Blog

  • খুলনার পাইকগাছা ও কয়রাবাসীর প্রাণের দাবি শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অব-মুক্ত দাবিতে মানববন্ধন

    খুলনার পাইকগাছা ও কয়রাবাসীর প্রাণের দাবি শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অব-মুক্ত দাবিতে মানববন্ধন

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা) ।।

    খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা বাসীর প্রাণের দাবি শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে সব শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, এসকে মহিবুল্লাহ, আব্দুল কাদের নয়ন, তামিম রায়হান,আল মামুন, আবদুল্লাহ আল মামুন,হাফিজ বিন তারেক, হাফিজ আল আসাদ, আরিফুল ইসলাম রনি, তানভীর হোসেন, গাজী শহিদুল ইসলাম, ফসিয়ার রহমান প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বিভিন্ন লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্তির দাবি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে সেতু দুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। খুলনা-এর অধীন বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা (জেড-৭৬০৪) জেলা মহাসড়কের ৩৩তম কিলোমিটারে অবস্থিত শিবসা সেতু হতে পারাপারকারী যানবাহনের টোল আদায়ের নিমিত্তে ইজারা প্রদান করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তারা শিববাটি ব্রীজের টোল ঘর ভাংচুর ও টোল আদায় বন্ধ করে দেয়। এতে ছাত্রদের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন জনপদের সাধারণ মানুষ। এসময় তারা স্থায়ী টোল আদায় বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। সেই থেকে বেশ কিছুদিন টোল আদায় বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ইজারাদারের পক্ষে ফের টোল আদায় শুরু হয়।

    পাইকগাছা ও কয়রা প্রধান সড়কের শিববাটিস্থ কপোতাক্ষ নদের উপর সড়ক বিভাগের অর্থায়নে ব্রীজটি নির্মাণ হয়। এরপর প্রতিদিন ব্রীজটি দিয়ে পাইকগাছা-কয়রা-আশাশুনিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচলের পাশাপাশি নানা ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করে ব্রীজের উপর দিয়ে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই,এই অঞ্চলের মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শিববাড়ি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করা।

    পাইকগাছা হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মারামারি দেখে বৃদ্ধার মৃত্যু

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছা হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনায় দুই রোগীর স্বজনদের মধ্যে সৃষ্ট মারামারি দেখে একজন বৃদ্ধা রোগী মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে মৃত্যুের স্বজনরা জানিয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার আরাজি ভবানীপুর গ্রামের আলী সানার স্ত্রী খুকুমণি (৭৫) কে অসুস্থ অবস্থায় তার মেয়ে আসমা খাতুন ও ছেলে হাফিজুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি করে। ২০ দিন আগে তাদের আব্বাও মারা যান। পাইকগাছা হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনায় দুই রোগীর স্বজনদের মারামারি দেখে বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে মৃত্যুের স্বজন আশরাফুল ইসলাম জানান। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আলমতলা গ্রামের মৃত হোসেন আলী মালীর ছেলে মোকছেদ মালী হাসপাতালে ভর্তি হয়।

    বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আরাজী ভবানীপুর গ্রামের আলী সানার স্ত্রী খুকুমনি বেগম (৭৫) হাসপাতালে ভর্তি হয়। উভয়ের বেড পাশাপাশি ছিল। বিদ্যুৎ এর মালটি প্লাগের মাধ্যমে ফ্যানের লাইনের তার খুলে যাওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যয়ে মোকছেদের স্বজনরা খুকু মনির সন্তানকে মারপিট করতে থাকলে তিনি চিৎকার করার এক পর্যায়ে মারা যান।হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজ্ঞয় কুমার মন্ডল জানান, হার্ট এ্যাটাকে খুকুমণি মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সহকারী পুলিশ সুপার ডি সার্কেল আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন। বিষয়টি মারামারি সংক্রান্ত কোন বিষয় নয়। ২০ দিন আগে তার স্বামীও মারা যান একারণে তিনি খুবই শোকাহত ছিলেন। অধিক শোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি জানান।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • অর্থের বিনি-ময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়ো-গের অভি-যোগ লাপা-ত্তা টিসিএফ

