Blog

  • গোদাগাড়ীতে মাঝি মাল্লা,শিক্ষক ও ইউপি সদস্যদের মাঝে লা-ইফ জ্যা-কেট বিতরণ

    গোদাগাড়ীতে মাঝি মাল্লা,শিক্ষক ও ইউপি সদস্যদের মাঝে লা-ইফ জ্যা-কেট বিতরণ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফয়সাল আহমেদের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে শিক্ষক, ইউপি সদস্য, নৌকার মাঝে লাইফ জ্যাকেট, হতদরিদ্র ও দুর্যোগকবলিত মানুষের মাঝে টিন, নগদ অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১৪.৫ কেজির একটি প্যাকেট, যাতে ছিল ৮টি প্রয়োজনীয় পুন্য। একইসঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য ও অফিসে সেবাগ্রহীতাদের বসার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়।

    এ সব জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির উদ্বোধন ও বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) রেজা হাসান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপসচিব ডিডিএলজি জাকিউল ইসলাম, উপজেলার প্রকৌশলী মনসুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মনিরুল ইসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীজন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদের বলিষ্ঠ ও মানবিক নেতৃত্বে এ ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ গোদাগাড়ী উপজেলাকে সুশাসন ও মানবিক সহায়তার এক অনন্য দৃষ্টান্তে পরিণত করেছে। সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ী উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ জনসচেতনতা সৃষ্টি, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দিয়ে ৯ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফুটবল, হ্যান্ডবলসহ বিভিন্ন খেলাধুরার সামগ্রী। জনগণের পাশে থেকে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবরদক,
    রাজশাহী।

  • আটঘর কুরিয়ানার পর্যটন এরিয়ায় শান্তিশৃ-ঙ্খলা বজা-য় রাখতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মোবা-ইল কো-র্ট

    আটঘর কুরিয়ানার পর্যটন এরিয়ায় শান্তিশৃ-ঙ্খলা বজা-য় রাখতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মোবা-ইল কো-র্ট

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদের ঐতিহ্যবাহী আটঘর কুড়িয়ানা পেয়ারা সমৃদ্ধ পর্যটন এরিয়ায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক মোবাইল কোর্ট এর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    শুক্রবার ০১ আগস্ট, উপজেলার আটঘর কুরিয়ানা পর্যটন এরিয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রায়হান মাহমুদ মোবাইল কোর্ট এর অভিযান পরিচালনা করেন।

    উল্লেখ্য গত একমাস যাবত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু কিছু পর্যটকরা অতি উচ্চশব্দ (লাউড স্পিকার) নিয়ে আটঘর কুড়িয়ানা ঘুরতে আসতো। যেটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। লাউডস্পিকার শব্দে গাছের পাখিরাও ভয়ে উড়ে যেত, ৩০০ মিটার দুরের লোকজন লাউডস্পিকারের শব্দে অতিষ্ঠ ছিলো এবং টলারের চলতো উশৃংখলতা, অশ্লীল নৃত্য ফলে বিলম্বনায় পড়তে হতো পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের।

    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার হতে থাকে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, ও ডিসি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করা হয় এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে নিউজ করায় নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ভ্রমনের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিতকরতে গত ২৭ জুলাই পর্যটন এলাকা আটঘর কুড়িয়ানার জন্য জরুরি কিছু নির্দেশনা জারি করেছিলেন।

    সেই জারিকৃত নির্দেশনা কতটা কার্যকর হয়েছে। সেটি সরজমিনে দেখার জন্য ১লা আগষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ রায়হান মাহমুদ আটঘর কুড়িয়ানার পর্যটন এলাকায় যায়। গত সপ্তাহের চেয়ে আজকের পরিবেশটা শান্তিপূর্ণ। তবে এ সময় রায়হান মাহমুদ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কয়েকটি উচ্চ শব্দ (লাউড স্পিকার) জব্দ করে।

    নির্বাহী কর্মকর্তার পর্যটন এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। ঘুরতে যাওয়া পর্যটক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে কুড়িয়ানার এই অনন্য পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করি-তবে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার সঙ্গে। পর্যটন হোক আনন্দদায়ক, পরিবেশ হোক সুরক্ষিত।

    মোঃ হায়দার নামে পর্যটক বলেন, অনেকদিন পরে হলেও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ স্বস্তি পেতে শুরু করেছে পাশাপাশি এলাকার মানুষও অত্যন্ত খুশি স্যারের এই মহতী উদ্যোগ নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ স্যারকে এবং প্রেসক্লাবের সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের কেও আন্তরিক ধন্যবাদ তাদের জন্য বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য।

