Blog

  • গোদাগাড়ীর উজ্জল বেকারীর মালিককে ২০ হাজার টাকা অ-র্থদণ্ড প্রদান করেছেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ

    গোদাগাড়ীর উজ্জল বেকারীর মালিককে ২০ হাজার টাকা অ-র্থদণ্ড প্রদান করেছেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী ফকির পাড়ায় উজ্জল বেকারিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

    অদ্য ২৯ জুলাই মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও বেকারী পন্য উৎপাদন, উৎপাদিত পন্য সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করায় উজ্জ্বল বেকারীর মালিক, মাসদার হোসেনের বড় ছেলে সেতাফুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা হাজার জরিমানা করা হয়েছে

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮,৪৪,৪৫,৫২ ধারা অনুসারে এ জরিমানা করা হয়েছে।

    অপর দিকে মহিশালবাড়ী বাজারের মেসার্স মনিরুল স্টোর, প্রোপাইটার মোঃ মনিরুল ইসলাম, ( পিতাঃ মোঃ লাল মোহাম্মদ) মাটিকাটা, গোদাগাড়ী, রাজশাহীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮, ৪৩, ৪৪,৪৫, ৫১,৫২ ধারা অনুসারে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, আগামীতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, উপাজেলার এ কর্মকর্তা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • জলবায়ুর অভি-ঘাত ও দূ-ষণ’র কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন বাঁ-চাও – বিশ্ব বাঘ দিবসে বক্তারা

    জলবায়ুর অভি-ঘাত ও দূ-ষণ’র কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন বাঁ-চাও – বিশ্ব বাঘ দিবসে বক্তারা

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনকে বাঁচাও। বিষযুক্ত পানি পান করে বাঘ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগকারী ও বাঘ পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী বাঘ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা চাই। ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে মোংলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিশ্ব বাঘ দিবসে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কোহিনূর সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোঃ শাহ্ আলম শেখ, ওয়াইল্ড টিমের সাইফুল ইসলাম, জেলে সমিতির আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, মেহেদী হাসান প্রমূখ। সঞ্চালনায় ছিলেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন বাঘ আমাদের শৌর্য্য-বীর্জের প্রতীক, সাহসের প্রতীক। জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল লোগো হচ্ছে বাংলার বাঘ। বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ আমাদের অহংকার। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন গত ২৫ বছরে ৩০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১০টি বাঘের। ১৪টি বাঘ পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় মানুষ। বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে আমাদের সবাইকে বাঘ বন্ধু হতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী বলেন “বাঘের বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি” শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করছি। সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের পর্যটকরা এখন প্রতিনয়ত বাঘ দেখে থাকেন। বাঘ রক্ষায় বনজীবী ও বন সংলগ্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আলোচনা সভার আগে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে “সুন্দরবনের বাঘ” বিষয়ক শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।

  • হা-রিয়ে যাওয়া ৫১টি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার

    হা-রিয়ে যাওয়া ৫১টি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম উদ্ধারকৃত ৫১টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজ ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্সরুমে মোবাইল সেট ফিরিয়ে দেয়ার সময় @উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: রফিকুল আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো: শরিফুল ইসলাম-সহ জেলা পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।

    রাজশাহী জেলার ৮ টি থানায় ফোন হারানো ৫১ ব্যক্তি বিভিন্ন সময় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সাইবার ক্রাইম সেল ৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
    উল্লেখ্য, ৫১ টি মোবাইল ফোনের মধ্যে ভিভো ৭ টি, স্যামস্যাং ১১ টি, শাওমি ৯ টি, রিয়েলমি ৭ টি, ইনফিনিক্স ৪ টি, মোটোরলো ২ টি, টেকনো ১ টি, ওপ্পো ৬ টি , হুয়াই ৩টি ও সেম্পনি ব্র্যান্ডের ১টি।
    তা ছাড়া বিকাশে ১৫গাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বলেন, প্রকৃত মালিকের নিকট উদ্ধারকৃত ফোন ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমি মনে করি এই সাফল্যের পরিধি আগামীতে আরও বিস্তৃত হবে।
    হারানো ফোন ফিরে পেয়ে মোবাইল ফোনের মালিকগণ তাই অনেক খুশি। তাঁরা রাজশাহী জেলা পুলিশের এই ভালো কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন রাজশাহী জেলা পুলিশ আগামীতেও এভাবে জনগণের পাশে থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদান করে যাবে। তাঁরা রাজশাহী জেলা পুলিশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বিশ্ব প্রকৃতি সংর-ক্ষণ দিবস : বগুড়ায় যুবকদের পরিবেশ সচেতনতায় উ-দ্বুদ্ধকরণ

