Blog

  • কোটি টাকার চা কারখানা নিয়ে টা-নাপোড়েন, দুই পরিচালক ব-ঞ্চিত

    কোটি টাকার চা কারখানা নিয়ে টা-নাপোড়েন, দুই পরিচালক ব-ঞ্চিত

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় সদর উপজেলার কেচেরাপাড়া এলাকায় স্থাপিত কোটি টাকার ‘উত্তরা গ্রীন টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ চা কারখানাকে কেন্দ্র করে মালিকানা জটিলতা চরমে পৌঁছেছে। কারখানাটির দুই পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও তারিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, একটি মহল তাদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়ে পুরো কারখানার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

    এই ঘটনায় তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ একাধিক দপ্তরে। অভিযোগকারীরা জানান, তাদেরকে না জানিয়ে কারখানাটি অন্যদের কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে। আর জোরপূর্বক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে মালিকানা হস্তান্তরের নামে প্রতারণা করা হয়েছে।

    স্থানীয়দের শঙ্কা, মালিকানা বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন চা উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

    ২০১৮ সালে তৎকালীন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী বোরহান উদ্দিনের উদ্যোগে কেচেরাপাড়ায় ৭ বিঘা জমির উপর কারখানাটি স্থাপিত হয়। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি নিজ নামে নয়, বরং তার আস্থাভাজন কাজী এ এন এম আমিনুল হকের নামে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে কারখানাটি ৬৫% শেয়ারসহ নিবন্ধন করান। বাকি শেয়ার ৩০% ছিল আব্দুর রাজ্জাক এবং ৫% তারিকুল ইসলামের নামে।

    পরবর্তীতে কাজী আমিনুল হক তার মালিকানার কিছু অংশ হস্তান্তর করেন স্ত্রী আইরিন পারভিন (১০%), ছেলে শায়মান সাদিক (৩৫%) এবং ভায়রা শাহ আলমের (১০%) নামে। কাজী আমিনুল হকের মৃত্যুর পর বাকি ১৫% শেয়ারের মালিকানা অনির্ধারিত থাকে।

    পরবর্তীতে আব্দুর রাজ্জাক ও তারিকুল ইসলাম পুনঃবণ্টনের মাধ্যমে যথাক্রমে ২০% ও ১০% শেয়ারের মালিক হন। এরপর ঢাকার রূপালী ব্যাংক, দিলকুশা শাখা থেকে মর্টগেজের মাধ্যমে ২৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কারখানাটি চালু করা হয়। প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হতো।

    অভিযোগকারীদের দাবি, কিছুদিন পর হিসাব-নিকাশে অস্পষ্টতার অভিযোগ তুলে কাজী বোরহান উদ্দিন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাত সম্রাটের ছত্রছায়ায়, দুই পরিচালককে কারখানা থেকে জোরপূর্বক বের করে দেন।

    ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাজনৈতিক চাপ ও হুমকির মুখে আব্দুর রাজ্জাক ও তারিকুল ইসলামকে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বিনিময়ে শেয়ার হস্তান্তরের একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। শর্ত ছিল তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করা হবে। কিন্তু প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার পর আর কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।

    পরবর্তীতে বোরহান উদ্দিন ও তাঁর পরিবার স্থানীয় কিছু চা ব্যবসায়ীর কাছে কারখানাটি তিন বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেন। অভিযোগকারীদের দাবি, জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রেশনে তারা এখনও বৈধ পরিচালক, অথচ তাদেরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তারা ব্যাংক ঋণের বোঝা বইছেন, অথচ কারখানায় প্রবেশেরও সুযোগ পাচ্ছেন না।

    অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য বিষয়টি চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

    তবে পঞ্চগড় চা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    অন্যদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী বোরহান উদ্দিন বলেন, “তারা শেয়ার আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কোনো রাজনৈতিক নেতার শেল্টার নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজার তৎপ-রতায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি

    নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজার তৎপ-রতায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি

    এম এস সাগর,

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    নাগেশ্বরী থানার জনসাধারণের টেকসই নিরাপত্তা, আইনী সহায়তা প্রদান, জমি-জমা সংক্রান্তে ঘটেনি হত্যা দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক দলে নেই কোন কোন্দল ও নিয়মিতভাবে মাদক বিক্রেতা-সেবনকারীসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সর্বদা নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিট-পুলিশিং, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের সাথে মতবিনিময় করে অপরাধ দমনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম (রেজা)।

    ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করণসহ বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে সার্বিক নিরাপত্তা ও সু-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন নাগেশ্বরী থানার বিভিন্ন পেশাজিবী মানুষ এবং রাজনৈতিক সংগঠনসহ সুশীল সমাজের নেতারা।

    কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার শহর, ইউনিয়ন ও গ্রামসমূহে জনসাধারণের টেকসই নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করতে দিবারাত্র নিরবিচ্ছিন্নভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজা কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা ও তার জোর মনিটরিংয়ের কারনে মানবিক কাজে ব্যস্ত থেকে নাগেশ্বরী থানার জনসাধারণের টেকসই নিরাপত্তা, আইনী সহায়তা প্রদান করাসহ সচেতনতা মূলক কার্যক্রম সৃষ্টি করছেন।

    আন্তরিকতার সাথে মানুষকে ন্যায় আইনি সহায়তা প্রদান করাসহ অসীম সাহসিকতার সাথে অপরাধ নির্মূলে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। থানার সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম (রেজা)।

    পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে বিট-পুলিশিং কার্যক্রম চলমান থাকার কারণে অপরাধ নিয়ন্ত্রনসহ সাধারন মানুষের সাথে পুলিশের সমন্বয় বেড়েছে বন্ধু-সুলভ বহুগুন। নাগেশ্বরী থানার চৌকশ পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সঠিকভাবে সব-সময় জনসাধারণের নিরাপত্তা, আইনী সহায়তা প্রদানসহ নিয়মিতভাবে মাদক বিক্রেতা-সেবনকারী এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জ্বড়িতদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম (রেজা) গত-৬জানুয়ারি ২০২৫খ্রি. যোগদান করে জনসেবার মাধ্যমে থানার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠছেন। বিশেষ অভিযানে অনেক অপরাধী তাদের পেশা পরিবর্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। অফিসার ইনচার্জ আন্তরিকতার সাথে মানুষকে আইনি সহায়তা প্রদানে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে জননন্দিত হয়ে উঠছেন।

    নাগেশ্বরী থানার বাবু মিয়া, ফারুক হোসেন, মাইদুল ইসলাম, আব্দুল জলিলসহ অনেকে বলেন, অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম (রেজা) থানায় যোগদান করার পর থেকে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি আন্তরিকতার সাথে আইনি সহায়তা প্রদান ও জমি-জমা সংক্রান্তে হত্যা দুর্ঘটনা নেই। জমি-জমা বিরোধ সাময়িকভাবে আপোষ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা অনুকূলে রয়েছে। রাজনৈতিক দলে নেই কোন কোন্দল ও নিয়মিতভাবে সহ মাদক, জুয়াখেলা এবং বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনে আস্থা অর্জন করছেন।

    নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম (রেজা) বলেন, পুলিশ হোক জনবান্ধব। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলামের নির্দেশনায় বিভিন্ন অপরাধ ও মাদকদ্রব্য নির্মূলে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সঙ্গে কোনো আপোস নেই। আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে সকল শ্রেণীর মানুষদের সেবা প্রদান করে আসছি।

  • বরগুনার তালতলীতে খাল পুনঃখননের দাবিতে মা-নববন্ধন

    বরগুনার তালতলীতে খাল পুনঃখননের দাবিতে মা-নববন্ধন

    মংচিন থান
    তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি।।
    ‘খাল কেটে কৃষক বাচাঁও, ফসল বাড়াও’-শ্লোগানে বরগুনার তালতলীতে গোপের খাল পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ছোটবাগী ইউনিয়নের বেতিপাড়া গ্রামে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশগ্রহন করেন।

    এ সময় বক্তারা বলেন, গোপের খালটি পায়রা নদীর শাখা খাল হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়ে আছে। খালটির পানি প্রবাহ সচল থাকাকালীন সময়ে বেতিপাড়া, জাকিরতবক, সুন্দরীয়া, চরপাড়া এলাকার কয়েক হাজার কৃষক ফসল উৎপাদন করতেন। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমিতে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছেনা। তাই খালটি খনন না হলে এই এলাকার কৃষকরা মাঠে মারা যাবে। খালটি ভরে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে এলাকার মাঠে পানি উঠতে পারে না, আর বৃষ্টি মৌসুমে পানি নামতে পারে না। খালটি খনন হলে এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। তাই অতিদ্রুত খাল খননের দাবি জানান কৃষকরা।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েদ প্যাদা, সমাজ সেবক মো. শাহ-আলম, কৃষক পরিমল বাবু, হারুন প্যাদা, মোঃ ইসাহাক প্যাদা, আব্দুল কাদের, মোঃ সুলতান মিয়া প্রমুখ।

