Blog

  • কাঁচামরিচের যতগুণ হঠাৎ  করে দাম বেড়ে ৪০০ টাকা কেজি

    কাঁচামরিচের যতগুণ হঠাৎ করে দাম বেড়ে ৪০০ টাকা কেজি

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী সহ সারাদেশে ৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৭০/ ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। বিক্রেতা বলছেন, সরবরাহ কমের কারণে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। অপরদিকে পটলবিক্রি হচ্ছে পানির দামে। প্রতিকেজি পটল ১০ টাকা থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক ২০ কেজি পটল বিক্রি করে ১ কেজি কাঁচামরিচ পাচ্ছেন।
    কৃষকের আশঙ্কা, আর দুই-তিন দিন এমন বৃষ্টি হলে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এরইমধ্যে কিছু গাছ পঁচে গেছে। পানি নামার জায়গা নেই অনেক জমির। পতিত হাসিনা সরকারের আমূলে কাঁচা মরিচের কেজি ১ হাজার টাকারও বেশী হয়েছিল এর জন্য মূলত দায়ী ছিল কথিত সিন্ডিকেট।

    কাচামরিচের যত গুনঃ কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ১০০ গ্রাম মরিচে ১২৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে । তাছাড়া মরিচে নানা রকম পুষ্টিগুন যেমনঃ ১ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৭ গ্রাম আঁশ,১০৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২ গ্রাম আমিষ, ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ মিলিগ্রাম লৌহ, ২৩৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও ২৪ গ্রাম শর্করা ইত্যাদি রয়েছে।

    কাঁচা মরিচের ভেষজ গুণ ও উপকারিতা কাঁচা মরিচ এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শুধু যে খাবার সুস্বাদু করে তা নয়, এই মরিচে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
    পুষ্টিগুণ: কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, সোডিয়াম, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬, পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে থাকে।

    ভেষজ গুণ: নিয়মিতভাবে কাঁচা মরিচ খেলে মুখে ‘ঘা’ হয় না।
    ব্যবহার: রান্না-বান্না ও মুখরোচক খাবার তৈরি ছাড়াও মরিচ বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। অনেকে মরিচের আচারও করে থাকেন।

    উপকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: প্রতিদিন অন্তত দু’টি কাঁচা মরিচ খেলে কোনো রোগই কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে কোনো রোগ-জীবাণুই শরীরের ক্ষতি করে উঠতে পারে না। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু ইমিউনিটি বাড়ায় না, সেইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে এবং ত্বককে সুন্দর করে তুলতেও সাহায্য করে।

    হজমে কাজ করে: হজমের সমস্যায় খেতে পারেন কাঁচা মরিচ। খুব তেল-মসলার রান্নায় ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দিন। হালকা ঝাল হজমে সাহায্য করে।

    খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: কাঁচা মরিচ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মরিচের বীজ এ কাজে খুবই কার্যকর। তাই উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগতে থাকা রোগীদের পাতে মরিচ রাখুন।

    ডায়াবেটিস দূরে রাখে: কাঁচা মরিচের বিভিন্ন উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না। হার্ট চাঙ্গা থাকে: নিয়মিত দু’টি করে কাঁচা মরিচ খেলে হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এতে থাকা বেশকিছু উপকারী উপাদান একদিকে যেমন রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে ফেলে, তেমনি ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, কোনোভাবেই যাতে ব্লাড ক্লট না হয়, তাও সুনিশ্চিত করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা যায় কমে।

    সাইনাসের কষ্ট কমে: কাঁচা মরিচে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান, যা ঝাল স্বাদের জন্য দায়ী। এই ক্যাপসিসিন কিন্তু শরীরের নানাবিধ উপকারেও লাগে। যেমন- এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র মিউকাস মেমব্রেনের মধ্যে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

    ক্যান্সার দূরে রাখে: কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের সব বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
    স্ট্রেস কমে: মন খারাপ হলে দ্রুত একটি কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেলুন। দেখবেন মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া মাত্র এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে মন আনন্দে ভরে ওঠে।

    এখন বলতে ইচ্ছা করছে, সবার উপরে মরিচ দামি তাহার উপরে নাই’। সত্যিই মরিচের উপর দামি পণ্য আর যেনো কিছু নেই। টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁচা মরিচের কেজি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার বিষয়টি সবাই হতবাক করেছে। দাম বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে না অন্য কিছু। আবার কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অব্যাহতভাবে উচ্চমূখি হচ্ছে।

