Blog

  • পঞ্চগড়ে খড়ির ঘরে জ-বাই করা বৃ-দ্ধার লা-শ উ-দ্ধার 

    পঞ্চগড়ে খড়ির ঘরে জ-বাই করা বৃ-দ্ধার লা-শ উ-দ্ধার 

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে রফিকুল ইসলাম ডুবু (৭৪)নামের এক বৃদ্ধ পাহারাদারকে জবাই করে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট)সকালে সদর উপজেলার টুনিরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রফিকুল ইসলাম বাহাদুর নারায়নী দক্ষিণ টুনিরহাট এলাকার মৃত মহিরউদ্দিনের ছেলে।তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো:শইমি ইমতিয়াজ জানান,লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে খুনের সাথে জরিতদের আটক করতে পারব।

    স্থানীয়রা বলেন,রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতেও মাজেদুল ইসলামের খড়ির ঘরের পাহাড়াদার ছিলেন।মঙ্গলবার সকালে কাঠুরিয়া বাচ্চা, কাঠ কাটতে আসে বৃদ্ধের গলাকাটা অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে।পরে লোকজন ছোটাছুটি করে আসে পুলিশে খবর দেয়।

    পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

    স্থানীয়দের ধারনা কোন অপরাধ ঢাকতে রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।তবে জুয়া খেলার সাথে জরিত থাকতেন তিনি।

  • গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মোংলায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি সমা-বেশ

    গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মোংলায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি সমা-বেশ

    মোংলা প্রতিনিধি:
    ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোংলায় বিএনপি বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে। পৌর ও উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রমিক সংঘ চত্বর থেকে এ বিজয় র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের শ্রমিক সংঘ চত্বরে মিলিত হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, মোংলা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অনেক বিএনপির নেতা-কর্মীরাও শহীদ হয়েছেন। সুতরাং এ অর্জন আমাদের সকলেরই। ২৪-এর জুলাইয়ে আমাদের তরুণরা রক্তস্নাত এ পলল ভূমিতে মুক্তির বীজ বপণ করেছে। দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছে জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়।

    ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু–সময়ের সাহসী এ অঙ্গীকারকে ধারণ, পালন ও লালন করেই আমাদের তরুণরা সাফল্যের এক মহাকাব্য রচনা করেছে জুলাইয়ে। ফ্যাসিস্ট আরোপিত কালচারাল হেজিমনির ফ্রেম ভেঙে দিয়ে দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে বাংলাদেশের পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেই সাথে এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে। এ বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশে কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন।

  • পঞ্চগড়ে য-থাযোগ্য ম-র্যাদায় জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

    পঞ্চগড়ে য-থাযোগ্য ম-র্যাদায় জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়

    পঞ্চগড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে পঞ্চগড়ের পাঁচ শহীদের স্মরণে নির্মাণাধীন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়।

    জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা বিএনপি, জুলাই যোদ্ধা এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

    শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেদ আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদস্য সচিব হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক পৌর বিএনপির আহবায়ক পাঁচ বারের মেয়র তৌইিদুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাভোকেট আদম সুফি, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল জাসাস নেতা ইউনুস শেখ সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল আল মামুন রনিক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক লাকসাম জাপান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

    শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

    পরে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড় এলাকায় নির্মিত ‘শহীদ স্মৃতিবন’-এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাবেদ আলী। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মেলন ও আলোচনা সভা’।

    আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে শহীদদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    দিবসের অংশ হিসেবে বিকেলে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজন ‘জুলাই দিবস ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’। সন্ধ্যায় আয়োজন রয়েছে ‘জুলাই বিজয় উদযাপন কনসার্ট’-এর।

    দিবসব্যাপী এসব কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চগড়বাসী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে ২০২৪ সালের সেই সাহসী সন্তানদের, যাঁরা অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন এবং প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন।

