আলিফ হোসেনঃ রাজশাহী থেকে ফিরে তানোর প্রতিনিধি।
রাজশাহী নগরীর সিএনবি মোড়ের পদ্মা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,সম্প্রতি
পদ্মা ক্লিনিকে এক প্রসূতি নারীর সিজার করার পর প্রচন্ড রক্তক্ষরণ অবস্থায় আবারও দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। এতে প্রসূতির অবস্থা আরও অবনতি হলে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়। সেখানেও অবস্থা উন্নত না হওয়ায় ঢাকা বেসরকারি হাসপাতালে ২২ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর মাহমুদা নামে একজন প্রসূতি নারী ডাঃ শিপ্রার কাছে সিজার করবে বলে এই পদ্মা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরদিন ৯ অক্টোম্বর সকালে ডাঃ শিপ্রার মাধ্যমে সিজার হয় তার। সিজারের পর রাতে সেলাই থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় কর্মরত নার্সকে জানায় মাহামুদার পরিবার। নার্সকে জানানোর পরে তারা বলেন একটু ধৈর্য ধরেন ঠিক হয়ে যাবে। তারপরেও যন্ত্রণা এবং রক্তক্ষরণ বেশি হতে থাকে প্রসূতি মাহামুদার। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে মাহামুদার পরিবার ডাক্তারকে খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে তারা কোন ডাক্তারের খোঁজ পায়না। পরদিন ১০অক্টোম্বর সকালে ডাক্তার আসলে সমস্যার কথা জানানো হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আবারও সিদ্ধান্ত নেই অপারেশন করার । আবারও অপারেশন শেষ করলেও রুগীর অবস্থার উন্নতি হয় না। ডাক্তারকে জানাই রুগীর অবস্থা ভালো না। তখনই ক্লিনিক থেকে ডাক্তারসহ সকলেই পালানোর মত অবস্থা। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউতে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক দিন থাকার পর রুগীর অবস্থা উন্নত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল (এভার কেয়ার) ভর্তি করা হয়। সেখানে ৩দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পরে অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসা খরচ ব্যয়বহল হওয়ার কারনে সেখান থেকে ঢাকা পপুলার ধানমন্ডি-২
ভর্তি করানো হয় মাহামুদাকে।
সেখানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৩১অক্টোম্বর সকালে মারা যান।
এবিষয়ে মাহামুদার ভাই মাফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,গত ৮অক্টোম্বর শুত্রুবার সকালে আমার ছোট বোন মাহমুদা খাতুনকে সিজার করানোর জন্য ভর্তি করা হয় রাজশাহীর সিএনবি মোড়ে অবস্থিত পদ্মা ক্লিনিকে । সেদিন সকাল ১১টার সময় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিপ্রা চৌধরী তার বোনের সিজার করে। সিজার করার পর রাত থেকে শারীরিক অবস্থা ব্যাথা, যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে। এরপরে আমার বড়বোন নার্সকে জানায়,কিন্তুু ডাক্তার না থাকায় অবস্থা বেশি খারাপ হয়। আমার বোনের ভুল সিজার করায় মৃত্যু বরন করে। মাফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এখন সন্দেহ হয় পরিচালক ডাক্তার ফাইম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার নাদিয়া আজিম,ডাক্তার ফার্জানা এবং ডাক্তার ইয়াহিয়া ফেরদৌস আলম আবিরের পরিচালনায় ধোঁয়াশা থেকে যায় তারা ডাক্তার কি না,তাদের সার্টিফিকেট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন,আমরা চায় এই হাসপাতাল বা ক্লিনিকে আর কেউ যেন ভুল অপারেশন মৃত্যু না হয়। আমরা এর বিচার চাই। তবে বাবার কোলে ফুটফুটে শিশু কিন্তু সিজার করানোর সময় ভুল চিকিৎসায় তার মা মাহমুদা খাতুন মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে আছে।
এবিষয়ে পদ্মা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা প্রথমে তথ্য দিতে অস্বীকার করে। বার বার তথ্য দিবে বলে সময় নিয়ে তথ্য দেয় না । পরে তথ্য দিবে সত্যে বলেন আমরা কোন রেকর্ড তথ্য দিব না। আপনারা চাইলে লিখে নিতে পারেন। তখন অনুসন্ধান রিপোর্টের জন্য গোপনে অডিও ভিডিও রেকর্ড করা হয়। রুগী মৃত্যুর বিষয়ে পদ্মা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সিজারে কোন সমস্যা হয়নি, ডাক্তার ডাঃ শিপ্রা সিজার করেছেন উনি ভালো বলতে পারবেন। আমাদের ধারণা রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বেশি সমস্যা হয়েছে। পরে তার পরিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেই থেকে আমরা আর কিছুই জানি না। অপারেশনের টাকা রোগীর কাছে থেকে নিয়েছেন কি না প্রশ্নে তারা বলেন আমরা ছাড় দিয়েছি মানবতার খাতিরে । রাতে ডাক্তার থাকে না অভিযোগে বলেন সেই দিন মৌ নামে ডাক্তার ছিল,কিন্তুু সাংবাদিকদের কাছে
