Blog

  • পঞ্চগড়ে কৃষকলীগ নেতার নামে কলেজ, নাম পরি-বর্তনের দাবি

    পঞ্চগড়ে কৃষকলীগ নেতার নামে কলেজ, নাম পরি-বর্তনের দাবি

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতী ছিটমহল এলাকায় গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি হলো- ‘মফিজার রহমান কলেজ’। কলেজটির নামকরণ নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়রা অসন্তোষ থাকলেও এবার নাম পরিবর্তনের দাবি জোড়ালো হয়ে ওঠেছে।
    সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহল ঘেষা গ্রাম ইয়ারপাড়ার বাসিন্দা মফিজার রহমান। তিনি স্থানীয়ভাবে কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি নন। বরং তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণা আর দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। এমন এক ব্যক্তির নামে কলেজের নামকরণ স্থানীয়রা মানতে পারেননি শুরু থেকেই। এতদিন নানা কারণে মুখ খুলতে না পারা স্থানীয়রা এবার কলেজটির নাম পরিবর্তন চান।
    সম্প্রতি কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন।
    অভিযোগ উঠেছে- মফিজার রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সর্বশেষ উপজেলা কৃষকলীগের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বড়ভাই প্রয়াত মখলেছার রহমান ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তৎকালীন সময়ের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই মূলত নিজের নামে কলেজটির নামকরণ করেন। পাশাপাশি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করেন নিজের নাম।
    অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মফিজার রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শুধু কলেজের নাম আর প্রতিষ্ঠাতার পদই বাগিয়ে নেননি; তিনি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি করেছেন। এসব নিয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিলো বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়।
    অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময়ের পর পঞ্চগড়ের এই ছিটমহলটির নাম দেয়া হয় রাজমহল। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির জন্য বিলুপ্ত এই ছিটমহলে শুরু হয় উন্নয়ন। ইতোপূর্বে ছিটমহলের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন মফিজার রহমান। পরে ছিটমহল আন্দোলনের নেতৃত্বে গিয়ে রাতারাতি বদলে গেছে তার জীবন চিত্র। রাজমহলের উন্নয়নের সাথে সাথে উন্নত হয় মফিজারের জীবন মানও। যেই মফিজার পুরনো বাই সাইকেলে বেড়াতেন, সেই মফিজারের সঙ্গে জড়ায় মোটরসাইকেল, টিন শেড বাড়ি বদলে হয় বড় দালান। বিলুপ্ত এই ছিটমহলে শুরু হয় তার রাজত্ব। যার ইতি ঘটেছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই রাজমহলে স্থাপন করা হয় একটি আলীম মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও একটি কলেজ। ক্ষমতাবলে চারটি প্রতিষ্ঠানেরই সভাপতি পদ দখল করে মফিজার করেছেন, কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য। আলীম মাদ্রাসায় নিজের ভাইকে বসিয়েছেন অধ্যক্ষের চেয়ারে। সেখানেও চাকরির জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া ছিটমহল আন্দোলনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর আশ্বাস দিয়ে রাজমহলবাসীর কাছে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। অনেকেই ছিটমহল আন্দোলনে নিজের সক্রিয় ভুমিকা আর বড় ভাই তৎকালিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মখলেছার রহমানের ছত্রছায়ায় পঞ্চগড় ও নীলফামারী অঞ্চলের ছিটমহল বিনিময় কমিটির সভাপতি পদও দখল করেন তিনি।
    স্থানীয় মমিনুল ইসলাম বলেন, মফিজার রাজমহলবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিলুপ্ত ছিটমহলকে ব্যবহার করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার চতুর্মুখী দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছিলো রাজমহলের বাসিন্দারা। আমি নিজেও তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। সবখানে অর্থ আর রাজনৈতিক প্রভাবে পার পেয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের পতনের পর তারও প্রভাব নেই, কিন্তু তার নামে কলেজটি রয়েছে। আমরা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানাই।
    ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেন ওয়ালিউল্লাহ ফারুক। তার গ্রামের বাড়ি কলেজটির পাশেই। তিনি বলেন, কলেজের জায়গাটা ছিলো আমার বাবা পিএম শাহাবুদ্দীনের। কলেজটি যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন কলেজের নাম আমার বাবার নামে করা হবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে নামমাত্র দামে জমি নিয়েছে মফিজার, কিছু জমি অন্যখানে বদলও দিয়েছে। মফিজারের প্রলোভনে পড়ে কলেজটি দাঁড় করাতে পরিশ্রম, সহযোগিতা- সবই করেছে আমার বাবা। কিন্তু কলেজের নাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা- কোথাও আমার বাবাকে রাখা হয়নি। মফিজার আমার বাবার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমন প্রতারকের নামে কলেজের নাম থাকতে পারেনা।
    হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন, মফিজার রহমান এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন যে তার নামে কলেজ হতে হবে। তিনি প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এবং রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থাকা উচিত নয়। স্থানীয় এলাকাবাসী কলেজটির নাম পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমাকে দাবি তুলতে বলছে। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি- এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘গাড়াতী ডিগ্রি কলেজ’ রাখা হোক।
    পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, কলেজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে নীতিমালা দেখতে হবে।

