Blog

  • গৌরনদীতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্র-তিযোগীতা  ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

    গৌরনদীতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্র-তিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি ।।
    ‎বরিশালের গৌরনদীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫। সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে এবং জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সহযোগিতায় গতকাল বিকেল ৪টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    ‎অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,‎“ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। বর্তমান সময়ে যুব সমাজকে মাদক ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কেবল শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশেই নয়, বরং একটি সুস্থ সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে”। ‎বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির। তিনি বলেন “মাদক আজকের সমাজের জন্য এক মহামারি। খেলাধুলা হলো সেই শক্তিশালী হাতিয়ার, যা যুব সমাজকে মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়”। ‎অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলি উল্লাহ, একাডেমিক সুপারভাইজার গৌরাঙ্গ প্রসাদ গাইন, গাউছিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রব, নাঠৈ রিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহিন, ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মানিক হাসান, নলচিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, পিঙ্গলাকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলি আজম। ‎এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও ক্রীড়া প্রেমীরা। ‎দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদেরকে ক্রীড়ার মাধ্যমে সুস্থ জীবন গঠন ও মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।

  • গোদাগাড়ীর মানবিক ইউএনওর হাটাৎ বদলী, মা-দক ও পুকুর সি-ন্ডিকেটের বিজয়

    গোদাগাড়ীর মানবিক ইউএনওর হাটাৎ বদলী, মা-দক ও পুকুর সি-ন্ডিকেটের বিজয়

    হায়দার আলী,
    নিজস্ব রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মানবিক ফয়সাল আহমদের হটাৎ বদলীতে গোদাগাড়ী পৌরসভা ও উপজেলাবাসী হতাশ। খাসপুকুর, মাদক, ভেজাল সিন্ডিকেটদের বিশাল বিজয়।

    মাত্র সাত মাসে গোদাগাড়ীর গরীব, দুস্থ, বিধবা, মুক্তিযুদ্ধা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রসমাজ, নির্যাতিত মানুষ, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী, যুবসমাজের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠা মানবিক ইউএনওর এমন বদলী কোনভাবেই সাধারণ জনগণ মেনে নিতে পারছেন না। তারা গোদাগাড়ীর গনমানুষের উন্নয়ন ও ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য সরকারের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট দাবী করছেন আরও কয়েক মাস উপজেলা নিবাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিয়ে সাড়ে ৪৫০ খাসপুকুর ইজারা দিয়ে সরকারের কোটি কোটি রাজস্ব আয় করার ব্যবস্থা করা। মাদকের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার।

    বদলিতে বিষন্নতা নেমে এসেছে সাধারন মানুষের মাঝে। তার অফিসে কারো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয় নি। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, গরীব, দুস্থ মহিলা, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, আদিবাসী সবাই অফিসে যেতেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ মনোযোগ সহকারী সবার কথা শুনতেন। সমাধান দিতেন। বাল্য বিয়ে, যৌতুক, মাদক,
    দখলবাজী, চাঁদাবাজী, চুরি, ছিনতাই অনেক অংশে কমে এসেছিল। ভেজাল বিরোধী অভিযানে তিনি শতভাগ সফল। তিনি একজন প্রশাসক হিসেবে নয়, সামাজসেবক, গোদাগাড়ীবাসীর কামলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার, শনিবারও অফিসে কাজ করতেন, দিন রাত পরিশ্রম করতেন, ভেজাল, মাদক, বাল্যবিয়ে, অবৈধভাবে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতেন।

    নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নিয়েছেন বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ, সেলাই, মালি, মুচিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
    চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন বাসীর জন্য করেছেন স্পিড বোর্ডের ব্যবস্থা যেখানে চর থেকে পার হতে সময় লাগতো প্রায় ১ ঘন্টা সেখানে ১০/১৫ মিনিট জরুরী সেবার ব্যবস্থা করেছেন

