Blog

  • কালকিনিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি’র সমা-বেশ

    কালকিনিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি’র সমা-বেশ

    কালকিনি মাদারীপুর প্রতিনিধি ।।

    মাদারীপুরের কালকিনিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র আয়োজনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বেলা ১২ টায় উপজেলার ডাকবাংলা মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র গণ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। মঞ্চে বিশেষ বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থানের নিহত শহীদ সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ব্যাপারী, সদস্য সচিব মাহবুব মুন্সী সহ উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতা তালুকদার খোকন এর নেতৃত্বে একটি বিজয় র‍্যালি বের করা হয়। এ সময় র‍্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

  • কালকিনি অ-পপ্রচারের অভি-যোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

    কালকিনি অ-পপ্রচারের অভি-যোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

    মোঃমিজানুর রহমান, কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি।।

    মাদারীপুরের কালকিনিতে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে কালকিনি দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ বিকেলে উপজেলার কালকিনি দৃষ্টিকোণ চক্ষু হাসপাতালের হলরুমে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম শামীম। এসময় তিনি বলেন, আমাদের এই চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুনামের সহিত রোগীদের উন্নতমানের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। গত জুন মাসের ১ তারিখে মাসুম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির চোখের অপারেশন করেন ডাঃ শাহজাহান সিরাজ এম বি বি এস। অথচ মাসুম হাওলাদার আমাদের হাসপাতাল সহ আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

  • জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে বাগেরহাটে জামায়াতের গণ জমায়েত ও মিছিলে জনতার ঢ-ল

    জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে বাগেরহাটে জামায়াতের গণ জমায়েত ও মিছিলে জনতার ঢ-ল

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:
    বাগেরহাটে ৩৬ জুলাই (০৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) বিকাল তিনটায় বাগেরহাট দশানি ট্রাফিক মোড়ে গন জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী একটি গন মিছিল নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সমূহ প্রদক্ষিণ শেষে দশানী মোড়ে এসে কর্মসূচি সমাপ্ত করে। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী শেখ মোহাম্মদ ইউনূসের পরিচালনায় সমাবেশ শুরু হয়।মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির জননেতা এ্যাডঃ মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, মিজানুর রহমান মল্লিক, এ্যাডঃ মোস্তাইন বিল্লাহ, জেলা জামায়াতের মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক,অধ্যাপক রেজাউল করিম,শেখ মনজুরুল হক রাহাদ,হাফেজ মোবারক আলী,মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা সাহিদুল আলম, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি হাফেজ মোর্শেদ আলম ও সেক্রেটারি আহমেদ আব্দুল্লাহ। জামায়াতের সদর উপজেলা আমির মাওলানা ফেরদাউস আলী, ফকিরহাট উপজেলা আমির মাওলানা এবিএম তৈয়বুর রহমান,কচুয়া উপজেলা আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও বাগেরহাট পৌর আমির মাওলানা শামীম আহসান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা রেজাউল করিম তার বক্তৃতায় বলেন,”জুলাই শহীদেরা ও আহত জুলাই যোদ্ধারা বৈষম্যমূলক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে।জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এক বছর অতিবাহিত হলেও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয় নাই,জনগণ জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার চায়। তিনি বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। তিনি আরো বলেন জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচার না করে এদেশে কোন নির্বাচন নয়, পুরাতন রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার না করে নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিস্ট সৃষ্টি হতে পারে এবং ইহাতে জুলাই শহীদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে , জনগণ লুটপাটের কোন নির্বাচন চায় না।তিনি আরো বলেন দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
    এদিন সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর গনমিছিলটি শহরের দশানী মোড় হতে শুরু হয়ে কোর্ট এলাকা অতিক্রম করে বাগেরহাট বাস টার্মিনাল ঘুরে আলিয়া মাদ্রাসা রোড দিয়ে ভিআইপি মোড় অতিক্রম করে পুনরায় দশানী ট্রাফিক মোড়ে এসে শেষ হয়। উক্ত সমাবেশ ও মিছিলে জেলার সদর,কচুয়া, ফকিরহাট ও রামপাল উপজেলা থেকে জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে জনতার ঢলে রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে। #
    ০৫/০৮/২৫ ইং

  • কালকিনিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের শহী-দদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    কালকিনিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের শহী-দদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

    মোঃমিজানুর রহমান, কালকিনির( মাদারীপুর) প্রতিনিধি

    মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট পাঁচজন শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন ও কালকিনি থানা পুলিশ। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫ এর অংশ হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    আজ সকালে উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের শহীদ মোঃ লোকমান হোসেন, শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের শহীদ মোশাররফ, রমজানপুর ইউনিয়নের চরপালরদী গ্রামের মোঃ সিফাত হাওলাদার, আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর কানাইপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল সরদার ও একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ হাসিবুর রহমান এর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল আরেফীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা ইসলাম, কালকিনি থানার (ওসি) কে এম সোহেল রানা সহ আরো অনেকে।

  • গোবিপ্রবিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন

    গোবিপ্রবিতে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন করা হয়েছে। 

    দিবসটি উপলক্ষে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

    আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১নং কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব।

    সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, বর্তমান প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের ফসল। আমাদের অনেক সফলতা ও ব্যর্থতা রয়েছে। তবে ব্যর্থতাগুলো পূর্বের দুই প্রশাসনের অসহনীয় মাত্রার দুর্নীতির কারণে। কেননা তাদের ধারাবাহিক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আমরা গত ৯ মাসে কোনো উন্নয়ন বাজেট পাইনি। আশা করছি শীঘ্রই সেটা পেয়ে যাবো। একই সঙ্গে যারা দুর্নীতির সহযোগী ছিলো, যারা জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, অবশ্যই তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা যতোদিন দায়িত্ব পালন করবো, এই বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মানি মেকিং মেশিন হবে না। নিয়োগ থেকে প্রমোশন, সবকিছু পরিচ্ছন্নভাবে করা হবে।  

    এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, এতো রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা উদযাপনে এখানে কোনো আনন্দ দেখা যাচ্ছে না। বিজয়ের হাসি দেখা যাচ্ছে না। অথচ শহিদদের স্বপ্ন আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। তাই চেতনা ব্যবসা না করে আমাদের বিবেক জাগ্রত করতে হবে। কেননা আমরা কিছু মুখের পরিবর্তন দেখতে পেলেও সিস্টেমের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, তা পরিবর্তনের, অনিয়ম দূর করার। তাই আমাদের একত্রিত থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

    অনুষ্ঠানে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১১৪টি লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখনো অনেকে জানেই না, তার বাবা কোথায়, ভাই কোথায়! যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই ৩৬ জুলাই। এমন নৃশংস অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করে ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিদায় করেছে। ১৬ বছরের অপশাসনের পরাজয় ঘটেছে। তাই জোর দিয়ে বলছি, এই গোপালগঞ্জের মাটিতেও তাদের কবর হবে না।

    সভায় আরো বক্তৃতা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল আসাদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, গণিত বিভাগের সভাপতি ড. মুহম্মদ মিনারুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু সালেহ, আইসিটি সেলের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মাহমুদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিঘাত রৌদ্র, কৃষি বিভাগের জসীম উদ্দিন, হিসাববিজ্ঞানের আল মাহমুদ, মনোবিজ্ঞানের ফারিহা নওরীন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বোরহান শেখ।

    এর আগে জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও বাদ যোহর জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকালে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

    গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে জুলাই শহিদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সালমা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (অঃ দাঃ) ও পৌর প্রশাসক এস এম তারেক সুলতান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারিহা তানজিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রূলী বিশ্বাস, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার, গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদ, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার, জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদুল আলম, গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাজেদুল হক, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডেন্ট মুজিবুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রাফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) লাখসানা লাকী, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র সরদার, জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ, কাটরা কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান দাড়িয়া। পরে জেলা প্রশাসক সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জুলাই শহিদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এর আগে জেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ৭জন শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামে শহিদ মঈনুলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। পরে শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

    এ ছাড়াও সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের শহিদ জিল্লুর শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রামের শহিদ রথিন বিশ্বাস, মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের শহিদ বাবু মোল্লা, একই উপজেলার ছোটবনগ্রামের শহিদ আরাফাত মুন্সী, গোপ্তারগাতী গ্রামের শহিদ মুজাহিদ ও ডিগ্রিকান্দি গ্রামের শহিদ সাবিদ হোসেনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দোয়া ও মোনাজাত করেন উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি ও বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী দল গোপালগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে পৃথক পৃথক শোভাযাত্রা বের করে।

  • রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাটের শেষ আ-র্তনাদ

    রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাটের শেষ আ-র্তনাদ

    মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন, জেলা প্রতিনিধি,

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারের একমাত্র লঞ্চঘাটটি প্রায় শত বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। এই ঘাটে আর মসজিদ ঘাটে
    একসময় উত্তর, পশ্চিম, পূর্ব, দঃ অঞ্চলের অর্থকরী ফসল পাট, ধান,চাল,বাদাম, সরিষা, তিল, গম,মুশুরী,কলাই মটর,সুটকি, নানা পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো, এখানে বর্ষামৌসুমে টলার ও নৌকার ভিড়ে আধাকিলোমিটার পর্যন্ত তিতাস নদী তে প্রায় ১ কিঃ মিঃ সারি সারি কোশা, কবুত,সরাং নৌকাসহ দূরদূরান্ত থেকে গহনা বড় নৌকা আসতো বানিজ্য করতে।
    সেই রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাট এখন তার জৌলুস হারিয়ে ফেলছে , প্রায় ১ কিঃমিঃ বাজারটি সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার হাট বসতো এখানে ঢাকার সদরঘাট, নারায়নগঞ্জের নিতাইগঞ্জের ঘাট,নরসিংদীর লঞ্চ ঘাট,ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার গোপন ঘাট,জীবনগঞ্জঘাট,ব্রাঞ্চারামপুরঘাট,রামকৃষ্ণপুর ঘাট,হোমনালঞ্চঘাট, ভৈরব লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ আসতো এবং ঘন্টা ঘন্টা পর ছেড়ে যাইতো বিভিন্ন স্থানে।

    তিতাস নদীর নাব্যতা সংকট, দখল, দূষণ, এবং অব্যবস্থাপনার কারণে এটি এখন তার সৌন্দর্য, রূপ হারিয়ে গেছে।
    এই ঘাটের বর্তমান করুণ দশা কেবল যাত্রী দুর্ভোগই সৃষ্টি করছে না, বরং একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসের বিলুপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন গভীরতা তিতাস নদী তে না থাকায়
    হারিয়ে যাওয়া জৌলুস ও বর্তমান দুর্দশা তিতাস নদীর।