    মংচিন থান
    তালতলী প্রতিনিধি।।

  • ত্রিশালে প্রাকৃতিক দু-র্যোগে ক্ষ-তিগ্রস্ত দু-স্থ, অস-হায় পরিবারকে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

    ত্রিশালে প্রাকৃতিক দু-র্যোগে ক্ষ-তিগ্রস্ত দু-স্থ, অস-হায় পরিবারকে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

    বুধবার (৩০ জুলাই ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আয়োজনে উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এসব ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী।

    এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ,প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সহ বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি পরিবারকে ৩০বান্ডেল ঢেউটিন এবং প্রতি বান্ডিল ঢেউটিন এর সাথে ৩ হাজার টাকার নগদ চেক সর্বমোট ৯০,০০০ ( নব্বই হাজার) টাকার চেক প্রদান করা হয়।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদ উল্লাহ জানান, আমরা ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগুনে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার মাধ্যমে সরকারি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। সরকারের এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ত্রিশাল উপজেলার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে; যাচাই–বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হবে।

  • চাটমোহরে স্কুলছাত্রী ধ-র্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত ধ-র্ষক গ্রে-ফতার

    চাটমোহরে স্কুলছাত্রী ধ-র্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত ধ-র্ষক গ্রে-ফতার

    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনার চাটমোহরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাহীন আলমকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চাটমোহর থানা পুলিশ।

    গ্রেপ্তার শাহীন উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মণ্ডলের ছেলে ও স্থানীয় মুদি দোকান ব্যবসায়ী।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘অভিযুক্ত শাহীনকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

    জানা গেছে, গত ২২ জুলাই বড় শালিখা গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী বাবার কাছ থেকে দশ টাকা নিয়ে শাহীন আলমের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। এ সময় দোকানের পাশেই শাহীনের ছোট ভাইয়ের বাসায় কাঁঠাল দেখানোর নাম করে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যায় শাহীন।

    বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মুখ ও হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শাহীন। এরপর পরদিন (২৩ জুলাই) ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

    কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষক শাহীনকে আটক করতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। পরপর কয়েক দফা মানববন্ধনও হয়। অবশেষে একসপ্তাহ পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা শাহীন আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
    #
    তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনা।।

  • সেনবাগের গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবায় এক অভিশ-প্ত নাম কমিউনিটি ক্লিনিক

    সেনবাগের গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবায় এক অভিশ-প্ত নাম কমিউনিটি ক্লিনিক

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)
    বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর প্রধান কাজ হলো গ্রামীণ জনগণের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া। এর মধ্যে রয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, পুষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং পরামর্শ প্রদান করা।এছাড়াও, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাদ্য গ্রহণ, রোগ প্রতিরোধে টিকা এবং ডায়রিয়া ও কৃমি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা।কিন্তু
    নোয়াখালী সেনবাগের ৩০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর স্বাস্থ্যসেবার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।এখানে গ্রামীন জনপদে হতদরিদ্র মানুষগুলোর কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক মানে স্বাস্থ্যসেবার নামে হাসি তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১(এক)জন সি এইচ সি পি(কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার)সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা বিকেল ৩ টা পর্যন্ত, ১(এক) জন এইচ এ (হেলথ এসিস্ট্যান্ট) সপ্তাহে ২ দিন, এবং ১(এক)জন এফ ডব্লিউ এ (ফ্যামেলি ওয়েলফেয়ার এসিস্ট্যান্ট) সপ্তাহে ২দিন ক্লিনিকে বসে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সরকারী বিধি থাকলে ও এ নিয়ম মানছেনা শতকরা ৮০ ভাগ ক্লিনিকের দায়িত্বশীলরা।সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় সিংহভাগ সি এইচ সি পি তাদের ডিউটি টাইম ৯ টার পরিবর্তে ১১ টায় আসেন এবং ৩ টায় প্রস্থানের বিপরীতে দুপুর ১ টায় বাড়ী ফেরেন। পাশাপাশি সপ্তাহে প্রায়
    ৩ থেকে ৪ দিন তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। আর এইচ এ এবং এফ ডব্লিউ এ কে তারা কখনোই দেখতে পায়না।
    বিনামূল্যে সেবা ও ঔষধ প্রদান নিশ্চিত কল্পে সরকার ক্লিনিক গুলোতে ৩০ ধরনের ঔষধ প্রেরণ করলে ও রোগীরা ঔষধ পায়না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। প্রেসকিপশন দিয়ে রোগী বিদায় কিংবা ৫০ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে ঔষধ পাওয়ার অভিযোগ এখন নিত্যদিনের।এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন সিএইচসিপি গণমাধ্যম কে জানান, রোগী স্বল্পতা এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ না থাকায় এমন অনিয়ম।
    এপ্রসঙ্গে জানগে চাইলে
    সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাদিয়া আফরোজ জানান,ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বশীলদের বিষয়ে আমাদের কাছে এসেছে,আমরা সঠিক নজরদারী ও তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিষয়ে খুব সহসা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

  • বানারীপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট  ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান

    বানারীপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান

    বানারীপাড়া প্রতিনিধি //

    বরিশালের বানারীপাড়ায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসই) স্কিমের আওতায় ২০২২-২০২৩ সালের এসএসসি/ সমমান, এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৯ জুলাই সোমবার বেলা ২ ঘটিকায় উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জয়শ্রী কর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বায়েজিদুর রহমান। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিপীকা রানী সেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম মৃধা, ওসি তদন্ত শতদল মজুমদার। এসময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন সরকারি মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত হাওলাদার সহ প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা আসলেই অনেক গর্বের বিষয়। একাডেমিক সুপারভাইজার জয়শ্রী কর বলেন প্রতিটি ছেলেমেয়ের অবশ্যই লেখাপড়ায় কঠোর অধ্যাবসায়ী এরকম শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়ার গৌরব অর্জন করতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আজকে অনুষ্ঠানের তারতম্য সকলের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আর উদ্বুদ্ধ হবে লেখাপড়ার প্রতি। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (পিবিজিএসই) স্কিমের আওতায় ২০২২-২০২৩ সালের এসএসসি/ সমমান, এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।

  • তেঁতুলিয়ায় কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

    তেঁতুলিয়ায় কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতাঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্বব্যাংক ও আইএফএডি-এর সহযোগিতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের আয়োজনে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কনফারেন্স হলরুমে দিনব্যাপী এই পার্টনার কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়।

    উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে উক্ত পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় এর উপপরিচালক মো. আব্দুল মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্টনার প্রকল্প দিনাজপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. মামুনুর রশিদ প্রমূখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, পিএফএস ও নন-পিএফএস কৃষক-কৃষাণী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকসহ শতাধিক স্টেকহোল্ডার অংশ নেন।

    উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. আব্দুল মোতালেব এর উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপপরিচালক মো. আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও কি নোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জীবন ইসলাম।

    পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠানের বক্তব্য থেকে জানা যায়, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন জাতের সম্প্রসারণ, কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ, খাদ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কৃষি-তথ্য ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের টেকসই সহায়তা প্রদান করা এই কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্য।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • বরিশালে বেঙ্গল বিস্কুট ডিপোর চু-রি হওয়া কভার ভ্যান উ-দ্ধার

    বরিশালে বেঙ্গল বিস্কুট ডিপোর চু-রি হওয়া কভার ভ্যান উ-দ্ধার

    বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    বরিশালের বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেডের ডিপো মেসার্স আলম এন্টারপ্রাইজ থেকে চুরি হওয়া পণ্যবাহী কভার ভ্যানটি উদ্ধার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

    গত ২৬ জুলাই ২০২৫, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ছয়মাইল বাজার সংলগ্ন ডিপোর অফিসের পার্কিং পয়েন্ট থেকে কভার ভ্যানটি চুরি হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, একজন চোর টর্চ লাইট নিয়ে ডিপোর দিকে এগিয়ে গিয়ে গাড়িটি নিয়ে ঢাকা অভিমুখে পালিয়ে যায়। তবে ফুটেজের মান খারাপ হওয়ায় চোরকে শনাক্ত করা যায়নি।
    চুরির ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষ এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তে নামেন এসআই মোঃ ইদ্রিস আলী ও এসআই মোঃ সাত্তার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুন হাট দেহেরগতি রাহুতকাঠি বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করেন।
    পরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে কভার ভ্যানটি ডিপো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
    পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান ও তৎপরতায় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

  • রাজশাহীতে প-রে থাকা  শিশু হাসপাতালে বরাদ্দ ৮ কোটি টাকা –  হাসপাতাল চালু হবে ক-বে?

    রাজশাহীতে প-রে থাকা শিশু হাসপাতালে বরাদ্দ ৮ কোটি টাকা – হাসপাতাল চালু হবে ক-বে?

