Blog

  • সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অ-পসারণের দাবিতে মান-ববন্ধন

    সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অ-পসারণের দাবিতে মান-ববন্ধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমানকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে শনিবার(০২ আগস্ট) মানববন্ধন থেকে তঁাকে অপসারণের দাবি করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
    এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সুজানগরের সচেতন নাগরিকের ব্যানারে সুজানগর পৌর শহরের পাবনা-নাজিরগঞ্জ সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন রুবেল শেখ, রিপন মোল্লা ও সন্টু শেখ প্রমুখ।
    মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রুবেল শেখ বলেন, কর্তব্য রোগীদের সেবা দেওয়া হলেও তিনি রাজশাহীতে থাকেন এবং প্রতি সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমান, শুধু তাই নয় কর্মস্থলে মাসের বেশিরভাগ দিন অনুপস্থিত থাকলেও তিনি প্রতিমাসে নিয়মিত পুরো বেতন-ভাতা তুলছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবে দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য একমাত্র ভরসা সরকারি এ হাসপাতালে আসা রোগীরা সেবাবঞ্চিত হওয়ায় তার অপসারণ দাবি করছি। সন্টু সেখ নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমানের পিতা রাজশাহী-৫ আসনের আওয়ামীলীগের শাসনআমলে সংসদ সদস্য ছিলেন এ কারণে আ.লীগের দোষর অভিযোগ করে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি জানান। এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী মাজরুই রহমান তঁার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, মহলবিশেষের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মানুষকে সাধ্যমতো চিকিৎসা দিতে সব সময় চেষ্টা করি।
    উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ শনিবার
    বলেন, সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পর পর ২ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি।
    প্রসঙ্গত, ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সুজানগর উপজেলার তিন লাখ ৩২ হাজার মানুষের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ একটিমাত্র হাসপাতালকে ২০০২ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এ হাসপাতালে ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ থাকলেও বর্তমানে এ হাসপাতালে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট খাতা কলমে থাকলেও তিনি বর্তমানে পাবনা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন এবং মেডিকেল অফিসার ৯ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ৫ জন এবং ডেপুটেশনে ঢাকাতে রয়েছে অপর ৫ জন চিকিৎসক। এ কারণে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বেশিরভাগ রোগী নিয়ে ফিরে যেতে হয়।
    খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডাঃ আলী মাজরুই রহমান।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অ-ভিযানে ১০৫ বোতল ফে-ন্সিডিলসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অ-ভিযানে ১০৫ বোতল ফে-ন্সিডিলসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে সদর থানা এলাকা হতে মাদকদ্রব্য পরিবহনকালে ১০৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার এবং ২টি মোটরসাইকেল জব্দ।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় গত ০১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, ব্যাটালিয়ন সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন রায়পুর (০১নং মিলগেট) সাকিনস্থ জয় গুরু কফি হাউজের সামনে মুসলিম ফার্নিচার হাউজের বিপরীত পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক পরিবহন কালে ১০৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৪টি মোবাইল ফোন, নগদ ৬,৪৮০/- টাকা ও ০২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ নবাব চৌধুরী (২৫), পিতা মোঃ একাবর আলী, সাং-লক্ষীপুর, ২। মোঃ সেলিম রেজা (৩৫), পিতা-মৃত সেন্টু রহমান, সাং- মোবারকপুর, উভয় থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল দেশের বিভিন্ন জেলা হইতে সংগ্রহ করে বিভিন্ন গাড়ীতে পরিবহন করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • মান্নারগাও ইউনিয়ন তৃনমুল বিএনপিকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিলেন এম এ বারী

    মান্নারগাও ইউনিয়ন তৃনমুল বিএনপিকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিলেন এম এ বারী

    হারুন আর রশিদ,
    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাও ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর তৃণমূল নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার কামার পট্টি বিএনপি কার্যালয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এম এ বারী” তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংবর্ধিত করেন। জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব এম এ বারী বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রকৃত শক্তি। তাই ছাতক দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ ৫ আসনে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের হাতকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের বিকল্প নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাদের সবাইকে ঐকবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন বাজি রেখে রাজপথে ছিলেন, তাঁদের এই সম্মাননা দলের প্রতি তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি। দল পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জিসাস এর দোয়ারাবাজার উপজেলা আহবায়ক মো. মাসুক মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মো.রাকিব আলী, মো. তোফাজ্জল হোসেন, রিপন মিয়া, রুহুল আমিন রাজ। বিএনপি নেতা মছব্বির আলী। উপস্থিত ছিলেন, রুবেল আহমদ, আক্তার মিয়া, বোরহান উদ্দিন, মামুন মিয়া, জসিম উদ্দিন, রিমন মিয়া, হারিছ আলী প্রমুখ।

