Blog

  • রাজশাহী সড়ক ভবনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত

    রাজশাহী সড়ক ভবনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত

    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সড়ক ভবনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী এম. আজিজ-এর সাথে পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়াল সড়কের পুন:নির্মান কাজ সমাপ্ত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    পাবনা-৩ ( চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কে, এম, আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’-এর সদস্য সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক কে. এম. বেলাল হোসেন স্বপন, সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, প্রভাষক মো. আবু তালেব, প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বুলবুল আহম্মেদ খন্দকার।

    এ সময় রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন সংক্রান্ত প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের কাটিং সম্বলিত নথি (বাইন্ডিং বুক) হস্তান্তর করা হয়।

    বৈঠকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সড়কটিতে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারের অবহেলার কারণে জনদূর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, আমি নিজে ঐ সড়ক পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারের কার্যক্রম সত্যিই দুঃখজনক।

    তিনি আরো বলেন, আগস্ট মাসের মধ্যে পূর্বের ঠিকাদার বাতিল করে দরপত্র প্রকাশের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। আশারাখি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ঐ সড়ক পুন:নির্মান কাজ শুরু করতে পারবো। এছাড়াও তিনি বৈঠকে উপস্থিত সওজ’র পাবনা নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।

    উল্লেখ্য, জনদুর্ভোগ লাঘবে জারদিস মোড় থেকে মান্নাননগর মহাসড়ক পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়ক পুন:নির্মান কাজ দ্রুত শেষ করার দাবীতে সামাজিক সংগঠন ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’-এর আহবানে গত (২ আগস্ট) শনিবার বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যম্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে একযোগে মানববন্ধন এবং গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চলে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-ব্যবসায়ী, পরিবহণ মালিক-চালক, কৃষক-কৃষাণি, পথচারী সহ সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশ নেন।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনা।।

  • মোরেলগঞ্জে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

    মোরেলগঞ্জে জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:
    ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিনব্যাপী এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর শক্তি প্রদর্শন উঠে আসে।

    সকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ মাহফুজের কবর জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।
    এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদরুদ্দোজা, থানা ওসি মো. মতলুবর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদ মাহফুজসহ অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

    জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল ও মহাসমাবেশ

    উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে সকালে মোরেলগঞ্জে একটি বিশাল গণমিছিল ও মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    “৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) এর চেতনা বাস্তবায়ন ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠন”—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নৌপথ ও সড়কপথে কাপুড়িয়াপট্টিতে জমায়েত হন।
    সমাবেশে বক্তব্য দেন অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইন, মাস্টার মনিরুজ্জামান, ছাত্রশিবির নেতা নওশাদ মাহফুজসহ আরও অনেকে।

    বক্তারা বলেন, “দেশের মানুষ ইসলামী শাসনব্যবস্থার জন্য আজও অধীর অপেক্ষায়। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী নেতৃত্বই একমাত্র পথ।”

    বিএনপির বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র‍্যালি ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে র‍্যালি সহকারে নেতাকর্মীরা মোরেলগঞ্জ পুরাতন মাছবাজার সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের মোড়ে এসে জমায়েত হন।

    বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, উপজেলা আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল, পৌর সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির রাসেল আল-ইসলামসহ আরও অনেকে।

    বক্তারা বলেন, “জুলাই গনঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্রদের আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। ন্যায়ের সংগ্রামে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।

  • ছাত্রজনতার গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিএনপি’র বি-জয় র‍্যালি 

    ছাত্রজনতার গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিএনপি’র বি-জয় র‍্যালি 

    ঝালকাঠি প্রতিনিধি: মোঃ নাঈম মল্লিক

    ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নলছিটিতে বিজয় র‍্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপির’ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে। 

    বুধবার ৬ আগস্ট সকাল ১০টায় শহীদ সেলিম চত্বর থেকে র‍্যালিটি বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ সেলিম চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তৌহিদ আলম মান্না এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব সাইদুল কবির রানা।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল হক নান্নু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ সরদার এনামুল হক এলিন, ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ আজাদুর রহমান খান, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম সোহেল, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক সাজু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আলাউদ্দিন খান, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান খান হেলাল, সহ-সভাপতি এনায়েত করিম মিশু, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সুজন খান, ছাত্রদল নেতা ফয়সাল খান প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান নেতারা।

