Blog

  • রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের বিদিরপুর – প্রে-মতলীতে  সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান পানি

    রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের বিদিরপুর – প্রে-মতলীতে সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান পানি

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভিতর পাস (পুরাতন সড়কের) বিদিরপুর – প্রেমতলী রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটুপরিমান পানি জমে থেকে । প্রেমতলী বাজার থেকে প্রেমতলী হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার উপর দিয়ে পানি গড়ার কারণে কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ হালকা ভারী যানবাহন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

    বিদিরপুর – প্রেমতলী সড়কের পানি নিষ্কাশনের ভাল ব্যবস্থা না থাকায়, বালির ভারী ড্রাম ট্রাক চলার কারণে রাস্তার বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে।
    হাটুপরিমান পানির উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলছে আটো রিকসা, ভ্যান, মাইক্রো, বালির ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন।

    উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের প্রেমতলী হাসপাতালের পাঁকা রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে গেছে। ফলে বিপাকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। প্রেমতলী হাসপাতাল, গৌরঙ্গবাড়ী মন্দির, প্রেমতলী বালিকা বিদ্যালয় যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি এখন চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একমাত্র এ সড়কটি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী, ডাক্তার, রোগি, শিক্ষসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসী জানান, ডাক্তার, রোগি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, কামার, কুমার জেলে ভ্যান ও টেম্পু চালকসহ সাধারন মানুষ এখন সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

    শেখের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বিদ্যুতৎ জানান, বিদিরপুর – প্রেমতলী পর্যন্ত সড়ক উপর সামান্য বৃষ্টিতে হাটুপরিমান পানি জমে। আমাদের স্কুলের সামনে একই অবস্থা স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার শ শ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহনের কাঁদাময় ছিটানো পানিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক পথচারীদের পোশাক পরিচ্ছেদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া রোগি ও সাধারণ মানুষ দারুন আতঙ্কিত হয়ে চলাচল করেন। ছোট খাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। সকলের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামতসহ পানি নিস্কাশনে জোরদাবী জানাচ্ছি।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, প্রবল বৃষ্টির পনি রাস্তার উপর দিয়ে চলার কারনে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে, বিষয়টি গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা কথা বলেছেন।

    গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুনসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা পরিদর্শনে লোক গেছে। আসলে কিভাবে মেরামত করা যায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ইনসাল্লাহ।

    মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল রানার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এদিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। ফলে জনগনের কষ্টের সীমা নেই। এলাকাবাসী আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি রাস্তাটিতে।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আগামীতে রাস্তা প্রথমে এইচবিবি করে দেয়া হবে সমস্যার হবে ইনসাল্লাহ।

    এলাকার শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ দিকে উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের, ৬ নাম্বার ওয়ার্ড (ধনঞ্জয়পুর) পাহাড়পুর থেকে সাফিনা পার্ক সংযোগ সড়ক সড়কের বেহালদশা এমনভাবে কাঁদাময় হয়েছে যেন ধান রোপন করা যাবে। সাফিনা পার্ক দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শ শ গাড়ীতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন। সেই রাস্তা এমন অবস্থান দেখে সবাই অবাক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর রাস্তা নির্মান ও সংস্কার কাজ না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুল গনি মাসুদের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এলাকাবাসী।

    দীর্ঘদিন সংস্কারের কাজ হাতে না নেয়ার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুল গনি মাসুদের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা তিনি রিসিভ করেন নি তাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভাব হয় নি।

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদ সাহেব সবসময়ই এমপি ফারুক চৌধুরীর সাথে সুসম্পর্ক করে লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাস্তা নির্মান না হলেও তার পকেট ঠিকই মোটা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী কাদার মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের কষ্টের শেষ নেই। অবিলম্ব রাস্তাটি ঠিক করা জরুরী।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী

  • গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান টিটুর বিরু-দ্ধে প্রকল্পের টাকা হ-রিলুটের অ-ভিযোগ

    গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান টিটুর বিরু-দ্ধে প্রকল্পের টাকা হ-রিলুটের অ-ভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৪ নং রিশিকুল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাহাবুবুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট পববর্তী সময়ের পর ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় তার নামে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এর পর তিনি কারাগারে যান। বর্তমানে সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। এই সময়ে মাহাবুবুর রহমান টিটু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    এর পর থেকেই তিনি বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প ও নামমাত্র কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ওই ইউনিয়ের যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।

    জানা গেছে, বিএনপির একটি ছত্রছায়ায় তিনি কৌশলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। পরে তিনি সেই কৌশলে জয়ী হয়ে দায়িত্বও নিয়ে নেন। এর পরে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন।

