Blog

  • সিদুর দানের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদা-য় জানানো হলো ময়মনসিংহে, কড়া নিরাপত্তায় শেষ হল শারদীয় দুর্গোৎসব

    সিদুর দানের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদা-য় জানানো হলো ময়মনসিংহে, কড়া নিরাপত্তায় শেষ হল শারদীয় দুর্গোৎসব

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হল হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

    বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকেই মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে বিজয়ার প্রার্থনা করেন। পরে বিকাল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।

    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

    এর আগে বিহিত পূজা আর সিঁদুর খেলার আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গাপূজার দশমীর প্রস্তুতি। সকাল থেকে ময়মনসিংহ নগরীসহ জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নারী ভক্তরা দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন এবং পরস্পরের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতেন। পূজার শেষ দিনে ভক্তদের মাঝে ছিল আবেগঘন পরিবেশ। দেবীর চরণে প্রণাম করে তাঁকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলে সারা দিন ধরে। সিঁদুর খেলার পর ভক্তরা দেবীর কাছে পরিবার ও সমাজের কল্যাণ কামনা করেন।

    সিদুর নিবেদন অনুষ্ঠানে সাধারণত বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর দান করেন এবং তা কৌটায় রেখে সারা বছর ব্যবহার করেন। এ সময় তারা একে অপরের কপাল ও চিবুকে দেবীর চরণ স্পর্শ করা সিঁদুর লাগিয়ে দেন।

    বিকেল থেকে ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে নগরীর কাচারী এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের তীরে বিসর্জন ঘাটে নিয়ে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একই সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলে বিসর্জন। সড়কে পুলিশের টহল ও নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করে।

    এর আগে দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য এক বিজয়া শোভাযাত্রা। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে দুপুরের পর থেকেই ভক্তরা ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন দুর্গাবাড়ী মোড়ে।

    পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে কাচারীঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুর্গাবাড়ী মন্দির থেকে শুরু করে প্রতিমা যাত্রাটি কাচারী ঘাটে পৌঁছে। রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনে পুলিশ ছিল সতর্কাবস্থায়। রাস্তার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

    বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বলছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর আনন্দ, শান্তিতে পূজা উদযাপন হয়েছে। ময়মনসিংহের কাচারী ঘাটে কড়া নিরাপত্তায় বিসর্জন হয়েছে দুর্গাপূজার প্রতিমা। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ প্রস্তুতি নেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্য। আর বিসর্জনের সময় নৌ দুর্ঘটনা রোধে টহল দিচ্ছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

    বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম,পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজিদ,
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ মোহাইমেনুর রশিদ,সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, প্রকৌশলী আজারুল ইসলাম
    সদর সার্কেল মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) আবু নাছের মোহাম্মদ জহির, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, বিএনপির নেতা মোঃ মাহবুব আলম, সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার এবং বর্জ্য কর্মকর্তা মোহাব্বত আলীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা,সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মহানগর সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দরা।

    শাস্ত্রীয় মতে, ২০২৫ সালে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আগমন করে এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে ফিরেন।

  • ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালীতে পুজার নি-রাপত্তায় ক-ঠোর নজ-রদারিতে এএসআই আয়েছ মাহমুদ

    ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালীতে পুজার নি-রাপত্তায় ক-ঠোর নজ-রদারিতে এএসআই আয়েছ মাহমুদ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার ৪৪নং বিট ১২নং ভাবখালী ইউনিয়নে প্রতিটি মণ্ডপে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে বিট পুলিশিং পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ, এছাড়াও বিট পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করায় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে ভাবখালী ইউনিয়নের সবকটি পূজা মন্ডপ।

    এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এগিয়ে এসেছে পূজা নির্বিঘ্ন করতে। ভাবখালী ইউনিয়নে এ বছর ৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    বাংলাদেশ পুলিশের মেধাবী,সাহসী ও চৌকস অফিসার ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আয়েছ মাহমুদ ভাবখালী ইউনিয়নের প্রতিটি পুজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে পুজা উদযাপনকারীদের সাথে যোগাযোগ রেখে তাদের সমস্যার কথা জেনে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ফলে ইউনিয়নের পুজা উদযাপনকারীরা নির্বিঘ্নে পুজা উৎসব উদযাপন করছেন।

    এ ব্যাপারে এএসআই আয়েছ মাহমুদ বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপুঁজা একটা উৎসব,ধর্ম যার-যার উৎসব সবার। কিছু কুচক্রী মহল আছে যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগানোর সুযোগ খুঝে, তিনি বলেন-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যে কেউ হউক না কেন তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

    কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলামের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ভাবখালী ইউনিয়নের শারদীয় দুর্গোৎসব কে শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমোখর করতে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষে নিয়মিত ভাবখালী ইউনিয়নে অবস্থিত পুজা মন্ডপ গুলোতে টহল দিচ্ছেন এবং মন্ডপের জন্য নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খোজ খবর নিচ্ছেন।

    এ এস আই আয়েছ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নজির আছে। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ পরস্পর মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করেন।’ তিনি বলেন-‘কতিপয় দুষ্কৃতিকারী অঘটন ঘটিয়ে আমাদের সহাবস্থানকে বিনষ্ট করতে চায়, দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চায়। আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর।

    দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এএসআই বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে জেলা পুলিশ সুপার স্যার ও কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অঘটন ঘটানোর দুঃসাহস না দেখাতে পারে।’

    তিনি পুজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্যেশ্যে বলেন, ‘মানুষ যখন বিশ্রামে যায় দুষ্কৃতিকারীরা সে নির্জনতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।’এজন্য তিনি নিয়জিত আনসার ও গ্রাম পুলিশদের সবাইকে সার্বক্ষণিক সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন-সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে চাই।

    মহানবমীতে শুভেচ্ছা জানাতে পরিদর্শনকালে তিনি পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এছাড়া তিনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য আহ্বান জানান।

  • শেখ আব্দুর  রউফের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে  এক কিলোমিটার দীর্ঘ মা-নববন্ধন

    শেখ আব্দুর রউফের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মা-নববন্ধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতা কর্মীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুলাই ও আহম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে
    ‎‎উপজেলার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের দুলাই ও আহমেদপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর বাজারে হাজারো নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে এ মানববন্ধন পালন করে দলটির নেতাকর্মীরা।‎
    পরে ‎আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাসুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মাসুম হায়দার, আহাম্মেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক মন্ডল, আহম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবদেন সবুর, দুলাই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা দুলাল শেখ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম মুস্তাফিজুর রহমান,ঢাকা মহানগর ছাত্রদল নেতা বাপ্পি, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন, সরকারী শহী বুলবুল কলেজের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ রাকিবুল ইসলাম, দুলাই ইউনিয়নের ছাত্র নেতা সজিব ইসলাম ফারুক, সজীব, কিবরিয়া রানা মাসুদ প্রমূখ।
    সমাবেশে নেতাকর্মীরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং জনপ্রিয় নেতা সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখআব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
    তারা বলেন, শেখ আব্দুর রউফ আন্দোলন-সংগ্রামে বহুবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন। তিনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং এ দাবি না মানা হলে লাগাতার কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
    এ সময় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যায় না। বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রউফ রাজপথের লড়াকু সৈনিক, দুঃসময়ের পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী নেতা, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত নিবেদিতপ্রাণ একজন জননেতা। শেখ আব্দুর রউফ তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে তঁাতীবন্দ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য,১৯৯০ সালে সুজানগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও এরপর উপজেলা ছাত্রদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য, ১৯৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একই বছরের মে মাসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৫৭ মাস কারাগারে বন্দি থাকেন।
    এরপর ২০০৫ সালে উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এবং পরে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১১ সালে পূণরায় বিপুল ভোটে তঁাতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০১২ সালে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, ২০১৬ সালে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে শেখ আব্দুর রউফ সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রাখলে দলটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনর্বিবেচনা করে শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিনীত অনুরোধ জানান।