    একবার পেঁয়াজের মূল্য ৩ শ থেকে সাড়ে ৩ শ টাকা কেজি, ডিম সিন্ডিকেট’ ‘ব্রয়লার মুরগি সিন্ডিকেট’ ‘চাল সিন্ডিকেট’, ‘সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট’ করে ওই সময় ওইসব দ্রব্যের মূল্য নিয়ে একই অবস্থা হয়েছিল।

    কাঁচামরিচ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সর্বোত্রই একটি তৎপর্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্ক, মন্তব্য, মতামত, আলোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য-বক্তব্য দিচ্ছেন।

    এই মন্তব্য-বক্তব্য-আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে কাঁচা মরিচ। কেউ লিখেছেন, কাঁচা মরিচের নতুন নামকরণ হচ্ছে ‘ট্রিপল সেঞ্চরী।’ কেউ লিখেছেন, বাজারে গিয়ে ‘৫০ গ্রাম দেন বললেই দোকানি কাঁচা মরিচ দেবে। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে লবনের সের ৮০ টাকা হওয়ায় তখন অনেকেই বলতেন (এক ছটাক আমু দেন; এরশাদের শাসনামলে ‘চিনি জাফর’ শব্দটি ব্যাপক ব্যবহৃত হতো), কেউ লিখেছেন কাঁচা মরিচ রসুঁই ঘরে উচ্চাসনে বসেছে, কেউ লিখেছেন, কাঁচা মরিচের ভেজসগুণ বুঝতে পেরে এতোদিনে কাঁচা মরিচের মূল্যায়ন হয়েছে, আবার কেউ লিখেছেন বিয়ে অনুষ্ঠানে এখন ‘কাঁচা মরিচ’ হতে পারে সবচেয়ে উকপারি উপহার। নানান বক্তব্য-মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ ‘ভিভিআইপি’ মর্যাদায় উঠলো কেন?

    এখন কার নিয়ন্ত্রণে কাঁচা মরিচের বাজার? কোন সিন্ডিকেটের কবলে কাঁচা মরিচ চলে গেছে? এর আগেও পতিত হাসিনার আমূলে ‘ডিম সিন্ডিকেট’ ‘ব্রয়লার মুরগি সিন্ডিকেট’ ‘চাল সিন্ডিকেট’, ‘পেঁয়াজ সিন্ডিকেট’ ‘সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট’ করে বাজার কৃতিম সংকট তৈরির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছিল ।

    ওই সময় পত্রিকা পড়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহে কাঁচা মরিচ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। রংপুরে ৮০০ টাকা, কুড়িগ্রামে ৭০০ টাকা, রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল । কাঁচা মরিচের আঁতুড় ঘর খ্যাত পাবনায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল।

    ওই অবস্থায় তৎকালীন সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দাবি করা হয়েছিল আষাঢ় মাসে বৃষ্টির কারণে জমিতে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন ব্যবসায়ীদের এককই সুর। এ বাস্তবতা কি তাই বলে? ষড়ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। প্রতিবছর এই দুই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে। জমি ভেজা থাকায় মরিচের গাছের ক্ষতি হয়। তবে কোনো বছরেই বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকার বেশি হয়নি।

    আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি নিয়ে লতা মঙ্গেশকারের কালজীয় গান ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন/ ঝর ঝর ঝর ঝর ঝরেছে, তোমাকে আমার মনে পড়েছে’। এই দুই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় এমন গান রচিত হয়েছে। অথচ এখন তেমন বৃষ্টি হয় না। চলতি বছর বৃষ্টি খুব কম হয়েছে। আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা তার অর্ধেক পরিমাণ বৃষ্টিও হয়নি। ফলে বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বেড়েছে এটা যুক্তিতে খাটে না।

    হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম হলো কেন? কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেল কাঁচা মরিচ? নাকি ডিম, ব্রয়লার, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতো সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচ সংকটের সৃষ্টি করে হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়ার ফন্দিফিকির করা হয়েছিল?