    বিশ্ব প্রকৃতি সংর-ক্ষণ দিবস : বগুড়ায় যুবকদের পরিবেশ সচেতনতায় উ-দ্বুদ্ধকরণ

    জিএম রাঙ্গা।।

    বগুড়া, ২৮ জুলাই ২০২৫ : “প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৮ জুলাই সোমবার বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস ২০২৫ পালিত হলো। এ উপলক্ষে বিশ্ব ব্যাংক এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে, “Sustainable Microenterprise and Resilient Transformation (SMART)” প্রকল্পের আওতায়, সহযোগী সংস্থা দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় মানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘Promoting sustainable growth in machinery and equipment sub-sector through RECP practices’ এর অধীনে ‘রেলওয়ে মার্কেট মডেল পরিবেশ ক্লাবে’ এক বিশেষ “Youth Engagement (Environmental Awareness) program” এর আয়োজন করা হয়। বগুড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে দ্বাদশ শ্রেণির ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সোমবার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল রোকেয়া পারভীন। প্রোজেক্ট ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় পরিচালিত হয় পুরো অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল এনভায়রনমেন্ট এন্ড আরইসিপি অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামের মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি “প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যের আলোকে অত্যন্ত সাবলীলভাবে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এবং SMART প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন। তাঁর উপস্থাপনায় পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব বিস্তারিত উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হয়। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমাদের করণীয় বিষয়গুলোও আলোকপাত করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। প্রবন্ধ উপস্থাপনা শেষে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস ২০২৫ এর প্রতিপাদ্যের আলোকে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কুইজে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম তিন জনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম। অধ্যক্ষ তাঁর বক্তব্যে প্রকৃতি সংরক্ষণে সকলের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসে তাঁর প্রতিষ্ঠানে “Youth Engagement program” আয়োজন করার জন্য তিনি গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) সংস্থার কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা জনাবা মোছাঃ মিনি খাতুন এবং প্রকল্পের অন্যান্য সকল কর্মকর্তাগণ। এই আয়োজন যুবকদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে

  • লোহাগাড়ায় ব-ন্ধ ট্র-মা সেন্টার পুনরায় চা-লুর উদ্যোগ

    লোহাগাড়ায় ব-ন্ধ ট্র-মা সেন্টার পুনরায় চা-লুর উদ্যোগ

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় অবস্থিত ২০ শয্যাবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারটি পুনরায় চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বহুদিন যাবৎ বন্ধ থাকা এই ট্রমা সেন্টারকে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের উপযোগী করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

    বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসাইন যোগদানের পরপরই ব্যক্তিগত উদ্যোগ, আন্তরিকতা ও তৎপরতার মাধ্যমে ট্রমা সেন্টারটি চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তার কার্যকর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয়ে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

    এই লক্ষ্যে লোহাগাড়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারটি পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে পুনরায় চালু হচ্ছে। সেন্টারটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণের জরুরি সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

    ট্রমা সেন্টার পুনরায় চালু করতে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় জনবল, যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবেন। এর অংশ হিসেবে আজ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি প্রতিনিধি দল ট্রমা সেন্টারটি পরিদর্শন করেন এবং ভবিষ্যত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বুঝে নেন।

    এই যৌথ কার্যক্রমটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি যৌথ সমঝোতা স্মারক (MoU) এর আলোকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্ঘটনাজনিত জরুরি রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী গ্রে-প্তার, বিভ্রা-ন্তি ছড়াতে ওসির বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী গ্রে-প্তার, বিভ্রা-ন্তি ছড়াতে ওসির বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    ময়মনসিংহে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যুবলীগ কর্মী মো: আল আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে ভিন্নভাবে নিতে ওসি শিবিরুল ইসলামকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রেফতারকৃত আলামিনের মা তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই সংবাদ সম্মেলনকে অনেকে ওসির বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হিসাবেই দেখছেন ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ।