    এম এ আলম রিপন
    সুজানগর পাবনা।।

  • সুজানগর পৌরসভার বিভিন্ন মন্দিরে আব্দুস সালাম মো-ল্লার আর্থিক অনুদান প্রদান

    সুজানগর পৌরসভার বিভিন্ন মন্দিরে আব্দুস সালাম মো-ল্লার আর্থিক অনুদান প্রদান

    এম এ আলম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর পৌরসভার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন আগামী পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুস সালাম মোল্লা। বুধবার পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি আব্দুল সালাম মোল্লা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পূজামন্ডপ পরিচালনা কমিটির নিকট আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ সময় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম মোল্লা বিএনপির কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই জানিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পূজা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে অতীতেও ছিলাম বর্তমানে আছি এবং আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকব। পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে এ সময় সুজানগর পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সিদ্দিক বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বাবু মোল্লা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার মোল্লা, এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য আব্দুস সালাম মোল্লা তার রাজনৈতিক জীবনে (১৯৮৯-১৯৯১) সাল পর্যন্ত বাংলাদেশজাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি, (১৯৯২-১৯৯৬) সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সুজানগর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, (২০০৯-২০১৯) সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ০৩ নং ওয়ার্ড সুজানগর পৌর শাখার সভাপতি, (২০১০-২০১৫) সাল পর্যন্ত সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক, (২০১৫-২০১৮) সাল পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দল সুজানগর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক, (২০২০-২০২৩) সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পাবনা জেলা শাখার সম্মানিত সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী দল সুজানগর পৌর শাখার বর্তমানে যুগ্ন আহব্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর ঈদগঁাহ মাঠের সহ-সাধারণ সম্পাদক, তারাবাড়ীয়া নতুন গোরস্থানের সাধারণ সম্পাদক, এবং হযরত শাহজালাল কিন্ডারগার্টেন একাডেমী পরিচালনা কমিটির সম্মানিত সদস্য ও আদর্শ ক্লাবের আহ্বায়ক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ-আব্দুল হালিম সাজ্জাদ

    আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ-আব্দুল হালিম সাজ্জাদ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। সেখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। প্রত্যেকে মাথা উঁচু করে বঁাচবে। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের ঋণ আমরা ভালোবাসা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোধ করতে চাই বলে জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। বুধবার সুজানগর পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির পরিদর্শন ও আর্থিক অনুদান প্রদান কালে তিনি আওেরা বলেন, বিএনপি সবসময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। বিএনপির কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পূজা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে অতীতেও ছিলাম বর্তমানে আছি এবং আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকব। পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এ সময় উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান খান, পৌর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দল বাতেন, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলম মন্ডল,যুবনেতা আনোয়ার হোসেন আনাই ও আরিফ বিশ্বাস এবং এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা শাকিল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • তানোরে বিনামুল্য ছাগল বিতরণ

    তানোরে বিনামুল্য ছাগল বিতরণ

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের আয়োজনে ও সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    এদিন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজেদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নাঈমা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) নুরনাহার বেগম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুমন মিয়া এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২০০টি পরিবারের মাঝে দুটি করে ছাগল ও একটি করে ম্যাট বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, “সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।” স্থানীয়রা মনে করছেন, এ কর্মসূচি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

    এদিকে বিতরণকৃত ছাগলের মান নিয়ে উপকারভোগীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন,বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে এর থেকে অনেক ভাল মানের ছাগল বিতরণ করা সম্ভব ছিলো। তারা বলছে, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর যে সকল উপকারভোগীরা গরু-ছাগল পাচ্ছেন, সেটা তারা লালন-পালন করছেন কি না, এরা প্রকৃত সুবিধা বঞ্চিত কি না ইত্যাদিসহ ছাগল বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) অনুসন্ধান করা উচিৎ। এদিকে বিতরণ করা ছাগলের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, এটা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক বলতে পারবেন।#

  • সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত, গোদাগাড়ীতে শতবছর থেকে একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির

    সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত, গোদাগাড়ীতে শতবছর থেকে একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাশাপাশি জায়গায় মসজিদ ও মন্দির। দীর্ঘ শত বছর ধরে বাগবিতন্ডা ছাড়াই চলছে নামাজ ও পূজা। ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অন্যন্য নিদর্শন স্থাপন করেছেন স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়।

    প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গোদাগাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীমন্তপুরে (হাটপাড়া), শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় যোহরের নামাজের আজান শুরু হতেই থেমে যায় ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। এমন কী প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আজান ও নামাজের সময় পূজার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এভাবে চলে আসছে বছরের পর বছর। দুই ধর্মের লোকজনরাই নিজ-নিজ ধর্মীয় আচার ও নিয়ম পালন করছেন দীর্ঘ শত বছর ধরে। কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

    বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস অনেক ধর্মীয় সম্পতি আছে যার দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তেমনি এক নিদর্শন রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার হাটপাড়া এলাকায়। এককই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দিরে শতবছর ধরে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা পালন করে আসছেন দুই সম্পদায়ের মানুষ। সাম্প্রদায়িকতার বিষ-বাস্প কখনো আঁচর কাটতে পারেনি এখানে।

