Blog

  • রামগড়ে চিকিৎসক সংক-ট, স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চি-ত ল-ক্ষাধিক মানুষ

    রামগড়ে চিকিৎসক সংক-ট, স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চি-ত ল-ক্ষাধিক মানুষ

    এমদাদ খান রামগড় প্রতিনিধি

    খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বছর বছর জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা। ফলে রামগড় পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা থেকেও প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।
    ২০১৮ সালে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল কাঠামো রয়ে গেছে পুরনো অবস্থায়। বর্তমানে চিকিৎসকের ১৩টি পদের বিপরীতে স্থায়ীভাবে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩ জন চিকিৎসক, যার মধ্যে একজন নারী চিকিৎসক। ফলে নারী রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ এখন অনেকটা দুরূহ হয়ে উঠেছে।
    হাসপাতালের মেডিসিন, সার্জারি, চক্ষু, অর্থোপেডিক এবং চর্মরোগ বিভাগে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে সাধারণ চিকিৎসা সেবা তো দূরের কথা, জটিল রোগের চিকিৎসার কোনো সুযোগও এখানে নেই। জরুরি অবস্থা বা দুর্ঘটনায় পড়লে রোগী ও স্বজনদের দিশেহারা হতে হয়।
    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “জরুরি সেবা নিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কখনও কখনও চিকিৎসকই পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যেতে হয়।”
    শুধু রামগড় নয়, পাশের ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকার কয়েক হাজার মানুষও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল। তাঁদের ভোগান্তির চিত্রও একই রকম।
    চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি হাসপাতালের ল্যাবরেটরির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। জরাজীর্ণ যন্ত্রপাতির কারণে সঠিক রোগ নির্ণয় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে ভুল চিকিৎসার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
    নার্স, টেকনিশিয়ান ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট সার্বিক সেবাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে। হাতে গোনা কয়েকজন নার্স ও কর্মচারী দিয়ে পুরো হাসপাতাল চালাতে গিয়ে সময়মতো রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
    রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “চিকিৎসক ও জনবল সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। নতুন চিকিৎসক নিয়োগের আশ্বাস পেয়েছি।
    চিকিৎসক সংকটের এই পরিস্থিতিতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি ও প্রাথমিক সেবা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে।
    এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কেবল আশ্বাস মিলছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক রোগী চট্টগ্রাম, ফেনী এমনকি ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে চিকিৎসা ব্যয়, যাতায়াত খরচ এবং সময়ের অপচয় যেমন বাড়ছে, তেমনি জীবন ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এ চাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
    রামগড়বাসীর বহুদিনের দাবি — একটি কার্যকর, পূর্ণাঙ্গ ও জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চিকিৎসা সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠবে, যা মানুষের জীবন ও জীবিকায় দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

  • ময়মনসিংহে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ‘জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

    শনিবার (২৬জুলাই) সকাল ১০টায় নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস চিরস্মরণীয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় সকল শহীদের পরিবারের প্রতি সহযোগিতা থাকবে। পরপারে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে যেন ভালো রাখেন সেই দোয়া কামনা করি। বক্তব্যে প্রধান অতিথি এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

    অনুষ্ঠানে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন সমাজসেবা কার্যালয়ের ইমাম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দন।

  • ময়মনসিংহ সদরে জুলাই বিপ্ল-বকে স্ম-রণীয় করে রাখতে বই মেলার উদ্বোধন

    ময়মনসিংহ সদরে জুলাই বিপ্ল-বকে স্ম-রণীয় করে রাখতে বই মেলার উদ্বোধন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখতে ময়মনসিংহের সদর উপজেলা প্রশাসনের  আয়োজনে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। এবারের বইমেলাটি জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও তাৎপর্য বহন করছে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে আয়োজিত হয়েছে।

    শনিবার(২৬ জুলাই) দুপুর ১২ টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসন হল রুমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে জুলাই-আগস্ট মাসব্যাপী জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে প্রণয়নকৃত কর্মসূচির আলোকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় আগামী ২৬-২৮জুলাই পর্যন্ত আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এই বই মেলার উদ্বোধন করেন  জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার ভূমি সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ”প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত “এই মেলাটি জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও তাৎপর্য তুলে ধরবে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়ে  বলেন-বইমেলাটি ময়মনসিংহের সর্বস্তরের   জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক আয়োজন। এখানে বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যাবে এবং একই সাথে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকছে।

