সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১১ নং রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে সরকার বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন সৈদারচালা ক্রীড়া যুব সংঘের আয়োজিত বিবাহিত বনাম অবিবাহিত হাডুডু ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার(২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পলাশতলী সৈদারচালা ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবঃ প্রফেসর ডাঃ সাইফুল ইসলাম।
হাডুডু ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য মোঃ হযরত আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক অধ্যাপক আনিসুর রহমান,উপজেলা বিএনপির সদস্য শামসুর রহমান সুমন,আব্দুল হাই আর্মি,পৌর বিএনপির সদস্য আজহারুল আলম রিপন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নূরে আলম উজ্জ্বল,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন জনি,আতিকুর রহমান সুজন শিকদার,মনিরুজ্জামান রাসেল,নাজমুল হক,মোজাম্মেল হক,গোলাম ফারুক, দেলোয়ার হোসেন আরিফ তরফদার,আজিজ প্রমুখ।
আয়োজিত ফাইনাল খেলার ফলাফল বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ৩ হাডুডু ।
Blog
-
ফুলবাড়ীয়ায় হাডুডু ফাইনাল খেলায় বিএনপির নেতা ব্রিগেঃ জেনাঃ ডাঃ সাইফুল
-
ডি-ভোর্সের পরও হে-নস্তা, ব্যবস্থা নি-তে চিঠি অতিরিক্ত ডিআইজির
রক্সি খান,
নিজস্ব প্রতিবেদক:অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ফাহিমা আক্তার।
সাবেক স্ত্রীর যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত নারীর নাম ফাহিমা আক্তার। তিনি তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন জাঁকজমকপূর্ণ জীবনাকাঙ্খা, জীবনযাত্রায় উভয়ের রুচি ও চাহিদার অমোচনীয় বৈপরীত্য, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর প্রতি নিদারুন অসম্মানজনক আচরণ ও ইচ্ছাকৃত অযত্ন অবহেলা, তীর অবাধ্যতা, আত্মীয়- অনাত্মীয় নির্বিশেষে পরিচিতজনদের নিকট মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসার বিস্তার ঘটাতে থাকা প্রকাশ্য অশান্তি ও বিশ্রী কলহ এবং ক্রমাগত চাপের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের প্রচলিত সকল আইন বিধিবিধান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি প্রতিপালনপূর্বক সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে সজ্ঞানে নিরাময় অযোগ্য কারণে দীর্ঘদিনের অসুস্থ ও অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে সরকারি বিবাহ তালাক ও নিবন্ধন (কাজী) অফিসে তালাক প্রদানে বাধ্য হই।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চিঠিতে লেখেন, এরপরেও বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমার আত্মীয় স্বজন, সহকর্মী, জুনিয়র ও পরিচিতজনদের কাছে চরম অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য ও বক্তব্য নানাভাবে প্রচার করে আমাকে কর্মস্থলে ও সামাজিকভাবে নিগৃহীত করার লক্ষ্যে অপমানকর পরিস্থিতি তৈরির অপরাধমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এবং দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘটিত একান্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও গোপনীয় তথ্যের অনৈতিক ও বেআইনী ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায়শই ব্ল্যাকমেইল করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়, যা চরম অশান্তিজনক, বিরক্তিকর ও মর্মপীড়াদায়ক।
তিনি বলেন, ডিভোর্স নোটিশ প্রাপ্তি হতে চূড়ান্ত নিবন্ধন পর্যন্ত ৩ মাস সময়কালে উক্ত বিষয়ে ডিভোর্স সংক্রান্তে বা অন্যবিধ কোনো আপত্তি বা অভিযোগ সে কোথাও দাখিল করেনি। আনুষ্ঠানিক বা পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ বা নিষ্পত্তির উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা না নিয়ে থাকলেও, তার সীমাহীন অর্থলিপ্সার বিষয়টি বিহিত করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না। কারণ চাকরির আয়ের বাইরে আমার অন্য কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল না ও নেই।
