Blog

  • দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    মহিউদ্দীন চৌধুরী,পটিয়া চট্টগ্রাম।।
    চট্টগ্রামের পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হক নূর বলেছেন, “যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের পরিণতিও হবে আওয়ামী লীগের মতো—জনগণের রায়ে তারা বিতাড়িত হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “পটিয়া ও আশপাশের উপজেলার যেসব ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এডভোকেট আরিফুল হক তায়েফ।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. এমদাদুল বলেন, “সকল স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখে দিয়ে এই দেশকে জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ সেই সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে লড়বে।”

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা আগের যুগের ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর কথা শুনেছি, কিন্তু গতকালের ঘটনাগুলো সেই যুগকেও হার মানিয়েছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি, বর্তমানে দেখছি চাঁদাবাজদের রাজত্ব। গণঅধিকার পরিষদের কেউ চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিতে জড়িত নয়। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় সামনে থাকি।”

    তারা বলেন, “দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীকে কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যারা এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

    তারা আরও বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে কাপনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সনদ বাস্তবায়ন করতেই হবে।”

    বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি নূরের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে ‘ট্রাক’ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশের মাটি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।”

    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আবু তাহের, আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ, কামরুন নাহার ডলি, আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মিজান উদ্দিন আকাশ, লোকমান হোসেন, জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু তোহা, যুব অধিকার পরিষদের নেতা সৈয়দ প্লাবন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আকতারুজ্জামান সম্রাট, পটিয়া উপজেলা আহ্বায়ক ডা. বি. কে. দত্ত, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আরাফাত (নবাব), ছাত্র অধিকার পরিষদের গোলাম সোবহান, মো. আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসান সাকি, রায়হান আহমেদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • পঞ্চগড়ে অর্থ ও ভূমি জা-লিয়াতির অভি-যোগে  দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ৩ জন কা-রাগারে

    পঞ্চগড়ে অর্থ ও ভূমি জা-লিয়াতির অভি-যোগে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ৩ জন কা-রাগারে

    পঞ্চগড়প্রতিনিধি:
    পঞ্চগড়ে মির্জা আব্দুল বাকী নামে বাংলাদেশ সচিবালয়ের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জমি দখলের চেষ্টায় জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টায় দায়ের করা মামলার আদালতে জামিন নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ঢাকা আগারগাঁও পরিবেশ ভবন শাখার অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদ। বর্তমানে তারা পঞ্চগড় জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    এদিকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) থাকায় বৃহস্পতিবার আটকের পর শুক্রবার কারাগারে গেছেন মো. দিলদার হোসেন নামে পঞ্চগড়ের এক অধ্যক্ষ।

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের কোর্ট ইন্সপেক্টর খান মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পঞ্চগড় আদালতে তারা জামিন নিতে এসে আটক হয়েছে।

    আটক ফিরোজ উদ্দিন ঢাকার ঢাকেশ্বরী রোড লালবাগ কেল্লা এলাকার মৃত হাজি মুসলিম উদ্দীনের ছেলে। শাহবুদ্দিন ঢাকার নিউ পল্টন রাখালপারা এলাকার শাহজাহান মাহমুদ ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

    ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, চক্রের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর জমি বিভিন্ন ভাবে দখলের চেষ্টা চালায় তারা। এর মাঝে ভুয়া কাগজ তৈরি করে নানা ফন্দি তৈরি করে। এর পর ভুয়া বায়নামা ও জাল এ্যাফিডেভিট তৈরি করে মির্জা আব্দুল বাকীর নামে পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এর মাঝে চক্রটি মির্জা আব্দুল বাকী’র নামে অগ্রনী ব্যাংকে ভুয়া একাউন্ট তৈরি করেন। একই সাথে অর্থ আত্মসাৎ করে ফাঁসাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় চেক পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। এর মাঝে চক্রটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিষয়টি সামনে আসে। পরে বাকী জামিন নিয়ে পঞ্চগড় আদালতে আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, জসিম উদ্দীন সহ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