    আযান শুনে মসজিদে ছুটে যান মুসল্লীরা আল্লাহর আনুগত্য লাভের আশায়, আদায় করেন নামাজ। মসজিদের পাশেই মন্দির শারদীয় দুর্গা উৎসবের জাঁকজমক আয়োজন, ঢাক-ঢোল কাশর আর উলুধ্বন্নীর শব্দ চয়নে প্রতিমা দর্শনে ভিড় করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মা নদীর পাশে হাটপাড়ায় একই আঙিনায় মসজিদ ও গোদাগাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আর মসজিদ ও মন্দির কমিটির সদস্যরা এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেই কিভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নামাজের সময় বন্ধ থাকে ঢাকের বাদ্য বাঁজনা।

    মসজিদ কমিটির সদস্যরা বলেন, দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে মসজিদ ও মন্দির পাশাপাশি আছে, আমরা জন্মের আগে থেকে দেখে আসছি, এখন পর্যন্ত এককই আঙিনায় আছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পূজা পালন করছে। আমরা মুসলমানরা লক্ষ্য রাখি তাদের যেনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
    মসজিদ ও মন্দির সংলগ্ন জায়গা টিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী যেমন তাদের পূজার কাজে ব্যবহার করে থাকেন, তেমনি মসজিদের মুসল্লীরা ওয়াজ মাহফিলে করেন।

    মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী শান্ত কুুমার মজুমদার রাখু বাবু বলেন, এই মন্দির বহু বছর আগের পুরনো। এখানে পূজা পালন হয়, পাশেই আছে মসজিদ হিন্দু-মুসলমান আমরা একত্রিত হয়ে বসবাস করি। আমাদের অনেক ভালো লাগে। কোন প্রকার সমস্যা হয় না। মসুলমান ভাইয়েরা আমাদের যুগযুগ ধরে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। এই মন্দিরটা একশ বছরের পুরনো। একই স্থানে মসজিদ ও গোদাগাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির। এ এলাকার হিন্দু-মুসলমানরা যার যার ধর্মীয় আচার পালন করে থাকেন। এ পর্যন্ত এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আশা করেন- কখনও ঘটবেও না।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এর একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এককই স্থানে মসজিদ ও গোদাগাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির। মুসুল্লিরা নামাজের সময় নামাজ আদায় করছে আবার হিন্দু ধর্মের লোকজন পূজার সময় পূজা উদযাপন করছে। বিগত বছরের মতো এ বছরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান। সাম্প্রতিক সম্প্রীতি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ আগামীদিনেও বজায় থাকবে বলে আশা করেন।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি তদন্ত মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মসজিদ ও মন্দিরে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম সম্প্রীতি বজায় রেখে পালন করে আসছে। এই এলাকার মানুষের মধ্যে সামাজিক যে বন্ধন সেটি বিদ্যমান আছে। গোদাগাড়ীর হাটপাড়া কেন্দ্রীয় মন্দির ও জামে মসজিদ এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।

    প্রতিবছর ধুমধাম করে দুর্গাপূজা উদযাপন করে এলাকার সনাতনধর্মীর লোকজন। প্রায় একশো বছর থেকে একই আঙিনার কেন্দ্রীয় মন্দির ও জামে মসজিদ। মন্দির নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে কখনও ধর্মীয় কোনো দ্বন্দ্ব বা সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়নি। একই সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমরা যার যার ধর্ম পালন করছেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলছে, উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনাও আছে। পূজারি ও দর্শনার্থীরা প্রতীমা দেখতে এবং পূজায় অংশ নিতে ভির করছেন। নির্ধারিত সময়ে আজান শুরু হতেই থেমে যাচ্ছে, ঢাক-ঢোল-কাঁসর, মাইক ও উচ্চশব্দের বক্সের বাজনা। আজানের পর মুসল্লিরা মসজিদে এসে নামাজ আদায় করছেন। নামাজ শেষ হওয়ার বেশ কিছু সময় পর আবার বেজে ওঠে মন্দিরের ঢাক-ঢোল-কাঁসর আর উচ্চশব্দের বাজনা।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার মাহাবুবুর রহমান বিপ্লব জানান, হিন্দুরা দীর্ঘ প্রায় ১ শ বছর ধরে এখানে পূজা করছেন। পাশে মসজিদ ও মন্দির থাকলেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না। ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। তারাও নামাজ ও আজানের সময় পূজা বন্ধ রাখেন। এটা কাউকে বলে দিতে হয় না। নামাজের আজানের সময় হলে আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায় পূজার কর্ম। যুগ যুগ এই সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। সারা বছর এলাকার হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই হিসেবে মিলেমিশে বসবাস করেন। ১০০ বছরের মধ্যে কোনো দিন দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা তিনি দেখেন নি।

