Blog

  • সলঙ্গায় হিরা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

    সলঙ্গায় হিরা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মানবিক সংগঠন “হিরা স্পোর্টিং ক্লাব”র  ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।গতকাল বিকেলে সলঙ্গা থানার চরগোঁজা গ্রামে ক্লাবটির নিজস্ব কার্যালয়ে কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় কেক কেটে শুভ সুচনা করা হয়।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,সহ সভাপতি এম.এম আলামিন হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান,সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। 

    দীর্ঘদিন ধরে ইতালী প্রবাসে থাকা,রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিরা সরকারের নিজ নামের সংগঠনটি অসহায় মানুষের সেবা করে ইতিমধ্যেই সমাজে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।শুন্য থেকে উঠে আসা হিরা সরকার বর্তমানে এলাকায় একজন দানবীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।প্রতি বছরই সংগঠনটির মাধ্যমে এলাকার হত দরিদ্রদের আর্থিক সহযোগীতা,কন্যাদায় গ্রস্থ,অসুস্থ্যদের সহায়তা,শীতবস্ত্র,ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন।এ ছাড়াও যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, মসজিদ,মাদ্রাসা,কবর স্থানে আর্থিক অনুদানে রয়েছে তার অবদান।শেষে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

  • লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাটে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেড-এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,এর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, 

    সভায় প্রধান অতিথি অত্র জেলার বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য’গণের সাথে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশকে জনগণের নিকট আস্থাশীল করে গড়ে তুলতে হবে মর্মে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, পুলিশ জনগণের বিপদে সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু। এসময় পুলিশ সদস্য’গণকে চেইন-অফ-কমান্ড মেনে চলার জন্যও নির্দেশ প্রদান করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাহাদত হোসেন সুমা, বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), লালমনিরহাট, জয়ন্ত কুমার সেন, সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সাদ আহম্মেদ, ডিবি অফিসার ইনচার্জ, আমিরুল ইসলাম, কোড পরিদর্শক,  মাহমুদুন নবী, অফিসার ইনচার্জ হাতীবান্ধা, আলী আকবর, অফিসার ইনচার্জ আদিতমারী, সেলিম মালিক, অফিসার ইনচার্জ কালীগঞ্জ, সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), ফাঁড়ি ইনচার্জ, আর আই, পুলিশ লাইন্স, আরও-১, রিজার্ভ অফিস ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।

    হাসমত উল্লাহ ।।

  • আশুলিয়ায় শীর্ষ মা-দক কা-রবারি ও হ-ত্যা মাম-লার আ-সামি শরিফুল ইসলাম মোল্লা গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় শীর্ষ মা-দক কা-রবারি ও হ-ত্যা মাম-লার আ-সামি শরিফুল ইসলাম মোল্লা গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখ: ঢাকার আশুলিয়ায় শীর্ষ মাদক কারবারি ও ছাত্র- জনতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশের চৌকস একটি দল।

    জানা যায়, শনিবার (২ আগষ্ট ২০২৫ইং) দিবাগত রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ার স্থানীয় ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা ছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর গুলি করে মানুষ হত্যা করে, সে ‘জনতা হত্যা’ মামলায় ওয়ারেন্ট ছিলো তার বিরুদ্ধে।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান এর নেতৃত্বে সিনিয়র (এসআই) মাসুদ আল মামুনের সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, “শরিফুল ইসলাম মোল্লা একজন দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি এবং ৫ আগস্টে ছাত্র জনতা হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে, এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”

    এলাকাবাসী তার গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান ও এসআই মাসুদ আল মামুনসহ পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে এই কুখ্যাত মাদক কারবারি শীর্ষ সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম মোল্লার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান এলাকাবাসী।

  • আমরা ধানের শীষের লোক, সবাইকে ঐ-ক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে- অধ্যক্ষ সিরাজ

    আমরা ধানের শীষের লোক, সবাইকে ঐ-ক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে- অধ্যক্ষ সিরাজ

    মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধিঃ
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২ নং পুটিজানা ইউনিয়ন বিএনপির জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২ আগষ্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২ নং পুটিজানা ময়নার বাজারের বিএনপির মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নেতা সুলতান আহমদ,
    সঞ্চালনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির হোসেন রবিন।
    জন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা,জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)এর সহ সভাপতি ও ফুলবাড়ীয়া ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা আজিজুল হক লিখন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ওমর ফারুক, বিএনপির নেতা ছিদ্দিকুর রহমান, যুবদলের নেতা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সেলিম সরকার প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন,মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলবাড়ীয়া আসনে যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করবো।
    তিনি বলেন,বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতা না আসলেও একটি মহল নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন মনে করে অন্যায়-অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সুন্দর সুশৃংখল দেশ গঠন করা হবে।

  • সুজানগরে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষো-ভ মিছিল ও প্র-তিবাদ সভা

    সুজানগরে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষো-ভ মিছিল ও প্র-তিবাদ সভা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি এরশাদ আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি পদদলিত করার প্রতিবাদে সুজানগর উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় বের হওয়া মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এন এ কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল নেতা সাকিবুল ইসলাম সনি, আরিফুল ইসলাম, গাজী মাজাহারুল ইসলাম,আনিছুর রহমান সংগ্রাম,আসাদ হোসেন,ইব্রাহিম শেখ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ছাত্রদল নেতা এস এম আফতাব আহমেদ। উল্লেখ্য ছাত্রদল নেতা এরশাদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর উপর গত ৩০ জুলাই তঁাতীবন্দে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের উদ্বোধনী সভায় পোড়াডাঙ্গা বাজারে আসার পথে হামলার অভিযোগ এনে তঁাতীবন্দ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব(বহিস্কৃত) শেখ আব্দুর রউফসহ ৩৭ জনকে আসামী করে ৩১ জুলাই মামলা দায়ের করেন। সুজানগর থানা অপিসার ইনচার্জ মজিবর রহমান জানান, মামলার ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • বানারীপাড়ায় ওলামা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বানারীপাড়ায় ওলামা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বানারীপাড়া প্রতিনিধি//

    বরিশালের বানারীপাড়ায় ওলামা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২রা আগষ্ট, শনিবার সকাল ১০টায় বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা ও পৌর ওলামা দলের উদ্দ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বরিশাল জেলা ওলামা দলের সদস্য মাওলানা আব্দুল কাইউম’র সঞ্চালনায় ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: শাহ আলম মিঞা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা ওলামা দলের আহবায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রব। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টার,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জুয়েল,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রিপন, জেলা ওলামা দলের সি: যুগ্ন আহবায়ক মাও: সাঈদ আহমদ,সদস্য সচিব ক্বারী এনায়েতুল্লাহ মাহমুদী,বানারীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো:সাইদুল ইসলাম,উপজেলা ওলামা দল নেতা মাওলানা আবু সাঈদ প্রমুখ।

  • নিবন্ধনে নজি-র গড়েছে তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা

    নিবন্ধনে নজি-র গড়েছে তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে নজির গড়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের জাতীয় মূল্যায়নে উপজেলাটি দেশের দ্বিতীয় এবং রংপুর বিভাগের শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। সদ্য সমাপ্ত এক বছরের মূল্যায়নে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল রানা দেশ সেরা হয়েছেন।

    নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩৩ শতাংশ কাজ করে সারাদেশে দ্বিতীয় এবং রংপুর বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে । রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) এবং বিভাগীয় কশিমনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

    সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজের মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয়। এতে ১২ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ১৩৩ দশমিক ৪০ শতাংশ কাজ করে সারা দেশে দ্বিতীয় অবস্থান পায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা। আর ১৩৫ দশমিক ২২ শতাংশ কাজ করে প্রথম হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলা। এবং একই জেলার সীতাকুন্ড তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেন।
    এই সাফল্য শুধু পরিসংখ্যানগত অর্জন নয়, বরং এটি তারাগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নিবেদিতপ্রাণ কার্যক্রম, সচেতনতামূলক উদ্যোগ এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের ফসল। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব, গ্রাম পুলিশ, তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন এই অর্জনের জন্য।
    এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরী অঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও অন্তত ৫০ভাগ মৃত্যু নিবন্ধনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার রেজিস্ট্রার জেনারেল-এর কার্যালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে সিআরভিএস স্টিয়ারিং কমিটি গঠন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মসম্পাদন চুক্তিতে এ লক্ষ্য অন্তর্ভুক্তকরণ এবং চার হাজারের বেশি রেজিস্ট্রেশন সহকারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান।
    এসব উদ্যোগে ২০২১-২০২৩ সালে নিবন্ধনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়, ২০২১ সালে জন্ম ২৯ ভাগ ও মৃত্যু ৩৯ ভাগ, ২০২২ সালে জন্ম ৫৮ ভাগ ও মৃত্যু ৪২ ভাগ, ২০২৩ সালে জন্ম ৫৪ ভাগ ও মৃত্যু ৪৯ ভাগ। একটি ত্রৈমাসিকে জন্ম নিবন্ধনের হার ৯০ ভাগ পর্যন্ত উঠলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন যথাক্রমে ৫২ ভাগ ও ৫৪ ভাগ।
    রংপুর বিভাগ উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে: ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে রংপুরে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন মাত্র ৩২ভাগ ও ৩৫ভাগ এবং রংপুর জেলায় আরও কম: ২৪ ভাগ ও ২৮ ভাগ। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রংপুর জেলা জাতীয়ভাবে শীর্ষে ছিল (জন্ম ১৭৭ ভাগ, মৃত্যু ১৫৩ ভাগ)-যা টেকসই হয়নি। ২০২৫ সালের ১৩৩ শতাংক কাজ করে দেশের দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করে রংপুর।
    তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, “এই সাফল্য কেবল প্রশাসনের নয়-এটি তারাগঞ্জবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আমি প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ, উদ্যোক্তা, গ্রাম পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই, এই ধারা যেন সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকে।”
    জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে ইকরচালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইদ্রিস উদ্দিন বলেন, “নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে এই নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট করা, জমি নিবন্ধন, এমনকি বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণেও অপরিহার্য।”
    সয়ার ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “ডিজিটাল নিবন্ধন ব্যবস্থার ফলে সাধারণ মানুষ এখন দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সেবা পাচ্ছে। আমরাও নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়ে কার্যক্রমকে আরও সহজ ও জনবান্ধব করতে পারছি।”
    উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়নে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে এবং মৃত্যুর ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম, স্কুল-কলেজে প্রচার, গ্রাম পুলিশদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
    একসময় তারাগঞ্জের বেশ কিছু ইউনিয়নে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ছিল উপেক্ষিত ও অনিয়মিত একটি প্রক্রিয়া। তবে গত এক বছর ধরে কঠোর তদারকি, নিয়মিত মনিটরিং এবং পুরস্কারপ্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হওয়ায় প্রতিযোগিতার মনোভাব জন্মেছে ইউনিয়নগুলোর মধ্যে। তার ফলেই আজকের এই জাতীয় স্বীকৃতি।
    উপজেলা প্রশাসন আশা করছে, আগামী বছরগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তারাগঞ্জ জাতীয় পর্যায়ে আরও এগিয়ে যাবে। একইসঙ্গে অন্যান্য উপজেলাগুলোর জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

  • পুঠিয়ার বানেশ্বরে ইউনিয়ন বিএনপির অনু-মতি ছা-ড়াই বিএনপির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন 

    পুঠিয়ার বানেশ্বরে ইউনিয়ন বিএনপির অনু-মতি ছা-ড়াই বিএনপির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন 

    পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ৩ নং বানেশ্বর ইউনিয়নে ‘বিএনপির প্রধান কার্যালয়’ নামে নতুন একটি অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতার উপস্থিতি না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে প্রকৃত নেতৃত্ব এবং দলে সমন্বয়হীনতা নিয়ে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।জানা যায়, কার্যালয় উদ্বোধনের ঘোষণাটি কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়ালেও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী সরকার ও সদস্য সচিবকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তাদের দাবি ৩নং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির কোন অফিস হতে হলে সেটি আমাদের মাধ্যমে হতে হবে। তাছাড়া অন্য কেউ ইউনিয়ন বিএনপির অফিস করতে পারে না।এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী এবং সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ জানান, “আমরা কেউই এ অফিস উদ্বোধনের বিষয়ে জানতাম না। আমাদের কোনো মতামত বা অনুমতি ছাড়াই এটা করা হয়েছে। এ ধরনের আচরণ রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, “আমার কোনো অনুমতি বা জানার বাইরে এই অফিস খোলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, “এই অফিসের নামে কোনো চাঁদাবাজি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় ইউনিয়ন বিএনপি নেবে না।” আমরা এই বেআইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।স্থানীয় বিএনপি নেতা আলম মেম্বার বলেন, “যারা উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, তারা কেউই ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে নেই। এমনকি যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই মতিউর রহমান মতি একজন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মাত্র। বিএনপির কোনো পদেই নেই।” অথচ তারা নিজেদের উদ্যোগে প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করেছে। এটা কীভাবে সম্ভব?পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির কোন প্রধান কার্যালয় বলে কোন কার্যালয়ের অনুমোদন নেই। যারা ৩ নং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান কার্যালয় বলে যারা কার্যালয় করেছে তারা কাজটা ঠিক করেনি। দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই এমন কাজ করেছে। আর কোন বিএনপির অফিস করতে হলে আমাদের বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি আছে তারা করবে। অথচ আমার আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ কেউ এই বিষয়ে জানেনা। যেখানে পার্টির কোন প্রধান কার্যালয় নেই সেখানে এই ধরনের কাজের কোন অনুমোদন বা গ্রহণ যোগ্যতা নেই।বানেশ্বর বণিক সমিতির আহবায়ক মতিউর রহমান মতি জানান, ইউনিয়ন বিএনপিকে দাওয়াত দিয়ে,  প্রয়াত নাদিম মোস্তফার ছেলের উদ্যোগে অফিসটি উদ্বোধন করা হয়। বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কে দুই দিন আগে  মুঠোফোনে বলা  হয়েছে। তারা কেন আসেনি সেটা আমার জানা নেই। আর এখানে বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান কার্যালয় দীর্ঘদিন থেকে ছিলো। বিভিন্ন নেতা কর্মী বসেন ও মত বিনিময় করেন।বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি আপনাদের নিয়ে অফিস উদ্বোধন করবে। সেখানে আপনারা তাদের দাওয়াত দিয়ে প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন বিষয়টি কেমন দেখায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে থেকে ছিলো তাই করেছি কোন অভিযোগ থাকলে আমরা তা পরিবর্তন করবো। স্থানীয় নেতারা এই অনুমোদনহীন অফিস উদ্বোধনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে দলীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেনউল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে বানেশ্বর পেট্রোল পাম্পের উত্তর পাশে ৩ নম্বর বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার পুত্র জুলফার নাঈম মোস্তফা বিস্ময়।

    ঘটনাটি বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়হীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।  

    এ বিষয়ে এখনো কেন্দ্রীয় বিএনপির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। #