প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে, আমি চাকরিজীবনে কখনো কোনোরূপ দুর্নীতি করিনি বা অবৈধ উৎস উদ্ভূত অর্থ বা সম্পদ সংগ্রহ করিনি, যা আমার পরিবারসহ পরিচিতজন সকলেই সম্যকভাবে অবহিত। ফলে আমার সীমিত জ্ঞাত ও বৈধ আয়ের মধ্যেই ক্যান্সার সারভাইভার মাতার ব্যয়বহুল চিকিৎসাসহ সকল পারিবারিক চাহিদা প্রতিনিয়ত মেটাতে হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, তার চরম বিরক্তিকর মানহানিকর অসত্য বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডে আমি ভীতসন্ত্রস্ত এবং মানহানি ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার তার অপপ্রয়াস আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার, বৈধভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ও পারিবারিক জীবন পুনর্গঠন করার আইনি ও মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র সমাজ ও ধর্ম আমাকে উপযুক্ত কারণেই অবারিতভাবে দিয়েছে মর্মে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
এসব ঘটনা উল্লেখ করে বর্ণিত বিষয়সমূহের উপযুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখতে ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করার বদৌলতে ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করতে সহায্য প্রার্থনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফাহিমা আক্তারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাহিমা আক্তারের বড় ছেলে জয় বলেন, বিচ্ছেদের পরে আব্বু মাসে মাসে টাকা দিত, যতটুক দরকার আব্বু ততটুকই টাকা দিত। কম দিত না কখনো কিন্তু আম্মুর তাতেও হত না। অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রেসার দিত। আমাকে বলতো যে তোর বাপ তো টাকা দেয় না। কিন্তু যা যা লাগছে সবই দিত। আমাকে আব্বুর থেকে টাকা চাওয়ার অন্য প্রেশার দিতো। তো এটা নেয়া যায় না। এরকম মাসের পর মাস চলতে থাকতো।
তিনি বলেন, ঐরকম টক্সিক এনভারমেন্টে আমি থাকতে পারতেছি না, ওটা নিতে পারতেছি না। এজন্য আমি আমার ইউনিভার্সিটির পাশে বাসা নিয়ে একা থাকি।
মায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জয় বলেন, আম্মুকে নিয়ে আমি আগেও বলছি ফোনে বলছি এবং ফেস টু ফেস বলছি একই কথাআর এখনো যেটা বলব সেটা হচ্ছে আম্মু যে ভুলগুলা করছে এবং করতেছে প্রথমত সেটা ভুল আর অনৈতিক। উনি যে ভুলগুলো করতেছো বা যার ইনফ্লুয়েন্সে তুমি চলতেছ উনিও যে কিন্তু ভালো তাও না। একে তো ভুল ইনফরমেশনে চলতেছ আর ভুল ওয়েতে ডিমান্ড করতেছো। এটাতো লজিক্যালি ইথিক্যালি কোনোভাবেই ঠিক না। আর তোমার এই উল্টাপাল্টা প্রেসারে আমার একাডেমিক লাইফে প্রবলেম হইতেছে পার্সোনাল লাইফে তো শুরু থেকেই প্রবলেম যাইতেছে আমার সাথে। আমি আগেও বুঝেছি এগুলা বন্ধ করো এগুলা করলে কিছুই হবে না তোমার লস আমারও লস। কিন্তু সিচুয়েশন।
তিনি আরও বলেন, রিয়া জোয়ার্দার নামে একজনের সাথে আমার আম্মুর আগে যে কথা হয়, উনার সাথে যেরকম ভাবে কথাবার্তা বলতেছে আমার মনে হয় উনার ইনফ্লুয়েন্সেই আম্মু এরকম করতেছে। উনাদের মেইন কনসার্ন হচ্ছে আব্বুর থেকে টাকা বা প্রপার্টি কিভাবে আনা যায়। সেটা যেভাবেই হোক, ওনাদের এই একটাই গোল।
-
নলছিটির পানিতে প্লা-বিত বিভিন্ন অঞ্চল ত্রাণ নিয়ে হাজির হলেন ছাত্রনেতা রনি
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
আজ শুক্রবার নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল পানি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এ সময় গবাদি পশুর সহ অনেকেই নিরাপদ স্থানে ছুটে গিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় পানি বন্যায় খাদ্য অভাব দেখা দিলে দেখা দিলে নলছিটি উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম রনি তাৎক্ষণিক ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায় বন্যার্তদের মাঝে। বিশেষ করে নলছিটি উপজেলার বিষখালি নদীর পার্শ্ববর্তী রানাপাষা ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া এলাকায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন বন্যার পানিতে আমরা যখন দিশেহারা আমাদের প্রায় লোকের ঘরের ভাত রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে গিয়েছে। সময় মত যদি আমরা এই শুকনো খাবার গুলো না পেতাম তাহলে হয়তো বউ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হতো। এক বৃদ্ধ জানায়, এভাবে যদি সাইদুল ইসলাম রনি ভাইয়ের মত প্রতিটা নেতায় খেয়াল রাখত এবং সাথে সাথে আমাদের মাঝে আসতো তাহলে হয়তো এই দুঃখ কষ্ট থাকত না। এবং দোয়া করেন বলেন আল্লাহ তাকে দীর্ঘ আয়ু দান করেন।