    র‍্যালি ও সমাবেশে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • থানচিতে ক্যচুপাড়া বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পেইন ৩৮ বিজিবি

    থানচিতে ক্যচুপাড়া বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পেইন ৩৮ বিজিবি

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবানের থানচিতে ক্যচুপাড়া আশেপাশে এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি)।
    বুধবার (০৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএ-৭৮১৯ লেঃ কর্নেল মোঃ জহিরুল ইসলাম, জি আর্টিলারি এর নির্দেশনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) এর মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
    মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে থানচি উপজেলার ক্যচুপাড়া আশেপাশে এলাকার স্থানীয় গরীব ও অসহায় নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধাসহ সর্বমোট ৮৪ জন (পুরুষ-১০, মহিলা-৬২ এবং শিশু-১২) সদস্যের মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ঔষধ বিতরণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। থানচি উপজেলাসহ সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ী এলাকা গুলো এখনও উন্নত চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) নিয়মিতভাবে সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ী এলাকাতেও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
    আরও জানা যায় , ইতোপূর্বে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) গরীব ও অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) এ ধরণের কল্যাণমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলে জানান বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি)’র পক্ষ থেকে।

  • জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির নেতা আ: করিম সরকারের  মিছিলে জ-নতার ঢল

    জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির নেতা আ: করিম সরকারের মিছিলে জ-নতার ঢল

    মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য জননেতা আব্দুল করিম সরকার বলেছেন, ৩৬ জুলাই (০৫ আগস্ট) দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।অন্যায়ের প্রতিবাদে বুক পেতে দিয়েছিলো আবু সাঈদ, সারাদেশে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট যেন হারিয়ে না যায়, দেশবাসীকে সে ব্যাপারে বদ্ধপরিকর থাকতে হবে

    ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ও পৌর বি এন পির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত
    বিজয় মিছিল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট)বিকেলে ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিজয় মিছিল সদরে মেইন হয়ে ভালুকজান বাজারে মাছের আড়ৎ মোড়ে সমাবেশ করেন।বিজয় মিছিলে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১৩ টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণে ইতিহাস করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা করিম সরকার।

    বিজয় মিছিল উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বি এন পির পির সাবেক আহবায়ক এবি সিদ্দিক,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশিকুল হক আশিক, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আনোয়ার সাহাদাত আনার,জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস এলিস,পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর কবির সালেক,উপজেলা মহিলা দলের শিরিন আক্তার,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কুদরত ই কামাল উজ্জ্বল,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক এজিএম ফাহাদ,পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হাসমত আলী মন্ডল প্রমুখ।

  • জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বিজয় মিছিলের নে-তৃত্বে অধ্যক্ষ মোহাঃ সিরাজ

    জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের বিজয় মিছিলের নে-তৃত্বে অধ্যক্ষ মোহাঃ সিরাজ

    মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)এর সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম নেতৃত্বে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বিকেলে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা, পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে মিছিলটি শহরের ছনকান্দা সড়ক থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভালুকজান বাজার হয়ে ফুলবাড়ীয়া কলেজ প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
    পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের এই দিনে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটেছে। এই বিজয় রক্ষার্থে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতি মুক্তি আসবে। জানা যায়,উপজেলাবাসী চিন্তা করেনি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের এত জনমত।বিজয় মিছিল করে ইতিহাস করে গেলেন এই শিক্ষা অনুরাগী। অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের মনে কোন হিংসা বিদ্বেষ নেই। তার অন্তর ভালো মন ভালো। একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। তাতে কোন লাভ হবে না।
    মিছিলে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য শামসুর রহমান সুমন, আছিম পাটুলী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ তরফদার খোকা,উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আজিজুল হক লিখন বালিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন খান, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সেলিম সরকার , উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন রবিন, ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম, নাসরুল্লাহ মারুফ, আবু হুরায়রা ও ইলিয়াস মন্ডল প্রমুখ।

  • শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার বি-কল্প নেই- বিভাগীয় কমিশনার

    শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার বি-কল্প নেই- বিভাগীয় কমিশনার

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বলেছেন-শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন করতে হবে। সুস্থ, সবল ও দক্ষ প্রজন্ম গঠনে খেলাধুলা ও শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন-খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব, সহযোগিতা ও শৃঙ্খলাবোধের মতো গুণাবলী বিকশিত হয়।

    বুধবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে বাদ্যযন্ত্র ও ক্রীড়া কিডা সামগ্রী বিতরণ অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিলে এতে শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন ধারণে সহায়ক হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন-
    জীবনকে বিকশিত ও আলোকিত করতে হলে অবশ্যই আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর ক্রীড়া ও শরীর চর্চা মানসিক বিকাশ, প্রশান্তি ও চিত্ত শুদ্ধির অন্যতম উপাদান।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আজিম উদ্দিন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম,উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন,কৃষি অফিসার জোবায়রা বেগম সাথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ড.ফারজানা হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালি ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক
    আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আজিম উদ্দিন বলেন, বিগত সময়ে সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ বণ্টনে প্রবল বাঁধা ছিল। চাইলেও সুষ্ঠু বণ্টন করা যেত না। তবে এখন থেকে প্রতিটি উন্নয়ন বরাদ্দের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা হবে

    বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেছেন, বিগত সময়ে সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হতো না। সবকিছু ছিল অস্পষ্ট। কিন্তু এখন প্রতিটি সরকারি বরাদ্দ স্বচ্ছতার সঙ্গে বণ্টন হচ্ছে। এটি আমাদের জন‍্য একটি পজেটিভ বার্তা।
    এ সময় বিভাগীয় কমিশনার সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ সুষ্ঠু বণ্টনের জন‍্য উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আগমনকে স্বাগত জানিয়ে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর নেতৃত্বে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

    স্বাগত বক্তব্যে ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন-খেলাধুলা মানসিক সু-প্রবৃত্তির প্রবৃদ্ধি এবং কু-প্রবৃত্তির হ্রাস ঘটায়। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা তরুণ প্রজন্মকে মাদক, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা মানসিক বিকাশ ঘটায়, ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং মানবিক আচার-আচরণের অনুশীলন ঘটায়। নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থী, তরুণ ও যুব সমাজের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ সম্ভবপর হয়ে ওঠে; এ কারণে ক্রীড়া ও শরীর চর্চাকেও অন্যান্য অপরিহার্য বিষয়ের সাথে সমান গুরুত্ব দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও মো. আরিফুল ইসলামের প্রিন্স বলেন, এডিপির অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট সকল নীতিমালা মেনে এই বরাদ্দ সুষ্ঠু বণ্টন করা হয়েছে। আমরা চাই সরকারি অর্থের স‍ৎ ব‍্যবহার।

    এর আগে অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন বরাদ্দ চাহিদার চেয়েও অনেক অপ্রতুল। বিগত এক যুগের অধিক সময় ধরে এই বরাদ্দের কোনো পার্থক্য হচ্ছে না। আশা করছি বতর্মান প্রশাসন এই বরাদ্দ বাড়ানোর জন‍্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স
    জানান-চলতি অর্থ বছরে উপজেলার ৪০টি মাধ‍্যমিক এবং ৮টি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া পৃথক আয়োজনের মধ‍্যদিয়ে উপজেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

    প্রধান অতিথি পরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর অংশ হিসাবে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে একটি কৃষ্ণচুড়া গাছের চারা রোপন করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্রীপুরে ভি-ক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পূ-র্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় অনুদান বিতরণ 

    শ্রীপুরে ভি-ক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পূ-র্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় অনুদান বিতরণ 

    জিল্লুর রহমান,
    মাগুরা প্রতিনিধি ।।

    মাগুরার শ্রীপুরে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পূর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা, নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য চঞ্চল হোসেন প্রমুখ।

    এ সময় দারিয়াপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের নুরল বিশ্বাস ও নাকোল ইউনিয়নের জোৎশ্রীপুর গ্রামের প্রদীপ মণ্ডলকে ৫ টি ছাগল ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

  • আশুলিয়ায় মা-দকের কা-রবার ও দে-হব্যবসা ফি-টিংবা-জদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি ১২জনকে আ-টক

    আশুলিয়ায় মা-দকের কা-রবার ও দে-হব্যবসা ফি-টিংবা-জদের কাছে সাধারণ মানুষ জি-ম্মি ১২জনকে আ-টক