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহী নগরীর টিবিপুকুর এলাকায় পড়ে আছে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট নবনির্মিত শিশু হাসপাতালের ভবন। দুই বছর আগে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখন হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ অবস্থায় অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে। ভবনে লাগানো এসিগুলো এবং হাসপাতালের জন্য কেনা দামি দামি ফ্রিজগুলোও নষ্টও হতে বসেছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি আরও ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আসবাবপত্র কেনার জন্য। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবলই নিয়োগ করা হয়নি এ হাসপাতালের জন্য।

    এদিকে, গত ৫ আগস্টের পর স্থানীয় একটি মাস্তান বাহিনী ভবনটি দখল করারও চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ঠিকাদারদের লোকজনের বাধার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। বাধা দেওয়ার সময় ঠিকাদারের পাহাদারকে মারপিটও করা হয়েছিল ওই সময়।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ হয় গত ২০২৩ সালে। কিন্তু ব্যবহার না হওয়া ভবনের রংও উঠতে শুরু করেছে। লাগানো এসিগুলো দুই বছর ধরে ব্যবহৃত না হওয়ায় নষ্ট হতে বসে। কক্ষের ভিতরে পড়ে আছে বিশালকার দামি দামি ফ্রিজগুলো। যেগুলোতে ওষুধসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখার কথা। হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় এবং কোনো কতৃৃপক্ষ বুঝে না নেওয়ায় নির্মাণকাজের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারের একজন লোক দিয়ে হাসপাতাল ভবনটি পাহারা দেয়া হচ্ছে।

    রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ সূত্র মতে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অতিরিক্ত শিশু রোগীর চাপ সামলাতে এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা চালু করতেই ২০১৬ সালে হাসপাতালের পাশেই শিশু হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু হয়। কয়েক দফা সময় বৃদ্ধি করে সেই কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুনে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরে ২০০ শয্যার এই শিশু হাসপাতালটি বুঝে দেওয়া হয় গণপূর্ত বিভা গকে। কিন্তু তারা আর স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝে দিতে পারেনি।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন

    ঠিকাদারের পাহারাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভবনটি নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই পাহারা দিচ্ছি। কেউ কোনো দিন এসে কিছু বলার সাহস পাইনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর কয়েক দফা ভবনটি দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় মাস্তান বাহিনী। ভবনটি পড়ে আছে বলেই স্থানীয়রা দখল করার চেষ্টা করছে। চালু হলে তো আর করতে পারবে না। আবার একা পাহারা দেওয়ার কারণেও রাতের আঁধারে সুযোগ পেলেই বিভিন্ন জিনিসপত্র চুৃরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি একা মানুষ কয়দিকে সামলাবো। এতো বড় ভবন পাহারা দেওয়া তো কষ্ট।

    ঠিকাদারের ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সরকার জানান, ভবনটি চালু না হওয়ার কারণে চোরেরা জানালার অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবন হস্তান্তরের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না।

    রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম বলেন, ‘আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে হাসপাতালটি বুঝে নেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করছি। কিন্তু জনবল নিয়োগ না হওয়ায় তারাও বুঝে নিতে পারছে না। এ কারণেই পড়ে আছে ভবনটি। আর পড়ে থাকার কারণে অনেককিছুই নষ্ট হতে বসেছে। পড়ে থাকলে জিনিসপত্র নষ্ট হয় এটাই স্বাভাবিক।’

    জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. এস, আই, এম রাজিউল করিম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। তবে আমি আসার আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিবার চিঠি দেয়া হয়েছে।সেখান থেকে জনবল নিয়োগের বা হাসপাতালটি কিভাবে চালু হবে সে নিয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা আসেনি। এ কারণে আমরা ভবনটি বুঝে নিতে পারছি না। তবে আসবাবপত্র কেনার জন্য আট কোটি টাকার একটি বরাদ্দ চলতি মাসেই হয়েছে।

    এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন রাজশাহী জেলার সভাপতি আহমেদ শফি উদ্দিন বলেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের রোগীদের চাপ সামলাতে নতুন করে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এটি অবশ্যই একটি ভালো পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাফলতির কারণে যদি এই হাসপাতালটি চালু না হয়, তাহলে বিষয়টি হবে সত্যিই দুঃখজনক। দ্রুতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং জনবল নিয়োগ দিয়ে ভবনটিতে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম চালু করা উচিত।

    মোঃ হায়দার আলী,
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।