    উল্লেখ্যঃ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মান্নার গও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের স্বা-র্থরক্ষায় বিএমএসএফের সদস্যরা ঐ-ক্যবদ্ধ

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের স্বা-র্থরক্ষায় বিএমএসএফের সদস্যরা ঐ-ক্যবদ্ধ

    সুমন খান:

    ঢাকা, বৃহস্পতিবার,গত ৩১ জুলাই ২০২৫ ইং , বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাধারণ সভা বুধবারে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মফস্বল সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন সারাদেশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং গণ্যমান্য অতিথিরা।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিএমএসএফ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ আবু জাফর।

    বক্তব্য রাখেন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান, রফিকুল ইসলাম, আমির হোসেন, যুগরত্ন সাংবাদিক সম্মাননা প্রাপ্ত যমুনা টিভির সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দুলাল সাহা, দ্যা এক্সাম্পলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মোল্লা, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, জসীম উদ্দীন চাষী, জহুরুল হক জহির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. তাওহীদ হাসান, খোকন আহমেদ হীরা, গাউছ উর রহমান, সৈয়দ খায়রুল আলম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু, তারিক লিটু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি জাকির হোসেন,শাহাদাত হোসেন শাওন, আজাদ হোসেন আওলাদ মিয়া, ফেনী শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক চৌধুরী, সাধারণ হাসনাত তুহিন, মোঃ সাদ্দাম গনি, মোস্তাফিজুর৷ রহমান মিরাজ, ছাতক শাখার সভাপতি মুশাহিদ আলী, সাভারের ইউসুফ আলী খান, নাজমুল হক, ভুইয়া কামরুল হাসান সোহাগ এবং সাংবাদিক ও গবেষক এস এস রুশদী ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতা সুমন খান।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ আল মাসুম খান, সমন্বয়ক মিডিয়া ও প্রচার উপ-কমিটি।

    অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে জাতীয় সংগীত ও বিএমএসএফের নিজস্ব সংগীত পরিবেশনা, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দেশের একমাত্র সংগঠন, যা একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধমে পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও নির্যাতিত বা মামলা-হামলার শিকার সাংবাদিকদের পাশে নিয়মিতভাবে দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করছে সংগঠনটি।

    তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বিএমএসএফের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। সরকার ও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় মফস্বল সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।”

    সভাপতির বক্তব্যে আহমেদ আবু জাফর বলেন,“গত ১৩বছর ধরে এই সংগঠনকে সন্তানের মতো লালন করেছি। প্রতিটি প্রান্তিক পর্যায়ের সাংবাদিকদের পাশে থেকে আমরা কাজ করেছি। সাংবাদিকদের আর্থিক, সামাজিক ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সামনে বিএমএসএফ আরও বড় পরিসরে, আরও শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে।”

    বিএমএসএফ-এর ভবিষ্যৎ অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি, মফস্বল সাংবাদিকদের জন্য নিয়োগ ও বেতন কাঠামো নিশ্চিতকরণ, নির্যাতিত সাংবাদিকদের জন্য তহবিল ও আইনি সহায়তা, সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ৮ বিভাগে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় দেশে-বিদেশে সোচ্চার কণ্ঠে আওয়াজ তোলার আহবান জানানো হয়।

    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বিশ্বাস করে, প্রান্তিক সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্থায়ী হতে পারে না। তাই সংগঠনটি অতীতের মতো আগামীতেও সাংবাদিকদের পাশে থেকে সব ধরনের আন্দোলন ও নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

  • রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের বিদিরপুর – প্রে-মতলীতে  সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান পানি

    রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের বিদিরপুর – প্রে-মতলীতে সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান পানি

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভিতর পাস (পুরাতন সড়কের) বিদিরপুর – প্রেমতলী রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটুপরিমান পানি জমে থেকে । প্রেমতলী বাজার থেকে প্রেমতলী হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার উপর দিয়ে পানি গড়ার কারণে কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ হালকা ভারী যানবাহন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

