সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অটো ও নসিমনের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্র সিয়াম (১২) নাইমুড়ি কিষান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও সলঙ্গা থানার নাইমুড়ি-চকপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে।ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের নাইমুড়ি ‘স্বপ্ন বিলাস’ কফি হাউস এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,আম কেনার জন্য দাদার সাথে অটো গাড়িতে করে সলঙ্গা বাজারে যাচ্ছিল।এমন সময় উল্লেখিত স্থানে একটি নছিমন ধাক্কা দিলে গুরুতর অবস্থায় সিয়ামকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় মারা যায়। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Blog
-
সলঙ্গায় স্কুল ছাত্র নিহ-ত
-
গৌরনদীতে কবি-সাহিত্যিকদের বর্ষাবরণ ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
গৌরনদী (বরিশাল):
বরিশালের গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত হলো কবি ও সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে বর্ষা বরণ ও মিলন মেলা। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিএমএসএফ গৌরনদী উপজেলা কার্যালয়ে চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজ ও বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতি সমাজের যৌথ আয়োজনে এ মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ, সাহিত্য আড্ডা, কথামালা, সংগীত ও পুঁথিপাঠ পরিবেশিত হয়। এতে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও উপন্যাসিকরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজ ও গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জহির।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ আগরপুর উত্তর সংস্কৃতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাকিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৌরনদী চন্দ্রদ্বীপ সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক কবি সিকদার রেজাউল করিম, প্রভাষক মোঃ মাসুদ করিম, সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ বাদশা সিকদার, হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মনতোষ দাস, কবি প্রকাশ রায়, শেখ খলিলুর রহমান, কবি শাহ আলম, আব্দুল মতিন, কবি মুশফুক শুভো, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতি সমাজের সাধারণ সম্পাদক ডা. মণীষ চন্দ্র বিশ্বাস। -
সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সং-ঘর্ষের ঘটনায় মা-মলা, গ্রেফ-তার-১
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় পৌর এলাকার আলতাফ খানের ছেলে নয়ন খান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব(বহিষ্কৃত) শেখ আব্দুর রউফের ছেলে রুদ্র বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০জনকে। এছাড়াও অপরপক্ষে পৌরসভার চর সুজানগর এলাকার রশিদ খানের স্ত্রী কাজলী খাতুন ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০জন অজ্ঞাত করে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম বাদী হয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সংঘর্ষের এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা ও অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান শনিবার জানান, মামলার ভিত্তিতে আসামীদের ধরতে অভিযান শুরু করছে পুলিশ এবং অপর অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ ঘটনা তদন্ত করতে শুক্রবার ঘটনাস্থলে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা তিন সদস্যের প্রতিনিধিরা হলেনÑরাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম ও ওবায়দুর রহমান চন্দন এবং বিএনপির তথ্য সেলের সদস্য মাহবুবুর রহমান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ছাড়াও এ সময় তারা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে তথ্য সরবরাহ করেন পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের কাছে থাকা গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করেন। অস্ত্র হাতে কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে ওসব ছবিও সংগ্রহ করেন তারা। এরপর সুজানগর থানা ও সার্কেল অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুজানগর ডাক বাংলোর অডিটোরিয়ামে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন।
পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফকালে রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম বলেন, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর পৌর শহরের নন্দিতা সিনেমা হল রোড এলাকায় বিএনপির নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। যা বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা কার্যকর করেছেন এবং ভালোভাবে তদন্ত করতে ও শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে ঘটনাস্থলে তিন সদস্যের টিম পাঠিয়েছেন। আমরা এলাকায় এসে জনগণের মতামত গ্রহণ করেছি। প্রশাসনের নিকট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জোর দাবি জানিয়েছি। অপরাধীদের কোনো ক্ষমা নেই। অপরাধী যেই হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেছি। শাস্তি কার্যকর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা যদি আদালতের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে বহিষ্কার তুলে নেওয়ার বিষয়ে দল বিবেচনা করবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য সেলের সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা তারেক রহমানের নির্দেশনায় এখানে আসছিলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য না করেন। কারও ভয়ে প্রকৃত দোষী যেন ছাড় পেয়ে না যায়। সেই বিষয়ে ওসি সাহেবকে বলেছি। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হলের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ নেতাকর্মী আহত হন।
এর পরপরই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে উপজেলা বিএনপির বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১০ জনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রউফ শেখ, ছাত্রদল নেতা শেখ কাউছার, যুবদল নেতা মনজেদ শেখ , সুজানগর পৌর বিএনপির ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর খা , সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল শেখ , পৌর যুবদল সদস্য মানিক খা , সুজানগর এনএ কলেজ শাখার সভাপতি শাকিল খা , সুজানগর পৌর ৬নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল খা , বিএনপি কর্মী লেবু খা , ও যুবদল কর্মী হালিম শেখ ।এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।। -
পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারা-গারে
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান দিলুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১১টায় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, অর্থঋণ আদালতের সিআর ৩৭১/২৩ নম্বর মামলায় দেলদার রহমান গ্রেফতারী পরোয়ানাকৃত আসামী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় পুলিশ তাকে আটক করে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে জেলা জজ কোর্টের অর্থঋণ আদালতের মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে ঢাকার ডিবি (ডিএমপি) জয়েন কমিশনার এলাকা থেকে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আশিষ কুমার শীল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অর্থঋন আদালতের চেক ডিজওনার মামলায় একটি ওয়ারেন্ট (এন.আই.এ্যাক্ট) ইস্যু ছিল এবং তিনি র্দীঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরে তার অবস্থান নির্ণয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।
-
নেছারাবাদে পনের বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত সহকারি শিক্ষক এস এস সি পরীক্ষায় পাশ মাত্র দুইজন
আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় চরম ফল বিপর্যয় হয়েছে। ১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র দুজন।বিদ্যালয়টিতে নয়জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ১৫বছর দরে অনুপস্থিত রয়েছে শাহানা বেগম, কিন্তু সরকার থেকে বেতন ঠিক মতো তুলে নিচ্ছেন মাসে একবার এসে হাজিরা দিয়ে যায় তিনি। এবছর বার শিক্ষার্থীর মধ্য মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী পাশ করায় ক্ষুদ্ধ ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শুভাকাঙ্খিরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবহেলার কারনে শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে বিষয়টি জানা যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক লাল সরকার বলেন, আমরাও মর্মাহত গতবছর ১৫ জনে ১৪জন পাশ করেছে। এবছর মূলত দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার কারনে আমরা ঠিক মতো ক্লাস নিতে পারিনায় ছাত্রীরাও ক্লাসে অনিয়মিত ছিলো।মুলত আমাদের শিক্ষকদের অবহেলার কারনে ফল বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যালয়ে সাহানা বেগম নামে এক সহকারি শিক্ষকের দীর্ঘ পনের বছর অনুপস্থিত রয়েছে।
এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো: মনির হোসেন বলেন, ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোন জবাবদিহিতা নেই। বিদ্যালয়ের সাহানা বেগম নামে এক সহকারি শিক্ষক পনের বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি অসুস্থতার কথা বলে স্বামী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রধান শিক্ষক মানিক লাল যখন খুশি তখন বিদ্যালয়ে আসেন। যে কারনে প্রতিষ্ঠানটি কোন নিয়মের ভিতরে নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: নজরুল ইসলাম বলেন, একসময় বিদ্যালয়টি খুব সুনামের সাথে চলত। ফলাফলে উপজেলায় ছিল একটি প্রতিযোগী স্কুল। প্রধান শিক্ষক মানিক লালের অদক্ষতায় বিদ্যালয়টির এমন ফল বিপর্যয়।ছাত্রীরা মোবাইল নিয়ে ব্যাস্তথাকে পড়ালেখায় অনীহা। শিক্ষকদের গাফিলতি আছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপ দিতে পারেন না সবমিলিয়ে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে কিভাবে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে তা জানতে চাব। বিদ্যালয়ে যে শিক্ষক পনের বছর ধরে অনুপস্থিত তা আমার জানা ছিলনা। আমরা শিক্ষক অভিভাবকদের নিয়ে একটা সভা করব। অনুপস্থিত ওই শিক্ষকের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানব।
আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা। -
নড়াইলের পল্লীতে ফুটবল খেলা নিয়ে সং-ঘর্ষ, একজন নিহ-ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মো-তায়েন
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে
নড়াইলের কালিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, হামলায় একজন নিহত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের কোপে জিল্লুর সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলায় কুলসুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে রাতে ওই ব্যক্তি মারা যান।
নিহত জিল্লুর সরদার উপজেলার কুলসুর গ্রামের মৃত হাসেম সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কুলশুর গ্রামের এখলাস উদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাবুপুর ও কুলসুর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালে উভয় পক্ষের খেলোয়ার ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যায় বাবুপুর দলের সমর্থকেরা কুলশুর গ্রামের জিল্লুর সরদারকে তার চাচাতো ভাই মুজিবুর সরদারের বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত জিল্লুর সরদারকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় জড়িতদেত আটকের চেষ্টা চলছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।
-
বাবুগঞ্জের পূর্ব রহমতপুরে অটোচালকদের ভাড়া নৈরা-জ্য, যাত্রীরা অতি-ষ্ঠ
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।
বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর ৯নং ওয়ার্ডের রহমতপুর ব্রিজ থেকে মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত মাত্র ২ কিলোমিটার সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাচালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ যাত্রীদের।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীরা অর্ধেক পথ নামলেও গন্তব্যে যাওয়া না যাওয়া নির্বিশেষে সম্পূর্ণ রুটের ১০ টাকা ভাড়া গুণতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্ধারিত কোনো ভাড়ার তালিকা না থাকা এবং নিয়মিত প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় অটোচালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১০ টাকা ভাড়া আদায় করা অন্যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও বয়স্কদের জন্য এটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তারা আরও অভিযোগ করেন, কেউ অর্ধেক পথেও নেমে গেলেও ভাড়া কমানো হয় না বরং জোরপূর্বক পুরো ভাড়া আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি ও একটি নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকির দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। -
রাজশাহীতে ২০ কেজি পটল বিক্রি করে মিলছে ১ কেজি কাঁচা মরিচ
রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীতে ৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৭০/ ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায়। বিক্রেতা বলছেন, সরবরাহ কমের কারণে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজশাহী নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা দেখা গেছে। নগরীর খড়খড়ি পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা পণ্য কিনে এনে নগরীতে বিক্রি করেন। এখানে গিয়ে দেখা গেছে, মরিচের সরবরাহ অনেক কম। এখানে পাঁকা লাল মরিচ বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম কম। আর কাঁচা সবুজ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজিতে।
