Blog

  • ময়মনসিংহ সদরে জুলাই পু-নর্জাগরণ‌ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহ সদরে জুলাই পু-নর্জাগরণ‌ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখতে ময়মনসিংহে জুলাই পুনর্জাগরণ‌ অনুষ্ঠানমালা উদযাপন উপলক্ষ্যে সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ০৩ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপ্ত হয়েছে।

    সোমবার (২৮ জুলাই) ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে ০৩ দিনব্যাপী এই বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়নসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান।

    প্রধান অতিথি বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, নিজেকে মানুষ রুপে প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। বই হতে পারে আমাদের সব থেকে বড় সঙ্গী। যার মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ মেধা বিকাশ ঘটে থাকে।

    তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে প্রভেদ করতে পারি। তাই আমাদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক গল্পের বই পড়তে হবে, যা আমাদের সঠিক মানুষ হওয়ার পথ-প্রদর্শক হতে পারে।

    সমাপনী বক্তব্য ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বই আমাদের পরম বন্ধু। তাই আমাদের সকলকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। তাহলেই আমরা নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

    এছাড়া ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী।
    অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ১৭ টি স্টলের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ করা হয়।

    এর আগে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও তাৎপর্য বহন এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে গত ২৬শে জুলাই শনিবার দুপুরে এই বই মেলার উদ্বোধন করা হয়।

  • ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আইন শৃ-ঙ্খলা উন্নতির লক্ষে মাসিক সভা

    ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আইন শৃ-ঙ্খলা উন্নতির লক্ষে মাসিক সভা

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিমাসের ন্যায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস মাহমুদা জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন থানা তদন্ত অফিসার ট্রমার্স বড়ুয়া,সাংবাদিকদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ লাভলু, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল নয়ন,সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস মিয়া,দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রিপন, ছাত্রপ্রতিনিধি মোঃমাসুদ আলম,মোঃ ইথার,জামাতের আমীর মোঃ রেজাউল করিম, এছাড়া বিজিবির প্রতিনিধি,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রমূখ।সভাপতির বক্তব্য বলেন ময়লা অপসারণের কমিটি গঠন করা হয়েছে, জায়গা নির্ধারনের কাজ চলমান, সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে অভিযান অব্যাহত আছে, লাইসেন্স বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে এবং ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

  • সার্জেন্ট মারুফ ভূঁইয়ার মাতার মৃ-ত্যুতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের শো-ক প্রকাশ

    সার্জেন্ট মারুফ ভূঁইয়ার মাতার মৃ-ত্যুতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের শো-ক প্রকাশ

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে কর্মরত দায়িত্বশীল সার্জেন্ট মো. মারুফ ভূঁইয়ার মাতা জনাবা হেলেনা বেগম আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তিনি গতকাল শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালের (CHP) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

    প্রয়াত হেলেনা বেগম ছিলেন একজন ধার্মিক, সৎ, সদালাপী ও মানবিক গুণে গুণান্বিত নারী। তিনি স্বামী, তিন পুত্র সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    গভীর শোক প্রকাশ:-হেলেনা বেগমের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার), গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকেও মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে। একইসাথে সার্জেন্ট মারুফ ভূঁইয়াসহ তার পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।

  • উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানার হ-স্তক্ষেপে ব-ন্ধ হল বা-ল্যবিবাহ

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানার হ-স্তক্ষেপে ব-ন্ধ হল বা-ল্যবিবাহ

    খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধি:
    কনের বাড়িতে বরযাত্রীকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে গেট। আপ্যায়নের জন্য ছিল সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। আজ রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ৩০-৪০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। চলছিল বরযাত্রী ও অতিথিদের আপ্যায়নের প্রস্তুতি। বিয়ের নিবন্ধনের জন্য কাজিকেও ডেকে আনা হয়।

    তবে বিপত্তি বাধে কনের বয়স নিয়ে। কনে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী ছাত্রী (১৫)। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায়, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানার উপস্থিত টের পেয়ে বরযাত্রীসহ বাড়ির লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়, পরে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার এবং গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মেয়ের বাবাসহ সবাইকে ডেকে নিয়ে আসেন । মেয়ের বাবা বাল্যবিবাহ এর কথা স্বীকার করেন। সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় , রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের, খারুভাজ গ্রামের আ: হালিম এর মেয়ে ১৪ বছর বয়সের নবম শ্রেণীর ছাত্রী , মোমিনাকে (ছদ্মনাম) বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তার পরিবার । খবর পেয়ে রাতে সেই বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় মেয়ের পিতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।

    ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিহত করুন , আর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।

  • প্রকাশিত সংবাদের প্র-তিবাদ করলেন মহিলা মেম্বর

    প্রকাশিত সংবাদের প্র-তিবাদ করলেন মহিলা মেম্বর

    বায়জিদ হোসেন,
    মোংলা প্রতিনিধি।

    “কাঠের ছাউনি আর দুর্নীতির ছত্রছায়া” মোংলায় নারী ইউপি সদস্য ফ্যাসিষ্ট জোসনা বেগমের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী” শিরোনামে রবিবার (২৭ জুলাই) বিভিন্ন অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১,২, ৩) জোসনা খাতুন।

    প্রকাশিত সংবাদটি বানোয়াট দাবি করে প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেছেন, সংবাদে যে প্রকল্পটির কথা বলা হয়েছে সেটি মাত্র শুরু করেছি, এখনো শেষ হয়ে পারেনি, তাতে দুর্নিতির কি প্রমানিত হয়। আমাকে অন্তত কাজটা শেষ করতে দেন। এসব আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ এসব করছে।

  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বীরগঞ্জে শ্রেষ্ঠ  শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বীরগঞ্জে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

    দিনাজপুর প্রতিনিধি-
    দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শালবন কমিউনিটি মিলনায়তনে ২৭ জুলাই রবিবার সকাল ১১ টায় জেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পারফরমেন্স বেজড প্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম এসইডিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসএসসি ও এইচএসসি সমমান ২০২২-২৩ সালে উপজেলায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান, ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে।

    জেলা শিক্ষা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো: আলাউদ্দীন আল আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা শিক্ষা ভবনের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো: শাহজাহান।

    এসময় সব কিছু তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ঢাকা সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এর যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম, বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতারা পারভীন সহ অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খলসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: আনিসুর রহমান আনিস, খামার খড়িকাদাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী সজিব চক্রবর্তী, দিনাজপুর সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ ফরহাদ আলী, জামিলা সিদ্দীকা বর্ষা প্রমুখ।

    এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ। সভা শেষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত ৩২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়া হয়।

  • চৌদ্দগ্রামে পানি ব-ন্দী ৭০ পরিবার দেখার যেন কেউ নেই

    চৌদ্দগ্রামে পানি ব-ন্দী ৭০ পরিবার দেখার যেন কেউ নেই

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম ডেকরা গ্রামে ৭০ টি পরিবার দীর্ঘদিন পানি বন্দি হয়ে আছে।দেখার যেন কেউ নেই। সরজমিনে ঘুরে এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ডেকরা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ৭০টি পরিবারে প্রায় এক হাজার লোক বসবাস করে। ওই ৭০ টি পরিবারের লোকজন বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন পানি বন্দী হয়ে আছে। জানা যায় অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তারা পানি বন্দি হয়ে পড়ে। পানি বন্দি হওয়া পরিবার গুলোর কোমলমতি শিশুরা স্কুল – মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এই নোংরা পানি দিয়ে সব সময় যাতায়াতের কারণে অনেকের এলার্জি চুলকানি দেখা দিয়েছে। এছাড়া রান্না বান্নার সরান জাম জোগাড় করতে পরিবার গুলো র দৈনন্দিন হিমসিম খেতে হচ্ছে। পাহাড়ি সাপের ভয় রয়েছে,

    পানি বন্দী পরিবারগুলোর দাবি জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে নজর দিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে পানি বন্দি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানালেন।

