Blog

  • সাভারে শীর্ষ সন্ত্রা-সী টুটুল ৭ রাউন্ড গু-লি ও পিস্ত-লসহ গ্রেফতার!

    সাভারে শীর্ষ সন্ত্রা-সী টুটুল ৭ রাউন্ড গু-লি ও পিস্ত-লসহ গ্রেফতার!

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভারে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ টুটুল মিয়া(৩৪)’কে পিস্তল ও ৭রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ।

    রোববার (৬ই জুলাই ২০২৫ইং) দিবা গত রাতে সাভারের আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে চেক পোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত টুটুল মিয়া (৩৪) ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মেলারটেক এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে।

    সোমবার(৭ই জুলাই ২০২৫ইং) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিন বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো: ফয়সাল আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল টিম চেক পোস্ট বসিয়ে রিক্সা যোগে মহাসড়কের বিপরীত দিক থেকে আসা রিক্সার গতিরোধ করে রিক্সায় থাকা অস্ত্র বহনকারী টুটুলের দেহ তল্লাশী করে, এ সময় তল্লাশিকালে তার কাছ থেকে একটি পিস্তল,৭ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত টুটুল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-গুলি নিজের কাছে রেখে সাভারের আমিনবাজার-কাউন্দিয়া এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।এছাড়াও তার আরও দুই সহযোগীর তথ্য পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ টুটুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর টুটুলকে আদালতে সোপর্দ করে বাকি দুইজনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

  • কেশবপুর হাসপাতালে  জলা-তঙ্ক রোগের ভ্যা-কসিন প্রদান করলেন ইউএনও

    কেশবপুর হাসপাতালে জলা-তঙ্ক রোগের ভ্যা-কসিন প্রদান করলেন ইউএনও

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
    কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক রেবিক্স ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এখন থেকে হনুমান,কুকুর ও বিড়ালে কামড় দিলে বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
    ৭জুলাই সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন ৩০০ পিচ অ্যান্টি রেবিক্স ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীরের নিকট হস্তান্তর করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, গত নভেম্বর মাস থেকে হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টি রেবিক্স ভ্যাকসিন ছিলো না। যে কারণে বিভিন্ন প্রাণির কামড়ে আক্রান্তরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বাইরে থেকে অ্যান্টি রেবিক্স ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। কবে নাগাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টি রেবাক্স ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টি রেবিক্স ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ৩০০ পিচ অ্যান্টি র‌েবিক্ম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যা ৪০০ জনকে দেওয়া যাবে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ৫ হাজার মাস্ক প্রদান করা হয়েছে।

  • পরিবেশ ঠিক রাখতে সবাইকে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে- জামাযাত নেতা মাওলানা এমরুল

    পরিবেশ ঠিক রাখতে সবাইকে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে- জামাযাত নেতা মাওলানা এমরুল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ মহানগর যুব বিভাগের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
    ৬ জুলাই ২০২৫ রবিবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল।
    মহানগর যুব বিভাগের সেক্রেটারি প্রভাষক এস. এম. জোবায়ের হোসাইন এর সঞ্চালনায় মহানগর যুব বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বৃক্ষরোপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পরিবেশকে ঠিক রাখার জন্য আমাদের সবাইকে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
    তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণে উন্নত বিশ্বকে আরো সচেতন হতে হবে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে বিশ্বের পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা পরিহার করতে হবে। পতিত জমি, স্কুল, কলেজ মাঠ ও ছাদে বৃক্ষরোপণ করতে মহানগরী ও সদরের সকল নাগরিক সহ যুব বিভাগের জনশক্তিদেরকে আহবান জানান।
    মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, পরিবেশের সুরক্ষায় সামাজিক বনায়ন ও পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে হবে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরায়ন গড়ে তোলা হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের অফিস সম্পাদক প্রভাষক খন্দকার আবু হানিফ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডা: আজিজুর রহমান, মোমেনশাহী ইসলামী একাডেমী এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আবু দাউদ, ঘাগড়া থানা আমীর মাওলানা মনিরুজ্জামান, আকুয়া সাংগঠনিক থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা একেএম ফরহাদ হোসাইন,সেক্রেটারি মাহফুুজ, মহানগর শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি আল আমিন, আকুয়া থানার শিবির নেতৃবৃন্দসহ যুব বিভাগের বিভিন্ন থানার নেতা ও কর্মীবৃন্দ।

  • ভাবির সঙ্গে পর-কিয়া, যৌতু-কের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী 

    ভাবির সঙ্গে পর-কিয়া, যৌতু-কের দাবিতে শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া স্ত্রী 

