Blog

  • বাবুগঞ্জে এসএসসি রেজাল্ট খা-রাপ শিক্ষার্থীর মর্মা-ন্তিক মৃ-ত্যু

    বাবুগঞ্জে এসএসসি রেজাল্ট খা-রাপ শিক্ষার্থীর মর্মা-ন্তিক মৃ-ত্যু

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠী কাজল খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোসাঃ মীম ইসলাম আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
    জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মীম। পরে পরিবার ও প্রতিবেশীদের অজান্তে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় সে।
    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
    এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান করছে।

  • সাভারে হু-জুরবেশের মাদ-ক ব্যবসায়ী গ্রেফ-তার

    সাভারে হু-জুরবেশের মাদ-ক ব্যবসায়ী গ্রেফ-তার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভারে মাদক ব্যবসার নতুন ফন্দি এঁটেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মাদক কারবারিরা এখন সুন্নতি পোশাক পড়ে হুজুরের বেশ ধরেছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় এ রকমই এক হুজুরবেশী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল। গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীর নাম জালাল আহমেদ (৬০)। তিনি সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার পশ্চিম সাতঘরিয়া নয়াপাড়া গ্রামে। পুলিশের অভিযানে ৫’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ধরা পড়েন মৃত আব্দুল আলীর ছেলে জালাল আহমেদ। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা।

    শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে এর সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা, তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এসআই জাকির আল আহসানের নেতৃত্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা মোড় এসএ পরিবহনের সামনে পুলিশের একটি দল এ অভিযান চালায়।

    তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হুজুরের ছদ্মবেশ ধারণ করে জালাল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। বেশ-ভূষা দেখে তাকে সন্দেহ করার বিন্দুমাত্র উপায় নেই। পরনে লম্বা পাঞ্জাবি, মাথায় টুপি, সব সময় আতর মেখে পাক-পবিত্র হয়ে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখতো এলাকাবাসী। অথচ এর আড়ালে তিনি ছিলেন ইয়াবার পাইকারি বিক্রেতা।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালাল মাদক ব্যবসার কথা অকপটে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
    গ্রেফতারকৃত জালাল পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তিনি জড়িত। প্রতি সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনেন এবং সেগুলো সাভারের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পাইকারি সরবরাহ করতেন।

    ছদ্দবেশী জালালের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে আরো কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সাভার আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এরকম অনেকেই মাদক ব্যবসা করে, পুলিশের র‍্যাবের অভিযানে কিছু মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও বেশিরভাগ মাদক কারবারি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে কেন তা জাতি জানতে চায়।

  • নলছিটিতে চার বিদ্যালয়ে পা-স করেনি কেউ

    নলছিটিতে চার বিদ্যালয়ে পা-স করেনি কেউ

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির  জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৪ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।

    বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।

    ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে ৭ জন,মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

    এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী বলেন,নলছিটিতে ৪ টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি প্রদান

    কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি প্রদান

    স্টাফ রিপোর্টার,

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার নেতৃবৃন্দ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাজারুল ইসলাম চৌধুরী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

    স্মারকলিপিতে তারা একটি নৈতিক, নিরাপদ ও মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দরা বলেন, শিক্ষা কেবল সনদপ্রাপ্তির মাধ্যম নয়, বরং এটি মানবিক গুণাবলি, জ্ঞান ও ন্যায়ের চর্চা শেখার ক্ষেত্র। একটি আধুনিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠান গঠনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি।

    প্রস্তাবিত চারটি বিষয় ছিল নিম্নরূপ:
    ১. নকলমুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ
    পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল প্রবণতা রোধে পরীক্ষার সময়কালীন কঠোর নজরদারি এবং অননুমোদিত প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা-সদৃশ শৃঙ্খলা ব্যবস্থা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়।
    ২. আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন
    শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট, অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ও নিরাপত্তার অভাব তুলে ধরে দ্রুত হল সংস্কার ও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
    ৩. ল্যাবরেটরি আধুনিকায়ন
    নষ্ট ও অচল যন্ত্রপাতির কারণে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে—এমন অভিযোগ এনে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও কার্যকর ল্যাব পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
    ৪. “৩৬শে জুলাই কর্নার” প্রতিষ্ঠা
    ২০২৪ সালের ৩৬শে জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লা পলিটেকনিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্মরণে ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে একটি ঐতিহাসিক তথ্যসংগ্রহ কর্নার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখা হয়।

    ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রশাসন তাদের প্রস্তাবসমূহ বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং একটি শিক্ষাবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করবে।

  • এতিমখানায় বেড়ে ওঠা ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়

    এতিমখানায় বেড়ে ওঠা ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি, : ছোটকালেই কেউ হারিয়েছেন বাবাকে, কেউ মাকে, আবার কেউ অবুঝ বয়সেই নিখোঁজ হয়েছিলেন পরিবার থেকে।পরিবারহীন এমন ১২ বন্ধু এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সবার স্বপ্ন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।

    অনিশ্চিত পথের জীবন থেকে ওঠে আসা এই ১২ জন কিশোর হলেন- কবির হোসেন হৃদয়, সাব্বির হোসেন, সফিকুল ইসলাম, পারভেজ রানা, আব্দুল মজিদ, সুজন আলী, রাকিবুল হাসান, বরজুল রহমান বায়েজিদ, তাপস চন্দ্র রায়, জিহাদ মিয়া, আল আমিন ও হৃদয় কুমার।

    তারা ছোট থেকে বেড়ে ওঠেছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের জলাপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীতে’। এ বছর পঞ্চগড় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তারা। এসএসসির সফলতায় তাদের যেন বাধভাঙা উচ্ছ্বাস, চোখে নতুন জীবন সাজানোর স্বপ্ন।

     

    অনাথ, ছিন্নমুল এবং বঞ্চিত ও হারিয়ে যাওয়া পথশিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আহছানিয়া মিশন শিশু নগরী।

    জিপিএ- ৪.৯৬ অর্জন করা কবির হোসেন হৃদয় বলেন, খুব ছোটবেলায় বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই অবহেলার শিকার হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে মাত্র ৫ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। এসে পথশিশুর পরিচয়ে জীবন শুরু করেন। ২০১৪ সালে কোন এক রেল স্টেশন থেকে সমাজকর্মীর মাধ্যমে এই শিশু নগরীতে আসি। আমার বাড়ি ‘নারায়নগঞ্জ’ শুধু এটুকুই মনে আছে।

    জিপিএ-৪.৫৪ পাওয়া আব্দুল মজিদ বলেন, আমার বাড়ি দিনাজপুরে এতটুকু মনে আছে। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। এরপর ঠাই হয় এখানে। এখানে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে, ষষ্ঠ শ্রেণিত ভর্তি হই পাশের বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই এবং এবছর এসএসসি পাশ করি।

    জিপিএ-৪.৭৫ পাওয়া সাব্বির হোসেন বলেন, ছোটবেলায় পরিবার থেকে নিখোঁজ হই। আমার জেলার নামও আমি বলতে পারিনা। শুধু মনে আছে- বাবার নাম মারুফ, মায়ের নাম ছবি আক্তার।

    জিপিএ-৪.৮২ পাওয়া আব্দুল মজিদ বলেন, আমার বাড়ি লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের তুষভান্ডারে। বাবা-মা, পরিবার সবই আছে। খুব ছোটবেলায় পরিবার থেকে হারিয়ে গেলে ঠাই হয় এখানে। পরবর্তীতে পরিবারের সন্ধান মিললেও এখানেই থেকে যাই। এসএসসি পাশ করবো- এটা ছিলো স্বপ্নের মত। পাশ করেছি, এই অনুভুতি বুঝাতে পারবোনা।

    শিশু নগরীর সমাজকর্মী ইউসুফ বলেন, বিভিন্নভাবে বঞ্চিত শিশুদের এখানে ঠাই হয়। তাদেরকে এখানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। এরপর তারা মাধ্যমিকে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হয়। 