  • হাটিকুমরুলে মৎস্য আড়তদারদের মান-ববন্ধন 

    হাটিকুমরুলে মৎস্য আড়তদারদের মান-ববন্ধন 

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :   সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তের আয়োজন এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় সলঙ্গার কুতুবের চর অবৈধ মৎস্য আড়ৎ এর বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বরে এক শান্তিপুর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,কুতুবের চর অবৈধ মৎস্য আড়ত প্রতিবছর সরকারকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাছিল করার জন্য সিরাজগঞ্জ রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুতুবের চরে অবৈধ ভাবে স্থানান্তর করেন। 

    হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়ত থেকে সরকার প্রতিবছর ভ্যাট ট্যাক্স সহ প্রায় ১কোটি ৭২ লক্ষ টাকা রাজস্ব পেত। 

    বক্তারা আরো বলেন,অবৈধ কুতুবের চর মৎস্য আড়ত থেকে বর্তমানে প্রতিটি মাছের গাড়ি থেকে অবৈধভাবে সমিতির নামে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত অবৈধ কুতুবের চর মৎস্য আড়ত ভেঙে হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তটি পূনঃপ্রতিষ্ঠা না করলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

    এ সময় মানববন্ধনে সিরাজগঞ্জ রোড ( হাটিকুমরুল রোড) নিউ টাউন মৎস্য আড়ৎ কমিটির পক্ষে বক্তব্য  রাখেন,আব্দুল মজিদ খান,আমিনুল ইসলাম,মেহেদী হাসান ডিউক, শামীম হাসান, রনজু আহমেদ প্রমুখ।

  • গোপালগঞ্জে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে বিশেষ অ-পরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে বিশেষ অ-পরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান,
    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ এর বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১১ আগস্ট ২০২৫ খ্রি. সোমবার (১১ আগস্ট) গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ এ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। সভায় উপস্থিত হয়ে ডিআইজি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সকলকে পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিটি দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এরপর গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্স -এর ড্রীল শেডে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ কল্যাণ সভা। উক্ত সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইনচার্জবৃন্দ এবং সদস্যবৃন্দ সরাসরি তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। একটি উন্মুক্ত পরিবেশে, আন্তরিকতার সাথে সমস্যাগুলোর শুনানি হয় এবং রেঞ্জ ডিআইজি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।

    সভায় গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডঃ মোঃ রুহুল আমিন সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মোঃ আব্দুল বাছেদ, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ), ঝেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ সহ অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে সদর থানায় নবনির্মিত জুনিয়র অফিসার্স ডরমিটরি ভবন -এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল সহ অন্যান্য প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • শিক্ষকতা পেশা সাংবাদিকতা নে-শা বি-বেকের তা-ড়নায় লেখালেখি থেকে পে-শাগত দা-য়িত্বে

    শিক্ষকতা পেশা সাংবাদিকতা নে-শা বি-বেকের তা-ড়নায় লেখালেখি থেকে পে-শাগত দা-য়িত্বে

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে এম নজরুল ইসলাম খানকে পত্রিকাটির
    উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন—এই দায়িত্ব আমার কাছে ইনকামের উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নেওয়া একটি ব্রত।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন নং সি-১৮১২৯৮ এর অধীনে প্রকাশিত দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এম নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সম্পাদক মহোদয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।”

    তিনি জানান, শিক্ষকতা তার মূল পেশা হলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অনিয়ম, অশিক্ষা, কুসংস্কার, দায়িত্বহীনতা, দুর্নীতি ও অসততা দেখে বিবেকের তাড়নায় তিনি মাঝে মাঝে লেখালেখি শুরু করেন। পরবর্তীতে কয়েকজন শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিকের অনুপ্রেরণায় এই পেশাকে আরও ভালোবেসে ফেলেন।

