Blog

  • কুমিল্লা কোটবাড়ি র বার্ডে বি-রল প্রজাতির রুটি ফলের স-ন্ধান

    কুমিল্লা কোটবাড়ি র বার্ডে বি-রল প্রজাতির রুটি ফলের স-ন্ধান

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    রুটি ফলের দৃশ্য দর থেকে দেখে মনে হবে কাঁঠাল, পাতায় চোখ রাখলে মনে হবে সবুজের মধ্যে লুকিয়ে আছে সবুজ রংগ্ঙের কাঁচা পেঁপে। কিন্তু আসলে এটি কোনো কাঁঠাল বা পেঁপে নয়। এর নাম রুটিফল। কুমিল্লার কোটবাড়ীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ক্যাম্পাসের সম্মেলন কক্ষের পশ্চিমাংশে দাড়িয়ে আছে বিরল প্রজাতির এই বিদেশি ফলগাছে এবার ব্যাপকভাবে ফল ধরেছে।
    ব্যতিক্রমী এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন বার্ড প্রাঙ্গণে

    ঘুরতে আসলেই তখন চোখ ঘুরিয়ে

    সরেজমিনে দেখা যায়, বার্ডের মহাপরিচালক দপ্তরের উত্তর পাশে একটি, ডাকঘর এলাকায় একটি এবং ময়নামতি অডিটরিয়ামের সামনে দুটি রুটিফল গাছ রয়েছে। সবুজ ঘন পাতার মধ্যে শাখার অগ্রভাগে ঝুলছে কাঁঠাল সদৃশ রুটিফল। দর্শনার্থীরা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।

    বার্ড সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে বার্ড ক্যাম্পাসে প্রথম রুটিফল গাছ রোপণ করা হয়। প্রায় তিন দশক ধরে গাছটি ফল দিত। ২০১৭ সালে ঝড়ে গাছটি উপড়ে গেলে ওই বছরই নতুন করে আরও চারটি গাছ লাগানো হয়। এর মধ্যে একটি মরে গেলেও বাকি তিনটিতে এবার প্রচুর ফল ধরেছে।

    বার্ডের কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, “বড় গাছটি মারা যাওয়ায় আমরা দুঃখ পেয়েছিলাম। পরে নতুন গাছগুলো লাগানো হয়। এবার তিনটিতেই ফল এসেছে, আমরা খুব খুশি।” বার্ডের বাগান শাখার সামছুল হক বলেন, “গাছগুলো ছোটবেলা থেকে আমি পরিচর্যা করেছি। মাসের শেষে ফলগুলো পাড়া হবে।

    সাধারণত আমরা সবজি হিসেবে রান্না করে খাই।”

    দর্শনার্থী আব্বাস আলী বলেন, “প্রথমে শুনে অবাক হয়েছিলাম যে গাছে রুটি ধরে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দেখতে এলাম। দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো হলেও পাতা আরেকদম ভিন্ন।”

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উদ্ভিদবিদ অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন জানান, রুটিফলের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus altilis, ইংরেজিতে এটি ‘ব্রেডফ্রুট’ নামে পরিচিত। স্বাদ আলুর মতো, পাউরুটির মতো কেটে খাওয়া যায়। গাছ ৫০-৭০ ফুট উঁচু হয়। মূলত আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বেশি জন্মে।

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক পরিচালক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রুটিফলে সুষম খাদ্যের সব উপাদান থাকে। ওষুধি গুণও রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগের উপশমে ব্যবহৃত হয়।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, “ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ভেষজ গুণও আছে। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়নি। কেউ আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে।”

    বিরল এই ফল দেখতে আগ্রহী মানুষের ভিড়ে এখন সরগরম বার্ড ক্যাম্পাস। শাখায় ঝুলে থাকা কাঁঠালসদৃশ ফল আর ঘন পাতার সৌন্দর্য যে কারও নজর কাড়বে।

  • মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার ২০ লাখ টাকার আ-ত্মসাতের অভি-যোগে শিক্ষক রাশিদুল আ-টক

    মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার ২০ লাখ টাকার আ-ত্মসাতের অভি-যোগে শিক্ষক রাশিদুল আ-টক

