Blog

  • পঞ্চগড়ে সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী স্মরণে দো-য়া ও আ-লোচনা সভা

    পঞ্চগড়ে সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী স্মরণে দো-য়া ও আ-লোচনা সভা

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজের প্রয়াত সভাপতি মরহুম সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পঞ্চগড়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

    বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় মিডিয়া হাউজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পঞ্চগড় সাংবাদিক ইউনিয়ন- পিইউজে।

    বাংলাভিশনের সাংবাদিক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রাইজিংবিডির আবু নাঈমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পঞ্চগড় পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনিক।

    অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ বেতার ও দেশ রূপান্তরের শহীদুল ইসলাম শহীদ, এখন টিভি ও কালেরকণ্ঠের লুৎফর রহমান, দৈনিক জনবানীর কামরুল ইসলাম কামু। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তারা সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, রুহুল আমীন গাজী ছিলেন একজন প্রতীথযশা সাংবাদিক। তিনি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেও নেতৃত্ব দিয়ে জেল জুলুমেরও শিকার হয়েছেন। তিনি আমৃত্যু অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। তার আদর্শ পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

    প্রয়াত রুহুল আমিন গাজীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নয়াদিগন্তের সাংবাদিক মাওলানা শেখ ফরিদ।

  • ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রে-ষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হলেন কাজী আখতার উল আলম

    ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রে-ষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হলেন কাজী আখতার উল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ​পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। এই সম্মাননা তাঁর কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

    ​ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের হাতে এই কৃতিত্বের পুরস্কার তুলে দেন রেঞ্জের ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া। এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় যে, ময়মনসিংহ জেলায় অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর ভূমিকা ছিল excepcional।

    ​পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কাজী আখতার উল আলম ময়মনসিংহ জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে বিশেষ নজর দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার ফলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে। তিনি থানায় আগত সাধারণ মানুষের প্রতি পুলিশের আচরণ উন্নত করার ওপরও জোর দেন, যা জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

    ​এই সম্মাননা প্রাপ্তির পর পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম তাঁর অধীনস্থ সকল পুলিশ সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই অর্জন কেবল আমার একার নয়, এটি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না। আমরা ভবিষ্যতেও জনগণের সেবায় আরও বেশি নিবেদিত থাকব এবং একটি নিরাপদ ময়মনসিংহ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাব।

    জেলা পুলিশ সুত্র জানিয়েছে – জেলা পুলিশ সুপার ​কাজী আখতার উল আলমের এই স্বীকৃতি কেবল ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের জন্যই নয়, বরং গোটা পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি অনুপ্রেরণা। এটি প্রমাণ করে যে, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা একজন কর্মকর্তাকে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তাঁর এই সাফল্য ভবিষ্যতে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়।

    জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, পুরষ্কার ও শ্রেষ্ঠত্বের উপাধি সবসময় দায়িত্ববোধকে বাড়ায় এবং জনসাধারণকে সেবামূলক কর্মকান্ডে আরও উৎসাহ বৃদ্ধি করে। এ পুরষ্কার ময়মনসিংহ জেলার সকল সহকর্মীদের অবদান। আমার এ পুরষ্কার আমি জেলাবাসীকে উৎসর্গ করছি। সকলের সগযোগীতায় জেলাবাসীকে সেবা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে চাই।

  • কুমিল্লাতে লাউ চাষে সফল দুই গ্রামের তিন কৃষক

    কুমিল্লাতে লাউ চাষে সফল দুই গ্রামের তিন কৃষক

    তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    বসত বাড়ির সামনে তিন কৃষকের ভিন্ন ভিন্ন তিন খন্ডে বিভক্ত মোট ১ একর জমি, তাও আবার উচুনিচু পরিত্যক্ত জায়গা, এগুলোতে প্রথমবারের মতো হাজারী জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন ফারুক মিয়া , সাইফুল ইসলাম , দুলাল মিয়া নামে তিন কৃষক।
    প্রান্তিক কৃষকদের সফলতার হাসি যেন তিন পরিবারের মাঝে ছড়িয়েছে। এই সফলতার হাসি যেন দুগ্রামের জনসাধারণের মধ্যে ও ছড়িয়ে পড়ছে এমনটাই কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়।

    কৃষকদের মধ্যে ফারুকের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর দঃ পাড়ায়,পিতা আঃ আজিজ মিয়া, বাকিরা পাশের গ্রাম জঙ্গল বাড়ির পূর্ব পাড়াতে। সাইফুল ইসলাম ও দুলাল মিয়া,
    ৪০শতকে সাইফুল ইসলাম আর বাকি ৪০ শতকে দুলাল মিয়া লাউ চাষ করেন। এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন কালিকাপুরের দক্ষিণ পাড়াতে ২০ শতক জমিতে ফারুক মিয়া লাউ চাষে সফলতা অর্জন করেছে তার সাথে সাথে একই পদ্ধতিতে পাশের গ্রামের সাইফুল, দুলাল মিয়াও একই ভাবে লাউ চাষে সফল হয়েছে।

