Blog

  • সারাদেশে কিশোর গ-্যাং  মা-দক সন্ত্রা-সীদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি

    সারাদেশে কিশোর গ-্যাং মা-দক সন্ত্রা-সীদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি

    হেলাল শেখঃ পাবনার আমিনপুর, রূপপুর, মাসুমদিয়া, সাগরকান্দি, খলিলপুর, সুজানগর, দুলাই ও কাশিনাথপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চন্দ্রা, আশুলিয়া, সাভার, মিরপুরসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
    সোমবার (৭ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, পুলিশ র‍্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে কিছু অপরাধীকে আটক করলেও আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও সেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের চিত্রশাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭জন আহত হয়েছেন।
    জানা যায়, আশুলিয়ার চিত্রশাইল জামগড়া ও রূপায়ন আবাসন-১ এর মাঠ ও ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করলেও কিছু পুলিশ অফিসার এসব অভিযোগের তদন্তই করেন না, পুলিশের নিরব ভুমিকা দেখে এলাকাবাসী সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান, কিছু অভিযোগের তদন্ত করলেও আসামী ধরতে পারেন না। আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়ন ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মুখোশধারী কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এসব ঘটনায় এলাকার সাধারণ জনগণের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি তৈরি করেছে সন্ত্রাসীরা। অনেকেই দাবি করেন যে, ১৫ থেকে ২০ বছর বয়স বা তারচেয়ে বেশি বা কম বয়সের কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। এর কারণে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, ফিটিংবাজি, চাঁদাবাজির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগীরা অনেকেই বিচার পাচ্ছেন না বলে জানায়।
    আশুলিয়ার জামগড়া ও রূপায়ন আবাসন-১ এর মাঠসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ফিটিংবাজি মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এমন সংবাদ শোনার পর তদন্তের জন্য পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে গেলে কাউকেই পাওয়া যায় না বলে পুলিশ জানায়। এর আগে ১০-১৫জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকাবাসী সহযোগিতা করলে কিশোর গ্যাং ও মাদক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা সহজ হবে, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ ও র‍্যাব জানায়। উল্লেখ্য এলাকাসহ সারাদেশের জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রতিটি এলাকাবাসী।#

  • আটঘর কুড়িয়ানা নৌকার হাটে সরকার নির্ধারিত চেয়ে দ্বি-গুণের বেশি খাজনা আদা-য়ের অভি-যোগ

    আটঘর কুড়িয়ানা নৌকার হাটে সরকার নির্ধারিত চেয়ে দ্বি-গুণের বেশি খাজনা আদা-য়ের অভি-যোগ

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদ উপজেলার ৪নং আটঘর কুড়িয়ানার শতবর্ষী নৌকার হাটে
    সরকারে নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও দ্বিগুনের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বদলি ইজারাদার,শহীদ মল্লিক, হুমাউন মোল্লা, ও সালাম বেপারীর বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।
    ভুক্তভোগী নৌকা ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে খাজনার তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি।

    এদিকে নৌকা হাটের মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনা শতকরা ৫টাকা সেখানে ক্রেতারা আমাকে ১২টাকা খাজনা আদায়ের রশিদ দেখিয়েছেন। এর দায় ভার আমি নিবোনা। এদিকে ক্রেতারা ইজারাদারদের চাপে পড়ে খাজনার জন্য অতিরিক্ত দ্বিগুন অর্থ দিতে হচ্ছে তাদের।

    শুক্রবার আটঘর কুড়িয়ানার নৌকার হাটে সরজমিনে গেলে দ্বিগুণ খাজনা আদায়ের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। সেখানে সরকারের নির্ধারিত টোলের কোনো তালিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনার হার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। খাজনা আদায়কারীরা যে পরিমাণ টাকা চায়, তাদের সেই পরিমাণ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও মেইন রাস্তার উপর নৌকার হাট উঠিয়ে বেচাকেনা করায় সৃষ্টি হয় যানজট, ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।