    অর্থের বিনি-ময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়ো-গের অভি-যোগ লাপা-ত্তা টিসিএফ

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অর্থের বিনিময়ে ও ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে ব্যবসায়ী নন এমন ব্যক্তিদের ডিলার হিসাবে নিয়োগ প্রদানের পর হতে নিজ কার্যালয়ে আসছেন না উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (টিসিএফ) মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী। এ নিয়োগ প্রদানের পর হতে তিনি গত ৪দিন যাবৎ লাপাত্তা রয়েছেন।

    সূত্রে প্রকাশ,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ই মার্চ ২০২৫ খ্রি. তারিখের ১৩,০০,০০০,০০০,০৪৬,৩৬,০০০১,২০.৮৩ নং স্মারক ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা,২০২৪ এর নীতি ৫ এর উপনীতি ৫.২ এর ক্রমিক (ট) অনুযায়ী উপজেলা কমিটির অনুমোদনক্রমে পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ (আট)’টি ইউনিয়নের জন্য খাদ্য বান্ধব ২১ জন ডিলার নিয়োগ করার আদেশ প্রদান করেন।

    গত ৯ই জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত পত্রে এ নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়। এরপর হতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উক্ত নিয়োগ বাতিলের ও লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।

    তবে অনিয়মের বিষয়ে জানাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী’কে একাধিক বার ফোন করে বা অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

    এদিকে,পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এবিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা বলতে পারবেন।

    উল্লেখ্য,পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগের আবেদন করেন মোট ৮২ জন ব্যবসায়ী। এর মধ্যে হতে অর্থের বিনিময়ে ও ভাগ বাটোয়ারা করে ব্যবসায়ী নন এমন ব্যক্তিসহ ২১ জন’কে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগ প্রদান করায় ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং পলাশবাড়ীতে সর্ব মহলে সমালোচনার ঝড় বওয়ায় বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সহ সচেতন অভিজ্ঞমহল সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।

  • আলোচনায় নেই, স্মৃতি-তে নেই—জুলাই শ-হীদ দিবসে উ-পেক্ষিত অ-ন্ধ শিক্ষার্থী

    আলোচনায় নেই, স্মৃতি-তে নেই—জুলাই শ-হীদ দিবসে উ-পেক্ষিত অ-ন্ধ শিক্ষার্থী

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,
    কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট | ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

    কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আজ ১৬ই জুলাই উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ২০২৩ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের স্মরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    অনুষ্ঠানে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হলেও, অবহেলার শিকার হয়েছেন সেইসব শিক্ষার্থীরা—যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। তাঁদের কেউই আমন্ত্রিত ছিলেন না, এমনকি অনেকেই জানতেনই না এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে।

    আন্দোলনে চোখ হারানো শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শুভ বলেন,
    “যেদিন আমরা রক্ত দিয়েছিলাম, সেই দিনের আয়োজনেও আমাদের নামটুকু পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয়নি—এটা কেবল কষ্ট নয়, অসম্মানেরও।”

    অনেকেই মনে করছেন, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলেও আহতদের প্রতি যে অবজ্ঞা দেখানো হয়েছে, তা আন্দোলনের ইতিহাসকেই আংশিকভাবে তুলে ধরার নামান্তর। এমন আচরণে শহিদের মর্যাদাও একপ্রকার খাটো হয় বলে মত দেন অনেকে।

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের দমন-পীড়নে বহু শিক্ষার্থী আহত হন। একজন শিক্ষার্থী চোখ হারান, অনেকে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল।

