Blog

  • সেনাবাহিনীর টহলে ধ-রা পড়ল ২৭ কোটির প্রকল্পে অ-নিয়ম “দা-য়সারা বক্তব্য প্রকৌশলীর”

    সেনাবাহিনীর টহলে ধ-রা পড়ল ২৭ কোটির প্রকল্পে অ-নিয়ম “দা-য়সারা বক্তব্য প্রকৌশলীর”

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পাথর ব্যবহার না করে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা। ৪ ফেব্রুয়ারি কাজটি পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

    বুধবার বিকেলে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফট্যানেন্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে রাস্তার গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পান তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।

    সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। অর্থাৎ প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী ২৩ কেজি প্রতিস্কয়ারে পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি। আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপায়ার করে দিব।’

    তবে জানতে চাইলে দায়সারা বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এড়িয়া, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দিব।’

  • দেখার যেন কেউ নেই-কে শোনে কার কথা..

    দেখার যেন কেউ নেই-কে শোনে কার কথা..

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    পলাশবাড়ীতে মুসুল্লীদের প্রসাব ও অযু’র দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে পিয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চরম দুরাবস্থা বিরাজ করছে।

    গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাতায়াতের এই
    গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মাত্র কয়েকমাস আগে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু, কামসাড়া-যেনোতেনো লোক দেখানো নির্মাণ করায় চরম দুরাবস্থার মধ্যে পথচারিরা।

    মসজিদের মুসুল্লীদের প্রসাব এবং অযু’র পানি নিষ্কাশনের জন্য
    মাত্র কিছুদিন আগে সংস্কারকৃত ড্রেনটিও এখন প্রায় অকার্যকর। বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি অপসারণ করা হয়।ওইস্থানে সৃষ্ট গর্ত (ডোবা) মসজিদের মুসুল্লিদের প্রসাব ও অযু’র পানি একাকার হয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডোবাটি।
    জমাটবাধা দুর্গন্ধযুক্ত পানির অসহনীয় দুর্গন্ধে স্কুলের শিক্ষক -কর্মচারী,শিক্ষার্থীরা নাসিকা বন্ধ করেও টিকতে পারছেন না। দুরূহ হয়ে উঠেছে স্কুল চত্বরে অবস্থান
    করা।

    যুগ পাল্টিয়েছে। আপনার সমস্যা-তাতে আমার কি।
    কে শোনে কার কথা। দেখার যেন কেউই নেই। যাঁদের সমস্যা তাঁরাই বুঝেন। অন্যের তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। মসজিদের নোংরা পানিতে ডোবাটি যেন মজা পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে স্কুল চত্বরের স্বাস্থ্যকর
    পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাসহ সার্বিক কার্যক্রম বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
    পলাশবাড়ী পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত হেয়ারিং রাস্তাটিতে বিছানো ইটগুলো উঠে গিয়ে খানা-খন্দের
    সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থী ও মুসুল্লীসহ ভূক্তভোগী মহল মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হযে পড়েছেন। সাধারন পথচারীরা বলছেন রাস্তাটি আগেই ভালো ছিল।আরো ভালো করতে গিয়ে বরং মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

    এক প্রশ্নের জবাবে পিয়ারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
    মাহবুবুর রহমান মিল্টন বড়ই আক্ষেপের সুরে বলেন,যাবো কোথায়। কে শোনে কার কথা।তদুপরি তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তির জরুরী মানবিক
    হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।

  • পুঠিয়ায় হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অ-ভিযান, ১০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    পুঠিয়ায় হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অ-ভিযান, ১০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    পুঠিয়া( রাজশাহী ) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

    জানা যায়, অভিযানে পুঠিয়া বাজারের আসিফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও বিসমিল্লাহ হোটেল– এই দুই প্রতিষ্ঠানকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, “দুই হোটেলের ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবার, ভাত, খিচুড়ি একসঙ্গে রাখা হয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল। এই অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বাজার মনিটরিং ও অভিযান চলবে।”

    অভিযানে প্রশিকিউশনে ছিলেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হাফিজ ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। মাজেদুর রহমান (মাজদার) 