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পৌর সদর সহ গোল চত্তরে করেন সিসি ক্যামেরায় স্থাপন। যুবকদের মাদক থেকে সরিয়ে আনতে খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দিয়ে ২ পৌরসভা, ৯ ইউনিয়নে ৯৯ টি ক্লাব গঠন, খেলধুার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি পৌরসভায় শিশুদের বিনোদনের মিনি শিশুপার্ক তৈরী করছেন। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ছুটে গিয়েছেন গোদাগাড়ীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

    নিজ কার্যালয়ে বসে গণশুনানি করে মিটিয়েছেন অনেক বড় বড় বিরোধ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ইউএনওর বদলির আদেশটি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গোদাগাড়ীবাসী হারালেন একজন যোগ্য প্রশাসক ও অভিভাবক।

    সাধারণ গোদাগাড়ীবাসী বলছেন আরও কয়েক মাস সময় ইউএনও ফয়সাল আহমেদ সুযোগ পেলে উন্নয়ন কসর্মকাণ্ডগুলোর সুফল পেত, আসার আলো দেখত গোদাগাড়ীবাসী।

    তিনি মাদকপ্রবন এলাকা গোদাগাড়ীতে এসে প্রথমেই শুরু করেন মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, ভেজাল খাদ্য, ভেজাল তেল, নমেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, পুকুর খনন, রাস্তা চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসৃষ্টকরীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে গোদাগাড়ীর আইকনে পরিনত হয়েছন। গোদাগাড়ীর শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করা।
    গোদাগাড়ী পৌরসভার জন্মলগ্নে শিক্ষাবৃত্তি চিল না। চালুকরে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    ইউএনওর বদলীতে দারুিনভাবে হতাশ মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রাইসা ও মাফিয়া বলেন, আমরা পৌরসভা চিনতাম না, অনেকের অবস্থা একই। ১৫০০ টাকার বৃত্তি, দুটি বই, গাছ দারুন খুশি হয়েছিলাম। স্যারের বদলী কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম। স্যার এতসুন্দর গান পারেন আমরা জানতাম না। গোদাগাড়ীর সার্বিক উন্নয়নে আরও কয়েক মাস প্রয়োজন ছিল। উনার মহৎ কাজগুলি সারা জীবণ মনে থাকবে। উনি যেখানে যান আমাদের বিশ্বাস ভাল থাকবেন দোয়া ভালবাসা রইল।

    তবে বদলির বিষয়ে কথা হয় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ এর সাথে তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তা দেশের স্বার্থে দেশের জনগণের স্বার্থে সরকার যেখানে চাইবে এখানেই আমাদের যেতে হবে তবে গোদাগাড়ীবাসীর ভালোবাসার কথা সারাজীন মনে থাকবে। আমি আপনাদের প্রশাসক হিসেবে নয় কামলার মত কাজ করেছি। দিন যতদিন এখানে রিজিক ছিল ছিলাম, ভালকাজ করার চেষ্টা করেছি।

    এব্যাপরে গোদাগাড়ী সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান মাসুম বলেন, উনি অনেক ভালো মনের মানুষ। আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন।
    সেলাই প্রশিক্ষনের মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর বলেন, গতকাল ফয়সাল আহমেদ স্যারের বদলীর আমাদের সাবার
    মনখারাপ হয়েছে। যেন কোন কাজে@ মন বসেনি।
    সবাই আরও কয়েক মাস চেয়েছিলাম। উনার মাধ্যমে প্রশিক্ষনের সমাপ্তিটা ঘটবে। সবাই সেলাই প্রশিক্ষণ স্বপ্ন দেখতো, স্যার প্রশিক্ষণ শেষে মিনি গার্মেন্টসে করার জন্য টুলস, মেশিন কিনে দেয়ার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিন যেন সবকিছু এলোমেল হয়ে গেল।
    গোদাগাড়ী সার্বিক উন্নয়নে কারো সাথে তুলনা করা যাবে না। সাত মাসে উনি যা করেছেন ১৭ বছরে তা করতে পরেন নি।

    বিধবা সুরভী বলেন, দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেছেন, দুইটি ছেলে নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাই। অনেক আশাভরসা নিয়ে সেলাই প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করেছিলাম স্যারের বদলীতে সবশেষ।

