্যোগে ছাগল বিতরণ

    সুজানগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে জামায়াতের উদ্যোগে ছাগল বিতরণ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল,স্বাবলম্বী ও হালাল পথে উপার্জন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে অসহায়, দরিদ্র ও বিধবা নারীদের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) এই বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায়, দরিদ্র ও বিধবা নারীদের মাঝে বিনামূল্যে এ ছাগল বিতরণ করেন পাবনা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমীর অদ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন। এ সময় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফারুক-ই আযম ও উপজেলা জামাযাতের সেক্রেটারী টুটুল হোসাইন বিশ্বাসসহ স্থানীয় জামায়াতের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দঁাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিন বলেন, ইসলামের মূল শিক্ষা মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং দারিদ্র‍্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখা। জামায়াতে ইসলামী সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, যদি এ দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সরকারিভাবে এমন কর্মসূচি পরিচালনা করে সমাজ থেকে দারিদ্র‍্য দূর করা সম্ভব হবে। এ সময় তিনি বিতরণকৃত ছাগল পালনের মাধ্যমে এসকল অসহায় পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অ-পরাধীদের ঘুম হারাম

    আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অ-পরাধীদের ঘুম হারাম

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসিরাসহ অপরাধীদের আমলনামাসহ বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সফল অভিযান, আর চলমান এই অভিযান প্রমান করছে রাষ্ট্র এখন আর অপরাধীদের সাথে আপোষ করে না। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো- শ্যুটার বাপ্পি ও তার দুই সহযোগীসহ তিনটি বিদেশী পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ম্যাগজিনসহ গ্রেফতার। আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শামীম শেখ ওরফে মুন্না শেখসহ আরও বেশকিছু সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
    জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ভাইরাল ওসি ডাবলু বিদায়-আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন ক্লোজ। এরপর নবনিযুক্ত আশুলিা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব। গত ৫ আগষ্ট থেকে ১০ মাসে ৫জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনা সারাদেশে আশুলিয়া থানা আলোচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আশুলিয়া থানা ওসি’র দায়িত্ব পালন করা অনেক কঠিন তার কারণ, এখানে একটি মহল তাদের সুবিদামতো ওসি কাজ না করলে বিভিন্ন অভিযোগে সেই ওসিকে ক্লোজ বা বদলি করায়। তবে কিছু (এসআই) মামলা বাণিজ্যসহ অনিয়ম করার কারণে ওসি’র জবাবদিহি করতে হয়। সেই সাথে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলার কারণেও থানা পুলিশের বদনাম হয়। সবকিছু মিলিয়ে আশুলিয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে একটি মহল।
    বাংলাদেশ পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এশিয়ান টিভি’র স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম খান (লিটন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশুলিয়া প্রেসক্লাব, আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এম. এ হান্নান চৌধুরী এবং বিভিন্ন ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান ও জাহাঙ্গীর শ্রমিক নেতা কতর্ৃক চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে গিয়ে সাংবাদিক সাব্বির ও সাংবাদিক রাসেলকে প্রাণনাশের হুমকি প্রধান করে। আশুলিয়ায় গত (৭ মার্চ ২০২৫ইং) সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হোন ২ সাংবাদিক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার ক্রাইম জোন এলাকা রূপায়ন মাঠের পাশে পাবনারটেক এলাকায় শুক্রবার দুপুরে একটি ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাই টিভি’র জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান ও দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম অনিককে পেশাগত কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও হেনস্তা করার অভিযোগ স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ী নুর আলম ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু’কে নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, তিনি আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কাগজে কলমে এক মাস থাকলেও কাজে যোগদান করতে পারেননি কিন্তু প্রায় এক মাস থানায় তাকে দেখা যায়নি, আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি সোহরাব আল হোসাইন যোগদান করার খবর পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে ২১ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে। এরপর কিছুদিন আগে নতুন ওসি হান্নান সাহেব যোগদান করেছেন, তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন আশুলিয়া থানার ওসি হিসেবে।
