Blog

  • আশুলিয়ায় ৫ বছরেও নাজমা গ-ণধর্ষণ ও হ-ত্যা মাম-লার বি-চার পায়নি ভু-ক্তভোগী পরিবার

    আশুলিয়ায় ৫ বছরেও নাজমা গ-ণধর্ষণ ও হ-ত্যা মাম-লার বি-চার পায়নি ভু-ক্তভোগী পরিবার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ার উত্তর বেরণ এইচ পি টাওয়ার ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড শ্রমিক সুন্দরী নাজমা গণধর্ষণ-হত্যা মামলার আসামী সবাই আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গত ৫ বছরেও এই মামলার আসামীদের বিচার হয়নি বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
    রবিবার ( ১০ আগস্ট ২০২৫ইং) মামলার বাদী মোঃ হানিফ ওরফে নাজমুল জানান, নাজমা গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করায় নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে আমাকে। এদিকে আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী কতর্ৃক ধর্ষণ, গণধর্ষণ, খুন ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। ্উক্ত মামলার একজন আসামীর রহস্যজনক মূত্যু ও অন্য আসামীদের গ্রেফতার না করা এবং মামলার সকল আসামী আদালত থেকে জামিনে আছে, পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। নিহত নাজমার বাবা হানিফ ওরফে নাজমুল আরো বলেন, আমার মেয়ে নাজমা’কে গণধর্ষণ ও হত্যাকারীদের মধ্যে রিপন নামের একজনের মৃত্যু হলেও অন্য আসামীরা আদালত থেকে জামিনে আসছে। নাজমাকে ৩-৪ জন বখাটে যুবক গণধর্ষণ করে।
    আশুলিয়ার জামগড়ার রূপায়ন আবাসন-১ এর ১নং গেইট, রবিউল সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া, পাবনার সাঁথিয়ার আবু হানিফ ওরফে নাজমুল এর মেয়ে মাহফুজা আক্তার নাজমা (১৬) কে গণধর্ষণের ঘটনায় আশুলিয়া থানা মামলা না নেওয়ায় সে ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করে বলে বাদী জানায়। ভিকটিম নিহত হওয়ার পর পুলিশ মামলা রুজু করে। নাজমাকে গণধর্ষণ করিয়া হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে আশুলিয়া থানায় মামলা করার পর মোঃ আব্দুর রহিম (২৬), ১নং আসামীকে জনতা কতর্ৃক আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এরপর এ মামলার ২নং আসামী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার বিপিনগর গ্রামের আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোঃ রিপন (৩৫) এর লাশ সাভারের বিরুলিয়া এলাকার একটি বাগান থেকে উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ মামলার ৩নং আসামী ইব্রাহিম খলিল শিপনকে র‍্যাব-১ এর বিশেষ একটি দল ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল টেকিংয়ের মাধ্যমে ছায়া তদন্ত করে আটক করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী ফেনী জেলার সোনাগাজী আকিলপুরের মোঃ ইব্রাহিম খলিল শিপন (৩০) কে গ্রেফতারের পর র‍্যাব তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করেন।
    তথ্যমতে, গত ৫ জানুয়ারি ২০১৯ইং ভিকটিম মাহফুজা আক্তার নাজমা (১৬), গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর (৬ জানুয়ারি ২০১৯ইং) নাজমা নিজে বাদী হয়ে প্রথমে আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিবরণঃ জীবিত নাজমা জানায়, জামগড়া রূপায়ন আবাসন-১ এর ১নং গেইট, রবিউল সরদারের বাড়ীতে মা বাবাসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাড়া থেকে জামগড়া ইয়ার্গী বাংলাদেশ লিঃ পোশাক কারখানায় সুইং অপরেটার হিসাবে চাকুরি করতেন। নাজমার সম্পর্কে চাচা আব্দুর রহিম, রিপন, শিপনসহ তারা বিভিন্ন পদে এক সাথে কাজ করতেন একই পোশাক কারখানায়। প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৫/০১/২০১৯ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় অফিস ছুটির পর চাচা আব্দুর রহিম (২৬) সহ আমি পায়ে হাটিয়া বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের ফ্যাক্টরীর প্রায় ২০০গজ দুরে গলির রাস্তায় পৌছার পর অপরিচিত আরও ২জন বিবাদী তাদের নাম রানা ও শাকিলসহ ওদের সহায়তায় ১নং বিবাদী রিপন ও শিপন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার পরিহিত কাপড় খুলিয়া আমাকে সবাই মিলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনার সাথে ৫ জন জড়িত বলে সে বেঁচে থাকা অবস্থায় জানায়। বাকি দুইজন আসামীকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয় কেন জাতি জানতে চায়।
    ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ঘটনার দিনগত রাত ১২টার দিকে উক্ত বিবাদী রিপন, শিপনসহ ৫ জন নাজমাকে বলে এ ঘটনা যেন কাউকে না বলিস, এই বলে হুমকি দিয়ে তারা ভিকটিমকে বাসায় পৌছাইয়া দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর নাজমা সকালে আশুলিয়া থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আর বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জায় ভিকটিম নাজমা ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী-নাজমাকে নির্যাতন ও গণধর্ষণ করার পর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় আশুলিয়ার জামগড়া সরকার মার্কেট নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মামলা নং ১০/ তারিখঃ ০৭/০১/২০১৯ইং। ধারা: ৯(৩)/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩: ধর্ষণ করিয়া হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধ।
    উক্ত মামলার আসামী রিপন এর রহস্যজনক মৃত্যু হলেও শিপন ও রহিম আদালত থেকে জামিনে আসছে। এ মামলার ৩নং আসামী ইব্রাহিম খলিল শিপন (৩০) যিনি ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড এর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। মামলার ৩ জন আসামীর তথ্য পাওয়া গেলেও অন্য আরও দুইজন ব্যক্তি জড়িত ছিলো তারা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়েছে, এদিকে থানায় ও আদালতে অন্য সেই দুই আসামীর নাম প্রকাশ করেছেন রহিম ও শিপন। প্রায় ৫ বছর ধরে এখন পর্যন্ত তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি এবং এ মামলায় তাদের নামও নেই। নাজমা’র বয়স (১৬)। ২ বছর সুইং অপরেটার হিসেবে চাকুরি করেন। কাজ শিখে সুইং অপারেটার হতে আরও এক বছর সময় লাগছে, তাহলে কাজে যাওয়ার সময় তার বয়স ছিলো ১৪ বছর। শিশু শ্রম আইনে পোশাক কারখানায় ১৮ বছরের কম কোনো শ্রমিক চাকরি করতে পারবেন না এমন নিয়ম রয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা আবার তদন্ত করলে হয়ত কেচু খুঁজতে গিয়ে সাপের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে শ্রমিকসহ সচেতন মহলের দাবী।

  • সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দা-বিতে মা-নববন্ধন

    সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দা-বিতে মা-নববন্ধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সুজানগর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ কে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার দুপুরে সুজানগর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে পৌর শহরের নন্দিতা সিনেমা হল রোডে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা খন্দকার গোলাম আযম, গোলাম মোর্তজা, ইয়াকুব আলী, রফিক বিশ্বাস, কামরুল ইসলাম, আবুল কালাম, সাফা, মনিরুজ্জামান মান্নান, তোরাপ আলী, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা প্রমুখ।
    মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যায় না। বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রউফ রাজপথের লড়াকু সৈনিক, দুঃসময়ের পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী নেতা, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত নিবেদিতপ্রাণ একজন জননেতা। শেখ আব্দুর রউফ তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে তঁাতীবন্দ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য,১৯৯০ সালে সুজানগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও এরপর উপজেলা ছাত্রদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য, ১৯৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একই বছরের মে মাসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৫৭ মাস কারাগারে বন্দি থাকেন। এরপর ২০০৫ সালে উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এবং পরে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১১ সালে পূণরায় বিপুল ভোটে তঁাতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০১২ সালে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, ২০১৬ সালে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে শেখ আব্দুর রউফ সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছিলেন।
    এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা আরো বলেন, শেখ আব্দুর রউফ আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং- সমাবেশে ছিলেন অগ্রভাগে। শেখ আব্দুর রউফ একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা। তিনি দলের দুর্দিনে, আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি কর্মসূচি সফল করেছেন। দল থেকে তার বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রাখলে দলটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। মানববন্ধনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন।
    উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব(বহিস্কৃত) শেখ আব্দুর রউফ জানান , গত ৯ জুলাই পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল রোডে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। অথচ একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট ও রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার হীন উদ্দেশ্যে ওই ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায় এবং থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনর্বিবেচনা করে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিনীত অনুরোধ জানান।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা) প্রতিনিধি।