ডাঃ মৌ এর কোন তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন,আমার কাছে এরকম কোন অভিযোগ আসেনি। পদ্মা ক্লিনিকে ডাক্তার থাকে না অভিযোগে
সিভিল সার্জন জানান, আপনিও জানেন যেসব প্রতিষ্ঠানে অপারেশন, ইনজেকশন এগুলো নিয়ে কাজ হবে সেখানে সবসময় ডাক্তার থাকতে হবে। আর ডাক্তার থাকে না বিষয়ে আমি খুব শীঘ্রই অভিযান করব এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে পদ্মা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#
Category: Uncategorized
-

রাজশাহীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃ-ত্যুর অভিযোগ
-

পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে ৪ গ্রাম বিলিনের পথে
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।
খুলনার পাইকগাছায় মসজিদ, পীরের মাজার, কবরস্থানসহ অসংখ্য মানুষের ভিটেমাটি আজ কপোতাক্ষ নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালীর ইউনিয়নের ৪ গ্রামের ৯০ ভাগ ভূমি ও একটি বাজারের বৃহৎ অংশ আজ কপোতাক্ষ ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছ। সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত ওই এলাকায় গেলে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য অসহায় মানুষ ছুটে আসেন সংবাদকর্মীদের দেখে। তারা বলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ১নং হরিঢালী ও ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের দরগাহমহল, রামনাথপুর, হাবিবনগর, মালতের আংশিক ও আগড়ঘাটা বাজারের সিংহভাগ এখন কপোতাক্ষ নদীর পেটে। এই গ্রামগুলোতে ছিল হাজার হাজার বসতবাড়ি, স্কুল, ওইতিহাসিক দরগাহমহল জামে মসজিদ, পীর মিয়াউদ্দীনের মাজার ও শতশত কবর নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য কয়েকটি কবর স্থানন্তরও করা হয়েছে। উল্লেখিত ৪ গ্রাম ও আগড়ঘাটা বাজার সবমিলে প্রায় ২ হাজার একর জমি বিলীন হওয়ায় শতশত পরিবার আজ ভিটে ও ফসলী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।৮০’র দশকে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদীটির ওই পার অর্থাৎ পার-রামনাথপুরে চর পড়ে শতশত বিঘা জমি জেগে উঠেছে। সেখানে অনেকে আবার ভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে ঘরবাড়ি করে বসে আছেন। কেউ আবার বিঘার পর বিঘা জমিতে মৎস্য ঘের করে বসে আছেন। ফলে নদীর ভাঙ্গন কুলের মানুষের বোবা কান্না আজও থামেনি। বাপ দাদার ভিটে মাটির হারানোর কষ্ট যন্ত্রণা তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা জমি বসতবাড়ি আজ কপোতাক্ষের পেটে। আশি বছরের বৃদ্ধা সৈয়েদা রিজিয়া বেগম নদীর দিকে চেয়ে শশুরের ভিটে হারানোর কষ্টের বিলাপ করতে থাকেন, তাকে বলতে শোনা যায়, ”হায়রে নদী-, বাগান, উঠোন, ঘর, সব নিলি আমরা এখন যাবো কই?”নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কয়েক বছর আগে ওই পারের খাস জমিতে অর্থ বাণিজ্য করে জেগে ওঠা চর খাস জমি দেখিয়ে কথিত ভূমিহীনদের দখলে নিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, চর ভরাটিয়া দখলকারী অনেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দখল বজায় রাখার চেষ্টায় মত্ত্ব রয়েছে। আবার কেউ কেউ নেতার আত্মীয় পরিচয়ে ফায়দা লুটে চলেছে দীর্ঘ দিন। ভাঙ্গনকুলে সৈয়দ রহুল আমীনের পরিবারের ১০ বিঘা সম্পত্তি ছিল, যার মধ্যে ছিল বসত বাড়ি, পুকুর, পোল্ট্রি ফার্ম, মৎস্য ফার্ম, ফসলী জমি, সৈয়দ সালাতুল্লাহের ৪ টি বসত বাড়ি, পুকুর ২ টি, পোল্ট্রি ফার্ম, ফসলী জমি, শেখ মতির ২টি ঘর, বারু মন্ডলের ৩টি ঘর, দ্বীনুর ২ টি ঘর, শেখ সাজ্জাত আলীর ২টি ঘর, শেখ আব্দুল মান্নানের ২টি ঘরসহ অসংখ্য টিউবওয়েল কপোতাক্ষের গহীন গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে। ভাঙ্গন এমন অবস্থানে আছে যে অতি অল্প দিনের মধ্যে ৩৬ হাজার ভোল্টেজ প্রবাহিত বিদ্যুৎ সরবরাহের খুটি হয়তোবা নদী গর্ভে চলে যাবে। খুঁটি নদীতে গেলে পাইকগাছা-কয়রা এই বৃহত্তর দু’টি উপজেলার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন হয়ে পড়বে এমন অশংকা এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, এক প্রকার যেন উপায়অন্ত না পেয়ে পূর্বের স্থানে এস এ খতিয়ান অনুযায়ী নদী খননসহ নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে একটি গণ-স্বাক্ষরিত আবেদন করেন ভুক্তভোগীমহল। যার ফলে সে অনুযায়ী ৩ বছর আগে নদী খননের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার আমীন ট্রেডার্স। ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নদী কাটা কাজ প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট দেয় সরকার। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ভাঙ্গন রোধে বিকল্প হিসেবে নদীর পূর্বের সীমানা এসএ খতিয়ান অনুযায়ী খনন করলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরাতন নদীর ২টি মুখে আজও বাঁধ না দেওয়ায় ভাঙ্গন বন্ধ হচ্ছে না, তাই প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। ফলে প্রতিদিনই ভিটে মাটি হারাচ্ছেন কোন না কোন পরিবার, আর ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের বাজেট করা কোটি কোটি টাকা। এমন অবস্থাতে সম্প্রতি পুরাতন নদীর মুখে হাতেগোনা কিছু বালির বস্তা দিলেও সেটা নদীর স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পূর্ণ কাজ বুঝে দেওয়ার আগেই নতুন খনন করা নদীর অনেক অংশে পলি পড়ে উঁচু হয়ে গেছে। নতুন খনন করা নদীর ভাঙ্গন কুল দরগাহমহলের বাসিন্দা শেখ আব্দুর রহিম (৫৫) বলেন, ওই যে নদীর ওপারে নৌকা বাধা ওখানে ছিল আমার বাপের ভিটা, আমরা সব হারিয়েছি, একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার বাপ-চাচাদের ৬ একর ৬৭ শতক জমি ছিল, আজ তার ১ শতক জমিও নেই, ভিটে মাটি হারিয়ে তিনি অন্য জায়গায় বসবাস করছেন। আমজাদিয়া এতিম খানার ক্বারী মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, ‘নেতৃবৃন্দ, চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ অনেকেই ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, আশ্বস্ত করেছেন ভাঙ্গন রোধ করার কিন্তু অদ্যবধি কোন কাজ হয়নি। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক। বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সালাম উল্লাহর স্ত্রী আজিজার (৭২) এর বসতবাড়ি ছিল ২বিঘা জমিতে, ৪টি ঘর, ১টি গোয়াল ঘর, সীমানা প্রাচীর ও উঠান নদীতে চলে গেছে’ নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এক ইঞি জমিও অবশিষ্ট নেই। তার পরিবার এখন অন্য গ্রামে বসত করছেন। সৈয়দ আবুল কালাম (৭০) বলেন, ‘আমার উঠান পুকুর সহ ২ বিঘা ভিটে বাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়ে আমার পরিবার এখন নিঃস্ব। পাশের গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে বসত করছি। সৈয়েদ মিজান বলেন, ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আমার বাড়ি ৪ বার সরিয়েছি, সর্বশেষ পাকা রাস্তার (খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়ক) ধারে ঘর বেঁধেছি, কিন্তু এখানেও নদী ভাঙ্গনের অব্যাহত হুমকির মুখে আমার বাড়ি-ঘর। তবে এই ভাঙ্গন রোধে নদীর কুলে খুব দ্রুত ব্লক ও বালির বস্তা দিলে হয়তো কিছু দিন টিকে থাকতো অনেক কষ্টে বাঁধা ঘর। কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল বলেন, ‘দরগাহমহলে আমার পূর্ব পুরুষদের ভিটে ছিল। সেখানে আমাদের একটি পারিবারিক কবরস্থানও ছিল, যা প্রায় ৪০ বছর আগে নদীতে ভেঙ্গে যায়। এরপর পুনরায় একটি পারিবারিক কবর স্থান গড়ে তোলা হয় সেটাও নদীতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই দু’টি কবরস্থান থেকে আমার পরিবারের ৭জনের কবর অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরত মোঃ আমীন বলেন,কাজ চলমান রয়েছে।স্রোতের কারনে একটু বিলম্ব হচ্ছে। সেটা নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার কে জানিয়েছি।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যাণার্জী বলেন, খননের কাজ শেষ হয়েছে, তবে কিছু জায়গায় নতুন করে পলি পড়েছে, পলি অপসারণ করতে বলা হয়েছে। আর পুরাতন নদীর মুখে বাঁধ দেওয়ার জন্য বালির বস্তা ফেললেও নদীর স্রোত বেশি থাকায় সেটা টিকছেনা, তবে স্রোত একটু কমলেই অতিদ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করবে ঠিকাদার।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা
-

তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে একটানা এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মাছ প্রতীকে ২৬৯টি ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম (জানে আলম) সভাপতি ও আম প্রতীকে ২৬৩টি ভোট পেয়ে টিপু সুলতান