    লাউ চাষে তাদের মোট খরচ হয়েছে মাত্র ৬০/৭০ হাজার টাকা। প্রথম বিক্রিতে হাতে এসেছে ৬৫ হাজার টাকা। এবিষয়ে কালিকাপুরের দঃপাড়ার কৃষক ফারুক মিয়া জানান

    প্রথম দিনে বিক্রি করেছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা।
    তার জমির পরিমান ২০ শতক, তার মোট খরচ ৮/৯ হাজার টাকা।
    আরও ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

    খরচ বাদে তার সম্ভাব্য লাভের পরিমাণ প্রতি শতাংশে প্রায় ২ হাজার টাকা হতে পারে শেষ পর্যন্ত যদি গাছ গুলো বেচে থাকে, লাউ গাছে লস নেই, আগা ডগাও বিক্রি করে আয় করা সম্ভব । কম খরচ ও অল্প সময়ে এমন লাভের হিসাব দেখে লাউ চাষে আগ্রহ বাড়ছে গ্রামের স্থানীয় কৃষকদের।

    ফারুক লাউ চাষের পাশাপাশি লম্বা বেগুন,শশা, চালকুমড়া, জিঙ্গে চাষ করেছেন এবছর। এছাড়া সফল ধান ও বেন্ডি চাষি হিসেবেও কৃষক ময়দানের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে ফারুক মিয়ার।এছাড়া তার বিশস্ত লোক জাহাঙ্গীরের সুনাম রয়েছে বেগুন চাষের জন্যে।

    এবার মাত্র দুই মাসের মধ্যে লাউ চাষে অভাবনীয় লাভ পেয়ে খুশি হয়েছেন তিনি।

    উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা আফরিন আক্তার বলেন
    বর্তমানে আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু নিরাপদ ফসল উৎপাদনে কৃষকরা পিছিয়ে আছে। আমারা কৃষক দের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করি,কৃষকরা যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে।
    এবিষয়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ তানজিনা আক্তার জানায়, হাজারী লাউ একটি উচ্চ ফলনশীন লাউ জাত। এ জাতের লাউ রোপণের ৫ থেকে ৭ দিনে চারা হয় এবং ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল ধরে। এ ছাড়া ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই বাজারজাত করা যায়।

    এ লাউ দেখতে সুন্দর ও তরতাজা, খেতেও সুস্বাদু। এ ছাড়া বাজারে চাহিদা ও ফলন বেশি হওয়ায় এ লাউ চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।গতকাল
    বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক ফারুক মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পূর্ব দিকে সবজি বাগানের মাচায় ঝুলছে লম্বা সবুজ রঙের হাজারী জাতের অসংখ্য লাউ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু লাউ আর লাউ। বাগানের এসব ঝুলন্ত সবুজ কচি লাউ দেখলে যে কোনো মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়।

    কৃষক ফারুক আরো বলেন এ সবজি বাগানে জৈব সারের সাথে সামান্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। এজন্য বিষমুক্ত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব ময়দানের সবজি বাগানের লাউ খেতে যেমন সুস্বাদু, বাজারেও এ সবজির চাহিদা বেশি।

    প্রতিবেশী পল্লী চিকিৎসক শরিফুর রহমান জানান, বাড়ির সামনে আনুমানিক ২০ শতাংশ জায়গা সারাবছর পরিত্যক্ত থাকে কখনো কখনো ফারুক মিয়া কৃষি অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে অনেক বার লাউ চাষ করেছে কিন্তু এবার নিজের সিন্ধান্তেই শুরু করে বেশ সফল হয়েছে। এ বিষয়ে ফারুক মিয়া আরো বলেন হাজারী লাউ বীজ সংগ্রহ করে গত শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহে রোপণ করেছিলাম। দুই মাস পরিচর্যা করার পর আমার সবজি বাগানে অসংখ্য লাউ আসে। আজ থেকে সপ্তাহ আগে থেকেই লাউ বাজারজাত করা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ১০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি।

    ওজন ভেদে প্রতিটি লাউ খুচরা ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এলাকার বাজারের চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লা শহরে যাচ্ছে।

  • ধর্ম-বর্ণ নি-র্বিশেষে বাংলাদেশ সবার ..জামাত নেতা .কাজী দ্বীন মোহাম্মদ

    ধর্ম-বর্ণ নি-র্বিশেষে বাংলাদেশ সবার ..জামাত নেতা .কাজী দ্বীন মোহাম্মদ

    তরিকুল ইসলাম তরুন,
    কুমিল্লা-৬ (সদর-সদর দক্ষিণ) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুমিল্লা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেছেন,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশ সবার। মুসলমানদের মতো অন্য ধর্মের ভাইয়েরাও যেন সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে।
    বাংলাদেশের ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। শত শত বছর ধরে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার এই চেতনা ধারণ করেই শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠন করতে হবে।তারা আরও বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় সহনশীলতা,মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।তাহলেই সমৃদ্ধ,শান্তিপূর্ণ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

    বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা ২ নং উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়ন আড়াইওরা নমুসতপাড়া আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
    মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা মহানগরীর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক এ. কে. এম. এমদাদুল হক মামুন।সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ,যুব বিভাগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম পাটোয়ারী,জামায়াত নেতা আবুল কাশেষ শামিম।

  • বিএনপির ৩১ দফা বা-স্তবায়নে সাতবাড়িয়ায় রাশেদ খানের নেতৃ-ত্বে লি-ফলেট বিতরণ

    বিএনপির ৩১ দফা বা-স্তবায়নে সাতবাড়িয়ায় রাশেদ খানের নেতৃ-ত্বে লি-ফলেট বিতরণ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এ, কে, এম সেলিম হাবিবের নির্দেশনা মোতাবেক পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের শ্যামনগর,ভাটপাড়া, গুপিনপুরসহ বিভিন্ন এলাকা, স্থানীয় হাট-বাজারসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সুজানগর উপজেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক, সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাশেদ খানের নেতৃত্বে বুধবার এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করা হয় ভোটারদের কাছে। লিফলেট বিতরণকালে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাশেদ খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার, জাতীয় সমন্বয় কমিশন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুসহ জনগণের আকাঙ্খা পূরণে ৩১ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। সেই দাবি সবার মধ্যে পৌঁছে দেয়া দরকার। তাই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এ, কে, এম সেলিম হাবিবের নির্দেশনা মোতাবেক সেই দাবি সবার কাছে পৌঁছে দেবার পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর পাবনা প্রতিনিধি।

  • জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নি-র্বাচিত হলেন সোলাইমান

    জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নি-র্বাচিত হলেন সোলাইমান

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম পাথরঘাটাস্থ সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে আদর্শ মাছ চাষি সোলাইমান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ছিলেন। সভাপতি পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে সোলাইমান ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য শামছুল আলম ১৩ ভোট এবং গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য অশোক কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ১ ভোট। মোট ৪১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সহ-সভাপতির একটি ও সদস্য পদের দুটি পদে বৈধ প্রার্থী না থাকায় এসব পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া সদস্য এলাকা ২ সদস্য এ শরীফ উল্লাহ সরকার, সদস্য এলাকা ৩ এ আমিনুল হক মোল্লা, সদস্য এলাকা ৪ এ শহিদুল ইসলাম এবং সদস্য এলাকা ৫ এ রবিন মণ্ডল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচন পরিচালনা করেন জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা (উপনিবন্ধক, বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়, চট্টগ্রাম)। কমিশনের সদস্য ছিলেন, শফিউল আলম (উপজেলা সমবায় অফিসার, পটিয়া, চট্টগ্রাম) ও কানিজ ফাতেমা (উপ-নিবন্ধক, বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় চট্টগ্রাম)। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কমিশন জানায়, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্বাচিতরা সমবায়ীদের স্বার্থে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
    বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি পদে সোলাইমান নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব, রাজশাহী মৎস্যজীবী সমিতি এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) রাজশাহী মহানগর। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, সোলাইমানের এই বিজয় মৎস্যজীবীদের অধিকার রক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং তিনি সমবায় খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।#

  • ধামইরহাটে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উ-দ্বোধন

    ধামইরহাটে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উ-দ্বোধন

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ ধামইরহাটে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ১১ টায় পৌরসভার নিমতলী মোড়ে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এবং ধামইরহাট-পত্নীতলা আসনের এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধামইরহাট উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং ধামইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান, পৌর মেয়র প্রার্থী আবু সাইদ সিদ্দীকী, ধামইরহাট ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের সভাপতি আঃ কাহার সিদ্দিকী মনিপুরি প্রমূখ। এমপি প্রার্থী ইঞ্জিঃ এনামুল হক বলেন,” কেন্দ্রিয় কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় আমরা সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছি। এবং সকল ধর্মের মানুষের জন্য সদস্য হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত। ”

    আবুল বয়ান
    ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।

  • ১৪৪ টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা- পাইকগাছায় চলছে শেষ মুহূ-র্তের প্র-স্তুতি

    ১৪৪ টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা- পাইকগাছায় চলছে শেষ মুহূ-র্তের প্র-স্তুতি