    তরকারি তথা খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে লবণ-রসুন-পেঁয়াজের মতোই কাঁচা মরিচ ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রতিদিনের পান্থা ভাত, সকালের নাস্তা, পোলাও-বিরিয়নি, মাছ, গোশত, সবজি যেকোন ঝাল রান্নায় কাঁচা মরিচের ব্যবহার হয়ে থাকে। ইদানিং কুমিল্লার মাতৃভাইয়ের রসমালাইয়ের পাশাপাশি ছানার সঙ্গে কাঁচা মরিচ পিষিয়ে পেস্ট করে মিশিয়ে ঝাল রসগোল্লা বানানো হচ্ছে। রসগোল্লায় সবুজ মরিচের ব্যবহার হওয়ায় কি কাঁচা মরিচের চাহিদা বেড়ে গেছে? সেটা হলে তো শুধু কুমিল্লায় ও রাজশাহীতে দাম বাড়ার কথা। এছাড়াও কাঁচা মরিচের নাকি ওষুধিগুন আবিষ্কৃত হয়েছে।

    ভেজস চিকিৎসকরা বলে থাকেন সবুজ কাঁচা মরিচে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ঝাল স্বাদের সবজির তরকারিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদানগুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো মহিলাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে ভেজস চিকিৎসকরা দাওয়াই দিয়ে থাকেন। সে জন্যই হয়তো কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশচুম্বি। প্রশ্ন হচ্ছে দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতায় দেশের মানুষের ত্রাহি অবস্থা। সময়ে সময়ে একেকটা পণ্যে দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় ওই সব পণ্য ক্রয়ে মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। অথচ দায়িত্বশীলরা সায়দারা বক্তব্য ‘সিন্ডিকেট’ ‘সিন্ডিকেট’ আমদানি করা হবে, ইত্যাদি বলে জনগণকে ধোকা দেন। এর মধ্যেই সিন্ডিকেটের হোতারা শত শত কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে তুলে নিয়ে যান। প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আর কতদিন চলবে? কথায় আছে সিন্ডিকেটের হাত যত বড় হোক না কেন; সরকারের হাত তার চেয়ে লম্বা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের হাতের চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত লম্বা হবে কেন? বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই প্রমাণ করে। তাহলে কি জাতীয় সংসদে অন্যান্য এমপিরা যে অভিযোগ তুলেছেন সিন্ডিকেটে মন্ত্রীরা জড়িত সেটাই সত্য? দেশের ভোক্তারা কাঁচা মরিচের ভিভিআইপি মর্যাদা চায় না। চায় ক্রয় ক্ষমতার মধ্য দামের নিয়ন্ত্রণ।

    কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। অধিক মুনাফালোভী, স্বার্থান্বেষী, প্রভাবশালী মহলের টনক নড়ছে না। সরকারকে মাঝে মধ্যে বেকায়দায় ফেলার জন্য একটি কুচক্রিমহল, প্রভাবশালি কসিন্ডিকেটের মধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুন্যের ইচ্ছামত দাম বৃদ্ধি করছেন। সময় থাকতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবেই।

    লেখক : মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

  • বাবুগঞ্জের রহমতপুরে রাজার খাল দ-খল দূ-ষণে পরিবেশ বি-পর্যয় প্রশাসনের হ–স্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের

    বাবুগঞ্জের রহমতপুরে রাজার খাল দ-খল দূ-ষণে পরিবেশ বি-পর্যয় প্রশাসনের হ–স্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পুরান ব্রিজের নিচে রাজার খাল বর্তমানে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের শিকার। স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা খালের পাশে প্রতিনিয়ত পচা কাঁচামাল ও আবর্জনা ফেলায় খালটি কার্যত জ্বালাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে।

    এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, দিনের পর দিন এই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জোয়ারের সময় এসব ময়লা পানির সঙ্গে ভেসে এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই খালের পানি এক সময় সবার কাজে লাগতো। কিন্তু এখন দুর্গন্ধ আর পচা জিনিসে ভরে গেছে। ছোট বাচ্চারা খালের ধারে যেতে পারছে না। রোগব্যাধি বাড়ছে।

    পরিবেশবাদীরা বলছেন, এভাবে খাল দখল ও দূষণ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তারা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলেও মত দেন তারা।

    সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে খালের ময়লা পরিষ্কার, অবৈধ ময়লা ফেলা বন্ধ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এ বিষয়ে

    প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

  • আশুলিয়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফো-রণে স্বামী স্ত্রীসহ ৪জন দ-গ্ধ