    আরিফ রব্বানী।।
    ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর জাল করে পরীক্ষক নিয়োগ এবং আর্থিক লেনদেন দেখিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. ইদ্রিস খান বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রশিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে শিক্ষক রশিদুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করেছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক রশিদুল ইসলাম খান (৪৩) নীলফামারী জেলার রামগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। এ সুযোগে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে আর্থিক সুবিধা আদায়ের নেপথ্যে জড়িয়ে পড়েন।

    অধ্যক্ষ জানান, বেশ কয়েকদিন আগে আরবি প্রভাষক মো. আব্দুর রউফ মৌখিক অভিযোগ করেন যে, তার স্বাক্ষর জাল করে রশিদুল ইসলাম নিজেই তাকে চলতি পরীক্ষার জন্য অবৈধভাবে পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রেরিত গোপন নথিপত্র যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

    নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, মো. আব্দুর রউফ, মো. মোফাজ্জল হোসেন, শামসুল আলম, আব্দুল হাফিজ ও হারুনুর রশিদের নামসহ ১০/১২জনের নাম ব্যবহার করে, তাদের অজান্তে স্বাক্ষর জাল করে রশিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় অনৈতিক আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেন। এসব লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

    অধ্যক্ষের দাবি, দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে রশিদুল ইসলাম এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

    ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অধ্যক্ষের ভাষ্যমতে, ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে লিখিত প্রমাণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।

    এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং ৪৮(৭)২০২৫ ধারা -৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলাটি এস আই মাসুদ জামালী তদন্ত করছেন। এই ঘটনায় জড়িত রসিদুল ইসলম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    তবে ময়মনসিংহের সুনাম অর্জনকারী এমন প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের এমন জালিয়াতির খবর এলাকাবাসীদের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষক রশিদুলের এরকম অনিয়মে জেলার সচেতন মহল, অভিভাবক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

  • মি-থ্যা ও হ-য়রানীরমূলক ধ-র্ষণ মাম-লার প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন

    মি-থ্যা ও হ-য়রানীরমূলক ধ-র্ষণ মাম-লার প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন

    এস মশিউর,
    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ পেশিশক্তি দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানীরমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী ও ভোক্তভোগী পরিবার। আজ রবিবার বিকাল ৪টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মামলার বাদী মোছাঃ নাসিমা বেগম ও আসামী মুহিবুর রহমান মবু, খসরু মিয়া স্বাক্ষী রহমত আলী।

    সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী মৃত কদর আলীর স্ত্রী ও গোজাখাইজর গ্রামের নাসিমা বেগম জানান, নবীগঞ্জ শহরের খালিক মঞ্জিলের মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর বাসায় আমি কাজ করতাম। এক পর্যায়ে উক্ত বাসার আরেক সদস্য কুহিনুর রহমান আমাকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষন করেন। পরবর্তী মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা বিভিন্ন ধরণের ছলচাতুরী, মারধর ও পরামর্শে আমি আদালতে একটি মামলা করি। এতে দেখা যায়, প্রকৃত অপরাধীকে মামলার আসামী না করে নিরীহ লোকজনকে মামলার আসামী করেছে। একপর্যায়ে আমি আদালতে প্রকৃত অপরাধীর তথ্য তুলে ধরি এবং আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

    এসময় মুহিবুর রহমান মবু লিখিত বক্তব্য বলেন- মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর কথামত কাজ না করায় তারা আমাকে মিথ্যা ধর্র্ষণ মামলা দিয়ে আসামী করেছে। মামলা দায়েরের পর স্বাক্ষী রহমত আলীসহ ৩জন হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে স্ব-শরীরে হাজির হইয়া উক্ত মামলার ঘটনার সাথে আমি ও অন্যান্য আসামীগন জড়িত নহে মর্মে এফিডেভিট প্রদান করেছেন। এছাড়াও ১৬/০৭/২০২৫ ইং তারিখে মামলার বাদীনি হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হইয়া মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে বর্ণিত আসামী আমি মুহিবুর রহমান মবু, ছাও মিয়া, ও খসরু মিয়া দ্বারা ধর্ষিত হয় নাই। এমনকি আমাদেরকে চিনেন না মর্মে এফিডেভিট প্রদান করিয়াছেন। এই অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

    আমিও আমার পরিবারের কোন লোকজনের কোন প্রকার ক্ষতি হলে উক্ত মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরী এবং তাদের লোকজন দ্বারা সংঘঠিত হইবে এবং তারাই দ্বায়ী থাকবে।

  • বানারীপাড়া পৌর বিএনপি’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সভাপতি ইমরান সম্পাদক হাবিব

    বানারীপাড়া পৌর বিএনপি’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সভাপতি ইমরান সম্পাদক হাবিব

    মোঘল সুমন শাফকাত।। বরিশাল প্রতিনিধি।।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) বানারীপাড়া পৌর শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ জুলাই রবিবার সকাল ১০ টায় গুঠিয়া সরদার কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বানারীপাড়া পৌর বিএনপি’র সভাপতি পদে ইমরান হোসেন প্রিন্স,সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন।

    বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্বে করেন বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শাহ্ আলম মিঞা।

    সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।

    পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান জুয়েলের
    সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বরিশাল(দক্ষিন) জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান, সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল(দক্ষিন) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রিয়াজ আহমেদ মৃধা,হায়দার আলী লেলিন,দুলাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সহ বিএনপির অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।

  • বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সভাপতি শাহ্ আলম সম্পাদক রিয়াজ মৃধা

    বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সভাপতি শাহ্ আলম সম্পাদক রিয়াজ মৃধা

    মোঘল সুমন শাফকাত।। বরিশাল প্রতিনিধি।।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) বানারীপাড়া উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ জুলাই রবিবার সকাল ১০ টায় গুঠিয়া সরদার কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে শাহ্ আলম মিঞা ও সাধারন সম্পাদক পদে রিয়াজ আহমেদ মৃধা নির্বাচিত হয়েছেন।

    বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে
    সভাপতিত্বে করেন বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শাহ্ আলম মিঞা।

    সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।

    উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রিয়াজ আহমেদ মৃধা’র সঞ্চালনায় সম্নেলন উদ্বোধন করেন বরিশাল(দক্ষিন) জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান,সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল(দক্ষিন) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু,হায়দার আলী লেলিন,দুলাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সহ বিএনপির অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।

  • আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মা-দক স-ন্ত্রাসীদের নি-রাপদ আস্তানা-বাড়ছে চু-রি ছিন-তাইসহ অ-পরাধমূলক কর্মকাণ্ড

    আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মা-দক স-ন্ত্রাসীদের নি-রাপদ আস্তানা-বাড়ছে চু-রি ছিন-তাইসহ অ-পরাধমূলক কর্মকাণ্ড

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে, এর কারণে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‍্যাবের অভিযানে কিছু কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ডাকাতসহ অপরাধীদের আটক করা হলেও তারা আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও সেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। মাদক সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের খোঁজে পায় না পুলিশ।
    রবিবার (২০ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, ঢাকার সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে পৃথক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ, কিন্তু বেশিরভাগ বড় ধরণের আসামীকে পুলিশ খোঁজে পায় না। আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা। স্থানীয়রা জানায়, কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাস বাহিনীর ১৫-২০ জনের পৃথক পৃথক দল পিস্তল ও চাকু ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন শ্রমিকসহ মানুষের উপর হামলা করে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। অনেকেই জানান, ভিকটিমের উপর হামলা করে কুপানোর সময় তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুঁটে আসলে তাকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর প্রতিবেশীসহ লোকজন ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয় এরপর আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় এমন অনেকেই আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে।
    উক্ত আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন মাঠের আশপাশে ১৫-২০ জন করে পৃথক ১০-১২টি কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাস বাহিনী দেশীয় অস্ত্র চাকু ছুরি ও দা নিয়ে প্রায়ই মহড়া দিতে দেখা যায় বলে অনেকেই জানান, এই কিশোর গ্যাং আতঙ্ক পুরো এলাকাজুড়ে।সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো আনন্দ বাজার, কুন্ডলবাগ এলাকার স্থানীয় বিপ্লব এর ছেলে রাকিব (২২) ও রবিন সরকার (২১) এই দুই গ্রুপের সাথে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। উক্ত এলাকায় প্রায় শতাধিক কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী সক্রিয় ভাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে বলে অভিযোগ। কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা ও মারপিট করা হয়।
    উক্ত আশুলিয়ায় এখন কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ করছে, এতে আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে কারো কোনো ছাড় দেওয়া যাবেনা, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন ও র‍্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
    এর আগে আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আবু সামার মার্কেটে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী কতর্ৃক হামলার ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজ, অপহরণকারী কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের সাথে জড়িত কারা? পুলিশ কেন তাদেরকে গ্রেফতার করছেন না বলে সচেতন মহলের প্রশ্ন। কিশোর গ্যাং এর ধারাবাহিক হামলা ও চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে, এতে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহল।
    পুলিশ ও র‍্যাব জানান, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে, কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আশুলিয়া থানা এলাকায় অপরাধ করে কেউ পালিয়ে থাকতে পারবে না। অপরাধী সে যেইহোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।##

  • জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা নিয়ে অনেক সাধারণ মানুষ বিপা-কে

    জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা নিয়ে অনেক সাধারণ মানুষ বিপা-কে

