Blog

  • পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ৪৭ নেতার বি-রুদ্ধে স-ন্ত্রাস বি-রোধী আ-ইনে মাম-লা

    পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ৪৭ নেতার বি-রুদ্ধে স-ন্ত্রাস বি-রোধী আ-ইনে মাম-লা

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় সদর থানায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৪৭ জন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও গোপনে সংগঠিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বাদী হয়ে গত ২৬ জুন মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১২ মে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপরও ২৬ জুন পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ইউনিয়নের বজরা বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার ধাক্কামারা ইউনিয়নের কাজীপাড়ার খামারবাড়িতে দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন চলছে।

    পুলিশের তথ্যমতে, ওই বাসায় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী মৌসুমীর নেতৃত্বে প্রায় ১১০-১২০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা, “জয় বাংলা” ও “জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান, খাবার বিতরণ এবং নগদ টাকা প্রদান করা হয়। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের উস্কে দেন ও উৎসাহ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

    মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকার উৎখাত, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। এমনকি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি ভিডিও ধারণ করে ‘আওয়ামীলীগ নিউজ বিডি’ নামক একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেইজে প্রচার করা হয়, যা জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে।

    পুলিশ অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত টের পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার ও জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

    মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন: নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, কাজী মৌসুমী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মুক্তার স্ত্রী, আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, আনোয়ার সাদত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জাকিয়া খাতুন, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, নিলুফার ইয়াসমিন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগ জেলা সভাপতি, এস এম হুমায়ুন কবীর উজ্জ্বল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমিরুল ইসলাম, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, কাজী আল তারেক, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি, হাসনাত মোহাম্মদ হামিদুর রহমান, পৌর যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর, কামরুজ্জামান শেখ মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, সুজাউদ দৌলা সুজা, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি, মামুনুর রশিদ লায়ন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি

    এছাড়াও আরও ৩৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, “সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

  • গ্রামবাসীর ধা-ওয়া খেয়ে প্রা-ণ বাঁ-চাতে গাড়ি ও গরু রেখে পা-লালেন চো-র চক্র

    গ্রামবাসীর ধা-ওয়া খেয়ে প্রা-ণ বাঁ-চাতে গাড়ি ও গরু রেখে পা-লালেন চো-র চক্র

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গভীর রাতে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পিকআপ ভ্যানসহ গরু রেখে পালিয়ে গেছে চোর চক্র। পরে ২ টি গরু ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

    গত রোববার গভীররাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন দীপ্ত বলেন, রাত ৪ টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই পূর্বপাড়া গ্রামের ব্রীজের কাছে একটি পিকআপ গর্তে চাকা আটকে পড়ে আছে। পিকআপের ভিতর ২ টি গরু রয়েছে। ধারণা করছি গভীর রাতে গ্রামের ভিতর গাড়ির শব্দে এলাকার কয়েকজন ছুটে এলে ২টি গরুসহ গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা। গ্রামের কার্তিক মুখার্জীর ছেলে সঞ্জয় মুখার্জী ১টি গরু তার বলে সনাক্ত করেছেন। অপর গরুর মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। গরুসহ পিকআপটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সঞ্জয় মুখার্জী বলেন, লোকজনের শোরগোল শুনে এসে দেখতে পাই আমার ১টি গরু পিকআপ ভ্যানে। কখন কিভাবে চুরি হলো বুঝতে পারিনি।

    কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, এলাকায় মাদক ও চুরির উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম পুলিশের সদস্যদের রাতের বেলা এলাকায় টহল কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় পাড়া- মহল্লায় মাদক ও চুরির অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের উচিত গ্রাম পুলিশদের কার্যক্রম জোরদার করা।

  • কুমিল্লায় মা মেয়ের লা-শ উ-দ্ধার, ধারনা আ-ত্মহত্যা,

    কুমিল্লায় মা মেয়ের লা-শ উ-দ্ধার, ধারনা আ-ত্মহত্যা,

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,
    কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। আজ

    ২৯ জুলাই ভোরে আহলে হাদিস মসজিদ সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ স্থানীয়রা পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা দু’জনেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর এলাকার মীর হোসেনের স্ত্রী জাহেদা আক্তার (৩৫) এবং তাদের মেয়ে মিশু আক্তার (১৭)। জানা গেছে।
    মা মেয়ে আজ ১১দিন ধরে কুমিল্লার রামপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, অভাব-অনটন এবং ঋণের চাপের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন মা-মেয়ে। কুমিল্লার জিহান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন তারা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ঋণের বোঝা আর আর্থিক সংকটের চাপে তারা বিষপান করে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা,