    পুঠিয়া রাজশাহী ।।

  • রান্নাঘর’ নিয়ে ক-লহ দেবরের ছু-রিকাঘাতে গার্মেন্টকর্মীর ম-র্মান্তিক মৃ-ত্যু

    রান্নাঘর’ নিয়ে ক-লহ দেবরের ছু-রিকাঘাতে গার্মেন্টকর্মীর ম-র্মান্তিক মৃ-ত্যু

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    বিশেষ প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম:

    চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় রান্নাঘর মেরামত নিয়ে পারিবারিক কলহ থেকে প্রাণ গেল এক গার্মেন্টকর্মীর। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের ছয়দিন পর অবশেষে মূল ঘাতক দেবর রনি (২৮) ও তার সহযোগী সোলাইমান (৪৮)–কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পতেঙ্গা মডেল থানা সূত্র জানায়, নিহত ফেরদৌসি আক্তার (৩২) স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ২০১৩ সালে মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) এর সঙ্গে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তার বিয়ে হলেও, লোকমানের পরিবার সেই সম্পর্ক কখনও মেনে নেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী ও দেবরের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছিলেন ফেরদৌসি।

    পুলিশের ভাষ্য মতে, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে রান্নাঘর সংস্কার নিয়ে ফেরদৌসির সঙ্গে স্বামী লোকমানের কথা কাটাকাটি হয়, যা পরে শারীরিক নির্যাতনে রূপ নেয়। সেই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় ১৩ জুলাই রাতে ফের ঝগড়া বাঁধে স্বামী-দেবরের সঙ্গে। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে প্রতিবেশী আবু বক্করের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরদৌসিকে তার দেবর মোঃ রনি ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। বুকে-পিঠে ছুরির গভীর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হতভাগ্য এই নারী।

    পরদিন নিহতের ভাই মোঃ মামুন খান (৩৬) বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা (নং-১২, তারিখ: ১৪/০৭/২০২৫; ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।

    বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলামের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোহেল পারভেজ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার জামাল উদ্দিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে, থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই এইচ এম হারুনুজ্জামান রোমেলসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে।

    একটানা নজরদারির পর ২০ জুলাই, চড়িহালদা মোড় এলাকার একটি বাসা থেকে হত্যা মামলার ১নং আসামী মোঃ রনি এবং ৩নং আসামী সোলাইমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা ও আইনি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো এইঃ
    একটি রান্নাঘর ঘিরে শুরু হওয়া-
    পারিবারিক কলহ এমন ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে—এই হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ঘরে ঘরে এমন সহিংসতা বন্ধ করতে পরিবার ও সমাজকে হতে হবে আরও সতর্ক ও মানবিক।

  • সারাদেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ খু-ন মা-দক স-ন্ত্রাসীসহ আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মা-মলা বাণি-জ্য

    সারাদেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ খু-ন মা-দক স-ন্ত্রাসীসহ আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মা-মলা বাণি-জ্য

