Blog

  • তিতাস গ্যা-সের অ-বৈধ সংযোগ বি-চ্ছিন্ন অ-ভিযানেও অতিরিক্ত চু-লা ব-ন্ধ করতে ব্য-র্থ ক-র্মকর্তারা

    তিতাস গ্যা-সের অ-বৈধ সংযোগ বি-চ্ছিন্ন অ-ভিযানেও অতিরিক্ত চু-লা ব-ন্ধ করতে ব্য-র্থ ক-র্মকর্তারা

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ হাজার হাজার সংযোগ ও অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যর্থ কতর্ৃপক্ষ। লোক দেখানো অভিযানের নামে নাটক করে কিছু সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অভিযোগ রযেছে, এসব কারণে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ মোটা অংকের টাকার মালিক বুনে যাচ্ছে। আশুলিয়ার জামগড়ার মীরবাড়ির জামাই হাবিব ও ইয়ারপুর এলাকার সিরাজ ও জলিল, ইউসুফ মার্কেট গুমাইল ও গোরাট এলাকার কথিত মেম্বার মকবুলসহ অনেকেই অবৈধ ভাবে সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, সেই সাথে নিজেরাও অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে গ্যাসের দালাল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলে যে, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা নিয়ে গণমাধ্যমের কেন এতো মাধা ব্যথা? জাতি জানতে চায় গ্যাসের দালাল আর অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লেনদেনের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট তাইতো।
    বুধবার (৬ আগষ্ট ২০২৫ইং) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল এলাকায় ডাঃ কাজল এর ৬ তলা নতুন ভবনে ১টি চুলা বৈধ আর ৬৪টি চুলা অতিরিক্ত অবৈধ। এরকম অনেকেই সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করছে। আশুলিয়ার কাঠগড়া সরকার বাড়ির ডিস ব্যবসায়ী ইলিম সরকার হত্যা মামলার আসামী কেমেলি’র বাড়িতে ১২টি চুলা অবৈধভাবে ব্যবহার করছে, জামগড়া মীর বাড়ির জামাই হাবিব ও জামগড়া মোল্লাবাড়ির নুরু মোল্লাসহ আশপাশের এলাকায় এরকম প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বৈধ চুলার চেয়েও অবৈধ চুলার সংখ্যা অনেক বেশি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এসব চোরদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্ন উপর মহলের পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং ঠিকাদার ও গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কথা বলেন।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ি ও হোটেলে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে অনেকেই। এর কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা। তিতাস গ্যাসের কতর্ৃপক্ষ অভিযান চালালেও কোনো ভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না অবৈধ সংযোগ ব্যবহার। যেসকল এলাকায় সরকারি গ্যাস রয়েছে সেখানেই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জমজমাট ভাবে করছে দালাল চক্র। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্যাহকদের চুলায় গ্যাস না থাকলেও অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের চুলায় গ্যাস থাকে সবসময় এর রহস্য কি জাতি জানতে চায়। যেমনঃ কিছু হোটেলে রান্না চলে প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা, এই সময়ে গ্যাসের চাপ অনেক বেশি কিন্তু বৈধ গ্রাহকের চুলায় গ্যাস থাকে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন এবং সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়। সেই সাথে তথ্য পাওয়া গেছে, একস্থানে ৭-১০ বার অভিযান করলেও আবারও সেখানে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়-এ যেন চোর পুলিশের খেলা। একটি অভিযানে ৭০-৮০ জন লোক কাজ করেন, তাদের দুপুরের খাবার ও কামলার টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় সরকারের, তাহলে একটি জায়গায় যদি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয় সেখানে সরকারের লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে যে, লোক দেখানো অভিযান করা হয় এতে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে এবং মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে যেসকল অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা সংশ্লিষ্টদের টাকা দেয় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় না। এরকম অনেক অনিয়ম দুর্নীতি করা হলেও এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার খবর পাওয়া যায়নি।