    আহত শিক্ষার্থী মো: তৌকির আহমেদ বলেন,
    “আমরা আজও সেই দিনের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি, অথচ আমাদের কষ্ট কেউ মনে রাখেনি। শুধু শহিদদের নাম বললেই দায়িত্ব শেষ হয় না।”

    অনেকের মতে, এমন উপেক্ষা শুধু আহতদের নয়, বরং পুরো আন্দোলনের চেতনাকেই খাটো করে দেয়। আত্মত্যাগের ইতিহাসকে পূর্ণতা দিতে হলে শহিদ ও আহত—উভয় পক্ষের সম্মান ও স্বীকৃতি একসাথেই নিশ্চিত করতে হবে।

    এই ঘটনার মাধ্যমে আহতদের অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে। তারা দাবি জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে যেন আহতদের সম্মান ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।

    এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেও দেখা যায়নি।

  • তেঁতুলিয়ায় রাস্তার কাজ শে-ষ না হতেই কাগজে-কলমে বিল পাশ

    তেঁতুলিয়ায় রাস্তার কাজ শে-ষ না হতেই কাগজে-কলমে বিল পাশ

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই আরএন্ডএইচ-সিপাইপাড়া রোড ভায়া কাশিমগঞ্জ রোড পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের চার ভাগের এক ভাগ কাজ শেষ হতে না হতেই কাগজে-কলমে ঠিকাদারের বিল পাশ করা হয়েছে। কাজের অগ্রগতি না দেখেই অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিল পাশ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

    উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (জিডিডিআইআরডিপি) প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫০৩ টাকা প্রাক্কলিত ও ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৯২৮টাকা চুক্তিমূল্য ব্যয়ে ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পায় বোদা পঞ্চগড়ের মোতাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সেই সড়কে গত ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে ঠিকাদার ইউসুফ আলীর অধীনে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ করার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ২ জুন পর্যন্ত। পরে আরও সময় বাড়ানো হয়েছে। কাজ শরুর সময়সীমা প্রায় ৯ মাস পার হলেও কাজের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো নয়।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটিতে সাব-গ্রেডের প্রথম লেয়ারে শুধু বালি ও খোয়া ফেলা হয়েছে। এখনও ২০০ মিটার সড়ক নির্মাণ বাকি রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেটুকু কাজ হয়েছে, সেটাতেও নিম্নমানের খোয়া ও অতিরিক্ত বালি ব্যবহার করা হয়েছে।

    এদিকে অভিযোগ উঠেছে তেঁতুলিয়া এলজিইডির দায়িতপ্রাপ্ত সাইড ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভেয়ার জয়নাল আবেদীন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মিলেই আইবাসের অজুহাত দেখিয়ে বিল পাশের কাজটি সম্পন্ন করেছেন। মূলত উপজেলা প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে গত ১৫ থেকে ১৬ জুন ছুটিতে গেলে ১৭ থেকে ১৯ জুন অতিরিক্ত দায়িত্ব পান পঞ্চগড় সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী রমজান আলী। দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র ৩ দিনের মধ্যে তিনি তেঁতুলিয়ায় না এসেই প্রকল্প পরিদর্শন ছাড়াই একাধিক সড়ক বা প্রকল্পের বিল পাশ করেন। যার মধ্যে এই প্রকল্পও রয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার, সাইড ইঞ্জিনিয়ার ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিল পাশ করা হয়। এদিকে জয়নাল আবেদিন একজন সার্ভেয়ার হয়েও ওই অফিসের প্রায় রাস্তার কাজই তার দায়িত্বে থাকলে ওই কাজে অনিয়ম বেশিই হয় অভিযোগ উঠেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ সহ এলাকাবাসী বলেন, সড়ক নির্মাণ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বালির পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা চাই কাজটা যেন টেকসই ও ভালোভাবে হয়।

    উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিল উত্তোলনের প্রক্রিয়া হয়েছে। কাজ শেষ করে ঠিকাদার বিল পাবেন। তিনি আরও বলেন, ১৭ থেকে ১৯ জুন এর মধ্যেই ওই রাস্তার বিল পাশ হয়েছে।’

