Blog

  • পাইকগাছায় একটানা কয়েকদিনের ভারী ব-র্ষণে শহর ও নিন্মাঞ্চল প্লা-বিত; ফসলের ক্ষ-তি; বেড়েছে জনদূ-র্ভোগ

    পাইকগাছায় একটানা কয়েকদিনের ভারী ব-র্ষণে শহর ও নিন্মাঞ্চল প্লা-বিত; ফসলের ক্ষ-তি; বেড়েছে জনদূ-র্ভোগ

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    পাইকগাছায় একটানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে শহর ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।আর বেড়েছে জনদূর্ভোগ। উপজেলা কৃষি অফিস ও আদালত চত্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃস্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে দুই বার একটানা ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এবছর বর্ষকালের শুরু আষাড় মাসের প্রথম থেকে একটানা গুড়ি গুড়ি, হালকা ও ভারি বৃস্টি লেগে আছে। এতে আমন ধানের বীজ তলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য লীজ ঘের, নার্সারী, পুকুর, বাগান, রাস্তা ও বসতবাড়ী তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী উঁচু এলাকা হলেও বাকী ৬টি ইউনিয়ন নিচু এলাকায় অবস্থিত। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। তবে গত দিনের ভারী বর্ষণে উঁচু এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌর বাজারের সোনা পট্টি, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীন রাস্তাগুলি পানিতে তলিয়ে থাকে। বাড়ির উঠানে পানিতে তলিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়াম্বনায় পড়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষরা কাজ যেতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়ে আর্থিক অনাটনের মধ্যে পড়েছে।উপজেলার সদর ইউনিয়ন গদাইপুরের কয়েক’শ নার্সারী ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি ক্ষেত ও আমন ধান ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েক দিনের একটানা বৃস্টিতে মানুষের জনদূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক সামাদ গাজী জানান, ভারী বৃষ্টিতে নার্সারী, সবজি ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তার কুল, পেয়ারা ও লেবুর প্রায় তিন হাজার ছোট চারা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বাড়ির উঠান পর্যন্ত তালিয়ে রয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এলাকাবাসির একই অভিযোগ, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ানের পানি নিঃস্কাশনের ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে পারছে না। তাছাড়া ব্যক্তি স্বার্থে কিছু মানুষ তার বাড়ির সামনের বা পাশের ড্রেনটি বন্ধ করে রাখায় বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি ঠিক মত বের হতে পারছে না। এতে করে জলবদ্ধতা সৃস্টি হচ্ছে।পাইকগাছা মেইন সড়কের ঘোলাবাটি, সলুয়া, নতুন বাজার ও জিরো পযেন্ট এলাকার ভাঙ্গা রাস্তা আরো ভেঙ্গে ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ধানের বীজ তলা তলিয়ে গেছে ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপসহকারি কর্মকর্তারা ইউনিয়ানে কাজ করছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই প্লাবিত এলাকা পানি সরে গেলে আমন ধানের চারার তেমন ক্ষতি হবে না।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নিঃস্কাশনের জন্য নদীর স্লুইস গেটগুলি উন্মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন পানি নিঃস্কাশনের ড্রেনগুলি পরিস্কার করার জন্য টিমগুলি কাজ করছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • পাইকগাছায় অ-স্ত্র, ক-কটেল ও মা-দকদ্রব্য সহ আট-ক ৩

    পাইকগাছায় অ-স্ত্র, ক-কটেল ও মা-দকদ্রব্য সহ আট-ক ৩

    পাইকগাছা (খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছায় সেনা বাহিনী ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অস্ত্র, ককটেল, ও মাদকদ্রব্য সহ ৩ জন‌কে আটক করা হয়েছে।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটী গ্রামে সেনা বাহিনী ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় পাইপগান-১টি, তাজা ককটেল বোমা ৫ টি, গান পাউডার ১৫০ গ্রাম, ককটেল তৈরির দ্রব্য সামগ্রী, মাদক সেবনের দ্রব্যসামগ্রী, মোবাইল ফোন ৩ টি এবং এনআইডি কার্ড ৩টি উদ্ধার সহ তাদেরকে আটক করে।

    আটককৃতরা হলেন উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মটবাটি গ্রামের রসময় বিশ্বাস (৫৫), পিতা, মৃত অমূল্য বিশ্বাস, প্রীতম বিশ্বাস (৩০), পিতা- রসময় বিশ্বাস, দেবব্রত বিশ্বাস (৩৮) পিতা- নির্মল চন্দ্র বিশ্বাস।

    পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ ইদ্রিসুর রহমান জানান, তাদের বিরুদ্ধে ১৮০৮ অস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইনে ১৯ (ক) ধারা ও বিষ্ফোরক আইনের ৫ ধারায় মামলা হয়েছে।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • গোদাগাড়ীতে প্রতিপ-ক্ষের পি-টনিতে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী নিহ-ত

    গোদাগাড়ীতে প্রতিপ-ক্ষের পি-টনিতে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী নিহ-ত

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে মনিরুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার (৬ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার আইহাই গ্রামের সাগরাম মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুল ইসলাম গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে ডেকোরেটর ব্যবসার পাশাপাশি জমি কেনাবেচার কাজও করতেন।
    এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছে ।
    হত্যা মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৬০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম : দেলশাদপুর (শিয়ালমারা), মোঃ মফিজুল ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৭), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ আকবর আলী (২৮), পিতা-মোঃ আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম: দেলশাদপুর, মোঃ বাবর আলী (১৯), পিতা-মোঃ আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম: দেলশাদপুর, মোঃ হানিফ (২৯), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম: নারায়নপুর, মোঃ রমজান আলী (২০), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম: নারায়নপুর , এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে জমি সংক্রান্ত কাজে মনিরুল ইসলাম আমনুরায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সাগরাম মোড়ে আব্দুল হাকিমের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন সন্ত্রাসী লাঠি, রড ও লোহার পাইপ নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মনিরুলকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরত্বর আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
    স্থানীয়রা গুরত্বর আহত মনিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    হত্যার পেছনে পুরনো মামলা ও শত্রুতা :
    নিহতের পরিবার জানায়, মনিরুল ইসলাম এর আগে একটি মারামারির ঘটনায় প্রতিপক্ষের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন, যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
    গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছে । আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী ।

  • সয়ার ইউপিতে তা-লা ঝুলা-লেন সেবা ব-ঞ্চিত রা “একা-ত্বতা ঘোষণা করেছে ৫ টি রাজনৈতিক দল “

    সয়ার ইউপিতে তা-লা ঝুলা-লেন সেবা ব-ঞ্চিত রা “একা-ত্বতা ঘোষণা করেছে ৫ টি রাজনৈতিক দল “

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    চেয়ারম্যানের ব্যাপক অনিয়যম ও দুর্নীতির অভিযোগ ও সেবা বঞ্চিত স্থানীয় জনগণ সেবা নিতে গিয়ে পরিষদের কারো দেখা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে তালা লাগালেন ইউনিয়ন পরিষদের সব কক্ষে। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে জনপ্রতিনিধিত্বের পরিষদীয় সেবা বাদ দিয়ে উপজেলার চৌপথি মোড়স্থ নিজ চেম্বারে ব্যস্ত থাকেন। ঘটনার দিন মৃত্যু সনদ নিতে আশা জনৈক ব্যক্তি সহ অন্যান্য সেবা প্রত্যাশীগণ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদে এসে কাউকে না পেয়ে দীর্ঘ ভোগান্তির অভিযোগ ঘটনার সমন্বয় বিক্ষুদ্ধ জনতা পরিষদের সবগুলো কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় উপজেলা এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ জনগণের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।

    এনসিপি তারাগঞ্জ শাখার সাঃ সম্পাদক মুসা আলম বলেন, ঘটনার সময় আমার উপস্থিত ছিলাম। এ বিষয়ে আমি এখন কোন মন্তব্য করব না। সন্ধ্যায় আমরা সাংবাদিকেদরে সাথে বসে ঘটনার বিষয়ে মতবিনিময় করবো।

    এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান পাইলট বলেন, আমার বিরুদ্ধে আজকের সংগঠিত ঘটনা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন দুস্থসেবা সুযোগ সুবিধা পেয়েও অধিক সন্তুষ্ঠ না হতে পেরে পরিকল্পিত ভাবে আজকের এ ঘটনা ঘটায়।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুবেল রানা বলেন, বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে জেনেছি এবং পরে এনসিপি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আমার অফিসে এসেছিল। ইউনিয়ন পরিষদ একটি সরকারি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে তালা লাগানো সম্পন্ন বে-আইনী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তালা ভেঙ্গে নিয়মিত কার্য়ক্রম পরিরচালনা ও জনসেবা চালু রাখতে আমি চেয়ারম্যানকে বলেছি।

  • সলঙ্গায় মাইক্রোবাসের ধা-ক্কায় শিক্ষক ছালাম আহত

    সলঙ্গায় মাইক্রোবাসের ধা-ক্কায় শিক্ষক ছালাম আহত

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হেরোইন বহনের অভিযোগে জনতার ধাওয়া খেয়ে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে মিশু গাড়িকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন শিক্ষক আব্দুস ছালাম,এক উকিলসহ তিনজন।আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসে মাদক বহনের খবর পেয়ে এলাকার ৩০/৪০ জন মানুষ গাড়ীটি থামাতে  ধাওয়া দিলে রাস্তার পাশ্বে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিশুক গাড়ির ওপর উঠে যায়। তীব্র গতির ধাক্কায় মিশুকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং তিনজন সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
    মিশুক গাড়িতে থাকা  আহতদের মধ্যে শিক্ষক আব্দুস ছালাম ছিলেন। আব্দুস ছালাম জানান, দুর্ঘটনায় তার ডান হাত ও পা কেটে গেছে এবং কোমরে প্রচণ্ড আঘাত পান।  পরে তিনি স্থানীয়দের সহায়তায়  সলঙ্গা বাজারের বদরুল আলম ডাক্তারের চেম্বারে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং বর্তমানে সে নিজ বাসায় বিশ্রামে আছেন।
    শিক্ষক আব্দুস ছালাম প্রতিদিনের মতো সলঙ্গা নিজ বাসা হতে তার কর্মস্থল বোয়ালিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি একজন সৎ ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষক, পাশাপাশি দৈনিক করতোয়া পত্রিকা, দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকার সাবেক সলঙ্গা প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন দক্ষতার  সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
    ঘটনার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৭১৩-৭৯৮৯৬৯) হারিয়ে যায়। তিনি পরিচিতজনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, তার নাম ও নম্বরটি যেন সংরক্ষণ করা হয় এবং দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

  • ব-জ্রপাতরোধে গৌরনদীতে বিনামূল্যে তালচারা- কী-টনাশক বিতরন অনুষ্ঠান

    ব-জ্রপাতরোধে গৌরনদীতে বিনামূল্যে তালচারা- কী-টনাশক বিতরন অনুষ্ঠান

    গৌরনদী প্রতিনিধি
    বরিশালের গৌরনদী উপজেলা কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৪/২০২৫ অর্থ বছরে খরিপ/ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের প্রনোদোনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে তালচারা, আমচারা, সবজী বীজ, কীটনাশক-সার বিতরন উপলক্ষে এক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে এ উপলক্ষে কৃষক সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেকেন্দার শেখ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌরনদী বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারেন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ক খোন্দকার মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া সহকারী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এক হাজার কৃষকদের মাঝে আমন বীজ, একশ কৃষককের মাঝে সবজী বীজ, ৫শ কৃষক ও সুবিধাভোগী কৃষকদের মাঝে আম, তাল চারা বিতরন করা হয়। উদ্ধেধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও রিফাত আরা মৌরি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বেশী বেশী বৃক্ষরোপন ও গাছের চারা রোপন করে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। চারা শুধু লাগালেই হবে না, গুরুত্বসহকারে তা পরিচর্চা করতে হবে। নিম গাছ বহু ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সবাইকে ফলজ-বনজ ও ঔষধি বনায়নে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। এছাড়া বজ্রপাত প্রতিরোধে বেশী বেশী তাল গাছ লাগানোর আহবান জানান।

  • পটিয়ায় চলাচল পথে বাউন্ডারি দিয়ে উ-ল্টো হু-মকি, থানায় অভি-যোগ

    পটিয়ায় চলাচল পথে বাউন্ডারি দিয়ে উ-ল্টো হু-মকি, থানায় অভি-যোগ

    মহিউদ্দিন চৌধুরী।।
    পটিয়া প্রতিনিধি
    পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে শীল বাড়ির একটি চলাচল পথে বাউন্ডারি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ কারণে বাড়িতে আসা যাওয়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি করে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

    জানা গেছে, উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন শীল পরিবার পরিজন পৈতিক ভিটিতে থাকেন। একই বাড়ির যদু শীলের পুত্ররা বহিরাগত লোক ভাড়া করে চলাচল পথে গত ২৬ জুন জোরপুর্বক একটি বাউন্ডারি দেন। এ কারণে বাড়ির অন্য লোকেরা অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর বলরাম চন্দ্র শীলের পুত্র বিমল চন্দ্র শীল পটিয়া থানায় প্রতিপক্ষ যদু শীল, যদু শীলের পুত্র প্রণব শীল, রানা শীলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।

    ‎মিলন চন্দ্র শীল অভিযোগ করে করেন, প্রতিপক্ষ বাড়ির চলাচলের পথটি জোরপূর্বক দখল করে একটি পাকা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। তিনি ঢাকায় কর্মরত থাকায় বাধা দিতে পারেনি। বিবাদীরা প্রায় সময় গালিগালাজ ও ধারালো দা এবং গাছের লাঠি নিয়ে মারতে তেড়ে আসে।

    ‎স্থানীয় ইউপি মেম্বার রনজিত চৌধুরীর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইউপি মেম্বারের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে জোরপূর্বক চলাচল পথে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

    ‎মিলন শীল এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। যার কারনে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা বলেন, হাইদগাঁও ইউনিয়নে চলাচল পথ বন্ধ করে পাকা ওয়াল করা বিষয়ে একটা অভিযোগ তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ভালুকায় সেবার মানোন্নয়নে ইউএনও’র নির্দেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসিল্যান্ডের অভি-যান

    ভালুকায় সেবার মানোন্নয়নে ইউএনও’র নির্দেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসিল্যান্ডের অভি-যান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর (Paurashava) এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মানোন্নয়নে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (০৮জুলাই) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইকবাল হোসাইন। এ সময় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা ভঙ্গ করে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করায় এবং ঔষধের স্লিপ ব্যতীত সরকারি ঔষধ নিজের কাছে রাখায় একজনকে “কারাদণ্ড” প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিযানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং সেখানকার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করার উপর জোর দেওয়াসহ রোগীদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।

    ইউএনও’র হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান- এই অভিযান মূলত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির জন্য একটি উদ্যোগ। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে মাধ্যমে ভালুকাবাসী যেন জনগণ যেন আরও ভালো স্বাস্থ্যসেবা পায় সেই লক্ষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

    অপরদিকে এই ধরনের পদক্ষেপ স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি সরকারের আন্তরিকতা প্রমাণ করে। এটি স্বাস্থ্যখাতে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একটি ইতিবাচক দিক বলেও মনে করেন উপজেলার সামাজিক বিশ্লেষকরা।

    ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো জানান-
    স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ম-কানুন শৃঙ্খলা তৈরী,সকল প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়ম রোধে এবং রোগীদের বিনামূল্যে সরকারী সরবরাহ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ডাক্তার এবং কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি, রোগীদের সাথে ভালো আচরণ নিশ্চিত করণে ও
    পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি আদর্শ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলাবাসীকে উপহার দিতে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সুজানগরে তাঁত শিল্পে দু-র্দিন,লো-কসানে এক একে ব-ন্ধ হচ্ছে কারখানা