    জানা যায়, এর আগে গত (৩ মার্চ ২০২৫ইং) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ মানিরুল হক ডাবলু। এ সময় থানার কর্মরত (এসআই) অফিসারগণ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ওসি থানায় আসার পূর্বে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো শুরু করেন, এরপর থানায় ওসি’র দায়িত্ব নিতেই বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার শুরু করে একটি মহল। সেই সত্যতা জানতে চেষ্টা করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। কেউ দাবী করেন যে, এই ওসি ছাত্রলীগ করতেন, কেউ দাবী করেন যে, তিনি ছাত্রদল করতেন, মুহুর্তের মধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হন, জাতি জানতে চায় কে এই মনিরুল হক ডাবলু ওসি? সে যেখান থেকেই আসুক না কেন তিনি এখন বাংলাদেশ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা-একটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। তার ইতিহাস অনেক লম্বা কাহিনী।
    সূত্র জানায়, মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু ১৯৭৮সালে ফরিদপুর-রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার বাহাদুরপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি মরহুম আঃ জলিল শেখের ছেলে, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ডাবলু কনিষ্ঠ। মনিরুল হক ডাবলুর বড় ভাই জিয়াউল হক বাবলু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক, মেজ ভাই জহিরুল হক লাভলু বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সফল সভাপতি। এবার আসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু কেমন মানুষ, ছোট বেলা থেকে স্কুলে সবার প্রিয় ভালো ছাত্র ছিলেন, সর্বশেষ শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাসের মধ্য দিয়ে। এরপর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন অফিসার হিসেবে। এর আগেও তিনি আশুলিয়া থানায় চাকরি করেছেন, তখন শেখ রিজাউল হক দিপু আশুলিয়া থানার ওসি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন এই মনিরুল হক ডাবলু।বিশেষ করে গত (৩ মার্চ ২০২৫ইং) তারিখে মনিরুল হক ডাবলু নতুন ওসি হিসেবে আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে একটি প্রত্যায়নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুসলিম হলের একটি কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদের একটি প্রত্যায়নপত্রও ভাইরাল হয়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন: কে এই ওসি ডাবলু? তখন এই দুইটি প্রত্যায়নপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে অনুসন্ধানে নামে গণমাধ্যম কর্মীরা। উক্ত বিষয়ে প্রথমেই ছাত্রলীগের কর্মী দবিকৃত প্রত্যায়নপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের সাবেক এমপি সংসদ সদস্যের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নামের বানান, দুই জায়গায় দুইরকম, (ছাপানো অক্ষরে লেখা মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, সিলে লেখা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু, যা খুবই নিম্নমানের, কোনো এমপি এমন মানের সিল ব্যবহার করার কথা নয়।) এরপর ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দাবি করা প্রত্যায়নপত্রের অনুসন্ধান শুরু করলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অফিসের পিয়ন সুমন নামের একজন ব্যক্তি আশুলিয়া থানায় এসে বলেন যে,ওসি মনিরুল হক ডাবলু নাকি ছাত্রলীগ করতেন তার তদন্ত করতে আসছেন, এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্ন করলে ওই সুমন নামের ব্যক্তি বিপাকে পড়েন, তখন ওসি ডাবলু তার কক্ষে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়।
    অন্যদিকে গণমাধ্যম কর্মী পরিচয়ে মনিরুল হক ডাবলু’র রাজনৈতিক পরিচয় জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুসলিম হলের সভাপতি একে এম মেজবাহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে অনেকেই জানান, ডাবলু ভাই হল কমিটিতে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি, তখন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই, ডাবলু ভাই ও আমরা এক সাথে রাজনীতি করছি। ২০০১ সালে মহসিন হলের দখলে ছিলো ছাত্রলীগের শফিকরা। তখন ডাবলু আনিস, হিরু আমরা একসাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের প্রত্যায়নপত্রের বিষয়ে তারা বলেন, এসব ভুয়া। ৫ আগষ্টে গণহত্যার ঘটনায় ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করে সায়েব আলী জলিলসহ আরো অনেকে, তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টিকারী, তাদেরকেও আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী সবার। আশুলিয়া থানায় নতুন ওসি আসলেই ফেসবুকে অপপ্রচার শুরু করা হয় কেন জাতি জানতে চায়। এই অপপ্রচারকারী যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সচেতন মহল।এদিকে রাজবাড়ীর মনিরুল হক ডাবলু পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় হলো তার বাবা মৃত আব্দুল জলিল মিয়া প্রথমে ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমা শাখার জাগ দলের ও পরে বিএনপি’র সদন্য ছিলেন, ডাবলু’র বড় ভাই মোঃ জিয়াউল হক বাবলু ছিলেন, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার জাসাস এর সাবেক সভাপতি। তার মেঝ ভাই মোঃ জহিরুল হক লাভলু গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি (১৯৯১-১৯৯৬ইং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু’র সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে লজ্জায় পড়েন আর কোনো বক্তব্য দেননি। এরপর তাকে বদলি করে ওসি সোহরাব আল হোসাইন আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়। বর্তমানে আশুলিয়া থানায় যিনি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে রয়েছেন তিনি আশুলিয়াবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন যে, তিনি যেন সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।##

  • সলঙ্গায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ালো মানবাধিকার সংগঠন