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    পাইকগাছায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে এখন চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। নগর থেকে গ্রাম সর্বত্র উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিমা তৈরি শেষে এখন সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজক কমিটি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এবং দুই অক্টোবর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।এ উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে চলছে নান সাজসজ্জা। মৃৎশিল্পীরাও দিন-রাত প্রতিমাসাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রং-তুলি আর অলঙ্করণে প্রতিমার সূক্ষ্ম শিল্পকর্মে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার অপরূপ রূপ।আয়োজকরা জানিয়েছেন,উপজেলায় ১৪৪টি মন্দিরে সর্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। পাইকগাছা এলাকায় পূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়ানের ভোলানাথ সুখদা সুন্দরি সর্বজনীন পুজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন কারিগর সাধন সরকার। তিনি বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এখন সাজসজ্জার কাজ চলছে।পাইকগাছা পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুরাম মণ্ডল জানান, পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৪৪টি মন্দিরে সর্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভায় ৬টি, হরিঢালীতে ১৭টি, কপিলমুনিতে ১৭টি, লতায় ১২টি, দেলুটিতে ১৩টি, সোলাদানায় ১০টি, লস্করে ১৭টি, গদাইপুরে ৭টি, রাডুলীতে ১৯টি, চাঁদখালীতে ১৫টি ও গড়ইখালীতে ১১টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবছর দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা, সার্বক্ষণিক আনসারসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা খুলনা।

  • র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে ৪৯৭০ পিস ই-য়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন মা-দক ব্য-বসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে ৪৯৭০ পিস ই-য়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন মা-দক ব্য-বসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে কামারখন্দ থানা এলাকা হতে ৪৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয় এর দিকনির্দেশনায় গত ২৩ মেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ,দুপুর ১২.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানাধীন ভারাঙ্গা সাকিনস্থ জনৈক মৃত কামরুল ইসলাম এর বাড়ীর সামনে কড্ডা টু জামতৈল পাঁকা রাস্তার ভ্যানের উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন এবং নগদ-৫৬৮০/- টাকা জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ আব্দুর রহিম @ সুইট (৩৭), পিতা- মোঃ কামরুজ্জামান, সাং-কানসোনা, পোস্ট-সলপ, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা- সিরাজগঞ্জ।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানা ও তার আশপাশ এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • রংপুরে দো-ষীদের গ্রে-প্তারের দা-বিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘে-রাও করে সাংবাদিকদের বিক্ষো-ভ

    রংপুরে দো-ষীদের গ্রে-প্তারের দা-বিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘে-রাও করে সাংবাদিকদের বিক্ষো-ভ

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের হেনস্তা করার জন্য রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    এ সময় সাংবাদিক নেতারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে এই আলটিমেটাম দেন তাঁরা। পরে বেলা দেড়টার দিকে বিক্ষোভ শেষে পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

    বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের অটোরিকশা লাইসেন্স-বাণিজ্যে পাঁচ কোটি টাকার দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিক বাদল হামলার শিকার হয়েছেন। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর লাইসেন্স বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি চক্র গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর কাচারি কোর্ট মসজিদের সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে বাদলকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। তারা তাঁকে হত্যাচেষ্টাও চালায় এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর কক্ষে আটকে রেখে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ হামলায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে রকি নামের এক যুবকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অংশ নেয়।
    অপহরণ, মারধর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত রোববার রাতে সাংবাদিক বাদল বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

    পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি রতন মিয়াকে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ছয় নম্বর আসামি রকিবুল হাসান সাগরকে গ্রেপ্তার করে।

    সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল অভিযোগ করেন, পুলিশ মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার না করলে হয়তো আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে হত্যা করা হতো। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ শুধু পাঁচ ও ছয় নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি চাই, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’

    সাংবাদিক নেতারা জানান, হামলাকারীরা উল্টো থানায় গিয়ে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা সিটি করপোরেশনে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে, ফেসবুকে লাইভ করছে এবং মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের নামে বিষোদগার করছে ও হুমকি দিচ্ছে। এতে সাংবাদিক সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

    রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। যদি মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
    রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন পরও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।’

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, ‘লিয়াকত আলী বাদল উত্তরবঙ্গের নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি রিপোর্ট করেছিলেন। তাঁকে সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে, সেই অফিসের কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কিন্তু যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’

    পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সাংবাদিক যদি সংবাদ পরিবেশনের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হন, তাহলে জনগণ কীভাবে খবর পাবে? এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

    পুলিশ কমিশনার অটোরিকশার লাইসেন্স দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেখানে ৫ হাজার অটোরিকশার ধারণক্ষমতা, সেখানে ৫০ হাজার অটোরিকশা চলে। লিয়াকত আলী বাদল যে সংবাদটি করেছেন, তিনি তো আমার কথাই বলেছেন। এর পেছনে যদি কোনো আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে সেই অফিস কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সংবাদটি প্রকাশের পর অনুসন্ধান করা। তাহলে এত দূর পর্যন্ত ঘটনা আসত না।’

    রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে), রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, রংপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।