বিক্রির জন্য এই হাটে কয়েক কেজি মরিচ আনেন পারিলা গ্রামের কৃষক মনির হোসেন। তিনি জানান, পারিলা গ্রামে তার কয়েক শতাংশ মরিচ ক্ষেতে কয়েকদিন ধরে পানি জমে আছে। খেতে নামা যাচ্ছে না। খেতের পাশ থেকে কিছু মরিচ তুলেছেন। সেগুলো বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। তিনি ৩৫০ টাকা কেজি দরে দাম চাচ্ছেন। তার আশঙ্কা, আর দুই-তিন দিন এমন বৃষ্টি হলে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এরইমধ্যে কিছু গাছ পচে গেছে। পানি নামার জায়গা নেই
নগরীর বিনোদপুর ও সাহেববাজার এলাকার কাঁচাবাজারেও মরিচের ঘাটতি নজরে পড়েছে। সেখানে মানভেদে কেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায় মরিচ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এসব এলাকার বিক্রেতারা জানান, রোদ না উঠলে দাম কমবে না। বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ী রায়হান আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ নেই বললেই চলে।এদিকে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন হাটবাজার, মুদির দোকানে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের বাজারে লেগেছে আগুন। এ আগুন যেন নিভানো যাচ্ছে না। যে কাঁচামরিচ মাত্র ৪ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে। সে কাঁচা মরিচ এখন বেড়েছে কয়েক গুণ। সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাসধারণ সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। চর আষাড়িয়াদহ থেকে কয়েকজন কৃষক পটল বিক্রি করতে এসেছেন রেলওয়ের বাজারে তারা জানান, মান ভেঁদে পটলের কেজি ১২ টাকা থেকে ১৬ টাকা। ১ কেজি কাঁচামরিচ কিনতে ২০ কেজি পটল বিক্রি করতে হচ্ছে। পটল চাষ করে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
শনিবার সকালে মহিশালবাড়ী, রেলবাজার, গোদাগাড়ী হাট, সুলতানগঞ্জ, কামারপাড়া, বালিয়াঘাটা, কাঁকনহাট, সাগরামের মোড়, রাজাবাড়ি, প্রেমতলী, গোগ্রাম, পিরিজপুর ও আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতাসাধারণ বলছেন, সিন্ডিকেট মাধ্যমে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য একটি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে মরিচ নেই। ফলে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
মহিশালবাড়ী বাজরের সবজি বিক্রেতা কালু বলেন, টানা বৃষ্টিতে মরিচ উৎপাদন কমে গেছে, মরিচের সরবরাহ খুবই কম। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগই পাঁকা মরিচ- যার দাম ২৭০ টাকা কেজি। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, , “গতকাল পর্যন্ত মরিচ ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আজকে কম মানের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা দরে। বৃষ্টি না কমলে দাম আরও বাড়তে পারে। গাছে মরিচ নেই, পানিতে গাছও মরে যাচ্ছে।”
শিবসাগর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন,
মাঠে গাছে মরিচ ভাল আছে কিন্তু কৃষক দাম পাচ্ছে না। তাঁর মরিচক্ষেতে কয়েক দিন ধরে পানি জমে আছে। সেখান থেকে কিছু মরিচ তুলেই বিক্রি করতে এনেছেন। “আর দুই-তিন দিন এভাবে থাকলে পুরো খেতটাই নষ্ট হয়ে যাবে।” দালাল শ্রেণীর মানুষ বেশী লাভবান হচ্ছে, কৃষকের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।রাজশাহী সাহেব বাজার থেকে কাঁচা মাল নিয়ে মহিশালবাড়ী, রেলওয়ে বাজারসহ সবজি ব্যবসায়ী নিকট পাইকারি বিক্রি করেন মোঃ সজিব তিনি জানান, আগে ৫০/৬০ টাকা কেজি মরিচ কিনে এনে বিক্রি করে যে লাভ করেছি এখন ৩৪০ টাকা মরিচ কিনে এনে তার অর্ধেক লাভ হচ্ছে না। আমরা যে দামে কিনবো ভ্যান, খাজনাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে সামান্য লাভ করবো। তবে কিছু দিন পরে দাম কমে যাবে।
তিনি আরও জানান আজ গোদাগাড়ীর হাটপাড়ার হাটে ৪০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করছে।
একই হাটে আড়াই কেজি মরিচ কেনেন জাব্বার নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, “বাসায় অনুষ্ঠান, মরিচ দরকার। তাই এত দাম দিয়েও কিনতে হলো।”উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কেউ মজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে কি না দেখতে হবে। কোন সিন্ডিকেট সৃষ্টি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। গোদাগাড়ীতে সবজির আবাদ কম, মূলত পবা, মোহনপুর, বাগমারায় সবজির আবাদ বেশী হয়। গোদাগাড়ির চরআষাদিয়াদহ, দেওপাড়া, গোগ্রামে সবজি, মরিচের আবাদ হয়েছে।
উপজেলায় এবার গ্রীষ্ম কালিন মরিচ ১৭৬ হেক্টর
জমিতে। আশা করি বৃষ্টি কমে আসলে মরিচের দাম কমে আসবে।উপসহকারী কৃষি অফিসার ওবাইদুল হক বলেন,
