Category: Uncategorized

  • শেরে_ই বাংলা এ কে  ফজলুল হক এর ১৫১” তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    শেরে_ই বাংলা এ কে ফজলুল হক এর ১৫১” তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    সুমন খান:

    অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১”তম জন্মবার্ষিকী (১৩ নভেম্বর ২০২৪ )। শিক্ষানুরাগী এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত প্রতীক হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও এ কে ফজলুল হকের অবদান ছিলো। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন।
    সেই ধারাবাহিকদের মধ্য দিয়ে,

    সার্ক মিডিয়া ক্লাব সার্ক‌ ভুক্ত দেশের সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক মিডিয়ার ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্ম এর বিশেষ আয়োজনে , শেরে_ই বাংলা একে ফজলুল হক এর ১৫১ তম জন্মবার্ষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান। গত ১৩ ই নভেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার। ইকোনমিক্স রিপোর্টার্স ফোরাম মিলাতন চতুর্থ তোলা পল্টন টাওয়ার বিজয়নগর ঢাকা ,উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় বিচারপতি সিকদার মকবুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
    উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, (এল রহমান) সাবেক সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি,
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাজী মোহাম্মদ নুরুল কবি র, সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক চট্টু বাণী ও ব্যুরো চিপ মাই টিভি চট্টগ্রাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শফিকুর রহমান চেয়ারম্যান বিবিএন নিউজ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রফেসর ড. হামিদা খানম চেয়ারম্যান,পানি বিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
    এস এম মোর্তুজা আলম (বুলবুল)
    পরিচালক, (মার্কেটিং) মডার্ন জমিদার সিটি।বিশেষ অতিথি ছিলেন,
    বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাসুম সম্পাদক ও প্রকাশকমাসিক,মুক্তিযোদ্ধা বার্তা,সম্মাননা গ্রহন করেন ইউনুছ শেখসহকারী শিক্ষক,৪৯নং আংগারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শরীয়তপুরসদর, শরীয়তপুর।
    মাস্টার ট্রেইনার(বাংলা)ধীরেন্দ্রনাথসাহা ,সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বড়াইগ্রাম নাটোর।মোঃ কামাল উদ্দীন রিজিয়ন চেয়ারপার্সন (এইচটিএমএল) লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ A1 বাংলাদেশ,জাতীয় দৈনিক সংবাদদিগন্ত,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার…সুমন খান,
    জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্তর স্টাফ রিপোর্টার চৌধুরী।ডক্টর মোঃআশরাফুল হক মিয়া
    প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক অটিজম ট্রিটমেন্ট এন্ড রিসার্চ সেন্টার,
    অসীম কুমার ঘোষ পরিচালক (মার্কেটিং)প্রোব বাংলাদেশ লিঃ,
    মাহফুজুর রহমান মামুন প্রধান সমন্বয়কারী অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটি,

    সভাপতিত্ব করেন। সাব্বির আহমেদ রাজু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সার্ক মিডিয়া ক্লাব।

  • পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ – ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা

    পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ – ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যবসায়ী কে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার লতার শংকরদানায় বিভিন্ন মৎস্য ডিপোতে মৎস্য ও মৎস্যপন্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক। এসময় চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করায় ৩ ব্যাবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শরীফ আল মামুন ও ক্ষেত্রসহকারী রণধীর সরকার।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের পাইকগাছার রাড়ুলীর ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন

    উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের পাইকগাছার রাড়ুলীর ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা) ।।
    পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নের জেলে পল্লীর ভাঙ্গন ও বাঁকা চরের জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সোমবার সকালে প্রথমে রাড়ুলী জেলে পল্লীর কপোতাক্ষের ভাঙ্গনকবলিত এলাকা এবং পরে বাঁকা চরের জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ সরকার, রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, শেখ সাদেকুজ্জামান, প্রভাষক আব্দুল মোমিন, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, অখিল কুমার মন্ডল, লিয়াকত আলী, বকুল বিশ্বাস, বজলুর রহমান মোড়ল, বাবু সামাদ মোড়ল, মানিক বিশ্বাস, নুর ইসলাম, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, সন্ধ্যা বিশ্বাস, কাকলি বিশ্বাস, অন্তরা বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানিক লাল বসু, ফিল্ড অফিসার তুষার কান্তি বাইন, ফিল্ড অর্গানাইজার চিত্ত রঞ্জন মন্ডল, নাসরীন আরা, সুপ্রিয়া মন্ডল ও শুভঙ্কর বিশ্বাস।
    উল্লেখ্য রাড়ুলী জেলে পল্লীর প্রভাষক মোমিন সানার বাড়ির পূর্ব পাড়া হতে পশ্চিম পাড়ার খেয়াঘাট পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙ্গনে অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ৮০০ মিটার এলাকা জুড়ে কোন বাঁধ নাই। এছাড়া নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে অসংখ্য ঘরবাড়ি নদের ভিতরে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এর ফলে গৃহহীন হয়েছে জেলে পল্লীর অসংখ্য পরিবার। বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বর্ষা মৌসুমে এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকাবাসীর দাবি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ৮০০ মিটার এলাকার বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ স্থাপন অথবা ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। যদিও ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
    অপরদিকে কপোতাক্ষ নদ খনন করার পর থেকে বাঁকা চর এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এর ফলে প্রতিবছর ৭০০ বিঘা জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকার পানি সরবরাহের জন্য গোড়ার খাল নামের একটি সরকারি খাল রয়েছে। যা পলী জমে ভরাট হয়ে গেছে। দেড় হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খনন করতে হবে। সম্পূর্ণ খাল খনন করা সম্ভব না হলে নুন্যতম ৬০০ মিটার খাল খনন এবং বাঁধের উপর খালের সংযোগ স্থলে একটি মিনি স্লুইচ গেট নির্মাণ করতে হবে। এব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

  • পঞ্চগড়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেত্রী সাকীর বিরুদ্ধে

    পঞ্চগড়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেত্রী সাকীর বিরুদ্ধে

    মোঃ বাবুল হোসেন. পঞ্চগড়:

    পঞ্চগড়ে অস্তিত্বহীন নিজের একই প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদের বার বার বরাদ্দ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনুদানসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে-পৌর কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আকতারুন নাহার সাকীর বিরুদ্ধে।

    এর আগেও তার বিরুদ্ধে প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে ৫০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও, ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন। যদিও অভিযুক্ত এই নারী নেত্রী বলেছেন, বরাদ্দের টাকা দিয়ে কাজ করেছি। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের বিষয়ে জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের যে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে, সেটা দিয়ে আসবাবপত্র ক্রয় করি।

    স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান, আওয়ামীলীগের এই নেত্রী এক সময়ে বিএনপি সমর্থিতা ছিলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ভোল পাল্টে হলেন আওয়ামীলীগার। একে একে হলেন- স্বেচ্ছাসেবকলীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, পৌর কৃষক লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যও। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে করে বসলেন চারটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছেন, প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশী।দূর্নীতি দমনসহ প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

    জানাযায়, জেলা পরিষদ থেকে অর্থ বছর ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত আওয়ামীলীগের এই নেত্রী তার নিজের প্রতিষ্ঠান মারেয়া মহিলা সমিতির নামে তিন দফায় সাড়ে ছয় লাখ, পরস্পর মহিলা সমিতির নামে দুই দফায় চার লাখ, পরস্পর মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নামে দুই বারে পাঁচ লাখ, পরস্পর গ্রন্থাগার নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়েছেন। এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে অনুদান নিয়েছে পরস্পর মহিলা সমিতির নামে দুই দফায় ৯০ হাজার, মারেয়া সমিতির নামে ৪০ হাজার টাকা।

    সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, বোদা উপজেলার মারেয়া এলাকায় শ্রী মনি ভূষনের কাছে ছয় শতক জমি ক্রয় করেন, পঞ্চগড় শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার আকতারুন নাহার সাকী। তার পর একটি ঘর তুলে নাম দেয় মারেয়া মহিলা উন্নয়ন সমিতি। এলাকাবাসীরা বলেন, ঘরটি সবসময় বন্ধ থাকে, বছরে দুই একবার খুলতে দেখা যায়। পরস্পর মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও পরস্পর গ্রন্থাগারটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরস্পর মহিলা সমিতি ওই নারী নেত্রীর বাড়িতে।

    অপসারিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ জানান, প্রকল্পের অর্ধেক টাকা নিয়ে কাজ করার পর, বাকী বিল তোলার নিয়ম। আমি পরিষদে আসার পর ওই নামের স্ক্রীমগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। যা বরাদ্দ দিয়েছে আগের চেয়ারম্যান।

  • শরণখোলায় ডাঃ শর্মী রায়ের যোগদান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ঝা-ড়ু মিছিল

    শরণখোলায় ডাঃ শর্মী রায়ের যোগদান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ঝা-ড়ু মিছিল