    জানা গেছে, আশুলিয়ার ভাদাইল, ইউসুফ মার্কেট, জামগড়া, মোল্লাবাড়ি, মীরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। প্রতি মাসে ৪-৫টি অভিযানে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন কতর্ৃপক্ষ কিন্তু দিনব্যাপী অভিযান শেষে রাতে আবারও সেই অবৈধ সংযোগ দেওয়ার অনেক নজির ও সত্যতা পাওয়া গেছে। এ যেন চোর পুলিশের খেলা। বিশেষ করে সরকারের তহবিল থেকে প্রতিটি অভিযানে খরচ হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা, একই স্থানে ৮ থেকে ১০ বার অভিযান চালানোর নজির রয়েছে কিন্তু অভিযান করা হলেও গ্যাস চোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মামলা করা হয়নি প্রায় দুই বছর। তবে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতে কিছু জরিমানা করা হলেও কোনো ভাবেই অবৈধ সংযোগ বন্ধ হচ্ছে না, তাহলে সরকারের কত টাকা খরচ ও কত টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে তার কোনো হিসাব দেন না দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিটি বাসা বাড়ি থেকে ৩০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে দালাল চক্র, হোটেল বা শিল্প-কারখানার সংযোগ হলে লক্ষাধিক টাকা নেয়া হয়, এইভাবেই একের পর এক সরকারি সম্পদ নষ্ট করে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের গ্যাসবাজি চলছে, এর কারণে আগের মতো ভয় পায় না চোরেরা, তাদের খুঁটির জোড় কোথায় তা জাতি জানতে চায়। আমাদের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) জানিয়েছেন একদিন অভিযান চালালে ৪০-৫০ জন কামলা ও পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় সরকারের, মাসে ৪-৫টি অভিযান করা হলে এক বছরের হিসাব ৫০-৬০ লাখ টাকা খরচ হয়, জব্ধকৃত পাইপসহ মালামাল কত টাকা বিক্রি হয়? সঠিকভাবে কি বিল কালেকশন হয় কিনা তা জাতি জানতে চায়।
    তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের দাবি পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার পরিস্থিতি বা সক্ষমতা আপাতত নেই, তাই গ্রাহকদের আশায় ঝুলিয়ে না রেখে গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার জন্য সরকারি সিদ্ধান্তটি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-কথাগুলো বলেছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া, ইউসুফ মার্কেট, এদিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকা, মীর বাড়ি, চিত্রশাইল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি, হাজার হাজার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার করছে বেশিরভাগ বাসা বাড়ির মালিকরা। তথ্যমতে, এসব অবৈধ সংযোগ দাতা দালাল চক্র আবারও সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর এলাকার সিরাজ, হানিফ, আব্দুল জলিল, ফারুক, ইউসুফ মার্কেটের কথিত মেম্বার মকবুল ও জামগড়া মীর বাড়ির জামাই হাবিবসহ অনেকেই তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ থেকে অগ্নিকান্ডে নারী ও শিশুসহ গত কয়েক বছরে সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক মানুষ আহত নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়। এদিকে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতলের দামও অতিরিক্ত বেড়েছে, ওষুধের দোকান, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্রাহকদের চুলার গ্যাস টিপটিপ করে জ্বলে কিন্তু অবৈধ সংযোগের চুলায় সবসময় গ্যাস থাকার রহস্য কি জাতি জানতে চায়।বৈধ গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল ঠিকই নেয়া হয় কিন্তু গ্যাস না থাকার কারণ কি?। বিশেষ করে সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তে দুই শ্রেণীর গ্রাহক সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন, এদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো রাজধানী ঢাকাসহ সাভার আশুলিয়ায় ও বিভিন্ন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও শহরের বাসা বাড়ি ফ্ল্যাটের মালিকেরা। আরেকটি হলো বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিগুলো। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রাহকদের গ্যাসের পাইপলাইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবাসন কোম্পানির অনেকেই বলেন, এখন গ্যাসের সংযোগ না পেলে তাদের প্লট, জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে না। তারা অনেকেই দাবি করেন যে, গ্যাস সংযোগ নতুন করে আর কেউ পাচ্ছেন না, এতে গ্রাহকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