    স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়- ওসি শিবিরুল ইসলাম ময়মনসিংহর কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়ায় মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ময়মনসিংহে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছেন। বিভিন্ন নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করছেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের। অভিযোগ উঠেছে সেসব ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্নভাবে ওসির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

    থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায় সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাংচুর ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত মশাল, বাশের লাঠি ও ইটের টুকরা জব্দ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় আসামিদের দেওয়া তথ্যে গত ২৬ জুলাই যুবলীগ কর্মী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন গত ২৭ জুলাই ওই আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মা মোছা: আনারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন- আল আমিন নির্দোষ, সে কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে থানায় ডেকে এনে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এনিয়ে উল্টো অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী এবং পলাতক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর ঘনিষ্ঠভাজন। বিগত ১৫ বছর সে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, জমি দখলসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।

    ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন একটি বিস্ফোরক মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি। তবে আমি তাকে চেহারায় চিনতাম না। পরে সংশ্লিষ্ট সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, থানায় ডেকে আনার অভিযোগ মিথ্যা।

    এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম বলেন, আসামি আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়ায় একটি মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।

    কোতোয়ালি মডেল থানা সুত্র জানা গেছে – গত ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন দক্ষ ও মেধাবী ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।দায়িত্ব পালনের প্রথম দিন থেকেই তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ় বার্তা,অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, ছাড় নেই”। তার এই বার্তার কারণে অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে ওসি শিবিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে নগরীর কেওয়াটখালীর মাদকরানী হামে ও সীমা গ্রেফতার, সুরমা গ্রেফতার,নগরীর রমেশসেন রোডের (নিষিদ্ধ পল্লী) একাধিক বাড়ী তল্লাশি করে ১০০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করাসহ ১৫ জন গ্রেফতার করা,তাজমহল মোড়ে অবস্থিত গেস্ট হাউস গুলোতে অভিযান করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কিছু সংখ্যক নারী-পুরুষকে গ্রেফতার,
    নগরীর দিগার কান্দা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ (আনুমানিক দশ বস্তা) ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ,৩০২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধারসহ পাশাপাশি ময়মনসিংহে এবার নজীর বিহীন জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। ,হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া,ওয়ারেন্টের আসামী গ্রেফতারে ব্যাপক আলোচিত হওয়াসহ গত ৫ই আগস্টের পর ১হাজার লিটার মদ উদ্ধার, দশ বস্তা ভারতীয় মদ উদ্ধারসহ সর্বোচ্চ কিছু উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার দায়িত্ব পালনে নজির সৃষ্টি করে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছেন ওসি শিবিরুল ইসলাম। তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় কোন তদবির বাণিজ্যে সুবিধা করতে পারছেনা কিছু সংখ্যাক দালালেরা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে তার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে দালাল চক্রটি ওসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলেও বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে।

  • জুলাই পুনর্জাগন-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং র-ক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত 

    জুলাই পুনর্জাগন-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং র-ক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত 

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    জুলাই পুনর্জাগন -২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান। 

    এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (অঃ দাঃ) ও গোপালগঞ্জ পৌর প্রশাসক (অঃ দাঃ) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সার্বিক মোঃ গোলাম কবির, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ওহিদ আলম লস্কার, উপ-উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মহব্বত আলী, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাফিক শরীফ, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি) পবিত্র কুমার পোদ্দার, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (অর্থনীতি) মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউরিটি ম্যাজিস্ট্রেট অনিরুদ্ধ দেব রায় ও শাহরিয়ার আহমেদ, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ দিবাকর বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট এর কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

    ক্যাম্পেইনে সার্জারি, মেডিসিন ও গাইনী বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসগণ সকাল ১০টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনে আগত রোগীদের যত্নসহকার পর্যবেক্ষণ করেন এবং ডায়াবেটিস, রক্তের গ্রুপ ও ওজন মেপে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করেন।