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া, রাজশাহী।

  • দেশে ভু-য়া ডাক্তারের চিকিৎসা ও ভেজা-ল ওষুধ সেবনে মানুষের রো-গ ভালো হচ্ছে না

    দেশে ভু-য়া ডাক্তারের চিকিৎসা ও ভেজা-ল ওষুধ সেবনে মানুষের রো-গ ভালো হচ্ছে না

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক ভুয়া ডাক্তার রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সেবন করে বেশিরভাগ মানুষের রোগ ভালো হচ্ছে না। এর আগে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ায় ফার্মেসী দোকানে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ২২ ধরনের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করেন ওষুধ প্রশাসন। কয়েকজন ভুয়া ডাক্তারকে র‍্যাব-৪ কতর্ৃক গ্রেফতার করা হলেও অতি দ্রুত আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও যা তাই রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে তারা।
    শনিবার (২ আগষ্ট ২০২৫ইং) জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় প্রতিটি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো ওষুধের দোকান ও ক্লিনিক হাসপাতাল দিয়ে রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সাথে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করে অনেকেই লাখ লাখ টাকার মালিক বুনে গেলেও এ ব্যাপারে কারো কোনো মাথা ব্যথা নাই। বেশিরভাগ এলাকায় ভুয়া ডাক্তার কতর্ৃক চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও ভেজাল ওষুধের বিক্রির ছড়াছড়ি। এর আগে গত (১৩ অক্টোবর ২০২১ইং) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যাণ্ডে সুফিয়া ফার্মেসিতে ওষুধ প্রশাসন কতর্ৃক অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, বিক্রয় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ বিক্রির সময় অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ। এসময় সুফিয়া ফার্মেসিতে প্রবেশ করেন এবং দোকানের ভেতরে থাকা ২২ ধরনের নিধিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়। এই অভিযান শেষে সুফিয়া ফার্মেসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন, তারপর আর কোনো খবর নেই।
    বিশেষ করে এর আগে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। দেখা যায়, অনুমোদনবিহীন ভেজাল ওষুধ চেনা কঠিন, রাস্তার পাশে হাট-বাজারে নানারকম ওষুধ বিক্রি হওয়ায় সেই ওষুধ সেবন করে বেশিরভাগ রোগীদের রোগ মুক্তি না হয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের যন্ত্রনা। ভুয়া ডাক্তার কতর্ৃক চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সাথে, সেই সাথে কিছু ডাক্তারের ব্যবহার এতোটাই খারাপ যা কসাইদেরও হার মানাবে তারা। র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা-উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে ২-৪জন ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটক ও ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে জেল জরিমানা করলেও জেল জরিমানা ভোগ করেও তারা ভালো হচ্ছে না, কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না তাদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা। পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম দুর্নীতি। ভুয়া ডাক্তার ও ভেজাল ওষুধ দিয়ে অবাধে চলছে চিকিৎসা সেবার নামে নানারকম এইসব প্রতারণা।
    সূত্রমতে জানা গেছে, বাংলাদেশে ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। তারা রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা এবং থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করছে। সেই সাথে অনুমোদনবিহীন ভেজাল ওষুধ রোগীদের কাছে বিক্রি করে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে অর্থর্ কামিয়ে বাড়ি গাড়ি করেছে, রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বুনে যাচ্ছে অনেকেই। অন্যদিকে নামী দামি কোম্পানীগুলো ওষুধের গায়ে মূল্য লিখছেন না। ওষুধের গায়ে মূল্য না থাকায় কৌশলে দাম বেশি নিচ্ছেন অনেক ওষুধ দোকানদার। সেই সাথে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার কারবার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক কথায় চিকিৎসা সেবার নামে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে। ভেজাল ওষুধে মানবদেহে রোগ ভালো না হয়ে আরও খারাপ পরিণতি হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধ সেবন করে রোগ ভালো হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাটে ও মুদি দোকানেও ওষুধ বিক্রি করতে দেখা যায়। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে অনেকেই ডাক্তার সেজে ওষুধের দোকান খুলে বসে চিকিৎসা করছে। যাদের ওষুধ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তারাও এখন কথিত ডাক্তার। এর কারণে চিকিৎসা সেবায় বেশি জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই জানায়। শুধু সচেতনতার অভাবে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
    ঢাকার ধামরাই ও সাভার-আশুলিয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন থানায় প্রায় ৫ হাজারের বেশি ওষুধের দোকান রয়েছে, তাদের অনেকেরই সঠিক কাগজপত্র নেই। অনেকের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তার মেয়াদ নেই। সেই সাথে ক্লিনিক ব্যবসায় বিভিন্ন টেস্টের নামে অবৈধ ভাবে ভোক্তাকে ঠকানো হচ্ছে। ব্যাঙের ছাতার মতো ওষুধের দোকান ও ক্লিনিক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। সূত্র জানায়, ঢাকার প্রধান শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কিছু ক্লিনিক ও হাসপাতালে বাচ্চা নষ্ট করার সুকৌশল রয়েছে।
    র‍্যাব জানায়, ভুয়া চিকিৎসক নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসেন। রোগ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি থাকার কথাও অনেক ব্যবস্থাপত্রে লিখেন এবং অনুমোদনহীন ভেজাল ওষুধ লিখে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে। ক্লিনিক ও হাসপাতালের সামনে ওষুধ কোম্পানির গাড়ী-মটরসাইকেল দেখলে মনে হয় সেখানে মটরসাইকেলের বাজার লেগেছে। উক্ত ব্যাপারে রাজধানী ঢাকার ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সৈকত কুমার বলেন, ভারতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করাসহ নিয়মিত অভিযান চলছে। অথচ এখনো ভুয়া ডাক্তার ও ভেজাল ওষুধ সেবনে ভোক্তাদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। শনিবার কয়েকজন চিকিৎসক বলেন, বৈধ প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন এবং ভালো উন্নতমানের ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করছেন তাদের সমস্যা নাই, তবে ভেজালের মধ্যে আসল আর নকল চেনা কঠিন।#