-
মুরাদনগরের রোয়াচালা পশ্চিম স: প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী নিয়মের আগেই ছুটি দেওয়া হয়
কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,
নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করা হয় মুরাদনগর উপজেলার রোয়াচালা পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়! দেখা মিলেনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী কাউকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪: ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্কুল খোলার বিধান থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই ২-৩ টার মধ্যে স্কুলটি বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায় , বিকাল ৩টায় বিদ্যালয় ভবনে ঝুলছে তালা। নেই কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। সকল গেট তালাবদ্ধ।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, ৫ম শ্রেণির ইমরান, তৃতীয় শ্রেণির সামিয়াকে স্কুলের সামনে খেলাধুলা করতে দেখা যায় ৩টা ৩০ মিনিটে। তাদের কাছে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” প্রতিদিনই আমাদের ২-টা ৩ টায় স্কুল ছুটি হয়ে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে গেছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হয় না বলে বহু শিক্ষার্থী অন্যত্র চলে গেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিভাবকরা।
স্কুলের পাশের স্হানীয় ফয়সাল,, মো. হাসান, জালাল সেলিম ও ডাক্তার মহিউদ্দিনসহ আরো অনেকে জানান , কোনোদিন দেখিনি বিদ্যালয়ে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস হয়! ২টা বা ৩টার মধ্যে স্কুল বন্ধ করে গেট তালা মেরে শিক্ষকরা চলে যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজের মনমতো আসা-যাওয়া করে। এদের দেখার কেউ নেই৷ কিছু বললে করে রাগারাগি। ক্ষমতা দেখিয়ে বলে আপনারা পারলে কিছু করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুন্নাহার মুঠোফোনে বলেন, “সবসময় নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ হয় বললে ভুল হবে, আবার হয়না বললেও ভুল হবে যেহেতু আমি মুসলমান। সত্যিটা হচ্ছে মাঝে মধ্যে সময়ের আগে বন্ধ করা হয়। আসলে এজন্য আমি দুঃখিত।
মুরাদনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে স্কুল বন্ধ করে চলে যাওয়া কোনো বিধান নেই। এটি সুস্পষ্ট বিধি লঙ্ঘন। এবিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
কুমিল্লায় তু-চ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সং-ঘর্ষে ৪ জন গু-লিবিদ্ধ
কুমিল্লা থেকে মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় গরু ছুটে গিয়ে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধরা হলেন- রোকন আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০), জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), বশির আহম্মেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫)। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডাক্তার শিমা মজুমদার জানান, জুম্মার নামাজের পর তিন নারী ও এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ হোসনেয়ারা বেগম বলেন, বেলা সারে ১১ টার দিকে দোতলা মসজিদের সামনে শেখ ফরিদের লোকজন এসে আমাদের গুলি করে। এতে আমিসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছি।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদের মোবাইলে সাংবাদিকরা ফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। স্থানীয় দের দাবি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সংগঠিত করছে যারা তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক । কেননা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণ বিষয় টি স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
-
নেছারাবাদে ইউপি সদস্য ক্ষম-তাবলে সরকারি খাল দ-খল করে দোকান ঘর নির্মানের অ-ভিযোগ
আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।
আটঘর কুড়িয়ানা ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আন্দাকুল গ্রামে একটি বাণিজ্যিক খালের মোহনা ও পর্যটনকেন্দ্রের খাল দখল করে দুটি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত সবুজ মজুমদার নেছারাবাদ উপজেলার ৪নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন দক্ষিণাঞ্চলের বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারা এবং বিখ্যাত আমড়ার রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এ কারণে ওই ইউনিয়নটি একটি অঘোষিত পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। গ্রামের ভেতর থেকে বয়ে যাওয়া প্রধান খালের সঙ্গে সংযুক্ত ওইসব খাল। খাল দিয়ে চাষিরা নৌকা করে পেয়ারা বেচাকেনা করেন এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ট্রলার ও নৌকায় এই খালটি চলাচলের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
এমনকি যাতায়াতের জন্য নৌকা ও ট্রলারে করে আদমকাঠি, ভীমরুলি, সহ সাত আটটি গ্রামের মানুষ ঐ খালটি ব্যবহার করে । পেয়ারা ও আমড়া মৌসুমে ওই খাল দিয়ে নৌকা এবং পর্যটকদের ট্রলার চলাচল করে। খালের দুই পাড় দখল করে দোকানঘর নির্মাণে অস্তিত্ব হারানোর মুখে পড়বে খাল ও পর্যটনকেন্দ্রটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সবুজ মজুমদার বলছেন, তার জমিতে সরকার খাল কেটেছে। তাই খাল সরকারি হলেও জমি তার। এখন জায়গাটি দরকার হচ্ছে বলে দুজন গরিব মানুষকে ওই দোকানঘর তুলতে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আন্দাকুল ও জিন্দাকাঠি গ্রামের সংযোগকৃত ওই খাল আমাদের অতি দরকারি। খাল দিয়ে পেয়ারা ও আমড়া মৌসুমে শত শত নৌকা এবং ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের ট্রলার চলাচল করে। এভাবে খালের মুখ আটকে দখল করলে খালটি শিগগির অস্তিত্ব হারাবে। ভোগান্তিতে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। তারা বলেন, ইউপি সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সবুজ মজুমদার ক্ষমতাবলে তার নেতৃত্বে ওই দোকানঘর নির্মাণ করছেন।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে দেখা গেছে, খালের একপাশে একটি দোকানঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য একপাশ দিয়ে নতুন আরও একটি দোকানঘর তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সমরেশ মজুমদার ও শ্যামল মজুমদার নামে দুজন লোক ওই দোকানঘর তুলছেন।
এ বিষয়ে আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন সাউথ বাংলা নিউজকে জানান, বিষয়টি আমি জানি না। অভিযোগের সত্যতা থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।
-
মসজিদে টানা ২০০ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পেলো ৫ শিক্ষার্থী
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহে ২০০ ওয়াক্ত নামাজ টানা মসজিদে আদায় করে বাইসাইকেল উপহার পেয়েছেন ৫ শিক্ষার্থী। সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের সায়াদাতিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এসব বাইসাইকেল উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, শিশু কিশোরদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে এবং নামাজের প্রতি আগ্রহী করতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেয় মসজিদ কমিটি। দেশের প্রতিটি এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে শিশু-কিশোরদের মাঝে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলেও জানান এলাকাবাসী। মসজিদে নামাজ আদায় করে বাইসাইকেল উপহার পাওয়ায় খুশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।সায়াদাতিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, শিশু কিশোররা মোবাইল ফোন ও মাদকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এলাকার কিশোরদের মাদক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে এ উদ্যোগ নিই। অনেক শিক্ষার্থী উপহার পেয়েছেন। তারা খুশি। শিশু কিশোরদের ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষায় আগ্রহী করা গেলে সমাজটা সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা যাবে। বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও ১০ জন কিশোর ও বয়স্ক মুসল্লির মাঝে জায়নামাজ, টুপি ও মেসওয়াক উপহার দেওয়া হয়।
আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ। -
রাজশাহীর সেই ঢোপকল শুধুই স্মৃতি
মোঃ হায়দার আলীঃ রাজা নেই শাহী নেই রাজশাহী তার নাম” এই প্রবাদটি রাজশাহী শহরের নামের পেছনের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থার একটি সুন্দর চিত্র তুলে ধরে। এই প্রবাদটি মূলত বোঝায় যে, একসময় এই অঞ্চলে রাজা-জমিদারদের বসবাস ছিল এবং তাদের নামেই এই অঞ্চলের নামকরণ হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই রাজা-জমিদার বা তাদের \’শাহী\’ (রাজকীয় প্রভাব) আর নেই, প্রাচীন ঐতিহ্য: “রাজশাহী” নামটি এসেছে “রাজা” এবং “শাহী” শব্দ থেকে, যা ইঙ্গিত করে যে একসময় এই অঞ্চলে রাজা-জমিদারদের আধিপত্য ছিল। সময়ের সাথে সাথে সেই রাজকীয় প্রভাব আর নেই, অর্থাৎ রাজা-জমিদারদের যুগ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু শহরটির নাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বর্তমানে রাজশাহী একটি আধুনিক শহর, পরিচ্ছন্ন শহর যেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং আমের জন্য খ্যাতি রয়েছে, কিন্তু “রাজশাহী” নামটি তার ঐতিহাসিক নামের স্মৃতি বহন করে।
এই প্রবাদের সাথে “হাতি ঘোড়া কিছু নেই আছে শুধু আম” লাইনটিও খুব পরিচিত। এটি রাজশাহীর আমের প্রসিদ্ধির একটি উদাহরণ।
সুতরাং, “রাজা নেই শাহী নেই রাজশাহী তার নাম” এই প্রবাদটি রাজশাহী শহরের নামের পেছনের ইতিহাস, পরিবর্তন এবং বর্তমান অবস্থার একটি চমৎকার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। তবুও এই অঞ্চলের নাম রাজশাহী-ই রয়ে গেছে।
রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী, সবুজের শহর, আমরা চিনি তার মসৃণ রেশম, লাল-সবুজ আমের রাজ্য, আর পদ্মা, মহানন্দার শান্ত/অশান্ত স্বরে। কিন্তু রাজশাহীর এই পরিচিতির আড়ালেও লুকিয়ে আছে কিছু হারিয়ে যাওয়া শব্দ, হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। তেমনই একটি অনন্য সংস্কৃতির নাম “ঢোপ কল” – এক সময়কার শহরের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আজ যা কেবল স্মৃতি হয়ে আছে প্রবীণদের মনে।‘ঢোপ’ শব্দটি এসেছে হিন্দি ‘ধোপ’ থেকে, যার অর্থ ধোয়া বা ধোয়ানোর কাজ। আর ‘কল’ মানে কলস বা কলের জলধারা, অর্থাৎ পানি দেওয়ার যন্ত্র। রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় ‘ঢোপ কল’ বলতে বোঝায় এক ধরনের পাবলিক পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, যা সাধারণত হাত ঘুরিয়ে বা চেপে পানি বের করার জন্য ব্যবহৃত হতো। প্রায় ৮৭ বছরের কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রাজশাহীর “ঢোপকল” গুলো। আপনারা হয়ত অনেকেই এর সাথে পরিচিত নন। যারা রাজশাহীতে থাকেন বা গিয়েছেন তারা হয়ত এর সম্মন্ধে জানেন। আমি রাজশাহী শহরে থাকতাম শিক্ষা অর্জনের জন্য। প্রায় ছোট কাল থেকে এ শহর ও ঢোপকলের সাথে পরিচিত। এ ঢোপকলের পানিও পান করেছি এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহারও করেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা শহরে গিয়েছি কোথায় আমার দৃশ্য চোখে পড়ে নি। বাংলাদেশের অন্য শহরগুলোতে এমন কোন পানির কল হয়তো আপনাদেরও চোখে দেখিনি।
মূলতঃ এগুলো ১৯৩৭ সালে স্থাপন করা হয়। সে সময় রাজশাহী শহরে পানযোগ্য পানির খুব কষ্ট ছিল। বিশুদ্ধ পানির খুবই অভাব ঘটেছিল তখন। যার ফলশ্রুতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল কলেরা-আমাশয় সহ নানারকম পেটের পীড়া। বেশ কিছু লোকেরও নাকি মৃত্যুও ঘটেছিল সেই সময় এই অসুখের জন্য। জনশ্রুতি আছে রাজশাহীর জিরো পয়েন্টের “সোনাদীঘী” খনন করা হয় শুধুমাত্র পানযোগ্য পানি পাওয়ার জন্য। এই দীঘির পানি খুবই টলটলে ছিল। তবে এখন সেই দীঘিটিও নেই।
ঢোপকল গুলো লম্বায় প্রায় ভুমি থেকে ১২ ফিট উঁচু এবং ব্যাস প্রায় ৪ ফিট। ঢোপকল গুলো তৈরী করা হয়েছিল সিমেন্টের ঢালই করে। এই ঢোপকলের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঢেউ খেলানো একটা প্লাষ্টার করা হতো। যে নকশাটা করা হতো টিনের সাহায্যে। চারিদিকে টিনের একটা রাউন্ড বানিয়ে তার মধ্যে সিমেন্ট আর ইটের খোয়ার ঢালাই ঢেলে দেয়া হতো। এর ঢালাই খুবই শক্ত। সহজে কোন কিছুর ধাক্কায় বা আঘাতে এটা ভাঙ্গে না। এগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই করা হতো এবং সেখান থেকে এলাকাবাসী সেই পানি সংগ্রহ করতো।
