Blog

  • বিএডিসির খাল এখন কৃষকের গলা-র কাঁ-টা খনন না করায় ঝিনাইদহে ত্রিশ গ্রামের দশ হাজার হেক্টর জমির ফসল ত-লিয়ে গেছে

    বিএডিসির খাল এখন কৃষকের গলা-র কাঁ-টা খনন না করায় ঝিনাইদহে ত্রিশ গ্রামের দশ হাজার হেক্টর জমির ফসল ত-লিয়ে গেছে

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    প্রথম দেখলে মনে হবে এ এক মহাসমুদ্র। চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। মাঠের পর মাঠ কৃষকের ফসলী জমি ডুবে আছে। কৃষকের রোপনকৃত হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষেত পানির নিচে। এ অবস্থায় কৃষকের আহাজারী দিনকে দিন বাড়লেও পানি নিষ্কাশনের কোন উপায় নেই।

    সরজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহের সদর উপজেলার সাধুহাটী ও মধুহাটী ইউনিয়নে বিএডসির খননকৃত খালগুলো ভরাট হওয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। পানি প্রবাহ না থাকায় মাঠের পর মাঠ ডুুবে আছে। এতে ওই এলাকার ত্রিশ গ্রামের কৃষক পড়েছে বিপাকে।
    তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সাধুহাটি ইউনিয়নের বংকিরা, নাথকুন্ডু, ডহরপুকুর, বেজিমারা, ছাইভাঙ্গা, পোড়াহাটি, শরৎগঞ্জ, আসাননগর, ভুলটিয়া, দশমাইল, জীবনে, ওয়ারিয়া, শ্যামনগর, ছয়ঘরিয়া, মামুনশিয়া, চোরকোল, শ্রীপুর, পয়াদপুর, রাঙ্গিয়ারপোতা, ডাকবাংলা, বেড়াশূলা, বাথপুকুর, মাটিকুমরা, নবিননগর, গোবিন্দপুর, যাদবপুর, গোপালপুর, দোবিলা গ্রামের মাঠ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
    এলাকার কৃষকদের ভাষ্য বংকিরা গ্রামের কাজলের খাল, পয়াদপুর খাল এবং মামুনশিয়া খাল দীর্ঘদিন খনন না করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে গত ৪/৫ বছর ধরে কৃষকরা সঠিকভাবে ফসল ফলাতে পারছে না। এ বছর টানা বৃষ্টিতে মাঠের পানি গ্রামের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
    বংকিরা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তারা বিএডিসি ঝিনাইদহ দপ্তরে যোগাযোগ করলে কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং ভরাট হওয়া খাল খনন করা হবে বলে জানান। কিন্তু তারা আশার বানী শোনালেও কোন কাজ হয়নি। কৃষকের জীবন মান উন্নয়নের জন্য বংকিরা গ্রামের কাজলের খাল, মামুনশিয়া খাল এবং পয়াদপুর খাল খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলেও ওই কৃষক জানান।
    রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, ১০ গ্রামের পানি কাজল খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই পানি ভেদড়ির বিল হয়ে মামুনশিয়া খাল দিয়ে পয়াদপুর খালের মাধ্যমে চিত্রা নদীতে পড়ে। কিন্তু উৎস্যমুখ কাজলের খাল ভরাট হয়ে কচুরিপনায় ছেয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে পারছে না। এতে বংকিরা, গোবিন্দপুর, মোহাম্মদপুর, আসাননগর, মামুনশিয়া ও চুয়াডাঙ্গার জীবনা গ্রামের পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃৃষ্টি হচ্ছে।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম মনসাদ জানান, জলাবদ্ধতার বিষয়টি তুলে ধরে তারা এলাকার খালগুলো খননের জন্য বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো তিনি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এলাকাবাসি দ্রুত খালগুলো সংস্কার করে কৃষকদের জনদুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান।
    এ বিষয়ে ঝিনাইদহ বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ কুমার বিশ্বাস জানান, কৃষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি সরজমিন পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে আছে। পানি বের হতে পারছে না। তিনি এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। আশা করা যায় দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে পারবো।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ

  • দোয়ারাবাজারে নিরীহ পরিবারকে ইউপি সদস্যের হুম-কি” জীবনের নি-রাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    দোয়ারাবাজারে নিরীহ পরিবারকে ইউপি সদস্যের হুম-কি” জীবনের নি-রাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    হারুন অর রশিদ।।
    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জামিল খাঁন কর্তৃক হত্যার হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওয়াহাব আলীর পরিবার।

    সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বোগলাবাজার ইউনিয়নের নোয়াডর গ্রামের ওয়াহাব আলী’র স্ত্রী ও পুত্র সন্তানেরা। এর আগে ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওয়াহাব আলী’র পুত্র সজিব মিয়া

    লিখিত সংবাদ পাঠে সজিব মিয়া বলেন,
    শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জামিল খাঁন’র গরু ওয়াহাব আলী’র পুত্র সজিব খাঁন’র ফসলি জমিতে রোপন করা ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে সজিব মিয়া গরুটির মালিকের পরিচয় জানতে চাইলে জামিল খাঁনের ছোট ভাই আল-আমিন খাঁন গরুটি তাদের নয় বলে অস্বীকার করেন। পরে সজিব মিয়া একটি পাইপ দিয়ে গরুর শরীরে আঘাত করলে গরুটি জামিল খাঁনের বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে সজিব মিয়া বাড়িতে চলে গেলে কিছুক্ষণ পর আল আমিন খাঁন উল্টো গিয়ে জিজ্ঞেস করে যে গরুর শরীরে আঘাত করলে কেনো! এবং আল-আমিন খাঁন অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় সজিব মিয়া গালিগালাজ করতে বারন করলে আল-আমিন খাঁন হুমকি দিয়ে চলে যায়। হুমকি দিয়ে বলে এর পরিনাম বুঝতে পারবি। এর কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্য জামিল খাঁন এবং আল -আমিন খাঁনের নেতৃত্বে তার ভাই লিটন খাঁন ও জামিল খাঁনের পুত্র রনি খাঁনসহ বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র, দা,ছুরি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে সজিব মিয়া’র বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্নালংষ্কার ও বসত ঘরে আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। অভিযোগ করে বলেন, এবিষয়ে শনিবার বিকালে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশের কোন তৎপরতা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।

    সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, জামিল খাঁনের একটি সিন্ডিকেট বাহিনী আছে। তাদের দিয়ে সীমান্ত চোরাচালান ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। নিরীহ মানুষের জমিজমা দখল করে। দল ক্ষমতায় না থাকলেও জামিল খাঁনের ভয়ে এলাকায় কেউ তাদের বিরোধিতা করতে সাহস পায়না।
    এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় জামিল খাঁন তার ছেলে এবং পুত্ররা ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি প্রদান করে, যদি থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে না নেওয়া হয়। তাহলে তাদেরকে এর খেসারত দিতে হবে। তাদেরকে প্রানে বাঁচতে দিবেনা। জামিল খাঁন কর্তৃক এমন হুমকির অভিযোগে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে নিরীহ এই পরিবার। নিজেদের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের সঠিক ভূমিকা ও হস্তক্ষেপ চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহাব মিয়া’র পুত্র মামলার বাদী সজিব খাঁন,শরিফ খাঁন, আব্দুল ওয়াহাব মিয়া’র স্ত্রী জমিলা খাতুন।
    এসময় নোয়াডর গ্রামের নুরান খানের পুত্র এমেল খাঁন,মোজাম্মেল খাঁন এর স্ত্রী বিলকিস আক্তার, মোশাররফ খাঁন এর স্ত্রী সগিতা আক্তার ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    থানায় দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আশরাফ উদ্দিন বলেন,রবিবার ঘটনাস্থলে গেলে বাদী সজিব মিয়াকে বাড়িতে না পাওয়ায় তদন্ত করা হয়নি। আজ আবারও যাবো।

  • বগুড়ায় মা-দকদ্রব্য নি-য়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের টিএমএসএস মা-দকাসক্তি নি-রাময় কেন্দ্র পরিদর্শন

    বগুড়ায় মা-দকদ্রব্য নি-য়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের টিএমএসএস মা-দকাসক্তি নি-রাময় কেন্দ্র পরিদর্শন

    জিএম রাঙ্গা।।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাসান মারুফ রবিবার বগুড়ায় অবস্থিত স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক মানের বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস পরিচালিত মানসিক রোগ, মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে মাদকাসক্তি প্রতিরোধ, নিরাময়ে সরকারি ও বে-সরকারি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষাবিদ ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে-আরা বেগম প্রতিষ্ঠিত টিএমএসএসের এই শীর্ষ পর্যায়ের ও আন্তর্জাতিক মানের সংস্থাটি পরিচালিত, নিরাময় কেন্দ্রটি পরিদর্শনের পর মহাপরিচালক কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। আলোচনা সভায় টিএমএসএস-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মের অহংকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক বিসিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি এম আলী হায়দার মাদকের ভয়াবহতা ও কুফলতা সম্পর্কে নানা পরামর্শ মূলক দিক নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন “টিএমএসএস দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।” তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই পরিদর্শনকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে বলেন “এটি আমাদের কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা যোগাবে।” মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফ টিএমএসএসের এই মহতী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও নিরাময়ে বে-সরকারি সংস্থার ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মাদকাসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি এবং এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সভায় অন্যদের মধ্যে টিএমএসএস হেলথ গ্র্যান্ড সেক্টর প্রধান উপনির্বাহী পরিচালক-২ রোটারিয়ান ডাঃ মতিউর রহমান ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পরিচালক অবঃ ব্রিঃ জেঃ ডাঃ মোঃ জামিলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে টিএমএসএস’র উপদেষ্টা, পর্ষদ পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, টিএমএসএস পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং মিডিয়া কর্মীসহ বহুসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সমাজের এই মারাত্মক ব্যাধি প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নতুন গতি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাসান মারুফ বগুড়ার টিএমএসএস পরিচালিত মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রটি পরিদর্শন করায় টিএমএসএস পরিবারের পক্ষ থেকে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও বিসিএল গ্রুপের এমডি টি এম আলী হায়দার তাঁর প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। মহাপরিচালককে টিএমএসএসের পক্ষ থেকে অভিনন্দিত করায় তিনিও সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

  • বাবুগঞ্জে বাস-মোটরসাইকেল সং-ঘর্ষে প্রা-ণ গে-লো এক যুবকের

    বাবুগঞ্জে বাস-মোটরসাইকেল সং-ঘর্ষে প্রা-ণ গে-লো এক যুবকের

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    আজ সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের কামিনী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কুয়াকাটাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
    স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার শব্দ শুনে তারা ছুটে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে মোটরসাইকেল আরোহী আর বেঁচে ছিলেন না, তবে নিহত নাম ঠিকানা এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
    এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে এখন এক মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
    নিত্যদিনের এই প্রাণহানির ঘটনা মানুষ আর মেনে নিতে পারছে না। জনসাধারণ দ্রুত ছয় লেনের মহাসড়ক বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে।
    জীবন এতটাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে, সকালে বাসা থেকে বের হলে কেউ নিশ্চিত না সন্ধ্যায় ফেরার সুযোগ মিলবে কি না!

  • বাবুগঞ্জে প্র-তিবন্ধী শিউলীকে তালিকাভুক্তের নি-র্দেশ দিলেন ইউএনও ফারুক আহমেদ

    বাবুগঞ্জে প্র-তিবন্ধী শিউলীকে তালিকাভুক্তের নি-র্দেশ দিলেন ইউএনও ফারুক আহমেদ

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা শিউলী আক্তারের নাম দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধীর তালিকায় না থাকায় মানবিক উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফারুক আহমেদ।

    তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেন যাতে শিউলীকে দ্রুত সরকারি প্রতিবন্ধী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং প্রযোজ্য সুবিধাগুলো প্রদান করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান এবং উপজেলা পরিষদের (সিএ) শাহরিয়ার বাবু।

    স্থানীয়রা ইউএনওর এই মানবিক সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

  • জামাগলঞ্জে কয়েকজন পুলিশ উপর হ-য়রানির অ-ভিযোগে  এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    জামাগলঞ্জে কয়েকজন পুলিশ উপর হ-য়রানির অ-ভিযোগে এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    কে এম শহিদুল্লাহ,
    সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি:
    সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানার পুলিশ কর্তৃক নিরীহ ব্যাক্তিদের গ্রেফতার ও হয়রানিসহ নারীদের সাথে অশালীন আচরণের প্রতিবাদে এবং পুলিশের উদ্যেশ্য মুলক হয়রানি থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার দুপুর ২ঘটিকায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ভাটি লালপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে স্থানীয় হাজারি মার্কেট পয়েন্টে শতাধীক ভূক্তভোগী নারী পুরুষের উপস্থিতিতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন
    জামালগঞ্জ থানাধীন ভাটি লালপুর গ্রামের বাসিন্দা ভূক্তভোগী মোঃ আব্বাস আলী, মোঃ ফরিদ আলী, মুর্শেদ আলম, সুলতান মিয়া, আব্দুর রহমান,সিদ্দিকুর রহমান, রেখা বেগম,নাসিমা বেগম,জোৎস্না বেগম,লায়লি আক্তার,জালেহা বেগম, সুফলা বেগমসহ আরোও অনেকে ।
    মানব বন্ধনে ভূকভোগী উপস্থিত নারীরা জানান গভীর রাতে জামালগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ হঠাৎ করে ঘরে ঘরে ডুকে ঘুমন্ত অবস্থায় নারীদেরকে টেনে হেঁচড়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং বিছানার কেতা বালিশ ছুঁড়ে ফেলে দেন। একজন আসামিকে খুঁজতে গিয়ে তাকে না পেয়ে সারা গ্রামবাসীকে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে হয়রানিসহ নিরিহ ৩ জনকে মামলা ছাড়াই ধরে নিয়ে যান পুলিশ। কান্না জড়িত কন্ঠে কয়েকজন নারী বলেন আমরা কিছুই জানিনা, অকারনেই আমাদের উপর কোন মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই জামালগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই টিংকু তার সাথে আরও ৫/৬ জন পুলিশ আমাদের ঘরে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে ডুকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন? শুধু তাই নয় ঘরে থাকা স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের সামনে পুলিশের ঘরে ডুকে তল্লাশি চালিয়ে এমন আচরণ সারা গ্রাম বাসির মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে? উপজেলার ভাটি লালপুর গ্রামে শতশত নারী পুরুষকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানিসহ গ্রামের মহিলাদের ঘরে ঘরে ডুকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ তাদের সাথে অসাধারণের প্রতিবাদে এবং নিরীহ গ্রামবাসীর মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পুলিশের এমন অসাধাচারণের বিচারের দাবি জানিয়ে এবং পুলিশের হয়রানি থেকে মুক্তির দাবী জানান ভূক্তভোগী গ্রামবাসী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।##

  • ‎পাবনায় প্রবীণ অধ্যাপককে কু-পিয়ে আহ-তকারী সন্ত্রা-সীদের দ্রুত গ্রে-প্তার দাবিতে মানববন্ধন

    ‎পাবনায় প্রবীণ অধ্যাপককে কু-পিয়ে আহ-তকারী সন্ত্রা-সীদের দ্রুত গ্রে-প্তার দাবিতে মানববন্ধন

    ‎পাবনা প্রতিনিধিঃ

    ‎পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীন শিক্ষক জওহরলাল বসাক তুলশীর উপর হামলা এবং তাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে পাবনার বিভিন্ন সংগঠন।

    ‎সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক পরিষদ ও ছাত্র শিবির এডওয়ার্ড কলেজ শাখা পৃথকভাবে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এছাড়াও সকাল ১১ টার দিকে শহরেরর জয় কালি বাড়ি মন্দির এলাকায় জেলা সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।

    ‎মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বসাক তুলশী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি পাবনার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক তিনি। তার উপর সন্ত্রাসী হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। যা দুঃখজনক। পুলিশ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা। 

    ‎বক্তারা বলেন, একটি শ্রেণীর লোকজন তার থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আল্লাহ তাকে হায়াত রেখেছেন বিধায় এখনো বেঁচে আছেন। চাঁদাবাজরা সব খানেই বেপরোয়াভাবে উঠেপড়ে লেগেছে। এদের লাগাম প্রশাসন ধরতে পারছে না। প্রশাসন থানায় বসে বসে কি করে যে একজন শিক্ষককে কুপিয়ে আহত কারীদের গ্রেফতার করতে পারছে না। অথচ সিসি ফুটেজ দিয়ে শনাক্ত করা সহজ। শনাক্ত না করে প্রশাসন শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র সমাজের সঙ্গে মশকরা করছেন। 

    ‎মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি- আরিফ হাসান, সেক্রেটারি মামুন আল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, শামসুজ্জোহা মুসলিম হল সভাপতি মেহেদী হাসান।

    ‎গত রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে প্রবীণ অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলশী (৭৭) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। আহত জওহরলাল বসাক তুলশী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তবে কী কারণে তার ওপর হামলা ও তার বাড়িতে তছনছ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তার উপর হামলার ঘটনায় পাবনার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোকজন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনা।।

  • জামালগঞ্জে শা-লিসি ব্যাক্তির উপর  মি-থ্যা মাম-লা দায়েরের প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মি-ছিল

    জামালগঞ্জে শা-লিসি ব্যাক্তির উপর মি-থ্যা মাম-লা দায়েরের প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মি-ছিল

