Blog

  • ভাবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পু-নর্জাগরণ অনুষ্ঠিত

    ভাবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পু-নর্জাগরণ অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো শিশু শহীদদের স্মরণে ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।

    এসো দেশ বদলাই-পৃথিবী বদলাই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ টায় এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো জুলাই কেন্দ্রিক কবিতা, গান, রচনা, আবৃত্তি এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। একই দিনে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শ্রেণির শিশুদের বরণ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

    শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকী,উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন,সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম, আশীষ কুমার তরফদার।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফার রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেছেন। এমনকি শিশুদের অংশগ্রহন এবং তাদের প্রাণ বিসর্জন আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই অর্জনকে শিক্ষনীয় হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে হবে, দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তিনি জানান-মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিশুদের প্রাণহানীর প্রেক্ষাপটে ২৪ জুলাই নির্ধারিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন, জুলাই মাস ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সংকটে দেশের জন্য যারা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিলেন, সেই যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর মাধ্যমেই নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।

    সদর উপজেলার ভাবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফার রহমান জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আজ স্কুলে উপস্থিত হয় এবং তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন ও উপভোগ করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • কুমিল্লায় ছা-ত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিত হা-সান গ্রে-প্তার

    কুমিল্লায় ছা-ত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিত হা-সান গ্রে-প্তার

    কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে বাকশীমুল ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাকশীমুল গ্রামের তার বাসা থেকে বুড়িচং থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    কিছুদিন পূর্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক পিয়াসের নেতৃত্বে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিমসার বাজারে নিষিদ্ধ সংগঠন নিয়ে জনগণের জান মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিলে সরাসরি নেতৃত্ব দেয় অমিত হাসান। শুধু তাই নয় গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের উপর সরাসরি হামলা করে । এই নিয়ে কুমিল্লা কোর্টে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল।

    উল্লেখ্য যে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এর ভাগিনা অমিত হাসান। মামার ক্ষমতা খাটিয়ে চাকরি নিয়েছে বাকশীমুল মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার শিক্ষকদের মতে কাম কম্পিউটার হিসেবে যোগদান করলেও কম্পিউটারের কোন জ্ঞান নেই তার মধ্যে। মাদ্রাসায় এসে উপস্থিত না থেকেও দীর্ঘদিন বেতন নিয়েছে।আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকলেও কম্পিউটার না জানায় কোন কাজই করতে পারেনি। হতাশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।

    গত বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এবং পলাতক জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক মামলা আসামি সাজ্জাদ হোসেন এর জন্য বাকশীমুল গ্রামে দোয়া মিলাদের আয়োজন করে অমিত হাসান। এ বিষয়গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। এতে করে স্থানীয়দের মনে আবারো ভয় জেগে উঠে। তার আচরণে গ্রামের লোকজন ভয়ে দিন কাটাচ্ছিল। যার কারনে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার আসামি অমিত হাসানকে রাতে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

    বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন দেশের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাকশীমুল ইউনিয়নের অমিত হাসান অরাজকতা তৈরি করার জন্য কিছুদিন পূর্বে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়াশার নেতৃত্বে মহাসড়কে অবৈধভাবে মানুষের জানমাল ক্ষতি করার লক্ষ্যে মিছিল করে। এই নিয়ে মামলা হলে অমিত হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এবং জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • কুমিল্লার শাসনগাছা টু মিরপুর সড়ক দুসাইট বৃদ্ধিক-রণে অংশীজন ও উন্নয়ন  সভা অনুষ্ঠিত

    কুমিল্লার শাসনগাছা টু মিরপুর সড়ক দুসাইট বৃদ্ধিক-রণে অংশীজন ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    কুমিল্লার শাসনগাছা হতে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে মিরপুর পর্যন্ত এম এ গনি সড়ক উন্নয়ন ও রাস্তার দুপাশ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১ লা অগাস্ট ২০২৫ ইং বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা জাহান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, বুড়িচং।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লা বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান, রোড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম রাব্বানী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সাইদ হাসান শিকদার।, ব্রাহ্মণপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ লাভলু,বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর অহিদুর রহমান, বুড়িচং বাজার কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন দোলন, ছাত্র প্রতিনিধি ছাব্বির, আরিফ আহমদ মাহাদী, পিয়াস এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি মাসুদ আলম বক্তব্য রাখেন।