    কুলসুম বেওয়া জানান, স্বামী ঢাকায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা মারা যান।
    ১ ছেলে ও ১ মেয়ে কষ্ট করে হাঁস – মুরগী পুষে ( পালন করে) ডিম বিক্রি করে সংসার চালাই। বাড়ীতে সেলাই মেশিন নেই। কেনার সামর্থ নেই। মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর ম্যাডাম যে কাজ দেন সেই কাজ সুঁই সুতা ব্যবহার করে করি। ফয়সাল আহমেদ স্যারের বদলীতে সব স্বপ্ন ভঙ্গ হলো।আল্লাহের প্রার্থানা করি স্যার যেন গোদাগাড়ীতে থাকেন।

    প্রতিবন্ধী কামরুল ইসলাম ও ঝর্না বলেন, আমি কাজ জানি, কিন্তু শিখার শেষ নেই। তাই তো উচ্চতর সেলাই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেছি। ইউএনও মহোদয়ের বদলীতে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে। আমাদের সেলাই প্রশিক্ষনের ভবিষ্যৎ শেষ। স্যারের

  • সুন্নত নামাজ না পড়ার অ-ভিযোগে মুখে টুপি চে-পে ছাত্রকে বেধ-রক মা-রপিট হুজুরের

    সুন্নত নামাজ না পড়ার অ-ভিযোগে মুখে টুপি চে-পে ছাত্রকে বেধ-রক মা-রপিট হুজুরের

     

    বাবুল হোসেন।
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    যোহরের নামাজে ফরজ শেষে সুন্নত না পড়ার অভিযোগে এক মাদরাসা ছাত্রকে মুখে টুপি গুজে করা হয়েছে বেধরক মারধর। এসময় লাঠি দিয়ে মুখে চেপে দেয়া টুপি গলায় ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ওই মাদরাসা শিক্ষক। এতে মাদরাসা ছাত্রের মুখের তালু কয়েক স্থানে ছিলে যায়। তবুও ক্ষান্ত না হয়ে কয়েকজন ছাত্র ভূক্তভোগীর দুই হাত ধরে থাকেন আর হুজুর দুই হাত, ঘাড়, গলা সহ কোমরের নিচে করেন বেধরক মারধর। কোনমতে পালিয়ে বাঁচতে চাইলেও আবারো ভূক্তভোগীকে মারধরের জন্য হুজুরের সামনে এনে দেয়া হয়। শিক্ষকের নির্মম মারধরের শিকার নাসির বর্তমানে হাসপাতালের বেডে মারধরের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। শিশুটির পুরো শরীর জুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। গেল বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় জেলা শহরের লিচুতলা এলাকার আত-তাক্বওয়া ওয়াস্সুন্নাহ হিফজ্ মাদ্রাসায়। মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন গুরুতর অভিযোগ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানায় আসাদুজ্জামান আসাদসহ তিন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই মাদরাসা ছাত্রের বাবা বেলাল হোসেন।

    এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাব্বির হোসেন নাসির (১২)। তার বাড়ি সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া এলাকায়। স্বর্ণকার বেলাল হোসেন ও গৃহিনী ইয়াসমিন আক্তারের একমাত্র ছেলে নাসির। সে মাদরাসাটিতে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছে।

    জানা গেছে, গত তিন মাস আগে মাদরাসাটিতে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় নাসির। ভর্তির কিছুদিন পরেই একবার মারধরের শিকার হয় সে। সেসময় বাড়িতে চলে গেলেও ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাতে হবে এমন দৃঢ়চিত্তে আবারো মাদরাসাতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় পরিবার। তবে এবারের মারধর যে অন্য সময়কে ছাড়িয়ে গেছে।

    ভূক্তভোগী মাদরাসা ছাত্র সাব্বির হোসেন নাসির জানায়, আমি সুন্নত নামাজ না পড়ায় আসাদ হুজুর আমাকে মারধর শুরু করে। আমি চিৎকার করলে আমার মুখে টুপি গুজে দিয়ে মারতে থাকে। কয়েকজন ছাত্র হাত ধরে থাকে আর তিনি আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারতে থাকেন। যেভাবে আমার মুখে টুপি গুজে দিয়েছে আরেকটু হলে আমি মরেই যেতাম। আমার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়ে গেছে।

