Blog

  • ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আ: খালেককে মা-রপিটের  অ-ভিযোগ

    ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আ: খালেককে মা-রপিটের অ-ভিযোগ

    আঃ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদ অবৈধভাবে দখল করে কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল খালেককে মারপিট ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হাসানের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক লিখিত অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক জানান, গতকাল সোমবার সকালে গেট দিয়ে কলেজে ঢোকার সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হাসান ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ পথে বাঁধা দেয় তাকে। এ সময় অধ্যক্ষ খালেক কলেজে ঢোকার চেষ্টা করলে শামীম হাসানের পেটুয়া বাহিনী অধ্যক্ষ খালেককে শারীরিকভাবে ব্যাপক মারপিট ও নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সহ তার সহধর্মিণী ও মেয়ে আহত হন।

    অধ্যক্ষ আরোও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পর্টপরিবর্তনের পর থেকে হুমকি ও মারপিটের ভয় দেখিয়ে বেআইনী ভাবে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধ রেজুলেশনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কলেজ শিক্ষক শামীম হাসান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে ২০১৯ বিধির ৪ এর ২ এর ২ ধারা অনুযায়ী কলেজে যে সমস্ত বিষয়ের উপর ডিগ্রি কোর্স অনুমোদন পাবে, সেই সমস্ত বিষয়ের শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করতে পারবেন। তিনি এই বিধি ভঙ্গ করে অবৈধ রেজুলেশনের মাধ্যমে জোরপূর্বক দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও অবৈধ ক্ষমতা পেয়ে বিনা কারণে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভিন্ন অযুহাতে গত ১০ মাস ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের বিধি ১৭ এর খ ধারার ‘গ’ আইন মোতাবেক অবৈধভাবে বরখাস্ত করে আমাকে কলেজে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হাসান।

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হাসান এ ব্যাপারে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে তিনি জানান, বেসরকারি বিধি অনুসরণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি।

    কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট আরজ আলী জানান, কলেজে দুই অধ্যক্ষের পদ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরামর্শে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

    এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, এ ঘটনা আমি কলেজ সভাপতিকে অবহিত করেছি। খুব শীঘ্রই বিষয়টা মীমাংসা হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

  • সেনবাগে সম্পত্তিগত বিরো-ধে র-ক্তক্ষয়ী সংঘ-র্ষের ঘটনায় দো-ষীদের শা-স্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মান-ববন্ধন:

    সেনবাগে সম্পত্তিগত বিরো-ধে র-ক্তক্ষয়ী সংঘ-র্ষের ঘটনায় দো-ষীদের শা-স্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মান-ববন্ধন:

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে শালিসী বৈঠকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।১৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউপির ফকিরহাট বাজারে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য গত ১২ জুলাই বিকেলে উপজেলার বীজবাগ মোবারক আলী ব্যাপারী বাড়ীর ২০ শতাংশ জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত এক শালিসী বৈঠক গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে ফকিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক চলাকালে উভয় পক্ষের বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আজিজুল হক, আরমান,রাজুসহ ৫ জনকে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের জাবেদ ও আলাউদ্দিন গংরা।এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আজিজুল হক।সেনবাগ থানা পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু ১নং আসামি জাবেদ সহ অনেকে এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ হতে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো:
    পারভেজ,তাহের,ফকির আহাম্মদ,সোহাগ, হায়দার,বুলবুল, মোতালেব, সাইফুল ইসলাম, মো: শহিদ,সহ অনেকেই।এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,বাজার ব্যবসায়ীগন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

  • চু-রি করে নিয়ে যাবার কালে ডিম সহ চো-র আ-টক

    চু-রি করে নিয়ে যাবার কালে ডিম সহ চো-র আ-টক

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    কুমিল্লার নিউ মার্কেটের ভিতরে মেসার্স বাবুল ষ্টোর থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ডিম চুরি করে নিয়ে যায় সুমন নামের এই যুবক।

    অবশেষে গত রাতে সিসি ক্যামেরা দিয়ে ডিম চোরকে হাতে নাতে আটক করেন দোকানের মালিক বাবুল মিয়া।
    পরে নিউমার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ি সমিতির সহযোগিতায় পুলিশের কাছে তুলে দেন চোরকে।দীর্ঘ দিন যাবত একটি চক্র নিউ মার্কেট এলাকায় চক্রটি চুরি করে আসছে, কিছু দিন পূর্বে হাজী পেপের হাউজের সামনে থেকে রক্ষিত কাগজের রিম নিয়ে চলে যায় তাও সিসি ক্যামেরা ধরা পরে কিন্তু চোর ধরা পরেনি। ব্যাবসায়ীরা এবার সর্তক হয়েছে।