    হেলাল শেখ ঃ ঢাকার আশুরিয়ার বাইপাইলের চারালাড়া, জামগড়া ও ভাদাইল রূপায়ন আবাসন-১ এর ভেতরে বাইরে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল চারাল পাড়া থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনায় জড়িত ৫জন নারী ও ৭জন পুরুষসহ ১২ জনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করেছেনা পুলিশ।
    জানা গেছে, মাদক সেবন, জুয়া খেলা এবং দেহব্যবসা ফিটিংবাজি নিয়ে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এসবের সাথে জড়িতরা, এরকম অনেক ঘটনা ঘটছে। এর আগে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন মাঠে শতাধিক কিশোর দেশীয় অস্ত্র চাকু ছুরি নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এর আগে আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর মীর বাড়ির বাসিন্দা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী তাজিবুল মীর (৩১) মদ্যপান করানোর কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ভাই বন্ধু পরস্পর যোগসাজসে নেশাজাতীয় দ্রব্য মাদক সেবন করানোর অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। আশুলিয়া মামলা নং ৩৯/৩৯। তারিখ: ১৮/০১/২০২৩ইং। এরপর তদন্ত শেষে এই মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করেন আদালত।
    উক্ত মামলার আসামীরা হলেন, আশুলিয়ার জামগড়ার মীর বাড়ির মোঃ তমিজ উদ্দিন মীরের ছেলে ১নং আসামী সুমন মীর (৩০), ২নং আসামী মোঃ হিরা মিয়া (৩০), ৩নং আসামী মোঃ শামীম (৩০), ৪নং আসামী মোঃ সুমন মিয়া (২৮)। ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত (৬ জানুয়ারি ২০২৩ইং) সন্ধ্যায় উল্লেখ্য ব্যক্তিদের যোগসাজসে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাজিবুল মীর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, এরপর ভিকটিম তাজিবুল মীরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় ২২দিন। এরপর তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন ডাক্তার।
    তথ্যসূত্র-ঢাকার আশুলিয়ার ভাদাইল ও জামগড়া এলাকার সাধারণ মানুষ মাদক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। কিশোর গ্যাং লিডার কতর্ৃক সংবাদ কর্মীসহ অনেকেই হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ভাদাইল ও জামগড়ার মধ্যে রূপায়ন আবাসন-১ এর মাঠসহ আশপাশের এলাকা কাঠগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, এমনকি খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, এ যেন ক্রাইম জোন এলাকায় পরিণত হয়েছে আশুলিয়া। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে হুমকি দেয়া হয় এবং অনেকের উপর হামলা মামলা করার অভিযোগ রয়েছে।
    ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মীর বাড়ির মৃত সফুর উদ্দিন মীরের ছেলে মোঃ ওয়াহিদ মীর (৬০), ভিকটিম তাজিবুল মীরের বাবা বাদী হয়ে উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল সাকিনস্থ ৪নং বিবাদী সুমন মিয়ার অফিসের ভিতর, ভাদাইল, ধামসোনা, আশুলিয়া, ঢাকা। এ ঘটনা ৬ জানুয়ারি ২০২৩, সন্ধ্যা অনুমান ৬টা ৩০মিনিটের দিকে। সূত্র জানায়, ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাই বন্ধু ব্যবসায়ীদের সাথে তাজিবুল মীরের মিটিং শেষে পরস্পর যোগসাজসে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেন, অন্য কারো সমস্যা না হলেও তাজিবুল মীর মৃত্যুবরণ করেন।
    এদিকে ভিকটিম তাজিবুল মীরের খালাতো ভাই মোঃ রনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমি অফিসে গিয়ে সুমন মীর, হিরা মিয়া, শামীম, সুমন মিয়াসহ ৬-৭জনকে পেয়েছি, সেখানে দুইটি বিদেশী মদের বোতল দেখতে পেয়েছি, সেই দুই বোতলের মধ্যে এক বোতল পুরো খালি ছিলো আর এক বোতলের অর্ধেকটা ছিলো মদ, তাজিবুল মীর ভাইয়ের চোখ দিয়ে কিছু দেখতে পারছিলেন না, বলছিলো সে মনে হয় অন্ধ হয়ে গেছেন।
    এ মামলার বাদী মোঃ ওয়াহিদ মীর বলেন, আমার বড় ছেলে তাজিবুল মীরকে যারা মদ্যপান করিয়েছে তাদের কাউকেই আমি দেখিনি কিন্তু আমার ছেলের খালাতো ভাই রনি যাদেরকে চিনতে পেরেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি, তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে কারো কোনো বিবাদ বা শক্রতা নেই, শুধু নেটের ব্যবসা নিয়ে সমস্যা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি। নিহত তাজিবুল মীরের বাবা উক্ত ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন, বর্তমানে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার কারণে আদালতে যাচ্ছেন না বলে সূত্র জানায়। এক বছর গত হলেও উক্ত মামলার আসামীদের কোনো সাজা হয়নি।
    আশুলিয়া থানা পুলিশ বলেন, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল (মধ্যপাড়া) এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মোঃ সুমন মিয়া’র অফিসে গত ৬জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে তাজিবুল মীর নামের যুবককে পরস্পর যোগসাজসে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করানোর কারণে মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় ভিকটিমের বাবা ওয়াহিদ মীর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, উক্ত ঘটনার ২২দিন পর ওইদিন শনিবার বিকেল ৪টা ৪০মিনিটে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজিবুল মীরকে মৃত ঘোষণা করেন। অনেকেরই প্রশ্ন ভুক্তভোগী পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। এই পুলিশ অফিসারের দাবি-দোষীদের যাতে কঠিন সাজা হয় সেই ভাবে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে । উক্ত নিহত তাজিবুল মীরের মৃত্যুর ঘটনার সাথে জড়িতদের সাজা হবেতো? এমন অভিমত প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। আশুলিয়ায় পুলিশ ও র‍্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে তারপরও মাদক ব্যবসা ও মাদক সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেমে নেই বলে সচেতন মহল জানায়। অনেকেই জানায়, এলাকায় মাদকের আস্তানা থেকে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য নিয়মিত চাঁদা নিয়ে থাকে, ফোন করে কেউ তথ্য দিলে তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে কিছু পুলিশ সদস্য। আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসুদ নামের নতুন পুলিশ অফিসারের ভালো সম্পর্ক হোটেলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে খানাপিনা করার অভিযোগ রয়েছে। ঈদের পর আবারও আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে।
    এ ব্যাপারে র‍্যাব ও আশুলিয়া থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আশুলিয়ায় অনেক বহিরাগত কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী রয়েছে, সেই সাথে দেহব্যবসা ফিটিংবাজি। বেশকিছু কিশোর গ্যাং সদস্য অস্ত্রসহ আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর তারা আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও সেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে, তবে এ ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে, দ্রুত তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে দাবী করেন তারা। ১২ জনকে আটকের বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।#