    উপজেলা প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান বলেন, তিনি ছুটি নেওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীণ ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে গত ২২জুন অফিস করাকালীন জানতে পারেন তিনি ছুটিতে থাকাকালীন ওই রাস্তার বিল পাশ করা হয়েছে।

    তেঁতুলিয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী (পঞ্চগড় সদর) রমজান আলী বলেন, তিনি তেঁতুলিয়ায় দায়িত্ব নিতে রাজি হননি নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার তাকে জোর করে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিল পাশের জিজ্ঞাসায় তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাহী স্যারকে বলতে পারেন।

    ঠিকাদার ইউসুফ আলী বলেন, কাজ না করেই কেউ বিল দেয়। অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কথা জানিনা অন্তত এলজিইডি ওরা কাম না করে কখনোও বিল দেয়না।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ জামান বলেন, ‘১৫ থেকে ২১ তারিখ উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল মেইল করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ২১ তারিখ রিলিস নিয়েছেন ওই রাতেই তিনি উপজেলা এসেছেন। এদিকে আইবাসে বিল দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২২জুন। স্বাভাবিকভাবে আমরা সেই সময় আইবাসে দিয়েছি। তবে ২২ জুন বিকালের দিকে আইবাসে একদিনের সময় বাড়ানো হয়েছে। কাজ শেষ না করে চুড়ান্ত বিল কখনই আমরা দিই না, এটি লিখতে পারেন।’

    এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করবেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • আশুলিয়ার জামগড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁ-দা দা-বি

    আশুলিয়ার জামগড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁ-দা দা-বি

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড (ফকির বাড়ি বটতলা) এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ নিলুফা বেগম বাড়িতে একা থাকার সুযোগে মাদক সন্ত্রাসী মোঃ সুজন (৩০), ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে, চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ২০২৫ইং) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের (ফকির বাড়ি বটতলা) এলাকা স্থানীয় মৃত্যু হাবিব এর ছেলে মোঃ সুজনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫জন মাদকের টাকা জোগাড় করতে এলাকায় চাঁদাবাজি ফিটিংবাজি করে বলে এলাকাবাসী জানায়।

    এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী নিলুফা বেগম আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ নিলুফা বেগম জানায়, আমি গৃহিণী, আমার স্বামী প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেন (৪৫), এর আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়ন জামগড়া ফকির বাড়ি বটতলা এলাকায় ক্রয় করা ৫ শতাংশ জমি আছে। উক্ত সম্পত্তির উপর ৮টি রুম আছে সেখানে আমিসহ আমার পরিবার সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। উক্ত বিবাদী সুজন এলাকার স্থানীয় সে প্রতিনিয়ত মাদক দ্রব্য সেবন করে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। এলাকায় অপরাধ করলেও তার ভয়ে মানুষ মুখ খুলে না। সে আমার বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আর বলে এই টাকা দিলে আর বিরক্ত করবো না। গত ১২/০৭/২০২৫ইং সকাল ৯টার দিকে সুজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন আমার বাড়ি ভাংচুর করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।

    এ ঘটনার পর উক্ত বিবাদী মোঃ সুজন এর বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

    উক্ত ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার (এসআই) আকরাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী অপরাধী যেইহোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে এই পুলিশ অফিসার জানান।

  • গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিতে সেনার আহ্বান জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার

    গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিতে সেনার আহ্বান জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

    ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বানকৃত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকার একদল উশৃংখল জনতা সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। এছাড়াও, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    উক্ত রাজনৈতিক সংগঠনের সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সাথে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বারংবার ঘোষনা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা সেনাবাহিনীর উপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অতঃপর, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গোপালগঞ্জ এ আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। সর্বোপরি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সাথে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল সকাল হতে চলমান এই রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায়, গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারন অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে নিজেদের নিবৃত্ত রেখে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছেন। গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • তানোরে যাঁতাকল শিল্প বিলু-প্তপ্রায়