    রামচন্দ্রপুর বাজার, যার তিনশ’ বছরেরও বেশি ঐতিহ্য রয়েছে, তার পাশেই অবস্থিত এই লঞ্চঘাটটি একসময় সারাদিনই বড়-ছোট লঞ্চ ও নৌকার আনাগোনায় মুখরিত থাকত। বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় নৌকা বাইচ হতো এই নদীর উপর, মানুষের ভীর থাকতো নদীর দুকিনার।
    মাত্র ৭ বছর আগেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটে ১২টি লঞ্চ এই ঘাট থেকে ছেড়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে মাত্র দুটি লঞ্চ চলাচল করে, যা সপ্তাহে একবার। যেখানে একসময় ঘাটে কয়েকটি ভেঁপুর শব্দে সরগরম থাকত, সেখানে এখন একটি লঞ্চের ভেঁপুর শব্দ বিউগলের করুণ সুরের মতো বাজে।
    নাব্যতার সংকট ও নদীর মৃত্যু:
    তিতাস নদী, যা একসময় মাছে ভরপুর ছিল এবং যার বুকে জোয়ার-ভাটা নিয়মিত দেখা যেত, সেই নদী এখন পলি জমে রুগ্ন হয়ে গেছে। খন্ড খন্ড বাঁধ, দখল এবং দূষণের কারণে নদীর নাব্যতা কমে গেছে। এর ফলে বড় লঞ্চ আর আগের মতো ঘাটে ভিড়তে পারে না। এটি শুধু রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাটের জন্যই নয়, পুরো নদীপথের জন্যই একটি অশনি সংকেত।
    বয়স্ক ইজারাদারের আক্ষেপ ও অব্যবস্থাপনা:
    ৭০ বছর বয়সী মোরশেদ মিয়া,জয়নাল মিয়া যিনি গত ৭০ বছর ধরে এই ঘাটে ইজারাদার হিসেবে কাজ করছেন, তার অভিজ্ঞ চোখেই এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে। তিনি জানান, একসময় তিনজন ইজারাদার মিলে টাকা উঠাতো এবং আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছাড়তো। তখন প্রতিটি লঞ্চে শতাধিক যাত্রী উঠতো। এখন তিনি একাই টোল আদায় করেন এবং দৈনিক ৩০ জন যাত্রী পাওয়াও কঠিন। লঞ্চের চেয়ার ও ফ্লোরসহ ৩০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে বর্তমানে একটি লঞ্চ নারায়ণগঞ্জ থেকে দিনে একবার রামচন্দ্রপুর আসে, যা ফিরতেও প্রায় একই সংখ্যক যাত্রী নিয়ে যায়। যেখানে চেয়ার সিটের ভাড়া ছিল ২০০ টাকা, ফ্লোরের ভাড়া ১৫০ টাকা, সেখানে এখন সামান্য যাত্রীও পাওয়া কঠিন।
    যোগাযোগের বেহাল দশা:
    ঘাট সংলগ্ন সড়কগুলোর অবস্থাও বেহাল, ফলে যাত্রীদের ঘাটে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাজারের সড়ক ও সংলগ্ন ব্রিজের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ, যা পণ্যবাহী বড় পরিবহন চলাচলের অনুপযোগী। এতে মালামাল পরিবহনে নৌপথ ব্যবহারের সুযোগ কমে গেছে।
    প্রশাসনের উদাসীনতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য:
    মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাটটির আয় কমে গেছে এবং লঞ্চ চলাচল বাড়ানোর বিষয়ে নৌ-পথ পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন। লঞ্চঘাটটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বন্দর কর্মকর্তা বলেন, রামচন্দ্রপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে স্থবিরতা বিরাজ করছে এবং ঢাকা থেকে লঞ্চ চালুর বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জীবন মিয়া মনে করেন, রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাটটি যদি আবারও জমজমাট করতে হয়, তাহলে প্রশাসনকে লঞ্চ চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।নৌ পরিবহন মন্ত্রালয় এগিয়ে আসতেহবে।

    রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাট কেবল একটি পরিবহনের কেন্দ্র নয়, এটি একটি অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্থনীতির প্রতিচ্ছবি। তিতাস নদীর নাব্যতা সংকট এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এই ঐতিহ্যবাহী ঘাটের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই লঞ্চঘাটকে বাঁচাতে হলে নদী খনন, দখল ও দূষণ রোধ, এবং একটি সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হতে পারে এই ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাটকে তার হারানো জৌলুস ফিরিয়ে দিতে এবং যাত্রী দুর্ভোগ লাঘব করতে।

  • পুঠিয়ার ঝলমলিয়া ডাব পাড়তে উঠে  পা পিছ-লে পড়ে এক যুবকের মৃ-ত্যু

    পুঠিয়ার ঝলমলিয়া ডাব পাড়তে উঠে  পা পিছ-লে পড়ে এক যুবকের মৃ-ত্যু

    পুঠিয়া (রাজশাহী)  প্রতিনিধিঃ

    পুঠিয়ার ঝলমলিয়া ডাক বাংলোর ডাব গাছে উঠে  পা পিছলে মাটিতে  পড়ে   কাজল(২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।নিহত ব্যক্তির

    মরদেহ উদ্ধার করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। নিহত কাজল উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ঝলমলিয়া এলাকার কামালের ছেলে।

    সোমবার (৪ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ছয়টা 

     টার দিকে পুঠিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত কাজল মাঝে মধ্যে গ্যারেজে গাড়ি ধোয়ার কাজ করতো। আমাদের ধারণা গত রাতে বা ভোরের যে কোন সময় সে ডাক বাংলোর ডাব গাছের ডাব পারতে এসেছিলো। বৃষ্টির কারণে ডাব  গাছপিচ্ছিল হওয়ায় ডাব গাছ উঠার পর গাছ থেকে মাটিতে  পড়ে মারা যেতে পারে। এছাড়াও ডাব গাছ থেকে পড়ার চিহ্ন সেখানে আছে বলে যানাযায়এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাব গাছ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে  বলে এ কর্মকর্তা জানান। #

