শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আসুন মানবতার হাত ধরি’ এ স্রোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ‘প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’র অফিস শুভ উদ্ধোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ৪নং দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের হাসেমখার হাট বাজার সংলগ্ন এ অফিস প্রধান অতিথি ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মিজানুর রহমান ডিয়ার।
উদ্ধোধন শেষে আলোচনা সভায় ভারর্চুয়াল সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি মো. সেলিম হাওলাদার। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এফ এম শামীম আহসান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক প্রভাষক রাসেল আল ইসলাম, দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলম পারভেজ লিটন, প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবদল নেতা শেখ আসাদুজ্জামান বাদল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিদ্দিকুর রহমান খান, লোকমান হাওলাদার, মিল্টন হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, তহিদুল খান।
প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যাত্রা শুরু হয় ২০২৪ সালে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করা। ধনী গরিবের বৈষম্য দূর করে আত্মমানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। সমাজে ধনী ও গরিবের বৈষম্য দূর করতে এই ধরনের আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। সমাজের সকল শ্রেনীপেশার মানুষের পাসে দাড়ানো এ সংস্থার মূল উদ্দেশ্যে। #
Blog
-
প্রবাসী কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিস উদ্ধোধন
-
সেনবাগে সড়ক দু-র্ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্ল্যাহ মিয়ার ই-ন্তেকাল
রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর সেনবাগে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক শরিয়ত উল্লাহ মিয়া(৭৬) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে আসরের নামাজ আদায় শেষে মসজিদ থেকে নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে, ফেনী- নোয়াখালী মহাসড়কের কল্যান্দী বাজারে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে তিনি গুরুতর আহত হন, এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে দাগনভুঞার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আগামীকাল সকাল ১০ টায় মরহুমের নিজ বাড়ী সেনবাগের ৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের কল্যান্দি বাজার সংলগ্ন, উত্তর সাহাপুর আতরআলী মিয়া বাড়ির
দরজায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য,বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্লাহ মিয়া ঐতিহ্যবাহী মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ বারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সহিত ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। -
গোপালগঞ্জ জামায়াতের জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থান পর-বর্তী সময়ে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫ টায় গোপালগঞ্জ এস কে আলীয়া মাদ্রাসার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টানা ২৬ বছর গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীরের দায়িত্ব পালনকারী সাবেক সফল আমীর ও বর্তমান কেন্দ্রীয় ইউনিট সদস্য, গোপালগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী, এ্যাডভোকেট মোঃ আজমল হোসেন সরদার।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আল মাসুদ খান, গোপালগঞ্জ এস কে আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আবু সাঈদ মোঃ আবদুল্লাহ এবং উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান সহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এ্যাড. মোঃ আজমল হোসেন সরদার তার বক্তব্যে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসী ঘোষণা। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই পথেই অগ্রসর হবো—ন্যায়, উন্নয়ন ও ঈমানের আলোকে।”
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখা সহ বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
চট্টগ্রামে বাগেরহাটবাসীর সর-ব প্র-তিবাদ: ৪ আসনের দা-বিতে মানববন্ধন
মোঃ শহিদুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃবাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনকে ৩টিতে নামিয়ে আনার নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বাগেরহাট জেলা ফোরাম-এর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিইপিজেড গেইট চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাগেরহাট জেলার নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জনগণ ও ভৌগলিক বাস্তবতা উপেক্ষা করে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিই নয়, এটি জেলা বাসীর সাংবিধানিক প্রতিনিধিত্ব হরণের অপচেষ্টা।”
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা ফোরাম, চট্টগ্রাম-এর আহ্বায়ক মোল্লা মোঃ সরোয়ার হোসেন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সিকদার আলতাফ হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব এডভোকেট মোঃ জাহিদুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম. নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান, মাস্টার আমিনুল ইসলাম, মো. আবদুর রহিম, মো. রুবেল শেখ, মোঃ ছগির হোসেন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ মামুন শেখ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ শাহিন আলম, মাওলানা মো. মিজান, মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “বাগেরহাট একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানকার জনসংখ্যা, ইতিহাস, ও ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় চারটি আসন যৌক্তিক ও অপরিহার্য। আসন কমানো হলে এখানকার জনগণ রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত হবে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বৈষম্য তৈরি হবে।”
ফোরামের পক্ষ থেকে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব বাতিল করে ৪টি সংসদীয় আসন বহালের দাবি জানানো হয়। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন নেতারা।
-