গোদাগাড়ী পৌরসভায় ১ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এসময় প্রতিবছর মরিচের দাম বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে মরিচের গাছ হলুদ হয়ে গেছে, ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি কমে আসলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, বাজারে দাম কমবে ইনসাল্লাহ। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো বিষয়টি তিনি মানতে নারাজ।মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী,রাজশাহী। -
কাঁচামরিচের যতগুণ হঠাৎ করে দাম বেড়ে ৪০০ টাকা কেজি
লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী সহ সারাদেশে ৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৭০/ ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। বিক্রেতা বলছেন, সরবরাহ কমের কারণে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। অপরদিকে পটলবিক্রি হচ্ছে পানির দামে। প্রতিকেজি পটল ১০ টাকা থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক ২০ কেজি পটল বিক্রি করে ১ কেজি কাঁচামরিচ পাচ্ছেন।
কৃষকের আশঙ্কা, আর দুই-তিন দিন এমন বৃষ্টি হলে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এরইমধ্যে কিছু গাছ পঁচে গেছে। পানি নামার জায়গা নেই অনেক জমির। পতিত হাসিনা সরকারের আমূলে কাঁচা মরিচের কেজি ১ হাজার টাকারও বেশী হয়েছিল এর জন্য মূলত দায়ী ছিল কথিত সিন্ডিকেট।কাচামরিচের যত গুনঃ কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ১০০ গ্রাম মরিচে ১২৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে । তাছাড়া মরিচে নানা রকম পুষ্টিগুন যেমনঃ ১ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৭ গ্রাম আঁশ,১০৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২ গ্রাম আমিষ, ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ মিলিগ্রাম লৌহ, ২৩৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও ২৪ গ্রাম শর্করা ইত্যাদি রয়েছে।
কাঁচা মরিচের ভেষজ গুণ ও উপকারিতা কাঁচা মরিচ এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শুধু যে খাবার সুস্বাদু করে তা নয়, এই মরিচে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিগুণ: কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, সোডিয়াম, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬, পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে থাকে।ভেষজ গুণ: নিয়মিতভাবে কাঁচা মরিচ খেলে মুখে ‘ঘা’ হয় না।
ব্যবহার: রান্না-বান্না ও মুখরোচক খাবার তৈরি ছাড়াও মরিচ বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। অনেকে মরিচের আচারও করে থাকেন।উপকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: প্রতিদিন অন্তত দু’টি কাঁচা মরিচ খেলে কোনো রোগই কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে কোনো রোগ-জীবাণুই শরীরের ক্ষতি করে উঠতে পারে না। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু ইমিউনিটি বাড়ায় না, সেইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে এবং ত্বককে সুন্দর করে তুলতেও সাহায্য করে।
হজমে কাজ করে: হজমের সমস্যায় খেতে পারেন কাঁচা মরিচ। খুব তেল-মসলার রান্নায় ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দিন। হালকা ঝাল হজমে সাহায্য করে।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: কাঁচা মরিচ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মরিচের বীজ এ কাজে খুবই কার্যকর। তাই উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগতে থাকা রোগীদের পাতে মরিচ রাখুন।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে: কাঁচা মরিচের বিভিন্ন উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না। হার্ট চাঙ্গা থাকে: নিয়মিত দু’টি করে কাঁচা মরিচ খেলে হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এতে থাকা বেশকিছু উপকারী উপাদান একদিকে যেমন রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে ফেলে, তেমনি ট্রাইগ্লিসারাইড যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয়, কোনোভাবেই যাতে ব্লাড ক্লট না হয়, তাও সুনিশ্চিত করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা যায় কমে।
সাইনাসের কষ্ট কমে: কাঁচা মরিচে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান, যা ঝাল স্বাদের জন্য দায়ী। এই ক্যাপসিসিন কিন্তু শরীরের নানাবিধ উপকারেও লাগে। যেমন- এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র মিউকাস মেমব্রেনের মধ্যে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
ক্যান্সার দূরে রাখে: কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের সব বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
স্ট্রেস কমে: মন খারাপ হলে দ্রুত একটি কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেলুন। দেখবেন মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া মাত্র এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে মন আনন্দে ভরে ওঠে।এখন বলতে ইচ্ছা করছে, সবার উপরে মরিচ দামি তাহার উপরে নাই’। সত্যিই মরিচের উপর দামি পণ্য আর যেনো কিছু নেই। টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁচা মরিচের কেজি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার বিষয়টি সবাই হতবাক করেছে। দাম বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে না অন্য কিছু। আবার কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অব্যাহতভাবে উচ্চমূখি হচ্ছে।
একবার পেঁয়াজের মূল্য ৩ শ থেকে সাড়ে ৩ শ টাকা কেজি, ডিম সিন্ডিকেট’ ‘ব্রয়লার মুরগি সিন্ডিকেট’ ‘চাল সিন্ডিকেট’, ‘সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট’ করে ওই সময় ওইসব দ্রব্যের মূল্য নিয়ে একই অবস্থা হয়েছিল।
কাঁচামরিচ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সর্বোত্রই একটি তৎপর্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্ক, মন্তব্য, মতামত, আলোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য-বক্তব্য দিচ্ছেন।
এই মন্তব্য-বক্তব্য-আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে কাঁচা মরিচ। কেউ লিখেছেন, কাঁচা মরিচের নতুন নামকরণ হচ্ছে ‘ট্রিপল সেঞ্চরী।’ কেউ লিখেছেন, বাজারে গিয়ে ‘৫০ গ্রাম দেন বললেই দোকানি কাঁচা মরিচ দেবে। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে লবনের সের ৮০ টাকা হওয়ায় তখন অনেকেই বলতেন (এক ছটাক আমু দেন; এরশাদের শাসনামলে ‘চিনি জাফর’ শব্দটি ব্যাপক ব্যবহৃত হতো), কেউ লিখেছেন কাঁচা মরিচ রসুঁই ঘরে উচ্চাসনে বসেছে, কেউ লিখেছেন, কাঁচা মরিচের ভেজসগুণ বুঝতে পেরে এতোদিনে কাঁচা মরিচের মূল্যায়ন হয়েছে, আবার কেউ লিখেছেন বিয়ে অনুষ্ঠানে এখন ‘কাঁচা মরিচ’ হতে পারে সবচেয়ে উকপারি উপহার। নানান বক্তব্য-মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ ‘ভিভিআইপি’ মর্যাদায় উঠলো কেন?
এখন কার নিয়ন্ত্রণে কাঁচা মরিচের বাজার? কোন সিন্ডিকেটের কবলে কাঁচা মরিচ চলে গেছে? এর আগেও পতিত হাসিনার আমূলে ‘ডিম সিন্ডিকেট’ ‘ব্রয়লার মুরগি সিন্ডিকেট’ ‘চাল সিন্ডিকেট’, ‘পেঁয়াজ সিন্ডিকেট’ ‘সয়াবিন তেল সিন্ডিকেট’ করে বাজার কৃতিম সংকট তৈরির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া হয়েছিল ।
ওই সময় পত্রিকা পড়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহে কাঁচা মরিচ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। রংপুরে ৮০০ টাকা, কুড়িগ্রামে ৭০০ টাকা, রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল । কাঁচা মরিচের আঁতুড় ঘর খ্যাত পাবনায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল।
ওই অবস্থায় তৎকালীন সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দাবি করা হয়েছিল আষাঢ় মাসে বৃষ্টির কারণে জমিতে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন ব্যবসায়ীদের এককই সুর। এ বাস্তবতা কি তাই বলে? ষড়ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। প্রতিবছর এই দুই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে। জমি ভেজা থাকায় মরিচের গাছের ক্ষতি হয়। তবে কোনো বছরেই বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকার বেশি হয়নি।
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি নিয়ে লতা মঙ্গেশকারের কালজীয় গান ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন/ ঝর ঝর ঝর ঝর ঝরেছে, তোমাকে আমার মনে পড়েছে’। এই দুই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় এমন গান রচিত হয়েছে। অথচ এখন তেমন বৃষ্টি হয় না। চলতি বছর বৃষ্টি খুব কম হয়েছে। আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা তার অর্ধেক পরিমাণ বৃষ্টিও হয়নি। ফলে বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বেড়েছে এটা যুক্তিতে খাটে না।
হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম হলো কেন? কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেল কাঁচা মরিচ? নাকি ডিম, ব্রয়লার, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতো সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচ সংকটের সৃষ্টি করে হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়ার ফন্দিফিকির করা হয়েছিল?