সম্পাদক এবং মোরগ প্রতীকে ৩০৪টি ভোট পেয়ে তুহিন শাহ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাকিবুল হাসান পাপুল সরকার বলেন, ভোটারগণ লাইন ধরে তাদের প্রত্যাশিত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ করতে থানা পুলিশের একটি দল, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ভোটগ্রহণকারী ও সাংবাদিক সহ সকলকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। উল্লেখ্য, গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৬৩ জন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া এ নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিজয়ী তিন প্রার্থীই রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।# -

নেছারাবাদে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা যার কোন কিছু জানেনা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা
আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //
পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলা জালাবাড়ি ইউনিয়নে সামাজিক বনায়নের রোপন করা গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০/১৫ হাজার টাকা। তবে কে বা কারা ঐ গাছ কেটে নিয়েছে জানেনা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। জানতে পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
১৫ই নবেম্বর শুক্রবার খুব ভোরে ১টি গামারি ও,১টি আকাশমনি গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায় গত শুক্রবার খুব ভোরে বন বিভাগের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জলাবাড়িতে সরজমিনে গিয়ে গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বিষয়টি বনবিভাগকে অবহিত করলে উপজেলা বনবিভাগের লোকজন ঘটনা স্থলে পৌছাবার পূর্বে গাছ নিয়ে সটকে পড়ে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে জলাবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন,আমি আপনাদের মাধ্যমে গাছ কাটার খবর জানতে পারলাম। এলাকার লোক আমাকে কেউ জানায়নি।
এ বিষয়ে বন বিভাগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু গাছ উদ্ধার করতে পারিনি। তবে কারা গাছ কেটে নিয়েছে আমদের তদন্ত চলমান রয়েছে।এটা প্রমানিত হলে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
-

শের_ই বাংলা এ কে ফজলুল জন্মবার্ষিক উপলক্ষে বিচারপতির হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন -সাংবাদিক সুমন খান
স্টাফ রিপোর্টার:
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১”তম জন্মবার্ষিকী (গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ )। শিক্ষানুরাগী এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত প্রতীক হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও এ কে ফজলুল হকের অবদান ছিলো। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন।
সেই ধারাবাহিকদের মধ্য দিয়ে,সার্ক মিডিয়া ক্লাব সার্ক ভুক্ত দেশের সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক মিডিয়ার ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্ম এর বিশেষ আয়োজনে , শেরে_ই বাংলা একে ফজলুল হক এর ১৫১ তম জন্মবার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান। গত ১৩ ই নভেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার। ইকোনমিক্স রিপোর্টার্স ফোরাম মিলাতন চতুর্থ তোলা পল্টন টাওয়ার বিজয়নগর ঢাকা ,উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় বিচারপতি সিকদার মকবুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, (এল রহমান) সাবেক সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাজী মোহাম্মদ নুরুল কবি র, সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক চট্টু বাণী ও ব্যুরো চিপ মাই টিভি চট্টগ্রাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শফিকুর রহমান চেয়ারম্যান বিবিএন নিউজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রফেসর ড. হামিদা খানম চেয়ারম্যান,পানি বিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এস এম মোর্তুজা আলম (বুলবুল)
পরিচালক, (মার্কেটিং) মডার্ন জমিদার সিটি।বিশেষ অতিথি ছিলেন,
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাসুম সম্পাদক ও প্রকাশকমাসিক,মুক্তিযোদ্ধা বার্তা,সম্মাননা গ্রহন করেন ইউনুছ শেখসহকারী শিক্ষক,৪৯নং আংগারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শরীয়তপুরসদর, শরীয়তপুর।