    শরিফ হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি হাটে খাজনা দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি হার রয়েছে। কিন্তু আমরা সরকারি হার সম্পর্কে জানি না বা খাজনা আদায়ের টোলঘরে টাঙানো নাই। জানতে চাইলে, ইজারাদারের লোকেরা আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা যা বলে তাই দিয়ে আসতে হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি হাটবাজারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা ইজারা আদায় করে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছে মতো জোর করে খাজনা আদায় করেন। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা সরকারি হার দেখার কথা বললে মার খেতে হয়।

    এ বিষয়ে বদলি ইজারাদার হুমাউন বলেন, নৌকার হাটে কোন অতিরিক্ত খাজাটা আদায় করা হচ্ছে না এর পূর্বের ইজারাদার আব্দুর রহিম যে হারে খাজনা আদায় করেছে আমারও সেই হারে খাজনা নিচ্ছি বেশি নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যে। আর এক ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইজারাদার আব্দুর রহিম এর কাছ থেকে উপ ইজারা ২৫ লাক টাকায় ক্রয় করে নিয়েছি আগের ইজারাদার যেভাবে খাজনা আদায় করেছে আমরাও সেভাবে আদায় করতেছি। সরকারি ভাবে কোন নির্দেশনা আমরা পাইনায়।

    এ বিষয়ে মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, আমাকে শহীদ,হুমাউন, সালামরা একদিনের জন্য খাজনা উঠাইতে দেয়নি।এক প্রকার জোর জবরদস্তি পরে তাদের খাজনা আদায় করতে দিয়েছি ৩৮ লাখ টাকায় কিন্তু তারা আমাকে ১৫ লাক টাকা দিয়েছে বাকি টাকা নিয়ে এখন টালবাহানা করতে আছে। আমার ছাপানো রশিদে টাকা না তুলে তাদের ছাপানো রশিদে দ্বিগুণ খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে আমি শীগ্রই কতৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানাবো।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইজারা নিয়ে একটু সমস্যা ছিলো সেটা উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

  • চো-র জানে না চু-রি যাওয়া গরুগুলা আমার সন্তান ছিল “সন্তান নেই আছে শুধু সংসার চালানোর দুশ্চিন্ত”

    চো-র জানে না চু-রি যাওয়া গরুগুলা আমার সন্তান ছিল “সন্তান নেই আছে শুধু সংসার চালানোর দুশ্চিন্ত”

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    একটা গরু দিয়ে শুরু করেছিলেন স্বপ্ন দেখা দিনমজুর মেনারুল ইসলাম। ভেবেছিলেন, একটু একটু করে গড়ে তুলবেন নিজের একটা ছোট গরুর খামার, যা দিয়ে সংসার চলবে, ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে। সেই সাফল্য ধরাও দিয়েছিল, একটি থেকে ৪টি গাভি আর তিনটি বাছুর হয়েছিল। দুধ বিক্রির টাকায় সংসার, সন্তানদের পড়ার খরচও চলত। কিন্তু এক রাতেই সবকিছু যেন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল চোরেরা।

    বহু কষ্টে গড়া তার ছোট গরুর খামারটি এখন প্রায় শূন্য। গতকাল রোববার গভীর রাতে চোরেরা তালা ভেঙে তার গোয়ালঘর থেকে ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। একমাত্রা অবলম্বনগুলো হারিয়ে মেনারুল দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেনারুলের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামে।

    পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝাঁকুয়াপাড়া গ্রামের এমাজ উদ্দিনের ছেলে মেনারুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। তাঁর একার আয়ে চলে ৬ সদস্যের সংসার। জমিজমা বলতে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগে পাওয়া বসতভিটার ১৫ শতক জমি। ৫ বছর আগে একটি গাভি কিনে পালন শুরু করেন। ধীরে ধীর ৪টি আর তিনটি বাছুরের খামারে পরিণত হয়। দিনমজুরি আর গাভির দুধ বিক্রির টাকায় ভালোয় চলছিল সংসার। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে খামারে গাভিগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মেনারুল ইসলাম। সকাল বেলা উঠে দেখেন দরজার তাঁলা কাটা। ভেতরে গিয়ে দেখেন গোয়ালে গরু নেই।

    মেনারুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট করে গরুগুলা লালনপালন করছি। দুধ বেচে ছেলে-মেয়েক স্কুলে পাঠাইছি, ওদের বই কিনছি। এত কষ্ট করছি। এখন সব শেষ। যারা নিয়া গেছে, তারা জানে না, গরুগুলা আমার সন্তান ছিল। সন্তান নেই আছে শুধু সংসার চালানোর দুশ্চিন্তা।

    তার চোখে জল, গলায় কাঁপন, পাশে বসা স্ত্রীও নির্বাক। মেনারুলের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, ‘চোরেরা ফকির বানে দিল হামাক। বাচি থাকার সম্বল কোনা চুরি করি নিল। চোখে এখন আন্ধার দেখছি।’

    স্থানীয়রা বলছেন, এমন চুরি গ্রামে নতুন নয়। তবে এই চুরিতে একজন মানুষের বুকভরা আশা যেন চুরি হয়ে গেছে।

    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, ঝাঁকুয়াপাড়ায় খামার থেকে গরু চুরি ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের একটি টিম সেখানে গিয়েছে। গরু উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • নড়াইলে স্ত্রীসহ ডা-কাত স-র্দার গ্রে-ফতার

    নড়াইলে স্ত্রীসহ ডা-কাত স-র্দার গ্রে-ফতার

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা তুষার শেখ ওরফে গোল্ড হৃদয়কে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, রোববার (৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য জানান লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, রোববার ভোরে তুষারকে গ্রেফতারে ঢাকার বিমানবন্দরের আজমপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় র‍্যাব-৪ ও লোহাগড়া থানা পুলিশ। তুষারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারসহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগম ওরফ জান্নাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তুষার শেখ ওরফ গোল্ড হৃদয় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের ওয়াদুদ শেখের ছেলে। রোকেয়া বেগম ওরফ জান্নাত খাগড়াছড়ির ইসলামপুরের নূর মাঝির মেয়ে এবং তুষার শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি লোহাগড়া উপজেলার ঘাঘা গ্রামে প্রবাসী বাবলু শেখের বাড়িতে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রবাসীর স্ত্রী শেফালীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করেন। ঘটনার পর শেফালী বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ডাকাতির ঘটনার ৪ দিনের মাথায় একই উপজেলার নোয়াগ্রামে দ্বিতীয় দফায় ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখানে তাদের নব্য বিবাহিত মেয়ে জামাই ও পরিবারের বাকি সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করেন ডাকাত দল। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় দস্যুতার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
    আরও জানা যায়, ঘাঘা গ্রামের ডাকাতি মামলার সূত্র তদন্তে নামে লোহাগড়া থানা পুলিশ। তদন্তে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা তুষার শেখ ওরফ গোল্ড হৃদয়ের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বিমানবন্দরের আজমপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাব-৪ ও লোহাগড়া থানা পুলিশ। তুষারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতিকালে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারসহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগম ওরফ জান্নাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন ও কানের একজোড়া দুল উদ্ধার করা হয়।
    ডাকাত সর্দার তুষার শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে টুকটাক হাঁস মুরগি, গাছের ফল ফলাদি চুরি করতাম। পরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি করি। আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গেলে ভাবি আসমা বেগম বেশ কয়েকটি বাড়ির তথ্য দেন। পরে তার ফোন নম্বর রাখি আর বাড়িগুলোতে নজর রাখতে বলি। সুযোগ বুঝে আসমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ঘাঘা গ্রামে প্রবাসী বাবলু শেখের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করি। লোহাগড়া থেকে রওনা করি, পাঁচুড়িয়া গিয়ে নড়াগাতীর জাকির, ওদুদসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলিত হয়ে রাত ১টার দিক প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকি। সেখান থেকে টাকা পয়সা, স্বর্ণ ও গহনা নিয়েছি।
    তুষার আরও বলেন, পরে নোয়াগ্রামে আসমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিল, রহমতকে সঙ্গে নিয়ে আর্মির বাড়িতে গ্রিল কেটে ঢুকি। সেখান থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণ ও গহনা নিয়ে নিয়েছি। পরে যার যার ভাগেরটা তাকে দিয়েছি। আসমাকে ৩ হাজার করে দিয়েছি, আর বাকিদের সমান ভাগ। স্বর্ণ ও গহনা বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করেছি। দুই ডাকাতির পর আর কোনো জায়গাতে কিছু করি নাই। আমি ভাল হয়ে গেছি।
    ভুক্তভোগী শেফালী বেগম বলেন, আমার স্বামী বিদেশ থেকে কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে পাঠিয়েছিলেন। বাড়িতে একটা ঘর তুলবো বলে নগদ ৬ লাখ টাকা ঘরে রেখেছিলাম। আসমা আমাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো। সে ডাকাতদের খবর দিয়ে আমার সর্বনাশ করছে। নগদ টাকা, স্বর্ণ-গহনা সব নিয়ে গেছে।
    লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা তুষার শেখ ওরফে গোল্ড হৃদয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি, তদন্তের স্বার্থে আপাতত সব প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে এবং ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
    ওসি শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ডাকাত তুষারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, সে বিলাসী জীবন যাপনে বেশ পটু। বিভিন্ন সময়ে সে নামিদামি মোটরসাইকেল, দামি ঘড়ি, স্বর্ণের ব্রেসলেট, স্বর্ণের চেইন, দামি মোবাইল ব্যবহার করে। এমনকি নগদ টাকার ভিডিও প্রচারে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো। তার বিরুদ্ধে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। আমি একটি ডাকাতির মামলা তদন্ত করছি সেটা দেখেই র‍্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করি।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • ডিসি-এসপি, সাংবাদিক ও গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত

    ডিসি-এসপি, সাংবাদিক ও গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “ডিসি-এসপিরা চাপে পড়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে এখন ভালো ব্যবহার করছেন। কিন্তু হাসিনার পতন না হলে তারাই গণভবনে প্রমোশনের লাইনে দাঁড়াত।”

    রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জুলাই পথযাত্রা শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সাংবাদিকদেরও নজরে রাখছি। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে যাদের ভূমিকা ছিল, আমরা তা ভুলে যাইনি। বসুন্ধরার সাংবাদিকরা আবারো স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে। তারা আরেকটি ১/১১ ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে।”

    তিনি আরও বলেন, “তরুণ সমাজ আর দালালি করতে চায় না। বাবারা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সন্তানেরা রাস্তায় নেমেছে। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা আসলে জেন-জির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের কোনো লুটপাটের ব্যাংক নেই। আছে মানুষের ভালোবাসা, আর সেটির জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।”

    প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বলেন, “১৬ বছরের ডিসি-এসপিরা কী পরিণতি ভোগ করেছে তা ভুলে যাবেন না। স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিলে বাংলাদেশে আর আপনাদের ঠাঁই হবে না। আপনারা এনসিপি বা আওয়ামীপন্থী হন না কেন, জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।”

    রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বিদেশি ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও দেশের ভেতরে বসে রাজনৈতিক দল খোলার খেলায় মেতে থাকে। আমরা তাদেরও নজরে রাখছি।”

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছি না। বিচার ও সংস্কার ছাড়া ভোটের নামে প্রহসন চললে আমাদের বুকের ওপর দিয়েই গুলি চালাতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু সেটা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কারের ভিত্তিতে।”

    এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন তরুন দুই ব্যারিস্টার

    রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন তরুন দুই ব্যারিস্টার

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দুই তরুণ আইনজীবী।

    তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে এবং ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।

    বয়সে তুলনামূলক তরুণ এই দুই ব্যারিস্টার বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতির মাঠে ইতোমধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। নিজ নিজ এলাকায় রয়েছে তাদের পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব ও জনসম্পৃক্ততা।