    এসময় বক্তারা বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন অবহেলিত বন্যাপরবর্তী ভাঙ্গনে চলাচলে বেহাল দশা সৃস্টি হয়েছে।

    উন্নয়ন হলে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জনগণের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা আরও সহজ ও গতিশীল হবে।এই সড়কটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।

  • সলঙ্গা বাজার উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের স-মাবেশ

    সলঙ্গা বাজার উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের স-মাবেশ

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত সলঙ্গা বাজার ব্যবসায়ীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) বাদ জুমা মৌলভী আব্দুল ওয়াহেদ মিলনায়তন হলরুমে সলঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুম ইলেক্ট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী কে.এম আমিনুল ইসলাম হেলালের সভাপতিত্বে সভার কাজ শুরু হয়।দাদপুর জি.আর ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক ও সলঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি,সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও সলঙ্গা হাট ইজারাদার জননেতা মতিয়ার রহমান সরকার।সলঙ্গা বাজার ব্যবসায়ীদের আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হাসান খোকন,সলঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাও: আব্দুল গফুর,বিএনপি নেতা কে.এম আহসান হাবীব,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন,সলঙ্গা থানা যুব দলের সাবেক সদস্য সচিব,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহীন রেজা,
    বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক হায়দার,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত সাধারন ব্যবসায়ীদের মধ্য হতেও উন্মুক্ত আলোচনা করেন।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,প্রতি শুক্রবার সাড়ে ১২ টা হতে আধাবেলা বাজারের সকল দোকান পাট বন্ধ রাখতে হবে।
    ব্যবসায়ীদের ঘামে ভেজা,পরিশ্রমের টাকায়
    সলঙ্গা বাজারে কোন ধরনের চাঁদাবাজী চলবে না। মদ,জুয়া,নেশা মুক্ত সলঙ্গা বাজার গড়তে হবে।সলঙ্গার প্রবেশ পথ স্লুইস গেট,নতুন ব্রীজ মাদ্রাসা মোড়সহ সকল স্থানে যানজট দুর করতে হবে।নৈশ পাহাদারের বেতন ভাতা সকল দোকানীকে যথা সময়ে প্রদান করতে হবে।
    সলঙ্গা বাজারে ফেলে রাখা বর্জের দুর্গন্ধ,জলাবদ্ধতা, বাজারের গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাগুলোতে স্যাঁতস্যাঁতে কাদামুক্ত আর দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।বক্তারা আরও বলেন,সলঙ্গা বাজারের সকল অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে হবে। সলঙ্গা বাজারের প্রতিটি পট্রিতে আলাদা কমিটি গঠন পুর্বক সব মিলিয়ে একটি শক্তিশালী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি গঠন করতে হবে।সংশ্লিষ্টদের সাথে
    আলোচনা সাপেক্ষে বাজারের মেইন পোলে পোলে লাইটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।সম্মানিত আলোচকবৃন্দের আলোচনার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে প্রধান অতিথি জননেতা মতিয়ার রহমান সরকার সলঙ্গা বাজারের চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে বলেন,আমি হাট ইজারাদারের দায়িত্ব গ্রহনের পর দীর্ঘ দিনের সমস্যাগুলো ধাপে ধাপে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আন্দোলনের সুতিকাগার, ঐতিহাসিক সলঙ্গা হাটের দুরাবস্থা,যানজট, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুরীকরণে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবিরসহ উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে নিয়ে এসে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছি। অচিরেই সলঙ্গা হাটের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।স্বত:স্ফুর্ত বাজার ব্যবসায়ীদের অংশ গ্রহনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শেষে দোয়া ও মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি হয়।