    বাবা বেলাল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে এর আগেও নির্যাতন করা হয়েছে। ওইদিন যেভাবে মুখে টুপি গুজে দিয়ে মারধর করা হয়েছে তা বর্ণনা করার মতো নয়। কোন সুস্থ মানুষ একটা শিশুটিকে এভাবে মারধর করতে পারে না। আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ও কোনমতে পালিয়ে বেঁচে গেছে। এখন আবার আসাদ হুজুর আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

    এ ঘটনায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হন নি।

    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) রহিমুল ইসলাম বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালেই ভর্তি আছে। আমরা তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।

    পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ৬ মাসে ৯১টি হারানো মোবাইল ফোন উ-দ্ধার করেছে এপিবিএন

    ৬ মাসে ৯১টি হারানো মোবাইল ফোন উ-দ্ধার করেছে এপিবিএন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    চলতি বছরের গত ৬ মাসে ৯১টি জিডি তদন্ত করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডেডিকেটেড সাইবার ও সিডিআর অ্যানালাইসিস শাখা। একই সাথে অনলাইন আর্থিক প্রতারণার ৯০,৪৫০/- টাকা এবং ০২ টি হ্যাক হওয়া ইমো ও ফেসবুক আইডি উদ্ধার করেছে এপিবিএন।

    উদ্ধারকৃত হারানো মোবাইল ও বিকাশ/নগদে হারানো অর্থ বিতরণ সক্রান্তে সাইবার ক্রাইম সেল এপিবিএন মুক্তাগাছা আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এর এসব তথ্য জানান ২ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কুতুব উদ্দিন।

    এপিবিএন সুত্র জানিয়েছে-২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ কুতুব উদ্দিন এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২ এপিবিএন, সাইবার ক্রাইম সেল কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভিকটিম কর্তৃক প্রেরণকৃত মোবাইল হারানো সংক্রান্তে জিডি কপিসমূহ তদন্ত করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব হারানো মোবাইল, প্রতারণার অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মুক্তাগাছা কার্যালয়।

    ২ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কুতুব উদ্দিন বলেন, ২ এপিবিএন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে থাকে। আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে হারানো মোবাইল ফোনের জিডি সংগ্রহ করে থাকি। বিশেষ করে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনসহ দেশের বিভিন্ন থানা থেকে হারানো মোবাইল ফোনের জিডি সংগ্রহ পূর্বক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট পৌঁছে দিচ্ছি।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন ছাড়া যেন এক মুহূর্তও চলা কঠিন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে একেবারে জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই ডিভাইসটি। তবে এই অতিপ্রয়োজনীয় ডিভাইসটি যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে। চুরি বা ছিনতাইয়ের মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অনেক সময় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। যেমন-চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি কখনো কখনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল ও সিমের রেজিস্ট্রি অনুযায়ী এর প্রকৃত মালিক গ্রেপ্তার বা হয়রানির শিকার হতে পারেন। এসব বিবেচনায় ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য ২ এপিবিএন একটি ডেডিকেটেড সাইবার ও সিডিআর অ্যানালাইসিস শাখার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানায় গত ৩১শে জুলাই-২৫ তারিখে দায়ের করা ১৫২৬ নং জিডির বাদী জানায় ১১ মাস আগে জিডি করে থানায় দৌড়াদৌড়ি করে অবশেষে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন মুক্তাগাছার মাধ্যম আমার মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছি। ২ এপিবিএনে যোগাযোগ করলে আমার মোবাইলটি উদ্ধার করে। এতে আমার কাছ থেকে কোন চার্জ বা টাকা পয়সা নেয়নি পুলিশ।’ এ সময় মোবাইল ফিরে পেয়ে ২ এপিবিএনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

    পরবর্তীতে ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ কুতুব উদ্দিন এর উপস্থিতিতে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের অপস্ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার জিডি নং-২১০, তারিখ- ২৩/০৯/২০২৫ খ্রিঃ মূলে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন কোম্পানির ৯১ (একানব্বই) টি হারানো মোবাইল ফোন, বিকাশ একাউন্টে ভুলক্রমে চলে যাওয়া সর্বমোট ৯০,৪৫০/- (নব্বই হাজার চারশত পঞ্চাশ) টাকা এবং ০২ টি হ্যাক হওয়া আইডি প্রকৃত মালিকগণের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) (প্রশাসন ও অতিরিক্ত দায়িত্বে বিকিউএম), পুলিশ পরিদর্শক(সশস্ত্র) (এ্যাডজুটেন্ট), এসআই (নিরস্ত্র) অপারেশন ও ইন্টেলিজেন্স শাখা এবং সাইবার ক্রাইম সেলের এএসআই (নিরস্ত্র)সহ প্রমুখগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • মিছিল করে ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙ-চুর করল যুব-দল নেতা

    মিছিল করে ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙ-চুর করল যুব-দল নেতা

    রফিকুল ইসলাম,
    অবৈধভাবে সরকারি সুবিধা ও চাঁদা না দেওয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. বায়েজিদ আহম্মেদ কালু। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন ওই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বঙ্গ বাজারে মানববন্ধন করেন বায়েজিদ কালুর লোকজন।  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন উপজেলা যুবদল নেতা বায়েজিদ আহম্মেদ কালু তার অনুসারীদের নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মিছিলসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল পাশার বাসভবনের সামনে যান। পরে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউডিসি উদ্যোক্তার কক্ষে ভাঙচুর চালান তারা। এতে পরিষদের চেয়ার-টেবিল, কক্ষের দরজা ও  কম্পিউটার ভাঙা হয়। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ নথি হস্তগত করার অভিযোগ তোলেন চেয়ারম্যান। দেশের পট পরিবর্তনের পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ কব্জায় নেয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বায়েজিদ ও তার অনুসারীরা।
    এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল পাশাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেন বায়েজিদ কালু। এ কারণে নিরাপত্তা চেয়ে রাঙ্গাবালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন চেয়ারম্যান।

    ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল পাশা বলেন, “উপজেলা যুবদল নেতা বায়েজিদ কালু দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছেন। সরকারি প্রকল্প এবং জেলেদেও সহায়তার চালসহ অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করেছেন। আমি না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোকজন নিয়ে বাসার সামনে এসে গালাগালি করেন। আমাকে না পেয়ে পরিষদ ভাঙচুর করেন।”

    অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক মো. বায়েজিদ আহম্মেদ কালু বলেন, লোকজন মানববন্ধন করে যে যার মতো চলে গেছে। চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করে দায় এখন মানববন্ধন করা লোকজনের উপরে দিতে চাচ্ছে।

    রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, “সকাল ১১টার দিকে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে বায়েজিদ কালুর লোকজন মানববন্ধন করেছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে শুনেছি। এর আগে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে চেয়ারম্যান থানায় জিডি করেছিলেন।”

  • ময়মনসিংহ সদরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বি-তরণ

    ময়মনসিংহ সদরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বি-তরণ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    :ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় ৫২তম জাতীয় স্কুল ,মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৫সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্কুল,মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার।

    অনুষ্ঠানে নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন,জেলা।

    গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি লুৎফন নাহার
    প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণকারীদের উদ্যেশ্য করে বলেন- তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে শরীর ও মন ভালো থাকে। খেলাধুলা শারীরিক গঠনে সাহায্য করে এবং খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে দুরে রাখে। শরীর গঠন ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নাই। এতে যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করা যায়। তিনি বলেন, জয় পরাজয় বড় কথা নয়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ পায়। নিয়মিত খেলাধুলা করলে ছেলেমেয়েরা মাদকসহ নানা রকম খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। তাই তাদের লেখাপড়ার সাথে সাথে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। মোবাইল আসক্তি এড়িয়ে বেশী বেশী লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।

