Blog

  • পাইকগাছায় বর্ষা মৌসুমে নার্সারিতে গাছের চারা বি-ক্রি বে-ড়েছে

    পাইকগাছায় বর্ষা মৌসুমে নার্সারিতে গাছের চারা বি-ক্রি বে-ড়েছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    বর্ষায় পাইকগাছায় নার্সারিতে গাছের চারার ব্যাপক চাহিদা ও বিক্রির হিড়িক পড়েছে। উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে তোলা নার্সারিগুলিতে বছরজুড়ে সব গাছের চারা পাওয়া যায়। এসব চারা বেচাকেনা হয় সব মৌসুমে। তবে চারা বিক্রির সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বর্ষাকালে। এই সময়টাতে রোপণ করা চারা শতভাগ জীবিত থাকে বলে চারারও চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। অনেকে এই সময়টাতে তৈরি করেন ফলজ-বনজ বাগান। বেশির ভাগ মানুষ তাদের বসতবাড়িতে নানা প্রকারের চারা রোপণ করে থাকেন বর্ষাকালে। এ বছরের আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে। এ সুযোগে নার্সারিগুলো গাছের চারার ব্যাপক চাহিদা বিক্রির হিড়িক পড়েছে।উপজেলার গদাইপুরে বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক নার্সারি। তাছাড়া ১০ শতক থেকে এক বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক নার্সারি। গ্রামের চারদিকে যেন সবুজের সমাহার। গদাইপুরে ঢুকলে চোখে পড়ে ক্ষেতের পর ক্ষেত নার্সারি। বাড়ির সামনে-পেছনে ও আশপাশে নার্সারি গড়ে তুলেছেন সবাই। সব নার্সারির সামনে আছে সাইনবোর্ড লাগাানো। নানা রকমের ফুল, ফল ও মসলার চারা বাড়িগুলোর সামনে। বাড়ির ভেতরে গড়ে তোলা নার্সারিতে চারা কেনাবেচার দৃশ্যও নজর কাড়ে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। নার্সারি মালিক সমিতি সুত্রে জানা গেছে, কেবল বর্ষা মৌসুমেই গদাইপুরের কয়েক শত নার্সারিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। আর সারা বছরের বিক্রি হয় আড়াই ২ শত কোটি টাকার বেশি। এসময় চারা ক্রয়, বিক্রি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন মালিক-শ্রমিকরা।উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মেইন সড়কের দুই পাশে নার্সারিতে নানা প্রজাতির গাছের চারার দৃশ্য নজর কাড়ে। রাস্তার পাশে যতদূর দৃষ্টি যায় ফুল, ফল, মসলা ও বনজের চারা দেখা যায়। যেগুলোর গোড়ার মাটি পলি প্যাকেটে আবদ্ধ। চলতি পথে নার্সারিগুলোয় কর্মব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ে। কেউ নিড়ানি দিয়ে আগাছা বাছা ও ঝাঁজরি দিয়ে চারায় পানি দিচ্ছেন। আবার কেউ ভ্যান, নছিমন, ট্রাক ও পিকআপে চারা তুলে দিচ্ছেন। দেশী প্রজাতির পাশাপাশি বিদেশী ফলের চারারও উৎপাদন হয়। এখানে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগন, থাই পেয়ারাসহ ৩০-৪০ প্রজাতির বিদেশী ফলের চারা তৈরি হয়। এছাড়া দেশী প্রজাতির সকল ফলের চারা নার্সারিগুলোয় পাওয়া যায়। এসব ফলের প্যাকেট চারা বছরজুড়ে পাওয়া যায়। প্যাকেটে রোপণ করা চারার পাশাপাশি টবে লাগানো ফুল-ফলের চারাও এখানে বিক্রি হয়। চুই, লবঙ্গ, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মসলার চারা উৎপাদন ও বিক্রি হয়।পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, নার্সারি ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। কেউ পরিকল্পনা মাফিক নার্সারি করলে অনায়াসে তিনি স্বাবলম্বী হবেন। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য ও জীবচিত্র্য রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্ষাকালে গাছের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এসময় প্রচুর বৃষ্টি হয় ও উর্বরা শক্তিবৃদ্ধি পায়। তাই এই সময়ে তিনি সবাইকে বৃক্ষরোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।