    বিদিরপুর – প্রেমতলী সড়কের পানি নিষ্কাশনের ভাল ব্যবস্থা না থাকায়, বালির ভারী ড্রাম ট্রাক চলার কারণে রাস্তার বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে।
    হাটুপরিমান পানির উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলছে আটো রিকসা, ভ্যান, মাইক্রো, বালির ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন।

    উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের প্রেমতলী হাসপাতালের পাঁকা রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে গেছে। ফলে বিপাকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। প্রেমতলী হাসপাতাল, গৌরঙ্গবাড়ী মন্দির, প্রেমতলী বালিকা বিদ্যালয় যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি এখন চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একমাত্র এ সড়কটি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী, ডাক্তার, রোগি, শিক্ষসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসী জানান, ডাক্তার, রোগি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, কামার, কুমার জেলে ভ্যান ও টেম্পু চালকসহ সাধারন মানুষ এখন সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

    শেখের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বিদ্যুতৎ জানান, বিদিরপুর – প্রেমতলী পর্যন্ত সড়ক উপর সামান্য বৃষ্টিতে হাটুপরিমান পানি জমে। আমাদের স্কুলের সামনে একই অবস্থা স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার শ শ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহনের কাঁদাময় ছিটানো পানিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক পথচারীদের পোশাক পরিচ্ছেদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া রোগি ও সাধারণ মানুষ দারুন আতঙ্কিত হয়ে চলাচল করেন। ছোট খাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। সকলের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামতসহ পানি নিস্কাশনে জোরদাবী জানাচ্ছি।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, প্রবল বৃষ্টির পনি রাস্তার উপর দিয়ে চলার কারনে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে, বিষয়টি গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা কথা বলেছেন।

    গোদাগাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুনসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা পরিদর্শনে লোক গেছে। আসলে কিভাবে মেরামত করা যায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ইনসাল্লাহ।

    মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল রানার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এদিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। ফলে জনগনের কষ্টের সীমা নেই। এলাকাবাসী আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি রাস্তাটিতে।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আগামীতে রাস্তা প্রথমে এইচবিবি করে দেয়া হবে সমস্যার হবে ইনসাল্লাহ।

    এলাকার শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ দিকে উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের, ৬ নাম্বার ওয়ার্ড (ধনঞ্জয়পুর) পাহাড়পুর থেকে সাফিনা পার্ক সংযোগ সড়ক সড়কের বেহালদশা এমনভাবে কাঁদাময় হয়েছে যেন ধান রোপন করা যাবে। সাফিনা পার্ক দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শ শ গাড়ীতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন। সেই রাস্তা এমন অবস্থান দেখে সবাই অবাক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর রাস্তা নির্মান ও সংস্কার কাজ না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুল গনি মাসুদের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এলাকাবাসী।

    দীর্ঘদিন সংস্কারের কাজ হাতে না নেয়ার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুল গনি মাসুদের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা তিনি রিসিভ করেন নি তাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভাব হয় নি।

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদ সাহেব সবসময়ই এমপি ফারুক চৌধুরীর সাথে সুসম্পর্ক করে লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাস্তা নির্মান না হলেও তার পকেট ঠিকই মোটা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী কাদার মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের কষ্টের শেষ নেই। অবিলম্ব রাস্তাটি ঠিক করা জরুরী।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী

  • গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান টিটুর বিরু-দ্ধে প্রকল্পের টাকা হ-রিলুটের অ-ভিযোগ

    গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান টিটুর বিরু-দ্ধে প্রকল্পের টাকা হ-রিলুটের অ-ভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৪ নং রিশিকুল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাহাবুবুর রহমান টিটুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট পববর্তী সময়ের পর ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় তার নামে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এর পর তিনি কারাগারে যান। বর্তমানে সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। এই সময়ে মাহাবুবুর রহমান টিটু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    এর পর থেকেই তিনি বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প ও নামমাত্র কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ওই ইউনিয়ের যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।

    জানা গেছে, বিএনপির একটি ছত্রছায়ায় তিনি কৌশলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। পরে তিনি সেই কৌশলে জয়ী হয়ে দায়িত্বও নিয়ে নেন। এর পরে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেন।

    রিশিকুল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের নামে ল্যাপটপ সরবরাহের নামে তা ক্রয় না করে টাকা মেরে দেওয়া। মসজিদের উন্নয়ন নামে প্রকল্প গ্রহণ করে পুরো টাকা না দেওয়া। ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেট সংস্কার না করে নামমাত্র কাজ করা। এডিপি বরাদ্দের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সরবরাহের নামে তা না দেওয়া। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রিং পাইপ স্থাপন নামে বরাদ্দ নিয়ে তা না করাসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির জড়িয়ে পড়েছেন।

    এর পর ওই সব প্রকল্প কোনা কিছুই না করে আবার কিছু কাজ করে পুরো টাকা উঠিয়ে নিয়ে নিজের পকেট মোটা করেছেন।

    গত ৯ জুুলাই এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিতে গিয়ে সত্যতাও পাওয়া যায়। এডিপি বরাদ্দের রিশিকুল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের নামে ল্যাপটপ সরবরাহের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ওই ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে নতুন ল্যাপটপের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

    ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বরত শাহিনুর ইসলামকে নতুন ল্যাপটপের কথা বললে ভ্রু কুচকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরে তিনি বলেন কোন নতুন ল্যাপটপ এখানে আসেনি। টেবিলে যে ল্যাপটপে কাজ করা হচ্ছে তা কতদিন আগের জানতে চাওয়া হলে ২০১৬ সালের বলে জানান। ল্যাপটপের নামে নতুন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের কথা জানালে তিনি তা জানেন না বলে জানিয়ে দিন। তবে এসব বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি শাহিনুর ইসলাম।

    এছাড়াও ১% প্রকল্প কাজের ওই ইউনিয়নের টয়লেট সংস্কারের জন্য ১ লাখ টাকা এবং ইউপির টয়লেট টাইলস দ্বারা সংস্কারের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন। শুধু মাত্র টয়লেট সংস্কার ও টাইলসদ্বার টয়লেট সংস্কার সামান্য ভিন্ন নামে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিলেও টয়লেট সংস্কার দেখতে গিয়ে দৃশ্যমান সংস্কার দেখাতে পারেনি ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশ্ন করা হলে বলেন, পাইন লাগানো হয়েছে। অপর দিকে টাইলসদ্বারা টয়লেট সংস্কার দেখতে চাইলে তারা বলেন, চেয়ারম্যানের সাহেবের রুমে তালা লাগানো তা দেখা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের কাছে চাবি নেই বলে জানান।

    তবে ওই ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমে শুধু মাত্র মেঝেতে টাইলস লাগানো দেখা গেছে। ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই প্রকল্পেরই টাকায় মেঝেতে টাইলস বসাতে হয়েছে। শুধু মাত্র মেঝেতে এতো টাকা খরচ হবে না জানালে প্রশাসনিক কর্মকর্তার চোখে মুখে দুর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্বলতার ছাপ দেখা যায়।

    এছাড়াও ১% প্রকল্প বরাদ্দের বিভিন্ন ওয়ার্র্ডে রিং পাইপ স্থাপনে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, রিশিকুল ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে রিং পাইপ স্থাপনে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা নেন ইউপি চেয়ারম্যান। বরাদ্দের জন্য সামান্য নাম পরিবর্তন করে এসব টাকা নেওয়া হয়। তবে ইউনিয়নের পরিষদের কোন ওয়ার্ডে ও কোথায় এসব বিতরণ করা হয়েছে তার তালিকা দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেন নি। এসব তালিকা ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান করে এবং তারাই জমাদেন। এগুলো পরিষদেই থাকার নিয়ম এমন প্রশ্ন করা হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাফ সাজিয়ে দেন এসব তালিকা আমাদের কাছে থাকে না সরাসরি উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) অফিসে জমা আছে।

    তবে এসব বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মুনসুর রহমান বলেন, এসবের জন্য আমরা স্টীমেট তৈরী করে দেয়। এখান পর্যন্তই শেষ তবে কোন তালিকা আমাদের অফিসে থাকার নিয়ম নেই এবং থাকেনা।

    এদিকে, ওই ইউনিয়নের টিআর প্রকল্পের ভানপুর উপরপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ২ লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম রেজা। তবে সরেজমিনে গিয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিব হোসেনের সাথে বলে বলে জানা যায়, ঈদ-উল-আযহার আগে চেয়ারম্যান মসজিদের ক্যাশিয়ার এনামুল হককে ডেকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। মোট বরাদ্ধের পুরো বরাদ্দ পাইনি। তবে আমরা এসব বিষয়ে আগে জানতাম না।

    ইউপি সদস্য সেলিম আহমেদের মাধ্যমে জেনেছি কিছু বরাদ্দ হয়েছে নিয়ে যাবেন। চেয়ারম্যান সাহেব ক্যাশিয়ারকে ডেকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে। ২ লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে পেয়েছে মাত্র ৪০ হাজার টাকা এসব জেনে মসজিদ কমিটির সদস্যগণ অবাক হন এবং তারা দাবি জানান যেহেতু মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন তাদের উচিত হবে পুরো টাকাটি দেওয়া। মসজিদের টাকা এভাবে নিজেদের পকেটে রেখে দেওয়া মোটেও ঠিক নয় বলে জানান।

    এলাকাবাসী মসজিদের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি জানান পর ব্যাপক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এসব বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান জানান, ২ লাখ ১১ হাজার টাকা কয়েকটি মসজিদে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পরে মসজিদ গুলোর নাম দেওয়া হবে বলে জানান। তবে চেয়ারম্যান পরে আর কোন নাম দিতে পারেন নি।

    সংবাদকর্মী ওই এলাকায় যাওয়ারপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোড়জোর শুরু করে। পরবর্তিতে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজে মসজিদ কমিটিকে ডেকে সমঝোতা করেছেন।

    এছাড়াও একই ওয়ার্ডের ভানপুর তরিকুলের বাড়ী থেকে আমিনের দোকান পর্যন্ত ড্রেন নির্মানের নামে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন। তবে সেই ড্রেন নির্মাণ না করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। ভানপুর গ্রামের বাসিন্দা মুনজুর আলম অভিযোগ করেন, যে ড্রেন নির্মান করা হয়েছে সেটি ১০ বছর আগের করা। ড্রেনের এক মাথা মাত্র ২০-২৫ ফিটের মতো কাজ করেছে এছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। তাও আবার কাজের মান খুব নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেন।

    এছাড়াও ৬ নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া আনোয়ারের বাড়ী হইতে মালকাহার পর্যন্ত মাটি দ্বারা রাস্তা নিমাণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও সরেজমিতে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    আনোয়ারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে নামে প্রকল্প হয়েছ তা মোটেও হয়নি। রাস্তা যখন নতুন করা হয় তখন নতুন মাটি তোলা হয়েছিলো। পরবর্তিতে আর কোন মাটি দিয়ে রাস্তা হয়নি। আর এরাস্তার জন্য প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে সেটিও আমি জানিনা।

    এছাড়ও ওই ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদের নামে আগে বরাদ্দকৃত প্রকল্প একই নামে পরে দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজের ওয়ার্ড ৯ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেন।

    এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক থাকায় উপজেলার বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করে নয়ছয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পরেনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সে কৌশলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আবারো লাটা পয়সা লুটে নিচ্ছে। এর পেছনের ইদ্ধনদাতা কে এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার এসব কাজের সহযোগী হিসেবে ইউপি পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তাকে সহযোগিতা করছেন বলে জানান গেছে।

    ল্যাপটপ না কেনা, মসজিদের টাকা না দেওয়া বিষয়ে রিশিকুল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান টিটু বলেন, ল্যাপটপ তো ডিজিটাল সেন্টারে আছে বলে দাবি করেন। এই প্রতিবেদক বলেন, আমি নিজে এখন পরিষদে আছি কেউ নতুন ল্যাপটপ দেখাতে পরেনি জানালে তিনি চুপ হয়ে যায়। মসজিদের টাকা পুরো কেনো দেননি বললে , তিনি জানান বিভিন্ন মসজিদে দেওয়া হয়েছে। এক মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা অন্য মসজিদে দেওয়া এটা নিয়মের মধ্যে হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এভাবে দেওয়া হয়। রিংপাটসহ নানান অনিয়েমের বিষয়ে জানাতে চাওয়া হলে তালিকা গুলো পরে দেওয়ার কথা জানালেও আর দেয়নি ওই চেয়ারম্যান।

    এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আছে আমি বিষয় গুলো দেখছি।
    ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছেন। এর আগেও মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করায় এলাকাবাসী তাকে ধরে রেখেছিলো। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনা স্থলে এসে মাদ্রাসার পুরোটাকা পরিশোধ সাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হয়।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী।

  • পাইকগাছায় জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    পাইকগাছায় জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা) ।।