    নজরুল ইসলাম খান বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ খলিলুর রহমানের প্রতি, যিনি তার শখ ও ভালো লাগাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

    বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের মহাসচিব এবং দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সহকর্মী, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন।

  • তেঁতুলিয়ায় কেশব ট্রেডার্স সার গোডা-উনের সামনে কৃষকদের বিক্ষো-ভ

    তেঁতুলিয়ায় কেশব ট্রেডার্স সার গোডা-উনের সামনে কৃষকদের বিক্ষো-ভ

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স কেশব ট্রেডার্সে সার পেতে কৃষকদের হয়রানিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের মাঝে সার বিক্রয় না করে কৌশলে সটকে পড়ে ডিলারের ম্যানেজার আব্দুল আজিত। এসময় কৃষকরা সার না পেয়ে সার গোডাউনের সামনেই সাড়ে পাঁচ ঘন্টা বিক্ষোভ করেন।

    রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি এলাকায় ওই সার ডিলারের গোডাউনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

    জানা যায়, উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভজনপুর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স কেশন ট্রেডার্স নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন গণেশ চন্দ্র ঘোষ। উপজেলার ভজনপুর বাজারে একাধিক বিসিআইসি ডিলার সহ বিএডিসি ডিলার থাকায় উপজেলা কমিটি কর্তৃক কেশব ট্রেডার্স নামীয় প্রতিষ্ঠানকে দেবনগড় বাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও জানা যায়, আগস্ট মাসে ওই ডিলার সার বরাদ্দ পেয়েছেন ইউরিয়া ১২৮ মেট্রিকটন, টিএসপি ৩ দশমিক ২০ মেট্রিকটন, এমওপি ৮ দশমিক ৯৫ মেট্রিকটন এবং ডিএপি ৫ দশমিক ৪ মেট্রিকটন।

    বিক্ষোভে কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, দেবনগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কৃষকরা তাদের খেতের কাজ ফেলে সার ক্রয় করতে ওই প্রতিষ্ঠানে যান সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে কৃষকদের নিকট সার বিক্রি না করে ডিলারের নিযুক্ত ম্যানেজার সটকে পড়ে। এসময় দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগ না করেও কোন সাড়া না পেয়ে ক্ষুব্দ হয়ে গুদামের সামনেই সার চাই, সার চাই বলে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে গুদামের সামনে বসে পড়েন।

    কৃষকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় মেসার্স কেশব ট্রেডার্স নামে প্রতিষ্ঠানটির ডিলার গোডাউনঘর নির্মাণ করে সার বিক্রি করেন যার এক চতুর্থাংশ মানুষ অবগত নন। এর আগে প্রায় কয়েকমাস ওই গোডাউনের সামনেই ছিলনা কোনো সাইবোর্ড। এলাকাবাসি ও কৃষকদের অভিযোগ রাতে কিংবা দিনের বেলায় এই গোডাউন থেকে ভ্যানে সার লোড করে বিভিন্ন স্থানে যায়। এছাড়া তাদের অভিযোগ কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করলে সরকারি রেটে সার বিক্রি করতে হবে তাই সিন্ডিকেট করে সারের ডিলার সার বিক্রি করেন খুচরা কীটনাশক দোকানদানদের নিকট। পরে তারাই কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দাম নেন।

    এদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে কীটনাশক দোকানদাররা কৃষকদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩’শ টাকার বস্তা নিচ্ছে ১৭’শ থেকে ১৯’শ টাকা এবং এক হাজার ৫০টাকার বস্তা নিচ্ছে ১২’শ টাকা। যদিও কীটনাশক দোকানদারেরা সার বিক্রি করতে পারবেননা তবুও ডিলারের থেকে তাদের দোকানগুলোতেই বেশি সার মজুদ রাখা আছে বলে সাধারন কৃষকদের অভিযোগ উঠেছে।

    বিক্ষোভকারী কৃষকরা স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অফিসকে বিষয়টি জানালে দীর্ঘক্ষণ পর কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ডিলারের লোকজন এসে সার বিক্রি করেন।

    রবিউল ইসলাম নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, রাতের আধারে সার ভ্যানে করে নিয়ে যায়, বাজারের দোকানদারের কাছে সার বিক্রি করে দেওয়া হয় কিন্তু কৃষকদের দেওয়া হয় না।

    ওই ইউনিয়নের বাদিয়াগছ থেকে আসা কৃষক আজিবদ্দিন, টোটুয়াপাড়া থেকে আসা কৃষক রাশেদুজ্জামান, নতিফগছ থেকে আসা কৃষক মজিবর রহমান ও আতমাগছ থেকে আসা কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ৭০ থেকে ১০০জন কৃষক সার নিতে ওই ডিলারের প্রতিষ্ঠানে আসলে সকালে কয়েকজন কৃষকদের নিকট সার বিক্রি করে ডিলারের ম্যানেজার পালিয়ে যায়। পড়ে অনেকবার ফোন করেও তাঁরা ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপর ইউএনও ও কৃষি অফিসারকে বিষয়টি জানালে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলেন। তাঁরা আরও বলেন, সারের জন্য এসে সার পাচ্ছি না, খুচরা বাজারে সার বিক্রি করে দেয় এরা। পরে বেশি দামে আমাদের সার কিনতে হয়। ডিলারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কৃষকরা প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা এই বিক্ষোভ করেন।

    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমাউন কবির বলেন, সকালের দিকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন কৃষক সার নিতে এসে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ডিলারের লোকজন সার বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়। এরপর তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেন।

    কেশব ট্রেডার্সের ম্যানেজার আব্দুল আজিত বলেন, আমরা তো ভাই সার দিচ্ছিলাম।

    দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছলেমান আলী বলেন, খবর পেয়ে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, সার যে বরাদ্দ আসছে তাতে ১০০ লোক সার পাবে এখানে প্রায় ২ হাজারের বেশি জনগণ কৃষক আসছিলেন। চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে উপস্থিত কৃষকরা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, চেয়ারম্যানের বক্তব্যে পক্ষ পাতিত হয়েছে। যেখানে ৭০-১০০কৃষক সেখানে চেয়ারম্যান ২ হাজার জন বানিয়ে দিলেন।

    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, কৃষি অফিসার এ বিষয়ে অবগত করেছেন। সার বিক্রয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে কৃষক হয়রানির সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • জনবল সং-কটে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট  হাসপাতালটি যেন নিজেই রো-গী

    জনবল সং-কটে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি যেন নিজেই রো-গী

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালটি জরাজীর্ণ অবস্থা। সেবা নিতে আসা রোগিদের ভোগান্তির শেষ নেই। সব ঔষুধ কিনতে হয় বাইর থেকে। পরীক্ষা – নিরীক্ষার জন্য যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে।
    ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের খুশি করতে ডাক্তারগণ হাসপাতালের সরবরাহকৃত তালিকার ওষুধ না লিখে গ্রুপ পরিবর্তন করে ভিজিট করা নিন্মমানের কম্পানীদের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ করে রোগির আত্নীয় স্বজন।

    চিকিৎসক, সুইপার, কর্মচারী অ্যামবুলেন্স, ড্রাইভার নেই হাসপাতালটিতে। অব্যবস্থাপনা, নানা প্রকার সমস্যায় জর্জিত হয়ে হাসপাতালটি যেন নিজই যেন অসুস্থ্য। আউটডোরে প্রতিদিন ৬ শতাধিক রোগি দেখতে, ব্যবস্থাপত্র করতে হিমসিম খাচ্ছে কর্মরত ডাক্তার, সেবিকাগন।

    রোগির চাপে বরাদ্দকৃত ঔষধ বছরের প্রথম দিকে শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। ফলে প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র, স্লাইনসহ সব উপকরণ ফার্মেসী থেকে কিনতে হচ্ছে।

    জনগনের সুচিকিৎসার জন্য ১৯৯৪ সালে উপজেলা সদরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৯ ইং সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি শুরু থেকেই চলে আছে অবহেলা ও অবস্থাপনায়। ফলে গোদাগাড়ী উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি, ক্লাবঘাট, জালিয়াপাড়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে একরকম বঞ্চিত হয়ে আসছে।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবে। কিন্তু কাগজ কলমে ৫ জন কর্মরত থাকলেও তারা কেউ কোয়াটারে না থেকে চাঁপাই নবাবগজ্ঞ ও রাজশাহী শহর হতে এসে অফিস টাইম ডিউটি করে চলে যায়। ফলে কোয়ার্টার গুলি বছরের পর বছর ফাঁকা থাকায় ভুতড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। আশে পাশের পরিবেশ বনেজঙ্গলে ভরপুর, শিয়াল, কুকুর, বিড়াল, সাপে, পশু, পাখির আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে।
    সুইপার না থাকায় অজুহাতে দু ওয়ার্ড, বাথরুম, টয়লেট, আশে পাশের পরিবেশ খুবই নোংরা, দুর্গন্ধ, ডাবের খোসা, কাগজ,বাদাম পলিথিন ব্যাগ, কলার চুকাসহ নানা অপদ্রব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এগুলি ডেঙ্গুমশা মাছির উৎপাদন ক্ষেত্র।
    রোগি চিকিৎসা সেবী ভাল না পেলেও বিভিন্ন কোম্পানির ঔষুধ প্রতিনিধি লম্বা লাইনে সিরিয়্যাল দিয়ে বসে আছেন একজনের অন্য জন ঠিকই প্রবেশ করছেন এবং উপহার সামগ্রী, স্যাম্পেল ঠিকই প্রদান করছেন। তাদের ঔষিধ লিখছে কি না সেটা যাচাই বাছাই করছেন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষা ।

    কেউ কেউ কাজের অজুহাত দেখিয়ে অফিস ফাঁকি দিয়ে রাজশাহী শহরে বসেই বেতন ভাতা তুলে খাচ্ছেন। যে ডাক্তারটি সব সময় প্রয়োজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সেই ডাক্তারের পদটিই বছরের পর বছর ফাঁকা আছে হাসপাতালে ফলে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে ফিরতে হয় রোগীদের।

    নিয়ম অনুযায়ী জরুরী বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডিউটি পালনের নিয়ম থাকলেও কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থেকে কমিউনিটি মেডিকেল চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিষ্ট দিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা চলে। আর কোন রোগী আসলে হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ না থাকার অজুহাতে কোন ধরনের ঔষধ সাপ্লাই রোগীদের প্রদান না করে বাইরে হতে কিনতে বাধ্য করায় রোগীদের। এমনকি সুঁই-সুতাও পর্যন্ত কিনতে হয় রোগীদের।

    গোদাগাড়ী পৌরশহরের বাসিন্দা জেসমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার ছেলের পা হাসুয়াতে কেটে গেলে দ্রুত চিকিৎসা পাবার জন্য এই হাসপাতালে আসি। এসে দেখি কোন চিকিৎসক নেই একজন ফার্মাসিষ্ট দিয়ে জরুরী বিভাগ চলছে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলে বলেন সুঁই-সুতা নেই বলে সেটিও ফার্মেসী হতে কিনে আনতে বলে।

    গোদাগাড়ী মেডিকেল মোড়ের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াস আলি বলেন, এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা খুব বাজে কোন চিকিৎসা পাওয়া যাই না বললে ভূল হবে না। এখানকার ডাক্তারেরা ভাল মত চিকিৎসা প্রদান করে না। ডাক্তারের বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার নামে আশে পাশের ক্লিনিকগুলোতে এসে চিকিৎসা নেওয়া ও টেস্ট করাতে বাধ্য করেন।

    হাসপাতালের গাইনি বিভাগটি চালু থাকলেও সেখানে কোন রোগী এসে চিকিৎসা পায় না। কোন রেগীর বাচ্চা হতে আসলে জটিল অবস্থা আছে বলে বাইরের ক্লিনিক গুলোতে যেতে বাধ্য করে। সেখানে তাদের কমিশন বাণিজ্য আছে বলে জানা যায় গেছে। হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র স্টার্ফ নার্স দীর্ঘদিন এই হাসপাতালে কর্মরত আছেন তারা জ্বালাই অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। সে কোন রোগীর সেবা না করে
    তাদের সাতে খারাপ আচারন করেন। রোগীর স্বাজনদের ভয় দেখিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয়।

    হাসাপাতলটির ডেন্টাল ইউনিট থাকলেও কোন সেবা পায় না স্থানীয়রা। এক্সে-রে ইসিজি প্যাথলোজির ইউনিট থাকলেও কোন সেবা পায় না লোকজন। সব কিছুই বাইরে হতে করতে হয়। সকল যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন হতে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষেরও কোন নজর নেই। পরীক্ষা নীরিক্ষা একমাত্র ইউনিট প্যাথলোজি বিভাগটি কোন রকম চালু থাকলেও সেখানের টেকনোলজিষ্ট আকতারুন্নাহার বেলী আড়াই মাস হতে মাতৃত্বকালীয় ছুটিতে আছে বলে জানা যায়। ফলে কোন সেবা পাইনা রোগীরা।

    অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা থাকায় রোগীদের বেডের নিচে ময়লার স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের এখানে ৫ জন সুইপার কথা থাকলেও মাত্র একজন আছে ফলে এই অসুবিধা পূর্ব হতেই চলে আসছে। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী খাবার সরবরাহ ঠিক মত পায় না রোগীরা। আর এ্যাম্বুলেন্সটি বিশ বছর আগের হওয়াই ঠিকমত চলে না এ্যাম্বুলেন্সটি খুব ঘন ঘনই নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।

    গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মো: তৌহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, এ হাসপাতালের প্রধান সমস্যা জনবল সংকট। এ বিষয়ে একাধিকবার উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়ে কোন লাভ হয় নি। আগামীতে নতুন নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ১৯৯৮ ইং সালের বন্যায় পানিতে ডুবে এক্সসে মেশিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ আবুল হায়াত মহোদয় পৌরসভা থেকে একজন সুইপার নিয়োগ দিয়েছিলেন সেটাও বর্তমান ইউএনও প্রত্যাহার করেছেন। বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে কোন লাভ হয় নি।

    মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, মুঞ্জুরীকৃত পদ গুলির মধ্যে ২১ পদে কোন লোক নেই। শূন্যপদ গুলি হচ্ছে সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ ১ জন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ১ জন, মেডিক্যাল অফিসার (পঃপঃ) ১জন, প্রধান সহকারী ১ জন, পরিসংখ্যান সহকারী ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, ষ্টোর কিপার ১ জন, ড্রাইভার ১ জন, এমএলএসএস ১ জন, ওয়ার্ডবয় ২ পদের ১টি পদ, আয় ৩ টি পদের ২ টি, মালি ১ টি, কুক/মশালচী ২ টি পদ লোক নেই, গার্ড ২ পদের মধ্যে ১ টি, সুইপার ৫ টি পদের মধ্যে ৫ টি পদই শূন্য রয়েছে। এ হাসপাতাল টি বড় অবাক করা কান্ড হচ্ছে পদ না থাকলেও ২৫ জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স কর্মরত রয়েছে। এ যেন বাঁশের চেয়ে কমচি বড়, শার্টের চেয়ে গেঞ্জি বড় হবার মত অবস্থা।

    সার্বিক বিষয়ে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ জানান, জনবল না থাকায় আমরা খুব সমস্যায় আছি, মানুষ এসে খুব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে কোন সময় মারধোরের স্বীকার হওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছ। ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও ৯ আগষ্ট শনিবার ৩৩ জন রোগিতে ইনডোর থেকে রিলিজ করা হয়েছে। আউট ডোরে ৫ শতাধিক রোগিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। প্রতিদিন এখানে ৬ শতাধিক রোগি আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে। ডাক্তার, কর্মচারী, সুইপার না থাকায় আমাদের বিপদে পড়তে হয়। অনেক সময় রোগির আত্নীয় স্বজন আমাদের উপর ক্ষোভ করেন। আমি স্থানীয় বলে কোনভাবে বুঝিয়ে কিছুটা রক্ষা পাচ্ছি।

    উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর জ্বর, প্রেসার, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। মেডিসিন, স্লাইন, নিডিল,সুঁই সুতো সব কিছু কিনতে হচ্ছে। সব চেয়ে কষ্টকর হচ্ছে টয়লেট, ওয়ার্ডের ভিতরের পরিবেশ খুবই নোংরা, দুগন্ধ সৃষ্টি, নাকে রুমাল দিয়ে থাকতে হয়েছে। একদিন পর রিলিজ নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।

    গোদাগাড়ী মেডিকেল এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, শ্বাস কষ্ট, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ঔষিধ পত্র কিনতে হচ্ছে, ভিতরের পরিবেশ খুব নোংরা,
    টিকে থাকা কষ্টকর।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ হাসপাতাল প্রসঙ্গে বলেন, মানবিক কারণে পৌরসভা থেকে সুইপার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে দিয়ে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নের কাজ না করিয়ে কাউন্টারে রশিদ লিখার কাজ করাচ্ছিলেন, এর প্রমান পেয়ে সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেডিক্যালে আউট সোর্সসিং এর লাখ লাখ টাকা আসে সে টাকা যায় কোথায়। সে টাকা দিয়ে সুপার, কর্মচারী রেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করতে পারেন। হাসপাতালের কি সমস্যা, করলে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা যায় এ ব্যপারে তাদের মাসিক সভায় কোন পরামর্শ নেই। আমাকে জিঙ্গেস করে সাপে কাটা রোগির জন্য এন্টিভেনমের ব্যবস্থা করে দিতে হয়। একটি দাম ১৯ শ টাকা, একটি রোগির জন্য ১০ টি প্রয়োজন হয়। দাম পড়ে ১৯ হাজার টাকা।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সচিব ও সহকারী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মুকুল বলেন, আমাদের পৌরসভার সুইপার তাদেরকে মানবিক কারণে দেয়া হয়েছিল কিন্তু সুইপারের কাজ না করিয়ে কাউন্টারে রশিদ কাটার কাজ করাই সুইপার প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেডিক্যালে ডাক্তারগন সময়মত উপস্থিত হন না। মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই নোংরা, অস্বাস্থ্যকর।

    স্পেশালিষ্ট (গাইনী এন্ড অবস) ডা: উম্মে হাবিবা হকের সাথে একাধিক বার মোবাইল করে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    প্রধান সহকারী মোঃ অয়ন আযম, বলেন, আমরা চিকিৎসক সংকটে ভূগছি । মাত্র চারজন ডাক্তার আছে কোন সুইপার নেই, কুক নেই। ঔষধ সরবরাহ ঠিকমত নেই আমাদের নিজস্ব কোন বরাদ্দ নেই সির্ভিল সার্জন অফিস হতে বরাদ্দকৃত ঔষধ দিয়ে কোনরকম চালানো হয়। ওটির মেশিন, মালামাল পুঠিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই ওটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তিনি আরও জানান, এবছর ৩ মার্চ উপজেলার রাজাবাড়িতে অ্যামবুলেন্সটি মারাত্বক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং ড্রাইভার জাফর ইকবাল মারা যান। অ্যামবুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

    রাজশাহী জেলার সিভিল সর্জন ডা. এস.আই. এম. রাজিউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, বছরের শুরুতে ওষুধের কিছুটা ঘাতটি থাকতে পারে। এ হাসপাতালের ওটির মেশিনপত্র, মালামাল পুঠিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে কি না আমার জানা নেই। সুপার নেই। অ্যামবুলেন্স দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের লিখা হয়েছে আসলেই প্রদান করা হবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • ঝিনাইদহ  মা-দকের এক অঘো-ষিত রাজধানী

    ঝিনাইদহ মা-দকের এক অঘো-ষিত রাজধানী

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ভারত থেকে চোরাইপথে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও কোকেন ঢুকছে প্রতিনিয়ত। শুধু শহর নয়, এখন গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকান, হাট-বাজার এমনকি স্কুল-কলেজের আশপাশেও পৌঁছে গেছে এসব নেশাদ্রব্য। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে মাদক প্রবাহ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ জেলা যেন মাদকের এক অঘোষিত রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।

    ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের সড়ক পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক প্রবেশ করছে। মাদক কারবারিরা অভিনব কৌশলে মাদক পাচার করছে। কখনো খাদ্যে সামগ্রীর বস্তার ভেতরে, কখনো শাক-সবজির চালানে, আবার কখনো মোটরসাইকেলের বিশেষ গোপন চেম্বারে।জেলা পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে মাদক সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। তবে শাস্তি পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় অন্তত চার শতাধিক মাদকের স্পট রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ স্পটই বেশি।

    বিকেল থেকে ওই সকল স্পটে মাদকসেবীদের মোটরসাইকেল মিছিল শুরু হয়। জমজমাট মাদকের আসর চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাত বাড়ালেই এখন পাওয়া যায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, দেশি-বিদেশি মদ ও চোলাই মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
    সম্প্রতি এ সকল মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরা তা গ্রহণ করছে। এমনকি বেশি টাকা খরচ করলে হোম ডেলিভারি পাওয়া যায় মাদকের।

    জেলাজুড়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মাদক সরবরাহকারী চক্রের সদস্যরা। মাঝে মধ্যে খুচরা কারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
    সূত্র জানায়, জেলা শহরের চাকলাপাড়া, মহিষাকুণ্ডু, আরাপপুর, পবহাটি, ষাটবাড়িয়া, উদয়পুর, ভুটিয়ারগাতী, হামদহ, ব্যাপারীপাড়া, কাঞ্চনপুর, পাগলাকানাই, আদর্শপাড়া, মর্ডাণ মোড়, বাইপাস মোড়, আলহেরাপাড়াসহ অন্তত ৩০টির বেশি স্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। জেলা শহরের পাশাপাশি সদর উপজেলাসহ পুরো জেলায় বেড়েই চলেছে মাদকের স্পট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে চলছে মাদকের কারবার। তারা চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে।

    সুজনের জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘মাদকের থাবা থেকে ঝিনাইদহকে বাঁচাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সামাজিক প্রতিরোধ ও কঠোর আইনি প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ নেশার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। যার ক্ষতি শুধু এই জেলার নয়, গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে।’জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাদকসেবীদের মধ্যে এখন কিশোর ও তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের পরেও মাদক কারবারিদের মূল সিন্ডিকেট আমরা ভাঙতে পারছি না। প্রশাসনের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাদক নির্মূলে পরিবার, সমাজ ও স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • বানারীপাড়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্ন অ-ভিযান প-রিচালনা