    দলীয় নেতাকর্মীদের আইনগত সহায়তা প্রদান এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তারা বিএনপির হাইকমান্ডেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই দুই ব্যারিস্টারই পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে রাজনীতিতে আরও বড় ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    জানা গেছে, ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি শিবসাগর এলাকার। তিনি বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ফুপাতো বোনের ছেলে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। তিনি যখন তখন এলাকায় এসে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে গোদাগাড়ী তানোর উপজেলার পাড়া মহল্লায় চুষে বেড়াচ্ছেন।

    মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, ‘‘আমি রাজনীতিকে দায়িত্ব ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকার হিসেবে দেখি। ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। এখন আইনজীবী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমার বিশ্বাস, দলের দুর্দিনে মাঠে থাকার মূল্যায়ন করবেন হাইকমান্ড।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী। জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি এই অঞ্চলের মানুষের মৌলিক অধিকার, উন্নয়ন ও ন্যায্যতার জন্য কাজ করবো।’’

    এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মিলন বলেন, ‘‘গোদাগাড়ী-তানোরে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বৈষম্য প্রকট। পাশাপাশি মাদক, দখল ও হয়রানিমূলক মামলার সংস্কৃতি জনগণের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে। এসব প্রতিকূলতা দূর করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।’’

    অপরদিকে, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। দলীয় নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়ে ইতোমধ্যে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের আস্থা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় আটক ও কারাবন্দি নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

    ব্যারিস্টার সাগর বাগমারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গনিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জুর পুত্র। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম অধ্যাপক মকলেছুর রহমানের ভাতিজা। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

    মনোনয়ন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর বলেন, ‘‘আমি বিএনপির ঘরের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি দলের হয়রানি মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে সবসময় থেকেছি। আশা করি হাইকমান্ড আমার কাজ ও দলীয় অবদান বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’’

    সাংসদ নির্বাচিত হলে এলাকায় বিদ্যমান সামাজিক বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার অগ্রাধিকার থাকবে- বাগমারার সাধারণ মানুষ যেন আর কখনও প্রতিহিংসার শিকার না হন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সকল অপকর্ম বন্ধে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়াও বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা দাবির মধ্যে যেসব দফা জনস্বার্থের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমি ইতোমধ্যে জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’’

    বাগমারা আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ব্যারিস্টার সাগরের আবির্ভাব ইতোমধ্যে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • সুজানগরে বাবার ম-রদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন ছেলে

    সুজানগরে বাবার ম-রদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন ছেলে

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে লাশ বাড়িতে রেখে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে হলো ইয়াছিন আরাফাত নামের এক শিক্ষার্থীকে। শোকে বিহ্বল স্বজনরা নিচ্ছিলেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে ছেলেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে।
    সোমবার সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায় ওই শিক্ষার্থী। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। পরে পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে বাবার লাশ দাফনে অংশ নেয় ।
    ইয়াছিন আরাফাত পাবনা জেলার সুজানগর পৌর শহরের এন এ কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম আব্দুর রশিদ সরদার (৬২)। ৫ ভাইবোনের মধ্যে ইয়াছিত আরাফাত চতুর্থ সন্তান। তার বাড়ি সুজানগর পৌর শহরের চর-সুজানগর গ্রামে।
    পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদ সরদার রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে রাত ১টার দিকে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা যান । মৃত্যুর পর বাবাহারা ইয়াছিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরে স্বজন ও শিক্ষকদের উৎসাহে সে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে। ৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেয় সে। এদিন দুপুর ২টায় জানাজা শেষে স্থানীয় পৌরসভার চরভবানীপুর কবরস্থানে তঁার বাবার লাশ দাফন করা হয়। এন এ কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, ইয়াছিন আরাফাত বাবার মৃত্যুর শোক ভুলে সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
    পরীক্ষা শেষে ইয়াছিন আরাফাত বলেন, বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।
    সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মনোয়ার হোসেন বলেন, ইয়াছিন আরাফাত অন্য সকল পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা তার সার্বক্ষণিক খেয়াল রেখেছি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বাবাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টের ব্যাপার। তারপরও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সে যেন সব কটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খেঁাজখবর রাখা হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • পাইকগাছায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তরিকুলের পরিবারের পাশে এস এম এনামুল হক