    ইমাম ও মহিশালবাড়ী শাহসুলতান (রহ.) কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের অধ্যাপক মাও মো: দুরুল হোদা জানান, তিনি জন্মের পর থেকে একই বাড়ির আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির দেখছেন। অভিজ্ঞ লোকদের নিকট হতে শুনেছি শত বছর থেকে এ মন্দিরে সনাতন ধর্মের লোকজন পূজা-অর্চণা করেন। এখানে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই একে অপরের পরিপুরক হিসেবে কাজ করেন। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়- তারা সব সময় এ বিষয়টা লক্ষ্য রাখেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • মশার য-ন্ত্রণায় অতি-ষ্ঠ গোদাগাড়ী পৌরসভাবাসী

    মশার য-ন্ত্রণায় অতি-ষ্ঠ গোদাগাড়ী পৌরসভাবাসী

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে রাজশাহী গোদাগাড়ী পৌরসভার মানুষের জীবন যাপন। পৌর এলাকায় যেন রাজত্ব কায়েম করছে মশা।

    সে সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লোড শেডিং মশার অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠছে জনজীবন। মশার উপদ্রব এতটায় বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সন্ধ্যায় বসতবাড়ির দরজা-জানালা খোলা যাচ্ছে না। এ সন্ধ্যায় কোনো স্থানে স্থির হয়ে বসা তো দূরের কথা, দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চতুর্দিকে মশা আক্রমণে নামে।
    মসজিদ, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, অফিস হাট-বাজার, রাস্তাঘাট সর্বত্র মশার যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি পাচ্ছে না পৌরবাসী। শুধু সন্ধ্যা বা রাতে নয় বরং প্রতি মুহূর্তে চলছে, এদের অবিরাম অত্যাচার। কয়েল, মশক নিধন ব্যাট, স্প্রে ব্যবহার করেও মশার আক্রমণ থেকে শতভাগ মুক্তি মিলছে না।

    পশ্চিম আকাশে সূর্য্য ডুবার সাথে সাথে মশা ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমন করে। মশা থেকে রক্ষা পাবার জন্য অনেকে মশরীর মধ্যে অবস্থান করতে হচ্ছে।

    প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীর প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভাবাসী নূন্যতম নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গোদাগাড়ী পৌরবাসী চরম অসুবিধা, দুর্ভোগ আর যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছেন। আর এর প্রধান, প্রধান কারন বিভিন্ন সময়ে পৌর মেয়রেদের এমপির সাথে বিরোধ, ব্যপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করন, টেন্ডারবাজি করে সরকারী রাজস্ব লুটপাট করা আর উন্নায়ন বৈষম্য স্বীকার পৌরবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে গেছেন সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত। এখন দেখাচ্ছেন
    বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী ফয়সাল আহমেদ।
    সাবেক প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াত ও ফয়সাল আহমদের নির্দেশনা পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা অব্যাহতভাবে চলছে। এধরনের কার্যক্রমে পৌরবাসী দারুন খুশি।
    তারা বকেয়া করসহ নিয়মিত কর পরিশোধ করছেন।

    স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের পাশে উন্মুক্ত ড্রেন, পৌর এলাকার যত্রতত্র বর্জ্য-আবর্জনা ফেলা এবং পরিকল্পিত ড্রনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। দিনের বেলায়ও অফস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে কয়েল জ্বালিয়েও রক্ষা হচ্ছে না তাদের।
    সরেজমিনে দেখা যায়, ২৮ দশমিক ২৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভা। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের পাশে উন্মুক্ত ড্রেন। ময়লা-আবর্জনা পূর্ণ পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। এতে করে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা এখন যেন মশার স্বর্গরাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    পৌরসভার প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেন লাইনের অধিকাংশ স্থানেই রয়েছে ঢাকনা খোলা। এসব খোলা ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলায়, তা পচে একদিকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, অন্য দিকে প্রজনন হচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণুবাহী মশার। আর এ মশার অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী।
    পৌর বাসিন্দাদের অভিযোগ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস ও দীর্ঘ একযুগ থেকে সচিব, সহকারী প্রকৌশালী, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এ তিনটি পদ দখলকারী ক্ষমতাধর সারোয়ার জাহান মুকুলের যোগসাজসে বাড়ী দোকানে গিয়ে খেয়ালখুশিমত পৌরকর বৃদ্থি করেন। জোর পূ্র্বক আদায় করে পৌরসভার ফান্ডে জমা না করে লুটপাট করার ব্যপক অভিযোগ রেয়েছে। সবসময় ক্ষমতাধর মুকুলের কারণেই পৌরসভায় কাজের কোন গতি নেই। পৌরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও এ দুজনের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, তারপর বটবৃক্ষ হয়েছেন। পৌরবাসী নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত বছের পর বছর ধরে । পৌরসভার যে কর্মকর্তা, কর্মচারী অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলবেন তাইকে বিগত দিনের মত এখনো দাবিয়ে রাখেন ক্ষমতাধর সারোয়ার জাহান মুকুল,
    বিগত দিনে পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারীর গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি পৌসভার চিকিৎসা বিভাগের গর্ব যিনি বিনা ফি এ রোগি দেখে সুনাম অর্জন করেছিলেন কর্মরত ডাক্তার অলিউল রহমান । তাকে সারানোর জন্য সারোয়ার জাহান মুকুল কৌশলে মেয়রকে হাত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় করা হয়। গত এক যুগ থেকে প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভা এমবিবিএস ডাক্তারবিহীন চলছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

    নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করলেও, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী, মশা নিধনে কোন প্রকার কার্যকারী বাস্তবধর্মী পদক্ষেপনগ্রহন করেন নি।

    এমন কি মশা নিধক স্প্রে করা হয় না। যত্রতত্র ফেলা ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। মহিশালবাড়ী গরুর হাট, গোদাগাড়ী হাট, রেলবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও কোন সংস্কার কাজ উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয় নি। মহিশালবাড়ী গরুর হাটে বিশাল ময়লার ভাগাড়, কাসাই পাড়া, মহিশালবাড়ী গ্রামীনফোন টাওয়ারের সামনে রাজশাহী – চাঁপাই নবাবগঞ্জ মহনগরী সড়কের পাশে সব ময়লা, মুরগীর নাড়ী ভূড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন দেখে মনে হয় মশা মাছি উৎপাদন ক্ষেত্র, ডেঙ্গুকে নিমন্ত্রন যানাচ্ছেন । এগুলি দেখার সময় নেই তিন পদ ধরে রাখা ক্ষমতাধর কর্কর্তার। হাতে থেকে ক আবর্জনা ও ড্রেন পরিষ্কার করছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে তাদের। অনেক ড্রেনের সাথে বাসাবাড়ী, মসজিদের বাথরুম টয়লেটের সংযোগের কারণে দুগন্ধের সৃষ্টি হয়। মানুষের চলাচলের অসুবিধা হয়। মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পশের ড্রেনে টয়লেট বাথরুমের পানি ও মলের লাইন সংযোগ ছাত্রীর ক্লাসচলাকালীন সময়ে জানালা খুলতে পারে না।
    পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পৌরসভার ‘সাবেক মেয়র ইচ্ছামত পৌরকর বৃদ্ধি করেছিল আমরা সমিতি গঠন করে মাসের পর আন্দোলন করেছি। আদালতে মামলা করেছি। পরে সাবেক পৌর প্রশাসক আবুল হায়াত কর কমানোর ফলে নিয়মিত কর পরিশোধ করচ্ছি। তিনি আরও জানান, মশা এতো বেশি, মশার জ্বালায় আমরা এখন অতিষ্ঠ। শুধু বাইরে নয়, এখন ঘরে থাকতেও আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে।’

    ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাদিকুল বলেন, ‘মশার জ্বালায় কিন্তু মশার কামড় থেকে রক্ষা পাই না। যেখানেই যাই এতো মশা বেড়েছে এখন থাকাটাই দায়। অথচ এই বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো নজরই নেই। মশার কামড়ে অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
    সুলতানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মজি্ুবুর রহমান বলেন, ‘দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে শুতে হয়। মশার উপদ্রবে আমাদের জীবনযাত্রা এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মশার উপদ্রব বাড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষ যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। এই বিষয়ে এখনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, অথচ আমরা নিয়মিত পৌর কর দিচ্ছি।’

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন এমবিবিএস ডাক্তার জানান, পৌরসভার বেশীরভাগ ড্রেন খোলা, বিভিন্ন স্থানে ময়লা, নোংরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। ছাত্র ছাত্রী, শিশু, বয়স্কগন সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝঁকির কথা মনে করে দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় ডাক্তার নেই এটা হাস্যকর, দুঃখজনক।