    রিশিকুল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের নামে ল্যাপটপ সরবরাহের নামে তা ক্রয় না করে টাকা মেরে দেওয়া। মসজিদের উন্নয়ন নামে প্রকল্প গ্রহণ করে পুরো টাকা না দেওয়া। ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেট সংস্কার না করে নামমাত্র কাজ করা। এডিপি বরাদ্দের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সরবরাহের নামে তা না দেওয়া। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রিং পাইপ স্থাপন নামে বরাদ্দ নিয়ে তা না করাসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির জড়িয়ে পড়েছেন।

    এর পর ওই সব প্রকল্প কোনা কিছুই না করে আবার কিছু কাজ করে পুরো টাকা উঠিয়ে নিয়ে নিজের পকেট মোটা করেছেন।

    গত ৯ জুুলাই এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিতে গিয়ে সত্যতাও পাওয়া যায়। এডিপি বরাদ্দের রিশিকুল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের নামে ল্যাপটপ সরবরাহের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ওই ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে নতুন ল্যাপটপের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

    ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বরত শাহিনুর ইসলামকে নতুন ল্যাপটপের কথা বললে ভ্রু কুচকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরে তিনি বলেন কোন নতুন ল্যাপটপ এখানে আসেনি। টেবিলে যে ল্যাপটপে কাজ করা হচ্ছে তা কতদিন আগের জানতে চাওয়া হলে ২০১৬ সালের বলে জানান। ল্যাপটপের নামে নতুন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের কথা জানালে তিনি তা জানেন না বলে জানিয়ে দিন। তবে এসব বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি শাহিনুর ইসলাম।

    এছাড়াও ১% প্রকল্প কাজের ওই ইউনিয়নের টয়লেট সংস্কারের জন্য ১ লাখ টাকা এবং ইউপির টয়লেট টাইলস দ্বারা সংস্কারের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন। শুধু মাত্র টয়লেট সংস্কার ও টাইলসদ্বার টয়লেট সংস্কার সামান্য ভিন্ন নামে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিলেও টয়লেট সংস্কার দেখতে গিয়ে দৃশ্যমান সংস্কার দেখাতে পারেনি ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশ্ন করা হলে বলেন, পাইন লাগানো হয়েছে। অপর দিকে টাইলসদ্বারা টয়লেট সংস্কার দেখতে চাইলে তারা বলেন, চেয়ারম্যানের সাহেবের রুমে তালা লাগানো তা দেখা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের কাছে চাবি নেই বলে জানান।

    তবে ওই ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমে শুধু মাত্র মেঝেতে টাইলস লাগানো দেখা গেছে। ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই প্রকল্পেরই টাকায় মেঝেতে টাইলস বসাতে হয়েছে। শুধু মাত্র মেঝেতে এতো টাকা খরচ হবে না জানালে প্রশাসনিক কর্মকর্তার চোখে মুখে দুর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্বলতার ছাপ দেখা যায়।

    এছাড়াও ১% প্রকল্প বরাদ্দের বিভিন্ন ওয়ার্র্ডে রিং পাইপ স্থাপনে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, রিশিকুল ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে রিং পাইপ স্থাপনে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা নেন ইউপি চেয়ারম্যান। বরাদ্দের জন্য সামান্য নাম পরিবর্তন করে এসব টাকা নেওয়া হয়। তবে ইউনিয়নের পরিষদের কোন ওয়ার্ডে ও কোথায় এসব বিতরণ করা হয়েছে তার তালিকা দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেন নি। এসব তালিকা ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান করে এবং তারাই জমাদেন। এগুলো পরিষদেই থাকার নিয়ম এমন প্রশ্ন করা হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাফ সাজিয়ে দেন এসব তালিকা আমাদের কাছে থাকে না সরাসরি উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) অফিসে জমা আছে।

    তবে এসব বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মুনসুর রহমান বলেন, এসবের জন্য আমরা স্টীমেট তৈরী করে দেয়। এখান পর্যন্তই শেষ তবে কোন তালিকা আমাদের অফিসে থাকার নিয়ম নেই এবং থাকেনা।

    এদিকে, ওই ইউনিয়নের টিআর প্রকল্পের ভানপুর উপরপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ২ লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম রেজা। তবে সরেজমিনে গিয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিব হোসেনের সাথে বলে বলে জানা যায়, ঈদ-উল-আযহার আগে চেয়ারম্যান মসজিদের ক্যাশিয়ার এনামুল হককে ডেকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। মোট বরাদ্ধের পুরো বরাদ্দ পাইনি। তবে আমরা এসব বিষয়ে আগে জানতাম না।