    অনলাইন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি করতে গিয়ে পাইকগাছায় জনতার হাতে আটক চোর

    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর বাজারে ব্যাটারি চালিত একটি ভ্যান চুরি করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে এক চোর।

    বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গদাইপুর মোড় থেকে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি করতে গেলে সাগর সানা (২৬), পিতা – তকোব্বার সানা, গ্রাম-রাড়ুলী , ইউনিয়ন-রাড়ুলী উপজেলা পাইকগাছা তাকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে। তবে ধরা পড়ার পর চোর জানায় আমি অনলাইনে দেখে চুরি শিখেছি এটাই প্রথম। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েক মাসে গদাইপুরসহ আশপাশের এলাকায় একাধিক ভ্যান ও হালকা যানবাহন চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব চুরির সঙ্গে জড়িত।

    একজন বয়স্ক ভ্যানচালক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের জীবনের একমাত্র সম্বল এই ভ্যান। এটা চুরি হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। প্রশাসনের উচিত এসব চোরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”

    পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আটক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

    স্থানীয়রা দাবী করেছেন, গরিব মানুষের জীবিকার অবলম্বন চুরি করে যারা, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কেউ ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা

  • বরিশাল বাবুগঞ্জে-ঢাকা মহাসড়ক: মৃ-ত্যুর ফাঁ-দে পরি-ণত

    বরিশাল বাবুগঞ্জে-ঢাকা মহাসড়ক: মৃ-ত্যুর ফাঁ-দে পরি-ণত

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    আজ বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, সকাল ১২:৩০ মিনিটে বরিশালের রহমতপুর এয়ারপোর্ট মোড়ে ঘটে গেল আরেক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অন্তরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১২-১৩৮৫) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পাশের খাদে পড়ে যায়।

    🚑 এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় চিকিৎসকরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করছেন। তবে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এরকম দুর্ঘটনা বেড়ে চলায় পুরো এলাকা উদ্বিগ্ন।
    অব্যাহত সড়ক দুর্ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনের এই ঘটনাগুলি প্রাণহানির চিত্র সামনে নিয়ে আসছে এবং নানা প্রশ্ন তুলছে সড়ক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে।
    সময় এসেছে এই পরিস্থিতির দিকে কঠোর নজরদারি এবং সঠিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের। সড়কগুলোকে নিরাপদ রাখতে এবং যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
    সঠিক সড়ক ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ আইন প্রয়োগ অবিলম্বে প্রয়োজন। পাশাপাশি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি। আমরা সবাই যদি সচেতন হই এবং সতর্ক থাকি, তাহলে হয়তো নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখার আশা রাখতে পারব।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ইউএনও ও বিএনপি নেতার বা-কবিতন্ডা ভা-ইরাল

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ইউএনও ও বিএনপি নেতার বা-কবিতন্ডা ভা-ইরাল

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহী জেলার
    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদকে ও বিএনপি নেতার বাকবিতন্ডা হয়েছে। খবরসুত্রে জানা যায়,গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার সরানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েলের মধ্যে ফোনালাপের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিওতে শোনা যায়, ইউএনওকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং কড়া ভাষায় ধমক দিচ্ছেন ওই বিএনপি নেতা।

    ঘটনার সূত্রপাত গোদাগাড়ী উপজেলার ডাইংপাড়া গোল চত্বরে লাগানো ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে। এগুলোর মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ছিল।

    এগুলো সরিয়ে ফেলার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল, যিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।@

    অডিওতে শোনা যায়, কে এম জুয়েল ইউএনওকে ফোন দিয়ে জানতে চান, কেন পোস্টার সরানো হয়েছে। প্রথমে ইউএনও বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে জানান, ‘জনগণের অভিযোগ ছিল।’ তখন বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণ অনেক অভিযোগ করে, সব করেন? তাহলে পুরো উপজেলার পোস্টার সরান।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেটা বলছি সেটা লিগ্যাল রাইট নিয়া বলতেছি। আপনি কালই ওই জায়গায় পোস্টার আবার লাগাবেন। আমি ঢাকায় আছি, কাল এসে যেন দেখে যেতে পারি।’

    তখন ইউএনও শুধু ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে’ বলতে থাকেন।
    পাল্টা জবাবে কে এম জুয়েল বলেন, ‘ঠিক আছে মানে কি? অবশ্যই করবেন, নইলে আমরা যেটা করার সেটা করব। আপনি আমার নেতার ছবি সরিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে যেটা করার, সেটা আমরা করব।’

    এছাড়াও অডিওতে ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি নরসিংদীর মানুষ না? কোন দল থেকে এসেছেন? কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?’

    এ বিষয়ে ইউএনও ফয়সাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গোদাগাড়ী পৌরসভার প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ৬ এপ্রিল পৌর এলাকার ডাইংপাড়া মোড়ের চারপাশে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রাখা সব ধরনের পোস্টার, ব্যানার, ভ্যানগাড়ি ও দোকানপাট সরানোর নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল এসব কারণে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ৭ এপ্রিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলো অপসারণ করা হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং জনস্বার্থে নেওয়া প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ছিল।’

    কে এম জুয়েল বলেন, ‘যদি প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে পুরো এলাকায় পোস্টার সরাতো তাহলে কোনো অভিযোগ থাকত না। কিন্তু শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বিএনপির নেতাদের ছবি সম্বলিত পোস্টার সরানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে আমি রাজশাহীর জেলা প্রশাসককেও অবহিত করেছি।’

    তিনি প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক সমতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে ব্যাপক লাইক, কমান্ড, শিয়ার হয়েছে।।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আশুলিয়ায় রাস্তা ও ড্রে-নে জ-লাবদ্ধতা নির-সনে কাজ করছেন মোর্শেদ ভূঁইয়াসহ এলাকাবাসী

    আশুলিয়ায় রাস্তা ও ড্রে-নে জ-লাবদ্ধতা নির-সনে কাজ করছেন মোর্শেদ ভূঁইয়াসহ এলাকাবাসী

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মোর্শেদ আলম ভূঁইয়া ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে জামগড়া চৌরাস্তা থেকে বাগবাড়ি রাস্তা ও ড্রেনে জলাবদ্ধতা নিরাশনে কাজ করছেন। তাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন শুধু রাস্তাঘাট নয়, বরং পুরো এলাকার স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫ইং) বিকেলে উক্ত ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মোর্শেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, আশুলিয়ায় সরকারি নয়নজুলি খালটি ফ্যান্টাসি কিংডম সহ প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে এর কারণে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু পানি হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেন বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা স্থানীয় বাসিন্দা এলাকাবাসী সবাই মিলে ড্রেন সচল করার লক্ষ্যে কাজ করছি, জনস্বার্থে নয়নজুলি খালটি দখলমুক্ত করতে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

    রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ করায় ইঞ্জিনিয়ার মোর্শেদ আলম ভূইয়াসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান পথচারী ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

  • হিন্দুপল্লিতে হা-মলার ঘটনার ত-থ্য চাইলে ২ সাংবাদিককে গ্রে-প্তার ও হু-মকির অভি-যোগ ওসি বিরুদ্ধে

    হিন্দুপল্লিতে হা-মলার ঘটনার ত-থ্য চাইলে ২ সাংবাদিককে গ্রে-প্তার ও হু-মকির অভি-যোগ ওসি বিরুদ্ধে

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন রংপুরের দুই সংবাদকর্মী। বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলামের গালাগাল ও গ্রেপ্তারের হুমকির মুখে পড়েন দৈনিক কালবেলার রংপুর প্রতিনিধি রেজওয়ান রনি এবং প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান।

    দুই সাংবাদিক জানান, রোববার গঙ্গাচড়ার পাশের কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নসংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সিঙ্গেরগাড়ি বাংলাবাজারে হাজারো মানুষকে জমায়েত করা হয়। পরে সেখানে উত্তেজিত জনতা হিন্দুপল্লিতে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থলের আশপাশে কিশোরগঞ্জ থানা থেকে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    এ বিষয়ে ওসির বক্তব্য নিতে গেলে শুরু হয় অপ্রীতিকর ঘটনা। থানার সামনে গোলঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ওসি আশরাফুল ইসলাম প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করেন এবং পরে রূঢ় ভাষায় জবাব দেন। ওই দুই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে ওসি বলেন, ‘উসকানি দিতে আসছে ওরা। উসকানি দিচ্ছেন আপনারা। মিয়া সব খবর আছে আপনাদের উসকানি দেওয়ার। আপনাদের যোগ্যতা থাকলে ভালো জায়গায় কিছু করতেন। এভাবে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করতেন না।’

    ওসি এ সময় সাংবাদিক রেজওয়ান রনির উদ্দেশে বলেন, ‘চোখ দিয়ে এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?’ অন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরেন তো এদের।’

    পাশে থাকা এসআই মহসিন বিষয়টি ঠান্ডা করার চেষ্টা করলে ওসি তাঁকে নির্দেশ দেন, ‘এই পুলিশ ডাকেন, ওদের ধরেন। প্ল্যান করছে দুজনে, প্রমাণ আছে আমার কাছে।’

    এসআই মহসিন পরে দুই সাংবাদিককে থানা থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে যান। তখনো ওসি গালাগাল করতে থাকেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিকের।

    ঘটনার বিষয়ে নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন শেখ ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আধুনিক পুলিশ, সাংবাদিকদের ভয় করে চলি না। এসপি, ডিআইজি কিংবা আইজির কাছে অভিযোগ করে যদি আমার চাকরি যায়, তাহলে সে চাকরি করব না। দুষ্কৃতকারীর স্থান আমার কাছে নেই, সাংবাদিক হোক, পুলিশ অফিসার হোক আর রাজনীতিবিদ হোক। যদি ফাইজলামো করে, পিটিয়ে সোজা করে দেব একেবারে।’

    এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু সাংবাদিক লাঞ্ছনা নয়, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার শামিল। দায়িত্বরত সাংবাদিকদের অপমান ও গ্রেপ্তারের হুমকি ফ্যাসিস্ট আচরণের উদাহরণ। জড়িত ওসিকে প্রত্যাহার এবং বিভাগীয় শাস্তির আওতায় না আনলে সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনে নামবে।’

    এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওসি মো. আশরাফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

  • এলিট কারাতে প-য়েন্টের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    এলিট কারাতে প-য়েন্টের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    তরিকুল ইসলাম তরুন,

    এলিট কারাতে পয়েন্টের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে
    সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হাসান খন্দকার।

    উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সম্মানিত সদস্য ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুফি শরফুদ্দিন চৌধুরী সোয়াদ, আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, কার্যকরী উপদেষ্টা শিহাব সেলিম প্রান্তসহ সকল অভিভাবকবৃন্দ।
    সভায় বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের হিসাব-নিকাশ, অর্জন এবং আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
    পরবর্তী সময়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের স্ব স্ব পদের সনদপত্র প্রদান করেন।
    সভা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা, ভালোবাসা ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই প্রতিষ্ঠার মাত্র সাত মাসেই আমরা এই সফলতায় পৌঁছাতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও আপনাদের এমন আন্তরিকতা ও ভালোবাসা কামনা করছি।

  • চারঘাটে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিত-রণ

    চারঘাটে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিত-রণ

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিম, এসইডিপি
    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
    ২০২২ ও ২৩ সালের উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও উচ্চ মাধ্যমিক সমাপণী পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের
    ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০ টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    চারঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাহেদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোহাঃ আছাদুজ্জামান।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (কলেজ) আলমাছ উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল ওয়াহাব,

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

    সবশেষে, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • চাটমোহরে যুবদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে কৃষি ব্যাংকে হা-মলা

    চাটমোহরে যুবদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে কৃষি ব্যাংকে হা-মলা

    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ভাঙচুর মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

    গুরুতর আহত ব্যাংক ম্যানেজার শামসুজ্জামান নয়নকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পরে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম হেলাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর একটার দিকে ফৈলজানা ইউনিয়নের ৩ নং ইউপি সদস্য এবং ফৈলজানা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ফৈলজানা শাখায় প্রবেশ করে।

    এ সময় পূর্বের একটি কৃষি ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ম্যানেজার শামসুজ্জামান নয়নের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলা করে ম্যানেজার কে মারপিট করে লোকমান মেম্বার।

    এছাড়া ভাঙচুর করা হয় ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার, কিছু আসবাবপত্র। তবে টাকা পয়সা তছরুপ হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক তিনি কিছু জানাতে পারেননি। ঘটনার পর থেকে ব্যাংকে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

    এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক লোকমান হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।

    এ ব্যপারে যুবদলের চাটমোহর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব ফারুক হোসেন জানান, ব্যাংকের ম্যানেজার কে মারপিটের ঘটনার সাথে লোকমান হোসেনের সম্পৃক্ততা থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যুবদল খারাপ কাজকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, দেবেও না। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে দলীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনজুরুল আলম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনা।

  • বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুর-নের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল  বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান

    বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুর-নের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নিশ্চিত করতে নিজ উদ্যোগে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেছেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ মতিউর রহমান।

    ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে দলীয় অফিসের সামনে উপজেলা আমির ক্বারী আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সুপেয় বিশুদ্ধ পানির চাহিদা উপলব্ধি করে গ্রামের দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যের লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ১৩০ টি টিউবওয়েল বিতরন কালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব মোঃ মতিউর রহমান।

    এসময় প্রধান অতিথি মোঃ মতিউর রহমান বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। টিউবওয়েল স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ যেন নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পায়, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আপনারা আমার কাছে টিউবওয়েল চাননি, তবুও আমি সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সহায়তায় আপনাদের খুঁজে বের করে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। শুধু টিউবওয়েল বিতরণ নয়, বরং প্রতিটি টিউবওয়েলের সেটিংসহ সমস্ত খরচ বহনের দায়িত্বও আমি নিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, আপনাদের দোয়া চাই, আল্লাহ যদি আমাকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কবুল করেন, তবে আমার এমপি পদমর্যাদার প্রতিটি সুবিধা গরিব ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবো। ইনশাআল্লাহ, আমি সবসময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর জেলার কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মোঃ জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির ক্বারী আজিজুর রহমান,উপজেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান,উপজেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

  • চমেকে ভু-ল চিকিৎসা অবহেলায় সাংবাদিকের মায়ের মর্মা-ন্তিক মৃ-ত্যু

    চমেকে ভু-ল চিকিৎসা অবহেলায় সাংবাদিকের মায়ের মর্মা-ন্তিক মৃ-ত্যু

    শহিদুল ইসলাম,
    নিজস্ব প্রতিবেদক

    চমেকে ভুল চিকিৎসায় সাংবাদিকের মায়ের মৃত্যু। কত প্রাণ ঝরলে বদলাবে অবহেলার চিত্র? সেবা নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করল চমেক হাসপাতাল। হৃদয়বিদারক পরিণতি সাংবাদিকের মায়ের। চিকিৎসার নামে অবহেলার ছোবলে সন্তানের শোক। সমাজকে প্রশ্ন রেখে গেলেন এক মা।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও চরম অবহেলার ফলে মৃত্যুবরণ করেছেন দৈনিক দেশের কথা পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ মাসুদের প্রিয় মা। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।) সুস্থ শরীর ও সচল মুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একজন মা-কে চোখের সামনেই নিথর হয়ে যেতে দেখলেন তার সন্তান, শুধুমাত্র চিকিৎসকদের গাফিলতি, অবহেলা ও নিষ্ঠুরতায়।

    ৩০ জুলাই (বুধবার) রাত ৯টার দিকে,এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে চমেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে। যেখানে জীবন রক্ষার আশায় মানুষ আসে, সেখানেই চরম দায়িত্বহীনতায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক মা।

    জানা গেছে, ২৭ জুলাই বিকেলে বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মাসুদের মা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার সময় তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেন, হাঁটাচলা করতেন এবং নিজে খাবার গ্রহণ করতেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকদের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার শিকার হন তিনি।

    একটি সাধারণ স্যালাইন দিতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টারও বেশি। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার পর একাধিকবার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের জানানো হলেও তারা উদাসীন থেকে নিজেদের মধ্যে গল্পে মেতে ছিলেন। কেউ মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন, কেউ চিকিৎসার দায়িত্ব না নিয়ে নির্লিপ্ত ছিলেন।

    সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয়—একটি জরুরি ওষুধ আনতে রোগীর স্বজনদের তিনবার পাঠানো হলেও সময়মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। নার্সরা বলেছিলেন, “ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া কিছু করা যাবে না।” আর চিকিৎসকদের জবাব ছিল—”নার্সরা না শুনলে আমরা কী করব?” এভাবে দায় এড়ানো ও দায়িত্বহীনতার মধ্যে সময় গড়িয়ে যায়, অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।

    পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে ঘটতে একসময় রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর প্রায় আধা ঘণ্টা পর নাটকীয়ভাবে স্যালাইন লাগানো হয়। নার্সরা শুরুতে স্যালাইন দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বলেন—”ডাক্তারের অর্ডার এসেছে, এখন দিতে হবে।” যা থেকে স্পষ্ট, কতটা অবহেলা ও শীতলতা নিয়ে একজন রোগীর জীবনের প্রতি দায়িত্ব পালন করা হয়।

    এই ঘটনায় পুরো ওয়ার্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর স্বজন ও অন্যান্য রোগীদের অভিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অনেকে অভিযোগ করে বলেন—”এখানে প্রতিদিনই কেউ না কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। এটা যেন রুটিন মৃত্যু।”

    মৃত্যুর পর ২৮ জুলাই মরহুমার গোসল, জানাজা ও দাফন কিশোরগঞ্জ জেলার গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়। সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ সাংবাদিক মাসুদ শুধু একটাই কথা বলেন” এমন অবহেলায় আর কোনো সন্তান যেন মা হারা না হয়।”

    এদিকে, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ মানুষ ও নিহতের পরিবারের প্রশ্ন—এমন চরম অবহেলার কি কোনো বিচার হবে না? দায়ীরা কি বারবার পার পেয়ে যাবে?

    ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি হাসপাতালে এসে রোগীরা নানা হয়রানি, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কোম্পানির পণ্যের চাপ, অহেতুক পরীক্ষার ব্যবসা ও চরম দায়িত্বহীনতার শিকার হন। যেখানে প্রয়োজন ছিল যত্ন ও সেবার, সেখানে জুটেছে অবজ্ঞা ও অবহেলা।

    প্রতিটি মৃত্যু কেবল একটি সংখ্যা নয়—তারা কারও মা, বাবা বা সন্তান। যদি এমন অবহেলায় তাদের মৃত্যু হয়, তবে প্রশ্ন ওঠে—আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থায় নয়, আমাদের বিবেকেই কি রোগ বাসা বেঁধেছে?

    সব চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এমন নয়—এটা সত্য। অনেক চিকিৎসক এখনো রোগীর সেবায় নিবেদিত। তবে কিছু সংখ্যক চিকিৎসকের গাফিলতি, অমানবিক আচরণ ও অবহেলা গোটা পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

    প্রত্যাশা একটাই—প্রতিটি মানুষের চিকিৎসা হোক নিরাপদ ও মানবিক। রোগীর প্রতি আচরণ হোক সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বপূর্ণ। রোগীবান্ধব হোক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক।এটাই ভুক্তভোগী পরিবার ও সর্বস্তরের মানুষের দাবি।

    উল্লেখ্য মরহমার এমন আকর্ষিক মৃত্যুতে গভীর শোকাভিভূত মর্মাহত দুঃখ সমবেদনা প্রকাশ করেন পরিবার আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসাধীনওয়ার্ডের রোগী সাধারণ অভিভাবক। সাংবাদিক সমাজ সচেতন মহল পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই। মৃত্যুর আগেও মরহুমাা অজু গোসল পাক পবিত্র ইবাদত আমলের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন ও আমল করেছেন। প্রতিটা মুহূর্তেই সকলের ভাল মন্দ খোঁজ খবর নিতেন। সকলের ভালো চাইতেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন মৃতের পরিবার। দুনিয়া ইহকালের নেক আমল কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।