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ জন খুন, ৪১০৫ নারী ও শিশু ধর্ষণ ও ৮১৯ জনকে অপহরণ করাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে, এই পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? তা জাতি জানতে চায়। এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মাদক সন্ত্রাসীসহ আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আশুলিয়া থানা থেকে ১০ মাস ৫ জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনা ঘটেছ। এখনও কিছু (এসআই) আসামী না ধরে শান্তিচুক্তি করে মামলা বাণিজ্য করছে।
    বুধবার (২৩ জুলাই ২০২৫ইং) সূত্র জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৫৪টি খুন, ১২হাজার ৭২৬জন নারী ও শিশু নির্যাতন, ৪ হাজার ১০৫ জন ধর্ষণ, ৮১৯জনকে অপহরণ এবং ৯৭টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে এক হাজার ৭৩০টি চোরাচালান, এক হাজার ৫২৬টি দস্যুতা, ৬১০টি ডাকাতি, ৩৮হাজার ১৭৬টি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ এবং ৭৩১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১০ মাসে মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ৮৯৮টি দ্রুত বিচার মামলা। পুলিশ সদর দজÍরের বরাত দিয়ে দেশে অপরাধ প্রবণতার এ তথ্য প্রকাশ করে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, “গত ১০ মাসে বড় ধরণের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে”। এই বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছর দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে-বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ইং সালের জুন মাস পর্যন্ত সরকারি অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে-এমন দাবি সঠিক নয়। পুলিশ সদর দপ্তর যে তথ্য দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে ১ হাজার ৯৩৩টি খুন। ২ হাজার ৭৪৪টি ধর্ষণ, ৫১৭টি অপহরণ, ৩৬৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০২৪ সালে সারা বছরে ৪ হাজার ১১৪টি খুন, ৪৩৯৪টি ধর্ষণ, ৬৪২টি অপহরণ এবং ৪৯০টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিলো। প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অপরাধ দ্রুত বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। বাস্তবে বেশিরভাগ গুরুতর অপরাধের হার কমেছে বা একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।” প্রেস উইং নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, অপরাধের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, যাতে বোঝা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।” কিন্তু ঢাকায় ভাঙরি ব্যবসায়ীক পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যাসহ একাধিক হত্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা সারা বিশ্বব্যাপী এখন আলোচিত।
    সূত্রে জানা গেছে, একটি মহল আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। ঢাকার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীসহ হত্যাকারী অপরাধীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে ১০ মাসে ৫ জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনার পর এবার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান নবনিযুক্ত হয়েই তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রেখেছেন, অথচ কিছু (এসআই) মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার না করে শান্তিচুক্তি করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে। আশুলিয়া থানায় প্রায় ৫০ জনের বেশি অফিসার রয়েছেন কিন্তু বেশিরভাগই মাদক সন্ত্রাসীদের না ধরে ভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে ভুক্তভোগী অনেকেই জানান।
    উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সিনিয়র (এসআই) শেখ মাসুদ আল মামুন বিভিন্ন অভিযোগ ও মাদক কারবারিসহ ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামীদের বিষয়ে বলেন, অনেকেই ভারতে পালিয়েছে,যারা দেশে আছে তাদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে আছে। অনেকেই নাটক করে সিনেমার গল্প শুনিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে তথ্য রয়েছে।
    দেশে বর্তমানে মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টির মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়ের বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই বেড়েছে ৫৪ হাজার মামলা, এসব মামলার মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। গত বছর শেষে এ সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ২০১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়েরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার জট বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম থাকায় নিষ্পত্তিও বাড়ছে না। তাই এখনই মহাপরিকল্পনা করে পাহাড়সম এ মামলার জট নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মামলাজট নিরসনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তথ্যগুলো সংরক্ষিত।
    অন্যদিকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে তারা। ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার ওসি অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায়, এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
    রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারীরা এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন ছিলো। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য। এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদী মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) কামাল দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    বাংলাদেশে মোট মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টি এর মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হয়েছে, এখানে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের দাবী। এবার দেখা যাবে আশুলিা থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব কতদিন এই আশুলিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, আশুলিয়াবাসী তার কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন। সারা দেশের ওসিদের নিয়ে কারো কানো মাথা ব্যথা নেই অথচ শুধু আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে নিয়ে কেন এতো নাটক হচ্ছে? একটি মহল বর্তমান সরকারের বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে, তদন্ত করে দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল।#

  • গোদাগাড়ী পৌরভবনের সামনে শতাধিক পরিবার পা-নিবন্দি হয়ে মা-নবেতর জীব-নযাপন

    গোদাগাড়ী পৌরভবনের সামনে শতাধিক পরিবার পা-নিবন্দি হয়ে মা-নবেতর জীব-নযাপন

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী জেলার প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভা ভবনের সামনে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অতিবৃষ্টিতে এ গোদাগাড়ী পৌরভবনের সামনে ৬ নং ওয়ার্ডে শ্রীমন্তপুর মহল্লায় হঠাৎ ঘর বাড়ীতে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বসবাস করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

    ভুক্তভোগীগণ চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরু, ছাগল, হাঁস মুরগীনিয়ে বিপাকে পড়েছেন। টয়লেটের মলমূত্র পানির সাথে বাড়ীতে রাস্তায় প্রবেশ করে পঁচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ সহ্য করতে পারছেন না। সেনিটেশন ব্যবস্থা খুবই খারাপ। পৌরসভার অনেক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা চিত্র একই। এ পৌরসভার বেশ কয়েকটি রাস্তার বেহালদশা। ৭ নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা, ১ নং ওয়ার্ডর গড়েরমাঠ থেকে তালতোলার রাস্তাটি টানা বর্ষণের ফলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