    ইউপি সদস্য সেলিম আহমেদের মাধ্যমে জেনেছি কিছু বরাদ্দ হয়েছে নিয়ে যাবেন। চেয়ারম্যান সাহেব ক্যাশিয়ারকে ডেকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। ২ লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে পেয়েছে মাত্র ৪০ হাজার টাকা এসব জেনে মসজিদ কমিটির সদস্যগণ অবাক হন এবং তারা দাবি জানান যেহেতু মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন তাদের উচিত হবে পুরো টাকাটি দেওয়া। মসজিদের টাকা এভাবে নিজেদের পকেটে রেখে দেওয়া মোটেও ঠিক নয় বলে জানান।

    এলাকাবাসী মসজিদের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি জানান পর ব্যাপক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এসব বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান জানান, ২ লাখ ১১ হাজার টাকা কয়েকটি মসজিদে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পরে মসজিদ গুলোর নাম দেওয়া হবে বলে জানান। তবে চেয়ারম্যান পরে আর কোন নাম দিতে পারেন নি।

    সংবাদকর্মী ওই এলাকায় যাওয়ারপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোড়জোর শুরু করে। পরবর্তিতে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজে মসজিদ কমিটিকে ডেকে সমঝোতা করেছেন।

    এছাড়াও একই ওয়ার্ডের ভানপুর তরিকুলের বাড়ী থেকে আমিনের দোকান পর্যন্ত ড্রেন নির্মানের নামে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন। তবে সেই ড্রেন নির্মাণ না করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। ভানপুর গ্রামের বাসিন্দা মুনজুর আলম অভিযোগ করেন, যে ড্রেন নির্মান করা হয়েছে সেটি ১০ বছর আগের করা। ড্রেনের এক মাথা মাত্র ২০-২৫ ফিটের মতো কাজ করেছে এছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। তাও আবার কাজের মান খুব নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেন।

    এছাড়াও ৬ নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া আনোয়ারের বাড়ী হইতে মালকাহার পর্যন্ত মাটি দ্বারা রাস্তা নিমাণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও সরেজমিতে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    আনোয়ারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে নামে প্রকল্প হয়েছ তা মোটেও হয়নি। রাস্তা যখন নতুন করা হয় তখন নতুন মাটি তোলা হয়েছিলো। পরবর্তিতে আর কোন মাটি দিয়ে রাস্তা হয়নি। আর এরাস্তার জন্য প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে সেটিও আমি জানিনা।

    এছাড়ও ওই ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদের নামে আগে বরাদ্দকৃত প্রকল্প একই নামে পরে দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজের ওয়ার্ড ৯ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেন।

    এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক থাকায় উপজেলার বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করে নয়ছয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পরেনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সে কৌশলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আবারো লাটা পয়সা লুটে নিচ্ছে। এর পেছনের ইদ্ধনদাতা কে এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার এসব কাজের সহযোগী হিসেবে ইউপি পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তাকে সহযোগিতা করছেন বলে জানান গেছে।

    ল্যাপটপ না কেনা, মসজিদের টাকা না দেওয়া বিষয়ে রিশিকুল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটু বলেন, ল্যাপটপ তো ডিজিটাল সেন্টারে আছে বলে দাবি করেন। এই প্রতিবেদক বলেন, আমি নিজে এখন পরিষদে আছি কেউ নতুন ল্যাপটপ দেখাতে পরেনি জানালে তিনি চুপ হয়ে যায়। মসজিদের টাকা পুরো কেনো দেননি বললে , তিনি জানান বিভিন্ন মসজিদে দেওয়া হয়েছে। এক মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা অন্য মসজিদে দেওয়া এটা নিয়মের মধ্যে হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এভাবে দেওয়া হয়। রিংপাটসহ নানান অনিয়েমের বিষয়ে জানাতে চাওয়া হলে তালিকা গুলো পরে দেওয়ার কথা জানালেও আর দেয়নি ওই চেয়ারম্যান।

    এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আছে আমি বিষয় গুলো দেখছি।
    ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছেন। এর আগেও মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করায় এলাকাবাসী তাকে ধরে রেখেছিলো। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনা স্থলে এসে মাদ্রাসার পুরোটাকা পরিশোধ সাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হয়।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী।

  • পাইকগাছায় জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    পাইকগাছায় জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা) ।।