    সুজানগরে তাঁত শিল্পে দু-র্দিন,লো-কসানে এক একে ব-ন্ধ হচ্ছে কারখানা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ কয়েক বছর আগেও ভোরের আলো ফুটতেই তঁাতের খট খট শব্দে মুখরিত হতো পাবনার সুজানগর উপজেলার কুড়িপাড়া দুলাই, সাগরকান্দি, গোয়ারিয়া, কঁাচুরী, আহম্মদপুর, ভাটপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চলনা, গোপালপুর, ঘোড়াদহ, মানিকদীর, রাধানগরসহ উপজেলার অন্যান্য এলাকার তঁাতপল্লিগুলো। কিন্তু দফায় দফায় তঁাত কাপড়ের কঁাচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না প্রান্তিক তঁাতীরা। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অব্যাহত লোকসানে দুর্দিন নেমে এসেছে উপজেলার তঁাতিদের। টিকতে না পেরে অনেকে ছেড়েছেন এই পেশা। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তারা। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তঁাতের কাজ। অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। আবার বাপ-দাদার পেশা বলে অনেকেই এটি আগলে ধরে আছেন। সুতা-রঙসহ আনুষাঙ্গিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ও আধুনিক পোশাক কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দঁাড়িয়েছে তাদের । তঁাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সুজানগর উপজেলা পাওয়ারলুম মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রোকন জানান, দেশের অন্যতম বৃহত্তম তঁাত সমৃদ্ধ এলাকা এই সুজানগর উপজেলার ৭ হাজার ২০০ তঁাতের মধ্যে কঁাচামালের দাম বাড়ার কারণে এরইমধ্যে প্রায় অর্ধেক তঁাতই বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাকি তঁাতগুলো যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। উপজেলার তঁাতসমৃদ্ধ এলাকা কুড়িপাড়ায় ৩ হাজার তঁাতের মধ্যে এখন মাত্র দেড় থেকে ২ হাজারের মতো তঁাত চলছে। অধিকাংশ প্রান্তিক তঁাতি ইতোমধ্যে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। বড় ব্যবসায়ীরা অর্ধেকের বেশি তঁাত বন্ধ রেখে কোনোরকম তাদের কারখানা চালু রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
    উপজেলার মেসার্স মোল্লা কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মো.ফজলুল হক মোল্লা বলেন, সুতা, রঙ, কেমিক্যালসহ তঁাতবস্ত্র উৎপাদনের সব উপকরণের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যয় যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সে অনুযায়ী উৎপাদিত কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। সেই সাথে বেড়েছে ব্যাংক লোনের সুদহার।
    কথা হয় কুড়িপাড়া গ্রামের আবু হানিফ সরকারের সাথে তিনি বলেন, এটা আমার বাপ-দাদার পেশা। ছাড়তে না পারলেও লোকসান ঠিকই গুনতে হচ্ছে। আমাদের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
    আহম্মদপুরের নারী তঁাত শ্রমিক আলেয়া খাতুন বলেন, আমাদের মজুরি কম, কোন বোনাসও নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তঁাতের কাজ করি। তবে তঁাত পণ্যের এখন দাম কম হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা ভালো নেই।
    তঁাত মালিক আফজাল হোসেন সরকার জানান, কারখানা চালিয়ে তাকে তিন দফায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। চড়া দামে সুতা ও রং কিনে কাপড় তৈরি করে লোকসান দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে হয়েছে। একইসঙ্গে লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। সে কারণে কারখানা বিক্রি করে লোন পরিশোধের পাশাপাশি নতুন ব্যবসার চেষ্টা করতে করছি।
    মানিকদীর গ্রামের হাবিবুল্লাহ জানান, বর্তমানে প্রতি পাউন্ড ৮০ কাউন্ট সুতা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। অথচ কয়েক মাস আগে এই সুতার দাম ছিল মাত্র ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। সুতার দামের পাশাপাশি রংয়ের দাম বেড়েছে প্রায় দিগুণ। ২০০০ টাকার ইন্ডিয়ান রং এখন ৫ হাজার টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। ৬০০ টাকার মাকু এখন ২ হাজার টাকা এবং ৭০০ টাকার সানা এখন ১৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন মাত্রাতিরিক্ত দামে সুতা, রং কিনে কাপড় তৈরি করতে বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তঁাতিরা।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, তঁাত শিল্প আমাদের একটা অন্যতম ঐতিহ্য। উপজেলার অনেক তঁাত শিল্পী রয়েছে যারা খুব সুন্দর পণ্য তৈরি করছে। এ তঁাত শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সমস্যাসমূহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন বলে জানান তিনি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সারাদেশে বিআরটিএ ও সাব রেজি-স্ট্রারের ব্যাপক অনি-য়ম দুর্নী-তি