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে শরণখোলায় পদায়নের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন ছাত্র-জনতা। (১৮ নভেম্বর) সোমবার সকালে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাঁচ রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন তারা।

    মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ডা. শর্মী রায় একজন দুর্নীতিবাজ ও আওয়ামী লীগের দালাল। তাকে শরণখোলায় পদায়ন করা হলে তা মেনে নেওয়া হবেনা। তাছাড়া শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস একজন ভাল মানুষ। বড় অংকের টাকার বিনিময়ে প্রিয় গোপালকে সরিয়ে দুর্নীতিবাজ শর্মী রায়কে শরণখোলায় বদলি করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার করেন বক্তারা।
    পরে তারা একটি ঝাড়– মিছিল বের করে।

    এর আগে তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিকল্পনা হিসেবে পদায়নের খবরে চিলতমারীতে তার যোগদান ঠেকাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তারা চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমনের সাথে দেখা করলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর আশ্বাস দেন।

    ডা. শর্মী রায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ,মানব বন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করে।
    তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে করোনা কালিন কোভিড-১৯ এর স্বেচ্ছাসেবকদের নামে সরকারি অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগসহ নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধন, বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিলসহ একের পর এক নানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন, যার প্রেক্ষিতে দৈনিক ইনকিলাবসহ বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হওয়ায় বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে ডা. শর্মী রায়কে জেলার চিতলমারী উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও পরিচালক (চ.দা.) ডা. এবিএম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন এ আদেশ প্রদান করা হয়।রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে তারা ডা. শর্মী রায়কে যোগদান করতে না দেওয়ার জন্য দাবী জানান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন তালুকদারের সাথে দেখা করলে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন।

    এর আগে গত ১৪ নভেম্বর দুপুর ৩ টায় সাধারন শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু স্টাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্ত্বরে চিতলমারীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) হিসেবে ডাক্তার শর্মী রায়কে যোগদানের না করার জন্য মিটিং-মিছিল ও মানবন্ধন করেন।# ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **

  • অত্যাচারী বাচ্চু সিকদারের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রামবাসীর অভিযোগ দায়ের

    অত্যাচারী বাচ্চু সিকদারের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রামবাসীর অভিযোগ দায়ের