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ভাবির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, যৌতুকের দাবি এবং মারধরের ঘটনায় পাঁচ বছরের শিশু সন্তানসহ ঘরছাড়া হয়েছেন এক গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার ওই নারী, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার গোহালকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার। তিনি স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।

    সোমবার (৭ জুলাই) সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় নলছিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাখরকাঠী এলাকার বাসিন্দা মো. সোহেল হাওলাদার একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং যৌতুকের জন্য তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে ঘরছাড়া করেন।

    সুমাইয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন “বিয়ের পর কয়েক বছর ভালোই কেটেছে। কিন্তু পরে স্বামী কাতারপ্রবাসী বড় ভাই মাছুদ হাওলাদারের স্ত্রী হেপী বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আমি প্রতিবাদ করলে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন নেমে আসে। বড় জা হেপী, ভাসুরের ছেলে ইব্রাহিমসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে আমাকে মারধর করে পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

    তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রথম সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে আবার ছোট ভাই সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী সারমিন বেগমের সঙ্গেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সোহেল। স্থানীয়ভাবে ধরা পড়ার পর সালিশ হলেও কিছুদিন পর সোহেল সারমিনকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বাড়িতে ফিরে এসে আমার ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয়, এমনকি আমার ভোটার আইডি, সন্তানের জন্মসনদ, সার্টিফিকেট আটকে রাখে। এসব কাগজপত্র ফেরত চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ফোনে তাকে, তার সন্তান ও বাবাকে হত্যার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

    তিনি আরও জানান, তার স্বামী ৮ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এর মধ্যে বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন তিনি। এখন আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন সোহেল। যৌতুক না দিলে ঘরে তুলবেন না বলে হুমকি দেন।

    এ অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল সুমাইয়া নলছিটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। পরদিন তার মা ফরিদা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।

    সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়ার মা ফরিদা বেগম বলেন, সোহেল বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে গালিগালাজ করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এখন আর কোনো শান্তি নেই।

    সুমাইয়া আক্তার বর্তমানে পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

     এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার কে একাদিকবার ফোন দিলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

    নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, আমাদের কাছে কোন ওয়ারেন্ট আদালত থেকে এসে পৌছায়নি।

  • পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ নতুন উপ-কমিটি বা-তিলের প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন

    পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ নতুন উপ-কমিটি বা-তিলের প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধা জেলা ট্রাক,ট্যাংকলড়ী, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক পরিষদ (রেজিঃ নংঃ ব-৩৪) অন্তর্ভুক্ত পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত সোমবার (৭ই জুলাই) দুপুর ১টায় বাংলাদেশ প্রেস ক্লব পলাশবাড়ী উপজেলা শাখা কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে অত্র উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,গাইবান্ধা জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী,কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক পরিষদ কর্তৃক কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ২০২২ সালে ২৬ জন শ্রমিককে ভর্তি করে নেয়। পরবর্তীতে ওই শ্রমিকদের নিকট হতে ভর্তির ফরম পূরণ বাবদ ২শ’ টাকা এবং কার্ড প্রদান বাবদ ৩ হাজার টাকা নেয় অত্র সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭/০৫/২০২২খ্রি. তারিখে ২৬ জন শ্রমিকের মধ্য হতে মো. শামছুল হককে সভাপতি এবং মো. আনোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গঠনের নামে উপ-কমিটির ২৬ জন শ্রমিকের নিকট হতে কমিটি গঠন খরচ বাবদ ৭ হাজার করে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা নেও
    য়া হয়।

    এরই ধারাবাহিকতায় কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটিকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই গোপনে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ওই এলাকার ৮১ জন অশ্রমিককে অত্র উপ-কমিটির কার্ড প্রদান করেন প্রধান কার্যালয়। যাহা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও বৈআইনী। উপ-কমিটিকে না জানিয়ে সদস্য পদ এবং কার্ড প্রদান করা সম্পূর্ণ অবৈধ।
    কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মনীতি মেনে সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে উপ-কমিটির কার্যক্রম চলতে থাকে। সম্প্রতি প্রধান কার্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈধ কার্যক্রমকে অবৈধ ভাবে বাঁধা প্রদান করে মিথ্যা নীল নকশা সাজিয়ে পরপর তিনবার নোটিশ প্রদানের নাটকীয়তা করে। এরপর গত ১৪/০৬/২০২৫ তারিখে প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটির বৈধ কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এদিকে,উক্ত উপ-কমিটিকে না জানিয়ে গোপন ভর্তিকৃত ৮১ জন অশ্রমিকদের সমন্বয়ে গত ৩০/০৬/২০২৫খ্রি. তারিখে প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটির ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ঘোষনা দেন।