তরকারি তথা খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে লবণ-রসুন-পেঁয়াজের মতোই কাঁচা মরিচ ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রতিদিনের পান্থা ভাত, সকালের নাস্তা, পোলাও-বিরিয়নি, মাছ, গোশত, সবজি যেকোন ঝাল রান্নায় কাঁচা মরিচের ব্যবহার হয়ে থাকে। ইদানিং কুমিল্লার মাতৃভাইয়ের রসমালাইয়ের পাশাপাশি ছানার সঙ্গে কাঁচা মরিচ পিষিয়ে পেস্ট করে মিশিয়ে ঝাল রসগোল্লা বানানো হচ্ছে। রসগোল্লায় সবুজ মরিচের ব্যবহার হওয়ায় কি কাঁচা মরিচের চাহিদা বেড়ে গেছে? সেটা হলে তো শুধু কুমিল্লায় ও রাজশাহীতে দাম বাড়ার কথা। এছাড়াও কাঁচা মরিচের নাকি ওষুধিগুন আবিষ্কৃত হয়েছে।
ভেজস চিকিৎসকরা বলে থাকেন সবুজ কাঁচা মরিচে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, যা মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ঝাল স্বাদের সবজির তরকারিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদানগুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো মহিলাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে ভেজস চিকিৎসকরা দাওয়াই দিয়ে থাকেন। সে জন্যই হয়তো কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশচুম্বি। প্রশ্ন হচ্ছে দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতায় দেশের মানুষের ত্রাহি অবস্থা। সময়ে সময়ে একেকটা পণ্যে দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় ওই সব পণ্য ক্রয়ে মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। অথচ দায়িত্বশীলরা সায়দারা বক্তব্য ‘সিন্ডিকেট’ ‘সিন্ডিকেট’ আমদানি করা হবে, ইত্যাদি বলে জনগণকে ধোকা দেন। এর মধ্যেই সিন্ডিকেটের হোতারা শত শত কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে তুলে নিয়ে যান। প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আর কতদিন চলবে? কথায় আছে সিন্ডিকেটের হাত যত বড় হোক না কেন; সরকারের হাত তার চেয়ে লম্বা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের হাতের চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত লম্বা হবে কেন? বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই প্রমাণ করে। তাহলে কি জাতীয় সংসদে অন্যান্য এমপিরা যে অভিযোগ তুলেছেন সিন্ডিকেটে মন্ত্রীরা জড়িত সেটাই সত্য? দেশের ভোক্তারা কাঁচা মরিচের ভিভিআইপি মর্যাদা চায় না। চায় ক্রয় ক্ষমতার মধ্য দামের নিয়ন্ত্রণ।
কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। অধিক মুনাফালোভী, স্বার্থান্বেষী, প্রভাবশালী মহলের টনক নড়ছে না। সরকারকে মাঝে মধ্যে বেকায়দায় ফেলার জন্য একটি কুচক্রিমহল, প্রভাবশালি কসিন্ডিকেটের মধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুন্যের ইচ্ছামত দাম বৃদ্ধি করছেন। সময় থাকতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবেই।
লেখক : মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী, রাজশাহী। -
বাবুগঞ্জের রহমতপুরে রাজার খাল দ-খল দূ-ষণে পরিবেশ বি-পর্যয় প্রশাসনের হ–স্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পুরান ব্রিজের নিচে রাজার খাল বর্তমানে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের শিকার। স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা খালের পাশে প্রতিনিয়ত পচা কাঁচামাল ও আবর্জনা ফেলায় খালটি কার্যত জ্বালাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, দিনের পর দিন এই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জোয়ারের সময় এসব ময়লা পানির সঙ্গে ভেসে এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই খালের পানি এক সময় সবার কাজে লাগতো। কিন্তু এখন দুর্গন্ধ আর পচা জিনিসে ভরে গেছে। ছোট বাচ্চারা খালের ধারে যেতে পারছে না। রোগব্যাধি বাড়ছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, এভাবে খাল দখল ও দূষণ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তারা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলেও মত দেন তারা।
সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে খালের ময়লা পরিষ্কার, অবৈধ ময়লা ফেলা বন্ধ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এ বিষয়ে
প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।