  • ফিরে দেখা বানারীপাড়ার ছাত্র জনতার আ-ন্দোলন

    ফিরে দেখা বানারীপাড়ার ছাত্র জনতার আ-ন্দোলন

    বানারীপাড়া প্রতিনিধি//
    বাংলাদেশে ৫ই জুলাই ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে যে অগ্নিৎপাত, তা অচিরেই রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। রাজপথে নামেন লাখো ছাত্র, যুবা ও সাধারণ মানুষ। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ঝরে যায় শত শত প্রাণ। তবু দমানো যায়নি জনতার বিক্ষোভ।১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী  আবু সাঈদ বুক পেতে দাঁড়ালে, নিরস্ত্র এ তরুণকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে । আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে। পূর্বের আক্রোশ ও দীর্ঘ পরিকল্পনায় ১৮ জুলাই বানারীপাড়ায় দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে সাব্বির, আতিক,আরিফ ও নাঈম সহ কয়েক জন ছাত্রের নেতৃত্বে উপজেলায় দুইটি মিছিল বের হয়।যার একটি বানারীপাড়া পৌর শহরের দক্ষিণ নাজিরপুর থেকে অন্যটি চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। উভয় স্থলেই পুলিশি বাঁধা থাকলেও সরকারি ফজলুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময়ে সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও শেখ তারেকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয় এবং দ্রুত শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে। এতে ওই সময়ে পুলিশ আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থীদের নাম,ঠিকানা নিয়ে করে দিনরাত বাড়ি বাড়ি তল্লাসি চালায়। ঘর ছাড়া বানারীপাড়ার নেতৃত্ব দানকারী ছাত্ররা আন্দোলন না থামিয়ে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ১৮ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় থাকতেন। হাসিনা সরকার কারফিউ জারি করার পরও ৪ আগস্ট সাধারণ ছাত্র জনতার নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নেমে পরে। বানারীপাড়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ রেখে সরকারি ফজলুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেন একত্রিত হয়ে উপজেলার গুয়াচিত্রা বাজারের ত্রিমুখী সড়কে অবস্থান নেয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সম্মুখ লড়াইয়ে পরাজয় স্বীকার করে। পুলিশ বাধাঁ দিলে ছাত্র জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সামনে তারাও বাধ্য হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

    ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্টের দীর্ঘ সময়ে ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেনের বাড়িতে পুলিশের বারবার তল্লাশিতে ফেরারির মতো ঘর ছাড়া হয় সাব্বির। আদরের বড় ছেলে কলেজ শেষে বাড়িতে না ফেরায় তার পিতা আব্দুস ছালাম পাগলের প্রহর গুনতেন ছেলে ঘরে ফিরে আসার।আর যখনই সে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনতেন নির্বাক হয়ে চোখের অশ্রু ঝড়াতেন।

    নির্বিচারে গুলি চালিয়ে জনস্রোত থামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয় রাষ্ট্রযন্ত্রের,দিনশেষে সেই ত্যাগ আর সংগ্রামের বিনিময়ে জয় ছিনিয়ে আনে ছাত্র-জনতা। গণআন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে।

    ৫ আগস্ট, সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিমানে করে পাড়ি জমান ভারতে। তার আগেই দেশের রাজপথ জনসমুদ্র হয়ে ওঠে—কোটি মানুষের বিজয় উল্লাসে মুখরিত হয় চারদিক।এদিকে ছাত্র জনতা নিয়ন্ত্রণ নেয় গণভবনের।

  • পাবনা-২ আসনে জা-মায়াত প্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিনের ব্যাপক গ-ণসংযোগ

    পাবনা-২ আসনে জা-মায়াত প্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিনের ব্যাপক গ-ণসংযোগ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে পাবনা-২ (সুজানগর উপজেলা -বেড়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ঘোষিত সংসদ সদস্য প্রার্থী দলটির সুজানগর উপজেলা শাখার আমির ও পাবনা-২ (সুজানগর উপজেলা -বেড়া আংশিক) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক কে,এম হেসাব উদ্দিন ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
    গণসংযোগকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক ফারুক-ই-আযম ও সেক্রেটারী টুটুল হুসাইন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
    গণসংযোগকালে বিভিন্ন হাট-বাজার, দোকান ও পাড়া-মহল্লায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষায় ইসলামি রাজনীতির বিকল্প নেই। আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণের জন্য মাঠে নেমেছি।
    তিনি আরও বলেন, দেশে ইনসাফভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে নৈতিক নেতৃত্বের প্রযোজন। ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনীতিই পারে সেই শূন্যতা পূরণ করতে। ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হলে জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করব।
    সোমবার জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানান, গণসংযোগে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এবং জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন পাবনা-২ আসনের জনগণ।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • পাইকগাছায় ১৯ মাস পর পরিবারে ফিরলেন মা-নসিক ভা-রসাম্যহীন পারুল

    পাইকগাছায় ১৯ মাস পর পরিবারে ফিরলেন মা-নসিক ভা-রসাম্যহীন পারুল

    ইমদাদুল হক ,পাইকগাছা ( খুলনা ) ।

    অবশেষে দীর্ঘ ১৯ মাস পর পরিবারের কোলে ফিরে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন পারুল আক্তার। সোমবার (৪ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পারুলের পিতার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে তুলে দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তার বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায়।