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন ভুল সংশোধন করা নিয়ে বিপাকে দেশের অনেক নাগরিক। বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। বেশিরভাগ নাগরিক তাদের নিজ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা নিতে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
    রবিবার (২০ জুলাই ২০২৫ইং) জানা গেছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেরই জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও তারিখ এবং বয়স ভুল দিয়ে এগুলো সংশোধন করতে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। এখন আবার ২০ জানুয়ারী ২০২৫ইং তারিখ থেকে বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যাদের জন্ম ০১/০১/২০০৮ সালের আগে, কিন্তু তারা ভোটার হন নাই তারাই এখন ভোটার হতে পারবেন। ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ১। অনলাইন জন্ম সনদ, ২। জেএসসি/এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট (থাকলে) ৩। বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, ৪। চেয়ারম্যান কতর্ৃক পরিচয়/ নাগরিকত্ব সনদ, ৫। স্থায়ী ঠিকানার প্রমানস্বরুপ বিদ্যুৎ বিলের কপি, এসব কাগজগুলো থাকলে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নিজে নিজেই নির্ভল ভাবে আবেদন করে ভোটার হতে পারবেন।
    জানা যায়,পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা নিয়ে এখনো বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জাতীয় সেবা পেতে জনগণ আর কত হয়রানির শিকার হবেন জাতি জানতে চায়। এ দিকে নতুন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর পুলিশের নতুন পোশাক তৈরি, আবারও ২০২৫ ইং ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলেও জটিলতা রয়েছে কিন্তু এবার যাতে ভুল না হয় সেইজন্য সচেতন হওয়া জরুরী। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে সমস্যার কারণে করোনা টিকা নিতে পারেননি অনেকেই।
    পাবনা জেলার সুজানগরের এক শত বছরের বৃদ্ধ মানুষ জীবিত থাকলেও নথিপত্রে তাকে মৃত দেখানো হয়েছিলো। তার ভোটার আইডি নং ৭৬১৮৩৭৬৩৩৫৫২৬। নামঃ মোঃ লোকমান হোসেন মন্ডল, তিনি সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুপিনপুর গ্রামের মৃত উজির মন্ডলের ছেলে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল করার কারণে সূত্রমতে, সেসময় তার বয়স্ক ভাতা ৮মাস ধরে বন্ধ থাকে। এ রকম জীবিত মানুষ মৃত, নাম ভুল, বাবার নাম ভুল, মহিলাদের স্বামীর নাম ভুল এবং জন্ম তারিখ ভুলসহ জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন নিয়ে হয়রানির শেষ নেই ভুক্তভোগীদের এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে।
    দেশের প্রতিটি নাগরিকের সরকারি জাতীয় সেবা পাওয়ার অধিকার আছে কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করতে গিয়ে অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়, এটি জাতীয় সমস্যা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সহজ ভাবে সংশোধন করার দাবি জানান সচেতন মহল। জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) হারিয়ে ফেলেছেন, ফরম/স্লিপ নেই, আইডি নাম্বার মনে নেই, জন্ম তারিখ মনে নেই। ফেস ভেরিফাই হচ্ছে না, এরকম বিভিন্ন সমস্যার কারণে আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন উত্তোলন করতে পারছেন না অনেকেই, এটি জাতীয় সমস্যা। এ নিয়ে সংশোধন করতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে সঠিকভাবে সেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক নাগরিক।
    রাজধানী ঢাকা ও সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়ন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন এর ব্যাপারে জনগণের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে কিছু তথ্যঃ এক কপি ছবি যাহার জন্ম নিবন্ধন তাহার। টিকা কার্ড। মা, বাবার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটো কপি। মা, বাবার ডিজিটাল জন্ম সনদ এর ফটো কপি। ০১-০১-২০০১ এর আগে যার জন্ম তাহার মা, বাবার জন্ম সনদ লাগবে না। বিদ্যুৎ বিল ফটো কপি লাগবে। মোবাইল নাম্বারসহ আরও অনেক কিছু লাগবে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে ভর্তির সময়। এরকম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের কদিম মালঞ্চী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদে জনগণকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা নানারকম সমস্যার কথা বলে সেবাদানে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন।
    অনেকেই জানান, জাতীয় সেবা এখন আপনার হাতের নাগালে এটা কথার কথা। জাতীয় পরিচয়পত্র-সমাধান কেন্দ্র নামের একটি সূত্র জানায়, আমরা সকল কাজে অগ্রিম পেমেন্ট নিয়ে থাকি, সেখানে ৪টি নাম্বার দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে একটি ০১৮১১৭৬২৩৬৯। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন জানান, আইডি কার্ড উত্তোলন, সংশোধন, নিবন্ধন, সকল কাজ খুব দ্রুত সময়ে র্নিভুল ভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশন সবসময় চেষ্টা করে আসছেন। মূলতঃ জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি। এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা যদি কেউ অনিয়ম করে আর জনগণের সেবা না দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট উপর মহলের প্রশাসনের দাবী। তবে উক্ত ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জনসাধারণের হয়রানি কিছুটা কমেছে। অভিযোগ- যেকোনো ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা নাগরিক এর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয়। জানা গেছে, দেশের পোশাক কারখানায় যেসকল শ্রমিক কাজ করছেন অনেক শ্রমিকের ভুল ঠিকানায় চাকুরি নিয়ে কাজ করছেন, বা ঠিকানা সঠিক থাকলেও বয়স বাড়ানো কমানো রয়েছে। জাতি জানতে চায় উক্ত নাগরিক সমস্যা পুরোপুড়ি ভাবে সমাধান হবেতো?।

  • পাইকগাছার উওর গড়ের আবাদ গ্রামে  বাঁশের সাঁকোই দু”সহস্রাধিক মানুষের পারাপার একমাত্রই ভরসা

    পাইকগাছার উওর গড়ের আবাদ গ্রামে বাঁশের সাঁকোই দু”সহস্রাধিক মানুষের পারাপার একমাত্রই ভরসা