    বিষয়টি সম্পর্কে রামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক ও মিজানুর রহমান বলেন, “মা ও মেয়ে দুজনই জিহান ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। তারা খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”

    বুড়িচং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলের প্রেক্ষাপটে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে মৃত্যুটি আত্মহত্যা কিনা, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে।

    মা ও মেয়ের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার ও পুলিশ।

    প্রতিবেশীরা বলছেন, এমন একটি মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।

  • পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলশীর উপর হা-মলার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন

    পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলশীর উপর হা-মলার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু,
    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলশীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। 

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

    মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, জওহরলাল বসাক তুলশী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, তিনি পাবনার সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তার উপর সন্ত্রাসী হামলা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। এখনও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। যা দুঃখজনক। পুলিশের গাফিলতি কোনোভাবে মেনে নেয়া যায না। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

    মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নুর মাসুম বগা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়ামিন খান, সদস্য সচিব কমল শেখ টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক দীপঙ্কর সরকার জিতু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোলাম জাহিদ রুপম, এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম সহ অনেকে।

    গত রোববার দুপুরে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ঢুকে প্রবীণ অধ্যাপক জওহরলাল বসাক তুলশী (৭৭) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা একটি ফোন ছিনিয়ে নিযে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে চলে যায়।

  • ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই আ-ন্দোলন কেন্দ্রিক বু-দ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডি-সকাশন

    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই আ-ন্দোলন কেন্দ্রিক বু-দ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডি-সকাশন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক ‘বুদ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডিসকাশন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এদিন সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে দেশের নবীন প্রজন্ম কি ভাবছে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তারা কিভাবে অবদান রাখতে পারে, এ বিষয়সমূহকে সামনে রেখে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলা স্কাউটের নবীন প্রতিনিধি এবং স্কুল শিক্ষার্থীগণ মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

    সভায় শিক্ষার্থীগণ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মুখস্তবিদ্যার যে ধারা প্রচলিত রয়েছে, তার পাশাপাশি স্কিলকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উল্লেখ করেন। শিক্ষাজীবনেই ছাত্র-ছাত্রীদের আইটি, কৃষির মতো বিভিন্নক্ষেত্রে স্কিল বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা গেলে দেশ যেমন নতুন উদ্যোক্তা পাবে, তেমনি বেকার সংকট কাটিয়ে উঠতেও তা সহায়ক হবে। নবীন স্কাউট সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা তাদের আলোচনায় ছাত্রদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি, দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জুলাই আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা এবং তাদের মতামত গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে দেশের সামগ্রিক পরিমণ্ডলে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের পটপরিক্রমায় রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্পর্কে সভাপতি আলোচনা করেন। ছাত্রদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা করতে এবং জানতে বলেন।

    সভাপতি বলেন, যেকোনো বিপ্লবের সাথে জনগণের সমর্থন না থাকলে সে বিপ্লব সফল হয় না। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে দেশের জনগণ একাত্ম হয়েছিলো বলেই এই আন্দোলন সফলতা লাভ করে। জুলাই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বেহাত হয়ে যেতে পারে, যদি এই আন্দোলনের স্পিরিটকে হৃদয়ে ধারণ করা না যায়।

    প্যানেলভিত্তিক ডিসকাশনে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা, জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাগরের পিতা, শিক্ষক, স্কাউট সদস্য ও স্কুলশিক্ষার্থী এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • কুড়িগ্রামে হিন্দু পরিবারের স-ম্পত্তি ও জীবনের নি-রাপত্তা চেয়ে সংবাদ স-ম্মেলন

    কুড়িগ্রামে হিন্দু পরিবারের স-ম্পত্তি ও জীবনের নি-রাপত্তা চেয়ে সংবাদ স-ম্মেলন

    এম এস সাগর,

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ বাজারের হিন্দু পরিবারের সম্পদ রক্ষা এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব নাগেশ্বরীতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার মৃত কালীপদ দাসের সহধর্মিনী লীলা রানী ও তার পুত্র রামকৃষ্ণ দাস বক্তব্য দেন।

    এসময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী লীলা রানী ও তার পুত্র রামকৃষ্ণ দাস জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রায়গঞ্জ বাজারে অবস্থিত জমিতে বসতভিটায় পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করছেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে রায়গঞ্জ বাজারের ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে এক দল দুর্বৃত্ত গত-(২৭জুলাই) রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ১টা ৩০মিনিটে লীলা রানী ও রামকৃষ্ণ দাসের বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো সহ মমতা রানী, রামকৃষ্ণ ও প্রাণকৃষ্ণকে পিটিয়ে আহত করে। ভুক্তভোগীরা প্রাণে বাঁচার তাগিদে নাগেশ্বরী থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অতঃপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগও করেছেন।