    সাবেক কাউন্সিল, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বিপ্লব বলেন, ৬ নং ওয়ার্ডের শ্রীমন্তপুর মাহল্লার ৮ টি হিন্দু পরিবারসহ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, গরু, ছাগল, হাঁসমুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী । এলাকাবাসী বেশ কয়েকদিন হতে পানিতে ডুবে আছেন এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা পৌরসভায় একাধিকবার যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি। টয়লেটের মল পানির সাথে বাড়ীতে রাস্তায় ডুকে পড়ে দুর্গগন্ধের সৃষ্টি করেছে। বিগত দিনে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি টয়লেটের হাউজ, সোকয়েল করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করেছে। দীর্ঘ একযুগ ধরে পৌরসভার সচিব ও পৌরসভার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সারেয়ার জাহান মুকুল, তিনি পৌরসভার সব এলাকার খবর রাখেন। সাথে লোকজন একাধিকবার যোগাযোগ কোন প্রতিকার পচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয় নি। আমরা এলাকার কিছু শ্রমিক নিয়ে নিজ উদ্দোগ্যে আজকে কাজ করেছি, চেষ্টা করছি।

    পৌরসভার শ্রীমন্তপুর এলাকার আব্দুল মান্নান (৭০) পানিতে লুঙ্গি উচ্চু করে ধরে, ছাতা বগলে নিয়ে, গামছা মাথায় দিয়ে পানি দাঁড়িয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে, তিনি কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন, ১০ দিন থেকে আমরা পানিতে ডুবে আছি। দেখার যেন কেউ নেই। কমিশনার না থাকার কারণে সরকারি লোকজন আমাদের কথা শুনছেন না। জরুরী ভিক্তিতে দুর্গন্ধযুক্ত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে আমাদের বাঁচানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।

    ভুক্তভোগী শ্রী মানিক চাঁদ (৬০) ও শ্রী প্রভাস (৬২) জানান, আমরা বেশকিছু দিন থেকে পানিবন্দি হয়ে বড় বিপদে পড়েছি। আগে কাউন্সিলার এর সাথে যোগাযোগ করতাম। এখন তার কাছে গেলে সরকার আমাদের বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমরা আর কাজ করতে পারছিনা। আমরা কিভাবে মুক্তি পাব ভগমান জানেন। মৃত. মিরসাদ আলীর ছেলে মিলন (৪০) জানান ১০/১২ দিন থেকে পানিতে ডুবে আছি। বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে লাভ হচ্ছ না।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সচিব ( ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা সারোয়ার জাহান মুকুলে মোবাইল করে পাওয়ায় ভুক্তভোগিদের ছবি দিয়ে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছু রাস্তা কাঁচা আছে। এগুলি সামান্য বৃষ্টির পানিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। আগামীতে এ রাস্তা গুলি অগ্রাধিকার ভিক্তিতে মেরামত করা হবে বলে জানান এ জনপ্রতি।

    দিকে গোগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের
    ফরাদপুর গ্রামের সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একটি মারাত্মক জনদুর্ভোগের হচ্ছেন। ওই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বর্তমানে অত্যন্ত কর্দমাক্ত ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতেই পুরো রাস্তাজুড়ে কাঁদা-পানি জমে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পথচারী, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা এবং বৃদ্ধরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
    এ রাস্তা মূল সড়ক থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এবং এই পথ দিয়েই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা কঠিন হয়ে পড়েছে, অনেক সময় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

    গোগ্রাম ইউনিনের হরিনবিসকা এলাকার ভৃক্তভোগি রানা দেওয়ান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এলাকাবাসী এই রাস্তাটি জরুরীভাবে সংস্কারের পৌর প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
    গোগ্রাম ইউনিনের চেয়ারম্যান সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি তাই বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী ।।