    তিনি বলেন- এই বছর বইমেলায় “জুলাই চত্বর” নামে একটি বিশেষ স্থানও রাখা হয়েছে, যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ও সামগ্রী পাওয়া যাবে। এবারের মেলায় জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন-বইমেলায় “জুলাই চত্বর” নামে একটি স্থান তৈরি করা হয়েছে, যেখানে এই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, যেমন – “৩৬শে জুলাই গণঅভ্যুত্থান”, “রক্তাক্ত জুলাই”, “জুলাইয়ের গল্প” ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও, মেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, এবং সেই সময়ের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন।

    একাডেমিক সুপার ভাইজার নারায়ন চন্দ্র দাস এর
    সঞ্চালনায় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মেহেদী হাসান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালী  ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম,শহীদ আব্দুল্লাহ আল মাহিন এর বাবা জামিল হোসেন,শহীদ সাগর এর পিতা আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীগণ।

    মেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার , উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা কৃষি অফিস,উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস,শিশু একাডেমি, জেলা প্রশাসন, চর খরিচা উচ্চ বিদ্যালয়,মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়,বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুলসহ ১৭ টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে। সহকারী কমিশনার ভূমি সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম পরে বই মেলায় অংশ গ্রহণকৃত বিভিন্ন  স্টল পরিদর্শন করেন।

  • সুন্দরগঞ্জে আলহাজ্ব আজিজুল হক স্মরণে হাজী সম্মেলন

    সুন্দরগঞ্জে আলহাজ্ব আজিজুল হক স্মরণে হাজী সম্মেলন

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৩তম হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

    শনিবার সকালে মরুয়াদহ বাগানের ঘাট আদর্শ বালিকা মাদ্রাসা মাঠে মৃত হাজী আজিজুল হকের স্মরণে সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের পৌর আমীর একরামুল হকের সভাপতিত্বে হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন,থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুস ছামাদ,  আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিক, হাজী আজিজুল হক মাস্টার, হাজী আব্দুর রাজ্জাক মহুরি, নূর আলম আজাদী,  হাজী মোফাজ্জল হক, সাবেক মেম্বার গোলাম মোস্তফা প্রমূখ। হাজী সম্মেলনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক গোলজার রহমান। যোহর বাদ হাজীদের আপায়ণের ব্যবস্থা করা হয়।

  • গোপালগঞ্জে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও মহিলা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অঃ দাঃ) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবির, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ হারুন অর রশীদ, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অঃ দাঃ) লাখসানা লাকী, গোপালগঞ্জ শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার মোঃ আল আমিন মোল্লা প্রমুখ।

    এ সময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অনিরুদ্ধ দেব রায় ও শাহরিয়ার আহমেদ, গোপালগঞ্জ প্রতিবন্ধী ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আনিসুজ্জামান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুলতানা জাহিদ পারভীন সহ জুলাই যোদ্ধারা ও তাদের পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করিরা শপথ বাক্য পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সরকারি শিশু পরিবার ও কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্য এবং সংগীত প্রশিক্ষকরা সঙ্গীত, হামদনাত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

    এছাড়াও জেলার মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • চারঘাটে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা

    চারঘাটে জুলাই পু-নর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রাশেদা পারভীন এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ও থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সমাজসেবা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপকারভোগী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • ৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিএইচডি টিভির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা

    ৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিএইচডি টিভির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    দেশে প্রথমবারের মতো অনলাইন মাল্টিমিডিয়া আইপি টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে ‘৭১ মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ভূষিত হলেন চ্যানেল সিএইচডি নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন ও সিএইচডি টিভির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা।

    গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটির হল রুমে আয়োজিত এক জমকালো আয়োজনে তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মীর হাসমত আলী। প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, এনটিভির পরিচালক নূর উদ্দিন আহমেদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা ও মনির খান, জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার এবং ইভেন্ট কমিটির সিইও হাসান ইকরাম।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্য সচিব ও ‘৭১ মিডিয়া ভিশন’-এর প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মনজুর হোসেন ইশা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক আর কে রিপন।

    অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামান-কে।

    এদিকে মাসুদ রানার এ অর্জনে আনন্দিত তাঁর শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী ও দর্শকরা। তাঁরা মনে করেন, দেশের একমাত্র সরকারি নিবন্ধিত চট্টগ্রামভিত্তিক আইপি টেলিভিশন হিসেবে সিএইচডি টেলিভিশনের এ সম্মাননা অর্জন শুধু মাসুদ রানার নয়, বরং গোটা চট্টগ্রামবাসীর গর্ব।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএইচডি টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মোস্তফা জাহেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর সৌদি আরব প্রতিনিধি মোহাম্মদ ফিরোজ, আব্দুল আওয়াল মুন্না সহ সিএইচডি টেলিভিশনের একাধিক রিপোর্টার ও স্টাফ। ২০২৫ সালের এই স্বীকৃতি মাসুদ রানার নেতৃত্বে আরও সৃজনশীল ও পেশাদার সংবাদমাধ্যম হিসেবে সিএইচডি টেলিভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে —এ প্রত্যাশা সকলের।

  • বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে গ্রে-প্তার গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক

    বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে গ্রে-প্তার গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক

    রাসেল শেখ,
    গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
    গাজীপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলার একটি রিসোর্ট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

    গ্রেপ্তার মো. নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জ উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মৃধার ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

    পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, হত্যা মামলার আসামি পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার একটি রিসোর্টে বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছেন। এমন খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আদালতে পাঠানো হবে।

  • ফুলবাড়ীয়ায় হাডুডু ফাইনাল খেলায় বিএনপির নেতা ব্রিগেঃ জেনাঃ ডাঃ সাইফুল

    ফুলবাড়ীয়ায় হাডুডু ফাইনাল খেলায় বিএনপির নেতা ব্রিগেঃ জেনাঃ ডাঃ সাইফুল

    সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১১ নং রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে সরকার বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন সৈদারচালা ক্রীড়া যুব সংঘের আয়োজিত বিবাহিত বনাম অবিবাহিত হাডুডু ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
    শুক্রবার(২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পলাশতলী সৈদারচালা ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবঃ প্রফেসর ডাঃ সাইফুল ইসলাম।
    হাডুডু ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য মোঃ হযরত আলী।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক অধ্যাপক আনিসুর রহমান,উপজেলা বিএনপির সদস্য শামসুর রহমান সুমন,আব্দুল হাই আর্মি,পৌর বিএনপির সদস্য আজহারুল আলম রিপন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নূরে আলম উজ্জ্বল,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন জনি,আতিকুর রহমান সুজন শিকদার,মনিরুজ্জামান রাসেল,নাজমুল হক,মোজাম্মেল হক,গোলাম ফারুক, দেলোয়ার হোসেন আরিফ তরফদার,আজিজ প্রমুখ।
    আয়োজিত ফাইনাল খেলার ফলাফল বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ৩ হাডুডু ।

  • ডি-ভোর্সের পরও হে-নস্তা, ব্যবস্থা নি-তে চিঠি অতিরিক্ত ডিআইজির

    ডি-ভোর্সের পরও হে-নস্তা, ব্যবস্থা নি-তে চিঠি অতিরিক্ত ডিআইজির

    রক্সি খান,
    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ফাহিমা আক্তার।

    সাবেক স্ত্রীর যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

    অভিযুক্ত নারীর নাম ফাহিমা আক্তার। তিনি তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন জাঁকজমকপূর্ণ জীবনাকাঙ্খা, জীবনযাত্রায় উভয়ের রুচি ও চাহিদার অমোচনীয় বৈপরীত্য, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর প্রতি নিদারুন অসম্মানজনক আচরণ ও ইচ্ছাকৃত অযত্ন অবহেলা, তীর অবাধ্যতা, আত্মীয়- অনাত্মীয় নির্বিশেষে পরিচিতজনদের নিকট মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসার বিস্তার ঘটাতে থাকা প্রকাশ্য অশান্তি ও বিশ্রী কলহ এবং ক্রমাগত চাপের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের প্রচলিত সকল আইন বিধিবিধান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি প্রতিপালনপূর্বক সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে সজ্ঞানে নিরাময় অযোগ্য কারণে দীর্ঘদিনের অসুস্থ ও অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে সরকারি বিবাহ তালাক ও নিবন্ধন (কাজী) অফিসে তালাক প্রদানে বাধ্য হই।

    অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চিঠিতে লেখেন, এরপরেও বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমার আত্মীয় স্বজন, সহকর্মী, জুনিয়র ও পরিচিতজনদের কাছে চরম অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য ও বক্তব্য নানাভাবে প্রচার করে আমাকে কর্মস্থলে ও সামাজিকভাবে নিগৃহীত করার লক্ষ্যে অপমানকর পরিস্থিতি তৈরির অপরাধমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এবং দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘটিত একান্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও গোপনীয় তথ্যের অনৈতিক ও বেআইনী ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায়শই ব্ল্যাকমেইল করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়, যা চরম অশান্তিজনক, বিরক্তিকর ও মর্মপীড়াদায়ক।