এগুলো তৈরীর সময়ে রাজশাহী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন রায় ডি এন দাশগুপ্ত। তিনি তখন অনুভব করেন অতিসত্বর এলাকাবাসীর জন্য কিছু একটা করার। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে এমন পানির কল স্থাপন করার।
রাজশাহী শহরের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ঢোপকলের সঙ্গে রাজশাহীর সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। মহারাণী হেমন্ত কুমারীর প্রচেষ্টা ও অনুদানে ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দে রাজশাহী বাসীর জন্য সার্বক্ষণিক বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে পানি সরবরাহ প্রকল্প মহারাণী হেমন্ত কুমারী ওয়াটার ওয়ার্কস নির্মিত হয় যার অন্যতম নিদর্শন রাজশাহী শহরে অবস্থিত এই ঢোপকলসমূহ।
এই ঢোপকল তৈরীর সময়ে রাজশাহী পৌরসভার (বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন) দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন রায় ডি এন দাশগুপ্ত। সে সময় রাজশাহী শহরে পানযোগ্য পানির খুব কষ্ট ছিল। বিশুদ্ধ পানির খুবই অভাব ঘটেছিল তখন। যার ফলশ্রুতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল কলেরা-আমাশয় সহ নানারকম পেটের পীড়া। বেশ কিছু লোকের মৃত্যুও ঘটেছিল সেই সময় এই অসুখের জন্য।
রায় ডিএন দাশগুপ্ত রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান (১৯৩৪-৩৯) থাকাকালে রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেন। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানির কল স্থাপন করা হবে। ১৯৩৭ সালের অগাষ্ট মাসের কোন একটি দিনে মিনিষ্ট্রি অব ক্যালকাটার অধীনে রাজশাহী ওয়াটার ওয়াকর্স নামে পানি সরবরাহ ও বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় এবং ব্যয় করা হয় প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা। এই কাজে নগরীর নামকরা ধনী লোকেদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেই সূত্র ধরেই মহারাণী হেমন্তকুমারী নিজেই দান করেন প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। বিশাল অঙ্কের একক অনুদানের কারণে রাজশাহী জেলা বোর্ডের দান করা জমিতে মহারানী হেমন্ত কুমারীর নামেই ওয়াটার ওয়ার্কস স্থাপিত হয়। কালক্রমে তার নাম হেমন্তকুমারী ঢোপকল নামেই পরিচিত হতে থাকে
ব্রিটিশ আমলে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন মোড়ে, পাড়া-মহল্লায় বসানো হয়েছিল ঢোপ কল। তখনকার দিনে শহরে আধুনিক নলকূপ বা পানির লাইন সবার ঘরে পৌঁছায়নি। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী, ঘোড়ারগাড়ি চালক, পথচারীরা এই ঢোপ কল থেকে পানি সংগ্রহ করত। অনেকে এটিকে গোসলের জন্য, আবার অনেকে পারিবারিক নানা কাজে ব্যবহার করত।
ঢোপ কলের পাশে ছোট ছোট পাকা চাতাল বা মাচাও থাকত, যেখানে মানুষ বসে বিশ্রাম নিত, গল্প করত। অনেক সময় ঢোপ কল হয়ে উঠত পাড়া-মহল্লার এক সামাজিক মিলনস্থল।
ঢোপ কল কেবল পানি সংগ্রহের কেন্দ্রই ছিল না, এটি ছিল এক সামাজিক সংযোগস্থল। এখানে শিশুরা খেলা করত, বৃদ্ধরা বিশ্রাম নিত, আর মহিলারা একসাথে পানি তুলতে এসে পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে গল্প করত। অনেক বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, এমনকি বিবাদও জন্ম নিত এই ঢোপ কলের আশেপাশে।
১৯৮০ ও ৯০ দশকে শহরের পানি সরবরাহব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে ঢোপ কল ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। অনেক কল অকেজো হয়ে পড়ে, অনেক জায়গায় সেগুলো তুলে ফেলা হয়। নবীন প্রজন্মের কাছে ‘ঢোপ কল’ শব্দটাই এখন অচেনা, অজানা।
যদিও ঢোপ কল এখন আর ব্যবহৃত হয় না, তবুও এটি রাজশাহীর লোকজ ইতিহাস ও নগর সংস্কৃতির এক মূল্যবান অংশ। রাজশাহীর ঢোপ কল যেন এক হারিয়ে যাওয়া সুর, যেটি এখনো প্রবীণদের মনে বাজে। এটি কেবল একটি পানির কল নয়, ছিল একটি জীবনযাপন, একটি সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