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
    সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চিহ্নিত চোরাকারবারী, ভূমি খেকো, জুলুমবাজ বাচ্চু সিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিন গ্রাম বাসি শতাধিক মানুষেরা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    সোমবার দিন ব্যাপী প্রায় তিন গ্রামের শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সম্মিলিতভাবে জেলার সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অফিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ভৌরব হাঁটি গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু সিকদারের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে এবং বাচ্চু সিকদারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রাম বাসীর পক্ষে এই অভিযোগ দায়ের করেন ইউনিয়নের কামারভিটা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মোঃ আনোয়ার এবং একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ জামাল মিয়ার পুত্র মোঃ সবুজ মিয়া। এসময় প্রায় শতাধিক মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায় পার্শ্ববর্তী ভৈরব হাটি গ্রামের বাচ্চু সিকাদর, পিতা: মঞ্জুর আলী সিকদার, একজন আওয়ামীলীগ নেতা। সে বিগত ৪/৫ বছর আগে ঐ এলাকায় প্রশাসনের নীতিমালা উপেক্ষা করে
    একটি নিজম্বপার্ক স্থাপন করে যা বাচ্চু নগর পার্ক নামে পরিচিতি পেয়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায়। পার্ক স্থাপনের পর লক্ষ করে দেখা যায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জায়গার নামে সে ঐ পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ সহ ভারতীয় চুরাই ব্যবসা, মাদক জাতীয় পন্য আদান প্রদানের একটি কেন্দ্রস্থল বানিয়ে রেখেছে। এছাড়াও সে ঐ পার্কে জুর পূর্বক ভাবে অন্যের রের্কডীয় ভূমি এবং অনেকের দখলিয় জমি ক্ষমতাবলে অন্যায় ভাবে দখল করে উক্ত পার্কে সীমানা বৃদ্ধি করে রেখেছে। তিন গ্রামের কৃষকের সুনালী ফসল ধানের ক্ষেত পার্কের উত্তর পার্শে¦ রয়েছে যা প্রতি বছর গ্রামের কৃষক ঐ ফসল ঘরে তুলেন পার্কের উপর অবস্থীত তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা দিয়ে। পূর্ব পুরুষ হইতে ব্যবহৃত চলা চলের ঐ রাস্তার উপর দিয়ে ছোট ঠেলা ঘাড়ি ও টলি গাড়ি ব্যবহার করে ফসল ঘরে তুলে আসছেন গ্রামবাসী। বর্তমানে ঐ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে কৃষকের ফসলী জমি রূপন করতে বা ফসল ঘরে আনতে মারাত্বক ভাবে বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন তিন গ্রামের মানুষেররা বাচ্চু সিকাদরের জুলুম অত্যাচারের কারনে। শুধু তাই নয় পার্ক স্থাপনের পর থেকেই স্বাধীন ভাবে চলাচল এবং ফসল রূপনসহ গবাদি পশু মাঠে আনা নেওয়া করতে পারছি না গ্রামবাসী। বাচ্চু সিকদার কর্তৃক রাস্তা বন্ধ করার কারনে। এ বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে জিজ্ঞেস করিলে সে সাফ জানিয়ে দেয় পার্কের উত্তর পার্শে অবস্থিত কোন ফসল আনতে রাস্তা দিবে না। অথচ ঐ রাস্তাটি তিন গ্রাম (কামার ভিটা, কান্দাপাড়া, গুদিগাঁও) মানুষের চলা চলের একমাত্র অবলম্বন। উল্লেখ্য যে, ঐ পার্কে প্রতিদিন সন্ধার পরে চলে মাদক, জোয়া এবং বখাটেদের আড্ডার আসর যা সমাজের এক ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দিন দিন ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুব সমাজকে। বিশেষ করে পার্কে গুরতে আসা দর্শনার্থীরাও পরেন বাচ্চু বাহিনীর ছিনতাইয়ের কবলে।
    তার অত্যাচারে যেমন অতিষ্ঠ এলাকাবাসী তেমনি দর্শনার্থীরাও পরেন ছিনতাইয়ের কবলে। বাচ্চু সিকদারের এসব কর্ম কান্ডের ফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি কামার ভিটা গ্রামের যুব সমাজ জুয়া, মদ, মাদক সেবন করে চলে যাচ্ছে ধ্বংশের পথে। এসব বিষয়ে যেই প্রতিবাদ করে তাকেই পরতে হয় বাচ্চু বাহীনির সন্ত্রাসী হামলার মুখে। তার বিরোদ্ধে অনেক বার বিগত দিনের এমপি এড. পীর মিসবাহ, আলহাজ্ব মতিউর রহমানসহ অনেকের কাছে মৌখিক ভাবে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দ্বারা যানানো হয়। কিন্তু সে দলীয় ক্ষমাতার বলে বার বার মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করেই চলেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করিলে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে ও জানান অভিযোগকারীরা । বর্তমানে অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষতায় আসার পর ও থামেনি বাচ্চু সিকাদরের অপকর্ম ও জুলুম অত্যাচার। বাচ্চু সিকদারের জুলুম অত্যাচার থেকে গ্রাম বাসীর মুক্তিপেতে এবং তার ব্যাক্তিগত পরিবেশ দুষনকারী পার্কের বিরুদ্ধে নিতিমালা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দখল মুক্ত করে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ছিনতাই কারীদের গডফাদার, বাচ্চু সিকাদারের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত গতিতে বাচ্চু সিকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই দাবি তাদের।###

  • মুন্সীগঞ্জে নামের কারণে উন্নয়ন বঞ্চিত শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়

    মুন্সীগঞ্জে নামের কারণে উন্নয়ন বঞ্চিত শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়