    তিনি বলেন, ডিভোর্স নোটিশ প্রাপ্তি হতে চূড়ান্ত নিবন্ধন পর্যন্ত ৩ মাস সময়কালে উক্ত বিষয়ে ডিভোর্স সংক্রান্তে বা অন্যবিধ কোনো আপত্তি বা অভিযোগ সে কোথাও দাখিল করেনি। আনুষ্ঠানিক বা পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ বা নিষ্পত্তির উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা না নিয়ে থাকলেও, তার সীমাহীন অর্থলিপ্সার বিষয়টি বিহিত করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না। কারণ চাকরির আয়ের বাইরে আমার অন্য কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল না ও নেই।

    প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে, আমি চাকরিজীবনে কখনো কোনোরূপ দুর্নীতি করিনি বা অবৈধ উৎস উদ্ভূত অর্থ বা সম্পদ সংগ্রহ করিনি, যা আমার পরিবারসহ পরিচিতজন সকলেই সম্যকভাবে অবহিত। ফলে আমার সীমিত জ্ঞাত ও বৈধ আয়ের মধ্যেই ক্যান্সার সারভাইভার মাতার ব্যয়বহুল চিকিৎসাসহ সকল পারিবারিক চাহিদা প্রতিনিয়ত মেটাতে হয়।

    অতিরিক্ত ডিআইজি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, তার চরম বিরক্তিকর মানহানিকর অসত্য বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডে আমি ভীতসন্ত্রস্ত এবং মানহানি ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার তার অপপ্রয়াস আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার, বৈধভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ও পারিবারিক জীবন পুনর্গঠন করার আইনি ও মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র সমাজ ও ধর্ম আমাকে উপযুক্ত কারণেই অবারিতভাবে দিয়েছে মর্মে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

    এসব ঘটনা উল্লেখ করে বর্ণিত বিষয়সমূহের উপযুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখতে ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করার বদৌলতে ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করতে সহায্য প্রার্থনা করেন তিনি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফাহিমা আক্তারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

    এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাহিমা আক্তারের বড় ছেলে জয় বলেন, বিচ্ছেদের পরে আব্বু মাসে মাসে টাকা দিত, যতটুক দরকার আব্বু ততটুকই টাকা দিত। কম দিত না কখনো কিন্তু আম্মুর তাতেও হত না। অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রেসার দিত। আমাকে বলতো যে তোর বাপ তো টাকা দেয় না। কিন্তু যা যা লাগছে সবই দিত। আমাকে আব্বুর থেকে টাকা চাওয়ার অন্য প্রেশার দিতো। তো এটা নেয়া যায় না। এরকম মাসের পর মাস চলতে থাকতো।

    তিনি বলেন, ঐরকম টক্সিক এনভারমেন্টে আমি থাকতে পারতেছি না, ওটা নিতে পারতেছি না। এজন্য আমি আমার ইউনিভার্সিটির পাশে বাসা নিয়ে একা থাকি।

    মায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জয় বলেন, আম্মুকে নিয়ে আমি আগেও বলছি ফোনে বলছি এবং ফেস টু ফেস বলছি একই কথাআর এখনো যেটা বলব সেটা হচ্ছে আম্মু যে ভুলগুলা করছে এবং করতেছে প্রথমত সেটা ভুল আর অনৈতিক। উনি যে ভুলগুলো করতেছো বা যার ইনফ্লুয়েন্সে তুমি চলতেছ উনিও যে কিন্তু ভালো তাও না। একে তো ভুল ইনফরমেশনে চলতেছ আর ভুল ওয়েতে ডিমান্ড করতেছো। এটাতো লজিক্যালি ইথিক্যালি কোনোভাবেই ঠিক না। আর তোমার এই উল্টাপাল্টা প্রেসারে আমার একাডেমিক লাইফে প্রবলেম হইতেছে পার্সোনাল লাইফে তো শুরু থেকেই প্রবলেম যাইতেছে আমার সাথে। আমি আগেও বুঝেছি এগুলা বন্ধ করো এগুলা করলে কিছুই হবে না তোমার লস আমারও লস। কিন্তু সিচুয়েশন।

    তিনি আরও বলেন, রিয়া জোয়ার্দার নামে একজনের সাথে আমার আম্মুর আগে যে কথা হয়, উনার সাথে যেরকম ভাবে কথাবার্তা বলতেছে আমার মনে হয় উনার ইনফ্লুয়েন্সেই আম্মু এরকম করতেছে। উনাদের মেইন কনসার্ন হচ্ছে আব্বুর থেকে টাকা বা প্রপার্টি কিভাবে আনা যায়। সেটা যেভাবেই হোক, ওনাদের এই একটাই গোল।