  • সাংবাদিক তুহিনের খু-নিদের গ্রে-প্তার ও ফাঁ-সির দা-বিতে গোপালগঞ্জে মান-ববন্ধন

    সাংবাদিক তুহিনের খু-নিদের গ্রে-প্তার ও ফাঁ-সির দা-বিতে গোপালগঞ্জে মান-ববন্ধন

    গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ ।

    গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখা ও গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক বৃন্দ।। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা১১টায় প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এ মানববন্ধনে গোপালগঞ্জ জেলার সকল সংগঠন ও সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একের পর এক সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দোষীদের বিচার না হওয়ায় দেশে দণ্ডমুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তুহিন হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা প্রমাণ করে, দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে।
    গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে এই মানব বন্ধনের আয়োজন করেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখা, গোপালগঞ্জ জার্নালিস্ট ফেডারেশনসহ সকল সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিক বৃদ্ধ।
    এ সময় বক্তব্য কালে গোপালগঞ্জ জার্নালিস্ট ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চ্যানেল আই-এর জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান বাবুল বলেন, গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে যে সকল সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের গডফাদারদের শনাক্ত করে আইনের কাঠগড়ায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, দৈনিক ক্রাইম নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক ও দৈনিক ভোরের বানীর চীফ রিপোর্টার এ জেড আমিনুজ্জামান রিপন বলেন, সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যা, হামলা, মামলা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮ টার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে গাজীপুরে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিদিনের কাগজ এর প্রতিনিধি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে সেই সাথে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে। সত্য প্রকাশে যে দেশে হত্যা হয়, সে দেশের আইন-শৃংখলা সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে বলে আমরা মনে করি। তিনি তুহিনের হত্যাকারীদের মুখোশ খোলা সহ খুনিদের দ্রুত ফাঁসীর দাবি জানান।

    এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক বর্তমান গোপালগঞ্জের সম্পাদক ও বৈশাখী টেলিভিশনের গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. মোস্তফা জামান, আর টিভির- আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৭১- টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান রনি, চ্যানেল এস -এর প্রতিনিধি কাজী মাহামুদ ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সোহাগ সেন।

    এ সময় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ শিহাব উদ্দিন, দৈনিক ভোরের পাতার জেলা প্রতিনিধি হেমন্ত বিশ্বাস, বিএমইউজে গোপালগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী কাবুল, সদস্য সচিব ও ক্রাইম নিউজ এর স্টাফ রিপোর্টার সোহাগ সিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক, ক্রাইম নিউজের জেলা প্রতিনিধি এমডি নাঈম, সদস্য সচিব দৈনিক দূরবীনের জেলা প্রতিনিধি সাকিব আল ফেরদৌস, দৈনিক পাঞ্জেরী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মামুন রানা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও ক্রাইম নিউজের সদর উপজেলা প্রতিনিধি বরকত মোল্লা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ঢাকা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জসিম মুন্সী, সদস্য সচিব ও মানবাধিকার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন রাজু, সদস্য সচিব ও আইবার্তার জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাবুদ্দিন সুজা, মানিক শিকদার দৈনিক দেশের কন্ঠ, রিকি আবির সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উ-দযাপন

    নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উ-দযাপন

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী নড়াইলে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জেলার মাছিমদিয়ায় শিল্পীর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল ও কোরআনখানি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
    এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল প্রেসক্লাব, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন, এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা, লাল বাউল সম্প্রদায়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়, জুলাই যোদ্ধা কাউন্সিল, মুর্ছনা সংগীত নিকেতন, চিত্রা থিয়েটারসহ বিভিন্ন সংগঠন শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
    জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান। তিনি বলেন, “এস এম সুলতান শুধু নড়াইল বা বাংলাদেশের নয়, তিনি বিশ্বের শিল্পভুবনে এক অনন্য নাম। তাঁর শিল্পকর্মে গ্রামীণ জীবন, কৃষকের সংগ্রাম ও মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে সুলতানের জীবনদর্শন ও শিল্পচেতনা পৌঁছে দিতে আমাদের আরও উদ্যোগ নিতে হবে। নড়াইলের গর্ব এই মহামানবকে স্মরণ করা মানে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন ও বিকশিত করার অঙ্গীকার।
    বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকাইনা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদার, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকী। এছাড়া এস এম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
    শৈশবে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন বেশি দূর এগোয়নি, কিন্তু শিল্পের প্রতি গভীর আগ্রহ তাঁকে ঢাকা এবং পরে কলকাতায় নিয়ে যায়। ১৯৪৪ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে ভর্তি হলেও স্নাতক সম্পন্ন করার আগেই তিনি সৃজনশীল স্বাধীনতার টানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপথ ছেড়ে দেন। এরপর তিনি ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নানা শহরে চিত্রকর্ম প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠা করেন।
    শিল্পে কৃষিজীবী মানুষের গৌরব
    এসএম সুলতানের ক্যানভাসে সর্বদাই গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষের প্রাণবন্ত চিত্র ফুটে উঠেছে। সুঠাম দেহের কৃষক, বিস্তৃত ধানক্ষেত, গবাদি পশু— তাঁর তুলির টানে গ্রামীণ জীবন হয়ে উঠেছে মহিমান্বিত ও বীরত্বমণ্ডিত। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের শক্তি ও ভবিষ্যৎ নিহিত আছে মাটির মানুষ ও কৃষিজীবী সমাজের হাতে।
    শিল্প সমালোচকদের মতে, সুলতানের কাজ কেবল দৃশ্যপট নয়, বরং তা এক ধরনের সামাজিক-রাজনৈতিক বক্তব্য। শিল্পের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ও আত্মমর্যাদাকে তুলে ধরেছেন, যা তাঁকে ‘মাটি ও মানুষের চিত্রশিল্পী’ উপাধি দিয়েছে।
    অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
    চিত্রকলায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা লাভ করেন। আন্তর্জাতিকভাবে, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ম্যান অব দ্য ইয়ার উপাধিতে ভূষিত করে, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার প্রদান করে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা ঘোষণা করে ম্যান অব এশিয়া।
    নড়াইলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সুলতান
    জীবনের শেষভাগে তিনি নড়াইলে ফিরে এসে শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ‘শিশু স্বর্গ’ এবং ‘সুলতান সংগ্রহশালা’। এখানে শিশুদের ছবি আঁকা, খেলাধুলা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টি করেন। নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় সুলতান সংগ্রহশালায় এখনো তাঁর আঁকা চিত্রকর্ম, ব্যবহৃত উপকরণ ও ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত আছে।
    মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
    অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এসএম সুলতান। জন্মভূমি নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর তিন দশক পরও তাঁর কাজ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে, আর তাঁর তুলির আঁচড়ে আঁকা মানুষগুলো বেঁচে আছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চেতনায়।
    জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি
    সুলতানের ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকালে কোরআন খতম, তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পপ্রেমী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিল্পানুরাগীরা।
    নড়াইলবাসীর গর্বের প্রতীক এসএম সুলতান শুধু একজন শিল্পী নন—তিনি বাংলার মাটি, মানুষ এবং শিল্পচেতনার অবিনাশী প্রতীক। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে বরিশালে বাবুগঞ্জে মা-নববন্ধন

    গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে বরিশালে বাবুগঞ্জে মা-নববন্ধন

    মহিউদ্দিন খান রানা,
    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।
    গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে আজ রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজ এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
    বিমানবন্দর প্রেসক্লাব ও বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং সচেতন সুনাগরিকরা।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বন্ধে দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে। তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার এবং সাংবাদিক জীবনের সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

  • সমিতির মাঠ কর্মির বাড়ি লু-টপাটের অভি-যোগ ইউপি সদস্যের বিরু-দ্ধে

    সমিতির মাঠ কর্মির বাড়ি লু-টপাটের অভি-যোগ ইউপি সদস্যের বিরু-দ্ধে

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলাসংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতির মাঠ কর্মীর নৃপেন মন্ডলের বাড়ি হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুয়ারেখা ইউপি সদস্য ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত বৈরাগী ও তার অধীনস্থ জয়দের বৈরাগী, অনুপ মন্ডল, অবনী মজল, মতি লাল মন্ডল, বিমল মন্ডল, নির্মল মন্ডল, গনদের বিরুদ্ধে। তবে সুজিত বৈরাগী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    গত জুন মাসের ২ তারিখ নৃপেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে
    মামলা দায়ের করেন যার সি আর নং ১৩১০
    ।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিআইবি কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

    নৃপেন মন্ডলের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, সে আরামকাঠী সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতির মাঠ কর্মী হিসাবে কাজ করতো। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক রহমতুল্লাহ আত্মগোপনে যাওয়ায় সদস্যরা সমিতির বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় মামলা করে এবং ঐ সময় নৃপেন অফিসে উপস্থিত ছিলেন তখন অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকেও জেল হাজতে প্রেরণ করে।

    নৃপেন মন্ডল জানান, আমার অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ড মেম্বর সুজিত বৈরাগী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী তার দলীয় লোকজন নিয়া আমার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য। গত ২১শে এপ্রিল আমার স্ত্রী একা বাড়িতে থাকায় তার হাতপা বেঁধে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখায়। সুজিতের ঈশারায় তার দলীয় লোকজন আমার বসত ঘরে থাকা স্বর্নের হাতের একজোড়া চুরি, স্বর্নের চেইন দুটি যার ওজন ২ ভড়ি, স্বর্নের আংটি ২ টি ওজন ১ ভড়ি, নগদ গচ্ছিত আনুমানিক প্রায় ৫০,০০০/- টাকা, ২৫ বস্তা সুপারী, পিতলের হাড়ি, পাতিল, থালা বাসন এবং ঠাকুর ঘরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী সহ ঘরের নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র লুট করিয়া নিয়া যায়। আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

    নৃপেম এর স্ত্রী সুমা মন্ডল জানান, আজ চার মাস পর্যন্ত আমি ঘরে যেতে পারিনা আত্মীয় স্বজনদের বাসায় বাসায় থাকি আমাকে হাত পা বেধে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।সুজিত বৈরাগী ও তার লোকজন। আমার পড়নের কাপড় চোপড় পর্যন্ত নিয়ে গেছে।

    ছোট ভাই নিত্যানন্দ মন্ডল জানান, আমি ঢাকায় থাকি দাদা জেলে যাবার খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। এবং গিয়ে দেখি ঘরের সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ভাই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে একটা মামলা করে। সেজন্য পিবিআই থেকে সেদিন তদন্তে আসে। তদন্ত অফিসারদের সামনে সামনে বসেও আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। আমরা চরপ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। আমরা কেউ বাড়িতে যেতে পারিনা। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    প্রতিবেশী দীপঙ্কর বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি বাড়িতে এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটবে এটা আশাকরা যায় না। যে খানে ইউপি সদস্য একটা দুর্ঘটনা ঘটলে যেখানে সে ঐ পরিবারকে প্রটেকশন দেয়ার কথা অথচ তার ইঙ্গিতে লুটপাট হয়েছে এটা দুঃখজনক।

    এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সুজিত বৈরাগীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, সদস্যরা যাতে টাকা না চায় সেজন্য নৃপেন একটা নাটক সাজিয়ে আমাকে সহ অনেকর নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। আর ঘর লুটপাটের তো প্রশ্নই আসেনা নৃপেন জেলে যাওয়ার পরে তার স্ত্রী ঘরের মালামাল সরিয়ে ফেলেছে আর যাদের নামে মামলা দিয়েছে তারা কেউ স্টেশনে ছিলোনা ঘটনার দিন। সুতারং আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার তদন্তকারি অফিসার এস আই প্রকাশ জানান, নৃপেন এসপি স্যারের কাছে একটা অভিযোগ দিয়েছে। মুলত তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখতেছি। আর সে যে কোর্টে মামলাটি করেছে সেটি পিবিআই তদন্ত করতেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

  • দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বিরু-দ্ধে মি-থ্যা  অ-পপ্রচারের প্র-তিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষো-ভ

    দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বিরু-দ্ধে মি-থ্যা অ-পপ্রচারের প্র-তিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষো-ভ

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    ১০ আগস্ট রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে সবকটি ব্যাচের ২শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ণ ডাক্তার জীবন, ৩০ তম ব্যাচের তৌফিকুল ইসলাম তানিম, মেহেদী হাসান, ৩৩ ব্যাচের সাদাকাত রাফীদ প্রমূখ।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বলেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টে অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলী অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে কলেজটি ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে এবং সর্বশেষ ২৯তম ব্যাচের অসাধারণ ফলাফল এই অগ্রগতির প্রমাণ। তিনি শিক্ষার্থীদের স্নেহ ও যত্নে পড়াশোনা করাচ্ছেন এবং কলেজকে আধুনিক ও শিক্ষা-বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একটি চক্র রাতের আঁধারে শহরের বিভিন্ন স্থানে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা অপবাদ সম্বলিত পোস্টার লাগিয়েছে, যা অধ্যক্ষের সম্মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    তারা আরও বলেন, “রাতের আঁধারে চোরের মতো যারা আমাদের সুনামধন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

    পরে শিক্ষার্থীরা ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সম্বলিত অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলী বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি কলেজকে আধুনিক রূপ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি। শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। তবে রাতের আঁধারে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো আমাকে
    মানসিকভাবে কষ্ট দিয়েছে।”

    উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট গভীর রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়। পরে সচেতন নাগরিক ও পেশাজীবীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেন।

  • দিনাজপুর জি-য়া হার্ট ফাউন্ডেশন প-রিদর্শন  করলেন মোহাঃ সাদিকুল হক

    দিনাজপুর জি-য়া হার্ট ফাউন্ডেশন প-রিদর্শন করলেন মোহাঃ সাদিকুল হক

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিদর্শন করলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকা এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, সিএসপিবি প্রকল্প, ফেইজ-২ ও অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাঃ সাদিকুল হক।

    ১০ আগস্ট রবিবার সকাল দশটায় দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিদর্শনে আসেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকা এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, সিএসপিবি প্রকল্প, ফেইজ-২ ও অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাঃ সাদিকুল হক।

    এ সময় তিনি জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন ও জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেন। জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন পরিদর্শন শেষে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় করেন এবং পরিদর্শন বহিতে তিনি স্বাক্ষর করেন।

    পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকা’র সিএসপিবি প্রকল্প এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক সিরাজুম মুনির আফতাবী, সিএসপিবি প্রকল্পের এডমিন ম্যানেজার মোঃ রাছেল উদ্দিন, দিনাজপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মুনির হোসেন, দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক এ কে এম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ারুল কবির, সিইও সৈয়দ মেজবাহ আলম, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ সুদা রঞ্জন রায়, হসপিটাল ম্যানেজার এ.এস.এম আক্তার শামীম, দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ড. শারমিন সাত্তার প্রমুখ।