    ২০১৮ইং সালে এলএনজি আমদানি শুরুর পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গ্যাসের সংযোগ নতুন করে শুরু হওয়ার কথা নীতিনির্ধারণী মহলেও শুনা যাচ্ছিল। তখন ঢাকা ও সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেয় দালাল চক্র সিন্ডিকেটগুলো। তারা গ্রাহকদের আশ্বাস দেয়, কিছুদিন পরে গ্যাসের নতুন বৈধ সংযোগ দেওয়া শুরু করলে এগুলোকে বৈধ করে দেবেন কিন্তু এখন এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পালায় এই গ্রাহকদের সংযোগও কাটা পড়েছে। গ্যাসের দালাল ও কন্ট্রাক্টাররা গ্রাহকদের টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা গেছে, সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বেশ জোরেসোরেই মাঠে নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। বিশেষ করে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে কিছুদিন আগে জ্বালানি বিভাগ উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছিলো। সূত্র জানায়, ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং টাকা জমা দেওয়া গ্রাহকদের আবেদনও বাতিল করা হবে। তাদের অর্থ ফেরত দেবে সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিতরণ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, নতুন সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের মতো। গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বৈধ অবৈধ নানা উপায়ে এই শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮লাখ হবে। দেশে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করেছেন বলে জানান, গৃহস্থালিতে আর গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। যেসব গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন এবং টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের নাম তথ্যভান্ডারে রয়েছে। আগামীতে এ বিষয়ে একটি সভা করে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করা হতে পারে।সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।দেশে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি।
    তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ এর আশুলিয়া জোনের প্রকৌশলী আবু ছালেহ মোঃ খাদেমুদ্দীন বলেন, আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাসের বৈধ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি। শিল্প গ্রাহক সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ মতো। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী দালালদের বিরুদ্ধে এর আগে আশুলিয়া থানায় ৪৮টির মতো মামলা করা হয়েছে,বর্তমানে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী ও দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এখন দুদুকের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন বলে তিনি জানান। আর কেউ অনিয়ম দুর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি দাবী করেন। আশুলিয়ায় কাঠগড়া কিছু এলাকায় অবৈধ সংযোগ নেই আর জামগড়া গফুর মন্ডল স্কুল রোডে এবং আশপাশের বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দিয়ে দালাল চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, উক্ত বিষয়ে বক্তব্য চাইলে গ্যাস কর্মকর্তারা এড়িয়ে যেতে চায় আর কর্মকর্তা ও দালালরা বলে থাকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে গণমাধ্যমের কেন এতো মাথা ব্যথা? বিশেষ করে এইসব অসাধু কর্মকর্তা ও দালালদের খুঁটির জোড় কোথায় জাতি জানতে চায়, উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপর মহলের কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। এ বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।#