    পারুল আক্তার দীর্ঘদিন ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ইং- ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পাইকগাছা পৌর সদরের মেইন রাস্তার পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পারুল আক্তার। পরে স্থানীয় চিকিৎসক ডা. আব্দুল হালিম তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে মা ও নবজাতকের সার্বিক খোঁজখবর নেন। এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

    পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে পারুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয় এবং ধাপে ধাপে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

    পারুলের পরবর্তী গন্তব্য পাবনা মানসিক হাসপাতাল। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আর্থিক সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে তাকে সেখানে ভর্তি করে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সঞ্জয় কুমার বলেন, পারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার কন্যা সন্তানটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং সে ভালো আছে।

    এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন এর এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • রংপুর জোনের টিএমএসএস’র কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    রংপুর জোনের টিএমএসএস’র কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    জি এম রাঙ্গা :

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে-আরা বেগম প্রতিষ্ঠিত দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ও আন্তর্জাতিক মানের বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের রংপুর ডোমেইনের নিয়ন্ত্রিত রংপুর জোন কর্তৃক আয়োজিত জোনের কার্য অগ্রগতি পর্যালোচনা, টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রম ও ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর দিন ব্যাপী এক কর্মশালা ৪ আগষ্ট টিএমএসএস’র রংপুর জোনাল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিএমএসএসের রংপুর জোন প্রধান মোঃ ময়নুল হক প্রধান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে নানা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন অপারেশন-৪ রংপুর ডোমেইনের, ডোমেইন প্রধান সহকারী পরিচালক মোঃ শাহীন মিয়া। এ কর্মশালায় জোনের তিনটি রিজিওনের রিজিওন প্রধান ও ২০ টি শাখা প্রধান অংশ নেয়। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে চাই। তরুণদের উদ্যোক্তা করতে হলে তাদের মধ্যে সে মোতাবেক কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহবান জানান। তিনি বলেন টিএমএসএস সারা দেশে নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। টিএমএসএস লাভের আশায় নহে, সেবার মানসিকতা নিয়ে সারা দেশে কাজ করছে। তিনি কর্মকর্তাদের নতুন নতুন প্রকল্প চিহ্নিত করে সে মোতাবেক কাজ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিএমএসএসের রংপুর জোনের, জোন প্রধান মোঃ ময়নুল হক প্রধান। কর্মশালায় রংপুর জোনের তিনটি রিজিওনের, রিজিওন প্রধান যথাক্রমে মর্ডান রিজিওন প্রধান মোঃ খলিলুর রহমান, রংপুর রিজিওন প্রধান মোঃ মাহফুজুর রহমান ও দামুর চাকলা রিজিওন প্রধান মোঃ রফিক আল আজির নিজ নিজ রিজিওনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বক্তব্য দেন। মোঃ শাহীন মিয়া কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালনের আহবান জানান। তিনি টিএমএসএসের কর্মকান্ডে আরও গতিশীল ও বেগবান করতে মাঠ কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করার আহবান জানান। যা তাঁদের কার্যক্রমকে আরও টেকসই ও ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মশালায শাখা প্রধানদের সক্রিয় অংশ গ্রহণ এবং মূল্যবান মতবিনিময় কর্মশালাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। কর্মশালায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনে জোনের কার্যক্রমের ভূমিকা, নতুন নতুন কৌশল ও প্রযুক্তি প্রয়োগ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জোনের টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক এই কর্মশালাটি রংপুর জোন কেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে বক্তারা জোনের কার্যক্রমে উদ্ভাবনী পদ্ধতি এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। অংশ গ্রহণকারীরা দলবদ্ধ আলোচনা ও ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন। কর্মশালার অংশ গ্রহণকারীরা বলেন, এই কর্মশালাটি তাঁদের জোনের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও টেকসই করতে সহায়ক হবে। তাঁরা প্রাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন। অংশ গ্রহণকারীরা জানায়, এ ধরনের কর্মশালা ভবিষ্যতে আয়োজন করা হলে, তাঁদের সকল স্তরের কর্মীরা আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়ে জোনাল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পারবে। এই কর্মশালাটি কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং জাতীয় উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি ক্রীড়া দলের সাথে মহাপরিচালক’র ম-তবিনিময়

    বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি ক্রীড়া দলের সাথে মহাপরিচালক’র ম-তবিনিময়

    জি এম রাঙ্গা :

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি আনসার ভিডিপি ক্রীড়া দলের কোচ ও খেলোয়াড়দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি আসন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে ভালো ফলাফলের জন্য খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও মনোবল ধরে রাখার আহ্বান জানান।