    এর আগে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে পৌছলে সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকা এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, সিএসপিবি প্রকল্প, ফেইজ-২ ও অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাঃ সাদিকুল হক কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক এ কে এম আজাদ।

  • ভি-ত্তিহীন অ-পহরন ও ধ-র্ষণ মা-মলা  দা-য়ের হও-য়ায় সংবাদ সম্মেলন

    ভি-ত্তিহীন অ-পহরন ও ধ-র্ষণ মা-মলা দা-য়ের হও-য়ায় সংবাদ সম্মেলন

    এন আই মিলন,
    দিনাজপুর প্রতিনিধি- ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় এবং অবিচার, জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার ১০ আগস্ট সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ঠাকুরগাঁও সদরের বহুভাষী গ্রামের মোহাম্মদ মিমনূর। এ সময় তার বন্ধু রিফাত হোসেন, বন্ধু লিমন, তৃষা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মেয়ে তার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

    পরবর্তীতে মেয়ের বড় বোন আফরিন ও তার পরিবার মিমনূরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত করতে থাকে। কিন্তু বারবার ফোনে যোগাযোগ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে মেয়ে বিষপান করে। এমন অবস্থা দেখে উভয়ের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ে দিনাজপুর কোর্টে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে বিবাহর বিষয়ে পরিবারের কেউ জানতো না, শুধুমাত্র মেয়ের মা অবগত ছিলেন।

    চলতি বছরের মার্চ মাসে মেয়ে ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এ সময় মেয়ের মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কিছুদিনের মধ্যে যোগাযোগ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মিমনূর অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের বিয়ের বিষয়ে অবগত করি এবং তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তার বাবা অন্যের প্ররোচনায় পরে আমার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যার প্রমাণ মামলার এজাহারে আমার নামের সাথে বিন্দুমাত্র মিল নেই। যার ফলাফল আমি বিনা অপরাধে ৫৭ দিন কারাবরণ করি।

    এখন বাদীপক্ষ আমার থেকে টাকা দাবি করেছে এবং এর বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করবে কথা বলে আসছে। আমার প্রতি অবিচার জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার চাই।

  • তুহিন হ-ত্যার  প্র-তিবাদে পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের মা-নববন্ধন

    তুহিন হ-ত্যার  প্র-তিবাদে পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের মা-নববন্ধন

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    ঢাকায়, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন-কে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ে ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । রবিবার ( ১০ আগস্ট) সকাল ১১ টায় পঞ্চগড়  শেরে বাংলা পার্ক চৌরঙ্গী মোড়ে জেলার কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ এই মানববন্ধন করেন। এসময়  সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  সাগর-রুনিসহ দেশের সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, সাংবাদিকদের জাতির চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও দেশে তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। দায়িত্ব পালনের সময় প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যার মতো ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি। এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। চুপ করে থাকলে আরও তুহিনদের মত বাকি সাংবাদিকদের রক্ত ঝরবে।  এ সময় সাংবাদিক নেতারা আরো জানান“এই ধরনের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক সমাজের জন্য এক গভীর শোক ও আতঙ্কের বার্তা।  ইতিমধ্যেই সাতজন ধরা পড়েছে এর পেছনে যেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মানববন্ধনে আরো বলা হয়, রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে  যারা এখনো বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কোনোভাবেই যেন দোষীরা আইনের ফাঁক দিয়ে পার না পায়। এ সময় পঞ্চগড়ের সকল ইলেকট্রিক প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক  পঞ্চগড় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি —১। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুন।

    ২। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন।

    ৩। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

    সাংবাদিক হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এর বিচার চাই — দ্রুত, দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোরতম শাস্তি হোক এই বর্বরতার একমাত্র জবাব।