লেখক : মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী, রাজশাহী। -
জয়পুরহাটে সেনা সদস্য পরিচয়ে বিয়ে করতে এসে বর ঘটক আ-টক
স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভুয়া সেনা সদস্য বর ছদরুল ইসলাম (৪১) প্রতারণা করে বিয়ে করতে এসে ঘটক আব্দুর রহিমসহ (৫৫) দুজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) উপজেলার পাঠানপাড়া হোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আটক ছদরুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিশপুকুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে এবং ঘটক আব্দুর রহিম জালাল উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ গ্রামে ভুয়া ওই সেনা সদস্য ঘটককে সাথে নিয়ে বিয়ে করতে আসে। এসময় বরের কথাবার্তায় কনের পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীরা বরের খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে বর ছদরুল ইসলাম একজন বিবাহিত ও সেনা বাহিনীতে চাকুরি করে না। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর স্থানীয়রা ভুযা সেনা সদস্য ছদরুল ও ঘটক আব্দুর রহিমকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তিনি সেনা সদস্য পরিচয়ে একাধিক বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার কৌশল ছিল। জানা গেছে, এর আগে জয়পুরহাটের পাচবিবি উপজেলার ছাতিনআলী গ্রামে এবং কালাই উপজেলার শাইলগুন গ্রামেও তার প্রতারণার শিকার হয়েছে একাধিক পরিবার।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা করে বিয়ে করতে এসে জনতার হাতে ঘটকসহ দুজন আটক হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারি কর্মকর্তার ছদ্মবেশ ধারণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেনা সদস্য পরিচয়ে বিয়ে ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
-
আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বি-মানের ফি-টনেস থাকেনা – নাহিদ ইসলাম
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
বিচার, সংস্কার ও দেশ পূর্ণ গঠনের লক্ষ্যে এবং নতুন দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র সুনামগঞ্জে পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ২ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় শেষে ,সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের প্রদান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত স্কয়ার উদ্দিন (ট্রাফিক পয়েন্ট) এসে সমাবেশে মিলিত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চল কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম,দক্ষিণ অঞ্চল কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন , কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিনাঞ্চলের যুগ্ম আহব্বায়ক অনিক রায়, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাঠোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, এনসিপি’র জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
সমাবেশে নাহিদ ইসলাম বলেন ৫ই আগস্ট গণভবনে গিয়েছিলাম, যে লক্ষে মার্চ টু ঢাকা করেছিলাম সেই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিপ্লব ও গণঅভ্যূথানের মধ্যে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছিলাম, আমরা এখন গণতান্ত্রিকভাবে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি আরও বলেন আমরা ফিটনেস বিহীন রাষ্টে বসবাস করি , যে দেশে মানুষের ফিটনেস নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই, বিমানের ফিটনেস নেই,রাষ্ট্রের ফিটনেস নেই, আমরা ফিটনেস বিহীন রাষ্ট্রের ফিটনেস ঠিক করতেই বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি। আগামীতে এদেশকে সংস্কার করে একটি সুন্দর বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জনগনের সাথে কাজ করে যাবে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন এবং আগামী নির্বাচনে এদেশের মানুষ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ক্ষমতা বসাবে বলে ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।##