মাস্টার ট্রেইনার(বাংলা)ধীরেন্দ্রনাথসাহা ,সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বড়াইগ্রাম নাটোর।মোঃ কামাল উদ্দীন রিজিয়ন চেয়ারপার্সন (এইচটিএমএল) লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ A1 বাংলাদেশ,জাতীয় দৈনিক সংবাদদিগন্ত,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার…সুমন খান,
জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্তর স্টাফ রিপোর্টার চৌধুরী।ডক্টর মোঃআশরাফুল হক মিয়া
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক অটিজম ট্রিটমেন্ট এন্ড রিসার্চ সেন্টার,
অসীম কুমার ঘোষ পরিচালক (মার্কেটিং)প্রোব বাংলাদেশ লিঃ,
মাহফুজুর রহমান মামুন প্রধান সমন্বয়কারী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটি,সভাপতিত্ব করেন। সাব্বির আহমেদ রাজু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সার্ক মিডিয়া ক্লাব।
-

চেয়ারম্যান কর্তৃক জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউপির চেয়ারম্যা ন(ভারঃ) রাহিদুল ইসলাম বাবু কর্তৃক জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ই নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী পৌর শহরের তিনমাথা মোড়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন ওই ইউনিয়নের ৮নং ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম ঠান্ডা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,শনিবার ১৬ই নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান (ভারঃ) রাহিদুল ইসলাম বাবু’র নেতৃত্বে জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব মাস্টার,মানিক সরকারশরিফুল ইসলাম,মাহমুদসহ ২৫/৩০টি মোটরসাইকেল যোগে তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে জীবন নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। একইভাবে ইউপি সদস্য তোতা মিয়ার বসতবাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারও স্বাক্ষর নেন। পরে বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করলে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যরা বলেন,তারা উক্ত দুর্নীতিবাজ নারী লোভী লম্পট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে সকল ইউপি সদস্য মিলে অনস্থা প্রস্তাব আনয়ন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য তোতা মিয়া,আবুল কালাম আজাদ,আজাদুল ইসলাম,নওশা সরকার, ফিরোজ মিয়া সহ ৬জন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।।
-

ফুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লা-শ উদ্ধার
ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রয়েল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা জানায়, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেকের বাসায় তিনতালায় এক বছর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে আছে। ইউপি চেয়ারম্যান পাস করার পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে নাসিমা তার ভাই জুয়েলকে ফোন দিয়ে আসতে বলে, জুয়েল এলেই তাকে মারপিট শুরু করে চেয়ারম্যান। সন্ধ্যায় নাসিমা ভাইকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। গত দুইদিন ধরে চেয়ারম্যানের বোন চায়না ফোন দিলে ভাই ফোন রিসিভ করে না, তাতে সন্দেহ হলে সকাল ১১টায় ছুটে আসে ভাইয়ের বাসায়। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে ফ্যানে সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখতে পায়। দুইদিন আগে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে মাদকাসক্ত ছিল ও পারিবারিক কলহের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রুকনুজ্জামান জানান, আমি ঘটনাস্থলে আছি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে পরে দেখা যাবে, পরিবারের কেউ মামলা করতে আসলে মামলা নেয়া হবে। আমি শুনেছি সে নাকি মাদকাসক্ত ছিল এবং পারিবারিক কলহ আছে।
-

নওগাঁয় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ৬৭ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