    আশুলিয়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফো-রণে স্বামী স্ত্রীসহ ৪জন দ-গ্ধ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী স্ত্রীসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

    শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫ইং) সকালে আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার একটি দুই’তলা বাড়ির নিচ তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    দগ্ধরা হলেন, মিজানুর রহমান (৩০), তার স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৫), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া জয়নব বেগম (৩৫) ও জয়নবের ভাগিনা আশরাফুল ইসলাম (২৫)। তারা সবাই স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

    দগ্ধ সাবিনার ভাই সোহেল রানা জানান, ভোরে রান্না ঘরে গ্যাস লিকেজের গন্ধ পান মিজানুর রহমান নামে এক ভাড়াটিয়া। তাৎক্ষণিক রান্নার জন্য সবাইকে নিষেধ করেন তিনি। তবে পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া নিষেধ না শুনেই রান্না শুরু করলে ঘটে এই বিস্ফোরণ। এতে রান্না ঘরের আশপাশে থাকা ৪জনের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক হলে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

    বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মিজানুরের শরীরের ২০ শতাংশ ও সাবিনার ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

    এছাড়া বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জয়নবের ৪৫ আর আশরাফুলের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আশুলিয়ায় এরকম দুর্ঘটনায় বহু লোকজন দগ্ধ হয়েছেন এবং অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

  • যশোর-১ শার্শা আসনে বি এন পি’র ৪ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী, একক প্রার্থী জামাতের

    যশোর-১ শার্শা আসনে বি এন পি’র ৪ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী, একক প্রার্থী জামাতের

    আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যশোর-৮৫/১ শার্শা আসনে রাজনীতির মাঠ এখন গরম। তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ প্রার্থী নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই সাথে জামায়াতের একক প্রার্থী তো রয়েছেনই। শার্শা আসনে এবার আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত, নেই জাতীয় পার্টি ও এনসিপির প্রচার প্রচারণা বা সাংগাঠনিক কার্যক্রম। তাই নির্বাচনী প্রতিযোগিতা হবে এবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্য। তাও তীব্র প্রতিযোগীতা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বিএনপির চারজন নেতা মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। তারা সক্রিয় ভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর কোনো দলের প্রার্থী মাঠে না নামলেও জামায়াতের একক প্রার্থী শুরু থেকেই মাঠে রয়েছেন। তারা খুব দৃঢ়তার সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। 

    বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন যশোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী কেন্দ্র দখল করে বিজয়ী হয়েছিলেন। মফিকুল হাসান তৃপ্তি এর আগেও কয়েকবার মনোনয়ন পেয়েছেন। সে সময় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনিই জয়লাভ করতেন।

    বর্তমান সময়ের আলোচিত ব্যাক্তি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। তার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

    দুঃসময়ে দলের পাশে থাকা এবং তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এছাড়াও তিনি শার্শা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

    এছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান লিটন এবং উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও দলের প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু মনোনয়ন পেতে মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। তাদেরও দলে সাংগঠনিক কার্যক্রমে যথেষ্ট ভুমিকা রয়েছে।

    অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একক প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান।২০০৮ সালের জোট ভিত্তিক নির্বাচনে তিনি মাত্র ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীনের কাছে হেরেছিলেন। তিনি জামায়াতের প্রার্থী হলেও তার সর্বদলীয় জনপ্রিয়তা রয়েছে এলাকায়। তার সাথে প্রতিদন্ধিতা করা যে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কঠিন হবে।

    যশোর-১ আসনে বর্তমান ২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯২ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৬ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ১১৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন।

    স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি যদি যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দিতে পারে এবং দলীয় ঐক্য বজায় থাকে, তবে এই আসনটিতে তাদের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।

    এই আসনে এর আগে আওয়ামী লীগ ৭ বার, বিএনপি ৩ বার, ও জামায়াত ১ বার করে জয়ী হয়েছেন। 

    তবে জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শার্শা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কার্যত অনুপস্থিত ও নিষ্ক্রিয়।  ফলে এবারের নির্বাচন জামাত ও বিএনপির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়াবে।

  • দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    মহিউদ্দীন চৌধুরী,পটিয়া চট্টগ্রাম।।
    চট্টগ্রামের পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হক নূর বলেছেন, “যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের পরিণতিও হবে আওয়ামী লীগের মতো—জনগণের রায়ে তারা বিতাড়িত হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “পটিয়া ও আশপাশের উপজেলার যেসব ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এডভোকেট আরিফুল হক তায়েফ।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. এমদাদুল বলেন, “সকল স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখে দিয়ে এই দেশকে জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ সেই সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে লড়বে।”