    শিশু নগরীর কৃষি কর্মকর্তা সেলিম প্রধান বলেন, এখানে শিশুরা নিজের বাড়ির মতই থাকে, পড়ালেখা করে। এই শিশুদের ১৮ বছর পূর্ণ হলে কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।

    আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর সেন্টার ম্যানেজার দিপক কুমার রায় বলেন, অন্ধকারে পা বাড়ানো শিশুদের আলোর পথে নিয়ে আসে আহছানিয়া মিশন। তাদের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই শিশু নগরী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে এখানে বিভিন্ন বয়সি ১৬০ জন শিশু রয়েছে। এ বছর ১২ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ।।

  • কোটি টাকার ডিজিটাল প্রতা-রক শরীফুল ইসলাম গ্রে-ফতার

    কোটি টাকার ডিজিটাল প্রতা-রক শরীফুল ইসলাম গ্রে-ফতার

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ব্যবসার ছদ্মবেশে সরকারি কর্মকর্তাদের ছবির ফাঁদে কোটি টাকার ডিজিটাল প্রতারক চক্রের এক সদস্য নরসিংদী জেলার ঘোড়াদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার ও প্রতারণার কাজে সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

    এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে এসি স্থাপন, এতিমখানায় সহায়তা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে তারা এসব প্রতারণা কার্যক্রম পরিচালনা করতো। একইসাথে সরকারি কর্মকর্তার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত চক্রটি।

    তবে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পাতানো ফাঁদে ধরা পড়েছে চক্রটির অন্যতম সদস্য শরীফুল ইসলাম।

    গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েত কাউছার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি, অনলাইন জুয়া ও হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনে জড়িত ছিল। বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের নজরে এলে তদন্ত শুরু হয়।

    এরা মূলত ছদ্মবেশে অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা। দীর্ঘদিন যাবত একটি সংঘবদ্ধচক্র অনলাইনে সাধারণ মানুষের whatsApp হ্যাক করে সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে কৌশলে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

    এছাড়াও মসজিদে বা অফিসে এয়ার-কন্ডিশনার (এসি) লাগবে, উন্নয়নমূলক কাজ করবে, অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা করবে, এতিম খানায় সহযোগিতা লাগবে এমন অজুহাতে প্রতারক চক্র মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে থাকে।

    অনেকেই সরল বিশ্বাসে প্রতারক চক্রকে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের নজরে আসলে জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্তে সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এই বিষয়ে কতিপয় ভুক্তভোগী আমাদের কাছে প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।

    বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে এই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়।

    গত বুধবার (৯ জুলাই) নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে  নগদ ৪ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, ৮টি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, সিল, পাসপোর্ট, এনআইডি কপি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।

    তদন্তে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত চক্রের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই আরিফুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রতারণা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।

     তারা ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংকে নামে বেনামে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব খুলে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করে আসছে।

    কোনো অচেনা ব্যক্তি পরিচিত বা অপরিচিত সরকারি কর্মকর্তা বা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বা বাহিনীর লোগো ব্যবহৃত কোন আইডি থেকে কল করে টাকা দাবি করে, তাহলে বিশ্বাস না করে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

    একইসাথে Social Media, WhatsApp ও বিকাশ/ উপায়/রকেট/ মোবাইল ব্যাংকিং Apps অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করার জন্যে অনুরোধ জানান।

  • ময়মনসিংহে ওসি শিবিরুলের অভি-যানে ১১০০ লিটার ম-দ উদ্ধার গ্রেফ-তার ১৫

    ময়মনসিংহে ওসি শিবিরুলের অভি-যানে ১১০০ লিটার ম-দ উদ্ধার গ্রেফ-তার ১৫

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে ১১০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়েছে, এ সময় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) রাতে নগরীর রমেশসেন রোডের নিষিদ্ধ পল্লীতে ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে একাধিক বাড়ী তল্লাশি করে ১১০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়। গত ৫ই আগস্টের পর এটিই সর্বোচ্চ উদ্ধার অভিযান বলে জানিয়েছে নগরবাসী। এই ঘটনায় শহর জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