    এর পর পঞ্চগড় আদালতে জামিন নিতে গিয়ে ঢাকা আগারগাঁও পরিবেশ ভবন শাখার অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদ আটক হন। এদিকে গেল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পঞ্চগড়ের বিসিক শিল্প নগরী এলাকার বিএম কলেজের এক অধ্যক্ষ মো. দিলদার হোসেন দিলুকে ঢাকার ডিবি (ডিএমপি) পুলিশের একটি টিম রাজধানীর জয়েন্ট কমিশনার এলাকা থেকে শুকবার পঞ্চগড়ে আনলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আরো জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদের সহায়তায় ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে চক্রের সদস্যরা পঞ্চগড় থেকে শুরু করে ঠাকুরগাও, পাবনা ও বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে আসছিলেন। এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি রাজশাহী ও পিবিআই ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী অফিসারের তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমানে বেরিয়ে আসে এ তথ্য।

    এ বিষয়ে মামলার বাদি মির্জা আব্দুল বাকী বলেন, মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন ভুয়া চেক নিয়ে পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। আমার সাথে যোগাযোগ করেন তারা। তাদের একাউন্টির বিষয়ে ভুয়া বলে জানালে চেকটি বাতিল হয়। এর পর একই চেক নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় চক্রটি। যেহেতু আমার সাথে তারা প্রতারণার চেষ্টা করে তাই এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি।

    পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আশিষ কুমার শীল এশিয়ান টেলিভিশনকে বলেন প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা তাকে গ্রেফতার করি

  • বাংলাদেশ আহলেহাদিস যুবসংঘের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ আহলেহাদিস যুবসংঘের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১২ ই জুলাই শনিবার সকাল ৯টায় বার্ষিক কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহআল-গালিব।
    সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে ইসলাম-ই হোক রাষ্ট্রচেতনা! তিনি আরো বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল ইসলাম। সেই চেতনার উপরেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি যুবসমাজকে রাসূলুল্হলাহ (সা.)-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    তিনি আরও বলেন, এদেশের প্রকৃত শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কিংবা গণতন্ত্র নয়, বরং ইসলামী আদর্শভিত্তিক খেলাফতের রাজনীতিই হতে পারে একমাত্র কার্যকর ও ফলপ্রসূ পথ। এ লক্ষ্যে সকল ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী খেলাফতের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করার জন্য তিনি জোরালো আহবান জানান।
    বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্দপাদক ড. কাবীরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার।
    এছাড়াও আহলেহাদীছ ইমাম ও ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী, আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের সভাপতি ডা. শওকত হাসান, ‘আল-‘আওন’ স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান সংস্থা’র সাধারণ স¤পাদক ড. মুখতারুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সাবেক সহ-সভাপতি ড. নূরুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম ও বিভিন্ন যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি ও প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

  • দেশজুড়ে চাঁ-দাবাজ সন্ত্রা-সের বিরু-দ্ধে রাজারহাটে বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    দেশজুড়ে চাঁ-দাবাজ সন্ত্রা-সের বিরু-দ্ধে রাজারহাটে বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:তারিখ:১২-০৭-২০২৫ইং সন। সারাদেশে চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কর্তৃক ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।রাজারহাটের সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে শনিবার দুপুরে চাঁদবাজ,সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদী শ্লোগানে,শ্লোগানে একটি মিছিল উপজেলা শহর ঘুড়ে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজারহাট সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজাহাট উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সুজন মিয়া,বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস রাজারহাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম,ছাত্র সমাজের সাইয়াদুর রহমান,ক্ব‌ওমী ওলামা পরিষদের আব্দুল্লাহ আল মামুন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আরিফুল ইসলাম,এনসিপি কুড়িগ্রাম জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু,এনসিপি রাজারহাট উপজেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম।#(ছবি সংযুক্ত)

    এনামুল হক সরকার
    রাজারহাট,কুড়িগ্রাম।।

  • জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে কি বৈ-ষম্য থেকে যাবে?

    জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে কি বৈ-ষম্য থেকে যাবে?