    সাহানাজ নামে আর জন বলেন, এমনটা প্রতিবছরই হয় কিন্তু বেশিদিন ধরে রাখা যায় না। আগামী দিনগুলোতে এরকম সুন্দর পরিবেশ বিরাজ থাকুক এই কামনা করছি।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানার পর্যটক এলাকায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য ভ্রমনের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিতকরতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা বলবত থাকবে। আজকে ক্ষতিকর কয়েকটি উচ্চ শব্দ (লাউড স্পিকার) জব্দ করা হয়েছে। আগত ট্যুরিস্টদের এই এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য সচেতন করা হয়।
    জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

  • রাজশাহীর শী-র্ষ মা-দক স-ম্রাট নয়ন ডাক্তার গ্রেফ-তার

    রাজশাহীর শী-র্ষ মা-দক স-ম্রাট নয়ন ডাক্তার গ্রেফ-তার

    হায়দার আলী।
    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
    রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় শীর্ষ মাদক কারবারী কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানার পুলিশ। তার নাম নাসির উদ্দিন নয়ন ডাক্তার । তার বাড়ি উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের রেলগেট এলাকায়। তিনি একটি ক্লিনিকের মালিক। তাই এলাকায় তিনি নয়ন ডাক্তার নামে পরিচিত। গোদাগাড়ীর শীর্ষ হেরোইন কারবারিদের একজন নয়ন ডাক্তার।

    এলাকার আওয়ামী লীগের সাবেক পলাতক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে বেশ ভাব ছিল নয়ন ডাক্তারের। তাই ফারুক চৌধুরী তাকে মাটিকাটা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছিলেন। দলের গঠনতন্ত্রে শুধু একটি ওয়ার্ড কিংবা ইউনিয়ন কমিটিতে একজনই সভাপতি থাকার নিয়ম থাকলেও ফারুক চৌধুরী তাকে ইচ্ছেমতো তিনটি ওয়ার্ডের সভাপতি করেছিলেন। অথচ তার নামে আছে একাধিক মাদক মামলা।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার সাহাব্দিপুর এলাকা থেকে নয়ন ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট থানায় হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

    আওয়ামী আমলে দেদারসে মাদক ব্যবসা করে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন নয়ন ডাক্তার। এলাকায় খুলেছেন ক্লিনিক। দুই স্ত্রীর নামে অর্ধশতাধিক বিঘা জমিও কিনেছেন। মাদক মামলার এই আসামি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও হয়েছিলেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান, অবৈধভাবে কয়েক জনকে নিয়োগ দিয়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহন করেছিলেন নয়ন ডাক্তার। কিন্তু তাদের এমপিও ভুক্ত করতে পারেন নি। তারা বেতন না পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিয়েছেন তারা। লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন কথিত নয়ন ডাক্তার। টাকা ফেরত না পেয়ে চাকুরী প্রাপ্তরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন বলে জানান ওই শিক্ষক।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • গোদাগাড়ীতে ৫৪ বছরের ঘাটপ্র-থা অব-সানের অপেক্ষায় পদ্মার চরাঞ্চলের হা-জার হাজা-র মানুষ

    গোদাগাড়ীতে ৫৪ বছরের ঘাটপ্র-থা অব-সানের অপেক্ষায় পদ্মার চরাঞ্চলের হা-জার হাজা-র মানুষ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৫৪ বছরের ঘাটপ্রথা অবসানের অপেক্ষায় তীর্থের কাঁকের মত চেয়ে আছেন পদ্মানদীর ওপারের চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

    গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ, কাঁনাপাড়া, মধ্যচর, মানিকচক, চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝালিয়াপাড়া, ক্লাবঘাট, আলাতুলি প্রভূতি এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন একাধিক বার নদী পারাপার হতে হয়। চরাঞ্চলের উৎপাদিত ফসল, গরু ছাগল হাঁস মুরগিসহ আসবাবপত্র নদীর এপার থেকে ওপারে অথবা ওপার থেকে এপারে আনা নেয়া করতে হয়। এ সুযোগে ঘাট ইজারাদারগণ সরকার নির্ধারিত টোল না নিয়ে ইচ্ছামত মনগড়া জোরপূর্বক বেশী করে টোল আদায় করে আসছিল। এমন কি কয়েকটি মুরগি, দৈনিক বাজার করে নিয়ে গেলেও টোল নেয়া হতো। নির্যাতিত বিভিন্ন পেশার মানুষ কয়েক মাস আগে বাস, ট্রাক ভাড়া করে রাজশাহীতে গিয়ে মিটিং মিছিল, বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। রেলওয়ে বাজার, বিদিরপুর, গোদাগাড়ী, সুলতানগঞ্জ
    ঘাট ইজারাদারগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।