    ইমদাদুল হক, (পাইকগাছা ( খুলনা ) ।।

    আষাড়ে টানা ২৫দিন বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো উপর কোমর পানি দীর্ঘদিন যাবৎ পারাপারে নেই সেতু, তাই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা নদীপাড়ের মানুষের। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় এই সাঁকোর উপর দিয়ে। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গড়ের আবাদ সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে নৈর নদীর ওপর রয়েছে নড়বড়ে এই সাঁকো। সংস্কারের অভাবে সাঁকোটি এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।প্রতিদিন উত্তর গড়ের আবাদ ও পূর্বগজালিয়া গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করেন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা। দীর্ঘদিনেও সেতু তৈরি না হওয়ায় কিংবা কোনো সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নির্বাচন শেষে কোনো খোঁজ রাখেননি। তাছাড়া প্রতিনিয়তই এই সাঁকোতে দুর্ঘটনা ঘটছে।কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হলেও সময়মতো পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো বাজারে পৌঁছানো যায় না। ফলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় প্রায় ২ হাজার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। তাই দ্রুত সেখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের বাসিন্দাদের জেলা কিংবা উপজেলা সদরে যাতায়াতের সহজ পথ হলো পূর্ব গজালিয়া ইটের সলিং রাস্তা। প্রতিদিন শত শত মানুষ এ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে পূর্ব গজালিয়ার ডাবল ইটের পাকা রাস্তায় উঠেন। টানা বৃষ্টিতে সাঁকোটি উপর কোমর পানি বর্তমানে প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় রয়েছে, ।উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার দুই হাজার মানুষ সম্পূর্ণভাবে এই সাঁকোর উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই কোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হলে বাধ্য হয়ে বিপজ্জনক সাঁকো পার হতে হয়। শুকনো মৌসুমে অনেকে বাদুড়িয়া ব্রিজ বা চৌমুহনী বাজার ঘুরে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যান। এছাড়া স্থানীয় গাড়িচালকরা (মোটরভ্যান, নসিমন, করিমন) রাস্তার মাথায় কিংবা অন্যের বাড়িতে গাড়ি রেখে সাঁকো পার হয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন। এলাকার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গ্রামের মানুষ নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করেন। এরপর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবুর সময় সরকারি বরাদ্দে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস ঢালী কিছু পাকা পিলার ও কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সাঁকোটি আবার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটিও এখন পারাপারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীনের সু-দৃষ্টি কামনায় উল্লেখিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান এলাকা বাসি

    প্রেরক,

    ইমদাদুল হক

    পাইকগাছা,খুলনা

  • নড়াইল জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত জিআইজি অ-পারেশনস

    নড়াইল জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত জিআইজি অ-পারেশনস

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইল সদর কোর্ট পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত জিআইজি অপারেশনস খুলনা রেঞ্জ জয়নুদ্দীন।
    নড়াইল জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শন করেন শেখ জয়নুদ্দীন, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্), খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, খুলনা। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, শনিবার (১৯ জুলাই) অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্), খুলনা রেঞ্জ কোর্ট পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত পরিদর্শন সালামী গ্রহণ করেন। সালামী গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্), সদর কোর্টে রক্ষিত বিভিন্ন রেজিস্টার, সিডিএমএস এন্ট্রি যাচাই, মালখানা পরিদর্শন সহ সদর কোর্টের প্রতিটি স্থান ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্), খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, খুলন কোর্টের কাজকর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
    এ সময় নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • লাগাতার বর্ষনে প্লা-বিত রুদ্রপুরের ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল, ৫০০ একর জমি পানির নিচে

    লাগাতার বর্ষনে প্লা-বিত রুদ্রপুরের ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল, ৫০০ একর জমি পানির নিচে

    আজিজুল ইসলাম : লাগাতার বর্ষনে ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে এবছরও প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, গোগা শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুর সহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এবছর ভারতীয় উজানের পানি ঢোকার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    স্থানীয় কয়েকজন চাষী জানিয়েছেন, ভারতীয় ইছামতি সংলগ্ন খালমুখের বাঁধ কেটে রাখার কারনে বৃষ্টির পানির সাথে সাথে ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। এবং বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। তারা আরও জানান, ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ না করলে এসব ফসলের ক্ষতি হতোনা। চাষি জাকির হোসেন জানান, তার একবিঘা জমির পাট পানির কারনে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এরকম অনেক চাষি আছেন, যাদের পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।

    কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল – আমিন জানিয়েছেন,  এবছর আগাম বর্ষনের কারনে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মত আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মত পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ার কারনে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মত জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    একটি সুত্র জানিয়েছেন ইরি বোরো চাষের মুখে চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে খালমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেয়া হয়নি।যার ফলে এখন চাষীদের বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।