  • পীরগঞ্জে মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

    পীরগঞ্জে মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

    পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাধ্যমি ও উচ্চ মাধ্যমিক ‘পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম, এসইডিপি’ এর আওতায় উপজেলার ৩৬ জন নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে মাধ্যমিক পার্যায়ের ১০ হাজার টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২৫ হাজার করে টাকা অনুদান সহ সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেছেন।
    বুধবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্টিত হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও লোহাগাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তব্য রাখেন, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুল হুদা, জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, শিক্ষার্থী ফারহাদুল কবীর ফাহিম ও আর্নিকা তাবাসুম প্রমুখ। সভা শেষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ও সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।

  • বিমান দু-র্ঘটনায় রুহের মাগ-ফিরাত ও সুস্থতা কামনায়  পাইকগাছা বিএনপির দো-য়া মাহফিল

    বিমান দু-র্ঘটনায় রুহের মাগ-ফিরাত ও সুস্থতা কামনায় পাইকগাছা বিএনপির দো-য়া মাহফিল

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের রুহের মাগফিরাত ও সুস্থতা কামনায় বুধবার বিকালে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির এবং কপোতাক্ষ মার্কেট চত্বরে পৌরসভা বিএনপি এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি নেতা তুষার কান্তি মন্ডল, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন, আসাদুজ্জামান খোকন, আসাদুজ্জামান ময়না, আবু মুছা সরদার, বিএম আকিজ উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, এসএম শামসুজ্জামান জামান, আসাদুজ্জামান মামুন, রাসেল হুসাইন, মুনসুর গাজী, মিজানুর রহমান, মজিদ মিস্ত্রি, আবু হানিফ, সুফিয়ান গোলদার, সুমন গাজী, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান কেরামত, বাচ্চু, আমিন উদ্দিন, জাহিদ হাসান, মুস্তাকিম গাজী, আরিফ হোসেন, জাকারিয়া ভুট্ট, ওসমান, সালাম, সাইফুল ইসলাম, কামাল হোসেন, জিয়াউল ইসলাম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, হাসানুর রহমান, আব্দুল মান্নান, শাহ আলম, শফি ও আল আমিন। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মুছা সরদার।
    অপরদিকে পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক আসলাম পারভেজ এর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপি নেতা এসএম মোহর আলীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি নেতা সেলিম রেজা লাকি, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, আতাউর রহমান, জিয়া উদ্দিন নায়েব, মতলেব গাজী। নবনির্বাচিত ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী গাজী, রুহুল আমিন সরদার, বেলাল হোসেন, মনিরুল ইসলাম মন্টু, রুবেল সরদার, আনারুল ইসলাম গাজী, আব্দুল করিম গাজী, শাহাদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, তুষার সরকার, বাবু মন্ডল, ডাঃ শাহাবুদ্দিন, মোশাররফ হোসেন বাবলু, জিএম জাকির হোসেন মিন্টু, অ্যাডভোকেট সুবেহ সাদিক, শাহিনুর রহমান, জিয়াউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইব্রাহিম মোল্লা, মামুন, কাইয়ুম সরদার, আল আমিন মোড়ল, আসাদুজ্জামান, ওবায়দুল ইসলাম ডালিম, রাসেল শেখ ও রাজু গাজী। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাফেজ হুমায়ুন কবির।

  • পাইকগাছায় উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে বি-দায় সংবর্ধনা

    পাইকগাছায় উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে বি-দায় সংবর্ধনা

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম এর বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব থেকে উপাধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল কে অবসর জনিত এবং নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম কে বদলি জনিত সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, ওসি রিয়াদ মাহমুদ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর ঈমান উদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবুল বাশার, সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসিবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জয়ন্ত ঘোষ, এসএফডিএফ কর্মকর্তা জিএম জাকারিয়া, উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বজল বিশ্বাস, আকরাম হোসেন ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ তোফায়েল আহমেদ তুহিন।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় জন্ম ও মৃ-ত্যু নিব-ন্ধন বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় জন্ম ও মৃ-ত্যু নিব-ন্ধন বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছা উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( সার্বিক) মোঃ হুসাইন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি রিয়াদ মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সুজন কুমার সরকার, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাশ, ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদার। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারী এবং গ্রাম পুলিশরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিগত এক বছরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি সরুপ লতা ইউনিয়ন এবং কইজ বিজয়ী ৩ জন কে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হুসাইন শওকত কপিলমুনি, হরিঢালী ও গদাইপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।