    সারাদেশে বিআরটিএ ও সাব রেজি-স্ট্রারের ব্যাপক অনি-য়ম দুর্নী-তি

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ সারাদেশে বিআরটিএ ও সাব রেজিস্ট্রারের ব্যাপক ভাবে অনিয়ম দুর্নীতি করার তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার (৭ জুলাই ২০২৫ই) ঘুষখোর ঢাকার আশুলিয়ার সাব রেজিস্ট্রার খাইরুল বাশার ভুঁইয়া (পাভেল) এর অসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
    এর আগে দুদক কর্মকর্তারা একযোগে অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা, সাব রেজিস্ট্রার অফিস, নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের অনিয়ম দুর্নীতি। পাবনা ও ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৫টি অফিসে দুদকের অভিযানেও কর্মকর্তাদের কৌশলগত অনিয়ম দুর্নীতি এখনো কমেনি। কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার পর দুদকের অভিযান চলমান। জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতর্ৃপক্ষ) অফিসে একযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সাথে নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব ৩-৪টি সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতি যেন থামছেই না।
    সোমবার (৭ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুদক নিয়মিত অভিযান চালালেও বিআরটিএ কর্মকর্তারা অনেকেই নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। জানা যায়, গত (৭ মে ২০২৫ইং) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। রাজধানীর উত্তরা ও ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ অফিস ছাড়াও গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা ও সিলেটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাসজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার সারাদেশে ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এরপর আবারও অভিযান চালায় দুদক কিন্তু কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম দুর্নীতি।
    সুত্র জানায়, অনেক অফিসেই দালালদের সরব উপস্থিতি ও সেবা দিতে গিয়ে ঘুষ দাবি করার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া সহজে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানের আওতায় অন্যান্য জেলা অফিসের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল নেত্রকোনা, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও শেরপুরসহ আরো অনেক জায়গায়। এর আগেও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬টি অফিস এবং গত ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিলো দুদক। এ অভিযানগুলো সরকারি সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাগণ। উক্ত ব্যাপারে আমাদের রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
    এর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশ করা হয়, বিশেষ করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে বিআরটিএ অফিসের কুখ্যাত দুনীতিবাজ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান গোপালগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করে জামাই হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ নিজ এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের সদস্যরাও একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া পেঁয়ারা বাগান এলাকায় বাড়ি করেছে মোস্তফা কামাল নামের এক সক্রিয় দালাল। জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান তার অফিসে সঠিক সময় আসেন না। অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন জানায়, তাদের সাথেও তিনি মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করেন, টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না বলে অফিসের লোকজন অনেকেই জানান। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি গাড়ি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বিভিন্ন অফিসে অভিযান করলেও সাভারে অভিযান করার বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
    জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম খানের কয়েক বছর আগে তেমন কিছু ছিলো না, বিআরটিএ’র অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করে ( ব্ল্যাক মানি) কালো টাকার মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বিআরটিএ অধিনস্থ ঢাকা জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত মোটরযানের কাগজপত্র নিয়ে সেবা পেতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে জিম্মি করে ভুলবাল বুঝিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরীক্ষায় পাস-ফেলের গ্যাড়াকলে ফেলে দালাল নিযুক্ত সদস্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়, এ যেন মহা ঘুষ বাণিজ্য ও বিআরটিএ অফিসের ভেলকিবাজি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা এই অফিসের কর্মকর্তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি, তাদেরকে ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফেল করে হয়রানি করে। পাস-ফেল তাদের হাতে, কৌশলে জিম্মি করে গ্যারাকলে ফেলে পরীক্ষায় ফেল করা হয় বলে অনেকেই জানান।
    জানা গেছে, মাসের পর মাস ঘুরানো হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা লোকজনকে। অতিরিক্ত টাকা দিলে কম সময়ে লাইসেন্স পাওয়া যায় আর তা নাহলে হয়রানির শেষ নাই। এ ভাবেই চলছে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। কারণ, উক্ত অফিসের মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানুষের কথিত জামাই। এখন আবার বিএনপি’র শীর্ষ নেতার আত্মীয়, নিজে আবার নাকি ছাত্র দল করতেন, তবে তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি একজন সুবিধাবাদী মানুষ বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেলের অধিনস্থ সাভার বিআরটিএ অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ভাবনিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গাড়ির মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, গাড়িপ্রতি ফিটনেস বাবদ ঘুষ গ্রহণ করেন ৫ হাজার টাকা, এই ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ির মালিকের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জানা গেছে, গাবতলী- টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং সাভারের ঢাকা-আরিচা পাটুরিয়া সড়কে হাজার হাজার মোটরযান চলে, এসব মোটরযানের বেশিরভাগই ফিটনেসবিহীন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। সূত্র জানায়, সাভারসহ একাধিক অফিসের কর্মকর্তা বর্তমানে অভিযানের ভয়ে নিয়মিত আসেন না, বেশ কয়েকজনের বদলি হয়েছে।
    গোপালগঞ্জের জামাই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে বিআরটিএ দালাল চক্রের সদস্য সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোস্তফা কামাল এর মোবাইল নাম্বারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার ছেলের দিয়ে রিসিভ করে বলায় যে, বাবার জ্বর আসছে কথা বলতে পারবেন না। এর আগে উক্ত ব্যাপারে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ব্যাপারে ৩৫টি অফিসে দুদক অভিযান চালালেও বিআরটিএ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়লেই অন্য জেলায় বদলি করা হয় সেই কর্মকর্তাকে, এই কারণে তাদের আর সমস্যা হয় না। বিআটিএ ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসগুলোতে আবারও অভিযান চালানো দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।#