    কমিটির সদস্য সচিব জানান, এবার তিন দিনব্যাপি গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে বালক-বালিকাদের জন্য পৃথক পৃথকভাবে কাবাডি, ফুটবল, হ্যান্ডবল, দাবা, মুক্ত সাঁতার, চিৎ সাঁতার,বুক সাঁতার,প্রজাপতি সাঁতার, মিডলে রীলে সাঁতার প্রতিযোগিতা ছিল অন্যতম।

    আলোচনা শেষে বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ সহ বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী খেলোয়ারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

    জান গেছে,উপজেলা পর্যায়ের বিজয়ী খেলোয়ার শিক্ষার্থীরা এরপরে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

    অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রুকুনুজ্জামান সরকারসহ উপজেলা স্কুল,মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহে আফরোজ খান মডেল স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থী সং-বর্ধনা অ-নুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহে আফরোজ খান মডেল স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থী সং-বর্ধনা অ-নুষ্ঠিত

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আফরোজ খান মডেল স্কুল এর এস এস সি পরীক্ষা ২০২৫ ইং কৃতীশিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

    অতীতের মত আগামী দিনেও শিক্ষার্থীর যেনো তাদের সাফল্য ধরে রাখতে পারে সে লক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে তাদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য অনুপ্রাণিত করে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রভাতী শাখা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দিবা শাখা দুপুর ২,৩০ থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের এই সংবর্ধনা প্রদান করে আফরোজ খান মডেল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ময়মনসিংহের সচিব প্রফেসর মোঃ শফিউদ্দিন শেখ। আফরোজ খান মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরোজ উদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ময়মনসিংহের স্কুল পরিদর্শক প্রফেসর ড.মোঃ দিদারুল ইসলাম, আফরোজ খান মডেল স্কুল এর নির্বাহী কমিটির সভাপতি হাসিনা আফরোজ খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মনসুর আলম চন্দন প্রমুখ।

    এসময় কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ময়মনসিংহের সচিব প্রফেসর মোঃ শফিউদ্দিন শেখ বলেন-তোমরা যে সাফল্য অর্জন করেছ, তা এক দিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে তোমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, অধ্যবসায়, একাগ্রতা এবং সেই সাথে তোমাদের পিতামাতা ও শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা। তোমাদের এই অসাধারণ অর্জনের জন্য আমি তোমাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন
    মনে রেখো, এই সাফল্যই শেষ নয়, বরং এটি একটি নতুন যাত্রার সূচনা মাত্র। জীবনে আরও অনেক বড় লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ আসবে। তোমরা যারা আজ সংবর্ধনা পাচ্ছ, তারা একদিন এই সমাজের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে অসীম সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তোমরা দেশ ও দশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুলের গভর্নিং বডির নির্বাহী কমিটি, অভিভাবক সহ রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ময়মনসিংহ সদরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিত-রণ

    ময়মনসিংহ সদরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিত-রণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহী ও উৎসাহিত করতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে এই পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,মোঃ ওবায়দুল হক।

    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার কথাটা এখন সমাজে খুব একটা প্রচলন নেই বললেই চলে। আজকের এই শিক্ষক সম্মাননা আয়োজন আশার আলো দেখাচ্ছে। শিক্ষকেরা পথপ্রদর্শক, ড্রিম চেঞ্জার ও অনেক কিছু। আমরা এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়েছি, ডিজিটাল থেকে এআইয়ের যুগে এসেছি। যুগ পরিবর্তন হলেও শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক থাকবেই।’

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন। উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি আরো প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে।