    লিটন মাহমুদ,
    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

    মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার রিকাবী বাজার এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি নামের কারণেই আওয়ামীলীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে কোন রকম উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে । বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হওয়ায় বিদ্যালয়টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে বলে মনে করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। দীর্ঘ বছর উন্নয়ন ও বরাদ্দ বঞ্চিত হওয়ায় বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
    বিদ্যালয়ের ৭০-৮০ শতাংশ খেলার মাঠ দখল করে নিয়েছে আওয়ামীলীগ। ১৫০ শতাংশ খেলার মাঠের জমি থেকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার নামে আওয়ামীলীগ স্কুলের ওই জমি দখল করে নেয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মিরকাদিম পৌর বিএনপির সভাপতি জসিমউদদীন জানান, তারা আদালতে মামলা করেছিলেন, আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার সময় তাদের স্কুলের ৭০-৮০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়।
    এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের নানা সমস্যা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিলেও কোন কাজ হয়নি। টিআর প্রকল্পসহ একটি টাকাও বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ হয়নি। দিনেদিনে বিদ্যালয়টি ধ্বংসস্ত্তপে পরিণত হয়েছে।
    জানা গেছে, শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাসের হার ভালোই। এসএসসিতে পাসের গড় হার ৯২%। ২০২২ সালে ৯৭.৬৭%, ২০২৩ সালে ৮০% এবং ২০২৪ সালে ৮৯.০৪%।
    বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বছরের পর বছর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও বিদ্যালয়ের অনুকূলে একটি টাকাও বরাদ্দ দেয়নি সরকার। বর্তমানে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় ২৮ বছর আগে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় আস্তর খুলে পড়ছে, রং নষ্ট হয়ে শেওলা ধরেছে। ফ্লোর সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে ফেটে গর্ত হয়ে গেছে। দরজা ও জ্বালানা স্থাপন এবং সিঁড়ির রেলিং স্থাপন জরুরি। বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবন সংস্কার, মেরামত ও চুনকামের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে বার বার আবেদন করেও কোন প্রতিকার হয়নি।
    বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাটি খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দগুলো বালু দিয়ে ভরাট করা জরুরি। এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র ঘরের। শিক্ষার্থীরা নামমাত্র সেশন ফি, ভর্তি ফিতে ভর্তি হয়ে বিনাবেতনে অধ্যয়ণ করে। এতে বিদ্যালয় ফান্ডে কোন অর্থ নেই। জাইকার অর্থায়নে বিদ্যালয়ে একটি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ দরকার। আধুনিক ও বাস্তব সম্মত শিক্ষার ছোঁয়া লাগানোর জন্য কম্পিউটার ও ল্যাব দরকার। বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর মহান শহীদ দিবসে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। বিদ্যালয়টিতে কোন গেইট নেই। বিদ্যালয়ের গেইট ও প্রাচীর নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার বা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এই বিদ্যালয়ে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন উন্নয়ন প্রকল্পে অত্র বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা জরুরি বলে মনে করছেন তাদের অভিভাবকরা। এই বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
    শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে স্কুলের নামে একটি টাকাও বরাদ্দ হয়নি। একেরপর এক আবেদন করেছি। শুধু বিদ্যালয়টি নামের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার টিআর প্রকল্পসহ উন্নয়নে কোন বরাদ্দ দেয়নি৷ স্কুলের সংস্কার, মেরামত, নতুন ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো উল্লেখ করে নতুন করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করছেন বলে তিনি জানান।

  • রাজশাহীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃ-ত্যুর অভিযোগ

    রাজশাহীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃ-ত্যুর অভিযোগ

    আলিফ হোসেনঃ রাজশাহী থেকে ফিরে তানোর প্রতিনিধি।
    রাজশাহী নগরীর সিএনবি মোড়ের পদ্মা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,সম্প্রতি
    পদ্মা ক্লিনিকে এক প্রসূতি নারীর সিজার করার পর প্রচন্ড রক্তক্ষরণ অবস্থায় আবারও দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। এতে প্রসূতির অবস্থা আরও অবনতি হলে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়। সেখানেও অবস্থা উন্নত না হওয়ায় ঢাকা বেসরকারি হাসপাতালে ২২ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
    জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর মাহমুদা নামে একজন প্রসূতি নারী ডাঃ শিপ্রার কাছে সিজার করবে বলে এই পদ্মা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরদিন ৯ অক্টোম্বর সকালে ডাঃ শিপ্রার মাধ্যমে সিজার হয় তার। সিজারের পর রাতে সেলাই থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় কর্মরত নার্সকে জানায় মাহামুদার পরিবার। নার্সকে জানানোর পরে তারা বলেন একটু ধৈর্য ধরেন ঠিক হয়ে যাবে। তারপরেও যন্ত্রণা এবং রক্তক্ষরণ বেশি হতে থাকে প্রসূতি মাহামুদার। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে মাহামুদার পরিবার ডাক্তারকে খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে তারা কোন ডাক্তারের খোঁজ পায়না। পরদিন ১০অক্টোম্বর সকালে ডাক্তার আসলে সমস্যার কথা জানানো হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আবারও সিদ্ধান্ত নেই অপারেশন করার । আবারও অপারেশন শেষ করলেও রুগীর অবস্থার উন্নতি হয় না। ডাক্তারকে জানাই রুগীর অবস্থা ভালো না। তখনই ক্লিনিক থেকে ডাক্তারসহ সকলেই পালানোর মত অবস্থা। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউতে।
    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক দিন থাকার পর রুগীর অবস্থা উন্নত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল (এভার কেয়ার) ভর্তি করা হয়। সেখানে ৩দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পরে অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসা খরচ ব্যয়বহল হওয়ার কারনে সেখান থেকে ঢাকা পপুলার ধানমন্ডি-২
    ভর্তি করানো হয় মাহামুদাকে।
    সেখানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৩১অক্টোম্বর সকালে মারা যান।
    এবিষয়ে মাহামুদার ভাই মাফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,গত ৮অক্টোম্বর শুত্রুবার সকালে আমার ছোট বোন মাহমুদা খাতুনকে সিজার করানোর জন্য ভর্তি করা হয় রাজশাহীর সিএনবি মোড়ে অবস্থিত পদ্মা ক্লিনিকে । সেদিন সকাল ১১টার সময় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিপ্রা চৌধরী তার বোনের সিজার করে। সিজার করার পর রাত থেকে শারীরিক অবস্থা ব্যাথা, যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে। এরপরে আমার বড়বোন নার্সকে জানায়,কিন্তুু ডাক্তার না থাকায় অবস্থা বেশি খারাপ হয়। আমার বোনের ভুল সিজার করায় মৃত্যু বরন করে। মাফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এখন সন্দেহ হয় পরিচালক ডাক্তার ফাইম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার নাদিয়া আজিম,ডাক্তার ফার্জানা এবং ডাক্তার ইয়াহিয়া ফেরদৌস আলম আবিরের পরিচালনায় ধোঁয়াশা থেকে যায় তারা ডাক্তার কি না,তাদের সার্টিফিকেট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন,আমরা চায় এই হাসপাতাল বা ক্লিনিকে আর কেউ যেন ভুল অপারেশন মৃত্যু না হয়। আমরা এর বিচার চাই। তবে বাবার কোলে ফুটফুটে শিশু কিন্তু সিজার করানোর সময় ভুল চিকিৎসায় তার মা মাহমুদা খাতুন মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে আছে।
    এবিষয়ে পদ্মা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা প্রথমে তথ্য দিতে অস্বীকার করে। বার বার তথ্য দিবে বলে সময় নিয়ে তথ্য দেয় না । পরে তথ্য দিবে সত্যে বলেন আমরা কোন রেকর্ড তথ্য দিব না। আপনারা চাইলে লিখে নিতে পারেন। তখন অনুসন্ধান রিপোর্টের জন্য গোপনে অডিও ভিডিও রেকর্ড করা হয়। রুগী মৃত্যুর বিষয়ে পদ্মা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের সিজারে কোন সমস্যা হয়নি, ডাক্তার ডাঃ শিপ্রা সিজার করেছেন উনি ভালো বলতে পারবেন। আমাদের ধারণা রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বেশি সমস্যা হয়েছে। পরে তার পরিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেই থেকে আমরা আর কিছুই জানি না। অপারেশনের টাকা রোগীর কাছে থেকে নিয়েছেন কি না প্রশ্নে তারা বলেন আমরা ছাড় দিয়েছি মানবতার খাতিরে । রাতে ডাক্তার থাকে না অভিযোগে বলেন সেই দিন মৌ নামে ডাক্তার ছিল,কিন্তুু সাংবাদিকদের কাছে
    ডাঃ মৌ এর কোন তথ্য দিতে অস্বীকার করেন। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন,আমার কাছে এরকম কোন অভিযোগ আসেনি। পদ্মা ক্লিনিকে ডাক্তার থাকে না অভিযোগে
    সিভিল সার্জন জানান, আপনিও জানেন যেসব প্রতিষ্ঠানে অপারেশন, ইনজেকশন এগুলো নিয়ে কাজ হবে সেখানে সবসময় ডাক্তার থাকতে হবে। আর ডাক্তার থাকে না বিষয়ে আমি খুব শীঘ্রই অভিযান করব এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে পদ্মা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#

  • পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে ৪ গ্রাম বিলিনের পথে

    পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে ৪ গ্রাম বিলিনের পথে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।