  • পটিয়ায় বিএনপি নে-তার বি-রুদ্ধে ভি-টেমাটি ছাড়া এক পরিবারের সংবা-দ সম্মেলন

    পটিয়ায় বিএনপি নে-তার বি-রুদ্ধে ভি-টেমাটি ছাড়া এক পরিবারের সংবা-দ সম্মেলন

    মহিউদ্দিন চৌধুরী।।
    পটিয়া প্রতিনিধি :- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মোকাম্মেল হক তালুকদার ও তার সহযোগীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে নিজ ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে রয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নির্যাতিত পরিবার।

    শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় পটিয়ার স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বসতভিটায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য লিজা আক্তার। তিনি বলেন, “প্রায় এক বছর আগে মোকাম্মেল ও তার লোকজন সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ি দখল করে নেয়। ঘর থেকে লুট করে নেয় নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। প্রাণনাশের হুমকিতে আমরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হই। একাধিকবার প্রশাসনকে অবহিত করলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

    তিনি আরও অভিযোগ করেন, “সন্ত্রাসী মোকাম্মেল কেবল আমাদের পরিবার নয়, পুরো আশিয়া গ্রামকে জিম্মি করে রেখেছে। সে এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট চালায়। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় বা শারীরিকভাবে আক্রমণ করে। এমনকি পূর্বে মানববন্ধন করলে অংশগ্রহণকারী অনেককেই মারধর করা হয়েছে।”

    ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতেও পারছে না। পথে বের হলেই মোকাম্মেল গংয়ের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে। এতে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ মামলার আসামি মোকাম্মেল হক তালুকদারের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় সম্প্রতি অপহরণ ও চাঁদাবাজির একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে এখনো সে আইনের আওতার বাইরে রয়ে গেছে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেজি আক্তার, শহিদুল হক, নূর নাহার বেগম, লিজা আক্তার ও রিজিয়া বেগমসহ ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

    তারা অবিলম্বে মোকাম্মেল হক তালুকদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিজ বসতভিটায় ফেরার সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

  • ত্রিশালে স্বর্ণের পুতুল নিয়ে প্রচারিত সংবা-দের নি-ন্দা ও প্র-তিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

    ত্রিশালে স্বর্ণের পুতুল নিয়ে প্রচারিত সংবা-দের নি-ন্দা ও প্র-তিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

    আরিফ রব্বানী।
    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের
    মাগুর জোড়া গ্রামে স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে
    হারিসা খাতুন এর অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো ঘটনা বলে দাবী করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই এলাকার ফয়জুর রহমান।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন- আমার একই গ্রামের বাসিন্দা হারিসা খাতুনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে
    বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে হারিসা খাতুন তার বক্তব্যে বলে স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমি তার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছি বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী হারিসা এক এক চ্যানেলে এক এক তথ্য প্রদান করেছেন। অর্থাৎ আইবিএম টেলিভিশনে বলেছে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে জাগ্রত টিভিতে বলেছে ৪৫ লাখ আবার ফেসবুকে বলেছেন ৪০ লাখ। মহিলার দেওয়া তথ্য ও বিষয় বস্তুটি নিয়ে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কমেন্ট থেকে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে । সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া প্রচারিত সংবাদের বিষয়টি আপত্তিকর বলে দাবী করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন- মুলতঃ বেশ কয়দিন পুর্বে আমার পাশের বাড়ির একটি শিশু পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করার পর পাশের বাড়ির লোকজন তাকে কবর স্থানে মাটি দিতে বাধা প্রদান করলে আমি মৃত অসহায় পরিবারের পক্ষে কথা বলি এবং সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাতকার প্রদান করি এতে এলাকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের আধিপত্য হারানোর ভয়ে আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধকাজে লিপ্ত। এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আমার উপর প্রতিশোধ নিতে ষড়যন্ত্র করে হারিসা খাতুনকে দিয়ে আমার উপর মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করেছে। তিনি হারিসার এই নাটকীয় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী করেন।