    বক্তারা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে যে শিক্ষকেরা ক খ গ ঘ কিংবা এ বি সি ডি যেভাবে শিখিয়েছেন, এটা দুঃসাধ্য এক কাজ। তাঁরা যে পরিশ্রমটা করেছেন, মা-বাবার পরেই কিন্তু তাঁদের স্থান। এটা ছোটবেলায় মা-বাবার কাছে সবাই শুনেছেন। যখন সবাই বড় হয়েছেন, তখন উপলব্ধি করেন, কথাটা শতভাগ সত্য।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন-মেধাবী জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, কারণ তাঁরাই জাতির ভবিষ্যৎ শিশুদের জ্ঞান, নৈতিকতা, ও সৃজনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি করেন। একটি উন্নত জাতি গড়ে তুলতে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের পর্যাপ্ত সম্মান, মর্যাদা, ও বেতন নিশ্চিত করে মেধাবীদের এই পেশায় আকৃষ্ট করা জরুরি।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে-উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদা পারভীন,মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মেরিনা সুলতানা,মো: হারুন সিকদার,রুবি খান,আশীষ কুমার তরফদার,মিতালী বণিক,মো: সাদ্দাম হোসেনসহ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে  শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী বিএনপিতে যো-গদান

    ঠাকুরগাঁওয়ে শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী বিএনপিতে যো-গদান

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মো:মনসুর আলী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭নং চিলারং ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বী শতাধিক নারী-পুরুষ বিএনপিতে যোগদান করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৭নং চিলারং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসন্ন সার্বজনীন শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বী এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা
    প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। এ সময় জেলা নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে বরন করেন।

    শ্রী মলিন চন্দ্র সরকার ইউপি সদস্য, ২নং ওয়ার্ড, ৭নং চিলারং ইউপি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাবঃ আব্দুল হামিদ, সভাপতি
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, ঠাকুরগাঁও জেলা

    বিশেষ অতিথি: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, ঠাকুরগাঁও জেলা,
    জনাব মোঃ পয়গাম আলী বলেন,ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এত বিএনপিতে যোগদান প্রমাণ করে, দেশের মানুষ আর নির্যাতন, দুর্নীতি ও অবিচার মেনে নিতে চায় না।’ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাত শক্তিশালী করতে ধানে শীষে ভোট দিয়ে বিজয় করতে হবে।

    উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আমিনুর রহমান, আহবায়ক, ৭নং চিলারং ইউনিয়ন বিএনপি।
    জনাব মোঃ বজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক-১, ৭নং চিলারং ইউনিয়ন বিএনপি।
    জনাব মোঃ জয়নাল আবেদীন রাজা, যুগ্ম আহবায়ক, ৭নং চিলারং ইউনিয়ন বিএনপি।
    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন দলের সহ স্থানীয় সাধারণ ভোটার গন।

  • প্র-ভাবশালীদের ছ-ত্রছায়ায় বড় হওয়া জিসান অবশেষে পুলিশের জা-লে আ-টক

    প্র-ভাবশালীদের ছ-ত্রছায়ায় বড় হওয়া জিসান অবশেষে পুলিশের জা-লে আ-টক

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধি:

    চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের পিছনের গলি—যেখানে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধচক্রের আতঙ্কে ভুগছিলেন এলাকাবাসী। অবশেষে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও সরাসরি সহযোগিতা, এবং পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় চালানো কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।

    এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোঃ জাহাঙ্গীর এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসানের কঠোর তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ আরিফ হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অভিযুক্ত জিসান মির্জার বিরুদ্ধে ইপিজেড থানার মামলা নং-০৫, ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি চলমান ছিল। বহুদিন ধরে সে এলাকায় অপরাধচক্রের হয়ে কাজ করছিল এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার নেতৃত্বে এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।

    গ্রেফতারকৃত জিসান মির্জার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডার বাড়ি, ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে। তার পিতা মোঃ রাশেদ ও মাতা সুমি বেগম। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, পরিবার থেকেও তাকে অপরাধে নিরুৎসাহিত না করে বরং নীরব সমর্থন দেওয়া হতো, যা তাকে আরও ভয়ংকর রূপ দিয়েছে।

    জিসানের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। দীর্ঘদিনের আতঙ্ক থেকে মুক্তির আশ্বাস পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা জানান—”পুলিশ যদি এভাবে কঠোর অবস্থানে থাকে, তাহলে আমাদের এলাকায় এ ধরনের অপরাধচক্র টিকতে পারবে না।”

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ধরণের অপরাধচক্র ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে সিএমপি’র বন্দর বিভাগ নিশ্চিত করেছে।