    খুলনার পাইকগাছায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞানীর জন্মস্থান উপজেলার রাড়ুলীস্থ বসতবাড়িতে শনিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, জাদুঘর পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, বিজ্ঞান মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল অন্যতম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আকতার হোসেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সমরেশ রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, ওসি রিয়াদ মাহমুদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন গাজী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও জামায়াত নেতা প্রভাষক মোমিন উদ্দিন সানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম। এসএফডিএফ কর্মকর্তা জিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ, শহিদুল ইসলাম শেখ, হাবিবুল্লাহ বাহার, উৎপল বাইন, প্রধান শিক্ষক গৌতম মন্ডল, প্রাক্তন শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ, শিক্ষার্থী ফাতিন আনজুম, অরিত্র দাশ ও মিলি মন্ডল। মেলার ৬ টি স্টলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান সংক্রান্ত তাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা বিজ্ঞানী জীবন আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন বিজ্ঞানী পিসি রায় বাংলাদেশের গর্ব। তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে সমাজে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বক্তারা বিজ্ঞানীর মায়ের নামে দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় ভূবণ মোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ, বিজ্ঞানীর কর্মময় জীবন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিজ্ঞানীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট পাইকগাছার রাড়ুলীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন পরলোক গমন করেন।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • লালমনিরহাটে ১৯ কেজি গাঁ-জাসহ সিরাজুল গ্রেফ-তার 

    লালমনিরহাটে ১৯ কেজি গাঁ-জাসহ সিরাজুল গ্রেফ-তার 

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।। 

    লালমনিরহাটে ১৯কেজি ১৭৫ গ্রাম

     মাদকদ্রব্য গাঁজা সহ ০১ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করছেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,এর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদের, নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ জেলার সদর থানাধীন মোঘলহাট ইউপি এলাকার ১নং ওয়ার্ড খানাটারী মৌজাস্থ (মেডিকেল মোড়) মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতিসৌধের সামন বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯কেজি১৭৫গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা  সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।  গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন  সিরাজুল ইসলাম (২৫), লালমনিরহাট জেলা আদিতমারী উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের  মৃত নান্নু মিয়া র,ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদ, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানাধীন মোগলহাট ইউপির ১নং ওয়ার্ড খানাটারী মৌজা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯কেজি১৭৫গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা  সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    হাসমত উল্লাহ ।।

  • মাদ-ক স-ন্ত্রাস ও চাঁ-দাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো- অধ্যক্ষ সিরাজ

    মাদ-ক স-ন্ত্রাস ও চাঁ-দাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো- অধ্যক্ষ সিরাজ

    আরিফ রব্বানী।
    ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ নং পুটিজানা ইউনিয়ন বিএনপির জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২ আগষ্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২ নং পুটিজানা ময়নার বাজারের বিএনপির মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নেতা সুলতান আহমদ,
    সঞ্চালনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির হোসেন রবিন।
    জন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা,জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)এর সহ সভাপতি ও ফুলবাড়ীয়া ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।বক্তব্য রাখেন
    বিএনপির নেতা আজিজুল হক লিখন,
    স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ওমর ফারুক,
    বিএনপির নেতা ছিদ্দিকুর রহমান,
    যুবদলের নেতা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সেলিম সরকার প্রমুখ।প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন,মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলবাড়ীয়া আসনে যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করবো।
    তিনি বলেন,বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতা না আসলেও একটি মহল নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন মনে করে অন্যায়-অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সুন্দর সুশৃংখল দেশ গঠন করা হবে।জন সমাবেশ শেষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

  • সলঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    সলঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জুলাই জাগরন ও মেধাবী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসি ও জুলাই জাগরণে আহত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।  সলঙ্গা থানা ছাত্র শিবিরের আয়োজনে থানা ছাত্র শিবির শাখার সভাপতি মহসিন আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও উল্লাপাড়া-সলঙ্গা আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মওলানা রফিকুল ইসলাম খান। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমীর,ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন,রায়গঞ্জ -তাড়াস আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী,কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য শায়েখ ড.আব্দুস সামাদ, সলঙ্গা থানা শাখা জামায়াতের আমীর রাশেদুল ইসলাম শহিদ,জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ

    সহ অনেকে। অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৮৫ জন শিক্ষার্থী,জুলাই বিপ্লবে আহত ২২ জন শিক্ষার্থীসহ মেধাবী ও কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট,ফুলের স্টিকার দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

  • আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের ৩জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ!

    শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫ইং) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান। এর আগে গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো-আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকার হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে সেলিম কবির (৪৮)। তিনি সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানাধীন বাইখির এলাকার মৃত আহমেদ সাঈদ মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৫০)। তিনি আশুলিয়ার কুরগাও সোসাইটি থেকে আ. লীগের মিসিল মিটিংয়ে সক্রিয় থাকতেন ও উসকানিমূলক লেখা লেখি করেন। আশুলিয়ার কুমকুমারী এলাকার মৃত হাজী বিল্লাল মৃধার ছেলে হাজী মোশাররফ মৃধা (৪৮)। তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য।

    পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া, কুঁরগাও ও কুমকুমারী এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ গ্রহণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলো বলে জানায় পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান বলেন, শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সেলিম কবিরের ৫ দিনের দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সাভার ও কেরানীগঞ্জে অ-বৈধভাবে ব্যাটারি গলি-য়ে সি-সা তৈরির মাধ্যমে ভ-য়াবহ পরিবেশ দূ-ষণ

    সাভার ও কেরানীগঞ্জে অ-বৈধভাবে ব্যাটারি গলি-য়ে সি-সা তৈরির মাধ্যমে ভ-য়াবহ পরিবেশ দূ-ষণ

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার সাভার ও কেরানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত এসিড ব্যাটারি গলিয়ে সিসা তৈরি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

    শনিবার জানা গেছে, কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই এসব এলাকায় স্থাপিত হয়েছে ব্যাটারি গলানোর ছোট ছোট কারখানা, যা দিনরাত চিমনি দিয়ে নির্গত করছে বিষাক্ত ধোঁয়া। পাশাপাশি জমিতে ও পানিতে মিশছে মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাটারি গলানোর সময় নির্গত হওয়া সিসা ও সালফিউরিক অ্যাসিড মানবদেহে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, কিডনি বিকলসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারখানার আশপাশে বসবাসকারী মানুষ ও শিশুরা মারাত্মক জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

    এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এসব অবৈধ কারখানা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

    পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজন যথাযথ তদন্ত, অবৈধ কারখানাগুলোর তালিকা প্রণয়ন এবং পরিবেশবিধি অনুযায়ী কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

  • গোপালগঞ্জে জেলা প্রশা-সকের উ-দ্যোগে প্রথমবারের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জে জেলা প্রশা-সকের উ-দ্যোগে প্রথমবারের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জে এই প্রথম জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামানের উদ্যোগে এস.এস.সি, এস.এস.সি (ভোকেশনাল)/ দাখিল (ভোকেশনাল) ও দাখিল পরীক্ষা -২০২৫ এ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সহযোগিতায় শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    জেলার ৫টি উপজেলার এস.এস.সি ও দাখিল সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা”। অনুষ্ঠানে জেলার মোট ৬৪৪ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “স্কুল ও কলেজ সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অনুপস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।” তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার গুণগত মান উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। লেখাপড়া শিখে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মানুষ হওয়া বাঞ্ছনীয়। মনে প্রাণে দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে, দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে, ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনায় তোমরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জেলায় প্রথমবারের মতো ব্যাপক এ মহতী আয়োজনে উপস্থিত কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রতিবছর এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সংবর্ধনা প্রদানের এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

    গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা পারভীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার, গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবির, গোপালগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ রেজা এ্যানী, জেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার রুহুল আমিন।

    এ সময় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এস এম তারেক সুলতান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনিম আক্তার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) মাসুম বিল্লাহ, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) মুনমুন পাল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ, এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসতাইন বিল্লাহ, বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ সিকদার, গোপালগঞ্জ এস. কে আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (চীফ ইন্সট্রাক্টর) কল্যান কুমার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক, স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম মাহে আলম, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, জিপিএ-৫ অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সংবাদ সম্মেলনে অভি-যোগ: পটিয়ায় নুরুল হক হ-ত্যার আ-সামিরা প্রকাশ্যে, পরিবার শ-ঙ্কায়

    সংবাদ সম্মেলনে অভি-যোগ: পটিয়ায় নুরুল হক হ-ত্যার আ-সামিরা প্রকাশ্যে, পরিবার শ-ঙ্কায়

    মহিউদ্দিন চৌধুরী।।
    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়ায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হওয়া বৃদ্ধ নুরুল হকের পরিবার দাবি করেছে—মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

    শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে পটিয়ার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত নুরুল হকের ছেলে জামাল উদ্দিন এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

    তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জুমার নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ কাউসারুল হক বাপ্পার নেতৃত্বে তার বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, দা ও গাছের বাটাম দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। হামলায় নিহতের ছেলে, ভাই, স্ত্রী, চাচা-চাচি এবং ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাও গুরুতর আহত হন।

    ঘটনার পর পটিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মো. সেলিমুল হক সেলিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকি আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে জামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়নি। খুনিরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা নেই।”

    তিনি খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ প্রশাসন, র‍্যাব, জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নুরুল হকের সহধর্মিনী ছেমন নাহার ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ।