Blog

  • গোদাগাড়ীতে দেড় শ-তাধিক পরিবার গৃ-হহীন, ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ত-লিয়ে গেছে

    গোদাগাড়ীতে দেড় শ-তাধিক পরিবার গৃ-হহীন, ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ত-লিয়ে গেছে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী জেগে ওঠা চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি ও বসতবাড়ি। গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় মালামাল সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন চরবাসীরা।

    মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯ টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.৪৩ মিটার, যা বিপৎসীমা ১৮.০৫ মিটারের মাত্র ০.৬৬ মিটার নিচে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে টি-বাঁধ এলাকায় প্রবেশ ও পরিদর্শন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাশাপাশি নদীর পাড় সংলগ্ন ব্যবসায়ী ও দোকানিদেরও স্থানত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পানি বৃদ্ধির ধারা
    পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জুলাই রাজশাহীতে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। ওইদিন পানির উচ্চতা ছিল ১৬.৩৫ মিটার। পরবর্তীতে পানি কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবারও বৃদ্ধি শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত আছে।
    গত ১০ আগস্ট সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭.১৩ মিটার, যা একই দিনের সন্ধ্যায় বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.২২ মিটারে। ১১ আগস্ট সকালে তা হয় ১৭.৩২ মিটার এবং সন্ধ্যায় পৌঁছায় ১৭.৩৯ মিটারে। পানি বৃদ্ধির ফলে রাজশাহী ও সংলগ্ন বিভিন্ন চরের ওপরের অংশ ডুবে গেছে। চর খিদিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, “নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চরগুলো তলিয়ে গেছে। আমরা গবাদিপশু ও মালামাল লোকালয়ে নিয়ে এসেছি, কিন্তু খাওয়ানোর জন্য এখন গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।” আরেক বাসিন্দা রাকিব জানান, প্রতিদিন নৌকায় করে চরবাসীরা মালামাল সরাচ্ছেন। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছেন। গবাদিপশু সরাতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন, কারণ চর এলাকায় এখনও বহু পশু রয়ে গেছে।

    পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে নদীভাঙন ও বন্যা দেখা দিয়েছে। চর আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, চর দিয়ার মানিকচকসহ আশপাশের এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধান, করলা, পাটসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নতুন বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের ১নং ও ২ নং ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

    চর বয়ারমারী গ্রামের বাবুর বাড়ি (পিতা আলম) সম্পূর্ণ নদীতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে তার ৮ বিঘা ধানের জমিও নদী গিলে নিয়েছে। ১নং চর নওসাড়া ও ২নং চর দিয়ার মানিকচক পশ্চিমপাড়ার পরিস্থিতিও একই রকম।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। গবাদিপশু হারানো ও আবাদি জমি নষ্ট হওয়ায় অনেক পরিবার ভবিষ্যতের জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।

    ভাঙনের ভয় ও পানিবন্দি পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গোদাগাড়ীর অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে চলে গেছে। সেখানে তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বা অস্থায়ী আশ্রয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিবছর বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এবারও ব্যাতিক্রম হয় নি। এবার ব্যাপকহারে বন্যার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন শুরু করেছে।

    মরণবাঁধ ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়েছে আবহমানকাল ধরে প্রবাহিত গঙ্গা-পদ্মা নদীর ভারতের অংশ ফারাক্কায় । ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে ফরাক্কা ব্যরেজটি একতরফাভাবে নির্মাণ করে ভারত। কিন্তু ভারত কৌশলগতভাবে ব্যারেজটি তখনই চালু করেনি । তখন পাকিস্থানে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথানের ১৯৭০ সালের জেনারেল ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারি এবং সবশেষে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বধীনতা অর্জনের কাল। তারপরেও ভারত অপেক্ষা করে এবং অবশেষে ১৯৭৫ ইং সালের ২১ এপ্রিল ভারত ফারাক্কা চালু করার পর থেকে অব্যাহতভাবে মরণদশা শুরু হয়েছে দেশের নদীর উপর।

    শুস্ক মৌসুমে ফারাক্কা ব্যরেজের সব কয়টি গেট বন্ধ করে নদী শাসন করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নদ নদীকে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে পরিবেশ জীবন জীবিকায় নেমে এসেছে প্রচন্ড ধ্বস। দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয় । গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে যাওযায় উত্তাঞ্চলের বেশীর ভাগ নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায় । দেখা দেয় তীব্র পানির সংকট । উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জীবনে অভিশাপ বয়ে এনেছে এই ফারাক্কা ব্যারেজ; এসব এলাকার মানুষ যাকে মরণ ফাঁদ বলে জানেন ।
    আবার বর্ষা মৌসুমে বিমাতৃসুলভ অচারণ করে ফারাক্কার সব কয়টি গেট খুলে দেশের মানুষকে ডুবিয়ে মারেন ভারত।

    সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাজরুল ইসলাম বলেন, । চর আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, চর দিয়ার মানিকচক প্রভূতি এলাকার দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ১ হাজার বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে পাঠিয়েছি কোন ত্রান পাওয়া যায় নি।

    সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ভোলা বলেন, প্রতিদিনই নদী ভাঙ্গন বন্যা তীব্র হচ্ছে, ১ হাজার বিঘা জমির মৌসুমী ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আমরা ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র করেছি সেখানে লোকজনকে যাওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু বাড়ী ঘর রেখে যেতে চাচ্ছে না। পাঠানোর চেষ্ট করচ্ছি। গত বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। আমরা ক্ষয়ক্ষতি তালিকা করে জমা দিয়েছি। বন্যা ও নদী ভাঙনের বিপরীতে কোন ত্রান পায় নি। বরাদ্ধও নেই। আগামীতে পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের ঠিকভাবে বিতরন করা হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই নদী গিলে খাচ্ছে আমাদের জমি-বাড়ি। আজ যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, হয়তো কয়েকদিন পর সেটিও থাকবে না। সরকারি সহযোগিতা না পেলে আমরা কোথায় যাব জানি না।

    উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসডি রাশেদুল ইসলাম বলেন, রবিবার পানি বিপৎসীমার নিচে ৩১ সেন্টিমিটার থাকলেও সোমবার তা ১২ সেন্টিমিটার ও মঙ্গলবার ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

    গোদাগাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একে এম মোমিনুল হকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, ২০ টন জিআর চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, প্রচুর শুকনা খাবার আছে। যাদের ঘর, বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা অনুয়ায়ী টিন দেয়া হবে। অস্থায়ীভাবে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    ৩৭ বছর নদীতে থাকার অভিজ্ঞতার স্মৃতি থেকে আরমান মাঝি বলেন, “পদ্মার অনেক শাখা নদীও গত ৫০ বছরে শুকিয়ে গেছে। আগে পদ্মা কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। শুষ্ক মৌসুমে এখন অনেক যায়গায় সরু খালের মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে।” বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার সব কয়টি গেট খুলে আমাদের ভাসিয়ে দেয়। এবার বন্যা ও নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    চর আষাদিয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসগর আলী বলেন, গত বছর পদ্মার নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল জেলে পাড়ার একটি পাঁকা মসজিদ, ব্রীজসহ রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। কয়েক দিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে তাদের এলাকায় কয়েকটা রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে টমেটো ও ধানের খেত। চর বয়ারমারি গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। চর বয়ারমারির পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জেলেপাড়া গ্রামেও তীব্র নদীভাঙন চলছে। পোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি সেতু ছিল। এই সেতুও ভেঙে গেয়েছিল নদীভাঙনের কারণে।

    এদিকে,
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা, পূণর্ভবাসহ প্রধান নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে পদ্মাতীরবর্তী ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র বলছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে পানিবৃদ্ধি বন্ধ হতে পারে। অবস্থা আর খারাপ হবে না বলে মনে করছে সংস্থাটি। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পদ্মায় পানি বিপৎসীমার মাত্র ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ২১.৭৩ মিটার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছিল।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো পানি বাড়ার কারণে বসতবাড়ির চারদিক ও ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী হাজার হাজার পরিবার। তাদের অনেকে মানবেতর অবস্থায় রয়েছে। গবাদি পশুও নাজেহাল।

    সদরের নারায়ণপুর, আলাতুলী, ইসলামপুর, দেবীনগর, শাজাহানপুর, চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর অর্থাৎ সাতটি এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি অর্থাৎ দুর্লভপুর, পাঁকা, মনাকষা, উজিরপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পদ্মার পানি প্রবেশ করে নিমজ্জিত, অর্ধনিমজ্জিত ও আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বাগান। পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গ্রামীণ সড়কে পানি ওঠায় মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, দুই উপজেলায় পদ্মার পানিবৃদ্ধিজনিত কারণে অন্তত সাড়ে আট হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পাঠদান বন্ধ রয়েছে অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠানের চারদিকে পানি থাকলেও পাঠদান বন্ধ হয়নি। এছাড়া আক্রান্ত সব ইউনিয়নে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মানুষ পানিবন্দি হয়নি।

    পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, উজানে ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানি ও বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বাড়ছে। ভারতে গঙ্গার সব পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
    তবে আশা করা হচ্ছে পনি আর তেমন বাড়বে না। স্থির হয়ে কমতে শুরু করবে। এর পরও সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় মহানন্দায় বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে ১৯.৭৫ মিটার এবং পূণর্ভবায় বিপৎসীমার ১.৬৬ মিটার নিচ দিয়ে ১৯.৮৯ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। অর্থাৎ জেলার সব বড় নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এখনও বন্যার পূর্বাভাস দেয়নি বলেও জানান প্রকৌশলী আহসান।

    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, সব ইউনিয়নের সার্বিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য সংগ্রহের কাজ ছলছে। উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি। অন্তত ১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ। বুধবার ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ফসলি জমিতে পানি ওঠায় কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।।

  • শিবচরে ব্র্যাকের কর্মশালা: নি-রাপদ অ-ভিবাসন ও বিদেশ ফের-তদের পুনরেকত্রীকরণে জো-ড়

    শিবচরে ব্র্যাকের কর্মশালা: নি-রাপদ অ-ভিবাসন ও বিদেশ ফের-তদের পুনরেকত্রীকরণে জো-ড়

    নাবিলা ওয়ালিজা,
    মাদারীপুর প্রতিনিধি:
    মাদারীপুরের শিবচরে নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের “ইম্প্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা ২)” প্রকল্পের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হায়দার এবং সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আমিনুল হক।

    কর্মশালার শুরুতে পরিচয় পর্ব ও কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের শিবচর উপজেলা প্রোগ্রাম অর্গানাইজার হাসান আল মামুন। পরে স্বাগত বক্তব্য ও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন, প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম ও পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়া তুলে ধরেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাদারীপুর জেলার সেক্টর স্পেশালিস্ট (ইকোনমিক রিইন্ট্রিগ্রেশন) মাহফুজুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হায়দার বলেন, “ব্র্যাক একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান। দেশ ও মানবতার সেবায় তাদের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। মাঠ পর্যায়ে বিদেশফেরত অভিবাসীদের নিয়ে এভাবে পরিকল্পিত কাজ করা সম্ভব—এটি আমার ধারণার বাইরে ছিল। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

    তিনি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এবং যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

  • লালমনিরহাটে  ৮ কেজি গাঁ-জাসহ হাবিব গ্রে-ফতার 

    লালমনিরহাটে ৮ কেজি গাঁ-জাসহ হাবিব গ্রে-ফতার 

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।। 

    লালমনিরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে  ৮কেজি মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ১টি অটোইজিবাইক  সহ ১জন মাদক কারবারি গ্রেফতার করছেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,এর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদের, নেতৃত্বে এসআই (নিঃ)/মোঃ মনিরুজ্জামান, সঙ্গীয় ফোর্স সহ জেলার সদর থানাধীন কুলাঘাট  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাকোয়া গ্রামস্হ কুলাঘাট বাজার হইতে বড়বাড়ী বাজার গামী পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা  এক টি অটোইজিবাইক  সহ ০১ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার। 

     গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন হাবিব মিয়া (২০),

    কুড়িগ্রাম জেলা ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সোনাকাজী গ্রামের  জাহিদুল ইসলামের ছেলে। জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদ, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানাধীন কুলাঘাট  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা এক টি অটোইজিবাইক সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    হাসমত উল্লাহ।।

  • গোপালগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুজন সিকদারকে গ্রে-প্তার করে-ছে পুলিশ 

    গোপালগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুজন সিকদারকে গ্রে-প্তার করে-ছে পুলিশ 

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক সুজন সিকদারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের মান্দার তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুজন সিকদার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেলিন সিকদারের আপন ছোট ভাই ও শহরের মান্দারতলা এলাকার দ্বীন ইসলাম সিকদারের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি সুজন সিকদার দীর্ঘদিন যাবত ইউএসএইড নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন। 

    পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

  • রোভার স্কাউটের উ-দ্যোগে পোল মাংকি ব্রীজ তৈ-রি

    রোভার স্কাউটের উ-দ্যোগে পোল মাংকি ব্রীজ তৈ-রি

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের উদ্যােগে শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন খালে একটি পোল মাংকি ব্রীজ তৈরি করা হয়।

    আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রোভার অনিক কুমার সাহার (সভাপতি, রোভার ইন-কাউন্সিল) তত্ত্বাবধানে একটি দল ভোর ৬টা থেকে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করে যা সকাল ৯ টায় শেষ হয়।

    এ সময় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজনুর রশিদ ও তৌফিক এলাহী উপস্থিত ছিলেন।

    পোল মাংকি ব্রীজের উদ্বোধন করেন গোবিপ্রবি রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক মো.মজনুর রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, “স্কাউট তথা রোভার স্কাউট হলো একটি আন্দোলন যা কিশোর কিশোরীদের শারিরীক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে সহযোগিতা করে এবং স্কাউটরা মুক্তাঙ্গনে কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে পারদর্শিতা লাভ করে। এক্ষেত্রে সমাজ সেবা ও সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    উল্লেখ্য, পোল মাংকি ব্রীজ সাধারণত স্কাউটদের একটি পাইওনিয়ারিং প্রজেক্ট যা বাঁশ দ্বারা নির্মিত এবং বিভিন্ন ল্যাশিং ব্যবহার করা হয় যেমন ডায়াগোনাল ল্যাশিং, স্কয়ার ল্যাশিং, ফিগার অব এইট, পোল এন্ড সেম্বার ল্যাশিং। এটি সাধারণত খাল বিল পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  • গোবিপ্রবিতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নি-য়োগের সি-দ্ধান্ত

    গোবিপ্রবিতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নি-য়োগের সি-দ্ধান্ত

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সকল বিভাগে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    আজ বুধবার বেলা ১১টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিনদের অংশগ্রহণে এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

    সভায় সেশনজট নিরসনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর তারিখ (১১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস ও পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাস, পরীক্ষা, ফরম পূরণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে।

    অন্যদিকে শিক্ষক সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

  • মধুমতির ভা-ঙ্গনে শতাধিক পরিবার ঘ-রছাড়া, বি-লীন হতে চলেছে মানিকহার বাজার সহ মধুমতি গ্রাম

    মধুমতির ভা-ঙ্গনে শতাধিক পরিবার ঘ-রছাড়া, বি-লীন হতে চলেছে মানিকহার বাজার সহ মধুমতি গ্রাম