  • স-ক্রিয় হচ্ছে ভ-য়ংকর চ-রমপন্থী সন্ত্রা-সী বিভিন্ন অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড বৃ-দ্ধির আ-শঙ্কা

    স-ক্রিয় হচ্ছে ভ-য়ংকর চ-রমপন্থী সন্ত্রা-সী বিভিন্ন অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড বৃ-দ্ধির আ-শঙ্কা

    হেলাল শেখ ঃ বাংলাদেশে দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবারও ভয়ংকর চরমপন্থী
    সন্ত্রাস বাহিনী সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুন, ধর্ষণ ও অপরণসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিও আশঙ্কা রয়েছে।
    গতকাল বুধবার জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এইসব কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীসহ যুবকদে
    র হাতে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে কিছু সন্ত্রাসীদেরকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করলেও অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমছে না। অনেকেই ধারণা করছেন যে, চরমপন্থী বাহিনীর অনেকেই সক্রিয় হচ্ছে আবারও। অনেকই অভিমত প্রকাশ করেন যে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্নভাবে নিহত হয় চরমপন্থী বাহিনীর সদস্যরা, এতে অনেকটা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কমেছিলো। সেই সাথে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড (ক্রাইম) কমে যায়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও কিছু সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোসহ বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
    সূত্র জানায়, ঢাকার প্রধান শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মাঝে মধ্যে মানুষের কিছু অপরিচিত মুখ দেখা যায়, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপদ আস্তানা করে তাদের বাহিনীকে সক্রিয় করে তুলছে। সূত্র জানায়, এদের অনেকেই পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাটের বাসিন্দা পরিচয়দানকারী। এইসব লোকজন শহরে এসেই কেউ কেউ শুরুতে অটোরিক্সা চালায়, এরপর অন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। পাবনা জেলা শহরের অনন্ত বাজার এলাকায় এর আগে একদিন সন্ধ্যার দিকে মোঃ বকুল শেখ (৪৩) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুবর্ৃত্তরা। তিনি পাবনা জেলা সদরের দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি’র) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, তিনি দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের দুলাল শেখের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, এই হত্যাকান্ডটি চরমপন্থী সর্বহারা সন্ত্রাস বাহিনীর দুবর্ৃত্তরা করতে পারে। পুলিশের দাবি-এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পাবনা সদর থারার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, হত্যাকারী যেইহোক তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
    সুত্র জানায়, আমিনপুর থানার ‘রক্তাক্ত জনপদখ্যাত ক্রাইম জোন এলাকার ঢালার চরের আতিয়ার সরদারের সাথে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে রূপপুর এলাকার অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এই সন্ত্রাস বাহিনীর ক্যাডাররা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পরিচয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে। তারা রিক্সা ভ্যান চুরি থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। জানা গেছে, এর আগে পাবনার আমিনপুর থানার ঢালার চরের আতিয়ার সরদার (২৮) নামের নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক ক্যাডারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুবর্ৃত্তরা। গত (৫ নভেম্বর ২০২০ইং) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢালারচর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আতিয়ার চর দুর্গাপুর গ্রামের মৃত সাত্তার সরদারের ছেলে ও নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য ছিলো বলে গণমাধ্যমকে পুলিশ জানায়।
    স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আতিয়ার দুর্গাপুর বাজারে যাচ্ছিলেন, এমন সময় ৫-৬জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী দুবর্ৃত্তরা আতিয়ারের উপর গুলি চালায়, এসময় ঘটনাস্থলেই সে মারা যায় বলে এলাকাবাসী জানায়। পুলিশের দাবি-আতিয়ার সর্বহারা দলের সক্রিয় ক্যাডার ছিলো, তার নামে হত্যা ও ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার ২মাস আগে সে আদালত থেকে মামলার জামিন পেয়ে বাড়িতে আসে। চরমপন্থীদের অভ্যন্তরীণ কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।ওই ঘটনাস্থল থেকে ৬ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী বাহিনীর অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। জমি দখল, জুট ব্যবসা দখলসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংঘর্ষ হলেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলাগুলি ও হত্যার চেষ্টা ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসকল চরমপন্থী লিডাররা পুলিশ ও র‍্যাব কতর্ৃক বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে, তাদের সহযোদ্ধা ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা আবারও সক্রিয় হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। আশুলিয়ায় প্রায়ই মানুষের লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ, অথচ বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কারা এসব জানা কঠিন। এ ব্যাপারে পুলিশ ও র‍্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন মহল।##

  • সলঙ্গায় জুলাই বিপ্ল-বে শহী-দদের স্ম-রণে দোয়া

    সলঙ্গায় জুলাই বিপ্ল-বে শহী-দদের স্ম-রণে দোয়া

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ২৪ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুথানে নিহত ও আহতদের স্মরণে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক সলঙ্গা থানা শাখার আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বাদ আছর সলঙ্গা কদমতলা সমাজ কল্যাণ পাঠাগার হলরুমে এ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন,সলঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও: আব্দুর রউফ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি নেতা কে.এম আহসান হাবীব,জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক সলঙ্গা থানা শাখার সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারন সম্পাদক কে.এম জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), সিনি: সহ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম হোসেন,প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ ৬ টি ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি/ সম্পাদক ও উপস্থিত জনসাধারন।উল্লেখ্য,৫ আগস্ট ২০২৪ সাল।বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন।যে দিনে ছাত্র,জনতা,কৃষক-শ্রমিকসহ সকল নারী- পুরুষের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।রাজপথে বুক উচু করে দাঁড়িয়ে তরুণেরা বুলেটের মুখেও পিছপা হয়নি।জুলাইয়ের এ গণঅভ্যুথানে ছাত্র- জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব সহ আহত হয়েছেন অসংখ্য।সেই দিনের ছাত্র-জনতার রক্তে লেখা গণঅভ্যুথান,শোক ও বিজয়ের বর্ষপুর্তি ৫ আগস্ট।

  • গ-ণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুজানগরে জামায়াতের বিশাল গ-ণমিছিল

    গ-ণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুজানগরে জামায়াতের বিশাল গ-ণমিছিল