    খুলনার পাইকগাছায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পিসি রায়ের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞানীর জন্মস্থান উপজেলার রাড়ুলীস্থ বসতবাড়িতে শনিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, জাদুঘর পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, বিজ্ঞান মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল অন্যতম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আকতার হোসেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সমরেশ রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, ওসি রিয়াদ মাহমুদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন গাজী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও জামায়াত নেতা প্রভাষক মোমিন উদ্দিন সানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম। এসএফডিএফ কর্মকর্তা জিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ, শহিদুল ইসলাম শেখ, হাবিবুল্লাহ বাহার, উৎপল বাইন, প্রধান শিক্ষক গৌতম মন্ডল, প্রাক্তন শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ, শিক্ষার্থী ফাতিন আনজুম, অরিত্র দাশ ও মিলি মন্ডল। মেলার ৬ টি স্টলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান সংক্রান্ত তাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা বিজ্ঞানী জীবন আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন বিজ্ঞানী পিসি রায় বাংলাদেশের গর্ব। তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে সমাজে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বক্তারা বিজ্ঞানীর মায়ের নামে দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় ভূবণ মোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ, বিজ্ঞানীর কর্মময় জীবন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিজ্ঞানীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট পাইকগাছার রাড়ুলীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন পরলোক গমন করেন।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • লালমনিরহাটে ১৯ কেজি গাঁ-জাসহ সিরাজুল গ্রেফ-তার 

    লালমনিরহাটে ১৯ কেজি গাঁ-জাসহ সিরাজুল গ্রেফ-তার 

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।। 

    লালমনিরহাটে ১৯কেজি ১৭৫ গ্রাম

     মাদকদ্রব্য গাঁজা সহ ০১ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করছেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,এর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদের, নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ জেলার সদর থানাধীন মোঘলহাট ইউপি এলাকার ১নং ওয়ার্ড খানাটারী মৌজাস্থ (মেডিকেল মোড়) মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতিসৌধের সামন বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯কেজি১৭৫গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা  সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।  গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন  সিরাজুল ইসলাম (২৫), লালমনিরহাট জেলা আদিতমারী উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের  মৃত নান্নু মিয়া র,ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদ, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানাধীন মোগলহাট ইউপির ১নং ওয়ার্ড খানাটারী মৌজা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৯কেজি১৭৫গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা  সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    হাসমত উল্লাহ ।।

  • মাদ-ক স-ন্ত্রাস ও চাঁ-দাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো- অধ্যক্ষ সিরাজ

    মাদ-ক স-ন্ত্রাস ও চাঁ-দাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো- অধ্যক্ষ সিরাজ

    আরিফ রব্বানী।
    ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ নং পুটিজানা ইউনিয়ন বিএনপির জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২ আগষ্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২ নং পুটিজানা ময়নার বাজারের বিএনপির মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নেতা সুলতান আহমদ,
    সঞ্চালনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির হোসেন রবিন।
    জন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা,জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)এর সহ সভাপতি ও ফুলবাড়ীয়া ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।বক্তব্য রাখেন
    বিএনপির নেতা আজিজুল হক লিখন,
    স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ওমর ফারুক,
    বিএনপির নেতা ছিদ্দিকুর রহমান,
    যুবদলের নেতা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সেলিম সরকার প্রমুখ।প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন,মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলবাড়ীয়া আসনে যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করবো।
    তিনি বলেন,বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতা না আসলেও একটি মহল নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন মনে করে অন্যায়-অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সুন্দর সুশৃংখল দেশ গঠন করা হবে।জন সমাবেশ শেষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

  • সলঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    সলঙ্গায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জুলাই জাগরন ও মেধাবী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসি ও জুলাই জাগরণে আহত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।  সলঙ্গা থানা ছাত্র শিবিরের আয়োজনে থানা ছাত্র শিবির শাখার সভাপতি মহসিন আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও উল্লাপাড়া-সলঙ্গা আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মওলানা রফিকুল ইসলাম খান। অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমীর,ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন,রায়গঞ্জ -তাড়াস আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী,কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য শায়েখ ড.আব্দুস সামাদ, সলঙ্গা থানা শাখা জামায়াতের আমীর রাশেদুল ইসলাম শহিদ,জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ

    সহ অনেকে। অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৮৫ জন শিক্ষার্থী,জুলাই বিপ্লবে আহত ২২ জন শিক্ষার্থীসহ মেধাবী ও কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট,ফুলের স্টিকার দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।