  • বরিশালে পৃথক অভি-যানে ২৬৫০ পিস ইয়া-বা ও জা-লনোটসহ গ্রে-প্তার ৪ মাদ-ক ব্যবসায়ী

    বরিশালে পৃথক অভি-যানে ২৬৫০ পিস ইয়া-বা ও জা-লনোটসহ গ্রে-প্তার ৪ মাদ-ক ব্যবসায়ী

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) গোয়েন্দা শাখার পৃথক অভিযানে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ২৬৫০ পিস ইয়াবা, ৬০ গ্রাম গাঁজা ও জালনোটসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

    গত ১৪ জুলাই বিকেলে নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের কালিজিরা ব্রীজের পূর্ব পাড়ে এসআই জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালায় গোয়েন্দা শাখা। এ সময় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার নূরের চালা গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন (৩৫) কে ২২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সে কালিজিরা এলাকার করিম মিয়ার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।
    অপরদিকে এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন রুপাতলী হাউজিং এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৪৫০ পিস ইয়াবা, ৬০ গ্রাম গাঁজা এবং ৩০০০ টাকার জালনোটসহ আটক করা হয় তিনজনকে। তারা হলেন – বরিশালের দক্ষিণ কড়াপুর গ্রামের ফারুক হাওলাদার, ঝালকাঠী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের শাকিল খান সেন্টু ও সদর উপজেলার হরিনা ফুলিয়া এলাকার মারুফা আক্তার।
    বিএমপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • ঢাকা ও আশুলিয়ায় মা-মলা বাণি-জ্যসহ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি

    ঢাকা ও আশুলিয়ায় মা-মলা বাণি-জ্যসহ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি

    হেলাল শেখঃ ঢাকাসহ আশুলিয়ায় বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে মামলা বাণিজ্য ও মহাসড়কে যানবাহনসহ ফুটপাতে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি। আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন বিএনপির পৃথক একটি পক্ষ। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরের কাশিমপুর, রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও শাখা রাস্তার ফুটপাতে এবং ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সাসহ ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামে বে-নামে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে একটি মহল কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া জেতে পারে বলে অনেকেই জানান। অথচ সরকার এসব সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ব্যাটারি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
    সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, আগে যেখানে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো একটি মহল সেখানেই এখন বিএপি’র নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা জেলার সাভারের আমিনবাজার-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আশলিয়ার বাইপাইল-টঙ্গী সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, ইউসুফ মার্কেট ও নরসিংহপুর-কাশিমপুরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে একাধিক লাইনম্যান প্রতিটি অটোরিক্মা থেকে ২০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে। জানা যায়, এই চাঁদাবাজির সাথে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার দালালরা কাজ করে। অনেকেই সড়কের দুইপাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছে, প্রতিদিন একটি দোকানের চকির চাঁদা ১০০ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় যানবাহন থেকে এবং ফুটপাতসহ বিভিন্ন সরকারি জমি ও রাস্তা দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজি করছে একটি মহল আবার গত সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ইং তারিখে আশুলিয়ার বাইাইলে বিএনপির একটি পক্ষ মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানররন্ধন করেছেন চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে।
    মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে অবৈধ অটোরিকসা গাড়ি-সিএনজি, মাহিন্দ্রা, তিন চাকা গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় যানবাহন থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, পুরাতন আশুলিয়া থেকে জিরাবো, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়ার ছয়তলা, ইউনিক, নবীনগর থেকে জিরানী পর্যন্ত সড়কে এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া, আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। (সূচনা, দেশ মাটিসহ বিভিন্ন পরিবহণ সেক্টর থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়)। অন্যদিকে দেখা যায়, কার আগে কে যাবে আর স্টাফদের সাথে মারামারি লেগেই থাকে, অসাবধানতায় গাড়ি চালায় ১৪-১৭ বছরের কিশোর। ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি।সাভার ও নবীনগরের ফুটপাত হকারদের থেকে দখলমুক্ত করা হলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও ফুটপাত দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন থেকে কিছু দালাল ও হাইওয়ে কিছু পুলিশ সদস্য মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সরকার নিষিদ্ধ করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতি জানতে চায়। পুলিশ ও গাড়ির মালিক সমিতি কতর্ৃক চাঁদাবাজদেরকে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০০-২৫০০/ টাকা চাঁদা দিতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন (টিআই) অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএ কতর্ৃপক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ সঠিক ভাবে করতে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ না করে অবৈধভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলছে সড়কও মহাসড়কের সর্বত্র। ফলশ্রুতিতে জনগণ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সরকার সারাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিষটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে সবিনয় বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে সক্ষম হলে বাংলাদেশের জনগণ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেশি আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে সরকার। মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা খুঁজে পাবে এবং নিরাপদ সড়ক বিনিমার্ণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়ার ছয়তলা ও সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কথা থানা পুলিশের, শুধু নবীনগরসহ কিছু এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোনো ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়ার নরসিংহপুরে মোঃ সুমন ওরফে মাহিন্দ্রা সুমন, শ্রীপুরের বাবুলসহ কয়েকজন দালাল চাঁদাবাজ কতর্ৃক তিন চাকা গাড়ি- প্রতি একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করছে, পুরাতন আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা উঠায়, তা মোটা অংকের বলে অনেকেই জানায়। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে। কিছু ফুটপাতের দোকানদার ব্যবসার আড়ালে চাঁদা উঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের অন্যদিকে সিলেট সদরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। এদিকে ভৈররের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা একদিকে যানবাহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিরপুর বিভিন্ন সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ থেকেও ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু বেড়িবাঁধ থেকেই চাঁদা নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা, কার্গো জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তৈরি করেছে ল্যান্ড ষ্টেশনও। সেখানে মালবাহী ট্রাক লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতর্ৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ল্যান্ড ষ্টেশন থাকলেও অদৃশ্য কারণে তৈরি ল্যান্ড ষ্টেশনই ব্যবহার করা হচ্ছে।
    ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত এবং ভাদাইল, ইউনিক বাজার, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া চৌরাস্তা-ছয়তলা, নরসিংহপুর, জিরাবো, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। সেই সাথে উক্ত এলাকায় গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। জানা যায়, বিভিন্ন ক্রাইম স্পট থেকে কিছু পুলিশকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা উঠিয়ে দেয় এড়িয়াভিত্তিক মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজন। সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সাভার, আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কে এবং তুরাগপাড়ের বেড়িবাঁধের রাস্তার উপরের দুপাশে বিভিন্ন দোকান, লেগুনা ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজি করে আসছে প্রভাবশালী মহল। জানা যায়, বছরের পর বছর উল্লেখ্য এলাকার মানুষজনকেএকপ্রকার জিম্মি করেই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে প্রভাবশালীরা। চাঁদাবাজ চক্রের সাথে কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে বলেও অনেকেই জানান। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড হয়ে দারুসসালাম থানা রোড ও থানার সামনে দিয়ে ছোট সরু রাস্তা থেকে কিছু দূর গেলেই তুরাগ নদীর পাড় এলাকাটির নাম ছোটদিয়াবাড়ী । তুরাগ নদীর এ পাড়ের অংশ ছোট দিয়াবাড়ী, উপরের অংশ কাউন্দিয়া। এই পারের অংশের বাম দিকে গাবতলী আর ডান দিকে বেড়িবাঁধ রাস্তা। যা আশুলিয়া ও উত্তরার দিকে চলে গেছে। তুরাগের বাঁধঘেষা ছোট দিয়াবাড়ী মোড়টিকে পুঁজি করেই চক্রটি মূলত বিশাল চাঁদাবাজির ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। দেখা যায়, বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি বেশ চওড়াই কিন্তু দুপাশে দখলের কারণে এটি ছোট হয়ে এসেছে। দুপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট বড় শত শত দোকান। দারুসসালাম রোড থেকে বাঁধে উঠার সংযোগ সড়কের দুপাশের রাস্তা দখল করে বাঁশের আড়ৎ দেওয়া হয়েছে। এককালীন লাখ টাকা, পরে ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানিরা বলেন, তারা জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন হাজি জহিরের কাছ থেকে। তারা বলেন, এককালীন হিসেবে প্রায় লাখ খানেকের মতো টাকা দিয়েছেন আর প্রতি মাসে ১০হাজারের মতো টাকা ভাড়া দেন। হাজী জহির এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, একদল গেছে, আর একদল আসছে চাঁদাবাজিও বাড়ছে।
    মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, এর আগে সড়কে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও আদালত থেকে তারা জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজি করছে। ঢাকা জেলার সাভার ট্রাফিক জোনের একজন অফিসার বলেন, আগের চেয়ে পরিবেশ অনেকটা ভালো, সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি রোডে বেশি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়, তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ তিন চাকা গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এখন থানা পুলিশ এ বিষয়ে দেখবেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় অভিযান চলমান রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা রোড ও ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে ছিনতাই এবং বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা উক্ত বিষয়টি আমলে না নিলে দলের বদনামসহ চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী। এদিকে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজির সাথে এসবের সাথে জরিতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করছেন বিএনপির একটি পক্ষ। তাহলে আসল চাঁদাবাজদের কেন আটক করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়ায় উক্ত বিষয়সহ বিভিন্ন অপরাধীদের ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নানকে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। সেই সাথে উক্ত এলাকাগুলোর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ প্রশাসন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##

  • অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ও ভে-জাল খাদ্যপণ্য তৈরি-স্বাস্থ্যঝুঁ-কিতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ

    অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ও ভে-জাল খাদ্যপণ্য তৈরি-স্বাস্থ্যঝুঁ-কিতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নকল ও ভেজাল শিশু খাদ্যসহ নানারকম খাদ্যপণ্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে বিক্রির করার অভিযোগ। বেকারী ও মিষ্টিজাত পণ্যের কারখানার মালিকরা এসব তৈরি করে বাজারজাত করছে।এসব খাদ্যপণ্যের কারখানাগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে মালিকদের দেখা পাওয়া যায় না। একদিকে শিশুদের খাবারে মেডিসিন দেওয়া হয়, অন্যদিকে ভেজাল খাদ্যপণ্য তৈরি করে বিক্রি করায় শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন।
    সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫ইং) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বেকারী ও মিষ্টির কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছে। বিশেষ করে বেশিরভাগ মানুষ সকালে চায়ের সাথে বিস্কুট, কেক, রুটিসহ নানারকম বেকারীজাত খাবার খেয়ে থাকেন। সেই সাথে অনেকের প্রিয় মিষ্টি ও মিষ্টিজাত খাবার পছন্দ করেন। এসব খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া বাসা বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসলে মেহমানদারিতে এসব খাদ্যপণ্য অন্যতম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদাও ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪ জেলা ও উপজেলায় প্রায় এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেকারী ও মিষ্টির কারখানা স্থাপন করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়।
    জানা গেছে, চট্রগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও আশুলিয়াসহ সারাদেশে এখন অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করে এসব পণ্য বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে মানুষের বিভিন্ন রোগ হচ্ছে। ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া, টুইন টাওয়ারের পাশে অবস্থিত ঢাকা বেকারী, কাঠগড়া এলাকায় হজরত শাহজালাল বেকারী, ভাই বন্ধু বেকারীতে সরেজমিনে গিয়ে মালিককে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বরিশাল, ভোলা ও চরফ্যাশন, খুলনা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, পাবনা, সুজানগর, আমিনপুর, বেড়া কাশিনাথপুর, পাবনার চাটমহর, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, তাড়াশ, বগুড়া, সোনাতলা, গাবতলী, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ি, রংপুর, দিনাজপুর, অন্যদিকে সিলেট বন্দর বাজার, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, আম্বরখানা, নয়াসড়ক, এদিকে উত্তরাসহ প্রায় সারা দেশের জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশিরভাগ বেকারী ও মিষ্টির কারখানাগুলোতে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করে তা হাট-বাজার ও দোকানে বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়।
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা সহকারি পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি ও বিক্রি করা অপরাধ, এ অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। অফিস সূত্রঃ সতর্কীকরণঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন ভোক্তা-অধিকার সমুন্নত রেখে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী প্রতিরোধের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শুধুমাত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তৎকতর্ৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকতর্ৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন, অভিযান অব্যাহত আছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।##

  • বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও মূল্যবান সম্পদ- ডিসি মুফিদুল আলম

    বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও মূল্যবান সম্পদ- ডিসি মুফিদুল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেছেন- বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে। তাতে করে মানবজাতি ও প্রাণীকুলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হবে। এছাড়াও ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে বৃক্ষরোপণ তথা বনায়নের বিকল্প নেই। তিনি বলেন-
    বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদও বটে। প্রতিটি গাছের চারা ভবিষ্যতের জন্য অর্থ, খাদ্য, এবং পরিবেশগত সুরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করে। 

    সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলা পাড়ের নবনির্মিত ইটের রাস্তা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে ও পরিবেশ রক্ষায় ওয়ার্ল্ড ভিশন
    বাংলাদেশ ও সিসিডিবির সহযোগিতায় বিলের হাতিলেইট অংশের পর্যটন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    এসময় ডিসি মুফিদুল আলম বিলের পাড়ে আনুষ্ঠানিক ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে আরো বলেন- গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা পরিবেশকে নির্মল রাখতে সহায়ক। এছাড়াও, গাছপালা ভূমি ক্ষয় রোধ করে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ায় এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম , প্রত্যেক নাগরিককে উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে দেশের জন্য কাজ করতে। প্রতিটি বৃক্ষের চারাই আগামীর সম্পদ। তাই এলাকার স্বার্থে এ গাছ রক্ষণাবেক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি)মেহেরুন্নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফুলবাড়ীয়ার এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার নম্রতা হাউই, সিসিডির ম্যানেজার পিটার সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তাহসিনুল আবরার লিছান ও শিক্ষার্থী ইমরান হাসান প্রমুখ।

  • বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেছারাবাদ কমিটিতে আও-য়ামী দোস-রদের স্থান দেয়ায় বিএনপির ক্ষো-ভ

    বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেছারাবাদ কমিটিতে আও-য়ামী দোস-রদের স্থান দেয়ায় বিএনপির ক্ষো-ভ

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    অসীম কর্মকারকে আহবায়ক ও সিদ্ধার্থ মন্ডলকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেছারাবাদ উপজেলা পূর্ণাঙ্গ আহবায় কমিটি ঘোষণা করায় বিএনপি নেতা কর্মিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তারা এই কমিটিতে আওয়ামীলীগ ও তার দোসর জাসদ এর লোক পূনর্বাসনের অভিযোগ এনে জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে অনতিবিলম্বে এই কমিটি বাতিল জানিয়েছে।

    এদিকে পূজা ফ্রন্টের পিরোজপুর জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক সুজিত সরকার সোশাল মিডিয়ায় এসে এক বার্তায় জানিয়েছেন। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে গত ১০/০৭/২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নেছারাবাদ উপজেলা একটি কমিটি প্রকাশ করা হয় ঐ কমিটি সম্পর্কে আমি অবগত নয়।

    ঐ নবগঠিত কমিটির একজন সদস্য বিধান মন্ডল বলেন, শুনেছি আমাকে সদস্য রাখা হয়েছে কিন্তু এই কমিটির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এটা একটা আওয়ামীলীগের বানানো কমিটি এই কমিটি আমরা মানিনা। সিদ্ধার্থ মন্ডল সে তো একজন বড় আওয়ামিলীগের নেতা।

    এ বিষয়ে নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব সিদ্ধার্থ বলেন, আসলে যারা কমিটিতে আসতে পারেনাই তারাই মুলত এই অভিযোগটি তুলেছেন। সম্পূর্ন গঠন তান্ত্রিক ভাবেই বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর আমি জাসদের সদস্য ছিলাম আওয়ামিলীগের না।

    ঐ কমিটির আহবায়ক অসীম কর্মকার বলেন, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহবায়ক এর উপস্থিতে এবং নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে এই আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে সুতারং এখানে কারো আপত্তি থাকার কথা না, হয়তো যারা এই কমিটিতে আসতে পারেনায় তারা কথা গুলো বলে বেড়াচ্ছেন। তবে সেদিন উপজেলার সকল মন্দিরের লোকজন উপস্থিত থাকলে ভালো হতো।

    জেলা যুগ্ন আহবায়ক সুজিত সরকার বলেন,এই কমিটিটা আসলে একটা অসাংগঠনিক কমিটি হয়েছে। আমি পিরোজপুর জেলা কমিটিকে আহবান করবো একটা সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদীর আদর্শমনা লোক এই সংগঠনে আসুক কোন আওয়ামিলীগ বা তাদের দোসররা এই কমিটিতে না আসতে পারে সেজন্য এই কমিটি বিলুপ্তি করে সম্মেলনের মাধ্যমে একটা কমিটি উপহার দেউক।

    পিরোজপুর জেলা পূজা ফ্রন্ট এর সভাপতি দীলিপ কুমার মিস্ত্রী বলেন, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটা আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। আবার এই কমিটি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবে এর পর সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে।সুতারং এখানে রাগ বা ক্ষোভের কিছু দেখছি না। আমরাও চাই সম্মেলনের মাধ্যমে যখন উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে তখন জাতীয়তাবাদী আদর্শের লোকগিলো কমিটিতে আসুক।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