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাবনার সুজানগরে এক বিশাল গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে বের হওয়া মিছিলটি সুজানগর পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার মসজিদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। গণ মিছিলে জামায়াত ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণে গণমিছিলটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার আমীর ও ৬৯ পাবনা-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন । উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী টুটুল হোসাইন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফারুক-ই আযম, পৌর আমীর রফিকুল ইসলাম, পৌর নায়েবে আমীর আব্দুল মমিন, পৌর শাখার সেক্রেটারী মকবুল হোসেন বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক কেরামত আলী, ইন্ডাস্টিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রমজান আলী, সুজানগর পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিন, জেলা ছাত্র অধিকারের সম্পাদক জিহাদ ও উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হুসাইন প্রমুখ। স্থানীয় জামায়াত ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • স্বৈ-রাচারী  হা-সিনার পত-নের বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে সুজানগরে সেলিম রেজা হাবিবের নে-তৃত্বে বিশাল বিজয় মি-ছিল

    স্বৈ-রাচারী হা-সিনার পত-নের বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে সুজানগরে সেলিম রেজা হাবিবের নে-তৃত্বে বিশাল বিজয় মি-ছিল

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হয় ।
    মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট একে,এম সেলিম রেজা হাবিবের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি সুজানগর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে মন্ডল মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বেড়া/সুজানগর(৬৯) পাবনা-২ উপজেলা শাখা সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট একে,এম সেলিম রেজা হাবিব।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম রেজা হাবিব বলেন,দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গত বছরের আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি নতুন স্বাধীনতা এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে। বিএনপি’র অবদান মানুষ মনে রাখবে।
    এ সময় তিনি পঁাচ ই আগস্ট স্মরণ করে বলেন,জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আমাদের শিক্ষার্থীরা ঝঁাপিয়ে পড়েছে,শিক্ষার্থীদের অবদান এ জাতী মনে রাখবে,তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দিনমজুর,শ্রমিক,কৃষক,রিক্সা চালক সকল পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন জুলাই আগস্ট-গণঅভ্যুত্থানে,যারা স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন,সেই শহীদদের স্মৃতি আমাদের ভোলার নয়,আমরা তাদের স্মরণ করব আজীবন।এ সময় তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গণমানুষের দল,বিএনপি জনগণের কথা বলে,আমরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন বেড়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সামছুর রহমান সমেজ,সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজী মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান,সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান টিপু, সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েম, বিএনপি নেতা আহম্মদ আলী প্রামানিক লাটু, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন, ডাক্তার আব্দুস সালাম, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী টুকু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু ,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মন্ডল, সুজানগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, সাবেক যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম টুটুল, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক শফিউল আলম বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ।
    সমাবেশে গণসমাবেশে সুজানগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী টুকু, হারুন মন্ডল, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, ভঁায়না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সান্টু, উপজেলা তঁাতিদল নেতা আসাদুজ্জামান রোকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিউল আযম শফি, আবু জাকারিয়া তরঙ্গ, রাশেদ খান, মনিরুজ্জামান মনি,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান ফজলু, যুগ্ন আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক সাহেব আলী মন্ডল, রতন বিশ্বাস, সদস্য সচিব বিপুল প্রামানিক, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রমজান মন্ডল, উপজেলা ছাত্রদল নেতা গাজী মাজাহারুল ইসলাম, এস এম আফতাব, আব্দুস সবুর জয়সহ সুজানগর ও বেড়া উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • সুজানগরে বিএনপির উদ্যোগে বি-শাল বিজয় মিছি-ল

    সুজানগরে বিএনপির উদ্যোগে বি-শাল বিজয় মিছি-ল

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সুজানগর উপজেলা ও পৌর শাখাসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বের হওয়া মিছিলটি সুজানগর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে মন্ডল মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারী দলীয় নেতাকর্মীরা সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ এর বহিস্কাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা উল্লেখ করেন একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা ও জনপ্রিয় নেতা শেখ আব্দুর রউফ,তাকে বিনা অপরাধে বহিস্কার করা হয়েছে তাই তার বহিস্কাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান মিছিলে অংশগ্রহণকারী দলটির নেতাকর্মীরা ।
    পরে সুজানগর পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম বাবু মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সুজানগর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সুজানগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আলহাজ্ব এবিএম তৌফিক হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মোল্লা ও বর্তমান পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম বিশ্বাস । অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ওবায়দুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু শেখ, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক শাহজাহান আলী শেখ, বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী,আলাউদ্দিন আলাল, সাফা, আলী আকবর, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক রইজ বিশ্বাস,উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ মন্ডল, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক জাহিদ বিশ্বাস,সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান রব, কৃষকদল নেতা বঁাশি, যুবনেতা বাবু খান, রেজা, রবিউল ইসলাম রবি, মালেক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেখ কাউছার, মেহেদী হাসান, শেখ রুবেল, সৈকত হাসান ফিরোজ ও সিয়াম সরদার প্রমুখ।
    সমাবেশে সুজানগর উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • শাজাহানপুরে রা-জনীতিতে এক নিবেদিত প্রা-ণ মোঃ আরমান মন্ডল