  • সুজানগরের গাজনার বিলে অভি-যান চালিয়ে নি-ষিদ্ধ চায়না দু-য়ারি জাল জ-ব্দ

    সুজানগরের গাজনার বিলে অভি-যান চালিয়ে নি-ষিদ্ধ চায়না দু-য়ারি জাল জ-ব্দ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে অভিযান চালিয়ে ৮০টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয় শনিবার উপজেলার মানিকহাট ও হাটখালী ইউনিয়নের গাজনার বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করে। পরে জব্দকৃত নিষিদ্ধ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ নির্দেশে জব্দকৃত নিষিদ্ধ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।যার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। এ সময় তিনি আরো বলেন, গাজনার বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম, রেনু পোনা ধ্বংসকারী এসব চায়না দোয়ারী জাল দিয়ে মাছ ধরা বেআইনি এবং জনগণের ভবিষ্যৎ স্বার্থের সাথে প্রতারনার সামিল। সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর সর্বদা সচেষ্ট, সেই সাথে ছোট মাছ ও মা মাছ নিধন থেকে জনগণকে বিরত থাকতে হবে উল্লেখ করে দেশীয় প্রজাতির প্রজননক্ষম মাছ ও পোনামাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় আটঘর কুড়িয়ানা বি-রক্তির কারন শ-ব্দদূষণ ও অশ্লী-লতা

    পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় আটঘর কুড়িয়ানা বি-রক্তির কারন শ-ব্দদূষণ ও অশ্লী-লতা

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত আমাদের স্বরূপকাঠির আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারাবাগান। সরু সরু খালের দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি পেয়ারবাগান দেখে পর্যটকদের মন জুড়িয়ে যায়। মৌসুম শুরুতেই পেয়ারাবাগানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা চড়ে ঘুরে বেড়ান দূর-দূরান্ত থেকে আসা তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের প্রকৃতি প্রেমিক ভ্রমণ বিলাসীরা। আষাঢ় শ্রাবণ সময়টায় প্রতিদিন হাজারও দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত এখন বাংলার আপেল খ্যাত কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান। গ্রামীণ জনপদে বিনোদন প্রেমীদের জন্য মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেয়ারাবাগান দিন দিন পরিণত হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রে।

    অথচ এই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেয়ারাবাগানে ঘুরতে আশা পর্যটকরা দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। দুঃখজনক বিষয়ে এই যে সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা নষ্ট হচ্ছে মাত্রাহীন শব্দদূষণ ও অশ্লীলতার আগ্রাসনের কারনে।উচ্চমাত্রার সাউন্ড সিস্টেমে বাজানো অশ্লীল নৃত্যভঙ্গি আর গানের কারণে পর্যটনের পরিবেশ যেমন কলুষিত হচ্ছে, তেমনি স্থানীয়দের জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে।

    এই পেয়ারার মৌসুমে ঢাকাসহ দূর-দূরান্তের নানা বয়সি ভ্রমণপিপাসু অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন পরিবার সহ । বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আসেন পেয়ারা বাগান দর্শনে। বিশেষ করে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বহু পর্যটকের সমাগম ঘটে এ এলাকায়। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি এ পেয়ারা বাগানে বিদেশি পর্যটকরাও আসে, বলতে গেলে সারা বছরই কমবেশি দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।

    পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত স্বরূপকাঠির আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ার বাগান এখন বিরক্তির কারন হলো শব্দদূষণ ও অশ্লীলতা। আগ্রহ হারাচ্ছে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আশা পর্যটকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা।

    কুড়িয়ানা ঘুরতে আশা ফিরোজ নামে একজন জানান, আমাদের স্বরুপকাঠি বরাবরের জন্য বিখ্যাত। যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষেরা ছারছিনার অলিরা শুয়ে আছেন এই মাটিতে। স্বরুপকাঠির সর্বস্তরের মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বদা স্বাচ্ছন্দ্যে মিলেমিশে বসবাস করেন তাদের প্রিয় জন্মভূমিতে। তবে যুগের পরিক্রমায়, অশ্লীলতার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে আমাদের স্বরুপকাঠি। আমরা আজ রুখে না দাড়ালে, অশ্লীলতায় ছেয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

    কুড়িয়ানা আর্য সম্মিলনী বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বাবু তাপশকর তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ট্যাগ করে পোষ্ট করেছেন, নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পেয়ারা মৌসুমে আটঘর কুড়িয়ানায় আগত উশৃংখল পর্যটকদের উৎপাত বন্ধে দয়া করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। নতুবা কুড়িয়ানা আর্য সম্মিলনী বিদ্যালয় তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখার অনুমতি দিন।আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চরম ব্যাঘাত ঘটে।