খেলাধূলাকে উৎসাহ দিয়ে সুস্থ, সবল দেশ গঠনের মাধ্যমে অ-ভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে – বক্তারা
বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণআকাংখা হচ্ছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মান করা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ নিজেই নিজের রাজনৈতিক নির্মাতা হয়ে ওঠার ঘোষণা দিচ্ছে। ০৮ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মোংলার মিঠাখালী ফুটবল মাঠে জুলাই স্মৃতি সংসদের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান একথা বলেন।বিকেল ৪টায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। এসময়ে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ কোহিনুর সরদার, ক্রীড়া সংগঠক বিএনপি নেতা সাবেক কৃতি ফুটবলার শেখ রুস্তম আলী, ক্রীড়া সংগঠক মোঃ হান্নান সরদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ সাব্বির হোসেন, নারী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার আকলিমা খাতুন, সাবেক কাউন্সিলর আঃ কাদের, চাঁদপাই মেছেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসিত গুপ্ত, ক্রীড়া সংগঠক জুস্ট সরদার, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি মোঃ শাহ্ আলম শেখ, নাজমুল হক, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের খানজাহান আলী, সোহাগ মিলন প্রমূখ। প্রধান অতিথির সহকারী অ্যাটর্ণি জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আরো বলেন দেশটাকে এমন ভাবে গড়তে হবে যেন সকল ধর্মের, বর্ণের এবং বিশ্বাসের মানুষেরা বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করে। ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ যেন কোন ভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি নেতা সাবেক কৃতি ফুটবলার শেখ রুস্তম আলী বলেন যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে তাদেরকে খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। খেলাধূলাকে উৎসাহ দিয়ে সুস্থ, সবল দেশ ও জাতি গঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। খেলায় অংশগ্রহণ করে মোংলা উপজেলা ফুটবল একাদশ বনাম মোংলা পৌরসভা ফুটবল একাদশ। খেলার শুরুতেই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ ও আত্মার মাগফিরাত কামনায় নিরবতা পালন করা হয়। খেলায় মোংলা উপজেলা ও পৌরসভা একাদশ
গোলশূন্য ড্র করে। -
নড়াইলে পুকুর থেকে ভা-সমান অ-বস্থায় ম-রদেহ উ-দ্ধার করেছে পুলিশ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায়
মরদেহ উদ্ধার। নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকায় একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় সোয়েবুর খান (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার (৮ আগস্ট) বেলা ১টার দিকে পৌরসভার মাইটকুমড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত সোয়েবুর খান মাইটকুমড়া গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভা গেট এলাকার মাসুমের দোকানে মধ্যরাত পর্যন্ত কেরাম খেলেন সোয়েবুর। রাত গভীর হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরদিন শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মাইটকুমড়া গ্রামের একটি পুকুরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে লোহাগড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আমিও সেখানে যাচ্ছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি। -
পাইকগাছায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন ২০২৬ সালের জুনে
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা ) ।।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে পাইকগাছা কৃষি কলেজের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি ২০২৬ সালের জুন মাসে উদ্বোধনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জানান, সরকার পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত এই ক্যাম্পাসে একটি সুসজ্জিত একাডেমিক ভবন, একটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রীনিবাস, খেলার মাঠ, মসজিদ, শিক্ষকদের ডরমেটরি এবং প্রশাসনিক ভবন ও শহিদ মিনারসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে জমির নামজারি ও খাজনা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে সম্পন্ন হয়েছে।
এই নতুন ক্যাম্পাসে ৪টি ডিপার্টমেন্ট খোলার প্রস্তাব করা হয়েছে: এগ্রিকালচারাল, ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট্রি ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনা এবং মেরিন ফিসারিজ। এটি দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার কৃষি ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারিভাবে বিএসসি কোর্স এবং অন্যান্য সার্টিফিকেট কোর্স চালুর মাধ্যমে একটি বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, কৃষি ও ফিসারিজের সাথে জড়িতদের জন্য উন্নত ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা, যা বর্তমানে অনেকের কাছে অপ্রাপ্য হয়ে দাঁড়ায়।
উপাচার্য আরও জানান, মূল ক্যাম্পাসে যারা পড়াশোনা করছেন তারা ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন,কিন্তু পাইকগাছা ক্যাম্পাসে ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন, তবে তাদের ডিগ্রীর মান প্রায় একই রকম হবে।
তিনি এই উদ্যোগ সম্পর্কে গুরুত্ব প্রকাশ করে আরও বলেন, পাইকগাছা এলাকাটি উপকূলীয় অঞ্চলের একটি সম্পদশালী এলাকা। এই ক্যাম্পাসের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীও শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত সুযোগ পাবে বলে আশা করছি। এটি বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি পরিকল্পনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টার কমতি থাকবে না। উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে পানির লবণাক্ততার সমস্যা রয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা সেই সমস্যা সমাধানেও কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের পানি ফিল্টারিং প্রসেস ও যেনো শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই ক্যাম্পাস উপকূলীয় অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, পূর্বের এক সিদ্ধান্তে পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন এটি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবেই বিবেচিত হবে। পাইকগাছা কৃষি কলেজের প্রশাসনিক সংযুক্তি ও একাডেমিক অধিভুক্তি সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল পূর্বে কলেজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ইমদাদুল হক