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
    সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সেলিমগঞ্জ-শরীফপুর গ্রামে শালিসি ব্যাক্তির উপর, চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার বেলা ৩টায় জামাল গঞ্জ থানাধীন সেলিমগঞ্জ-শরীফপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে সেলিমগঞ্জ বাজার পয়েন্টে এই মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন শালিস ব্যক্তিত্ব মোঃ সামছুল হক, শরীরপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা বিলাল আহমদ,মোঃ নুরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন,ফিরোজ মিয়া,আফাজ উদ্দিন,আমির হোসেন,রফিক মিয়া,স্বপ্ন মিয়া,নাজির হোসেন, জসিম উদ্দিন,আনিস মিয়া, হাবিব মিয়া, সাবেক ফেনারবাক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডেরয় সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ফজলুল মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন মোদাব্বির হোসাইন, আব্দুল আওয়াল,জিন্নাত আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান, সালাউদ্দিন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
    মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন মিথ্যা মামলা দায়েরকারী শরীরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত রুহুল আমিননের পুত্র টগবাজ দিলোয়ার হোসেন( মরি)’র দায়ের করা মিথ্যা মামলার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং নিরীহ ব্যাক্তিদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তিসহ দাবি জানান মানববন্ধনে বক্তারা। এছাড়াও মানববন্ধনে এলাকাবাসী প্রায় কয়েকশত মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।###

  • মোস্তফা আলমের আজ প্রথম মৃ-ত্যুবার্ষিকী

    মোস্তফা আলমের আজ প্রথম মৃ-ত্যুবার্ষিকী

    পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোকাদ্দেস হায়াত মিলনের পিতা পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা আলমের আজ (২৮ জুলাই) প্রথম মৃত্য বার্ষিকী। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া খায়েরের আয়োজন করা হয়েছে।

  • মেধাবী ও অ-সচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিলো গোবিপ্রবি প্রশাসন

    মেধাবী ও অ-সচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিলো গোবিপ্রবি প্রশাসন

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ১০৯১ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে এমন উদ্যোগ নিলো প্রশাসন।

    আজ সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে প্রত্যেক সেমিস্টারের প্রথম থেকে পঞ্চম মেধাক্রমের ৮০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী ও ২৯১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়।

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দীন খান বলেন, মেধার স্বীকৃতির নজির স্থাপন করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যেমন বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত, এখানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা। বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠানের কথা না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইউজিসি সেই চেষ্টা করছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। যাতে প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা হিসেবে নিয়োগ পায়। তিনি আরো বলেন, আমি প্রত্যাশা করছি, বর্তমান প্রশাসন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ব্যক্তিগত এজেন্ডা সবসময় ক্ষতিকর। পূর্বে সকলে মিলে লেজুরবৃত্তিক চর্চা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চা হয়নি। নতুন জ্ঞান উৎপাদন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান দায়িত্বশীলরা সেদিকে মনোযোগী হবেন। কেননা আমরা হাজারো লাশের বোঝা বহন করে চলছি।

    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই আমরা পাহাড়সম সমস্যা থেকে বেরোনোর প্রয়াস চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উদ্যমী করে তুলতে আজকে ২১ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করে মেধাবৃত্তি দেয়া হলো। এর আগে আমরা ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। এছাড়াও স্বনির্ভর কর্মসূচিতে ১০০ শিক্ষার্থী নিয়োজিত রয়েছে। এই কর্মসূচি বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিমাসে দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। আমরা এতোসব করছি, কারণ আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হোক। আমরা ইউজিসির সম্মানিত সদস্য ড. তানজিমউদ্দীন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,  সম্প্রতি আমাদের দুটি বিভাগ হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত হয়েছে। আপনারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা এবং অডিটোরিয়াম, রাস্তাঘাট তথা অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করবেন। যাতে করে শিক্ষার্থীরা বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে।   

    বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, মেধার পরিচয় দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা আজকে বৃত্তি গ্রহণ করছে, তাদের প্রতি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইলো। তারা যেনো শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সেই প্রত্যাশা করছি। শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে, আজ থেকে তাদের সফলতার শুরু; তাই থেমে গেলে চলবে না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আজকের এই স্বীকৃতি ছোটো হলেও এর ভারত্ব অনেক বেশি। কারণ এটি মনে প্রাণে ধারণ না করলে সামনে এগোনো সম্ভব নয়।

    গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গোপালগঞ্জের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শিক্ষার্থীরা যাতে আরো বেশি গবেষণামুখী হয়ে ওঠে, তাদের গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ পায়; একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান প্রজেক্টগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সেজন্য ইউজিসি ও সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

    এ সময় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেধাবৃত্তির স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের সুস্থ প্রতিযোগিতার পথে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ক্যারিয়ার গড়তেও সাহায্য করবে।

    এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।