  • আশুলিয়ায় সড়ক দুর্ঘ-টনায় এক শিশু নিহ-ত, আহ-ত ৫ জন

    আশুলিয়ায় সড়ক দুর্ঘ-টনায় এক শিশু নিহ-ত, আহ-ত ৫ জন

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভারের নবীনগর-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগষ্ট ২০২৫ইং) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

    ঘটনাস্থল-আশুলিয়া থানাধীন স্টারলিং গার্মেন্টস সংলগ্ন হাইওয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডের ২০মিটার আরিচা সড়কমুখীর সামনে বাইপাস রাস্তার উপর। ঘটনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
    অদ্য ০২/০৮/২৫ তারিখ রাত অনুমানিক ১৬. ৩০ ঘটিকায় আশুলিয়া থানাধীন স্টারলিং গার্মেন্টস সামনে এক নম্বর গেট সংলগ্ন হাইওয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ২০ মিটার আরিচা সড়ক মুখী সামনে ১/ নিহত ভিকটিম সোহান (১০), পিতা: স্বজন মাতা : কল্পনা। আহত সুজন (৩৫),পিতা: মুসলেম উদ্দিন, মাতা, সুজেলা বেগম(১/২- উভয়ের ঠিকানা: গ্রাম আমরাইল তেলী পাড়া,থানা মির্জাপুর জেলা টাঙ্গাইল। মোঃ আমানুল ইসনাম, ৫০) পিতা: মোঃ আনিস উদ্দিন, মাতা: নুরজাহান বেগম, গ্রাম-রামার বাগ ইউনিয়ন -পাথালিয়া থানা- আশুলিয়া জেলা ঢাকা। জামিল (৩৫) মিয়া, পিতা- মৃত হায়দার আলী মাতা-জাহানারা বেগম, গ্রাম-খড়খড়িয়া নান্দিনা থানা-জামালপুর সদর, জেলা -জামালপুর, মোঃ মনিরুজ্জামান বাদল (৩৫), পিতা মোঃ বাচ্চু মিয়া, মাতা বাথরুন্নেসা, গ্রাম- দক্ষিণ ইকুরিয়া,থানা-ধামরাই, জেলা- ঢাকা, সোহেল রানা (৪০), পিতা :মোজাম্মেল হক, মাতা : হাজেরা, রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক রিক্সা ও পথযাত্রীর সাথে ধাক্কা মেরে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। আহত পাঁচজনকে ইস্টারলিং গার্মেন্টস শ্রমিকেরা গণসাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

    সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু ভিকটিম সোহান (১০)কে উদ্ধার করে ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেন।

    পুলিশ জানায়, মামলা-জিডি: সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।