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ বাংলাদেশ কোথায় ছিলো? পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিভক্ত-আলাদা করে “১৯৭১ইং সালে মু্ক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীনতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ ও ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি কেমন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাওয়া পাওয়ার হিসাব চলছে, জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য কি থেকে যাবে???
    বিশেষ করে ১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত”। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তভুর্ক্ত হইবে। ১৯৭১ সালের পর চলমান ঘটনার আড়ালে অনেক রহস্য। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। দেশে সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনসহ বেশিরভাগ মানুষ এখন সততার সাথে কাজ করছেন, সৎ ও সাহসীকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে সবাই সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে করেন অনেকেই। আপনারা জানেন যে, বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ নিয়ে আলোচনায় পরে আসি।
    বাংলাদেশের ইতিহাসঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, তথ্যসূত্র-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যার ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার, এই দেশ আপনার আমার সবার, তাই কেউ আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ আর দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত হারিয়েছেন। ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনা দেশে থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে বা পরে ৩২০০ পুলিশ সদস্য ও ৬ শতাধিক ছাত্র-জনতার অকালে মৃত্যু হয়েছেন, এখনও মানুষ নিরাপদ নয় বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।
    বিশেষ করে আপনার আমার বা আমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন হবেন-সেই জাতি ততই উন্নতির দিকে যাবেন। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ ওই কাজের দায়িত্ব সঠিকভাবে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়তো থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মন মানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুরই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না, দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। যৌবন অস্থায়ী আর মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবেন না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি সঞ্চয় করলাম তা কেউ ভাবছেন? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান।
    মানুষের জন্মের পর ধর্ম-কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন। কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি। বাংলাদেশের মানুষ আমরা আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য সচেতন মহল ও সাংবাদিকদেরকে বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে। জনগণের নাগরিক সমস্যা আছে কি-না তা সচেতন মহলকে দেখতে হয়। বাস্তবতা অনেক কঠিন, আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন? আমাদের সবার জন্য সঞ্চয় দরকার, তবে সেই সঞ্চয় অর্থ বা সম্পদ নয়। সবকিছুরই হিসাব দিতে বাধ্য হবেন সবাই, আকাশের দিকে থুথু ফেললে নিজের শরীরে পড়তে পারে তাই সাবধানে চলতে হবে। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক আর বর্তমান সময়ের পুলিশ প্রশাসন একরকম নয়। ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি যেমনই হোক দেশে ধর্ষণ বাড়ছে, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়লেও তবে হত্যার সংখ্যা কম আর রাজনৈতিক জটিলতা বাড়তে শুরু করেছে-বাকিটা ইতিহাস। দেশের মানুষ কেমন আছেন তা জাতি জানতে চায় আর সবক্ষেত্রে কি বৈষম্য দূর হয়েছে? এমন কেউ বলতে পারেন যে, বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। দেশ কারো বাবার সম্পদ নয় এই দেশ প্রায় ১৮ কোটি জনগণের, আর সেই জনগণের দুহাই দিয়ে সবাই রাজনৈতিক বক্তব্য দেন কিন্তু জনগণের চিন্তা কে করেন??।

  • ভা-রতীয় আ-ধিপত্যবাদের দাদাগিরি এদেশের ছাত্র জনতা আর মা-নবে না – কামরুল আহসান এমরুল

    ভা-রতীয় আ-ধিপত্যবাদের দাদাগিরি এদেশের ছাত্র জনতা আর মা-নবে না – কামরুল আহসান এমরুল

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন-শিবির ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে। শিবির যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে, গোটা জাতি সেই একই উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করায় ২৪শে’র ৫ আগস্টের মতো বিরাট বিজয় সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষ এখন দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজি মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত একদল সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব চায়। আর ছাত্রশিবির সেই যোগ্য নাগরিক তৈরির একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।তিনি বলেন-২০২৪ এর ছাত্র জনতা এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তাদের কোনো দাদাগিরি আর মানবে না। কেউ কালো হাত বাড়ালে এদেশের ছাত্রসমাজ সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে আর দ্বিধা করবে না।