    সলঙ্গায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ালো মানবাধিকার সংগঠন

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অসুস্থ্য,বিধবার পাশে দাঁড়ালেন হিউম্যান রাইটস্ এ্যান্ড প্রেস সোসাইটি।আজ শনিবার বেলা ২ টায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এ্যান্ড প্রেস সোসাইটির টাঙ্গাইল শাখার নেতৃবৃন্দ অসহায় বিধবা সমেদানের হাতে চিকিৎসা বাবদ ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ।দৈনিক সংগ্রাম সলঙ্গা প্রতিনিধি ফারুক হোসেনের আয়োজনে চেক বিতরণপুর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সময়ের কথা ২৪ ঘন্টা নিউজ লাইফ টিভির ডিরেক্টর
    মতিয়ার রহমান,সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা,নির্বাহী সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, সলঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্টু,দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি লিখন আহমেদ,দৈনিক মানব জমিন প্রতিনিধি কারিকুল ইসলাম,দৈনিক ভোরের দর্পণ প্রতিনিধি হোসেন আলী,দৈনিক তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি সোহেল রানাসহ স্থানীয় অনেকে।উল্লেখ্য,সলঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য,দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ সলঙ্গার ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের অসুস্থ্য,বিধবা সমেদানকে নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অন লাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ এর নজরে আসে।তাই সহায়তা করতে ছুটে আসেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ এ্যান্ড প্রেস সোসাইটির দল।

  • রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা।

    রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা।

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী
    :আগামী সংসদ নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। তবে রাজশাহীর ছয় আসনেই বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন মাঠে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তারা নানাভাবে নির্বাচনি এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।

    রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে যোগদানের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র, অতিথি হচ্ছেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। এলাকার মানুষের সমর্থন চাইছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা। ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে চাইছেন দোয়া। অবশ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো সাংগঠনিক বা দলীয় তৎপরতা রাজশাহীর কোনো নির্বাচনি এলাকায় নেই।
    রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি আসন রাজশাহী – ১ ও রাজশাহী – ৪ (বাগমারা) এবার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যশ্যা করছেন অবসরপ্রাপ্ত দুই উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) শরীর উদ্দীন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বাবু।

    জানা গেছে, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন মেজর জেনারেল (অব.) শরীর উদ্দীন। তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। তাছাড়া তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

    শরীর উদ্দীন বলেন, ‘‘আমি বরাবরই রাষ্ট্র ও দলের প্রতি আনুগত্য রেখে দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপিকে সংগঠিত করা, তৃণমূলে নেতৃত্ব তৈরি করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সক্রিয় হতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, রাজশাহী-১ আসনের জনগণ এক সময় আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন এখন তারা আমার পাশে থাকবেন।’’

    অপরদিকে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বাবু বাগমারা উপজেলার বাগমারা গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলাম মাস্টারের সন্তান। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তাছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গৃহশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এর আগে ২০১৮ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

    মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি জাতির প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেছি সেনাবাহিনীতে। এখন রাজনৈতিকভাবে দেশ ও জনগণের পাশে থাকতে চাই। বাগমারা অঞ্চলের উন্নয়ন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি জীবনভর কাজ করতে চাই। বিএনপির আদর্শই আমার প্রেরণা। দল যদি দায়িত্ব দেয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করব।’’

    বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, এই দুই অভিজ্ঞ ও সুপরিচিত মনোনয়নপ্রতাশী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতিও চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা দুইজনেই এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গানোসহ গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • নড়াইলে তিন কন্যার জন্ম দিলেন গৃহবধূ

    নড়াইলে তিন কন্যার জন্ম দিলেন গৃহবধূ

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিয়ের ৩ বছর পর একসঙ্গে ৩ মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলপনা খানম (২৪) নামের এক গৃহবধূ।
    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, শুক্রবার (৪ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার শিকদার হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন মেয়ে সন্তান প্রসব করেন ওই নারী।
    আলপনা খানম উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের খন্দকার সজীব হাসানের স্ত্রী।
    শিকদার হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নোয়গ্রামের খন্দকার সজিব হাসানের স্ত্রী আলপনা খানম ভর্তি হন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিজারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন স্বরূপ গোলদার ও এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ পান্থ বিশ্বাস ও অন্যরা সফল সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন করেন। এসময় তিনটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। মা ও সন্তানদের সবাই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
    আলপনার স্বামী খন্দকার সজিব হাসান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বিয়ের ৩ বছর পর আমাদের দাম্পত্য জীবনে আমার স্ত্রীর ৩টি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি। আমার বাচ্চাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

    শিকদার হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার মো. ইব্রাহিম বলেন, শুক্রবার সকালে একজন রোগী ভর্তি হয়। পরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক নারীর তিনটি মেয়ে সন্তান হয়েছে। বাচ্চা তিনটি ও তার মা সুস্থ আছেন। হাসপাতাল থেকে রোগীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
    এ ব্যাপারে গাইনি সার্জন চিকিৎসক স্বরূপ গোলদার বলেন, প্রথম থেকেই রোগী আমার ফলোআপে ছিল। শুক্রবার সকালে তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হলে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি মেয়ে সন্তান হয়। তিন শিশু কন্যা ও তার মা সুস্থ রয়েছেন।
    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।