    এনপিএস মানবাধিকার সংস্থা ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এটিএম মনিরুজ্জামান জানান- ফয়জুরের সাথে সংবাদে এনপিএসের নাম জড়নো হয়েছে। যেহেতো ফয়জুর আমাদের এনপিএসের সদস্য তাই এর সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে
    ব্যবস্থা নিতে এনপিএস মানবাধিকার সংস্থা ত্রিশাল শাখা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন যাকে আগামী চার কর্ম দিবসের মধ্যে সঠিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান-যদি প্রকৃত সত্য ঘটনা হয় এর সাথে ফয়জুর রহমান জড়িত থাকে তবে তার ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করিবে। আর যদি বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন হয় তবে মহিলা এবং তার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গদের ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে সংস্থাটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বলেও জানান এনপিএসের নেতৃবৃন্দ ।

  • সুজানগরে জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থান স্মর-ণে আইডিয়া প্রতি-যোগিতা

    সুজানগরে জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থান স্মর-ণে আইডিয়া প্রতি-যোগিতা

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে আমার চোখে জুলাই বিপ্লব প্রতিপাদ্যের আলোকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে সুজানগরে তরুণদের অংশগ্রহণে জুলাই বিপ্লব নিয়ে নাটক এবং ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবর রহমান। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম হোসেন, চরসুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, জামায়াত নেতা ওলিউল্লাহ বিশ্বাস, ছাত্র প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, আকিব মন্ডল, সোহান সেখ,ফয়সাল আহমেদ,অন্বেষা অর্পা মন্ডল,সামিয়া তাবাসসুম (জিমি),আব্দুল্লাহ বিন সাইদ ইফতি,আফিয়া আনজুম অনন্যা,নাহিদ কাউসার,এম,এম,রায়হানুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান সহবিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শেষে অনুষ্ঠানে গল্পের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান বিষয় উপস্থাপন করা হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর পাবনা।।

  • সুজানগরে মন্ডল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দো-য়া অনুষ্ঠিত

    সুজানগরে মন্ডল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দো-য়া অনুষ্ঠিত

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: সুজানগর পৌর শহরে মন্ডল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মন্ডল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার রিয়াজ মন্ডলের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েম, রাশেদুল ইসলাম বাবু মণ্ডল, সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাক্তার ওয়াসিম, জামায়াত নেতা কেরামত আলী, শিক্ষক এস এম কামাল , আলাউদ্দিন আলাল, সাহেব আলী মন্ডল, শরিফুল ইসলাম মামুন, ব্রোজেন কুমার পাল, রকি ইসলাম সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ শরিক হন। দোয়া পরিচালনা করেন সুজানগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম। মন্ডল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার রিয়াজ মন্ডল জানান মন্ডল হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগে আধুনিকতার ছেঁায়া ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনে এক নতুন যুগের সূচনা হলো।
    অভিজ্ঞ চিকিৎসক, উন্নত যন্ত্রপাতি এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সমন্বয়ে এই হাসপাতালে রোগীদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত সেবার প্রতিশ্রুতি বহন করা হবে এবং চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে রোগীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে ইনশআল্লাহ।নতুনভাবে সাজানো এই হাসপাতালে শুধু চিকিৎসা নয়, রোগীর মানসিক স্বস্তি ও আস্থা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।মন্ডল হাসপাতালের এ উন্নত চিকিৎসা বিভাগ স্বাস্থ্যসেবার অগ্রযাত্রায় একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • তেঁতুলিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান

    তেঁতুলিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম প্রশিক্ষণ সেন্টারে ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই)’ স্কিমের আওতায় ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।

    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সেকেন্ডারি এপুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) এর অধীনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিস এই পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    তেঁতুলিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. আফরোজ শাহীন খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শওকত আলী, তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও আটোয়ারী একাডেমিক সুপাইভার রেজাউল নবী রাজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শিপন মো. হাবিবুর রহমান, মাঝিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহারুল হক, শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল, নাওয়াপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রমূখ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে ভজনপুর ফখরুন্নেছা ফাযিল মাদরাসা হতে ২০২২ সালে আলিম পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অভিভাবক বক্তব্য পেশ করেন, ভজনপুর ফখরুন্নেছা ফাযিল মাদরাসার তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শওকত আলী।

    অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উপজেলার ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • বিলু-প্তির পথে  দেশীয় প্রজাতির মাছ

    বিলু-প্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলী।। একটা সময় এ দেশের মানুষকে বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। সে সময় গ্রামাঞ্চলোর জলাশয়গুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাড়িতে যদি ভাত নাও থাকত, তবুও মাছের কমতি ছিল না। অনেকের এমনও দিন গেছে যে, ভাত না খেয়ে শুধু মাছ খেয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। মৎস্য আহরণ ছিল সহজ ব্যাপার। সেই সময় প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। আজ আমরা এসব মাছ খুব বেশি দেখতে পাই না। যদিও কালেভদ্রে দেখা যায়, সেগুলোর অধিকাংশই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। ফলে দেশি মাছের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না।

    নদী মাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, পুকুর ডোবা, হাওর-বাঁওড়, ধানক্ষেত, পানিবদ্ধ বিলগুলো হচ্ছে- দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রধানতম উৎস। এসব উৎস ধ্বংস, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এবং নানাভাবে পরিবেশ দূষণের ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ট্যাংরা, টাকি, চান্দা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিটা, পাঙাশ আর চিতল এসব মিঠা পানির মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ এখন আর বাজারে দেখা যায় না। বর্তমানে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি।
    গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী-নালা, খাল-বিল, ডোবার পানির অপরিমিত ব্যবহার, ডোবা-নালা ভরাট করা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকে পানির দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের সংখ্যা অনেক কমছে। গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে।

    বর্তমান প্রজন্ম আজ অনেক দেশি জাতের মাছের কথা ভুলে গেছে। তাদের সঙ্গে যখন দেশি মাছের কথা আলোচনা করা হয়, তখন তারা এমন ভাব করে যেন নামগুলো এই প্রথম শুনছে।
    এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে এই মাছগুলো বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে? আসলে এই মাছগুলো এমনি এমনি বিলুপ্ত হচ্ছে না, বরং বিলুপ্ত করা হচ্ছে। আজ আমরা অধিক ফলনের আশায় জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছি। এসব কীটনাশক বৃষ্টির পানির মাধ্যমে খাল ও বিলে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে ওইসব খাল-বিলের মাছ মরে যায়। অন্যদিকে অনেক মাছ ডিম ফুটে বাচ্চা বের করার সময় আহরণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওই মাছগুলো ডিমসহ ধরা পড়ছে। এভাবে মাছ ধরার কারণে অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় পোনা মাছ আহরণ করা হয়, যার ফলে ওই মাছগুলো নিশ্চিত বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। তাই মানুষকে এভাবে মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখা সময়ের দাবি।

    দেশি মাছ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসা উচিত। ইতোমধ্যে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা গেছে। অন্য যেসব মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, সেসবও রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ আমাদের অন্যতম সম্পদ। পৃথিবীতে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ স্থান অধিকার করে আছি। এ ধারা ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে আমাদের দেশি প্রজাতির মাছের উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে বেশি।

    গবেষকরা এ ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেন। সরকারকেও এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
    বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০ প্রকারের বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও এখনো কোন মাছকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি আইইউসিএনের এ সংক্রান্ত নিয়মটি হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পর পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন বলছিলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নান্দিল নামে এক সময় একটি মাছ দেখা যেত, কিন্তু গত ২০ বছরে সেটির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ দেখা যায়নি। আবার সিলেট অঞ্চলের পিপলা শোল নামে একটি মাছ দেখা যেত, যা এখন আর দেখা যায় না। গত ১০ বছরে দেখা যায়নি এই মাছ। “দেখা যায়নি, কিন্তু তবু বিলুপ্ত ঘোষণা করার আগে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। “যদি এর মধ্যে বিপন্ন মাছেদের অস্তিত্বের ব্যপারে কোন তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে হয়ত আইইউসিএনের পরবর্তী জরিপে এগুলোর ব্যপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকতে পারে।”