    স্থানীয় প্রভাবশালীদের এমন চাপে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক মাস ধরে ঘাট ইজারা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে সাড়া দেয় প্রশাসন। বন্ধ হয় ঘাটপ্রথার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। তবে ভোগান্তির স্থায়ী অবসান চান রাজশাহীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নবাসী।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে চরবাসীর বক্তব্য শুনতে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধিদল। এ সময় স্থায়ীভাবে ঘাটপ্রথা বাতিলের দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে দাঁড়ান স্থানীয়রা।

    জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ঘাটটি ইজারা দেওয়া হতো। ইজারামূল্য বেশি হওয়ায় এবার দরপত্রে কেউ আগ্রহ না দেখালে স্থানীয়ভাবে কয়েকজনকে ২৮ দিনের জন্য দেড় লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা দেওয়া হয়।

    প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া ছিল ৫ টাকা, অথচ আদায় হচ্ছিল ২০ টাকা পর্যন্ত। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করায় চরবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ফের আন্দোলনের মুখে তিন মাস আগে ঘাটের ইজারা বাতিল করে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

    সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জোহরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলেন ঘাটের স্থায়ীসমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে
    ঘাট ইজারাদারদের অত্যাচার নীলকরদের অত্যাচারকে হার মানিয়েছিল। তাদের সাথে বসে কয়েকদফা বসে বুঝানো হয়েছিল কিন্তু তারা অতিরিক্ত, মনগড়া টোল উঠানো থেকে বিরত থাকেন নি। কয়েক মাসের আন্দোলনের সুফল হিসেবে চরাঞ্চলের গত ৫৪ বছরের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবেন।

    চরের বাসিন্দা আবদুল্লাহীল কাফি বলেন, ‘ঘাটমালিকদের কাছে আমরা জিম্মি। সরকার নির্ধারিত ভাড়া মানা হয় না, জোর করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এ অবস্থার স্থায়ী সমাধান চাই।’

    বেসরকারি স্কুল, কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, আমরা শিক্ষার্থী আমাদের কোন ছাড় দেয়া হয় না। প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসতে যেতে ঘাট মালিকদের দিতে হয় ৪০ টাকা, অন্যান্য ব্যয়সহ ১দিনে ১০০ টাকা গরীব বাবা মা কোথা থেকে দিবেন।

    এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে আমরা চেষ্টা করছি। ঘাট ইজারা প্রথা স্থায়ীভাবে বাতিলের সুপারিশ পাঠানো হবে স্থানীয় সরকার বিভাগে।’@

    এ সময় রাজশাহীর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজা হাসান এবং গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেনফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • দুই আগষ্ট বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকীতে পাইকগাছায় নানা কর্মসূচি

    দুই আগষ্ট বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকীতে পাইকগাছায় নানা কর্মসূচি

    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    বিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, দার্শনিক ও সমবায় দর্শনের প্রবক্তা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের (পি সি রায়) ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল ২ আগষ্ট। এ উপলক্ষে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে তার জন্মস্থান রাড়ুলী গ্রামে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই বিজ্ঞানীর জন্মদিন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ পি সি রায়ের জন্মভিটায় আমরা দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছি। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হরিশ চন্দ্র রায় এবং মাতা ভুবনমোহিনী দেবী।

    প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাবার প্রতিষ্ঠিত এমই স্কুলে। পরে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হলেও রক্ত আমাশয় রোগের কারণে পড়াশোনায় বাধা পড়ে এবং তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। সেখানেই বাবার সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারে বই পড়ার মধ্য দিয়ে জ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত হন।

    পরবর্তীতে তিনি কলকাতার অ্যালবার্ট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাস করেন। এরপর বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষালাভ করেন।

    গিলক্রিস্ট বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান স্কটল্যান্ডের এডিনবরায়। সেখানে বিএসসি ও ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখেন। তার গবেষণাপত্র ‘কপার-ম্যাগনেসিয়াম শ্রেণির যৌগ’ শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং তিনি হোপ প্রাইজে ভূষিত হন।

    ১৮৮৮ সালে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২৪ বছর অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি রসায়নে গবেষণায়ও রাখেন যুগান্তকারী অবদান। শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক হিসেবে তার অবদান আজও বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