    ভুক্তভোগী লীলা রানী ও তার পুত্র রামকৃষ্ণ দাসের পরিবার জানায়, গত-২৮জুলাই গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রফিকুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও পরিবারের সদস্য মমতা রানী, রামকৃষ্ণ ও প্রাণকৃষ্ণকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় লিখিত অভিযোগ করায় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    নাগেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম (রেজা) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • জুলাই বি-প্লবের বর্ষপূর্তিতে গোবিপ্রবিতে বিনামূল্যে হেলথ ক্যা-ম্প

    জুলাই বি-প্লবের বর্ষপূর্তিতে গোবিপ্রবিতে বিনামূল্যে হেলথ ক্যা-ম্প

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

     জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) বিনামূল্যে হেল্থ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। 

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হেল্থ ক্যাম্পে সার্বিক সহায়তা করেছে নাক, কান ও গলার বিশেষায়িত হাসপাতাল সোসাইটি ফর অ্যাসিস্ট্যান্স টু হিয়ারিং ইম্পেয়ার্ড চিলড্রেন (সাহিক)।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে হেল্থ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

    দিনব্যাপী এই হেল্থ ক্যাম্পের কার্যক্রম চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। যেখানে সেবা প্রদান করেন নাক, কান ও গলার খ্যাতিমান চিকিৎসক ডা. এম এ সামাদ, ডা. মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ ও ডা. নাজমুস সাকিব। ক্যাম্পে বিনামূল্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কনসালটেশন ও ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ টাকার ঔষধ প্রদান করা হয়।

    এর আগে জুলাই শহিদদের স্মরণে গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের ৮জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বিনামূল্যে হেল্থ ক্যাম্প আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে ৩৮০ জন বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করেন। যাদের প্রায় দুই লাখ টাকার ঔষধ প্রদান করা হয়।

    হেল্থ ক্যাম্প আয়োজনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কনসালটেন্সির পাশাপাশি কিছু ঔষধও সরবরাহ করা হয়েছে। আগামীতে আমরা এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।

  • গাইবান্ধা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হলেন বুলবুল ইসলাম

    গাইবান্ধা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হলেন বুলবুল ইসলাম

    মিজানুর রহমান মিলন,
    স্টাফ রিপোর্টার :

    গাইবান্ধা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বুলবুল ইসলাম। গাইবান্ধা জেলার ৭ থানার মধ্যে জুন মাসে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে আয়োজিত জুন মাসের মাসিক কল্যাণ সভায় তাকে পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরিফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু, সহকারী পুলিশ সুপার (বিভাগীয় অফিসার) সি-সার্কেল এবিএম রশীদুল বারীসহ জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।

    পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বুলবুল ইসলাম মাদক বিরোধী অভিযান, সন্ত্রাসী দমন, অস্ত্র উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিলকারী ও দাফতরিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে পালন করায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে মনোনীত হন।

    ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, এ পুরস্কার আমাকে আগামীতে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। পুলিশ হবে জনগণের বন্ধু। পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা স্যারের নির্দেশনায় জনবান্ধব পুলিশের দৃষ্টান্ত স্থাপনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। থানার সকল এসআই, এএসআই, কনস্টেবলসহ সকল সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

  • সং-স্কারের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হওয়াই আমাদের লক্ষ্য- নাহিদ ইসলাম

    সং-স্কারের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হওয়াই আমাদের লক্ষ্য- নাহিদ ইসলাম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জুলাই বিপ্লবের এক দফার ঘোষক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা জুলাই পদযাত্রায় নেমেছি; কিন্তু আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ এখনো পাইনি। আমি বিশ্বাস করি, ময়মনসিংহবাসী আমাদের পাশে থাকবেন, তাহলে আমরা সেই দেশ অচিরেই নির্মাণ করতে পারব।

    তিনি বলেন, দেশে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, জুলাই সনদ হবে। আমরাও বলেছি জুলাই সনদ হতেই হবে এবং সেটা ৫ আগস্টের মধ্যেই। জুলাই সনদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ চাই। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনসহ দুদক ও পিএসসি তার নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিটি তৈরি করতে হবে।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি এবং এক দফা আন্দোলনের আত্মত্যাগ ও অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করে সোমবার (২৮জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) ঐতিহাসিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাথা’শেষে নগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ময়মনসিংহ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়নকারী জাবেদ রাসিনের সভপাতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে অংশ নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