পাইকগ্ছা,খুলনা -
সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সাংবাদিকদের মান-ববন্ধন
মো: সেলিম মিয়া ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা:
গাজিপুরের চান্দীনা চৌরাস্তায় কুপিয়ে ও জবাই করে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দূষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছে ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সাংকাদিকবৃন্দ। এসময় ফুলবাড়িয়া ছাড়াও জেলার প্রিন্ট ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। শুক্রবার ( ৮ আগষ্ট) ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন হত্যাকন্ডের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দেখা গেলেও এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার না করলে
কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিদের সাংবাদিকরা। অকাল প্রয়াত এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে পুরো ফুলবাড়ীয়ায় গভীর শোক নেমে এসেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গাজীপুর ঈদগাঁ মাঠে জুমার নামাজের পর সাংবাদিক তুহিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে পরে বাদ আছ নিজ গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়িয়ার মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পিতা হাসান জমিলের ৫ ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ পুত্র তুহিন। ২০০৫ সাল থেকে পরিবার নিয়ে গাড়ির গাজীপুরের চান্দীনা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
-
নলছিটি উপজেলা ও শহর যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, নলছিটি উপজেলা ও শহর শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী দিনে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও তৃণমূলভিত্তিক করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের যুবদল নেতারা অংশ নেন।
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা জিএম সবুর কামরুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন, কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ রবিউল ইসলাম তুহিন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ আনিচুর রহমান , যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক সাজু, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সাবু, সাবেক ছাত্র নেতা হাসিবুল ইসলাম সবুজ।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ সালাউদ্দিন শাহীন , সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম লাভলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ জিয়াউল কবির মিঠু, পৌর যুবদলের আহবায়ক রুস্তম শরীফ, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রাজন, যুগ্ন আহবায়ক বশির তালুকদার,সোহাগ মুন্সী,রাজিব হোসেনসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে এবং তরুণ সমাজকে সংগঠিত করতে শক্তিশালী ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন জরুরি। যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কমিটি গঠন করে সংগঠনকে আরও গতিশীল করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজোয়ানুল হক।
-
চাটুকা-র নয়, সা-হসী রিমনের মতো সাংবাদিকই সম-য়ের দা-বি— চট্টগ্রামে স্ম-রণসভা
শহিদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধিঃঅনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণসভা পরিণত হয় সাংবাদিকতা পেশায় অনুপ্রবেশকারী দালাল ও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্মে। বক্তারা বলেন— “মব জাস্টিস সাংবাদিকদের জন্য নয়, এটি বর্বর সামরিক জান্তা ও যুদ্ধাপরাধীদের জন্য প্রযোজ্য। মতভিন্নতার কারণে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি বা হয়রানি সম্পূর্ণ বেআইনি।”
চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মিজান সমরকান্দী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড প্রেস কাউন্সিল নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
তিনি বলেন, “সাংবাদিককে মতবিরোধের কারণে কর্মস্থল থেকে বের করে দেওয়া কিংবা চাকরিচ্যুত করা শুধু আইনের লঙ্ঘন নয়—এটি নৈতিক হত্যাকাণ্ড।”কাদেরী শওকতের তীব্র বার্তা:“সাংবাদিক সমাজে কিছু সুবিধাবাদী এজেন্ট অনুপ্রবেশ করেছে, যারা নিজেরা কোনোদিন গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নামেনি, অথচ এখন নিজেরাই পরামর্শদাতা! এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের ইমেজ আজ প্রশ্নবিদ্ধ।”
তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিক রিমনের মতো অনুসন্ধানী, সাহসী ও জনবান্ধব সাংবাদিকই এই সমাজে প্রয়োজন। চাটুকার, তোষামোদকারীরা সাংবাদিকতা পেশায় থাকা মানে, জাতির জন্য কলঙ্ক।” সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি মন্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন:“আপনারা বিএনপির সাংবাদিক হবেন না, দেশের সাংবাদিক হোন। দেশের মানুষের সাংবাদিক হোন।”— এই বার্তাই আজ সময়ের দাবিতে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন,,বিএসএ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিন,,প্রবীণ সাংবাদিক কামাল উদ্দিন,,লেখক ও সাংবাদিক কামাল পারভেজ,,জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মোঃ আজম খাঁন,,সাধারণ সম্পাদক হাসানুল আলম,,মাইটিভি চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান নুরুল কবির,, সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাইফুল। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি কে এম রুবেল,,
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী,,সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন লিটন, মোঃ জমির উদ্দীন, নাসিমা আক্তার, তসলিমা খানমসহ প্রায় ১৫টি সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি। সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক রেবেকা সুলতানা রেখা চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম বাবলু। সভা শেষে মরহুম রিমনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা ইমাম মারুফ রেজা।