    উল্লেখ্য, আচার্য পি সি রায়ই ছিলেন ভারতের প্রথম রসায়নভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কসের প্রতিষ্ঠাতা।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা খুলনা

  • আঠারো মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দা-বীতে মানববন্ধন ও স্থানীয় প্রার্থীর দা-বীতে বিক্ষো-ভ

    আঠারো মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দা-বীতে মানববন্ধন ও স্থানীয় প্রার্থীর দা-বীতে বিক্ষো-ভ

    ইমদাদুল হক,,পাইকগাছা (খুলনা) ।।

    খুলনার ( পাইকগাছা-কয়রা ) সড়কের আঠারো মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত ভেঙে পড়া অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে পাইকগাছা-কয়রা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড় সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান সড়কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন এই অঞ্চলের শত শত জনগন।

    মানববন্ধনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে স্থানীয় প্রার্থী চাই দাবিও প্রবলভাবে তুলে ধরা হয়।

    বিএনপি নেতা শেখ সাদেকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও

    বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদ জাহিদ আল কাদির জ্যোতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিএনপির দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের খুলনা জেলা টিম প্রধান এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, খুলনা-৬ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম রফিক। সড়ক সংস্কারের দাবীতে বক্তব্য রাখেন কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও সাংবাদিক এইচ এম সফিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট দীপংকর সাহা, শেখ আবু তালেব, সাবেক ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির, আলমগীর হোসেন ও মাসুদ সানা।

    উপস্থিত ছিলেন ফারুক হোসেন, আক্তার সরদার, মিজানুর রহমান মসলিশ, নাজমুল, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও আক্তারুল ইসলাম।

    বক্তারা বলেন, বহু বছর ধরে অবহেলিত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, ফলে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তারা আরোও বলেন, জনগণের মর্যাদা রক্ষায় ও স্থানীয় উন্নয়নের স্বার্থে খুলনা-৬ আসনে একজন প্রকৃত স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে। একইসঙ্গে তারা বহিরাগত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বাক সরলীকরণের নামে রাস্তার যে বেহাল দশা হয়েছে, তা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। তানাহলে সারা দেশের সাথে পাইকগাছা-কয়রার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। দ্রুত সময়ে মধ্যে সংস্কার না হলে অচিরেই কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

  • বাগেরহাট-৪ আসন ফি-রিয়ে না দিলে বাগেরহাটকে বিচ্ছি-ন্ন করে দেওয়ার হুম-কি বিএনপির

    বাগেরহাট-৪ আসন ফি-রিয়ে না দিলে বাগেরহাটকে বিচ্ছি-ন্ন করে দেওয়ার হুম-কি বিএনপির

    এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির :সংসদীয় আসন বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বিলুপ্ত করে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর প্রতিবাদে ও আগেরহাট-৩ আসন বহাল রাখার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামরে সড়কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করে।

    সমাবেশের কারনে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত টানা এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল ও পানগুছি নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির রাসেল আল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির তরিকুল ইসলাম ও শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাদল।

    সভায় বক্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারে সমালোচনা করে বলেন, বাগেরহাটের আসন কমানো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। অনতিবিলম্বে বাগেরহাটের ৪টি আসন বহাল না করলে সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে এক পর্যায়ে গোটা বাগেরহাট জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।

  • কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কোড়েরপাড় এলাকায় বিএনপির সভা

    কুমিল্লা সদরের আমড়াতলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কোড়েরপাড় এলাকায় বিএনপির সভা

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন, 

    কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়তলী

     ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড নীজ বানাসুয়া মৌজার কোড়েরপাড় এলাকায় বিএনপির সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন 

    লালমাই ফুট অয়ার কোম্পানীর 

    ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃজসিম উদ্দিন,বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন

     আমরাতলী ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কামাল, 

    সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেল, মহানগর ৩ নংওয়ার্ড বিএনপি   সভাপতি এনামুল হক ভুইয়া, কুমিল্লা দঃ জেলা  সেচ্ছাসেবক দলের সিঃযুগ্ম আহবায়ক ইমাম হোসেন ফারুক,দৈনিক বাংলার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক  তরিকুল ইসলাম 

    সিঃসহসভাপতি খান ই আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক আলমঙ্গীর মাষ্টার, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আমড়াতলী ইউনিয়নের কোরেরপাড় এলাকার ফারক,সুনীল,রুবেলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় বিভিন্ন উন্নয়ন মুলুক কাজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন সাহেব কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য আহবান জানানো হয়।