  • একটানা বৃষ্টিতে পাইকগাছা পৌরসদর পানিতে নিম-জ্জিত

    একটানা বৃষ্টিতে পাইকগাছা পৌরসদর পানিতে নিম-জ্জিত

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    নিম্নচাপের প্রভাবে এক টানা প্রবল বৃস্টিতে পাইকগাছা পৌর বাজারের স্বর্ণ পট্টি তলিয়ে গেছে। আষাঢ় মাসের শুরু থেকে একটানা গুড়ি গুড়ি, হালকা ও ভারি বৃষ্টি লেগে আছে। মাঝে একদিন গত শনিবার বৃস্টি হয়নি ছিলো কড়া রোদ। তবে রবিবার ও সোমবার ভারী বৃস্টিতে পাইকগাছা পৌরবাজার, কৃষি অফিস ও আদালত চত্তর, বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে আবারও প্লাবিত হয়েছে। বাজারের পাশ ঘেষে শিবসা নদী ভরাট হয়ে পড়ায় পানি নিঃস্কাশন ঠিকমত হয় না। আবার বৃস্টির সাথে জোয়ারের পানি ওঠার কারণে বাজার তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে বাজারের ব্যবসায়ীরা।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা বাজারের মধ্যে দিয়ে পৌরসভার ড্রেন গিয়ে মিশেছে শিবসা নদীর সাথে। পৌর বাজারের বৃস্টির পানি যেয়ে শিবসা নদীতে পড়ে। আবার ভারি জোয়ারের সময় উক্ত ড্রেন দিয়ে পৌর অভ্যান্তরে প্রবেশ করে।রবিবার ও সোমবার সকালের মূষলধারে বৃস্টিতে স্বর্ণ পট্টি, কাচাবাজার, মাংস ও খুচরা মাছ বাজার, কাঁকড়া ডিপো মার্কেট, কর্মকার পট্টিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস ও আদালত চত্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।এবছর বর্ষকালের শুরু আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে একটানা গুড়ি গুড়ি, হালকা ও ভারি বৃষ্টি লেগে আছে। কয়েক দিনের মধ্যে কয়েকবার একটানা ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমন ধানের বীজ তলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য লীজ ঘের, নার্সারী, পুকুর, বাগান, রাস্তা ও বসতবাড়ী তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আর বাড়ছে জনদূর্ভোগ।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • সাড়ে ৫শ’ বছর পূর্বে পাইকগাছার কপিলমুনিতে আসেন  পীর হযরত জাফর আউলিয়া (রহঃ)

    সাড়ে ৫শ’ বছর পূর্বে পাইকগাছার কপিলমুনিতে আসেন পীর হযরত জাফর আউলিয়া (রহঃ)

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা ) ।।

    সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার দক্ষিণ জনপদে ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রচারক হযরত পীর জাফর আউলিয়া (রহঃ) প্রায় সাড়ে ৫ শ’ বছর পূর্বে কপিলমুনিতে আসেন। তবে জাফর আউলিয়া ঠিক কবে কপিলমুনিতে আসেন তার সঠিক সময় জানা না গেলেও তিনি ছিলেন, হযরত খাজা খান জাহান আলীর শিষ্য। কথিত আছে, সাধক পীর কপিলমুনিতে অবস্থানকালীণ নিজ সাধনা আশ্রমেই মৃত্যু বরণ করেন এবং সেখানেই তাঁর সমাধি ও পরবর্তীকালে মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়।

    কথিত আছে, তাঁর কপিলমুনি আগমনের সময় কপিলমুনি অঞ্চল ছিল ঘণ অরণ্যে ভরা। ইসলাম ধর্ম প্রচার ও বিশ্বাস আনতে কপোতাক্ষ তীরবর্তী বর্তমান সমাধিস্থলে নিজ আশ্রম গড়ে তোলেন। ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি তিনি বহু অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়ে তৎকালীণ সময়ে একের পর এক চাঞ্চল্যের জন্ম দিলে অল্প সময়েই তার প্রতি বিশ্বাস ও বহু শিষ্য তৈরি হয়। মৃত্যুর পর তার সমাধিকে ঘিরে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সন্ধ্যা প্রদীপ প্রজ্জলনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যায় মানতসহ শুভ কাজের শুরুতে তার মাজার জিয়ারত করেন।