    কুড়িয়ানা পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মোঃ সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি, ডিসি মহোদয়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যাগ করে বলেন, কুড়িয়ানার ভাসমান পেয়ারা বাগানে পর্যটক ভ্রমণে শৃঙ্খলার অভাব ও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পর্যটকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, কুড়িয়ানা, দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম স্থান, এখানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পর্যটককে আকৃষ্ট করছে। চোখ জুড়ানো এই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে আসে।

    কিন্তু দুঃখজনক ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু ট্রলারে উচ্চস্বরে ডিজে সাউন্ডে বাজানো হচ্ছে অশ্লীল গান ও রুচিহীন কথাবার্তা—যা এই মনোরম পরিবেশের সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। শিশু, নারীনিরাপত্তা ও পারিবারিক ভ্রমণের জন্য এটি যথেষ্ট অস্বস্তিকর ও লজ্জাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
    এছাড়াও, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ ট্রলারে নেই কোনও লাইফ জ্যাকেট, দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। ট্রলারচালকরা খালের ভেতরে যথেচ্ছভাবে ট্রলার আডা আডি করে রাখায় অন্য অন্য ট্রলারগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যার ফলে যাত্রীদের নামা-ওঠা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খলা।

    স্বরূপকাঠীর আটঘর কুড়িয়ানা কেবল একটি ভাসমান নৌকা বা পেয়ারার হাট না , এটি একটি প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চল ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। এই মৌসুমে বর্ষাকালীন পর্যটক অবশ্যই চলবে, কিন্তু সেটি হতে হবে মার্জিত শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবেশবান্ধব ও সংস্কৃতিমনা সম্মত। সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা, কঠোর বাস্তবায়ন এবং এলাকাবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এখানেও গড়ে উঠতে পারে কেরালার মত বিশ্বমানের এক প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জনরে এসেছে, আমি জরুরি ভাবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো। একটি সার্কুলার জারি করবো এবং ঐ সার্কুলারটি নৌকায় নৌকায় টাঙানো থাকবে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করানো হবে। আমি ওসি সাহেবের সাথেও এ ব্যাপারে কথা বলেছি বিশেষ করে সাউন্ড বক্স এবং অশ্লীল নৃত্যভঙ্গির বিষয়ে আমরা জরুরি পদক্ষেপ নিবো।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

  • নড়াইলে ব-টি দিয়ে স্বামীর পু-রুষাঙ্গ কে-টে দেওয়ায় স্ত্রী গ্রে-ফতার

    নড়াইলে ব-টি দিয়ে স্বামীর পু-রুষাঙ্গ কে-টে দেওয়ায় স্ত্রী গ্রে-ফতার

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলের লোহাগড়া বটি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ায় স্ত্রী গ্রেফতার। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বটি দিয়ে বিল্লাল শেখ (৩৩) নামে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী রুমা বেগম (২৮) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, শনিবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    আহত বিল্লাল শেখ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া শেখের ছেলে। রুমা বেগম একই উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারোল গ্রামের ফরিদ শেখের মেয়ে।
    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া শেখের ছেলে বিল্লাল শেখের সাথে একই উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারোল গ্রামের ফরিদ শেখের মেয়ে রুমা বেগমের বিবাহ হয়। ওই দম্পত্তির একটি ১ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে রুমা বেগম বটি দিয়ে বিল্লাল শেখের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। অভিযোগ রয়েছে বিল্লাল শেখ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগম এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
    রোববার (২৭ জুলাই) সকালে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত বিল্লাল শেখ বলেন, রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি পরে রাত ১ টার দিকে আমার স্ত্রী রুমা বেগম বটি দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কাটতে থাকে ঠেকাতে গিয়ে আমার হাত ও কেটে যায়। পরে বাড়ির লোকজন আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। আমার ওইখানে ১২/১৪ টা সেলাই লাগছে। তবে পরকীয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে কি কারণে তার স্ত্রী এমন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন কারণ নেই এমনি এমন করেছে। আমি মামলা করবো। তবে অভিযুক্ত রুমা বেগম আটক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
    এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী রুমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ বা এজাহার পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।