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার
    ৭নং উরফি ইউনিয়নের মানিকহার বাজার থেকে মধুপুর পর্যন্ত মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন কয়েক বছর ধরে গ্রামবাসীর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এ বছর বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতায় ভাঙ্গনের গতি যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এ যেন মরার ওপর খারার ঘা অবস্থা। প্রতিদিনই বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ-মাদ্রাসা ও গ্রামীণ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে এ এলাকার অন্তত ১০০টিরও বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, আবার কেউ কেউ উন্মুক্ত মাঠে অস্থায়ী ঘর তুলে বসবাস করছেন।

    মানিকহারের পার্থ দাস বলেন, “গত বছরও কিছু জমি নদীতে গেছে, কিন্তু এ বছর ভাঙ্গন যেন থামছেই না। আমার কৃষি জমি ও বসতভিটা সব নদীতে বিলীন হয়েছে। “মধুপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ মাজেদ সরদার জানান, “প্রতিদিনই মনে হয় আজই হয়তো নদী আমাদের ঘর টেনে নেবে। বউ-বাচ্চাদের নিয়ে ভীষণ ভয়ে থাকি।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিকবার ভাঙ্গন পরিদর্শনে এলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর তেমন কোন ব্যবস্থাই কেউ নেননি। এখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ বা প্রতিরোধক কোন ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতিবছর ভাঙ্গন প্রতিরোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে বালুর বস্তা ফেলার মতো সাময়িক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাও বর্ষার স্রোতের কাছে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

    ৭নং উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী বলেন, “পরিস্থিতি মারাত্মক। আমরা জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

    নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না? সে বিষয়ে জানতে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, মানিকহার বাজার থেকে মধুমতি সহ অত্র এলাকায় নদী ভাঙ্গনের সমস্যা দীর্ঘদিনের, স্থায়ী সমাধানের জন্য ডিপিপি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত অর্থবছরে তা অনুমোদন পায়নি। আমরা এ বছর আবারো পাঠিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ও অর্থ বরাদ্দ পেলে স্থায়ী এবং টেকসইভাবে কাজ করা সম্ভব হবে। যদিও প্রতিবছর আমরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলি। এবছর ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে, ইতোমধ্যেই ফসলি জমি সহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের একটি টিম সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করে এসেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানিয়েছি, কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ওই এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো।

  • আশুলিয়ার জামগড়ায় স্ত্রীকে হ-ত্যার ঘটনায় স্বামীকে আ-টক করে পুলিশের সো-পর্দ

    আশুলিয়ার জামগড়ায় স্ত্রীকে হ-ত্যার ঘটনায় স্বামীকে আ-টক করে পুলিশের সো-পর্দ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় স্ত্রী আখী তারা (২৫) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী হৃদয়কে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

    বুধবার (১৩ আগষ্ট ২০২৫ইং) সকালে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন বটতলা এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।আটককৃত হৃদয় (৩২), শরীয়তপুর জেলার ডামুডা থানার বুড়িরহাট এলাকার বাসিন্দা। নিহত মোছাঃ আখী তারা একই এলাকার বাসিন্দা।

    আটককৃত মোঃ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন বটতলা এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন ও তার স্ত্রী সাথী ওয়াইপি আশুলিয়া লিঃ নামক একটি ক্যাপ ফ্যাক্টরীতে কাজ করতেন।

    স্থানীয়রা জানায়, সকালে হৃদয় আশপাশের ভাড়াটিয়াদের জানায় তার স্ত্রী রাতে মারা গেছে, তাই তিনি তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। এ সময় তিনি তার স্ত্রীকে গোসল করাই দিতে বলেন। পরে আশপাশের লোকজন তার স্ত্রীর মরদেহ গোসল করাতে গেলে লাশের গলায় কালো দাগ দেখতে পান, এর পরে তাকে গোসল না করিয়ে স্বামীকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

    পুলিশ জানায়, স্থানীয় কয়েকজন নিহত সাথী তারাকে গোসল করাতে গেলে তারা সাথী তারার গলায় কালো দাগ দেখে তাদের সন্দেহ হলে হৃদয়কে আটক করে থানায় খবর দেয়।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের স্বামীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। সেই সাথে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে সাংবাদিককে হ-ত্যা ও হু-মকি দেওয়ার প্র-তিবাদে মান-ববন্ধন অনুষ্ঠিত

    ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে সাংবাদিককে হ-ত্যা ও হু-মকি দেওয়ার প্র-তিবাদে মান-ববন্ধন অনুষ্ঠিত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    গাজীপুরে সাংবাদিক (দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ) আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) এর যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

    সমাবেশে বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাব সভাপতি আশরাফুল আলম (এশিয়ান টিভি), সম্পাদক খুরশিদ আলম শাওন (আজকের পত্রিকা), সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিল্পী (কালের কন্ঠ), সম্পাদক হুমায়ুন কবির (কালবেলা), সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম (ইত্তেফাক) সাবেক সম্পাদক নুরুল হক (উত্তরা), সাবেক সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ (মোহনা টিভি) ও মোবারক আলী (আমার দেশ), সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ (আমাদের সময়), সাবেক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (বায়ান্ন’র আলো) যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব আলম (প্রতিদিনের সংবাদ) ও আহাম্মেদ ইসমাম, লেমন সরকার (দৈনিক সকালের সময়), হযরত আলী, নাজমুল হোসেন (আজকের দর্পণ) মো: বাদল (পীরগঞ্জ) প্রমুখ।এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী রজব আলী,পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজান আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ ও ছাত্র প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ প্রমুখ।

    সে সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যাকারিদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দাবি করেন। এই সাথে তারা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দাতা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী মাসুদ রানা’কে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য রাণীশংকৈল থানা পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানান। এজন্য তারা আগামী ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক একে আজাদ।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে নারীও শিশুসহ  ১৪  জন বাংলাদেশী ফে-রত দি-ল ভারত

    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে নারীও শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশী ফে-রত দি-ল ভারত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে নারী ও শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

    জানাযায়,মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরিপুর উপজেলার দনগাও বিওপির সীমান্তের ৩৫৬ নং পিলার এর কাছাকাছি বসতপুর স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আকটকৃত ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় বিএসএফ। পরে বিজিবি দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে হরিপুর থানায় তাদেরকে হস্তান্তর করেন।বিজিবি সূত্র জানায়,সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর বেতনা বিওপির বিপরীতে ভারতের কাদেরগঞ্জ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৩৬৫/২ এস থেকে প্রায় ১২০০ গজ ভেতরে ওই ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতীয় বিএসএফ। আটক ব্যক্তিরা সবাই ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাসিন্দা।আটক ব্যক্তিরা হলেন-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোচপাড়া গ্রামের সাকিরের ছেলে মন্টু (৪০), মন্টুর স্ত্রী মোছা. নাজেরা খাতুন (৩৮) ও দুই ছেলে নজরুল (২২) ও নুর আলম (১৯); একই উপজেলার বেউরঝাড়ি গ্রামের রহিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৪), রাজ্জাকের স্ত্রী নাজমিন (২০) ও দুই মেয়ে রূকসার (৩) ও রেহেনা (১), মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে আসাদুল (৩৫) আসাদুলের মা আছিয়া (৫০),স্ত্রী পারুল (৩২) ও তিন সন্তান আলামিন আলী ১৬),আশা মনি (৯)এবং আরিফ (৫)।বিজিবি জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ২০২০ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানি পাথ জেলার একটি কারখানায় (পাপস ফ্যাক্টরি) কাজ করতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের আটক করে। আটককৃত সবাইকে ভারতীয় বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ‍্যমে মঙ্গলবার (১২আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে ফেরত দিয়েছে।

    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, তাদেরকে আটকের পর আমরা হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছি।হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন নারী-শিশুসহ ১৪জনকে বিজিবি থানায় হস্তান্তর করেছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে পাসপোর্ট আইনে মামলা রুজু করে আটককৃতদের আগামীকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানো হবে।