আব্দুল মজিদ মল্লিক, জেলা প্রতিবেদক নওগাঁ: নওগাঁ আদালতে ৬৭ জন আইন কর্মকর্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নওগাঁ জেলায় সরকারের পক্ষে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ৬৭ জন আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাহিদ মো. রফিকুল ইসলামকে সরকারি কোঁসুলি (পিপি) এবং নওগাঁ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সারওয়ার জাহানকে গর্ভমেন্ট প্লিডার (জিপি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে, ওই ৬৭ জন আইনজীবী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের কাছে তাঁদের যোগদানপত্র জমা দেন এবং জেলা প্রশাসক তা গ্রহণ করেন। ১৮ নভেম্বর সোমবার থেকে তারা তাঁদের নতুন দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
নিয়োগ পাওয়া আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নওগাঁ আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৬৭ জনই বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের আইনজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নবনিযুক্ত পিপি, এ জেড এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের যোগদানপত্র জমা দিয়েছি। আগামীকাল থেকে আমরা আইনগত দায়িত্ব পালন শুরু করব। আমাদের লক্ষ্য হলো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারপ্রার্থীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা।’ এছাড়া, ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২ জন অতিরিক্ত সরকারি কোঁসুলি এবং ৩৪ জন সহকারী সরকারি কোঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪ জন আইনজীবী নিয়োগ পেয়েছেন। এদিকে, ১০ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের এই নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই প্রজ্ঞাপনে, পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বাতিল করা হয়েছে।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ। -

ইউএন‘র বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবী, বেতাগীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
বেতাগী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ, এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্থানীয় নান শ্রেনী পেশার জনসাধারণ। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেতাগী শহরে প্রবেশের মুখ ঘেরাও করা হয় এবং টাউন ব্রিজ ও বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্মসূচির স্থলে পুলিশ আসলে শিক্ষার্থীরা পরবর্তি ঘোষণা দিয়ে শৃঙ্খললভাবে কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচি চলাকালীন তারা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে বেতাগীতে যোগদানের পর থেকে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। আর বেতাগীতে যাকে পদায়ন করেছে বাউফলের ইউএনও বশির গাজী। তিনি একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। তাকে অপসারণের জন্য আজ একইদিনে আন্দোলন করছেন বাউফলের ছাত্রজনতা। এরকম একজন কর্মকর্তাকে কোনভাবেই বেতাগীতে মেনে নেয়া হবে না। তারা আরো বলেন, ফারুক আহমেদ একজন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী তাকে এখান থেকে প্রত্যাহারের জন্য চক্রান্ত করছে।আমরা ইউএও‘র বদলীর আদেশ প্রত্যাহ্র হওয়ার আগ পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এদিকে বদলীর বিষয়ে বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, অভ্যান্তরীণ কারনে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তাদের বদলী করা হয়েছে। অন্য দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বেতাগী ইউএনওর বদলীর জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয় বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়কে অবিহিত করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপণে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদকে পটুয়াখালী বাউফল উপজেলায় একই পদে পদায়নের আদেশ দেন। -

কারিতাস আলোক -৩ প্রকল্প আওতাধীন কৃষক দলের অভিজ্ঞতা বিনিময়
মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে কারিতাস আলোক – ৩ প্রকল্প আওতাধীন কৃষক দলের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সাইনামারী এলাকায় কারিতাস আলোক -৩ প্রকল্পের আয়োজনে রবিবার কুষক দলের অংশ গ্রহনে এ অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ১২টি কৃষক দলের সদস্য/ সদস্যা গন অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় জৈব পদ্ধতিে শাকসবজি চাষ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয় । আলোচনা সভা শেষে নিজেদের সংরক্ষিত বীজ একে অপরের মাঝে বিনিময় করেন।