    তানোরে যাঁতাকল শিল্প বিলু-প্তপ্রায়

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে কালের বিবর্তন ও আধুনিকতায় বিলুপ্তপ্রায় এক সময়ের জনপ্রিয় যাঁতাকল শিল্প।অথচ একটা সময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরে যাতাঁকলের ব্যবহার হতো। রবি শস্যের বিভিন্ন ডাল যেমন মসুর ডাল, খেসারি ডাল,মুগ ডাল, জব,গমের ছাতু ও চালের আটা ইত্যাদি ভাঙ্গা হতো এই যাঁতাকল দিয়ে। এছাড়াও গম-কালাই ও ছোলা গুড়া করা হতো এই যাতাঁকলের সাহায্যে। যাতাঁকল হলো দুটি গোলাকার পাথর।একটি পাথরের উপর আরেকটি বসিয়ে ঘোরানো হয়।মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রে ডাল,কালাই, ছোলা ইত্যাদি দিয়ে ঘুরালে এসব ভেঙে যেতো।এরপর কুলো দিয়ে খোসা থেকে এসব আলাদা করে নেওয়া হয়।
    যাতাঁকলের ব্যবহার বয়োজৈষ্ঠদের
    কাছে শোনা যায় এক সময় গ্রামের ভিতর ঢুকলেই প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই শোনা যেতো যাঁতাকলে রবিশস্য ভাঙ্গার শব্দ। প্রতিটি বাড়িতেই ছিল যাতাঁকল। কিন্তু এখন আধুনিক যুগে আর এইরকম শব্দ শোনা যায় না। যেখানে মানুষের বসতি ছিল সেখানেই ছিল এই রবিশস্য ভাঙ্গার যাতাঁকল। আগেকার দিনে নববধূরা স্বামীর ঘরে এসেই শাশুড়ির কথায় ডাল ভাঙতে বসতো।কিন্তু এখন আর এই রকম যাতার ব্যবহার নেই।যাতাঁকল শিল্প এখন শুধুই স্মৃতি। বিলুপ্তর পথে ঐতিহ্যবাহী যাতাঁকল একসময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে যাতার ব্যবহার থাকলেও এখন আর এই রকম যাতাঁকলের ব্যবহার দেখা যায় না। প্রযুক্তির প্রসার ও আধুনিকতার ছোয়ায় ঐতিহ্যবাহী এই যাতাঁকল শিল্প বিলুপ্তিপ্রায়। আগে ডাল, ছোলা, কালাই, গম ইত্যাদি ভাঙ্গার জন্য কোনো ইলেকট্রিক যন্ত্র বা মেশিন ছিল না। কিন্তু আধুনিক যুগে ডাল গম ভাঙ্গার জন্য বিভিন্ন রকম ইলেকট্রিক মেশিন ও রাইস মিল গড়ে উঠেছে। যার সাহায্য অল্প সময়েই রবিশস্য ভাঙ্গা হয়।
    জানা গেছে, যাতাঁকল এক প্রকার হস্ত চালিত যন্ত্র। জাতাঁকলের ব্যবহার ছিল কষ্টসাধ্য।যাতাঁকলে ডাল গম ভাঙ্গার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হতো।শত শত নারী শ্রমিক এই যাতাঁকল শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল। প্রাচীন কালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিকেল বেলা যাতাঁকল এর ঘ্যাড় ঘ্যাড় শদ্ব শুরু হতো।শুধু ডাল গম এই নয় সেসময় চাউলও গুড়া করে হতো। যাতায় গুড়ো চাউলের গুড়া খেতেও অনেক সুস্বাদু। প্রাচীনকালে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হতো। আর এই সব গ্রাম্য মেলায় যাতাঁ কিনতে পাওয়া যেত। প্রাচীনকালে যাতাঁকলের ব্যবহার সর্বাধিক থাকলেও আজ এই যাতাঁকল বিলুপ্তপ্রায়। তবে এখানো গ্রামের বিত্তবান শ্রেণির পরিবারগুলো চালের আটা, ছাঁতু, ছোলা-কালাই ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্যর প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল স্বাদ নিতে বাড়িতে যাতাঁকল রেখেছেন।#