    শুক্রবার (১১জুলাই) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগরী শাখার ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
    এসব কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন-সংগঠনটির গত ছয় মাসের কার্যক্রমের একটি বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ ও মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক অবস্থা আরো শক্তিশালী করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মীর পারফরম্যান্স তৈরী করা। যাতে করে সংগঠনের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের কাজের অগ্রগতি পরিমাপ করে এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশল তৈরি করে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ তাদের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এগিয়ে যাবে।

    ছাত্রশিবিরের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিবিরের উচিত প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার প্রতিটি বাড়ির ফ্ল্যাটে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। বর্তমান ছাত্র সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। শিবিরের সকল সদস্যকে হতে হবে জ্ঞানপিপাসু, কর্মসহিষ্ণু, ত্যাগ-কুরবানিতে অগ্রগামী, নিয়মানুবর্তী এবং সময়ানুবর্তী। তাহলেই একদিন এদেশে ইসলামের রাজ কায়েম হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রশিবিরের সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্র সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

    ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগর আয়োজিত এই
    ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।

  • জুলাই আ-ন্দোলনে ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতি-রোধ দিবস’ ঘোষণা করলেন উপদেষ্টা আসিফ

    জুলাই আ-ন্দোলনে ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতি-রোধ দিবস’ ঘোষণা করলেন উপদেষ্টা আসিফ

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন

    স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, কুমিল্লা থেকে প্রথম জুলাই আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে তাই ১১ জুলাই সেই দিন, যেদিন আমাদের শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন পতিত স্বৈরাচার সরকার। এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) থেকেই সহিংসতার সূত্রপাত হয়। তাই ‘১১ জুলাই’ কে আমি ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করছি।”
    (১১ জুলাই)দুপুরে কুবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ ১১ জুলাই’ শীর্ষক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

    তিনি বলেন, গত বছরের ১১ জুলাই যখন আমরা ঢাকায় আন্দোলন করছিলাম তখন হঠাৎ করে শুনতে পারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা কুমিল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই প্রতিরোধ সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতা তৈরি করেছিল। তাদের মনে সাহস দিয়েছিল। এরপর আবু সাঈদের মত সাহসীরা বুক চিতিয়ে রক্ত দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনের দিকে ধাবিত করেন। তাই আপনাদের প্রতিরোধকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

    জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা প্রদান করছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    এসময় শিক্ষার্থীদের করা দাবির প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠিক যে স্থানে কর্মসূচি পালন করেছিলেন সেখানে একটি প্রতিরোধ মিনার স্থাপন করা হবে। যাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা মানুষ এই দিনটিকে স্মরণ রাখতে পারে। এটা আমাদের পক্ষ থেকে একটি ছোট উদ্যোগ।

    এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আপনারা যে দাবিগুলো করেছেন আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো তারা যেন সে দাবিগুলো রাখেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাস সংকটের একটি দাবি ছিল। আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা করছি।

    সবশেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার প্রশংসা জানিয়ে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসিকতা সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রয়োজনে আমরা আগামীতে এই সাহসিকতাকে স্মরণ রাখার জন্য আরো উদ্যোগ গ্রহণ করবো৷

    এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুর পূর্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে নির্মিত একটি বিশেষ স্মারক ফলক ‘জুলাই মিনার’ উন্মোচন করেন। পরে, জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। পরে, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরুতে ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনা নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

    এসময়, বিভিন্ন দাবি নিয়ে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে আহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, ‘১১ জুলাই’ দিনটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান কুবির শিক্ষার্থীরা।

    এসময় স্মরণ সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অতিথিরাও তাদের বক্তব্যে ”১১ জুলাই” কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

    পরে স্মরণ সভায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময়, স্মরণ সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