    বর্তমানে অশ্রমিক দ্বারা গঠিত ওই অবৈধ কমিটি কাশিয়াবাড়ীতে তাদের অনুসারীদের সাথে নিয়ে জোর জবরদস্তি পূর্বক চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। এতে পূর্বের বৈধ কমিটির সাধারণ শ্রমিকরা বাঁধা প্রদান করতে গেলে তাদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি-ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় সংগঠনের নামে চালান বহির মাধ্যমে চাঁদা আদায় বন্ধ এবং নতুন আহবায়ক কমিটি বাতিল সহ স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তপেক্ষ কামনা করছি।

    সংবাদ সম্মেলনে কাশিয়াবাড়ী আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটির সভাপতি শামছুল হক,
    সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, কোষাধ্যক্ষ হাসিনুর রহমান,সদস্য আঃ রাজ্জাক,আবু হোসেন, জয়নাল আবেদীন,আতোয়ার রহমান,নজরুল ইসলাম,লুৎফর রহমান,জসিম উদ্দিন,বেলাল হোসেন,মোজাফ্ফর হোসেন, ফজর উদ্দিন,সুলতান মিয়া ও লিটন মিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।।

  • সলঙ্গায় সবজির দাম চড়া

    সলঙ্গায় সবজির দাম চড়া

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হঠাৎ করে সবজির দাম চড়া।একটানা বৃষ্টি,সরবরাহে ঘাটতি, পরিবহনে খরচ বেশিসহ নানামুখী সমস্যা দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।আজ সোমবার (৭ জুলাই) সাপ্তাহিক বড় হাট সলঙ্গার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।জানা গেছে,৫০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা,২০ টাকার পোটল ২৫ টাকা,১০ টাকার কাচকলা ২০ টাকা,৫০ টাকার কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা,৪০ টাকার মুখী ৬০ টাকা,২০ টাকার পোল্লা ৪০ টাকা,২০ টাকার পেঁপে ৪০ টাকা,৯০ টাকার রশুন ১১০ টাকা,২০ টাকার কুমড়া পিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,বিভিন্ন অজুহাতে গত কয়েকদিন ধরে সবজির বাজার বেড়েই চলেছে।কেউ কেউ বলছেন সবজির বাজারে এসেই এখন পকেট খালি।অনেক বিক্রেতা বলছেন,সবজির মোকামেই দাম উর্ধ্বমুখী।আবার অনেক দোকানী বলছেন কিছু কিছু সবজির মৌসুম প্রায় শেষ,তাই দাম বৃদ্ধি।নতুন সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কিছুটা বাড়তেই থাকবে।তবে ক্রেতারা বলছেন,এবারে আলু, পেয়াজ,ব্রয়লার ও ডিমে অনেকটাই স্বস্থি।দাম নাগালের মধ্যেই কেনা যাচ্ছে।অপরদিকে মুদি দোকানের তেল, চিনি,ডাল,আটা-ময়দাসহ নিত্যপণ্যগুলো আগের দামেই কেনা যাচ্ছে।ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং না করায় সবজির বাজার ওঠা নামা করছে। ভোক্তাদের দাবী, সলঙ্গার বাজার স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমান অভিযান অতীব জরুরি।

  • দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান মোংলায় কৃষিবিদ শামীম

    দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান মোংলায় কৃষিবিদ শামীম

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির
    বিশেষ প্রতিনিধি

    “সাংবাদিকরা যদি টাকার কাছে মাথা নত না করে সত্য প্রকাশে অবিচল থাকে, তাহলে এ দেশ একদিন সত্য ও ন্যায়ের উপর দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে”
    মোংলায় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর ডিরেক্টর কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন।

    রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে মোংলার সার্বিক উন্নয়ন ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন নিয়ে মোংলা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম বলেন, “দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। সাংবাদিকদের এ যাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”

    সভায় কৃষিবিদ শামীম সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, মোংলা প্রেসক্লাবকে আধুনিকায়নের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেবো। আপনারা সত্য ও বোস্টনিষ্ঠু সংবাদ উপস্থাপন করুন, আমি আপনাদের পাশে আছি এবং আমৃত্যু পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

    অনুষ্ঠানে মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আহসান হাবীব হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাসান গাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের মোংলা প্রতিনিধি মোঃ আমির হোসেন আমু, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক অধ্যাপক কোহিনুর সরদার, সময় টেলিভিশনের মোংলা প্রতিনিধি মাহমুদ হাসান, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, আমার দেশের মোংলা উপজেলা প্রতিনিধি খান আশিকুজ্জামান সহ মোংলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত মতবিনিময় সভাটি সাংবাদিকদের মধ্যে উৎসাহ ও দায়িত্ববোধের নতুন এক অধ্যায় তৈরি করেছে। সভার শেষে কৃষিবিদ শামীম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন সম্ভাবনা পর্যালোচনা করেন। পরে তিনি প্রেস ক্লাবের উন্নয়ন এর জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।