    পাইকগাছায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তরিকুলের পরিবারের পাশে এস এম এনামুল হক

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক। সাবেক এ জনপ্রতিনিধি সদ্য প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের কন্যা সন্তানের লেখাপড়া সহ বিবাহের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।

    দেশনায়ক তারেক রহমানের মানবিক সমাজ বিনির্মানে এস এম এনামুল হক বদ্ধ পরিকর।

    মানবতার ফেরিওয়ালা এস এম এনামুল হক অতীতের ন্যায় আগামীতেও এভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য গত শনিবার মৃত্যু বরণ করেন রাড়ুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় যৌ-ন নি-পিড়ন মাম-লায় গ্রাম ডাক্তার গ্রেফতার

    পাইকগাছায় যৌ-ন নি-পিড়ন মাম-লায় গ্রাম ডাক্তার গ্রেফতার

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছায় ৫ বছরের শিশুর যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মহানন্দ মহলদার(৫৬) নামে এক গ্রাম ডাক্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় শনিবার রাতে শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক শামীম রেজা জানান, গ্রাম ডাক্তারের প্রায় সময় শিশুর পিতার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। গত ২ জুলাই শিশুর পিতা রাস্তার দিকে গেলে গ্রাম ডাক্তার মহানন্দ মহলদার মোবাইল দেখার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে কাছে টেনে নেয়। পরে তার গায়ে ও গোপন অঙ্গে হাত দেয়ার সময় তার মা দেখতে পায়। এ সময় শিশুর পিতা বাড়ি আসলে শিশুটির মা সব খুলে বলে। তখন তার পিতা থানায় অভিযোগ করে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় থানা পুলিশ তা লিখিত অভিযোগ হিসাবে গ্রহণ করে নিয়মিত মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয় ওই গ্রাম ডাক্তারকে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ঈদ্রিসুর রহমান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলা নম্বর ৮ । আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

  • পাইকগাছা কয়রায় শামছুর রহমান ফাউন্ডেশনের এক লাখ গাছের চারা বিতরণ

    পাইকগাছা কয়রায় শামছুর রহমান ফাউন্ডেশনের এক লাখ গাছের চারা বিতরণ

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।

    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পাইকগাছা কয়রায় শামছুর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির এক লাখ গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । যার মধ্যে কয়রা উপজেলায় ৭০ হাজার এবং পাইকগাছা উপজেলায় ৩০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা। রোববার দুপুরে আল আমিন ট্রাস্টে সামাজিক এ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন শামছুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর মেসবাহুল ইসলাম। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও পৌর নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম সরোয়ার ,শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন এর সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা এস এম আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুল মোমিন সানা, কাজী তমজিদ আলম, ছাত্র শিবিরের দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবুজার গিফারী, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর জি এম বুলবুল আহম্মেদ , সেক্রেটারি আলতাফ হোসেন, সাংবাদিক কলোনিস্ট ও ব্যাংক কর্মকর্তা জি এম হাসানুজ্জামান, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল খালেক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মাওঃ নূরে আলম সিদ্দিকী , শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, রুহুল কুদ্দুস, জামায়াতের পৌর আমীর ডাঃ আসাদুল হক সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ শফিয়ার রহমান, সালাম,আখতারুজ্জামান খোকন ,সিরাজুল ইসলাম,মাস্টার আনিসুর রহমান ,শামসুর রহমান , ফাউন্ডেশনের উপজেলা সভাপতি,তামিম রায়হান সেক্রেটারি আল মামুন ও সোহেল আহম্মেদ।