    ওসি শিবিরুল ইসলাম ওসি হিসেবে কোতোয়ালী মডেল থানায় যোগদান করায় চুরি, ছিনতাই কমেছে, চুরি ছিনতাই রোধসহ তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে থানায় যোগদান করেই টানা অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত চোর ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ, অনেকেই দাবি করছেন পুলিশের ভয়ে নগরী ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে চোর, ছিনতাইকারীরা, রমেশসেন রোডে প্রায় ১১ মাস পর বড় ধরনের মাদক বিরোধী এই অভিযানের ফলে মাদকের ভয়াবহতা কমে আসবে বলে নগরবাসী মনে করছেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, যেখানেই মাদক সেখানেই অভিযান হবে, চোর, ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিদের আস্থানা এই নগরীতে হবে না, তিনি এ জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন

  • ভালুকায়  ইউএনও’র ব্যতি-ক্রমী উদ্যোগে পাল্টে গেছে উপজেলার  দৃশ্যপট-মুগ্ধ ভালুকাবাসী

    ভালুকায় ইউএনও’র ব্যতি-ক্রমী উদ্যোগে পাল্টে গেছে উপজেলার দৃশ্যপট-মুগ্ধ ভালুকাবাসী

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার ব্যাতিক্রমী পরিকল্পনায় বদলে গেছে উপজেলা প্রশাসনের চিত্র। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। প্রশাসন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বিভিন্ন দফতরে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। ফলে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছেন। তার নিরলস পরিশ্রম আর পরিকল্পনামাফিক কাজে ভালুকা উপজেলা আজ এক ভিন্ন আলোয় উদ্ভাসিত। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের ধারায় গড়ে ওঠা এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তার পরিকল্পিত ও নিরলস প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে পুরো উপজেলার চিত্র।

    সরাসরি পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, ইউএনও কার্যালয়, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সুপরিকল্পিত সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে উপজেলা প্রশাসন সেজেছে নতুন রুপে। রঙিন ফুলের বাগান, দেয়ালজুড়ে চিত্রকলার ছোঁয়া, পরিচ্ছন্ন সড়ক এবং নান্দনিক আলোকসজ্জায় বদলে যাচ্ছে পরিবেশের দৃশ্যপট। এসব উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝেও জন্ম নিয়েছে এক নতুন উদ্দীপনা।

    ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভালুকার এই নতুন রূপের ছবি ও ভিডিও। নেটিজেনরা ইউএনও’র এই সময়োপযোগী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মন্তব্য করেছেন— প্রশাসনিক উদ্যোগের এমন মানবিক রূপ বাংলাদেশে অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
    বর্তমানে তার নেতৃত্বে এ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। অনেকেই তা দেখে মুগ্ধ হয়ে চমকে উঠছেন। কারণ ভালুকা উপজেলা প্রশাসন এখন আর পূর্বের অবহেলতি চত্বর নয়। এখানে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। বর্তমান ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর আচার ব্যবহারেও মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে সর্বস্থরের মানুষের মাঝে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছে।

    জেলার শিল্পাঞ্চল হিসাবে পরিচিত এ উপজেলাকে দেশের মানচিত্রে উন্নত প্রথম শ্রেণির উপজেলা হিসেবে গড়তে বা চিহ্নিত করতে প্রচেস্টা চালাচ্ছেন ইউএনও। আর তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে জিও এনজিওর সহায়তায় বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা হাতে নেন। শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। পরে শিল্পাঞ্চল এ উপজেলাকে এগিয়ে নিতে উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার পণ্য উৎপাদনের জন্য শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়াও তিনি এঅঞ্চলে শিল্প কারখানা গুলোর উন্নয়ন ঘটাতে উপজেলার কারখানা গুলোতে গিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে শিল্প কারখানাগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের দিক নির্দেশনা দেন। এতে শ্রমিক অসন্তোষ আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ও যৌতুকসহ নারীশিশু নির্যাতন রোধে পাড়ায় পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন বিলি করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় এসব অপরাধের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