    সমাবেশে নেতারা বলেন, “বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।” এনসিপির নেতাদের দাবি, ওই সংবিধানে ‘জুলাই বিদ্রোহে’ অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের বীরের মর্যাদা দিতে হবে।

    এসময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, শহীদ ও আহতদের প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশে আমার আপনার ভাই সুচিকিৎসা পাবে, বাংলাদেশে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন হবে। কিন্তু আমরা যখন বাংলাদেশকে একটি নতুন পদ্ধতিতে দেখছিলাম, তখন আমরা বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের সামনে একটিই লক্ষ্য পুরো বাংলাদেশের সংস্কার দরকার। আমরা একটি স্লোগান দিয়ে থাকি, সেটি হলো- এই মূহর্তে দরকার, বিচার আর সংস্কার। সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

    গণ জমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেত্রী ডা. তাসনিম জারা বলেন, “বাংলাদেশ গড়তে হলে ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সংবিধান ঝেড়ে ফেলে একটি নতুন সংবিধান দরকার।”

    এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সামান্তা সারমিন বলেন, “যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, তারা কখনোই মুসলিম হতে পারে না। এনসিপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই পিআর (অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।”

    ‘পিআর ছাড়া নির্বাচন নয়’ মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “একটি দল বারবার ব্যর্থতার কারণে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন হয়নি। এনসিপি পিআর পদ্ধতি ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না।”

    তৃণমূলে সংগঠন শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। একই সঙ্গে এনসিপিতে কোনও চাঁদাবাজের জায়গা হবে না।”

    জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ময়মনসিংহের গীতিকা ও গুণীজনদের স্মরণ করে বলেন, বিগত সরকার শুধু মানুষ হত্যা করেনি নদী গুলোকেও মেরে ফেলেছে।আগামী ৫ আগস্টের আগে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন করতে হবে। সবার জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের দাবি জানাই। ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।”রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ২৪ শে চত্বরে সমাবেশ করেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ।

    নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ ও নিরপেক্ষ আদালত আমরা প্রত্যাশা করি। এই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো আমাদের প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ ৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করতে পারব। তিনি বলেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় এনসিপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

    এনসিপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান, জনগণের সমস্যা সমাধান করুন। আপনারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।

    এতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সামান্তা শারমীন, শহীদ সাগরের পিতা আসাদুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিল, যুগ্ম সদস্য সচিব ও ময়মনসিংহ জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জাবেদ রাসিন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল বাসারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

    এর আগে বিকাল ৩টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে আসেন। পরে স্থানীয় একটি হোটেলে ময়মনসিংহে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তাদের খোঁজখবর নেন। সেখান থেকে নেতারা নগরীর ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড মহিলা কলেজের সামনে শহীদ সাগর চত্বরে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখান থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে সি কে ঘোষ রোড, রামবাবু রোড, নতুন বাজার ও জিলা স্কুল মোড় হয়ে টাউন হল প্রাঙ্গণে সমাবেশে যোগ দেন।

  • সাংবাদিক এস মিজানের মৃ-ত্যুতে অ্যাড আনিচুজ্জামানের শো-ক বার্তা

    সাংবাদিক এস মিজানের মৃ-ত্যুতে অ্যাড আনিচুজ্জামানের শো-ক বার্তা

    সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম (৬০) মৃত্যুবরন করেছেন তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে এক শোক বার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিচ।

    শোক বার্তায় তিনি জানান অতিব দু:খের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম (৬০) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে স্ট্রোকজনিত কারনে তিনি ইন্তেকাল করেন…(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাসদ ও তার পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।

    মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন এবং পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহু্ তায়ালার নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেছেন বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিচ।

    উল্লেখ্য এস মিজান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রয়াত এস মিজানুল ইসলাম নতুন বাজার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও ডেইলী বাংলাদেশ টুডে,দৈনিক ইনকিলাব,দৈনিক যুগান্তর,আজকের কাগজ,নিউ নেশন সহ বহু মিডিয়ায় তিনি কাজ করেছেন।

    এছাড়াও তিনি প্রগতি লেখক সংঘ ও খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃত্বের সম্মুখভাগে ছিলেন। কবি, লেখক ও সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম সন্ত্রাস, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে বহুবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন।

    আজ (সোমবার) বাদ জোহর তার নিজ গ্রাম বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠে প্রথম ও বাদ আসর উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দিদিহার গ্রামের ওলিয়ার বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।