    বানারীপাড়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্ন অ-ভিযান প-রিচালনা

    বানারীপাড়া প্রতিনিধি।।
    ”পরিচ্ছন্নতা মানসিকতায় তারুণ্যের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্ন হোক” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের উদ্যোগে বানারীপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় চত্বরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ওই অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বানারীপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফসানা আরেফিন।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেন,সাংবাদিক মাসুদ হাওলাদার,বিডি ক্লিনের বরিশাল বিভাগীয় এডমিন প্রতিনিধি জায়েদ ইরফান সহ স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে বিডি ক্লিনের সদস্যদের পরিচ্ছন্নতার শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফসানা আরেফিন।

    পরে সংগঠনটির সদস্যরা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় চত্ত্বরের চারপাশের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলেন। সেই সাথে স্থানীয়দের আশেপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

    জায়েদ ইরফান বলেন,”আমরা নিজে থেকে স্বেচ্ছায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। আমরা সবাই নিজের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে একদিন সারাদেশ পরিস্কার হয়ে যাবে।

  • আশুলিয়ায় বিশেষ অ-ভিযানে বৈ-ষম্যবিরোধী হ-ত্যা মাম-লার চার আ-সামিসহ ১৯ জনকে গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় বিশেষ অ-ভিযানে বৈ-ষম্যবিরোধী হ-ত্যা মাম-লার চার আ-সামিসহ ১৯ জনকে গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ১৯ জনকে গ্রেফতার থানা করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫ইং) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান।

    পুলিশ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া ও চিত্রশাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার সালাম মৃধার ছেলে বাহাদুর মৃধা (৪২), একই এলাকার কাশেম খানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৩৪), আশুলিয়ার কোন্ডলবাগ এলাকার হাজী কেরামত মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান (৪৪) ও আশুলিয়ার ধলপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী ইমন (৩৭)। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় নেতাকর্মী এবং মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।

    এছাড়া অন্যান্য মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ নাসিম (২২), মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩০) মোঃ বাদল হোসেন (৩০) মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫), মোঃ রায়হান (২৫), মোঃ সিহাদ (২০), মোঃ আল আমিন (২১), মোঃ রাজু আহমেদ (৩৫), মোঃ স্বপন (৩২), মোঃ নবাব (৩৩), সিরাজুল ইসলাম (৪২), মোঃ আজাদুল ইসলাম (৩০), মোরসালিন (২০), মোঃ সোহেল (৪১), ও মোঃ সোহাগ পেদা (২৬)।

    পুলিশ জানায়, গত রবিবার দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার চিত্রশাইল, কোন্ডলবাগ ও ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪জন নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলো। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় আরও অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার ৪জন আসামীসহ বিভিন্ন মামলায় সর্বমোট ১৯জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সাংবাদিক তুহিনকে হ-ত্যার প্র-তিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্র-তিবাদ সভা দো-য়া মহাফিল

    সাংবাদিক তুহিনকে হ-ত্যার প্র-তিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্র-তিবাদ সভা দো-য়া মহাফিল

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

     রাজশাহীর পুঠিয়ায় গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবর (১১ই আগস্ট) বিকাল ৫ টায় পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের কার্যালয়ে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের  সভাপতি দৈনিক ইনকিলাবওদৈনিক বার্তা পত্রিকার পুঠিয়া উপজেলা  প্রতিনিধি শেখ রেজাউল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের সহ সভাপতি দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান জাহিদ, সহ সভাপতি দৈনিক  সানশাইন পত্রিকার মেহেদী হাসান, পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ভরের ডাক প্রত্রিকার

     মফিজুল ইসলাম ডলার, কোষাধ্যক্ষ  দৈনিক গণধ্বনি পত্রিকারএস, এম, আব্দুর রহমান, নির্বাহী সদস্য দৈনিক কালবেলা প্রত্রিকার ইউনুছ আহাম্মেদ শিশির, সদস্য দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকারও ৭১ সংবাদের মাজেদুর রহমান (মাজদার) সদস্যদৈনিক যশোর সংবাদ মারসিফুল ইসলাম সুইট। উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হত্যাকারিদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সভার শেষে মরহুম সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 

    পুঠিয়া রাজশাহী ।।