    ভালুকা উপজেলায় ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর যোগদানের পর সেখানকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং সেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বে উপজেলায় দৃশ্যমান পরিবর্তনগুলোর
    মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হলো:স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন:বিনোদন ও খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি:জনগণের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নয়ন:বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন:ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন। সুত্র মতে ভালুকায় ইউএনও’র নির্দেশনায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা সেখানকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করবে। স্থানীয়দের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে। ইউএনও’র বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয় উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে ভালুকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। ইউএনও’র উদ্যোগে ভালুকা উপজেলা ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উৎসাহিত করবে। ভালুকা উপজেলায় ইউএনও’ হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর যোগদানের পর থেকে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।

    নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,”ভালুকা আমার কর্মস্থল, আমার দায়িত্ব। আমি চাই এ উপজেলা পরিচ্ছন্ন ও মানবিক পরিবেশে পরিচালিত হোক। প্রশাসনের দরজা জনগণের জন্য সবসময় খোলা — এটা যেন শুধু কথায় না, বাস্তবেও প্রমাণ হয়। পরিচ্ছন্নতা শুধু সৌন্দর্যই নয়, এটি মনন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেরও প্রতীক। আমরা চাচ্ছি জনগণও এই কাজের অংশীদার হোক। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ সবার দারুণ সাড়া পাচ্ছি।”

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও ইউএনও’র এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।

    ভালুকার বাসিন্দারা জানান,”আগে সরকারি অফিস মানেই নিরস পরিবেশের কথা ভাবতাম। এখন পরিষদ প্রাঙ্গণে ঢুকলেই মনে হয় কোথাও বেড়াতে এসেছি। এই পরিবেশ আমাদেরও উৎসাহিত করে নিজেদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে।”

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালুকায় গড়ে ওঠা এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যচর্চার আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলাগুলোর জন্যও হতে পারে এক অনুকরণীয় মডেল। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে, তা স্থায়ী পরিবর্তনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

    ভালুকার এই রূপান্তর যেন প্রমাণ করছে— প্রশাসনিক সদিচ্ছা, জনগণের অংশগ্রহণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মিলে বদলে দেওয়া সম্ভব একটি গোটা এলাকার ভাগ্য।

    ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো জানান, এঅঞ্চলের অবহেলিত নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে তিনি বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ও অধিকার পাইয়ে দেবার লক্ষ্যে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

  • ত্রিশালে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনসহ স্বেচ্ছায় র-ক্ত দান  ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

    ত্রিশালে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনসহ স্বেচ্ছায় র-ক্ত দান ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল পৌর এলাকা, সদর ইউনিয়ন, ধানীখোলা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উন্নয়ণ মুলক কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম । তিনি কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত রাস্তা সংষ্কার কাজসহ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়নমোলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।একই দিনে তিনি উপজেলার গরীব অসহায় ও মুমুর্ষ রোগীদের সুবিধার্থে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন-এর উদ্ভাবন স্বেচ্ছায় রক্ত দানে এগিয়ে আসতে https://roktodaan.com/ ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন ও উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে থানা পরিদর্শন সহ গ্রাম পুলিশদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    বৃহস্পতিবার( ১০জুলাই) সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।এসময় জেলা প্রশাসক ত্রিশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের
    ত্রিশাল-ধানিখোলা সড়কের উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন। সুত্র জানিয়েছে-২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেসার্স ইনান এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এডিপি’র অর্থায়নে প্রায় ৪৯.৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ত্রিশাল পৌরসভা। এই সড়কের ০-৫৯৫ মিটার অংশ ইটের সোলিং এবং বাকি ৫৯৫-১৮৬০ মিটার অংশ কার্পেটিং দ্বারা উন্নত করা হবে।