  • কুমিল্লায় দিনদুপুরে ট্রাক শ্রমিককে কু-পিয়ে ভু-রি বের করে পালিয়েছে চো-র

    কুমিল্লায় দিনদুপুরে ট্রাক শ্রমিককে কু-পিয়ে ভু-রি বের করে পালিয়েছে চো-র

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
    কুমিল্লা সদর উপজেলার ৩ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের ট্রাক শ্রমিকের ভুরি বের করে দেয় পাশ্ববর্তী গ্রাম দৌলতপুরের শিপন চোর।ঘটনাটি ঘটে ১১ ই জুলাই সকাল ১১ টায় কুমিল্লা সদর উপজেলার ৩ নং দূর্গাপুর দঃ ইউনিয়নের রংপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন ধানি জমিতে।স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় জহির তার বাড়ির পাশে বৃষ্টির পানিতে মাছ শিকার করতে কারেন্ট জাল পাতিয়ে রাখে, ঐ জালে মাছ আটকে থাকলে দৌলতপুর গ্রামের লিটনের ছেলে হাজারো অপরাধের সাথে জড়িত শিপন চোর,উক্ত জালের মধ্য আটকে থাকা মাছ শিপনের চোখে পড়ে।শিপন জোরপূর্বক জালে আটক কৃত মাছ ছিনিয়ে নিয়ে যায়, এসময় জালের মালিক টের পেয়ে জহির ৩৬, দৌড়ে গিয়ে বাধা দেয় এবং আটকের চেষ্টা করে এতে হাজারো অপরাধের হোতা বিভিন্ন মামলার আসামি পাকা চোর শিপন জহির কে প্রথমে কিল ঘুষি মারে পরবর্তীতে বিদ্বেষমূলক হত্যার চেষ্টায় পকেট থাকে চাকু বের করে পেটে কোপ মারে, এতে জহিরের পেটের ভুঁড়ি বেরকরে ফেলে পালিয়ে যায় শিপন। এদিকে চোরের বাবা লিটনকে স্থানীয়রা আটকে রাখে।এদিকে প্রথমে জহিরের স্বজরা মুমূর্ষু অবস্থায় কুমিল্লা টাওয়ারে জহির কে নিয়ে গেলে কর্তব্য রত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে কুমেকে স্থানান্তরিত করে।কুমেক কতৃপক্ষ জহিরের অবস্থা মুমূর্ষু দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপারেশন হয়নি, স্থানীয় দের দাবি অতিদ্রুত অপরাধী শিপন, ও তার বাবা লিটন কে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, শিপনের অত্যাচারে স্কুল,কলেজের মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারে না,একাধিক বার তাদেরকে স্থানীয় ভাবে মোবাইল, মুরগী, ইভটিজিং এর বিচার করা হয়। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হান্নান জানান শিপন ও তার বাবা লিটনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ও রাতে আতংকে থাকে নাগরিকরা,কারো মুরগী, হাস,ছাগল, কবুতর,মোবাইল, চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া ছাত্রী দের রাস্তায় ইবটেজিং করে আসছে দীর্ঘ দিন। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, আজকের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই, চোরা শিপন ও তার বাবা লিটনকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম জানান অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নিবো।

  • নড়াইলে খুলনা রেঞ্জের  ডিআইজিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা

    নড়াইলে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
    খুলনা রেঞ্জের মাননীয় ডিআইজির উপস্থিতিতে জেলা পুলিশ লাইনস্ এ বার্ষিক পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, শুরুবার (১১ জুলাই) নড়াইল জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিস ও হিসাব শাখা বার্ষিক পরিদর্শন করেন মোঃ রেজাউল হক, পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, খুলনা মহোদয়। ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনস্ এ পৌঁছালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন কাজী এহসানুল কবীর, পুলিশ সুপার, নড়াইল। অতঃপর তিনি জেলা পুলিশের নান্দনিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ অধিনায়ক জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), নড়াইল এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি নড়াইল জেলা পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের প্যারেডের দক্ষতা মূল্যায়ন করেন। এ সময় তিনি জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলেন। অতঃপর পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’র সভাপতিত্বে পুলিশ লাইনস্ এ মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত “মতবিনিময় সভা” প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেজাউল হক,পিপিএম, ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জ। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর। এছাড়াও নড়াইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নড়াইল জেলার সকল থানা, ফাঁড়িসহ বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট ইনচার্জসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে  আসিফ মাহমুদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

    কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে আসিফ মাহমুদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

    তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
    কুমিল্লা জেলা বারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে ক্রীড়া মন্ত্রনালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিব মাহমুদ সজীব কে ফুলেল শুভেচছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া, সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্লাহ ও তাজওয়ার ওহী। উপদেষ্টা কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার খোজ খবর নেন।