    হযরত পীর জাফর আউলিয়া’র মাজার এর উত্তর পাশে কপিলমুনির আরেক প্রাণ পূরুষ রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু গড়ে তোলেন ভরত চন্দ্র হাসপাতাল, পশ্চিমে কপিলমুনি বাজার (বিনোদগঞ্জ), পূর্বে জাফর আউলিয়া মাদ্রাসা, উত্তর-পশ্চিম কোনে কপিলেশ্বরী কালী বাড়ি (মতান্তরে সিদ্ধেশ্বরী), আর উল্লিখিত সীমানার মধ্য ভাগেই অবস্থিত পীর জাফর আউলিয়া (রহঃ) এর মাজার।

    খুলনা জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত জাফর আউলিয়ার মাজার। কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। মাত্র কয়েক গজ ব্যাসের মধ্যে কপিলেশ্বরী কালী মন্দির, সার্ব্বজনীন পূজা মন্ডপ, কপিলেশ্বমুনির আশ্রম, দু’টি মসজিদ, জাফর আউলিয়া মাদ্রাসা, রামকৃষ্ণ মন্দির, বেদ মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধর্মের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় অবস্থানেও কারো কোন দিন কোন প্রকার ক্ষতি কিংবা সম্প্রীতি ভঙ্গের কারণ হয়নি। তাই আরেক অর্থে কপিলমুনিকে বলা হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জনপদ।

    তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, হযরত খানজাহান আলী (রাঃ) ১৪৫৯ খৃষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর, ৮৬৩ হিজরী ২৬ জিলহাজ্জ্ব) (মাজারশরীফের শিলালিপি অনুযায়ী) ষাট গম্বুজ মসজিদের দরবার গৃহে এশার নামাজ রত অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

    এর আগে হযরত উলুঘ খানজাহান আলী (রাঃ) ১৩৬৯ খ্রিস্টব্দে দিল্লীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আকবর খাঁ এবং মাতার নাম আম্বিয়া বিবি। খানজাহান আলীর প্রাথমিক শিক্ষা তার পিতার কাছে শুরু হলেও তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন দিল্লীস্থ বিখ্যাত ওয়ালি এ কামিল পীর শাহ নেয়ামত উল্লাহর কাছে। তিনি কুরআন, হাদীস, সুন্নাহ ও ফিকহ শাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞানার্জন করেন।

    খানজাহান আলী ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক সেনা বাহিনীতে সেনাপতির পদে কর্ম জীবন আরম্ভ করেন। এরপর অল্প দিনেই প্রধান সেনাপতি পদে উন্নীত হন। ১৩৯৪ খৃষ্টাব্দে মাত্র ২৬/২৭ বছর বয়সে তিনি জৈনপুর প্রদেশের জাবিতান (গভর্ণর) পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সুলতান খানজাহানের নেতৃত্বে ৬০,০০০ সুশিক্ষিত অগ্রবর্তী সেনাদলসহ আরও দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে বাংলা আক্রমণ করলে রাজা গণেশ দিনাজপুরের ভাতুরিয়াতেতে আশ্রয় নেন। ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে খানজাহান যশোরের বার বাজারে অবস্থান নেন এবং বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে কার্যক্রম শুরু করেন।

    এখানে উল্লেখ্য যে, হযরত খানজাহান আলীর মৃত্যু হয় প্রায় ৫৬৫ বছর আগে। আর হযরত জাফর আউলিয়া খানজাহান আলীর শিষ্য হলে তিনিও প্রায় সাড়ে ৫শ’ বছর আগে কপিলমুনিতে আসেন ইসলাম প্রচারের জন্য।

    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন জাফর আউলিয়ার মাজারটি ছিল অবহেলিত। ১৯৬৯ সালের দিকে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার প্রয়াত শেখ রাজ্জাক আলী তৎকালীণ প্রায় ৮শ’ টাকা খরচ করে মাজারটির সংস্কার ও পর্যায়ক্রমে কয়েক দফায় সরকারি ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে দর্শনীয় পর্যায়ে রুপায়ন করেন। ১৯৫৮ সালে পীরের নামানুসারে স্থানীয় কতিপয় প্রগতিশীল ও শিক্ষানুরাগী মানুষ প্রতিষ্ঠা করেন, জাফর আউলিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। সাবেক স্পীকার প্রয়াত শেখ রাজ্জাক আলী নিজ ১০ লক্ষ টাকা অর্থায়নে মাজার প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করেন, জাফর আউলিয়া জামে মসজিদ।

    সেই শ্মরণাতীত কাল থেকে অদ্যাবধি প্রতিদিন পিরের মাজারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আসে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সব ধরনের ধর্মাবলম্বীরা মানতসহ ও শিরনি নিয়ে আসেন করুণা প্রত্যাশায়। কপিলমুনির কপোতাক্ষ তীরে আরেক সনাতনী সাধক পুরুষ কপিলেশ্বর মুনির (কপিলদের) সিদ্ধীলাভের ক্ষণ প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে কপোতাক্ষের কালীবাড়ি ঘাটে গঙ্গাস্নান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বারুণী মেলাও বসে জাফর আউলিয়া মাজার চত্ত্বরে। কপিলমুনি-কাঠামারী সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামানুসারে ‘জাফর আউলিয়া সড়ক’। পীরজাফর আউলিয়াকে (রহঃ) ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনী।

    কথিত আছে, একদিন তিনি তাঁর অন্যতম শিষ্য ছালাওয়ালা ফকিরসহ দুর্গম এলাকায় যান। সেখানে কিছুদিন অবস্থানকালে জনৈকা বৃদ্ধা তাকে নিজ গরুর ধুধ দিতেন পান করার জন্য। আকষ্মিক একদিন বৃদ্ধার গাভীটি মারা যাওয়ার কারণে দুধ দিতে পারেননি। তবে যথারীতি পীরের শিষ্য ছালাওয়ালা যান বৃদ্ধার বাড়িতে দুধ আনতে। সেখানে গিয়ে বৃদ্ধার গরু মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে পড়েন। দুধ না হলে হুজুর কি খাবেন? এমতাবস্থায় তিনি বৃদ্ধার কাছ থেকে জেনে নেন মরা গাভীটির কোথায় ফেলা হয়েছে। এরপর ছালাওয়ালা ফকির মরা গাভীটি লেজ ধরে টেনে বলেন, এই গাভী ওঠ। এসময় মরা গাভী উঠে দাঁড়ালে তার থেকে দুধ নিয়ে ফকির খাওয়ান পীর জাফর আউলিয়াকে। বিষয়টি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে পীর কেবলা অবগত হয়ে ছালাওয়ালাকে ধমকে বলেন, ‘তুই আমাকে মরা গরুর দুধ খাওয়াবি’। সঙ্গে সঙ্গে এহেন অপরাধে অন্য শিষ্যরা ছালাওয়ালাকে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়। পুরো এলাকায় কানাঘুষা শুরু হয়, পীর কেবলা তার এক শিষ্যকে বস্তাবন্দি করে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছে’। হুজুর অলৌকিক শক্তি বলে সম্ভবত তিনি চমক দেওয়ার জন্যই ওই এলাকা ত্যাগ করে কপিলমুনি ফিরে আসেন এবং শিষ্যদের নিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে তিনি স্থায়ী স্থান তৈরি করেন। তিনি ইসলাম প্রচার কর্মকান্ডের সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাত্মিক বলে মানুষের খেদমত শুরু করেন। নদীভাঙ্গন, খালের বাঁধ, বনে বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে তদবির দিতেন। এ ধরনের অসংখ্য অলৌকিকতার দৃষ্টান্ত জনপদে আজও কথিত আছে।

    মাজারে আসা ভক্তরা বলেন, ‘তারা পূর্ব পূরুষ ধরে পীরের মাজারে আসেন। পীরের দোয়া, আশীর্বাদ, ধুলিমাটিতে এখনো আশান হয় তাদের যাবতীয় মুশকিলসহ মনোবাসনা পূরণ হয়’।

    মাজারের বংশ পরম্পরার খাদেম ইউনুস ফকির জানান ‘আমরা বংশানুক্রমিকভাবে সেই স্মরণাতীতকাল থেকে মাজারের খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। মাজারে আগত ভক্তদের দানিও পণ্য তারা সেবা হিসেবে গ্রহণ করেন। প্রতিবছর পৌষ এবং বৈশাখ মাসে আশপাশের কয়েকটি থানার ভক্তবৃন্দের বাড়ি থেকে তারা খাদ্যশস্য ফল-ফলাদী, শাকসবজি এমনকি নগদ অর্থ উপহার হিসেবে সংগ্রহে যান। মাজারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পাঁচটি ফকির পরিবার এই উপঢেীকন সামগ্রী গ্রহণ করেন।

    এলাকাবাসীর দাবি, পীর জাফর আউলিয়ার মাজারটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় নিয়ে দেখভাল করা হোক। জেলার ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব স্থান হিসেবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে অকুকূল পরিবেশ জরুরী। এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।