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা আগের যুগের ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর কথা শুনেছি, কিন্তু গতকালের ঘটনাগুলো সেই যুগকেও হার মানিয়েছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি, বর্তমানে দেখছি চাঁদাবাজদের রাজত্ব। গণঅধিকার পরিষদের কেউ চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিতে জড়িত নয়। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় সামনে থাকি।”

    তারা বলেন, “দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীকে কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যারা এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

    তারা আরও বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে কাপনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সনদ বাস্তবায়ন করতেই হবে।”

    বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি নূরের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে ‘ট্রাক’ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশের মাটি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।”

    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আবু তাহের, আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ, কামরুন নাহার ডলি, আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মিজান উদ্দিন আকাশ, লোকমান হোসেন, জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু তোহা, যুব অধিকার পরিষদের নেতা সৈয়দ প্লাবন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আকতারুজ্জামান সম্রাট, পটিয়া উপজেলা আহ্বায়ক ডা. বি. কে. দত্ত, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আরাফাত (নবাব), ছাত্র অধিকার পরিষদের গোলাম সোবহান, মো. আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসান সাকি, রায়হান আহমেদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • পঞ্চগড়ে অর্থ ও ভূমি জা-লিয়াতির অভি-যোগে  দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ৩ জন কা-রাগারে

    পঞ্চগড়ে অর্থ ও ভূমি জা-লিয়াতির অভি-যোগে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সহ ৩ জন কা-রাগারে

    পঞ্চগড়প্রতিনিধি:
    পঞ্চগড়ে মির্জা আব্দুল বাকী নামে বাংলাদেশ সচিবালয়ের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জমি দখলের চেষ্টায় জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টায় দায়ের করা মামলার আদালতে জামিন নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ঢাকা আগারগাঁও পরিবেশ ভবন শাখার অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদ। বর্তমানে তারা পঞ্চগড় জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    এদিকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) থাকায় বৃহস্পতিবার আটকের পর শুক্রবার কারাগারে গেছেন মো. দিলদার হোসেন নামে পঞ্চগড়ের এক অধ্যক্ষ।

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের কোর্ট ইন্সপেক্টর খান মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পঞ্চগড় আদালতে তারা জামিন নিতে এসে আটক হয়েছে।

    আটক ফিরোজ উদ্দিন ঢাকার ঢাকেশ্বরী রোড লালবাগ কেল্লা এলাকার মৃত হাজি মুসলিম উদ্দীনের ছেলে। শাহবুদ্দিন ঢাকার নিউ পল্টন রাখালপারা এলাকার শাহজাহান মাহমুদ ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

    ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, চক্রের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর জমি বিভিন্ন ভাবে দখলের চেষ্টা চালায় তারা। এর মাঝে ভুয়া কাগজ তৈরি করে নানা ফন্দি তৈরি করে। এর পর ভুয়া বায়নামা ও জাল এ্যাফিডেভিট তৈরি করে মির্জা আব্দুল বাকীর নামে পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এর মাঝে চক্রটি মির্জা আব্দুল বাকী’র নামে অগ্রনী ব্যাংকে ভুয়া একাউন্ট তৈরি করেন। একই সাথে অর্থ আত্মসাৎ করে ফাঁসাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় চেক পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। এর মাঝে চক্রটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিষয়টি সামনে আসে। পরে বাকী জামিন নিয়ে পঞ্চগড় আদালতে আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, জসিম উদ্দীন সহ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

    এর পর পঞ্চগড় আদালতে জামিন নিতে গিয়ে ঢাকা আগারগাঁও পরিবেশ ভবন শাখার অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদ আটক হন। এদিকে গেল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পঞ্চগড়ের বিসিক শিল্প নগরী এলাকার বিএম কলেজের এক অধ্যক্ষ মো. দিলদার হোসেন দিলুকে ঢাকার ডিবি (ডিএমপি) পুলিশের একটি টিম রাজধানীর জয়েন্ট কমিশনার এলাকা থেকে শুকবার পঞ্চগড়ে আনলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আরো জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার শাহবুদ্দিন মাহমুদের সহায়তায় ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে চক্রের সদস্যরা পঞ্চগড় থেকে শুরু করে ঠাকুরগাও, পাবনা ও বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে আসছিলেন। এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি রাজশাহী ও পিবিআই ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী অফিসারের তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমানে বেরিয়ে আসে এ তথ্য।