    গত ৩রা আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ঢাকার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় মহাপরিচালক বাহিনীর ক্রীড়া দলের গৌরবময় ইতিহাস ও বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। তিনি ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে বলেন, “মাদকদ্রব্য থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে হবে। শুদ্ধ জীবনযাপন, বাহিনীর মর্যাদা রক্ষা এবং সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপনই হবে আপনাদের মূল লক্ষ্য।” এ সময় তিনি ভাতাভোগী খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়েও সবাইকে অবহিত করেন।

    সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, উপ-মহাপরিচালক প্রশিক্ষণ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিভিএম, পিভিএমএস, বিভিএমএস এবং বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) মির্জা সিফাত-ই-খোদা।

    অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে, মহাপরিচালক সদ্য সমাপ্ত জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় পদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়সহ কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখা নির্বাচিত খেলোয়াড়দের ফুলেল শুভেচ্ছা ও পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও, তিনি বক্সিং দলকে এক লক্ষ টাকার বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেন। এই সম্মাননা ও পুরস্কার ক্রীড়া দলের সদস্যদের জন্য নতুন করে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্য কর্মকর্তা, খেলোয়াড়গন, ব্যাটালিয়ান সদস্য ও কর্মচারী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশে ৫ আ-গষ্টের মতো আর কোনো গণহ-ত্যা দেখতে চায় না জাতি-বাকিটা ইতিহাস

    বাংলাদেশে ৫ আ-গষ্টের মতো আর কোনো গণহ-ত্যা দেখতে চায় না জাতি-বাকিটা ইতিহাস

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ বাংলাদেশে ৫ আগষ্টের মতো আর কোনো গণহত্যা দেখতে চায় না জাতি-বাকিটা ইতিহাস। ৪ আগষ্ট সংবাদ শিরোনাম ছিলো “সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের”। সেই আন্দোলনে সরকারি বাহিনীর পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক, ছাত্র-জনতা আহত নিহতের ঘটনা ঘটেছে, শুধু ছাত্র-জনতা শহীদ হলেও “পুলিশ ও সাংবাদিক নিহত হয়েছেন!” যে সরকারই ক্ষমতায় থাক না কেন পুলিশ সদস্যরা তাদের স্যারের কথায় কাজ করতে হয় আর সাংবাদিকদের সততা ও সাহসী ভুমিকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়, পুলিশ ও সাংবাদিকের মৃত্যু হলে বলা হয় পুলিশ ও সাংবাদিক মারা গেছে, তাহলে পুলিশ আর সাংবাদিক কি মানুষ না?। দেশে ৫ আগষ্টসহ বিভিন্ন সময়ে যেসকল পুলিশ ও সাংবাদিকসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তদন্ত করে সেই সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন পুলিশ পরিবার ও সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন মহল। দেশের জনগণের দাবি আমরা ৫ আগষ্টের মতো আর কোনো গণহত্যা দেখতে চাইনা।
    বিশেষ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধো আর ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুদ্ধ যাইহোক স্বাধীন বাঙ্গালির “পতাকার রং সবুজের মধ্যে লাল” সেই পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন। বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যে, দেশের ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন সালাম, বরকত, রফিকসহ আরো অনেকে। স্বাধীনতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়া এতো সহজ নয়, আমাদের স্বাধীনতা কলংকিত নয় যদিও মা-বোন কলংকিত। ১৭৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় যুদ্ধে শক্র পক্ষকে হারিয়ে আজকের এই স্বাধীনতা অর্জন, এরপর শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং আরো একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হলেও কি বৈষম্য দূর হয়েছে? কোনদিন কি বৈষম্য দূর করে সংস্কার করা সম্ভব হবে?।
    বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতার পর এখন দেশে জাতীয় নির্বাচন জরুরী দরকার, ১৯৭১ সালের পর আবারও দেশে যুদ্ধ হয়েছে, এই যুদ্ধে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে আহত এবং নিহতদের ঘটনায় মামলা করা হলেও বেশিরভাগ মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ভুয়া বাদী কতর্ৃক সাংবাদিকসহ অনেকের নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে, তা একজন আহত বা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলা করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার আর প্রতারক চক্র মামলা বাণিজ্য করার জন্য ভুয়া বাদী সেজে মামলা করেছে একটি চক্র। যেমন: সাভার আশুলিয়ায় সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করেছে তার তথ্য প্রমান রয়েছে। স্বাধীন দেশে এ কেমন প্রতারণা জাতি জানতে চায়। এখন আসি দেশের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনার বিষয় নিয়ে।
    সূত্রমতে, বাংলাদেশের প্রথম-প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, বিচারপতি এম. ইদ্রিস। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে অন্য কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। অবশ্য কেবল নির্বাচন কমিশনারগণ কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররুপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। “জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন” জাতীয় সংসদ কি? তা আমাদের জানা দরকার। বাংলাদেশের আইনসভা হল জাতীয় সংসদ, এটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং প্রজাতন্ত্রের সকল প্রকার আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর তা আমাদের জানা দরকার, মাত্র পাঁচ বছর। রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ আপনা-আপনি ভেঙ্গে যাবে। জাতীয় সংসদের গঠন কি রুপ?: সমগ্র দেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। তবে সংবিধানে মেয়াদী ৩০জন মহিলা সংসদ সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত আসন ব্যতীত মহিলা সদস্যগণ অন্যান্য সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সূত্রমতে, জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৩০ জন। তা সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন? প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
    বিশেষ করে কখন ও কিভাবে বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদ গঠিত হয় তা সবার জানা দরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। মোটামুটিভাবে (১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গন্য হয়)। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অংশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য (৪৬৯জন= ১৬৯ জন=৩০০জন) নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়ায়। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন-১০ এপ্রিল ১৯৭২। সেসময় গণপরিষদের প্রথম স্পীকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ, দ্বিতীয় স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ, গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মোঃ রায়তুল্লাহ, গণপরিষদের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে কতজন সদস্য স্বাক্ষর করেন তা জানা প্রয়োজন, ১৪ ডিসেম্বর ৩৫০জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ৪৭জন মোট ৩৯৭ জন। চলমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাবুদ্দিন মহোদয়, এবার আসি বাকি ইতিহাস কি বলে?
    শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ভাষা শহীদসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
    মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন বাঙ্গালি জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়–ন, কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার কোনো স্মৃতি রাখা হচ্ছে না বাংলাদেশে, এখন নতুন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। এরপর অনেক ঘটনা ঘটেছে, বর্তমান দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি শাহাবউদ্দিন চুপ্পু সাহেব। আজ ৫ আগষ্ট ২০২৫ইং সরকারি ছুটির দিন নতুন করে চালু হলো। সরকার পরিবর্তন হলেও সরকারি নিয়ম ও দেশের আইন পরিবর্তন হয় না। তবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর কেউ দেখতে চায় না সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মতো নতুন কোনো যুদ্ধো-বাকীটা ইতিহাস।

  • ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি – কাঁ-দলেন ও কাঁ-দালেন

    ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি – কাঁ-দলেন ও কাঁ-দালেন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহী: কর্মময় জীবন থেকে অবসরের মাধ্যমে দীর্ঘ ৩১ বছরের শিক্ষকতা পেশার সমাপ্তি হলো সহকারী শিক্ষক মোসাঃ মেহেরুন্নেসা (১৮ ফেব্রায়ারী, ১৯৯৫ সালে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার

    মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
    থেকে শুরু করা কর্মময় জীবনের ইতি টানলেন সহকর্মী, বর্তমান ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মধ্য দিয়ে।
    ৪ আগষ্ঠ সোমবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেহেরুন্নেসার বিদায়ী অনুষ্ঠান স্কল হলরুমে নানা আয়োজন করা হয়।
    এসময় প্রিয় শিক্ষককে বিদায় দিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে হাজির হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনের জন্য। শিক্ষার্থী ও সহকর্মী সবাই অশ্রুসিক্ত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। সকলের ভালোবাসায় সিক্ত বিদায় সংবর্ধনা শেষ হয়।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিরুল ইসলাম।

    নবম শ্রেণীর ছাত্রী মোসাঃ সুমাইয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সানজিদা খাতুন, বিদায়ী শিক্ষক মোসাঃ মেহেরুন্নেসা প্রমূখ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, মেহেরুন্নেসা শুধু শিক্ষকই ছিলেন না। একজন যোগ্য অভিভাবকও ছিলেন। তাঁর সততা, মহত্ব ও কর্মকুশলতা আমাদের গর্বের। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এতোটা সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন যার অনেক স্মৃতি রয়েছে । তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান এই পেশায় ৩১ বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা পেশায় এককই বিদ্যালয় শিক্ষকতা করেছেন। এই মহান পেশায় যুক্ত থাকায় আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ার কারিগর।

    শিক্ষকতা জীবনে মেহেরুন্নেসার আজ বিদায়ী দিন ও শেষ কর্ম দিবসে প্রিয় শিক্ষার্থী সহকর্মী- উপস্থিত অতিথি বৃন্দ অশ্রুসিক্ত নয়নে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও ফুলের শুভেচ্ছায় বিদায় জানান।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।