  • জাতীয় সংসদ নির্বাচন বি-লম্বিত করার লক্ষ্যেই আসন বিভা-জন – শামীম

    জাতীয় সংসদ নির্বাচন বি-লম্বিত করার লক্ষ্যেই আসন বিভা-জন – শামীম

    বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শিগগিরই নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে বাগেরহাটের ২০ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকায় ইসি ভবন ঘেরাও করা হবে।
    শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মোংলায় শ্রমিক দলের আয়োজনে সংসদীয় আসন বিভাজন ইস্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এ হুঁশিয়ারি দেন।
    এ ছাড়াও বাগেরহাট-৩ আসন বিভাজন ও বাগেরহাট-৪ আসন বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন এ নেতা।

    কেন্দ্রীয় এ নেতা আরো বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন রয়েছে। এটি শুধু ঐতিহাসিক নয়, সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণও। ইসির এই প্রস্তাব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মোংলা বন্দর, সুন্দরবন ও ষাটগুম্বুজ মসজিদের মতো বিশ্বঐতিহ্যের জেলা বাগেরহাট। এখানে আসন কমিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও জেলার চারটি আসন রক্ষা করা হবে।
    শামীমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে নির্বাচনকে বিলম্বিত ও জনবিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে বন্দরসহ পুরো শিল্পাঞ্চল অচল করে দেওয়ার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এমরান হোসেন, বাবুল হোসেন রনি, শাহ আলম শেখ, যুবদলনেতা সাইফুল ইসলাম, ইমান হোসেন রিপন, মহসিন পাটোয়ারী, শ্রমিকদলনেতা জামাল হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা নুর উদ্দিন টুটুল সহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
    এর আগে মোংলা শ্রমিক সংঘ চত্বর থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেট চত্বরে এসে শেষ হয় এবং সমাবেশে মিলিত হন নেতাকর্মীরা।

  • জামালপুর সদরে ইউএনও’র মানবিক উপহার অটোরিকশা পেয়ে খুশী প্রতিব-ন্ধী শাহিন

    জামালপুর সদরে ইউএনও’র মানবিক উপহার অটোরিকশা পেয়ে খুশী প্রতিব-ন্ধী শাহিন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুর সদরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়াকে অটো রিকশা উপহার দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মানবতার ফেরিওয়ালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকি।

    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে তিনি প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়ার হাতে তার মানবিক উপহার হিসাবে অটোরিক্সার চাবি তুলে দেন। ইউএনও’র মানবিক উপহার পেয়ে খুশী হন ছোট বেলা থেকেই হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ে ওঠা শাহিন ।

    সুত্র মতে-প্রতিবন্ধী শাহিন তার বাকা পায়ের কারনে রিকশার প্যাডেল চেপে রিকশা চালাতে পারতেন না। রিকশার চাকা থেমে যাওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসারের চাকাও বন্ধ হয়ে যায় তার। কোন কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না রিকশা চালক শাহিন। অপরদিকে মাথা গোঁজার নেই ঠাঁই। এলাকার ধন্যাঢ্য দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও উপার্জনের কোন পথ মেলেনি।শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়াকে রিকশা উপহার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকী বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রিকশা চালক শাহিন মিয়া অন্যের তুলনায় যাত্রী কম পায়। যাত্রী ডেকে তুলতে পারে না। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে না। অন্যের কাছে হাত না পেতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সে প্রকৃত ভ‚মি ও গৃহহীন। তার এই অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে তার কর্মসংস্থানের জন্য একটি অটো রিকশা উপহার হিসাবে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়া ছোট থেকেই পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভিক্ষাবৃত্তির মানসিকতা না থাকায় তার পেশাকে আরও একটু সহজ করতে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকে অটো রিক্সাটি উপহার দেওয়া হয়েছে। উপহার পেয়ে আনন্দিত শাহিন মিয়া উচ্ছাসিত হয়ে বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে থাকার জন্য ঘর ও রোজগারের জন্য অটো রিক্সা দিয়েছেন আমি পরিবার পরিজন নিয়ে এই রিক্সার উপার্জন করা টাকা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারবো। আমি যতবারই উপজেলায় এসেছি তিনি আমাকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। তিনি একজন মানবিক ইউএনও। তার কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।

    অটোরিকশা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন – সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হায়দার, সমাজসেবা অফিসার মো: শাহাদাৎ হোসেন, উন্নয়ন সংঘের পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, সূর্য তোরণ সমাজ সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মো: খোরশেদ আলম, এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মো: এনামুল হক প্রমুখ।