    এ বিষয়ে মামলার বাদি মির্জা আব্দুল বাকী বলেন, মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন ভুয়া চেক নিয়ে পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। আমার সাথে যোগাযোগ করেন তারা। তাদের একাউন্টির বিষয়ে ভুয়া বলে জানালে চেকটি বাতিল হয়। এর পর একই চেক নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় চক্রটি। যেহেতু আমার সাথে তারা প্রতারণার চেষ্টা করে তাই এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি।

    পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আশিষ কুমার শীল এশিয়ান টেলিভিশনকে বলেন প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা তাকে গ্রেফতার করি

  • বাংলাদেশ আহলেহাদিস যুবসংঘের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ আহলেহাদিস যুবসংঘের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১২ ই জুলাই শনিবার সকাল ৯টায় বার্ষিক কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহআল-গালিব।
    সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে ইসলাম-ই হোক রাষ্ট্রচেতনা! তিনি আরো বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল ইসলাম। সেই চেতনার উপরেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি যুবসমাজকে রাসূলুল্হলাহ (সা.)-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    তিনি আরও বলেন, এদেশের প্রকৃত শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কিংবা গণতন্ত্র নয়, বরং ইসলামী আদর্শভিত্তিক খেলাফতের রাজনীতিই হতে পারে একমাত্র কার্যকর ও ফলপ্রসূ পথ। এ লক্ষ্যে সকল ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামী খেলাফতের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করার জন্য তিনি জোরালো আহবান জানান।
    বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্দপাদক ড. কাবীরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার।
    এছাড়াও আহলেহাদীছ ইমাম ও ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী, আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের সভাপতি ডা. শওকত হাসান, ‘আল-‘আওন’ স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান সংস্থা’র সাধারণ স¤পাদক ড. মুখতারুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সাবেক সহ-সভাপতি ড. নূরুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম ও বিভিন্ন যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি ও প্রতিনিধিবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

  • দেশজুড়ে চাঁ-দাবাজ সন্ত্রা-সের বিরু-দ্ধে রাজারহাটে বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    দেশজুড়ে চাঁ-দাবাজ সন্ত্রা-সের বিরু-দ্ধে রাজারহাটে বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:তারিখ:১২-০৭-২০২৫ইং সন। সারাদেশে চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কর্তৃক ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।রাজারহাটের সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে শনিবার দুপুরে চাঁদবাজ,সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদী শ্লোগানে,শ্লোগানে একটি মিছিল উপজেলা শহর ঘুড়ে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজারহাট সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজাহাট উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সুজন মিয়া,বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস রাজারহাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম,ছাত্র সমাজের সাইয়াদুর রহমান,ক্ব‌ওমী ওলামা পরিষদের আব্দুল্লাহ আল মামুন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আরিফুল ইসলাম,এনসিপি কুড়িগ্রাম জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু,এনসিপি রাজারহাট উপজেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম।#(ছবি সংযুক্ত)

    এনামুল হক সরকার
    রাজারহাট,কুড়িগ্রাম।।

  • জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে কি বৈ-ষম্য থেকে যাবে?

    জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে কি বৈ-ষম্য থেকে যাবে?