  • বকশীগঞ্জে ইউএনও মাসুদ রানার নে-তৃত্বে দুই শহী-দের স-মাধিতে পুষ্পস্তবক অ-র্পণ

    বকশীগঞ্জে ইউএনও মাসুদ রানার নে-তৃত্বে দুই শহী-দের স-মাধিতে পুষ্পস্তবক অ-র্পণ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন,রিপন মিয়া ও শহীদ ফজলুল করিমরা প্রতিদিন জন্মায় না। তারা ক্ষণজন্মা। কালে কালে জাতির মুক্তির জন্য রিপন মিয়া ও শহীদ ফজলুল করিমরা একজন করেই জন্মায়। নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে যারা জাতিকে উদ্ধার করে, তারা কোন সাধারণ কোনো মানুষ নয়। আমি মনে করি, তারা মহাকাব্যিক বীরত্বগাথা জাতি তাদের চিরদিন শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে।’

    মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বকশিগঞ্জ উপজেলার দুই বীর শহীদ রিপন মিয়া ও শহীদ ফজলুল করিমের সমাধিতে
    পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মতবিনিময় কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা এসব কথা বলেন।

    এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানাার নেতৃত্বে বকশীগঞ্জে দুই শহীদ রিপন মিয়া ও শহীদ ফজলুল করিমের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার( ভূমি) আসমা- উল -হুসনা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ, উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল হক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান, উপজেলা আইসিটি অফিসার খায়রুল বাশার ,

    উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল জলিল, উপজেলা জাইকার প্রধান রুপন কুমার বসাক , উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, বগারচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহেল রানা পলাশ, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাপ জামান, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণীর পেশা মানুষ।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁদের বলিদান আমাদের প্রেরণা।