    শাজাহানপুরে রা-জনীতিতে এক নিবেদিত প্রা-ণ মোঃ আরমান মন্ডল

    মিজানুর রহমান মিলন,
    স্টাফ রিপোর্টার :

    বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপি দল করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী এক নেতার নাম মোঃ আরমান মন্ডল।
    তিনি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সহ- ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং মাঝিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

    বিগত আওয়ামী শাসনামলে ‘হাসিনা বিরোধী’ আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকার কারণে হামলা-মামলায় নির্যাতিত হয়েও জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে একটুও পিছপা হননি বিএনপির এই সাহসী নেতা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। দলের প্রতিটি দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অটল ও অবিচল ।

    শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা—তাকে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের ধারক হিসেবে গড়ে তুলেছে।

    বিগত আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি ১৮টি মিথ্যা মামলায় ৩ বার কারাবন্দী হয়েছেন।
    আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই উপজেলার মাঝিড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গ্রেফতার হন তিনি।
    ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনার পলায়নের পর, নির্বাহী আদেশে ৬ আগস্ট মুক্তি পান বিএনপির এই নেতা।

    এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মোঃ আরমান মন্ডল বলেন,

    “দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় মাঠে থেকেছি। এজন্য মিথ্যা মামলায় বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবুও জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।”

    বস্তুত, মোঃ আরমান মন্ডলের মতো নেতারাই রাজনীতিকে শুধু প্রতিপক্ষবিরোধী আন্দোলন নয়, বরং আদর্শ-নিষ্ঠ সংগ্রামের রূপ দেন।
    তার জীবন ও সংগ্রাম একদিন প্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে, ইনশাআল্লাহ।

  • রামগড়ে বিজ-য় র‍্যালি”তারুণ্যের প্রথম ভোট ধা-নের শীষের পক্ষে

    রামগড়ে বিজ-য় র‍্যালি”তারুণ্যের প্রথম ভোট ধা-নের শীষের পক্ষে

    এমদাদ খান রামগড় প্রতিনিধি

    ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে” রামগড় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গেল বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে (৫ আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন”  ও সাধারণ সম্পাদক শাফায়েত মোর্শেদ ভুঁইয়া (মিঠু)” পৌর বিএনপির সভাপতি বাহার উদ্দিন” সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত উল্লাহ ভুঁইয়া” এবং জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ ভুঁইয়া” নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দলীয় অফিস থেকে বের হওয়া বিজয় র‍্যালি উপজেলা প্রশাসন চত্বর হয়ে রামগড় পৌর শহর পদক্ষিণ করে দলীয় অফিসে এসে শেষ হয়। বিজয় র‍্যালি শেষে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাফায়েত মোর্শেদ মিঠু, পৌর বিএনপির সভাপতি বাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত উল্লাহ ভুঁইয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ ভুঁইয়া। 
    “নির্বাচনে তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক জানিয়ে বক্তরা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেখি একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন, যেখানে থাকবে না দুঃশাসন, থাকবে না অন্যায়, থাকবে শুধু ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র।
    জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, গণতন্ত্র কখনো কারও দয়ায় আসে না, এটি অর্জন করতে হয় আন্দোলন, ত্যাগ ও ঐক্যের মাধ্যমে। গত ১৬ বছর আমরা সেই সংগ্রামে ছিলাম।

    মোহাম্মদ এমদাদুল হক
    রামগড় প্রতিনিধি ।।

  • বৃহত্তর রাজধানী মিরপুরে ছাত্র জ-নতার মা-নববন্ধন

    বৃহত্তর রাজধানী মিরপুরে ছাত্র জ-নতার মা-নববন্ধন

    সুমন খান:

    বর্তমান সরকারের দুঃশাসন, দমননীতি ও ছাত্র গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ইতিহাসের কুখ্যাত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা, খুনি নিখিল ও কুখ্যাত ভূমিদস্যু খুনি ডিপজলসহ সকল আওয়ামী দোসরদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর মিরপুরের ছাত্র-জনতা।

    মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর দারুস সালাম টাওয়ারের সামনে, দারুস সালাম সড়কে। এতে বিপুলসংখ্যক ছাত্র, যুবক, নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে।

    নির্যাতনের বিচার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল জনতা

    আয়োজকরা বলেন,
    দেশের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ এবং সাধারণ মানুষ আজ জেগে উঠেছে। ইতিহাসের নির্মমতম ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করেছে—তাদের বিচারের দাবিই আজকের মানববন্ধনের মূল বার্তা।

    তারা আরও বলেন,
    “যারা ছাত্রদের রক্তে হাত রাঙিয়েছে, যারা ভূমি লুট করে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়টুকু কেড়ে নিয়েছে—তাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। এই আন্দোলন শুধুই শুরু। গণদাবির চাপে সরকারকে মাথা নত করতেই হবে।
    উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি:

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন—

    সাইদুল ইসলাম সাইদুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল; বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী, ৯ নং ওয়ার্ড

    সেলিনা হাফিজ, কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা দল

    রাজীব আহম্মেদ, সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল

    সোহেল রহমান, সদস্য, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর

    আরিফ মৃধা, সায়েম মন্ডল, বাবুল মিয়া, আবুল কালাম, ইকবাল মাহমুদ রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও নেতৃবৃন্দ, দারুস সালাম থানা বিএনপি

    আবুল বাঁশার ভূঁইয়া, মাসুদ আক্তার পলাশ, আব্দুস সালাম চৌধুরী, মোঃ নাসির, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দ, মিরপুর থানা বিএনপি

    গিয়াসউদ্দিন দেওয়ান, সোলায়মান দেওয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক, শাহ্‌আলী থানা বিএনপি

    মোঃ শামীম আহমেদ, বশির আহমেদ, মীর আবু বক্কর সিদ্দিক মাকসুদ, সোহেল রানা, ৭–১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ

    মোঃ আফজাল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ স্বপন, মনসুর আহমেদ, শাহরিয়ার দিল খায়ের শিপু, ১১–১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি

    কে.এম. ইয়াহিয়া সামী, মির্জা মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দল (মিরপুর ও দারুস সালাম থানা)

    মোখলেসুর রহমান মোখলেস, অনিক রহমান, আকিল আহম্মেদ অনিক, ওমর নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার রুমন আহমেদ, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ

    নিপা, সেলিনা আক্তার কণিকা, জোৎস্না বেগম, মহিলা দল (মিরপুর থানা)

    মোঃ জাকিরুল আলম, সদস্য সচিব, দারুস সালাম থানা ওলামা দল
    উপসংহার:
    এই মানববন্ধনের মাধ্যমে রাজধানীর রাজপথে আরেকবার জনগণের ক্ষোভ, ঘৃণা ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা দৃশ্যমান হলো। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আন্দোলন চলবে এবং দেশের প্রতিটি এলাকায় এই গণআন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সময় এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

  • তানোরে বিএনপির স্ব-রণকালের স-র্ববৃহৎ  শো-ভাযাত্রা

    তানোরে বিএনপির স্ব-রণকালের স-র্ববৃহৎ শো-ভাযাত্রা

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্বরণকালের সর্ববৃহৎ আনন্দ শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ আনন্দ শোভাযাত্রায়
    অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান, কামারগাঁ ইউপি বিএনপির সভাপতি প্রভাষক জাহিদুর রহমান জাহিদ,পাঁচন্দর ইউপি বিএনপির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন,গোলাম মোর্তুজা, সুলতান আহম্মেদ, শরিয়তুল্লাহ,
    সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান লাটু, রায়হান আলী, মোতালেব হোসেন, কামরুল ইসলাম , জার্জিস মন্ডল,
    মুঞ্জুর রহমান, ওবাইদুর মাস্টার,মাহাবুব মোল্লা ও জালাল উদ্দীনপ্রমুখ।এছাড়াও উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং সাতটি ইউনিয়নের (ইউপি) বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এদিন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রায় পরিণত হয়।
    এদিকে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে থানা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় বক্তাগণ বলেন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে তানোর বিএনপিতে তার কোনো বিকল্প নাই,আমরা দলের বৃহত্তর স্বার্থে মিজান ভাইয়ের কথিত বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার চাই, করতে হবে।#