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ বাংলাদেশ কোথায় ছিলো? পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিভক্ত-আলাদা করে “১৯৭১ইং সালে মু্ক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীনতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ ও ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি কেমন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাওয়া পাওয়ার হিসাব চলছে, জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য কি থেকে যাবে???
    বিশেষ করে ১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত”। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তভুর্ক্ত হইবে। ১৯৭১ সালের পর চলমান ঘটনার আড়ালে অনেক রহস্য। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। দেশে সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনসহ বেশিরভাগ মানুষ এখন সততার সাথে কাজ করছেন, সৎ ও সাহসীকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে সবাই সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে করেন অনেকেই। আপনারা জানেন যে, বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ নিয়ে আলোচনায় পরে আসি।
    বাংলাদেশের ইতিহাসঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, তথ্যসূত্র-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যার ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার, এই দেশ আপনার আমার সবার, তাই কেউ আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ আর দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত হারিয়েছেন। ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনা দেশে থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে বা পরে ৩২০০ পুলিশ সদস্য ও ৬ শতাধিক ছাত্র-জনতার অকালে মৃত্যু হয়েছেন, এখনও মানুষ নিরাপদ নয় বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।
    বিশেষ করে আপনার আমার বা আমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন হবেন-সেই জাতি ততই উন্নতির দিকে যাবেন। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ ওই কাজের দায়িত্ব সঠিকভাবে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়তো থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মন মানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুরই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না, দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। যৌবন অস্থায়ী আর মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবেন না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি সঞ্চয় করলাম তা কেউ ভাবছেন? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান।
    মানুষের জন্মের পর ধর্ম-কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন। কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি। বাংলাদেশের মানুষ আমরা আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য সচেতন মহল ও সাংবাদিকদেরকে বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে। জনগণের নাগরিক সমস্যা আছে কি-না তা সচেতন মহলকে দেখতে হয়। বাস্তবতা অনেক কঠিন, আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন? আমাদের সবার জন্য সঞ্চয় দরকার, তবে সেই সঞ্চয় অর্থ বা সম্পদ নয়। সবকিছুরই হিসাব দিতে বাধ্য হবেন সবাই, আকাশের দিকে থুথু ফেললে নিজের শরীরে পড়তে পারে তাই সাবধানে চলতে হবে। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক আর বর্তমান সময়ের পুলিশ প্রশাসন একরকম নয়। ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি যেমনই হোক দেশে ধর্ষণ বাড়ছে, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়লেও তবে হত্যার সংখ্যা কম আর রাজনৈতিক জটিলতা বাড়তে শুরু করেছে-বাকিটা ইতিহাস। দেশের মানুষ কেমন আছেন তা জাতি জানতে চায় আর সবক্ষেত্রে কি বৈষম্য দূর হয়েছে? এমন কেউ বলতে পারেন যে, বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। দেশ কারো বাবার সম্পদ নয় এই দেশ প্রায় ১৮ কোটি জনগণের, আর সেই জনগণের দুহাই দিয়ে সবাই রাজনৈতিক বক্তব্য দেন কিন্তু জনগণের চিন্তা কে করেন??।

  • ভা-রতীয় আ-ধিপত্যবাদের দাদাগিরি এদেশের ছাত্র জনতা আর মা-নবে না – কামরুল আহসান এমরুল

    ভা-রতীয় আ-ধিপত্যবাদের দাদাগিরি এদেশের ছাত্র জনতা আর মা-নবে না – কামরুল আহসান এমরুল

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন-শিবির ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে। শিবির যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে, গোটা জাতি সেই একই উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করায় ২৪শে’র ৫ আগস্টের মতো বিরাট বিজয় সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষ এখন দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজি মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত একদল সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব চায়। আর ছাত্রশিবির সেই যোগ্য নাগরিক তৈরির একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।তিনি বলেন-২০২৪ এর ছাত্র জনতা এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তাদের কোনো দাদাগিরি আর মানবে না। কেউ কালো হাত বাড়ালে এদেশের ছাত্রসমাজ সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে আর দ্বিধা করবে না।

    শুক্রবার (১১জুলাই) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগরী শাখার ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
    এসব কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন-সংগঠনটির গত ছয় মাসের কার্যক্রমের একটি বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ ও মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক অবস্থা আরো শক্তিশালী করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মীর পারফরম্যান্স তৈরী করা। যাতে করে সংগঠনের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের কাজের অগ্রগতি পরিমাপ করে এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশল তৈরি করে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ তাদের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এগিয়ে যাবে।

    ছাত্রশিবিরের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিবিরের উচিত প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার প্রতিটি বাড়ির ফ্ল্যাটে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। বর্তমান ছাত্র সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। শিবিরের সকল সদস্যকে হতে হবে জ্ঞানপিপাসু, কর্মসহিষ্ণু, ত্যাগ-কুরবানিতে অগ্রগামী, নিয়মানুবর্তী এবং সময়ানুবর্তী। তাহলেই একদিন এদেশে ইসলামের রাজ কায়েম হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রশিবিরের সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্র সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

    ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগর আয়োজিত এই
    ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।