  • ঝিনাইদহে বিক্ষো-ভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    ঝিনাইদহে বিক্ষো-ভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশহিসাবে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার অবণতি ও গুপ্ত সংগঠনের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের উজির স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে করে।

    জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সহ সভাপতি এনামুল হক মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সমিনুজ্জামান সমিন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক প্রমুখ। সমাবেশ বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস করতে গুপ্ত সংগঠনের নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে। জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে ৭১ এর পরাজিত শক্তি।

    এসময় বক্তারা গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।।

  • সবুজে স্বপ্ন,পরিচ্ছন্নতায় প্রতিজ্ঞা:কদম মোবারক স্কুলে পরিবেশযাত্রা

    সবুজে স্বপ্ন,পরিচ্ছন্নতায় প্রতিজ্ঞা:কদম মোবারক স্কুলে পরিবেশযাত্রা

    শহিদুল ইসলাম,

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    পরিবেশ রক্ষায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে কদম মোবারক সিটি কর্পোরেশন স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো “ক্লিন বাংলাদেশ” শীর্ষক বৃক্ষরোপণ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিংকু কুমার ভৌমিক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আলাউদ্দীন আলী নুর।

    প্রধান অতিথি মারুফুল হক চৌধুরী বলেন,“পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ সচেতনতা শিশুদের মনে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলতে হবে। গাছ লাগানো ও পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি উন্নত নগরী নির্মাণে সহায়ক হবে।”

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর বক্তব্যে বলেন,“বিদ্যালয় শুধু পাঠদানের স্থান নয়, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গঠনের অন্যতম মাধ্যম। এ ধরনের কর্মসূচি তাদের চরিত্র গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

    পরে অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা একযোগে বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন এবং স্কুল প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
    পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে। ভবিষ্যতে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে আয়োজকরা জানান।

  • পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সিমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে পু-শইন করেছে বিএসএফ

    পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সিমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে পু-শইন করেছে বিএসএফ

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক পঞ্চগড়ের পৃথক দুইটি সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী  পুরুষ ও শিশু সহ ২৪ জনকে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। 

    বিজিবি সুত্রে জানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানা  ও বোদা থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

    পুলিশ জানায়, গত রাতে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা দাড়িয়ার মোড় সীমান্ত দিয়ে ৬ নারী, ৫ শিশু ও ৬ জন পুরুষ সহ মোট ১৭ জনকে রাতের আধারে পুশইন করে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে তাদের আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে বিজিবি সদস্যরা খবর পেয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বোদা থানায় সোপর্দ করে। অপরদিকে, প্রায় একই সময়ে সদর উপজেলার শিংরোড সিমান্ত দিয়ে ২ নারী, ৩ শিশু ও ২ জন পুরুষ সহ আরো ৭ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সদর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

    আটককৃতরা বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার খেজুঁরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা এবং গত ১০ বছর যাবৎ ভারতের দিল্লিতে ভাঙ্গারীর কাজ করতো বলে জানায়। গত ৬ জুলাই তাদের দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ। এরপরে বুধবার বিমানযোগে  নিয়ে এসে গভীর রাতের সুবিধামতো সময়ে তাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

    পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের প্রকৃত  ঠিকানা ও পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর পরবর্তী আইনি উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। 

    বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন জানান, বিজিবি ১৭ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে থানায় হস্তান্তর করেছে। ঠিকানা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। প্রকৃত ঠিকানা যাচাই বাছাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।