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া, রাজশাহী।

  • বরগুনার তালতলীতে অ-ন্যত্র বিয়ের খবরে আলমের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন

    বরগুনার তালতলীতে অ-ন্যত্র বিয়ের খবরে আলমের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন

    মংচিন থান তালতলী প্রতিনিধি।।
    বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে করার খবর পেয়ে প্রেমিকের বাড়ি এসে তিন দিন ধরে অনশন করছেন এক তরুণী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে তিনি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক আলম লস্কারের পরিবারের সদস্যরা।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের  জাকিরতবক গ্রামে।‌ প্রেমিক আলম লস্কার (৩০) একই গ্রামের তনু লস্কারের ছেলে ও তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের নাইট গার্ড কর্মচারী।

    অনশন করা প্রেমিকা বলেন, ‘গত ১ বছর আগে আলম লস্কারের সাথে স্থানীয় ঘটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক হয়। পরে আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। পরে গত শুক্রবার ০১ আগষ্ট থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’
    ওই তরুণী আরও বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আলম পারিবারিকভাবে গত শুক্রবার (০১ আগষ্ট) অন্যত্র বিয়ে করেছেন। এটা শুনে আমি রবিবার (০৩ আগষ্ট) সকালে তার বাড়িতে বিয়ের জন্য এসেছি। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত অনশন করে যাচ্ছি। আমাকে আলম বিয়ে না করলে এই বাড়ি থেকে যাব না। এ সময় ওই তরুণীকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।’

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলম লস্কারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নীনা বেগম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

    তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মংচিন থান
    তালতলী প্রতিনিধি।।

  • ‎অদিতি সাহা,র পিতার মৃ-ত্যুবার্ষিকীতে শ্রা-দ্ধ পালন

    ‎অদিতি সাহা,র পিতার মৃ-ত্যুবার্ষিকীতে শ্রা-দ্ধ পালন

    ‎তৈয়ব আলী পর্বত।।
    ‎পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় পিণ্ডদান, দান ও প্রার্থনা

    ‎নগরীর শীববাড়ী এলাকা কালী মন্দিরে  আজ ২রা আগস্ট রোজ শনিবার  খুলনার খবরের (অনলাইন নিউজ পোর্টাল) এর বিশেষ প্রতিনিধি অদিতি সাহার বাবা প্রয়াত (পল্লব কুমার সাহা) ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রানী সাহা  তাঁর বাবার স্মরণে এই আয়োজন করেন।

    ‎সকালে নিজ বাসভবনে পুরোহিতের মাধ্যমে পিণ্ডদান, গঙ্গাজল দান ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে আচার শুরু হয়।  রাত্র আটটায় শিববাড়ি মন্দিরে আচার-আচরণ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান শেষ হয়। পরবর্তীতে  ব্রাহ্মণদের আহার করানো হয় এবং দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়।

    ‎ “আমার বাবার স্মৃতি আজও আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। তার আত্মার শান্তির জন্য এই আচার,ধর্মীয় রীতিনীতি  আমরা প্রতিবছরই পালন করব।”


    ‎অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও স্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তি,এবং খুলনার খবরের গণমাধ্যম কর্মীরা।  পুরোহিত…….  জানান,

    ‎“শ্রাদ্ধা, আত্মার মুক্তি এবং পরিবারে শান্তি ও কল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হিন্দু ধর্মের একটি প্রাচীন আচার।”

    ‎হিন্দু ধর্মমতে, মৃত্যুর পর আত্মা পরবর্তী গন্তব্যে যাত্রা করে। সেই যাত্রাকে শান্তিময় করতে আত্মার  আত্মীয়রা প্রতি বছর মৃত্যুদিনে এই পর্ব  শ্রাদ্ধা পালন করে থাকেন।

    ‎ধর্মীয় গুরুত্ব,  শাস্ত্র অনুসারে, মৃত্যু কোনো শেষ নয়, বরং আত্মার এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে গমন। তাই আত্মার শান্তি কামনায় নির্দিষ্ট তিথিতে শ্রাদ্ধা পালন করা হয়ে থাকে। একে ‘পিতৃ ঋণ’ পরিশোধের মাধ্যম হিসেবেও দেখা হয়।