  • বদরগঞ্জে নদীতে ডু-বে তিন শিক্ষার্থীর মৃ-ত্যু, “জীবিত ১ শিক্ষার্থী  পুলিশ হেফা-জতে

    বদরগঞ্জে নদীতে ডু-বে তিন শিক্ষার্থীর মৃ-ত্যু, “জীবিত ১ শিক্ষার্থী পুলিশ হেফা-জতে

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :
    রংপুরের বদরগঞ্জে পৃথক দুটি ঘটনায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) যমুনেশ্বরী নদী ও চিকলি নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    জানা গেছে, পৌর শহরের জামু বাড়ি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার জামিয়াতুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার তিন ছাত্রমেহেদী হাসান সিয়াম (১৩), আলীফ হোসেন (১২) ও আল হুসাইন (১৩) সকালে বাথরুমের জানালা টপকে পালিয়ে যান। পরে তারা গোসল করতে নামে যমুনেশ্বরী নদীতে।
    দুপুরে স্থানীয়রা বদরগঞ্জের পাকেরমাতা এলাকার ব্রিজের নিচে নদী থেকে সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এরপর বিকেল ৫টার দিকে একই নদী থেকে উদ্ধার করা হয় আলীফ হোসেনের মরদেহ। ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী আল হুসাইন বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, তিন শিক্ষার্থী একসঙ্গে পালিয়ে নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুইজন পানিতে তলিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
    অপরদিকে, একই দিন দুপুর ১টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ধোলাই ঘাট এলাকায় চিকলি নদীতে গোসল করতে গিয়ে মারা যায় তাসিম (১০) নামে এক স্কুলছাত্র। সে রাধানগর ইউনিয়নের দিলালপুর মাদারগঞ্জ গ্রামের জিয়াউল ইসলামের ছেলে এবং দিলালপুর মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
    বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, “যমুনেশ্বরী নদী ও চিকলি নদী থেকে তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। প্রতিটি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
    নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • আশুলিয়ায় মা-দক সন্ত্রা-সীসহ ছাত্র-জনতা হ-ত্যাকারীরা শ-ক্তিশালী ক-ঠোর অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন

    আশুলিয়ায় মা-দক সন্ত্রা-সীসহ ছাত্র-জনতা হ-ত্যাকারীরা শ-ক্তিশালী ক-ঠোর অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগরে দিনে দুপুরে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই, একই দিন গাজিরচট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সাথে গুলাগুলি ও চিত্রশাইল, জামগড়ায় পৃথক স্পটে কিশোর গ্যাং মাদক মাদক সন্ত্রাসীসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরা শক্তিশালী হওয়ায় কঠোর অবস্থানে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এর আগে একদিনেই পৃথক স্থানে সন্ত্রাসী হামলা আহত হয়েছেন ৫ জন, আহতদের মধ্যে ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসব ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
    রবিবার (৬ জুলাই ২০২৫ইং) দুপুরে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একটি মহল আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীসহ হত্যাকারী অপরাধীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে ১০ মাসে ৫জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনার পর এবার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান নবনিযুক্ত হয়েই তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রেখেছেন।
    দেশে বর্তমানে মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টির মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়ের বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই বেড়েছে ৫৪ হাজার মামলা, এসব মামলার মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। গত বছর শেষে এ সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ২০১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়েরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার জট বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম থাকায় নিষ্পত্তিও বাড়ছে না। তাই এখনই মহাপরিকল্পনা করে পাহাড়সম এ মামলার জট নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মামলাজট নিরসনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তথ্যগুলো সংরক্ষিত।
    অন্যদিকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে তারা। ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার ওসি অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায়, এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
    রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারীরা এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন ছিলো। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য। এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদী মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) কামাল দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    বাংলাদেশে মোট মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টি এর মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হয়েছে, এখানে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের দাবী। এবার দেখা যাবে আশুলিা থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব কতদিন এই আশুলিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, আশুলিয়াবাসী তার কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন। ##

  • আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ইসলামি দলগুলো

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ইসলামি দলগুলো

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নতুন কৌশলে দেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক মসজিদে শুক্রবারে একযোগে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন ইসলামি দলগুলো আর বিএনপিও থেমে নেই তাদের প্রচারণায়, তবে একাধিক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির ব্যানারে এটা দলের জন্য ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।
    জানা গেছে, এর আগে লন্ডনে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাদের এই সংলাপ জাতীয় ঐক্যের পথে হাটছে কি বাংলাদেশ। এদিকে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ তারা নির্বাচন করতে পারবে না আর সারা দেশে জামাত ও বিএনপির নেতা কর্মীরা পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা খসরা চূরান্তঃ প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার: লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের জেল। এসব নিয়ে গণমাধ্যমসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বাঁধার মুখোমুখি হতে পারেন, বাকীটা-ইতিহাস।
    বাংলাদেশের পতাকা সবুজের মধ্যে লাল সেই পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন আর এই নতুন বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কতটুকুও তা জাতি জানতে চায়। যেখানে পুলিশকে মেরে হত্যা করলেও কিছুই হচ্ছে না, সাংবাদিকের উপর হামলা বা নির্যাতন করলেও ভুক্তভোগীরা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না, মানুষকে যেখানে সেখানে মারছে, কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
    অনেকেই বলেন, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া এতো সহজ নয়, আমাদের স্বাধীনতা কলংকিত নয় যদিও মা-বোন কলংকিত হয়। ১৭৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় যুদ্ধে শক্র পক্ষকে হারিয়ে আজকের এই স্বাধীনতা অর্জন, এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং আরো একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
    বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতার পর এখন দেশে নির্বাচন জরুরী দরকার বলে মনে করছেন জাতি আর বাংলাদেশের জনগণের ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে? কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড-১৫২ পাতার (ক) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। (খ) বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। (ঘ) নির্ধারিত কোন নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক সমস্যার শেষ নাই, অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে নানারকম ভুল হওয়ায় জটিলতা রয়েছে। সেই ভুলগুলো ঠিক করতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরকে, অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
    ১৯৭১ সালের পর আবারও দেশে যুদ্ধ হয়েছে এই যুদ্ধে ছাত্র-জনতাসহ অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে আহত এবং নিহতদের ঘটনায় মামলা করা হলেও বেশিরভাগ মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ভুয়া বাদী কতর্ৃক সাংবাদিকসহ অনেকের নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে, তা একজন আহত বা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে কিছু ভিকটিমের পরিবার আর প্রতারক চক্র মামলা বাণিজ্য করার জন্য ভুয়া বাদী সেজে মামলা করেছে অনেক, যেমন: সাভার আশুলিয়ায় সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করেছে তার তথ্য প্রমান রয়েছে। স্বাধীন দেশে এ কেমন প্রতারণা তা জাতি জানতে চায়। এখন আসি বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনার বিষয় নিয়ে।
    সূত্রমতে, বাংলাদেশের প্রথম-প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, বিচারপতি এম. ইদ্রিস। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে অন্য কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। অবশ্য কেবল নির্বাচন কমিশনারগণ কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররুপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। “জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন” জাতীয় সংসদ কি? তা জানা দরকার। বাংলাদেশের আইনসভা হল জাতীয় সংসদ, এটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং প্রজাতন্ত্রের সকল প্রকার আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর তা আমাদের জানা দরকার, মাত্র পাঁচ বছর। রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ আপনা-আপনি ভেঙ্গে যাবে। জাতীয় সংসদের গঠন কিরুপ?: সমগ্র দেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। তবে সংবিধানে মেয়াদী ৩০জন মহিলা সংসদ সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত আসন ব্যতীত মহিলা সদস্যগণ অন্যান্য সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সূত্রমতে, জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৩০ জন। তা সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বা কমানো যাবে। জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন? প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
    বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদ গঠিত হয় তা সবার জানা দরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। মোটামুটিভাবে (১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গন্য হয়)। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অংশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য (৪৬৯জন – ১৬৯ জন = ৩০০জন) নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়ায়। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন-১০ এপ্রিল ১৯৭২। সেসময় গণপরিষদের প্রথম স্পীকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ, দ্বিতীয় স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ, গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মোঃ রায়তুল্লাহ, গণপরিষদের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে কতজন সদস্য স্বাক্ষর করেন তা জানা প্রয়োজন, ১৪ ডিসেম্বর ৩৫০জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ৪৭জন-৩৯৭ জন। বাংলাদেশের চলমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাবুদ্দিন মহোদয়, এবার আসি বাকি ইতিহাস কি বলে?
    শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ভাষা শহীদসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন বাঙ্গালি জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার, সেই সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জরুরী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে একযোগে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল। ভোটের পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল, বাকিটা-ইতিহাস।##