    মানসম্পন্ন ও ধানীখোলা ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের। পরিদর্শনকালে তিনি প্রকল্প এলাকার উপকার ভোগী মানুষের সাথে কথা বলেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী এবং প্রত্যাশা পূর্ণ হওয়ায় খুবই খুশি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা। এদিকে কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম । এসময় তিনি কৃষি নির্ভর অর্থনীতি প্রসারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,ত্রিশাল-ধানিখোলা সড়কের উন্নয়ন কাজের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় ত্রিশাল উপজেলার সাথে ধানীখোলাবাসীর যোগাযোগ সহজতর হল। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ত্রিশাল-ধানিখোলা এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে যাতায়াত আরও সহজ ও নিরাপদ হবে, যা এলাকার সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ জনগুরুত্ব ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে নির্মিত রাস্তায় এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত শস্য বাজারজাত করণ সহজ হবে।

    বিভিন্ন মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হওয়ায় গ্রামীণ জনপদের চেহারা বদলে যাবে। ত্রিশাল উপজেলার উন্নয়ন কাজ নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী বলেন, এবারের টিআর কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে পিআইওসহ সংশ্লিষ্ট সকলে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন।কাজ মানসম্মত না হলে বার বার তাগিদ দেন তিনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কাজের গুণগত মান নিয়ে সতর্ক করা হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে। তাই ঠিকাদারও সঠিকভাবে কাজ করছেন।

    মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়ানোর সুবিধার্থে
    ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন-এর উদ্ভাবন
    https://roktodaan.com/ ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব নিয়ে ইউএনও জানান- এই ওয়েবসাইটটি যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দেন এবং যাদের রক্তের প্রয়োজন তাদের মধ্যে একটা প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতাগণ এই ওয়েবসাইট এ তাদের তথ্য এন্ট্রি দিতে পারবেন, আর যাদের রক্তের প্রয়োজন হবে তারা সার্চ অপশন ব্যবহার করে ডোনারদের তালিকা এবং তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজে পাবেন। এভাবেই গড়ে উঠবে রক্তের বাঁধন। রক্ত দিন, জীবন বাঁচান। যারা নিয়মিত রক্তদান করেন বা করতে চান তাদের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে অনুরোধ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো জানান- আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে। তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। হয়তো একদিন আপনার প্রিয়জনের রক্তের প্রয়োজনে এই প্লাটফর্ম সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করবে।

    এ সময় পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ত্রিশাল পৌরসভার প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ত্রিশাল মাহবুবুর রহমান এবং ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহাম্মদ,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ,পৌর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল পৌর সচিব, প্রধান প্রকৌশলী
    সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

  • বরিশাল বোর্ডে অকৃতকার্য ৩৬ হাজার পরীক্ষার্থী

    বরিশাল বোর্ডে অকৃতকার্য ৩৬ হাজার পরীক্ষার্থী

    নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

    বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) পরীক্ষায় পাশের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যেখানে ৮২ হাজার ৯৩১ জন অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন পরীক্ষার্থী। আর এই হিসেবে অকৃতকার্য হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭৩ জন পরীক্ষার্থী।

    বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে প্রকাশিত এসএসসি’র ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ১ হাজার ৫০২ টি স্কুলের ৮৪ হাজার ৭০২ শিক্ষার্থীর এবছর এসএসসি পরীক্ষায় নিবন্ধন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮২ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী।

    বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, বরিশালে এ বছর ফলাফলে এমন অবস্থার কারন বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা যারা গ্রামে পড়াশোনা করেন তারা ইংরেজি ও গনিতে ফেল করেছেন। ফলে ফলাফলের এমন অবস্থা। আমরা প্রতিটি জেলায় জেলায় শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেশ শুরু করেছি। আশা করি দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে। এছাড়া এ ফলাফলের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রকৃত মান উঠে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।