    আইইউসিএনের ২০১৫ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণীতে মোট ৬৪ প্রজাতির মাছকে রেড লিস্ট বা লাল তালিকাভুক্ত করেছে, এর মানে হচ্ছে এসব প্রজাতির মাছ হয় প্রায় বিলুপ্ত, মহাবিপন্ন ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

    ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘আপডেটিং স্পেসিস রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের অধীনে এই তালিকা করা হয়। এ সংক্রান্ত প্রথম জরিপটি হয়েছিল ২০০০ সালে, সে সময় ৫৪টি প্রজাতিকে রেড লিস্টভুক্ত করা হয়েছিল। জরিপে মূলত স্বাদু পানির এবং আধা লোনা পানির মাছকেই গণনায় ধরা হয়েছিল।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ঐ ‘রেড লিস্ট’ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০। এর মধ্যে ২০১৫ সালে আইইউসিএন এর সর্বশেষ মূল্যায়নে ২৫৩ প্রজাতির মাছের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল তাতে দেখা গেছে সময়ের বিবর্তনে যেসব মাছ বিলুপ্তপ্রায় তার বেশির ভাগই নদীর মাছ মানে স্বাদু পানির মাছ। তবে, ৩০০ প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্তত ৪০ প্রজাতির মাছের ব্যাপারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থার কাছে হালনাগাদ কোন তথ্য নেই। আইইউসিএন কয়েকটি ভাগে মাছের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছিল। এর মধ্যে কিছু মাছ ক্রিটিক্যালি এনডেঞ্জারড বা প্রায় বিলুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ এগুলো সন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে সেগুলো অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    বাংলাদেশে বিপন্ন মাছের মধ্যে রয়েছে—পাঙ্গাস, দারি, ককসা, টিলা বা হিরালু, টিলা ককসা, রানি বা বউ মাছ, বেতাঙ্গি, বেটি বা পুতুল মাছ, কালা বাটা, ঘর পোয়া, ঘর পইয়া, ঘোড়া মাছ, এলানগা, কচুয়া পুটি, বোল, চিতল, গজার, টেংরা, রিটা, গাঙ্গিনা বা চাকা মাছ, বট শিং, ঘাউড়া, সাল বাইম। এছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে বাও বাইম, চাপিলা, গুতুম, পুঁইয়া, পিয়াসি, জারুয়া বা উট্টি, ছেপ চেলা, গোফি চেলা, বাটা মাছ, নারু মাছ বা গনিয়া, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা, বেলে, শিং, আইড়, বোয়াল, তেলি, কুইচ্চা মাছ, বামোস মাছ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি প্রথমেই জলাশয় কমে যাওয়াকে দায়ী করেন। “শহর ও গ্রাম দুইখানেই নদী-খালসহ সব ধরণের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও। “কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরণের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।” সেই সঙ্গে রয়েছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আছে কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলা হয়, তার ফলেও মাছ মরে যায়, বলেন মিজ ফাতেমা। এর সঙ্গে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশী মাছের চাষের কারণেও দেশী প্রজাতির মাছ কমে গেছে।
    দেশের বাজারে এক সময় দেশীয় চাষের মাছের আধিক্য দেখা যেতো। “ধরুন এখানে তেলাপিয়া, কার্পজাতীয় মাছ আনা হয়েছে, আবার এক সময় আফ্রিকান মাগুর আনা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আনা হলো পিরানহা–এগুলো দেশী মাছের খাবার ও বাসস্থল দখল করতো। অনেক সময় দেশী মাছ খেয়ে ফেলতো কোন কোন বিদেশী প্রজাতি।” যদিও পরে আফ্রিকান মাগুরের চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও বিদেশী মাছের প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে অনেক মাছ কমে গেছে। বাংলাদেশে দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছের হার কমে যাবার প্রেক্ষাপটে গত দুই দশকে কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে মাছের সরবারহ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর সাড়ে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

    মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক মানুষ এর মধ্যে নদী, বিল ও হাওরসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ২৫ শতাংশ, পুকুর, ডোবার মত বদ্ধ জলাশয় থেকে ৫৭ শতাংশ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়। বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার জানিয়েছেন, কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে বাজারে চাহিদা আছে এমন মাছই বেড়েছে। “কিন্তু বাজারে চাহিদা কম এমন মাছ তো চাষ করছে না কেউ, ফলে সেগুলোর অস্তিত্ব সংকট আগের মতই থাকছে। যেমন খলিশা, চাপিলা, মেনি, ফলি, বাও বাইম, গুতুম, কুইচ্চা মাছ, বামোস ইত্যাদি ধরণের মাছ দেখতে পাবেন না।”

    “এখন বাজারে পাবদা বা গুলশা মাছ বা পাঙ্গাস পাবেন আপনি, সেগুলোর চাহিদা আছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হলে, বিপন্ন মাছের ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।” তবে ফসলি জমি নষ্ট করে দেশে মাছ চাষ করা নিয়ে পরিবেশবাদীদের এক ধরণের বিরোধিতাও রয়েছে।

    তাদের পরামর্শ বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যদিও এখন কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, সর পুটি, চিতলসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ সহজলভ্য হয়েছে, কিন্তু সেই সব মাছের স্বাদ আগের মত নয়।

    বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে ‘প্রায় নেই’ হয়ে গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বলছে, এর মধ্যে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ হবার পথে বাঘাইর, পিপলা শোল বা বাক্কা মাছ, মহাশোল, নান্দিলা মাছ, চান্দা, ভাঙ্গান বাটা, খরকি মাছ, কালো পাবদা, চেনুয়া মাছসহ বেশ কিছু মাছ রয়েছে।

    ময়মনসিংহে বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তফা আলী রেজা হোসেন জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। “আইইউসিএন বাংলাদেশের বিপন্ন প্রাণীর তালিকা করার জন্য দুটি জরিপ চালিয়েছিল, ২০০০ সালে প্রথম জরিপে ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে সর্বশেষ জরিপে তাতে আরো ৬৪ প্রজাতির মাছ যুক্ত হয়।”

    এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছর পর মাছের প্রচন্ড আকাল দেখা দেবে।
    সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের মধ্য থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত সকল প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। জৈষ্ঠ মাসের মধ্যকালে প্রথম বৃষ্টির পর থেকেই এসকল সাদুপানির মাছ ডিম ছাড়া শুরু করে। যা চলে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত। বৃষ্টির পরপরই যখন বিভিন্ন জলাশয়গুলো পানিতে ভরে যায়, তখন নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, হাওড়-বাওড়, ধান ক্ষেতসহ জলাবদ্ধ বিলগুলো জলাজমির সাথে মিশে যায় এবং তখন মুক্ত জলায়শয়ে থেকে ছড়িয়ে যায় মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি মাছ। আর তখনই স্থানীয় জনগণ অনুমোদিত ঝাকি জাল, চর পাটা জাল, বেবদি জাল, কারেন্ট জাল, চাইঁ, বরশি, টোটা, কোচ, বর্সাসহ বিভিন্ন রকম হাতে বানানো ফাঁদ পেতে মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টৈংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি এসকল প্রজাতির মাছ নিধন করতে থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশ থাকে ডিম ছাড়ার পর্যায়ের ‘মা মাছ’। এসব মা মাছ দেদারসে মারার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ব্যহত হচ্ছে এবং দিন দিন কমে যাচ্ছে।
    তবে এর বিপরীত চিত্র রয়েছে মৎস্য চাষে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, পুকুর ডোবা বা বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষে গত এক দশকে বিপ্লব ঘটেছে। গত এক দশকে কৃষিপণ্য হিসেবে মাছের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রায় বিলুপ্তির মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যাও এখন বাড়ছে।
    কৃষক অপরিকল্পিতভাবে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল-বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে মিশে এর ফলেও মাছ মরে যায়। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে সকলকে সচেতন হতে হবে।