  • তারাগঞ্জে মা-দক সে-বন কালে ১ যুবক আ-টক ভ্রাম্যমান আদালতে জ-রিমানা ও কা-রাদণ্ড

    তারাগঞ্জে মা-দক সে-বন কালে ১ যুবক আ-টক ভ্রাম্যমান আদালতে জ-রিমানা ও কা-রাদণ্ড

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মো. হেলাল (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
    অভিযান চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইকরচালী ইউনিয়নের বামনদিঘি ইকোপার্ক এলাকায় গাঁজা সেবন ও রাখার দায়ে মো. হেলালকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মেনানগর মাফিয়ালপাড়া এলাকার মৃত আবদুল গফুরের ছেলে।
    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হেলাল দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবন করে এবং তা রেখে এলাকার যুব সমাজকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছিল। এতে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছিল।
    পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর আওতায় মো. হেলালকে তিন (০৩) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল রানা।
    আসামিকে দণ্ড কার্যকর করতে রংপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে মাদকবিরোধী এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

  • বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভি-যানে অ-স্ত্র ও গো-লাবারুদ উ-দ্ধার

    বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভি-যানে অ-স্ত্র ও গো-লাবারুদ উ-দ্ধার

    বিশেষ প্রতিনিধি :

    রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

    এ সময় আস্তানা থেকে একে-৪৭ ও রাইফেলসহ অন্যান্য অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।আইএসপিআর জানায়, রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

    অভিযান এখনো চলমান। একে-৪৭সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এ সময় একটি একে-৪৭ রাইফেল, তিনটি দেশীয় বন্দুক, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি একে-৪৭ ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি কার্তুজ, ৪২টি খালি কার্তুজ, চারটি ওয়াকিটকি সেট ও ব্যাটারি, একটি অ্যামুনিশন পাউচ, একটি জিপিএস ডিভাইস, তিনটি কলম আকৃতির গোপন ভিডিও ক্যামেরা, দুটি বোতাম আকৃতির গোপন ক্যামেরা, একটি চশমা, ইউপিডিএফ লং লাইভ লেখা পাঁচটি আর্মব্যান্ড, ইউপিডিএফ পতাকা তিনটি, বিভিন্ন ধরনের ১০টি বই এবং চাঁদা আদায়ের দুটি রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

  • পাবনায় উ-দ্ধারকৃত দেড় হাজার বছরের পুরনো বিষ্ণু মূর্তি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নিকট হ-স্তান্তর

    পাবনায় উ-দ্ধারকৃত দেড় হাজার বছরের পুরনো বিষ্ণু মূর্তি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নিকট হ-স্তান্তর

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু,
    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনার চাটমোহর উপজেলায় সম্প্রতি উদ্ধারকৃত একটি প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিষ্ণু মূর্তিটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক এ, কে, এম, সাইফুর রহমানের নিকট হস্তান্তর করেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী।  

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের পুঠিয়া রাজবাড়ীর এসিসট্যান্ড কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান, হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান, এসআই সনজিত কর্মকার, এ এসআই আনোয়ার হোসেন, পুকুর মালিক লোকমান হোসেন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ। 

    পুঠিয়া রাজবাড়ীর এসিসট্যান্ড কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান জানান, এ বিষ্ণু মূর্তিটি দৈর্ঘ্য ২৬.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১২.৫ ইঞ্চি। মূর্তিটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বগুড়া আঞ্চলিক অফিসে সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে পাবনার তাড়াশ ভবনের যাদুঘরে স্থানান্তর ও স্থায়ী সংরক্ষণ করা হবে। 

    চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, আনুমানিক দেড় হাজার বছরের পুরনো এই বিষ্ণুমূর্তি। এটি পাল বা সেন যুগের হতে পারে। মূর্তিটি কালো পাথরের খোদাই করা এবং এতে বিষ্ণু দেবতার নিখুঁত চিত্রাঙ্কন রয়েছে। চাটমোহরের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত গবেষণায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সহায়তা ভূমিকা রাখবে।    

    উল্লেখ্য, গত (২৫ জুলাই শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলকার লোকমান হোসেনের পুকুরে মাছ ধরার সময় এই বিষ্ণুমূর্তিটি পাওয়া যায়। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।