    সাবেক কাউন্সিল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বিপ্লব বলেন, পৌরসভা মশা নিধনে কোন পদক্ষেপ দেখি না। মশার কামড়ে পৌরবাসী আতঙ্কিত। আমি গোদাগাড়ী পৌরসভার তিন বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। আওয়ামীলীগের দোসর মেয়র অয়েজ উদ্দিন, পৌরসভার কার্য সহকারী যুবলীগ নেতা গোলাম কাওসার মাসুম, ক্ষমতাধর সারোয়ার জাহান মুকুল বিগত ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে, দলীয় লোকজনদের কথিত নিয়োগ দিয়ে, রাস্তা না করে বিল উত্তোলন, টেন্ডারবাজি, পৌরকর আদায় করে পৌরসভার ব্যাংক হিসাবে জমা করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। যুবলীগ নেতা মাসুমকে ক্ষমতাধর মকুল সুকৌশলে চাঁপাই নবাবাগঞ্জ পৌরসভায় বদলী করেন তার অনিয়ম দুর্নীতি গোপন করতে। বিনা ভোটের মেয়র অয়েজ উদ্দিন পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়াতে রয়েছেন আওয়ামীলীগ ও সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর দোসর সারোয়ার জাহান মুকুল।
    পৌর প্রশাসকদের ভুল বুঝিয়ে নিজেরসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ১৫ বছরের বেতনভাতা গ্রহন করেছেন। কিন্তু কাউন্সিলদের বকেয়া সম্মানি দেয়া হয় নি। কেউ মারা গেছেন, কারো স্বামী মারা গেছেন, কেউ অসুস্থ্য, ওষুধ কেনার টাকা নেই। কন্যা দায় গ্রস্থ মেযের বিয়ে দিতে পারছেন না। সংসার চালাতে পারছেন না। কর্মকর্তা কর্মচারীগণ মাস শেষে বেতন পাচ্ছেন। তাদের কথা ভাবা হলো কাউন্সিলদের কথা বিবেচনা করা হলো না। সারোয়ার জাহান মুকুল অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হবে ইনসাল্লাহ।

    আরেক কাউন্সিল আব্দুল্লাহ আল মামুম বলেন, মশা নিধন করা জরুরী। আমরা বার বকেয়া সম্মনী দাবী করে পারছি না। অনেকে কষ্টে আছে, অসুস্থ্য, সংসার চলে তাদের কথা বিবেচনা করে বকেয়া সম্মানীর জোর দাবী জানাচ্ছি।

    গোদাগাড়ী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, পৌরসভা ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে, কর্মকর্তা কর্মচারীর ১৫ বছরের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। ফগার মেশিনসহ বিভিন্ন যত্নপাতি আছে। মশা নিধন ও ড্রেন পরিস্কার করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমার বদলীর আদেশ হওয়ায় সব কাজ দেখভাল করা সম্ভাব হয় নি। পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর উপদ্রব থেকে পৌরবাসীকে রক্ষায় মাসব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগসহ সকল বিভাগে কাজের গতিবৃদ্ধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • কি-স্তির টাকা প-রিশোধ করতে না পারা দোকানির জমি লিখে নেয়া শিক্ষকের বিরু-দ্ধে তদ-ন্তে সমবায় অফিস

    কি-স্তির টাকা প-রিশোধ করতে না পারা দোকানির জমি লিখে নেয়া শিক্ষকের বিরু-দ্ধে তদ-ন্তে সমবায় অফিস

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

    নেছারাবাদে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এক চা দোকানির জমি লিখে নেওয়া অভিযোগে আলোচিত সমবায় সমিতির পরিচালক ও শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে উপজেলা সমবায় অফিস।

    জানা গেছে, উপজেলার আলকিরহাট বহুমুখী সমবায় সমিতি লি:-এর পরিচালক মিজানুর রহমান একইসাথে ৭০ নং পাটিকেলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সমবায় সমিতির আড়ালে চড়া সুদের ব্যবসা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সমবায় অফিসের পক্ষ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে মিজানুর রহমানকে তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। চিঠিতে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় সমিতির নিবন্ধিত কার্যালয়ে ভুক্তভোগী চা দোকানি চান মিয়া ও সমিতির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে লিখিত বক্তব্য ও দালিলিক কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাসান রকি বলেন, “যারা সমবায় সমিতির লাইসেন্স নিয়ে ব্যাংকের মতো ব্যবসা চালাচ্ছে এবং অবৈধভাবে ডিপিএস সংগ্রহ করছে। যা সমবায় সমিতির আইন লঙ্ঘন। তারা সমবায় সমিতি চালাতে পারবেনা। ইতোমধ্যেই আইন লঙ্ঘনকারী অনেক সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সমিতির বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বহুল প্রচারিত আজকের পত্রিকা-তে “কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দোকানির জমি লিখে নিলেন শিক্ষক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি উপজেলা সমবায় অফিসের নজরে আসে এবং পরবর্তীতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

  • ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে ঝিনাইদহে অ্যাটর্নি জেনারেল

    ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে ঝিনাইদহে অ্যাটর্নি জেনারেল

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে। জনগণ সতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দেবে। এটাই জনগণের সাথে বর্তমান সরকারের সামাজিক চুক্তি।তিনি বলেন, নির্বাচন কে সামনে রেখে যত বাধাই আসুক জনগণ তা প্রতিহত করবে। এটাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকারের বৈধতা ও জনগণের সামাজিক চুক্তি। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত এক তবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সহ সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা, আক্তারুজ্জামান ও জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, অনেকেই বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আপনাদের বলতে চাই, ২০০৯ সাল থেকে লাখ লাখ মানুষ রাজনৈতিক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ গুম হয়েছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিদায়ে সাংবিধানিক সকল পথ যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন দেশের ছাত্রজনতা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ছাত্র জনতার এই বিজয় দেশে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পথ উন্মুক্ত করেছে। এই উন্মুক্ত পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বর্তমান সরকারের বৈধতা দিয়েছে। দেশের জনগণ এই সরকারকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। কোন পতিত স্বৈরাচারের যুক্তি জনগনের গণরায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনা।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পৃথিবীর যত সভ্যতা আছে, সকল সভ্যতার মাধ্যমে যেসব সরকার অতিতে গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সবচেয়ে বৈধ সরকার। যারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল, তারা আগামী নির্বাচন বানচালে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সমাজ বদলের ইতিহাস, মানুষের সভ্যতার ইতিহাস। মানুষ যখন বন্যপ্রাণীর মত বসবাস করতেন, হিংস্র ছিলেন, আত্মকেন্দ্রিক ছিলেন, তখন মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে সভ্যতার দিকে ধাবিত হয়েছেন। এভাবে ধাবিত হতে হতে মানুষ তাদের শাসককেক মনোনয়ন দিয়েছেন। আর এই মনোনীত সাংবিধানিক আইন হলো ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনা সনদ। রাসুল পাক (সাঃ) বিভেদপূর্ণ জনগোষ্ঠিকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে মদীনা সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন। সুতারাং এটি একটি সামাজিক চুক্তি, রাজনৈতিক চুক্তি।তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের সমস্ত পথ যখন রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন জুলাই বিপ্লবের শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে সেই ফ্যাসিষ্ট সরকারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে জনগণ দেশের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছিল। তারাই ঠিক করেছেন কে প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, প্রধান বিচারপতি কে হবেন, বাংলাদেশ কিভাবে শাসিত হবে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে এসে যদি কোন খুনি গোষ্ঠী সামনে চলে আসে তবে বাংলাদেশের জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে আইন সঙ্গতভাবে।তিনি বলেন, আমরা হাসিনার বিচার করতে আসেনি, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করতে এসেছি। যে অপরাধের মধ্যে আছে পাঁচ বছরের শিশুকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে। যে বালক যে যুবকদের ছাত্র পানি দিচ্ছে তাকে গুলিবিদ্ধ করে মারা হয়েছে। রাজপথে দাঁড়িয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আত্মহুতি দিয়েছেন সে সবের বিচার করতে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে। তাই বিনা বিচারে কাউকে ছাড়া হবে না।সুতরাং যারা বিভেদ তৈরি করার জন্য বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ২৪ এবং ৭১ একই সূত্রে কথা। যারা আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছেন যারা পঙ্গুত্ব পালন করেছেন যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন এই বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভূমিকা রেখেছেন এবং তাদের সবার ভূমিকাতেই আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে চাই। আগামী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে। আগামী বাংলাদেশ আইনের শাসনের বাংলাদেশ হবে, যাতে করে আর কোন মা বোনকে রাতের পর রাত তার স্বজন ফেরার প্রতীক্ষায় থাকতে না হয়।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।