    খুলনার পাইকগাছায় মসজিদ, পীরের মাজার, কবরস্থানসহ অসংখ্য মানুষের ভিটেমাটি আজ কপোতাক্ষ নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালীর ইউনিয়নের ৪ গ্রামের ৯০ ভাগ ভূমি ও একটি বাজারের বৃহৎ অংশ আজ কপোতাক্ষ ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছ। সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত ওই এলাকায় গেলে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য অসহায় মানুষ ছুটে আসেন সংবাদকর্মীদের দেখে। তারা বলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ১নং হরিঢালী ও ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের দরগাহমহল, রামনাথপুর, হাবিবনগর, মালতের আংশিক ও আগড়ঘাটা বাজারের সিংহভাগ এখন কপোতাক্ষ নদীর পেটে। এই গ্রামগুলোতে ছিল হাজার হাজার বসতবাড়ি, স্কুল, ওইতিহাসিক দরগাহমহল জামে মসজিদ, পীর মিয়াউদ্দীনের মাজার ও শতশত কবর নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য কয়েকটি কবর স্থানন্তরও করা হয়েছে। উল্লেখিত ৪ গ্রাম ও আগড়ঘাটা বাজার সবমিলে প্রায় ২ হাজার একর জমি বিলীন হওয়ায় শতশত পরিবার আজ ভিটে ও ফসলী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।৮০’র দশকে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদীটির ওই পার অর্থাৎ পার-রামনাথপুরে চর পড়ে শতশত বিঘা জমি জেগে উঠেছে। সেখানে অনেকে আবার ভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে ঘরবাড়ি করে বসে আছেন। কেউ আবার বিঘার পর বিঘা জমিতে মৎস্য ঘের করে বসে আছেন। ফলে নদীর ভাঙ্গন কুলের মানুষের বোবা কান্না আজও থামেনি। বাপ দাদার ভিটে মাটির হারানোর কষ্ট যন্ত্রণা তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা জমি বসতবাড়ি আজ কপোতাক্ষের পেটে। আশি বছরের বৃদ্ধা সৈয়েদা রিজিয়া বেগম নদীর দিকে চেয়ে শশুরের ভিটে হারানোর কষ্টের বিলাপ করতে থাকেন, তাকে বলতে শোনা যায়, ”হায়রে নদী-, বাগান, উঠোন, ঘর, সব নিলি আমরা এখন যাবো কই?”নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কয়েক বছর আগে ওই পারের খাস জমিতে অর্থ বাণিজ্য করে জেগে ওঠা চর খাস জমি দেখিয়ে কথিত ভূমিহীনদের দখলে নিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, চর ভরাটিয়া দখলকারী অনেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দখল বজায় রাখার চেষ্টায় মত্ত্ব রয়েছে। আবার কেউ কেউ নেতার আত্মীয় পরিচয়ে ফায়দা লুটে চলেছে দীর্ঘ দিন। ভাঙ্গনকুলে সৈয়দ রহুল আমীনের পরিবারের ১০ বিঘা সম্পত্তি ছিল, যার মধ্যে ছিল বসত বাড়ি, পুকুর, পোল্ট্রি ফার্ম, মৎস্য ফার্ম, ফসলী জমি, সৈয়দ সালাতুল্লাহের ৪ টি বসত বাড়ি, পুকুর ২ টি, পোল্ট্রি ফার্ম, ফসলী জমি, শেখ মতির ২টি ঘর, বারু মন্ডলের ৩টি ঘর, দ্বীনুর ২ টি ঘর, শেখ সাজ্জাত আলীর ২টি ঘর, শেখ আব্দুল মান্নানের ২টি ঘরসহ অসংখ্য টিউবওয়েল কপোতাক্ষের গহীন গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে। ভাঙ্গন এমন অবস্থানে আছে যে অতি অল্প দিনের মধ্যে ৩৬ হাজার ভোল্টেজ প্রবাহিত বিদ্যুৎ সরবরাহের খুটি হয়তোবা নদী গর্ভে চলে যাবে। খুঁটি নদীতে গেলে পাইকগাছা-কয়রা এই বৃহত্তর দু’টি উপজেলার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন হয়ে পড়বে এমন অশংকা এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, এক প্রকার যেন উপায়অন্ত না পেয়ে পূর্বের স্থানে এস এ খতিয়ান অনুযায়ী নদী খননসহ নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে একটি গণ-স্বাক্ষরিত আবেদন করেন ভুক্তভোগীমহল। যার ফলে সে অনুযায়ী ৩ বছর আগে নদী খননের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার আমীন ট্রেডার্স। ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নদী কাটা কাজ প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট দেয় সরকার। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ভাঙ্গন রোধে বিকল্প হিসেবে নদীর পূর্বের সীমানা এসএ খতিয়ান অনুযায়ী খনন করলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরাতন নদীর ২টি মুখে আজও বাঁধ না দেওয়ায় ভাঙ্গন বন্ধ হচ্ছে না, তাই প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। ফলে প্রতিদিনই ভিটে মাটি হারাচ্ছেন কোন না কোন পরিবার, আর ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের বাজেট করা কোটি কোটি টাকা। এমন অবস্থাতে সম্প্রতি পুরাতন নদীর মুখে হাতেগোনা কিছু বালির বস্তা দিলেও সেটা নদীর স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পূর্ণ কাজ বুঝে দেওয়ার আগেই নতুন খনন করা নদীর অনেক অংশে পলি পড়ে উঁচু হয়ে গেছে। নতুন খনন করা নদীর ভাঙ্গন কুল দরগাহমহলের বাসিন্দা শেখ আব্দুর রহিম (৫৫) বলেন, ওই যে নদীর ওপারে নৌকা বাধা ওখানে ছিল আমার বাপের ভিটা, আমরা সব হারিয়েছি, একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার বাপ-চাচাদের ৬ একর ৬৭ শতক জমি ছিল, আজ তার ১ শতক জমিও নেই, ভিটে মাটি হারিয়ে তিনি অন্য জায়গায় বসবাস করছেন। আমজাদিয়া এতিম খানার ক্বারী মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, ‘নেতৃবৃন্দ, চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ অনেকেই ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, আশ্বস্ত করেছেন ভাঙ্গন রোধ করার কিন্তু অদ্যবধি কোন কাজ হয়নি। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক। বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সালাম উল্লাহর স্ত্রী আজিজার (৭২) এর বসতবাড়ি ছিল ২বিঘা জমিতে, ৪টি ঘর, ১টি গোয়াল ঘর, সীমানা প্রাচীর ও উঠান নদীতে চলে গেছে’ নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এক ইঞি জমিও অবশিষ্ট নেই। তার পরিবার এখন অন্য গ্রামে বসত করছেন। সৈয়দ আবুল কালাম (৭০) বলেন, ‘আমার উঠান পুকুর সহ ২ বিঘা ভিটে বাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়ে আমার পরিবার এখন নিঃস্ব। পাশের গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে বসত করছি। সৈয়েদ মিজান বলেন, ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আমার বাড়ি ৪ বার সরিয়েছি, সর্বশেষ পাকা রাস্তার (খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়ক) ধারে ঘর বেঁধেছি, কিন্তু এখানেও নদী ভাঙ্গনের অব্যাহত হুমকির মুখে আমার বাড়ি-ঘর। তবে এই ভাঙ্গন রোধে নদীর কুলে খুব দ্রুত ব্লক ও বালির বস্তা দিলে হয়তো কিছু দিন টিকে থাকতো অনেক কষ্টে বাঁধা ঘর। কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল বলেন, ‘দরগাহমহলে আমার পূর্ব পুরুষদের ভিটে ছিল। সেখানে আমাদের একটি পারিবারিক কবরস্থানও ছিল, যা প্রায় ৪০ বছর আগে নদীতে ভেঙ্গে যায়। এরপর পুনরায় একটি পারিবারিক কবর স্থান গড়ে তোলা হয় সেটাও নদীতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই দু’টি কবরস্থান থেকে আমার পরিবারের ৭জনের কবর অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’।

    ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরত মোঃ আমীন বলেন,কাজ চলমান রয়েছে।স্রোতের কারনে একটু বিলম্ব হচ্ছে। সেটা নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার কে জানিয়েছি।

    যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যাণার্জী বলেন, খননের কাজ শেষ হয়েছে, তবে কিছু জায়গায় নতুন করে পলি পড়েছে, পলি অপসারণ করতে বলা হয়েছে। আর পুরাতন নদীর মুখে বাঁধ দেওয়ার জন্য বালির বস্তা ফেললেও নদীর স্রোত বেশি থাকায় সেটা টিকছেনা, তবে স্রোত একটু কমলেই অতিদ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করবে ঠিকাদার।

    ইমদাদুল হক,

    পাইকগাছা,খুলনা

  • তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

    তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার
    সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে একটানা এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মাছ প্রতীকে ২৬৯টি ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম (জানে আলম) সভাপতি ও আম প্রতীকে ২৬৩টি ভোট পেয়ে টিপু সুলতান
    সম্পাদক এবং মোরগ প্রতীকে ৩০৪টি ভোট পেয়ে তুহিন শাহ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাকিবুল হাসান পাপুল সরকার বলেন, ভোটারগণ লাইন ধরে তাদের প্রত্যাশিত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ করতে থানা পুলিশের একটি দল, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ভোটগ্রহণকারী ও সাংবাদিক সহ সকলকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। উল্লেখ্য, গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৬৩ জন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া এ নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিজয়ী তিন প্রার্থীই রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।#